মেহেরপুরে পারিবারিক নির্যাতনের শিকার রাসেল আহমেদ

মেহেরপুর বড় বাজারে মেহেরপুর বীজ ভান্ডারের মালিক মোঃ রাসেল আহমেদ পারিবারিক নির্যাতনের শিকার হয়ে অভিযোগ করে।

আজ রবিবার সকালে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে রাসেল আহমেদ বলেন গতকাল ৮:৩০ মিনিটের সময় কাজের জন্য বামন পাড়া মোড়ে গেছিলাম ওখানে ৩টা মোটরসাইকেল করে ৬ জন লোক এসে আমার পাশে দাঁড়ালো আমি যার জন্য অপেক্ষা করছিলাম ওমনি এলোপাতাড়ি মার শুরু করলো কিছু লোকজন এগিয়ে আসার কারণে ছুরি দিয়ে হাতে আঘাত করে চলে যায় এবং গ্রামের লোকজন মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।

এইগুলোর জন্য দায়ী হলো কয়দিন ধরে আমার নও চাচা যে চাচা আমাকে মেরেছিল কিছুদিন আগে নও চাচা ক’দিন আগে বলছিল যে যত খরচ হয় হোক ওকে মার্ডার করতে হবে। নও চাচার দ্বিতীয় বউ মনজুরার মেয়ে সেফি সেও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে কদিন ধরে। এর সাথে জয়নাল জড়িত থাকতে পারে জয়নালও ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমার ভগ্নিপতি মামুন জড়িত আছে সেও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। কিছুদিন আগে সবার নামে মার্ডার কেস করেছি। তারপর আমার ছোট মামা সেও ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। রাত এগারোটা বারোটার সময় বাসার পিছনে আসছে সবাই এসে ইট মারছে। রাস্তাঘাটে ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে যখন তখন ভয়-ভীতি দেখাচ্ছে। কালকে সুরি পেটে মারতে গেছিল তখন হাত দিয়ে ঠেকিয়েছি পেটে না লেগে হাতে লেগেছে

আমি কি এর বিচার পাব না তারা অন্যায়ের উপর অন্যায় করছে। আমি মার্ডার কেস করেছি কালকে ছেলেরা বলছিল মার্ডার কেস তুলতে হবে এবং যত ধরনের কেস আছে সব তুলতে হবে এই বলে কালকে আমাকে মারধর করেছে এবং ছুরি দিয়ে আঘাত করেছে। আমাকে কি বাঁচতে দেবে না আমি প্রশাসনের কাছে সহ সকলের কাছে অনুরোধ করছি আমি যেন সুষ্ঠু বিচার পাই।

মার্ডার কেস তোলা বলছিল বলেই আমাকে মারধর করেছে তবে ৬ জনের মধ্যে আমি একজনকে একটু চিনতে পেরেছি তার বাসা যত সম্ভব বেড় পাড়ায় মুখ দেখলে আমি চিনতে পারবো তবে কার ছেলে কে আমি অত চিনি না।




দামুড়হুদায় ৪ বিঘা জমির ধরন্ত পেঁপে গাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে

দামুড়হুদা উপজেলার পরানপুর মাঠে ৪ বিঘা জমির ধরন্ত ফুলন্ত পেঁপে গাছ কেটে দেওয়ার অভিযোগ উঠছে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার উক্ত নতুন গ্রামের মো: আমির বিশ্বাস এর ছেলে জাকির হোসেনের বিরুদ্ধে।

আজ রবিবার ভোর ৫টার দিকে ভুক্তভোগী কৃষক তার জমিতে গিয়ে দেখে জমির সব পেঁপে গাছ কেটে দিয়েছে। ভুক্তভোগী কৃষক হলেন দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের জয়রামপুর কলনীপাড়ার মৃত আবুল কাশেম এর ছেলে রবিউল ইসলাম বাবলু। এবিষয়ে তার ছেলে জাহাঙ্গীর আলম মানিক দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে মো: জাকির হোসেন (৪২) পিতা: মো: আমির বিশ্বাস, গ্রাম উক্ত নতুনপাড়া, থানা ও জেলা চুয়াডাঙ্গা উক্ত বিবাদীর নিকট হইতে আমার পিতা মোঃ রবিউল ইসলাম বাবলু বিগত অনুমান ০৬ মাস পূর্বে ১৪,০০,০০০/-(চৌদ্দ লক্ষ) টাকার বিনিময়ে ০৫ বিঘা পেঁপে বাগান সহ লীজ গ্রহণ করি। টাকা ফেরত প্রদান করিলে সে তাহার জমি আমাদের নিকট হইতে ফেরত নিবে। কিন্ত হঠাৎ করে সে চুক্তিনামা থেকে আরও তিন লক্ষ টাকা বেশি দাবী করছে। আমার পিতা দিতে অস্বীকৃত জানাইলে সে আমাদের সামনে বলে টাকা না দিলে পেঁপে বাগান কেটে দেবো এবং বিভিন্ন স্থানে বলে বেড়ায় পেঁপে বাগান কেটে দেবো।

এরই ধারাবাহিকতায় অদ্য ইং ১১/০৬/২০২৩ তারিখ ভোর অনুমান ০৬:৩০ ঘটিকার সময়ে আমার পিতা উক্ত পেঁপে বাগানে গেলে দেখিতে পাই যে ০৪ বিঘা পেঁপে গাছ কেটে দেয়। আমার পেঁপে গাছগুলিতে ধরন্ত ফল ছিল। এমতাবস্থায় আমার পিতা খোজ খবর নিয়ে জানতে পারে ভোরবেলা মর্নিং ওয়ার্কে স্বাক্ষী ১। শিমুল হাসান, পিং-আঃ জলিল, ২। মোঃ রাশেদ আহম্মেদ সজিব, পিং-মুজিবুল হক (আর্মি), ৩। মোঃ রাজু, পিং-কালাম হোসেন, সর্ব সাং-দর্শনা (থানাপাড়া), উপজেলা-দামুড়হুদা, থানা-দর্শনা, জেলা-চুয়াডাঙ্গাগণ রাস্তায় হাটছিল। পেঁপে গাছ কেটে দিয়ে চলে যাওয়ার সময় তারা দেখতে পাই যে, উক্ত বিবাদী সহ অজ্ঞাতনামা ১৪/১৫ জন হাতে হাসুয়া নিয়ে বাড়ির উদ্দেশ্যে চলে যায়। শুধুমাত্র বিবাদীকেই তাহারা চিনতে পেরেছে। ইহাতে আমাদের প্রায় আনুমানিক- ২০,০০,০০০/- (বিশ লক্ষ) টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হইয়াছে। ঘটনার পর হইতে আমার পিতা অসুস্থ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বাড়িতে আছে।

এবিষয়ে ভুক্তভোগির ছেলে জাহাঙ্গীর আলম মানিক বলেন, এই ঘটনায় আমার পিতা চরম কষ্টে অসুস্থ হয়ে পরেছে। এমন জঘন্যতম কাজের জন্য তার বিরুদ্ধে আমি দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। আমাদের প্রায় ২০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, সরজমিনে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে।




চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে আজ রবিবার সকাল দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে উক্ত মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা কমিটির আইন-শৃঙ্খলা সভায় আলোচনার বিষয় ছিলো সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কার্যক্রম পর্যালোচনা, মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান নিরোধ, অনিষ্পন্ন চোরাচালান মামলার নিষ্পত্তি ত্বরান্বিতকরণ, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ, মানব পাচার প্রতিরোধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা, সড়কের শৃঙ্খলা, ফুটপাত হকারমুক্ত ও দখলমুক্ত, দ্রব্যমূল্য সহনশীল, আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে সার্বিক আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার উপর বিস্তারিত আলোচনা হয়।

উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল মামুন, সিভিল সার্জন সাজ্জাদ হোসেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ প্রফেসর সিদ্দিকুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা জীবননগর ও দামুড়হুদার উপজেলা নির্বাহি অফিসার বৃন্দ সহ চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন দপ্তরের প্রধানগণ, কর্মকর্তাবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ।




দামুড়হুদার ধান্যঘরায় বাবর আলীর হত্যার রহস্য উৎঘাটন সংবাদ সম্মেলনে জেলা পুলিশ

দামুড়হুদায় ফল ব্যবসায়ীকে গলাকেটে হত্যা রহস্য ২৪ ঘন্টায় উদঘাটন করেছে দর্শনা থানা পুলিশ। ঘটনার পরের দিন স্ত্রী মহিমা বেগম (৪০) কে গ্রেফতার করে পুলিশ। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে স্বীকার করে নিজেই তার স্বামীকে জবাই করে।

এ ঘটনায় আজ রবিবার সকাল ১১ টায় দর্শনা থানা চত্তরে এ সংবাদ সম্মেলন করে জেলা পুলিশ চুয়াডাঙ্গা।
এ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের এএসপি দামুড়হুদা সার্কেল জাকিয়া সুলতানা।

এ সময় তিনি বলেন হত্যার কাজে ব্যবহৃত উদ্ধার করা হয় ঘরের মধ্যে খাটের নিচ থেকে হাসুয়া। মহিমা বিভিন্ন এনজিও ঝণের টাকা নিয়েই স্ত্রীর বলির শিকার হয় স্বামী বাবর আলী। এই এনজিও ঝণের কারনে স্বামী বাবর আলীর সাথে মাঝে মধ্যে পারিবারিক দন্দ হত। গত বৃহস্পতিবার ৮ মে ঐ দিন সন্ধার দিকে স্বামী বাবর আলীর সাথে বাক বিতন্ড হয়।সেই রাত্রে ধারালো হাসুয়া দিয়ে ঘুমন্ত অবস্থায় বাবর আলীকে স্বজোরে গলায় কোপ দেয়।তার চিৎকার শুনে বাড়ি লোকজন ছুটে এসে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।চিকিৎধীন অবস্থায় অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরনে তার মৃত্য হয়। এ ঘটনায় নিহত বাবর আলীর ভাই ছাবের আলী বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামী করে মামলা করে দর্শনা থানায়।

তবে থানা হেফাজতে নেওয়া তার স্ত্রীকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায় স্বীকার করেন সে নিজেই খুন করেছে তার স্বামীকে। তার স্বীকারোক্তিতে পুলিশ উদ্ধার করে হত্যা কাজে ব্যবহৃত হাসুয়া।

দর্শনা থানা পুলিশ ২৪ ঘন্টার মধ্যে এ হত্যার রহস্য উৎঘটন করায় সাবুবাদ জানিয়েছে এলাকাবাসি।উল্লেখ্য, গত ৮ জুন বৃহস্পতিবার দিনগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে এ হত্যার ঘটনা ঘটে। নিহত বাবর আলী উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।এ সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ওসি তদন্ত এস এম আমানউল্লা আমান, দর্শনা থানার ওসি অপারেশন নীরব হোসেন, দর্শনা থানার সেকেন্ড অফিসার এস আই আহম্মেদ বিশ্বাস।




দারিয়াপুর ইউপি একাদশকে ৫-০ গোলে হারিয়ে বাওট শাপলা ক্লাব দ্বিতীয় রাউন্ডে

মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর ৮ম দিনের খেলায় মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুর ইউনিয়ন একাদশকে ৫-০ গোলের বিরাট ব্যবধানে হারিয়ে গাংনী উপজেলার বাওট শাপলা ক্লাব দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে।

উত্তেজনাপূর্ণ খেলাটিতে প্রথম অর্ধের ১৭ মিনিটের সময় বাওট শাপলা ক্লাবের পক্ষে ১ টি গোল করে এগিয়ে নেন। এর পর দলের পক্ষে সিয়াম ১ টি, মৃদুল ১ টি ও বায়োজিত ১ এবং সবশেষে আবারো অধিনায়ক সেলিম আরেকটি গোল করে ৫ গোলের বিরাট ব্যবধানে দারিয়াপুর ইউনিয়ন একাদশকে পরাজিত করে।

খেলায় বিচারকদের দৃষ্টিতে সেরা খেলোয়াড়ের হিসেবে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন বাওট শাপলা ক্লাবের রাব্বী। তাকে টুর্নামেন্টের পক্ষ থেকে টি শার্ট উপহার দেওয়া হয়। এছাড়া দুটি গোল করায় বাওট শাপলা ক্লাবের অধিনায়ক সেলিম রেজাকে লালন শাহ বালি ভান্ডারের পক্ষ থেকে টি শার্ট উপহার দেওয়া হয়।

ম্যান অব দি ম্যাচ রাব্বীর হাতে সেরা খেলোয়াড়ের পুরুস্কার তুলে দেন প্রাক্তন খেলোয়াড় আনিছুর রহমান ভল্টু।

এসময় মেহেরপুর ফুটবল টুর্নামেন্টের আহবায়ক সাবেক কৃতি ফুটবলার এমদাদুল হক, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, মেহেরপুর ফুটবল টুর্নামেন্টের আহবায়ক কমিটির সদস্য সচিব মাহাবুব চান্দু, খেলা পরিচালনা কমিটির নির্বাহী সদস্য, হাসানুজ্জামান বাবু, শামীম জাহাঙ্গীর সেন্টু, জাহাঙ্গীর আলম, শামসুজ্জামান শামীম, মাহাবুব হাসান ডালিম ।

রেফারি হিসেবে মাঠে খেলা পরিচালনা করেন মুজিবনগরের সোহেল রানা। তাকে সহযোগীতা করেন গাংনীর আব্বাছ উদ্দীন ও মাহাবুব। চতুর্থ রেফারি হিসেবে ছিলেন টুটুল রহমান। খেলার ধারাভাষ্যে ছিলেন আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন। উত্তেজনাপূর্ণ খেলাটি দেখতে এলাকার ফুটবল প্রেমি দর্শকরা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ১৩ জুন একই মাঠে দ্বিতীয় রাউন্ডের প্রথম খেলায় রামদেবপুর ফ্রেণ্ডস ক্লাব বনাম ফার্স্ট ক্যাপিটাল অব বাংলাদেশ (এফসিবি) খেলা শুরু হবে।




মেহেরপুরে এজাজ হোটেল থেকে অর্ধগলিত গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার

মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার এলাকার অনুমোদনহীন একটি আবাসিক হোটেল থেকে আব্দুর রহমান (৫৫) নামের একজনের গলাকাটা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আব্দুর রহমান মেহেরপুর সদর উপজেলার ভারতীয় সীমান্তবর্তি শোলমারী গ্রামের আব্দুর রহিমের ছেলে। সে পেশায় একজন বিদ্যুৎচালিত ইজিবাইক চালক।

আজ রবিবার বিকাল সাড়ে ৫ টার সময় শহরের আবাসিক হোটেল “এজাজ প্লাজা’র চতুর্থ তলার ৪০২ নং কক্ষ থেকে তার গলা কাটা অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করা হয়। দূর্বৃত্তরা তাকে হাত পা বেঁধে গলা কেটে হত্যা করেছে।
নিহত আব্দুর রহমানের ভাগ্নে আনোয়ার হোসেন তার লাশ সনাক্ত করেন।

নিহতের স্ত্রী রেহানা খাতুন বলেন, গত শুক্রবার রাতে  ভাত খেতে বসেছিল। এসময় তাকে কে বা কারা ফোনে ডাক দেই। সে ভাত রেখে তাদের সাথে চলে আসে। তারপর থেকে নিখোঁজ রয়েছে। আমরা তাকে খুজতে বিভিন্ন স্থানে সন্ধান করি। আজকে বিভিন্ন মারফতে আমরা জানতে পারি হোটেল এজাজে একটি লাশ আছে। আমরা এসেই মরদেহ দেখেছি।

কুতুবপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য (মেম্বর) গোলাম মোর্তুজা মতু পারিবারিক সূত্রের বরাত দিয়ে বলেন, আমাদের এলাকার একজন ভাল মানুষ হিসেবে আব্দুর রহমান পরিচিত। তার বিরুদ্ধে কেউ কখনো কোনো অভিযোগ দেখাতে পারবেনা। শুক্রবার পার্শ্ববর্তি উজুলপুর গ্রামের আলমগীর হোসেনের ছেলে নাহিদ হোসেন চুয়াডাঙ্গা যাওয়ার জন্য মোবাইল ফোনে ডেকে নেন আব্দুর রহমানকে। তারপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন আব্দুর রহমান।

গলাকাটা লাশ উদ্ধারের ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, হোটেল এজাজের ৪০২ নং কক্ষ থেকে অর্ধগলিত গলাকাটা মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। কেনো কি কারনে এই হত্যাকান্ড এখনি বলা সম্ভব নয়। তবে হোটেল এজাজ প্লাজার মালিক ঝন্টু মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রাথমিকভাবে থানায় নেওয়া হয়েছে।

জানা গেছে, হোটেল এজাজ প্লাজা আবাসিক হোটেল চালানোর জন্য বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। এখানে একজন ম্যানেজারও নেই। পাঁচ তলা ভবনের এই অবৈধ হোটেলটিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিতে সিসি ক্যামেরাও নেই। হোটেল মালিক অবৈধভাবে দীর্ঘদিন যাবৎ এই হোটেলটি চালিয়ে আসলেও প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো নজরদারি রাখা হয়নি।

স্থানীয়রা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, হোটেল বাজার এলাকায় একটি অটো চালকের গ্রুপ তৈরী হয়েছে। তারা অটো চালানোর আড়ালে হেরোইন বিক্রি করে আসছে। শুধু হোটেল বাজার এলাকায় নয়, ডিসি কোর্টের সামনে তাদের অবস্থান। মুজিবনগর রাস্তায় অটো চালিয়ে থাকেন। দুই তিন দিন তাদের দেখা যাচ্ছে না বলে জানান তিনি।

মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি), সিআইডি পুলিশ সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে আলামত সংগ্রহ করেন।

এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল মর্গে নেওয়া হয়েছে।




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে ৭ আসামি গ্রেফতার

মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৭ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।
এদের মধ্যে
আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর মামলায় ২ ও সিআর মামলায় ২ জন আসামি গ্রেফতার হয়েছে। এছাড়া মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর মামলায় ৩ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।
মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ও মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের পৃথক টিম অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেপতার করেন।
গ্রেফতারকৃতদের আজ রবিবার (১১ জুন) দুপুরের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




১০ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আসামি গ্রেফতার

মেহেরপুরে ১০ মাসের সাজাপ্রাপ্ত আদালতের পরোয়ানাভূক্ত সিআর মামলার আসামি জালাল আহম্মেদকে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত জালাল আহম্মেদ সদর উপজেলার ইসলামনগর গ্রামের আব্দুল গনির ছেলে।

শনিবার দিবাগত মধ্য রাতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন পুলিশ।

আদালতের পরোয়ানাভূক্ত সিআর ৩৪/১৯ নং মামলায় আদালত তাকে ১০ মাসের সাজা দিয়েছেন। তারপর থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছিলেন তিনি। গ্রেফতারকৃত জালাল আহম্মেদকে আজ রবিবার দুপুরের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




মেহেরপুরে ৫ গ্রাম হেরোইনসহ ২ মাদক কারবারী গ্রেফতার

৫ গ্রাম হেরোইনসহ দুই মাদক কারবারীকে আটক করেছে মেহেরপুরের বারাদী ক্যাম্পের একদল পুলিশ।

আটকরা হলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার কুলপালা গ্রামের ইহান নবীর ছেলে ইজহারুল ইসলাম (৩৮) ও একই গ্রামের হান্নান খানের ছেলে বকুল হোসেন (৪৮)।

আজ রবিবার (১১ জুন) বেলা ১২ টার দিকে বারাদী বাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।

মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

হেরোইন উদ্ধারের ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মেহেরপুর সদর থানায় মামলা দিয়ে আটককৃতদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




মেহেরপুর জেলা আইনশৃংখলা বিষয়ক মাসিক মিটিং অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর জেলার মাসিক আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভা রবিবার সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাসিক আইনশৃংখলা বিষয়ক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

এসময় বক্তব্য রাখেন পুলিশ সুপার মোঃ রাফিউল আলম, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মহা: আব্দুস সালাম, সিভিল সার্জন ডাঃ জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিক, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাস, মেহেরপুর জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এম এ খালেক, চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি’র অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সৈয়দ জাহিদুর রহমান পিএসসি, মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, গাংনী পৌরসভার মেয়র আহমেদ আলী, মেহেরপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শফিউল আলম সরকার, সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রফিকুল ইসলাম, মেহেরপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর পিপি অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য।