মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার -৭

মেহেরপুর সদর ও গাংনী থানা পুলিশের নিয়মিত ১২ ঘন্টার অভিযানে নিয়মিত মামলা ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ৭ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।
এদের মধ্যে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের অভিযানে মাদক মামলায় ২ আসামি ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর মামলায় ১ ও সিআর মামলায় ১ জন, গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে নিয়মিত ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ৩ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে এই দুটি থানার বিভিন্ন গ্রামে পুলিশের পৃথক অভিযানে এসব আসামি গ্রেফতার হয়।
পুলিশ সুপার মো: রাফিউল আলমের নির্দেশে গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন।
সংশ্লিষ্ট থানাগুলোর ডিউটি রুম থেকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতদের আজ শনিবার (১০ জুন) আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




মেহেরপুরে র‌্যাবের উপর হামলা: ৪ নং আসামি ভূট্টো গ্রেফতার

র‌্যাবের উপর হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার এজাহারভূক্ত ৪ নং আসামি মন্টু ওরফে ভূট্টো মন্ডল (৩২)কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-১২ এর একটি দল।
গ্রেফতাকৃত ভূট্টো মন্ডল গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামের আমিন মন্ডলের ছেলে।
শুক্রবার দিবাগত রাতে র‌্যাবের একটি টিম গোপন সংবাদে খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার আলমডাঙ্গা উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের রাকিবুল ইসলাম নামের এক ব্যক্তির বাড়িতে অভিযান চালিয়ে ভূট্টো মন্ডলকে গ্রেফতার করে।
গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামে মাদক ব্যবসায়ীদের হামলায় র‌্যাবের উপপরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার রায়কে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। এঘটনায় ওই দিনই গুলিবিদ্ধ অবস্থায় আনোয়ার হোসেন সুইট নামে একজনকে গ্রেফতার করেন। র‌্যাব সদস্য আহত হওয়ার ঘটনার মামলার ৪নং আসামীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এনিয়ে এই মামলার ২ আসামি গ্রেফতার হলো।
র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) সিপিসি মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডার সহকারী পুলিশ সুপার গোলাম ফারুক বলেন, র‌্যাবের উপর হামলা করার পরপরই পলাতক ছিল আসামি ভূট্টো। তার লোকেশন সঠিক করেই অপরাশেন চালানো হয়।
গ্রেফতার ভূট্টোকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




ব্যবহারকারীর অবস্থানও শনাক্ত করবে গুগলের ‘বার্ড’ চ্যাটবট

গত মার্চ মাসে বার্ড (বিএআরডি) নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত চ্যাটবট উন্মুক্ত করে গুগল। মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের তৈরি চ্যাটজিপিটির সঙ্গে পাল্লা দিতে এবার বার্ড-এ ব্যবহারকারীদের অবস্থান শনাক্তের সুবিধা যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে গুগল। এ সুবিধা চালু হলে ব্যবহারকারীদের অবস্থান বুঝে সহায়ক বিভিন্ন উত্তর দিতে পারবে চ্যাটবটটি।

জানা গেছে, অবস্থান শনাক্তকরণ সুবিধা চালু হলে কোনো প্রশ্ন করলেই প্রথমে ব্যবহারকারীর অবস্থান শনাক্ত করবে বার্ড। এরপর ব্যবহারকারীর দেশ, স্থানীয় তথ্য ও সামাজিক অবস্থান বিবেচনা করে প্রাসঙ্গিক ফলাফল জানাবে। ফলে বর্তমানের তুলনায় চ্যাটবটটির মাধ্যমে আরও ভালো উত্তর পাওয়া যাবে।

গুগলের তথ্যমতে, নতুন এ সুবিধা চালু হলে ব্যবহারকারীর আশপাশের রেস্তোরাঁ এবং বাণিজ্যিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তথ্যও জানাতে পারবে বার্ড চ্যাটবট। ফলে ব্যবহারকারীদের পাশাপাশি বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানগুলোও উপকৃত হবে। শুধু তা–ই নয়, বিভিন্ন প্রশ্নের প্রাসঙ্গিক ফলাফলও জানাতে পারবে।

গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি এলএএমডিএ (ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ফর ডায়ালগ অ্যাপ্লিকেশনস) কাজে লাগিয়ে তৈরি বার্ড চ্যাটবটটিতে এরই মধ্যে অবস্থান শনাক্তের সুবিধার কার্যকারিতা পরীক্ষা করে দেখছে গুগল। বেটা সংস্করণ ব্যবহারকারীরা চ্যাটবটটিতে প্রবেশ করলেই একটি বার্তা দেখতে পারছেন। বার্তায় বলা হয়েছে, ‘আরও প্রাসঙ্গিক প্রতিক্রিয়া পেতে, আপনি বার্ডকে আপনার যন্ত্রের সুনির্দিষ্ট অবস্থান ব্যবহারের অনুমতি দিতে পারেন।’

সূত্র: গ্যাজেটস নাউ




খরচের চাপে দিশাহারা

নিত্য প্রয়োজনীয়সহ সবকিছুর চরম মূল্যবৃদ্ধিতে আয়ের সাথে ব্যয় মেটাতে কাহিল হয়ে পড়ছে এক শ্রেণির মানুষ। মধ্যবিত্ত পরিবারগুলোকেও নিরব অভাব কুরে কুরে খাচ্ছে। লোক লাজ ভুলে বাধ্য হয়ে প্রকৃতি থেকে তরকারীর খোঁজে মাঠ ঘাটে আনুসন্ধান করছে তারা। কারণ আয়ের সাথে তারা তাল মেলাতে পারছেনা।

এ কারণে চাহিদা অনুযায়ী সবজি কিনতে পারছেন না। যার ফলে ঝোপঝাড়ে অযত্নে-অবহেলায় বেড়ে ওঠা বিভিন্ন জাতের ‘বুনো শাক-সবজি’র দিকে ঝুঁকে পড়েছেন তারা। এতদিন দরিদ্র মানুষদের কাছে সবচেয়ে বেশি চাহিদা ছিলো ‘বুনো কচু শাক, সজিনার পাতা’ নটে শাক, কাটা নটে শাক। এখন মধ্যবিত্ত, উচ্চ মধ্যবিত্ত পরিবারেও টান পড়েছে সংসার চালাতে। বাধ্য হয়ে উচ্চ মধ্যবিত্তরাও বন বাদাড়ের বুনো শাক খেতে বাধ্য হচ্ছে।

জেলা শহরের পৌর কলেজ পাড়ার সামসুল হক (প্রকৃত নাম না) মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান। একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কাজ করেন। তিনি যে বেতন পান তা দিয়ে সংসার চালাতে কাহিল হয়ে পড়ছেন। বাড়ির নিকটে একটি ডোবার পাড়ে অবহেলা অযত্নে বেড়ে ওঠা কচু শাক তুলতে দেখা যায় তাকে। সে তার নাম উল্লেখ করে প্রতিবেদন না লেখার অনুরোধ জানিয়ে বলেন- যে বেতন আসে তাতে মাসে একদিনও মাংস কিনতে পারিনা। বাধ্য হয়েই বুনো শাক তুলছেন। তারমতো অনেক পরিবারই বিদ্যমান পরিস্থিতি মোকাবিলায় কিছু খেয়ে বাঁচার জন্য নানাভাবে চেষ্টা করছেন। বেতনের টাকায় মিলছে না সবজি বা মাছ, মাংস। তরকারির চাহিদা মেটাতে তাই তারা ঝোপঝাড় বা বসতবাড়ির আশেপাশে অনাদরে-অবহেলায় বেড়ে ওঠে ঢেঁকি শাক, কলার থোর, কচু শাকসহ প্রকৃৃতিকেই বেছে নিয়েছেন। কারণ, এসব শাক-সবজি টাকা দিয়ে কিনতে হয় না তাদের। তাছাড়া বাজারে এই বুনো শাকেরও এখন দাম বেড়েছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মেহেরপুরে কর্মরত সরকারি এক ২য় শ্রেণির কর্মকর্তা জানান- মাসে যে বেতন পান তাতে বাড়ি ভাড়া দিয়ে ৪ সদস্যর সংসার কুড়িদিনের বেশি চলছেনা। বিপথগামিও হতে পারেননা। ১ হাজার টাকা কেজি মাংস খাওয়ার স্বপ্নও এখন ওই পরিবারে অধরা। তিনি জানান দুটি ডিম ভাগ করে চারজনকে খেতে হয়। আগে মোবাইলে নিকটজনদের সাথে যোগাযোগ রাখতেন, এখন যোগাযোগ রাখাতে পারেন না। আগে সকালে বাজার করতেন, এখন শহরের সাপ্তাহিক হাট থেকে সন্ধ্যার দিকে কম দামের সবজি কেনেন। মাঝে মাঝে পরিবার নিয়ে রিক্সায় ঘুরতেন। এখন আর ঘোরেন না।

মেহেরপুর জেলার প্রতিটি গ্রামেই অধিকাংশ মধ্যবিত্ত পরিবার তরকারির চাহিদা মেটাতে প্রকৃতি নির্ভর হয়ে পড়ছে। সদর উপজেলার রাধাকান্তপুর গ্রামের আবুল কাশেম নামের অবসরপ্রাপ্ত এক প্রবীন স্কুল শিক্ষক জানান, প্রায় তিন দশক আগেও মানুষের ঘরে অভাব-অনটন ছিল। সেই সময়েও বুনো সবজি খেতেন লোকজন। এখন দেশের সার্বিক পরিস্থিতির উন্নতি হলেও করোনাকালীন সময় থেকে তরি তরকারী, চাল ডালের দাম বেড়ে যাওয়াতে আয়ের সাথে ব্যয় মেটাতে পারছেনা মানুষ। তাই সকাল অথবা বিকেল হলেই অনেক পরিবার বুনো সবজির খোঁজে মাঠে ঘাটে নেমে পড়ছেন। মাঠে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে চাষ করা কচুর জমিতেও কচুপাতা তুলতে ভিড় করে নারী পুরুষ।




‘পারমাণবিক বোমার জনক’ হয়ে আসছেন পিকি ব্লাইন্ডার্স তারকা

আমেরিকান তাত্ত্বিক পদার্থবিজ্ঞানী রবার্ট ওপেনহাইমার। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লস অ্যালামোস ল্যাবরেটরির পরিচালক ছিলেন এবং ম্যানহাটন প্রকল্পে ভূমিকার জন্য তাকে ‘পারমাণবিক বোমার জনক’ হিসাবে কৃতিত্ব দেওয়া হয়। বলা হয়ে থাকে, তিনিই গবেষণার অংশ হিসেবে প্রথম পারমাণবিক অস্ত্র তৈরি করেছিলেন।

আর সেই রবার্ট ওপেনহাইমারের জীবনের দুঃসাহসিক নানা অভিজ্ঞতা নিয়েই চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছেন বিখ্যাত লেখক ও পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলান। সিনেমার নাম ‘ওপেনহাইমার’। ২১ জুলাই মুক্তি পাবে প্রেক্ষাগৃহ যুক্তরাজ্যসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে।

সিনেমাটিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করছেন ‘পিকি ব্লাইন্ডার্স’ ধারাবাহিকের তারকা সিলিয়ান মারফি। তিনি বলেছেন, পারমাণবিক বোমার পিতার চরিত্রে অভিনয় করা ‘ভয়ঙ্কর এবং উত্তেজনাপূর্ণ’।

অভিনেতা সিলিয়ান মারফিকে ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে ওপেনহাইমার চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয়ের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

সম্প্রতি এম্পায়ার ম্যাগাজিনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সিলিয়ান মারফি বলেন, আশা করি সবকিছু ভালো হবে। এই ধরনের ব্যক্তির (রবার্ট ওপেনহাইমার) চরিত্রে অভিনয় করা সবসময়ই কঠিন বিষয়।

পুলিৎজার পুরস্কার বিজয়ী উপন্যাস ‘আমেরিকান প্রোমিথিয়াস: দ্য ট্রায়াম্ফ অ্যান্ড ট্র্যাজেডি অফ জে রবার্ট ওপেনহেইমার’ থেকে নেওয়া হয়েছে এই চলচ্চিত্র। যে সময়টিতে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সরকার ‘বৈশ্বিক সংঘাতের দ্রুত অবসান ঘটাতে সক্ষম’ একটি অস্ত্র তৈরির জন্য লড়াই করে।

তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ফ্রাঙ্কলিন ডেলানো রুজভেল্টের নির্দেশে জেনারেল লেসলি গ্রোভস (ম্যাট ডেমন) ড. ওপেনহাইমারকে দেশের সর্বশ্রেষ্ঠ বুদ্ধিজীবীদের একত্রিত করার জন্য বলা হয়। ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তন করতে নেওয়া হয় এমন উদ্যোগ।

ড. ওপেনহাইমার তার ম্যানহাটন প্রকল্পের লক্ষ্যগুলো বাস্তবায়নের পরে শেষ পর্যন্ত নিজের ভয়ানক সৃষ্টির জন্য অবশ্য আফসোস করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, ‘কিছু লোক কেবল বিশ্বকে জ্বলতে দেখতে চায়।’

কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করা সিলিয়ান মারফি বলেন, ড. ওপেনহাইমার একটি বিভাজনমূলক চরিত্র। তিনি খুব কঠিন ও জটিল চরিত্র, যা অনেকটাই অজানা। এটি একজন পুলিশ অফিসারের চরিত্রে অভিনয় করার চেয়ে আলাদা।

তিনি বলেন, আমি মনে করি এটি একটি অপরিহার্য সিনেমাটিক অভিজ্ঞতা। এতে এমন কিছু মুহূর্ত রয়েছে যা মানুষের ঢাকনা উড়িয়ে দেবে।

সিলিয়ান মারফি ছাড়াও সিনেমাটিতে অভিনয় করছেন হলিউডের এ-লিস্টের গুরুত্বপূর্ণ অনিনেতা-অনিনেত্রী। যাদের মধ্যে রয়েছেন, ম্যাট ডেমন, এমিলি ব্লান্ট, রবার্ট ডাউনি জুনিয়র, ফ্লোরেন্স পুগ, জোশ হার্টনেট, মাইকেল অ্যাঙ্গারানো, কেনেথ ব্রানাগ, রামি মালেক, অ্যালডেন এহরেনরিচ, ডেভিড ডাস্টমালচিয়ান, ডেন ডিহান, জ্যাক কোয়াইড, ম্যাথিউ মোডিন, ডিলান আর্নল্ড এবং ডেভিড ক্রুমহোল্টজের মতো তারকারা।

ক্রিস্টোফার নোলান তার স্ত্রী এমা থমাস ও চার্লস রোভেনের সঙ্গে যৌথভাবে চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন।




জীবননগর বিজিবির অভিযান ২ কেজি স্বর্ণ উদ্ধার, আটক-৪

জীবননগরে দুই কেজি ২৪৫ গ্রাম স্বর্ণসহ চার চোরাকারবারিকে আটক করেছে বিজিবি। গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টাযর সময় জীবননগর উপজেলার হাসাদাহ বাজার থেকে স্বর্ণসহ চার চোরাকারবারিকে আটক করে।

আটককৃত চোরাকারবারী হলেন, নড়াইল জেলার লোহাগড়া থানার মঙ্গলপুর গ্রামের জিহাদ মোল্লার ছেলে এবাদুল মোল্লা (২৬), তমসুল মোল্লার ছেলে মাহাবুর হাসান (২৭), ইনসান কাজীর ছেলে রিয়াজ আলী (২১) এবং একই জেলার নড়াগাড়ী থানার থাশিয়ান গ্রামের ইয়ার আলীর ছেলে শেখ সোহেল রানা (৩৫)।

গতকাল শুক্রবার বেলা ১২টাযর সময় মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মাসুদ পারভেজ রানা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত বৃহস্পতিবার মহেশপুর-৫৮ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল মাসুদ পারভেজ রানা নিজেদের গোয়েন্দার তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন, চোরাকারবারীরা জীবননগর-চুয়াডাঙ্গা সড়ক দিয়ে স্বর্ণ পাচারের উদ্দেশ্যে সীমান্তের দিকে যাবে। এ তথ্যের ভিত্তিতে অধিনায়কের নেতৃত্বে এবং উপঅধিনায়ক মেজর মোঃ রকিবুল ইসলামের সহযোগিতায় ব্যাটালিয়ন সদরের একটি বিশেষ টহলদল বৃহস্পতিবার বিকেলে কালীগঞ্জ-চুয়াডাঙ্গা সড়কে অবস্থান নেন।

আনুমানিক বিকেল ৬টায় সাদা রংয়ের একটি প্রাইভেটকার হাসাদাহ বাসস্ট্যান্ডে স্পিডব্রেকার পার হওয়ার সময় বিজিবির টহল দল গাড়িটির গতিরোধ করে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেন। পরে প্রাইভেটকারে থাকা এবাদুল মোল্লা, মাহাবুর হাসান, রিয়াজ কাজী এবং শেখ সোহেল রানাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা জানান গাড়ির দ্বিতীয় আসনধারীর সিটের নিচে ১৪টি স্বর্ণের বার রয়েছে। তাদের স্বীকারোক্তি মোতাবেক সিটের নিচ থেকে স্বর্ণের ৬টি মিডিয়াম ফ্লাটবার এবং ৮টি বার উদ্ধার করা হয়। এছাড়া ৬টি মোবাইল জব্দ করা হয়। ১৪টি স্বর্ণের বারের মোট ওজন ২ কেজি ২৪৫ গ্রাম।

বিজিবি আরো জানায়, আটক স্বর্ণের বারসহ প্রাইভেটকার এবং মোবাইলের মূল্য ২ কোটি ২৪ লাখ ৭৫ হাজার ৭৫১ টাকা। আটক আসামীদের স্বর্ণের বার শুল্ক কর ফাঁকি দিয়ে ভারতে পাচারের জন্য বহন করা ও নিজ জিম্মায় রাখার অপরাধে তাদেরকে জীবননগর থানায় সোপর্দ করা হয়েছে। এছাড়া ১৪টি স্বর্ণের বার চুয়াডাংগা ট্রেজারিতে জমা দেওয়ার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।




মেহেরপুরে শিল্পীদের মাঝে পুরুস্কার ও সনদপত্র বিতরণ

বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির উদ্যোগে মেহেরপুর জেলার সকল শিল্পী ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে জাতীয় সাংস্কুতিক প্রতিযোগীতা-২০২৩ পুরুস্কার ও সনদপত্র বিতরন করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে এই পুরুস্কার ও সনদ বিতরণ করা হয়।

মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত পুরুস্কার ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, মেহেরপুর পুলিশ সুপার মো: রাফিউল আলম, মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহা: আব্দুস সালাম।

অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু তথ্য ও গবেষনা পরিষদের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক, মেহেরপুর জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, মেহেরপুর জেলা শিল্পকলার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সাইদুর রহমান প্রমুখ।




দামুড়হুদর ধান্যঘরায় দুর্বৃত্তদের হাতে ফল ব্যবসায়ী হত্যা

চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি ইউনিয়নের ধান্যঘরা গ্রামে বাবর আলী (৪৫) নামে এক ফল ব্যবসায়ীকে গলা কেটে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।

গত বৃহস্পতিবার (৮ জুন) দিনগত রাত সাড়ে ১২ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত বাবর আলী ধান্যঘরা গ্রামের আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।এ ঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য স্ত্রী মহিমা খাতুন কে দর্শনা থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।তবে এ ঘটনায় এখনও কোন মামলা হয়নি।

দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) ফেরদৌস ওয়াহিদ বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, বাবর আলী প্রতিদিনের মতো এদিন রাতেও ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়েছিলেন। এসময় দুর্বৃত্তরা বাড়িতে প্রবেশ করে তার গলায় কোপ দেয়। এতে বাবার আলী রক্তাক্ত জখম হয়। এসময় বাবর আলীর স্ত্রী চিৎকার করলে স্বজনরা দ্রুত ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নেন এবং চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু বরণ করেন । এই হত্যারহস্য উদঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে বলে জানান ওসি।

তবে এ ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। মরদেহ চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ময়নাতদন্তর জন্য রাখা হয়েছে। ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

নিহতের স্ত্রী মহিমা খাতুন জানান, একজনের কাছে লিচুর বিক্রির চার লাখ টাকা পাওনা ছিল বাবর আলীর। সন্ধ্যায় তিন ব্যক্তি বাড়িতে এসে বাবর আলীকে হুমকি দেয়। তারাই এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। পুলিশ তদন্ত করলেই অপরাধী শনাক্ত হবে

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আল ইমরান জুয়েল বলেন, মধ্যরাতে বাবর আলীকে হাসপাতালে আনা হয়। তার গলায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ দেওয়া হয়েছে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে হাসপাতালে আনার আগেই তার মৃত্যু হয়েছে। মরদেহ মর্গে রাখা আছে।

হাসপাতেলর জুনিয়র সার্জারি কনসালট্যান্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময় বলেন, বাবর আলীর গলায় কোপের আঘাত অনেক গভীর। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর এ বিষয়ে বিস্তারিত বলা যাবে। এ হত্যার বিষয়ে দর্শনা থানার ওসি তদন্ত আমানউল্লা আমান বলেন আমরা তার স্ত্রী মহিমা খাতুনকে জিজ্ঞাসাবাদের নিয়ে এসেছি তবে খুব শীর্ঘই এই হত্যার মৃল রহস্য বেরিয়ে আসবে।




গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ চ্যাম্পিয়ন

মেহেরপুরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তঃ কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টে ফাইনাল খেলায় মেহেরপুর সরকারি ডিগ্রী কলেজকে ২-১ গোলে হারিয়ে গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে ।

জেলা প্রশাসন ও জেলা ক্রীড়া অফিসের উদ্যোগে মেহেরপুর স্টেডিয়াম মাঠে আন্ত: কলেজ পর্যায়ে বঙ্গবন্ধু ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করে।

গতকাল শুক্রবার বিকালে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ দল ২-১ গোলে মেহেরপুর সরকারি কলেজকে পরাজিত করে। খেলার প্রথমার্ধের ১০ মিনিটের মাথায় সোলায়মান কর্নার কিক থেকে গোল করে গাংনীকে এগিয়ে নেন। এর ৬ মিনিট পর হোসাইন গোল করে গোলের ব্যবধান দ্বিগুণে পরিণত করেন।

দ্বিতীয়ার্ধের ৮ মিনিটের মাথায় মেহেরপুর সরকারি কলেজের বিজয় পেনাল্টির সাহায্যে গোল করে গোলের ব্যবধান কমান। ডি বক্সের মধ্যে নাহিদকে ফাউল করাই রেফারি ফারহা হোসেন লিটন পেনাল্টি নির্দেশ দেন। খেলা মেহেরপুর সরকারি কলেজের বিজয় সর্বোচ্চ গোলদাতা এবং গাংনী ডিগ্রী কলেজের সোলায়মান সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন।

এর আগে জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আন্তঃ কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলার উদ্বোধন করেন।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, পুলিশ সুপার মো রাফিউল আলম, মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট মহা: আব্দুস সালাম, সিভিল সার্জন ডাঃ জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিক, সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর শফিউল আলম সরদার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক লিংকন বিশ্বাস, ফুটবল টুর্নামেন্ট কমিটির সদস্য সচিব ও জেলা ক্রীড়া অফিসার আরিফ আহমেদ, মেহেরপুর জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




কোটচাঁদপুরে অপরিপক্ক ৭ টি নিম গাছ কাটার অভিযোগ পৌর কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে

আইন অমান্য করে অপরিপক্ক ৭ টি নিম গাছ কাটার অভিযোগ উঠেছে পৌর কতৃপক্ষের বিরুদ্ধে । গতকাল শুক্রবার সকালে কোটচাঁদপুর পৌর বাসটার্মিনাল ও পুকুরের পাড় থেকে কাটা হয় এ গাছ গুলো। পৌরসভায় মটর সাইকেলের শেড বানাতে কাটা হয়েছে বললেন,মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম।

জানা যায়, গতকাল শুক্রবার সকাল ১০ টা বাজে। এ সময় কোটচাঁদপুর পৌর বাসটার্মিনাল ও পুকুর পাড়ে থাকা নিম গাছ কাটছিলো কয়েক জন শ্রমিক। জিজ্ঞেস করতেই বলেন,কাউন্সলর রকিব কাটতে বলেছেন। এর কিছুক্ষন পর আর কোন গাছ না কেটে চলে যান শ্রমিকরা। স্বজমিনে গিয়ে দেখা যায়,ওই দুই স্থান থেকে ৭ টি অপরিপক্ক নিম গাছ কেটেছেন তারা।

বিষয়টি নিয়ে কাউন্সিলর রকিব উদ্দিন বলেন,পৌরসভার মটর সাইকেল রাখার শেড বানানো হচ্ছে। তাঁর জন্য বাটাম করা হবে। তিনি বলেন, এগুলো আগাছা গাছ,কোন বাকা,কোন টা পোকা লাগা। আর নারকেল,নিম গাছ কাটার জন্য কোন টেন্ডার লাগে না। এটা কেটে পৌরসভার কাজে লাগানো হবে।

এ ব্যাপারে প্যানেল মেয়র সোহেল আরমান বলেন,মেয়র যেখানে আছেন,সেখানে আমাদের বক্তব্যের প্রয়োজন নাই। তবে আমার জানামতে সরকারি কোন গাছ কাটতে, অনুমতির প্রয়োজন হয়।
একই কথা বললেন,প্যানেল মেয়র (২) জাহিদ হোসেন ও। তিনি বলেন,গাছ কাটতে হলে তো অবশ্যই নিয়ম মেনে কাটার কথা। আর নিয়ম মানলে তো আমাদের জানার কথা ছিল। গাছ কাটার বিষয়টি জানতাম না। এখন শুনলাম।

মেয়র সহিদুজ্জামান সেলিম বলেন, অফিসের মটর সাইকেল রাখার শেড বানানোর জন্য গাছগুলো কাটা হয়েছে। তিনি বলেন, অল্প -শল্প কাজ বলে,বিষয়টি কাউকে জানানো হয়নি।

এভাবে কাটা যায় কিনা,এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, কাটা যায় কিনা জানিনা,আমাদের অফিসিয়াল প্রয়োজন এ জন্য কাটা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন, বিষয়টি আমার জানা নাই। এভাবে গাছ কাটতে পারে কি,এমন প্রশ্ন তিনি বলেন,এটি পৌরসভা সংক্রান্ত বিষয়। আপনি পৌর সভার মেয়রের সঙ্গে কথা বলেন। এটা আমার নলেজে নাই।