সর্বোচ্চ গোলদাতাকে রেখে সাফে গেল বাংলাদেশ

দেশের ফুটবলে স্ট্রাইকার সংকট। বিদেশি স্ট্রাইকারদের ভিড়ে দেশিরা যোজন যোজন দূরে পড়ে আছে। দেশের জার্সি গায়ে আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে গিয়ে স্ট্রাইকার সংকটের কথা বারবার উঠে আসে। তারপরও এবার কোনোভাবেই ফুটবলে স্ট্রাইকার সংকট দূর করার কোনো উদ্যোগ নেই। একই সমস্যা ভারতে। তারাও বিদেশি স্ট্রাইকার নির্ভর। আর এ কারণে ভারত তাদের রাজ্যে ফুটবলে বিদেশি স্ট্রাইকার নিষেধ করে দিয়েছে।

বাংলাদেশে সে ধরনের কোনো উদ্যোগ না থাকলেও দেশীয় স্ট্রাইকাররা নিজেরাই ক্লাব লিগে জায়গা করে নিতে পারছেন না। আর জাতীয় দলের খেলা হলে বেঞ্চে বসা স্ট্রাইকারদের কদর বেড়ে যায়। এরমধ্যে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব পাওয়া নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার এলিটা কিংসলে ভালো করলেও তিনি সাফে খেলতে পারলেন না। অথচ লিগে কিংসলে সবচেয়ে বেশি গোল করে দেশি ফুটবলারদের দৌড়ে এগিয়ে রয়েছেন। ১২ ম্যাচে ৯ গোল করেছেন তিনি। আর যিনি গোলই করেননি বেঞ্চ বসে সময় কাটিয়েছেন তিনি সাফে খেলতে গেছেন।

নরসিংদীর মেয়েকে বিয়ে করে এলিটা বাংলাদেশি নাগরিত্ব নিয়েছিলেন। স্বপ্ন ছিল বাংলাদেশের জার্সি গায়ে খেলবেন। আগের সাফে ডাক পেয়েও খেলতে পারেননি তিনি। আর এ বছর সিশেলসের বিপক্ষে দলে ছিলেন। সেই থেকেই সাফ নিয়ে এলিটার মধ্যে একটা স্বপ্ন এঁকে ছিলেন তিনি। বাংলাদেশ বারবার সাফে ব্যর্থ হচ্ছে। এই দগদগে ঘা এলিটাকেও পোড়ায়। ভালো স্ট্রাইকার না থাকায় গোলের সুযোগ কাজে লাগাতে না পারার গল্প অনেক রয়েছে।

দেশের স্ট্রাইকারদের তুলনায় এলিটা শারীরিক সামর্থ্যের দিকে অনেক বেশি এগিয়ে। শক্তি কিংবা উচ্চতায় সবার চেয়ে এগিয়ে থাকবেন। লিগ ম্যাচে এলিটাকে ছাড়িয়েও যেতে পারেননি দেশি স্ট্রাইকাররা। লিগে স্ট্রাইকার সুমন রেজার গোল নেই বললেই চলে। কিংসের জার্সি গায়ে কত ম্যাচ খেলেছেন সেটাও একটা প্রশ্ন। বেঞ্চে বসে বসে সময় কাটাতে হয়েছে। তবুও এলিটা কিংসলের চেয়ে এগিয়ে থাকলেন সুমন রেজা।

প্রিমিয়ার লিগে ১৪ জন ফুটবলার শীর্ষ গোলদাতার তালিকায় রয়েছেন। এর মধ্যে বাংলাদেশি স্ট্রাইকারের নাম নেই। সবই বিদেশি। এই তালিকায় ৮ নম্বরে এলিটা। বাংলাদেশিদের মধ্যে এলিটাই এখন সর্বোচ্চ গোলদাতা।

২০০৩ সালে শেষবার সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে ট্রফি জয়ী বাংলাদেশ আর কখনো সাফ না পাওয়ার কষ্টে আছে। এখন দেশের ফুটবল নিয়ে সমালোচনা হয়। এলিটা মনে করছেন সাফ পেলে সব সমালোচনা বন্ধ হয়ে যেত। সিশেলসের ম্যাচ থেকেই সেই পরিকল্পনায় ছিলেন এলিটা। দেশকে ট্রফি দেওয়ার বিষয়ে দলের মধ্যে সবাই একটা পরিকল্পনা করেছিলেন। বিশেষ করে অধিনায়ক জামাল ভুঁইয়া, তপু বর্মন, তারিক কাজীসহ একাধিক ফুটবলারদের মধ্যে একটা ঐক্য গড়ে উঠেছিল। ক্যাম্পে এক সঙ্গে খাওয়া-দাওয়া, টেবিলে বসা।

ক্যাম্পে যখন যে অবস্থায় থাকুক দলের এই সব ফুটবলাররা সামনের লাইনে দাঁড়িয়ে অন্যদেরকে উজ্জীবিত করার মানসিকতায় কাজ করেছেন। নিজেকে ঢেলে দিতে পরিবারের চেয়ে দল নিয়ে ভাবনটা বেশি-ই করেছেন এলিটা। দেশ নিয়ে এমন উত্তেজনায় থাকা এলিটা কিংসলেকে ছুড়ে ফেলে দিলেন স্প্যানিশ কোচ হ্যাভিয়ের কাবরেরা। সর্বোচ্চ গোলদাতাকে রেখে সাফে গেল বাংলাদেশ। যেকোনো বিচারে এলিটা কিংসলেকে দলে রাখা যেত। যেখানে অন্যান্য দল সর্বশক্তি নিয়ে মাঠে নামার প্রস্তুতিতে রয়েছে সেখানে স্ট্রাইকিং পজিশনের ভালো অস্ত্রটাকে রেখে সাফ-যুদ্ধের ময়দানে লড়াই করতে ভারতে যাওয়ার আগে গতকাল বাংলাদেশ দল কম্বোডিয়ায় পৌছেছে প্রীতি ম্যাচ খেলতে।

কেন কোচের এমন সিদ্ধান্ত? প্রশ্ন তোলা হয়েছিল এলিটা কিংসলের কাছে। এলিটা তখন বসুন্ধরা এলাকার বাসায়। সেখানে গিয়ে খুঁজে বের করা হলো। কোনো অভিমান নেই। কথায় স্পষ্ট। বললেন, ‘আমি বাদ এটা কোচের সিদ্ধান্ত। উনি যেটা ভালো মনে করেছেন সেটাই করেছেন। আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছেন কোচের প্রতি এবং কোচের সিদ্ধান্তের প্রতি। আমি কেন বাদ পড়লাম সেটা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই। এটা কোচের বিষয় এবং টিম ম্যানেজম্যান্টের বিষয়। এ ব্যপারে আমার কোনো মন্তব্য নেই।’

এলিটা অভিমান করতে পারেননি। তবে তার সঙ্গে যারা কাজ করে আসছিলেন তারা সবাই জানেন এই সাফের জন্য এলিটা মুখিয়ে ছিলেন। দেশকে আনন্দে ভাসাতে চেয়েছিলেন। নিজের সামর্থ্যের সবটুকু নিংড়ে দিতে অনেক পরিশ্রম করছেন। ট্রফি জিতবে কি জিতবে না সেটা ভাগ্যের ওপর। তবে চেষ্টার কোথাও যেন ছিদ্র না থাকে সেদিকটা মাথায় রেখে জাতীয় দলের ক্যাম্পে থাকাকালীন কিংবা ক্যাম্পের বাইরেও সবার সঙ্গে থেকে উজ্জীবিত হওয়া, উজ্জীবিত থাকার একটা অপ্রাণ চেষ্ট ছিল।




চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সাপ্তাহিক মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্স প্যারেড গ্রাউন্ডে রবিবার সকাল নয়টার সময় জেলার সকল ইউনিট ইনচার্জ ও অফিসার ফোর্সদের অংশগ্রহণে সাপ্তাহিক মাস্টার প্যারেড অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন অভিবাদন মঞ্চ থেকে সালামি গ্রহণ শেষে প্যারেড পরিদর্শন করেন। প্যারেড অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের সহকারি পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিশ) এইচ.এম গোলাম রাব্বি। এ সময় পুলিশ সুপার প্যারেডে অংশগ্রহণকারী অফিসার ফোর্সদের শারীরিক ফিটনেস ও টার্ন আউটের উপর ভিত্তি করে জিএস (গুড সার্ভিসেস) মার্ক প্রদান করেন।

পুলিশ সুপার প্যারেড পরিদর্শনান্তে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন এবং জেলা পুলিশের সকল সদস্যের উদ্দেশ্যে আইজিপি রেঞ্জ ডিআইজি প্রদত্ত নির্দেশনার আলোকে বক্তব্য প্রদান করেন।

উক্ত সাপ্তাহিক মাস্টার প্যারেডে আরো উপস্থিত ছিলেন , অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আবু তারেক , সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, ডিআইও-(১), সকল অফিসার ইনচার্জগণ, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, টিআই (প্রশাসন), আরআই, পুলিশ লাইন্সসহ চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল থানা, ফাঁড়ি, তদন্তকেন্দ্র ও পুলিশ ক্যাম্পের অফিসার ও ফোর্সবৃন্দ।




দর্শনায় কৃষি উদ্যেক্তা পুরস্কার বিতরণ

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা সেরা কৃষি উদ্যেক্তার পুরস্কার বিতরনী অনুষ্টান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার বিকাল ৪ টার দিকে দর্শনা ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উদ্যেগে দর্শনা ট্রেড টেনিং সেন্টারে চত্বরে পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানিত হয়।

অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলায় তিনটি ক্যাটাগেরিতে ১০ জন কৃষি উদ্যেক্তাকে নগদ টাকা ও সম্মাননা পুরস্কার হাতে তুলে দেন অতিথী বৃন্দ।

পুরস্কার বিতরনী অনুষ্ঠানে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহি পরিচালক মহাসিন আলির সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন এক্সিকিউটিভ ভাইস চেয়ারম্যান, মাইক্রোক্রেডিট আরএ মো: ফসিউল্লাহ, চুয়াডাঙ্গা জেলা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক নাজমুল হামিদ রেজা, অবসর প্রাপ্ত যুগ্মসচিব ও উপদেষ্টা এএফএম ফারুক হোসেন, দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলী মুনছুর বাবু, দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহি অফিসার রোকসানা মিতা, দর্শনা পৌর মেয়র মোঃ আতিয়ার রহমান হাবু, দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার মনিরুজ্জামান, মাইক্রোক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটি পরিচালক প্রশাসন ও মানবসম্পদ শাখা মো: নুরে আলম মেহেদী, উপ পরিচালক অনসাইট মো: মিজানুর রহমান, সিনিয়র সহকারী পরিচালক পিএসটু ইভিসি সৈয়দ আশিক ইমতিয়াজ, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপনির্বহি পরিচালক নাসিফা আলী, পরিচালক আমিরুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উপ- পরিচালক নাজমা সুলতানা লিপি ও সহকারী পরিচালক কিতাব আলী।।প্রতিষ্ঠাতা ও নির্বাহী পরিচালক, ওয়েভ ফাউন্ডেশন আবু সালেহ মোঃ শহীদ প্রকল্প সমন্বয়কারী, জহির রায়হান উপ-পরিচালক আব্দুস সালাম, সিনিয়র সমন্বয়কারী আব্দুল আলীম সজল, সিনিয়র প্রোগ্রাম অফিসার আনিছুর রহমান, সিনিয়র সমন্বয়কারী আমিরুল ইসলাম পরিচালক, অর্থ ও হিসাব ফারহানা সুলতানা মুক্তা।




বৃহৎ গুদাম নির্মাণ হলে অন্যের প্রতি নির্ভরতা কমবে

মেহেরপুর সদর উপজেলার বারাদীতে বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশন (বিএডিসি) এর ৪ হাজার মেঃ টন ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন পিএফজি সার গুদামের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা হয়েছে।

গতকাল শনিবার সকালে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সার গুদামের নির্মাণ কাজের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের উদ্বোধন করেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে ঢাকা বিএডিসি’র চেয়ারম্যান (গ্রেড-১) এনডিসি আব্দুল্লাহ সাজ্জাদ, সদস্য পরিচালক (সার ব্যবস্থাপনা) মো: আব্দুস সামাদ, সদস্য পরিচালক (বীজ ও উদ্যান) মো. মোস্তাফিজুর রহামান, সচিব মো: আশরাফুজ্জামান, প্রকল্প পরিচালক (সার ব্যববস্থাপনা) মজিবর রহমান সবুজ, মেহেরপুর পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, মেহেরপুর বিএডিসি’র উপপরিচালক শঙ্কর কুমার মজুমদার, কেএম মনিরুজ্জামান, মিনহাজ উদ্দীন আহমেদ চৌধুরী সহ অন্যান্য অতিথিবৃন্দ ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি বলেন, মেহেরপুর ধান, গম, ভুট্টা, পাট সহ হরেক রকম সব্জি উৎপাদনে প্রসিদ্ধ একটি জেলা। এই জেলার ৪ হাজার মেট্রিক টন ধারণ ক্ষমতা সম্পন্ন এই বৃহৎ সার গুদামটি নির্মিত হলে আমাদের কৃষকদের আর অন্য জেলার উপর নির্ভর করতে হবেনা। বরং নিজ এলাকার চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী জেলার চাহিদা মেটানো সম্ভব হবে। তিনি বলেন— কৃষক ফসলের নায্য মূল্য পাচ্ছে, উৎপাদন বেড়েছে, পণ্য বাজারজাতকরণে হয়রানি কমেছে তাই কৃষক ফসল চাষ করে এখন লাভবান হচ্ছেন। কৃষক ভালো আছেন। বর্তমান সরকার কৃষি ও কৃষককে বাঁচাতে বহুমুখী পরিকল্পনা ও প্রকল্প নিয়ে কাজ শুরু করেছে।




দর্শনার প্রয়াত শিক্ষক তোফাজ্জেল মাস্টারের দোয়া ও মিলাদ মাহফিল

আজ শনিবার দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভপতি ও বাংলাদেশ টেলিভিশনের লোকসংগীত শিল্পী মনিরুজ্জামান ধীরু বাউলের বাবা প্রয়াত অবঃ প্রধান শিক্ষক মরহুম তোফাজ্জেল হোসেন মাস্টারের আত্ত্বার শান্তি কামনায় দর্শনা আকন্দবাড়িয়ার নিজ বাড়িতে এক দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দর্শনা ঈশ্বরচন্দ্রপুর জামে মসজিদের সাবেক ঈমাম মনজুর রহমান ও আকন্দবাড়িয়া মাঝপাড়া জামে মসজিদের পেশ ঈমাম মাওঃ হাফেজকারি মারুপ বিল্লাহ যৌথভাবে প্রয়াত শিক্ষক তোফাজ্জেল হোসেনের দীর্ঘ ও কর্মময় জীবন বৃতান্ত নিয়ে আলোচনা করারপর দোয়ার অনুস্ঠান সম্পন্ন করেন।

এ দোয়া ও মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন, দর্শনা পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু, জাসদ নেতা আনোয়ারুল ইসলাম বাবু, দর্শনা সরকারি কলেজের সাবেক উপাধ্যাক্ষ মোশারফ হোসেন, আওয়ামীলী নেতা হাজী এরশাদ আলি মাস্টার, হাজী আঃ সামাদ,হাজী আলাউদ্দিন, আওয়ামীলীগ সভাপতি আবুল কাসেম,আতিয়ার রহমান, কেরুজ শ্রমিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি মোঃ তৈয়ব আলি, ওদুদ শাহ কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মিজানুর রহমান,দর্শনা প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক হানিফ মন্ডল, সাংবাদিক হাসমত আলি ,যুবলীগ নেতা সাইফুল ইসলাম, আশরাফুজ্জামান বেল্টু, খালিদ হাসান মিঠু,রফিকুল ইসলাম সহ এ অন্চলের গণ্যমান্য ব্যাক্তি ও মুরব্বীগন উপস্হিত ছিলেন।




ঝিনাইদহে জাসদ ছাত্রলীগের সাবেক নেতৃবৃন্দের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠান

বাংলাদেশ ছাত্রলীগ (জাসদ) ঝিনাইদহ জেলার বিভিন্ন স্তরের (১৯৭২-১৯৯১) সাবেক নেতৃবৃন্দের পুনর্মিলনী ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল থেকে দিনব্যাপী ঝিনাইদহ আইনজীবী সমিতির কার্যালয়ে এই সভা ও স্মৃতি চারণ অনুষ্ঠিত হয়।

সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও জাসদের স্থায়ী কমটির সদস্য মনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাবেক ছাত্রনেতা ফজলুর রহমান খুররম এর সঞ্চালনায় এই আলোচনা ও স্মৃতি চারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

পুনর্মিলনী সভায় জেলা ছাত্রলীগ ও জাসদের সাবেক নেতা এপিপি এ্যাড.ইসমাইল হোসেন, এ্যাড.এ কে এম মনোয়ারুল হক লাল, এ্যাড. সাদাতুর রহমান হাদী, মনিরুজ্জামান জামান, মনিরুল ইসলাম, সাবেক কাউন্সিলর মাহবুবুর রহমান শেখর, এ্যাড. আসাদুজ্জামান, চন্দন চক্রবর্তী, শামীম আখতার বাবু, মনিরুজ্জামান মানিক, শাহানুর আলম, শরাফত হোসেনসহ অন্যান্য সাবেক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন।

বক্তারা বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক নেতা জাসদের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা তাত্বিক নেতা সদ্য প্রয়াত সিরাজুল আলম খানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে ছাত্রলীগের অতীত ঐতিহ্য ও বিভিন্ন আন্দলোন সংগ্রামে তাদের জীবনের সুখ-দুঃখময় ও জয় পরাজয়ের স্মৃতি তুলে ধরে আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন।

১৯৭২ থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত যে সকল নেতারা জেলা শাখার নেতৃত্ব দিয়েছেন তাদের পুরাতন স্মৃতি রমন্থন করেন। আলোচনা শেষে মধ্যাহ্ন ভোজ ও আড্ডার মধ্যদিয়ে দিবসের কর্মসূচী শেষ করা হয়।




কোটচাঁদপুরে আম গাছ থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু

কোটচাঁদপুরে আম গাছ থেকে পড়ে এক যুবকের মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুর পৌরসভাধীন বড়বামনদহ গ্রামের।

জানা যায়, শনিবার সকালে বড়বামনদহ গ্রামের বকুল মিয়ার আম বাগানে আম ভাংছিল। ওই সময় সে গাছের ডাল ভেংঙ্গে পড়ে যায়। এ সময় স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তাকে দেখে মৃত বলে ঘোষণা দেন।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক তারুনী পাশা বলেন,মৃত অবস্থায় তাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন,তাঁর স্বজনরা। পরে তাকে দেখে স্বজনদের কাছে মৃত দেহ হস্তান্তর করা হয়েছে।

কোটচাঁদপুর মডেল থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বলেন, এখনো পর্যন্ত এ ধরনের ঘটনা নিয়ে কেউ কোন অভিযোগ করেনি।




ঢাকায় নিয়োগ দেবে এসিআই মটরস

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এসিআই মটরস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

এক্সিকিউটিভ – সাপ্লাই চেইন , ইয়ামাহা মটরসাইকেল।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে যেকানো বিষযে স্নাতক পাস হতে হবে। বয়স ২২ থেকে ৩৫ বছর।

কর্মস্থল

ঢাকা।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

১৫ জুন, ২০২৩।

সূত্র: বিডিজবস।




জীবননগরে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ 

চুয়াডাঙ্গা-জীবননগরে বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও শ্রেষ্ঠ সন্তান সম্মাননা প্রদান করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল ১০টার সময় জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন প্রবীণ কমিটি ও ওয়েভ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে শাখারিয়া সীমান্ত ইউনিয়ন প্রবীন কেন্দ্রে এ পুরস্কার বিতরণ ও সম্মননা প্রদান করা হয়।

সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ ইসাবুল ইসলাম মিল্টনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার ও সম্মননান তুলেদেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি মোঃ নাসির উদ্দিন মৃধা,জীবননগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আর বাবু, সীমান্ত ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি হাজী আব্দুল মালেক মোল্লা, সীমান্ত ইউনিয়ন প্রবীণ কমিটির সমিতি শাজাহান আলী, সাধারন সম্পাদক মোঃ আজিজুল হক প্রমুখ।

উক্ত অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা মোঃ রবিউল ইসলাম বকুল হোসেন ও সাজ্জাদ হোসেন ।




ওটিটি প্ল্যাটফর্মে কিছু নিয়ম চালু প্রয়োজন: প্রসেনজিৎ

প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়। সিনেমার দুনিয়ায় এক নামেই তাঁকে সকলে চেনেন। টলিপাড়া বলে তিনিই ‘ইন্ডাস্ট্রি’। সেই সিনেমার দুনিয়ার মানুষ প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় সম্প্রতি পা রেখেছেন ওটিটির পর্দাতেও। সেখানেও নিজের জাত চিনিয়েছেন এই অভিনেতা।

সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় বলেন, বর্তমানে গল্প বলার একটা দারুণ মাধ্যম ওটিটি। এই মাধ্যমে এখন প্যান ইন্ডিয়া মানের গল্প উঠে আসছে। এটা সমস্ত পরিচালকের কাছেই একটা দারুণ সুযোগ। এখানে এখন আর শুধুই যৌনতা আর হিংসা দেখানো হচ্ছে না। ওটিটিতে আজকাল বড় বড় প্রোজেক্টও হচ্ছে। তবে ওটিটির জন্য বিশেষ কিছু নিয়ম জারি করা প্রয়োজন।

তিনি বলেন, ভারতে এখন বহু সিনেমা, সিরিজ, শো তৈরি হচ্ছে। শুধুই হিন্দি, বাংলা, পাঞ্জাবি, তামিল, তেলুগু বা মারাঠি নয়, সর্বভারতীয় স্তরে কাজ হচ্ছে। আমি হয়ত মুম্বাই কিংবা পঞ্জাবে বসে কাজ করছি, অথচ আমার অভিনীত সিরিজ, সিনেমা গোটা দেশ দেখতে পাচ্ছে। এমন অনেক গল্প আছে যেগুলো সিনেমায় পুরোটা, ঠিকভাবে বলা হয়ে ওঠে না। সেক্ষেত্রে ওটিটি একটা দুর্দান্ত প্ল্যাটফর্ম। এটা এমন একটা মাধ্যম, যেটা আজ হচ্ছে, চাইলে কেউ সেটা ২০ বছর পরও দেখতে পাবেন।

বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানের ‘জুবিলি’ ও হানসাল মেহতার ‘স্কুপ’, দুটিই তুলনামূলক ভারী বিষয়বস্তু নিয়ে তৈরি ওয়েব সিরিজ। যেখানে প্রশংসিত হয়েছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের অভিনয়। পাশাপাশি ওয়েব সিরিজের দুটিও প্রশংসিত হয়েছে।

সূত্র: ইত্তেফাক