মেহেরপুর বঙ্গবন্ধু আন্ত: কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও ক্রীড়া অফিসের আয়োজনে বঙ্গবন্ধু আন্ত: কলেজ ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বুধবার (৭ জুন) সকাল সাড়ে ৭ টার সময় জেলা স্টেডিয়ামে আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম এই টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন।

অতিরিক্ত জেলাপ্রশাসক (সার্বিক) লিংকন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুল আহসান ও জেলা ক্রীড়া অফিসার আরিফ আহমেদ।

উদ্বোধনী খেলায় মেহেরপুর সরকারি টেকনিক্যাল কলেজ দল কুতুবপুর স্কুল এন্ড কলেজকে ২-০ গোলে হারিয়ে বিজয়ী হয়।
প্রতিদ্বন্ধিতাপূর্ণ খেলা উপহার দেওয়ার জন্য বিজয়ী এবং রানার্সআপ উভয় দলের খেলোয়ারদের অভিনন্দন জানান জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।

আগামী ৯ জুন শুক্রবার বিকাল ৫:৩০ মিনিটে ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, চলমান তাপদাহ বিবেচনায় রেখে প্রতিটি খেলা সকালে টুর্নামেন্ট আয়োজন করা হবে। মাঠে প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবার ব্যবস্থা ছাড়াও জরুরি চিকিৎসার প্রয়োজনে এম্বুলেন্সসহ মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে।




মুজিবনগরে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহের উদ্বোধন

মেহেরপুরের মুজিবনগরে জাতীয় পুষ্টি সপ্তাহ- ২০২৩ উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১১ টায় উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা: আসাদুজ্জামান এর অফিস কক্ষে এই উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়।

মুজিবনগর উপজেলা পুষ্টি সমন্বয় কমিটির সভাপতি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এর প্রতিনিধি উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি)নাজমুস সাদাত এর সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আসাদুজ্জামান, মহিলা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা খাতুন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্ত ডা:হারিসুল আবিদ, উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয়ের ডা: খন্দকার সানজিদা আক্তার, উপজেলা কৃষি অফিসের প্রতিনিধি মিজানুর রহমান, উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তার প্রতিনিধি ফজলুল হক, ইম্প্যাক্ট মুজিবনগর প্রতিনিধি সোহেল আহমেদ, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শেখ শফিউদ্দিন, প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মোস্তাফিজুর রহমান।

পুষ্টি সপ্তাহ উপলক্ষে বিভিন্ন কার্যক্রম গ্রহণ করেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কার্যালয় এর মধ্যে আছে ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে চিত্রাঙ্গন প্রতিযোগিতা উপস্থিত বক্তৃতা বিভিন্ন এতিমখানাতে পুষ্টিকর খাবার বিতরণ এবং মহিলাদের কে নিয়ে পুষ্টি বিষয়ে আলোচনা সভা।




মেহেরপুরে মাদক সেবনকারীর ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড

হেরোইন সেবনের অভিযোগে মোঃ জহুরুল ইসলাম (৪২) নামের এক মাদকসেবনকারীকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান হয়েছে।

দণ্ডিত জহুরুল ইসলাম মেহেরপুর শহরের পোষ্ট অফিসপাড়া এলাকার মিয়ারুল ইসলামের ছেলে।

আজ বুধবার (৭ জুন) দুপুরের দিকে মেহেরপুর জেলা শহরের স্টেডিয়াম পাড়া এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে এই রায় দেন জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: রনী খাতুন।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: রনী খাতুন বলেন, নিজের দোষ স্বীকার করলে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬ (৫) ধারায় মাদক সেবনকারী জহুরুল ইসলামকে ১৫ দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়।

এর আগে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একজন উপপরিদর্শক ভ্রাম্যমান আদালতে প্রসিকিউশন দাখিল করেন। অভিযোগ আমলে নিয়ে অভিযুক্তের স্বীকারোক্তি নেওয়ার পর তাকে কারাদণ্ড দেন।

দণ্ডিত জহুরুল ইসলামকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।




চ্যাটজিপিটির প্রতিদ্বন্দ্বী হতে যাচ্ছে প্রাইভেটজিপিটি?

চ্যাটজিপিটি অনলাইন জগতে এক বিস্ময়কর নাম হয়ে উঠেছিল। কিন্তু প্রাইভেসির ক্ষেত্রে চ্যাটজিপিটির বিতর্ক যেন কাটছেই না। স্যামসাং বাদেও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এর ওপর সাময়িক নিষেধাজ্ঞা দিয়ে রেখেছে। তাই চ্যাটজিপিটির কিছু সমস্যা তো রয়েছেই। কিন্তু চ্যাটজিপিটির বড় প্রতিদ্বন্দ্বী বোধহয় প্রাইভেটজিপিটি।

প্রাইভেটএআই নামে একটি প্রতিষ্ঠান চ্যাটজিপিটির আদলেই প্রাইভেটজিপিটি তৈরি করেছে। টুলটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে পিয়াইয়াই বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্য আড়ালে রাখতে জানে।

প্রাইভেটএআই শুধু চ্যাটজিপিটির তথ্য নিরাপত্তার স্তর আরও বাড়ানোর সুবিধা দিচ্ছে এমন নয়। মার্চেও ক্যাডো সিকিউরিটি নামে একটি প্রতিষ্ঠান মাস্কড এআই নামে একটি টুলের ঘোষণা দিয়েছিল। এটিও জিপিটি-৪ এ সাবমিট করা সেন্সেটিভ ডাটা লুকিয়ে রাখতে জানে। প্রাইভেটজিপিটি অবশ্য একটু এগিয়ে। নাম, ক্রেডিট কার্ড নাম্বার, ইমেইল এড্রেস, ফোন নাম্বার, ওয়েব লিংক, আইপি এড্রেস ইত্যাদি জরুরি তথ্য এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা লুকিয়ে রাখতে পারে।

তবে আশার কথা হলো, ক্যাডো ও প্রাইভেট এআই সম্মিলিতভাবে কাজ করছে। তারা চ্যাটজিপিটির মত তথ্যের হেরফের করবে না এমন একটি আত্মবিশ্বাস দেখাচ্ছে বরাবরই।




মেহেরপুরে প্রচণ্ড দাবাদাহে চাষাবাদে পানির হাহাকার

বাড়ি থেকে শুরু করে চাষাবাদে পানির জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে। পৌরবাসী লাইনে পানি পাচ্ছেনা, মাঠে সেচযন্ত্রে পানি উঠছেনা। ছাদবাগানে তাপে গাছ মারা যাচ্ছে। ওপরবৃষ্টি ছাড়া পরিস্থিতি মোকাবেলা করা সম্ভব নয় এমন অভিমত সব শ্রেণির মানুষেরই। এক ঠিলি পানি তুলতে নলকূপ চাপতে চাপতে হয়রান হয়ে পড়ছে মানুষ। বাড়ির নলকূপ নতুন করে গভির করে বসিয়েও পানি পাওয়া যাচ্ছেনা।

গ্রীষ্মের শুরু থেকেই বিভিন্ন বাড়ি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নলকূপে পানি না উঠায় হাজার হাজার মানুষ ও শিক্ষার্থীরা সুপেয় পানির সংকটে পড়েছেন। পাশাপাশি চলতি সেচনির্ভর আবাদে সেচ যন্ত্রে পানি কম উঠায় জমি সেচ দিতে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগছে এবং সেচ খরচও বাড়ছে। কৃষকেরা সংকট মোকাবেলায় বাধ্য হয়ে রাত জেগে সেচযন্ত্র চালিয়ে পানি দিয়ে ফসল রক্ষার চেষ্টা করছেন।

মেহেরপুর পৌর পানিশাখা সুত্রে জানাগেছে- পৌর এলাকায় ৫ হাজার গ্রাহক রয়েছে। পানির চাহিদা ১২ হাজার ঘনমিটার। বর্তমানে পানি সরবরাহ হচ্ছে ৩৫০০ ঘণমিটার। যা ১৫শ গ্রাহকের চাহিদা মেটাতে পারে। ফলে রেশনিং পদ্ধতিতে পানি সরবরাহ করতে হচ্ছে। মাইকিং করে পৌরবাসীর কাছে সাময়িক সমস্যার কারণে দুঃখ প্রকাশও করেছে পৌর কর্তৃপক্ষ। এদিকে পানির দুরাবস্থার কারণে জারভর্তি পানির দামও বাড়িয়ে দিয়েছে পানি ব্যবসায়ীরা। মেহেরপুর শহরে ২০ লিটারের ড্রিংকিং ওয়াটারের একজার পানি এতদিন বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকায়। পানি সংকটে উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে দাবিতে বর্তমানে প্রতিজার পানির দাম নেয়া হচ্ছে ৩৫ টাকা।

কৃষি নির্ভর মেহেরপুর জেলায় ৫৮ হাজার ৫শ হেক্টর জমিতে সেচনির্ভর চাষাবাদ হচ্ছে। চাষাবাদে ৪৬ হাজার সেচ পাম্প রয়েছে। সেচযন্ত্রে যে পরিমান পানি উঠছে তাতে চাষাবাদ করা কঠিন বলে কৃষকরা জানান। একবিঘা জমিতে যেখানে তিনঘন্টায় সেচ দেয়া যায়। সেখানে ছয় থেকে সাত ঘন্টা সময়ে সেচ দিতে হচ্ছে। সেচ দিয়েও জমিতে পানি ধরে রাখা যাচ্ছেনা। পরদিন ফের সেচ দিতে হচ্ছে। কারণ তাপদাহে আবাদি জমি শুকিয়ে যাচ্ছে।

মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নে ঘুরে দেখা গেছে, বেশিরভাগ এলাকায় অগভীর নলকূপে পানি উঠা পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে। এ উপজেলার প্রতি ১০টি নলকুপের মধ্যে ৫টিই অকেজো হয়েছে। খাবার পানি, গোসলের ও গৃহস্থলীর কাজের জন্য পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। উপজেলার পুকুর ও জলাশয় শুকিয়ে যাওয়ায় উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে বিশুদ্ধ পানির জন্য হাহাকার শুরু হয়েছে।

সদর উপজেলার বুড়িপোতা ইউনিয়নের বাজিতপুর গ্রামের রমজান আলী বলেন, পানির সংকটে আমরা কোন কাজই ঠিকমত করতে পারছি না। খাওয়ার পানি সংকটে সেই সাথে অসহনীয় তাপদাহে দিশেহারা হয়ে পড়েছি। একই গ্রামের সফুরা খাতুন বলেন, টিউবওয়েলে পানি ওঠা বন্ধ হয়ে গেছে। বাধ্য হয়ে আবাদি জমিতে সেচের গভির নলকূপ থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। সুর মিলিয়ে শেফালি খাতুন বলেন, পরের বাড়ি ক‘বারই বা যাওয়া যায়। বার বার পানি আনতে যাওয়াতে কথাও শুনতে হচ্ছে।

একই ইউনিয়নের শালিকা গ্রামের মজিদ বলেন, ৭ ফুট নিচে মাটি খুড়ে পাম্প বসিয়েছি। এতে মোটমুটি পানি উঠছে। তবে দু-একদিন এমন তাপদাহ থাকলে আর হয়তো পানি পাবো না।

মেহেরপুর জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ মোসলেহ উদ্দীন জানান, পরিবেশগত নানা কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণত পানির স্তর গড়ে ৪০ থেকে ৭০ ফুট গভীরে। বেশিরভাগ এলাকায় এ স্তরে পৌঁছালেই পানি পাওয়ার কথা। কিন্তু বেশিরভাগ এলাকায় অস্বাভাবিকভাবে নীচে নেমে যাওয়ায় এ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টিপাত হলেই পানির স্তর স্বাভাবিক হবে।




মেহেরপুরে ১ ও ৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত গ্রেফতার

মুজিবনগর থানায় মাদক মামলায় ৩ বছরের ও সদর থানায় ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতাক আসামিকে গ্রেফতার করেছে।

এরা হলেন, মুজিবনগরের দারিয়াপুর গ্রামের আবু তাহেরের ছেলে আব্দুল হালিম ও সদর উপজেলার পিরোজপুর গ্রামের আফছার আলীর ছেলে আব্দুল হামিদ।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল বলেন, একটি মাদক মামলায় আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর নং ৬/২০ এর ৩ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আব্দুল হালিমকে এএসআই আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে।

অপরদিকে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, মাদক মামলায় ১ বছরের সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর নং ৫৭২/০৯ আসামি আব্দুল হামিদকে তার বাড়িতে এসআই শাহাজামালের নেতৃত্বে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে পৃথক সময়ে পুলিশ গোপন সংবাদে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃতদের আজ বুধবার (৭ জুন) দুপুরের দিকে মেহেরপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।




মেহেরপুরে বিভিন্ন মামলায় গ্রেফতার-১৪

মেহেরপুর পুলিশের ১২ ঘন্টার নিয়মিত অভিযানে বিভিন্ন মামলায় ১৪ জন গ্রেফতার হয়েছে।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে গাংনী থানা পুলিশ ৬ জন, সদর থানা পুলিশ ৭ জন ও মুজিবনগর থানা পুলিশ ১ জনকে গ্রেফতার করেছে।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতভর থেকে আজ বুধবার ভোররাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব আসামিদের গ্রেফতার করা হয়।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম, ও মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের পৃথক টিম অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে সদর থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর মামলার ৫ ও সিআর মামলায় ২ আসামি, গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর ও সিআর মামলার ৬ জন ও সদর থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ১ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেফতারকৃতদের আজ বুধবার (৭ জুন) দুপুরের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




স্নাতক পাসে নিয়োগ দেবে এসিআই মটরস

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে এসিআই মটরস লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি এক্সিকিউটিভ পদে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

এক্সিকিউটিভ – সাপ্লাই চেইন, ইয়ামাহা মটরসাইকেল।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে যেকানো বিষযে স্নাতক পাস হতে হবে। বয়স ২২ থেকে ৩৫ বছর।

কর্মস্থল

ঢাকা।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

১৫ জুন, ২০২৩।

সূত্র: বিডিজবস।




মেহেরপুরে দেশীয় প্রজাতির মুরগি পালন করে সাবলম্বী হচ্ছেন নারীরা

মেহেরপুরে সল্প বিনিয়োগ ও অল্প সময়ে দেশি জাতের মুরগি পালন করে সাবলম্বি হচ্ছেন নারীরা। পরিবারের পুষ্টির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি বাড়তি আয়ের সুযোগ সৃষ্টির অন্যতম মাধ্যম দেশি প্রজাতির মুরগি পালন। সহজ ব্যাবস্থাপনা ও ভালো বাজার দরের কারণে দেশি মুরগী পালন জেলার বিভিন্ন গ্রামের নারীদের সৌখিন ও পছন্দের পেশায় পরিনত হয়েছে। এতে একদিকে যেমন পরিবারের মাংসের চাহিদা পুরুণ হচ্ছে অন্যদিকে বাড়তি আয়ের উৎস বলেও মনে করছেন গৃহিনীরা।

নারীদের পাশাপাশি বেকার যুবকেরাও এগিয়ে আসছে দেশীয় জাতের মুরগি পালনে। খামারী পর্যায়ে দেশি জাতের মুরগি পালন করে গ্রামের নারীদের সাবলম্বি করতে আর্থিক সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন । অনেকেই বাণিজ্যিক ভাবে পালন করেও লাভবান হচ্ছে। কারিগরি সহযোগিতায় কাজ করছে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি নামের বেসরকারি সংস্থা।

জানা গেছে সারা দেশে সমন্বিত কৃষি ইউনিট ভুক্ত প্রাণিসম্পদ খাতের সমৃদ্ধির লক্ষ্যে পিকেএসএফ ২০১৩-২০১৪ অর্থবছর থেকে দেশীয় প্রজাতির মুরগী পালন প্রকল্পটি চালু করে। মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলায় প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস)। কর্মসূচির আওতায় গাংনী উপজেলাতে খামারীদের বিশেষ আবাসন নিশ্চিত করে দেশি মুরগি পালন বিষয়ক ১১৫ টি প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করে।

এছাড়াও খামারিদের মাঝে দেশি মুরগি পালনের প্রয়োজনীয় উপকরণ বিতরণের পাশাপাশি খামারিদের দেশি মুরগি পালন বিষয়ক প্রশিক্ষণ, খামার দিবস, পরামর্শ কেন্দ্র এবং ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্প বাস্তবায়নসহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস)।

গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রাামের দেশি মুরগির খামারি মোছা: রেহেনা খাতুন জানান , তার স্বামী একজন গার্মেন্টস কর্মি। তিনি বাড়িতে বসে অলস সময় পার করছিলেন। পরে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যান সমিতির সহায়তায় দেশীয় প্রজাতির মুরগি পালন শুরু করেন। প্রথমে ১০টি দেশীয় জাতের মুরগির বাচচা দিয়ে খামার শুরু করেছিলেন। এখন তাম খামাওে প্রায় দুই শতাধিক বড় মুরগি রয়েছে। পরিবারের মাংসের চাহিদা পরুণ করেও প্রতিমাসে প্রায় ১০ হাজার থেকে ১২ হাজার টাকার মুরগি বিক্রি করেন সংসারের সচ্ছলতা এনছেন। প্রতিবেশিদেও কাছে তিনি এখন মুনগি বিক্রি করেন সাড়ে ৫০০ টাকা থেকে ৬০০ টাকা কেজি।

গাংনীর গাড়াডোব গ্রামের ফরিদুলের স্ত্রী সুরাইয়া খাতুন জানান, গতানুগতিক সনাতন পদ্ধতিতে দেশি মুরগি পালন করে তিনি আর্থিকভাবে লাভবান হতে পারছিলেন না; সনাতন পদ্ধতিতে বাচ্চা মৃতের হার অনেক বেশি। ব্রুডিং (৭-১০ দিন বয়সী মুরগির বাচ্চাকে তাপ প্রদান করা) ঠিকঠাক না হওয়ায় বাচ্চার শারীরিক বৃদ্ধি ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা হ্রাস পেত। এছাড়া বিভিন্ন সংক্রামক রোগ লেগেই থাকত। বিভিন্ন শিকারী প্রাণির আক্রমণে মুরগির বাচ্চা মৃত্যুর হার ছিল অনেক বেশি। বিশেষ আবাসন নিশ্চিত করে দেশি মুরগির বাচ্চা লালন পালন করায় এবং রোগ প্রতিরোধে সময়মত টিকা প্রদান নিশ্চিত করায় মুরগির বাচ্চা মৃত্যুর হার নেমে এসেছে প্রায় শূণ্যের কোঠায়। এখন তার খামারে দেড় শতাধিক দেশীয় জাতের মুরগি রয়েছে।

তেরাইল গ্রামের গৃহবধু কাজলী জানান, পলাশীপাড়া সমাজ কল্যান সমিতির মাঠ কর্মিও পরামর্শে এবং পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের আর্থিসহায়তা হিসেবে আমাকে একটি সুন্দর মুরগির ঘর প্রদান করেছে। মুরগি পালনের জন্য দিয়েছে অন্যান্য অনুসঙ্গ। সঠিক পরিচর্যা প্রয়োজনীয় খাবার সরবরাহ করার ফলে মুরগির দৈহিক বৃদ্ধি ও ডিম প্রদানের হার বৃদ্ধি পেয়েছে।

সংস্থার প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা জানান,এই পদ্ধতিতে মুরগির মাধ্যমে ডিম ফুটানোর ক্ষেত্রে ডিমগুলো বিশেষ এক ধরণের হাজল বা ডিম ফুটানোর পাত্রে বসানো হয়। ফলে ডিমে তাপ দেবার সময় মা মুরগি খাবার ও পানি খাওয়ার জন্য ডিম থেকে উঠে যাবার প্রয়োজন হয় না। কারণ খাবারের পাত্র ও পানি মুরগির সামনেই রাখা থাকে। ফলে মা মুরগি যথাযথভাবে ডিমে তা দিতে পারে এতে ডিম ফুটে বাচ্চা উৎপাদনের হার বৃদ্ধি পায়।এ পদ্ধতিতে একজন খামারি অনায়াশে চোট্ট একটি ঘরে ৩০-৩৫ টি মুরগি পালন করতে পারে। যেহেতু দেশি মুরগি লালন খরচ অনেক কম সেহেতু একজন ছোট খামারী বাচ্চা উৎপাদন ও মুরগি বিক্রয় করে প্রতি মাসে ৮-৯ হাজার টাকা আয় করতে পারছেন বলেও জানান অনেক গৃহবধু

গাড়াডোব গ্রামের রাহেলা খাতুন জানান, বিশেষ আবাসন নিশ্চিত করার ফলে মুরগির বাচ্চার বিভিন্ন রোগের সংক্রমণ হ্রাস পায় এবং শিকারী প্রাণী দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার ঝুকি কমে যায়। এছাড়াও এ পদ্ধতির কারণে মা মুরগি বাচ্চাদের থেকে দুরে থাকায় দ্রত ডিম পাড়ার প্রবণতা বেড়ে যায়।

তেরাইল গ্রামের ইউপি সদস্য মাসুম পারভেজ জানান,দেশিয় জাতের মুরগি পালন একদিকে যেমন দরিদ্র মানুষ আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছেন অপরদিকে তাদের দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদাও পূরণ করতে সক্ষম হচ্ছেন। স্থানীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তর হতে কারিগরি সহায়তা (যেমন: ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন আয়োজন করা, চিকিৎসা সহায়তা প্রভৃতি) পেলে এই সকল ক্ষুদ্র খামারীগণ উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে উঠবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারি প্রতিষ্ঠান পিএসকেএস-এর পরিচালক (কর্মসূচি) মোহাঃ কামরুজ্জামান জানান, বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ । এদেশের জনগনের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রদান, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি কৃষক বা খামারির দক্ষতা উন্নয়নে পিএসকেএস পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহায়তায় কৃষি, মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ খাতে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায় করছে ।

এরই ধারাবাহিকতায় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলাতে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে । আমরা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছি । দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে মুরগির গুরুত্ব অপরিসীম। তুলনামূলক স্বল্প বিনিয়োগ এবং অল্প ভূমিতে বাস্তবায়নযোগ্য বিধায় জাতীয় অর্থনীতিতে এর গুরুত্ব উত্তোরোত্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে। সর্বসাধারণের আমিষের চাহিদা পূরণকল্পে দেশি মুরগির চাষ বৃদ্ধি করতে হবে । এতে একদিকে যেমন নিরাপদ মাংস উৎপাদন সম্ভব হবে পাশাপাশি কমবে অতি মাত্রায় পোল্ট্রি মুরগির উপর নির্ভরতা।

মেহেরপুর জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মোঃ সাঈদুর রহমান জানান, জেলায় মাংসের চাহিদা ও পুষ্ঠিগুন বিবেচনায় দেশি মুরগির চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে । জেলায় ব্রয়লার ও লেয়ারের খামার থাকলেও দেশি মুরগির খামার তেমন উল্লেখযোগ্য নয়। তাই দেশিও মুরগির জাত উন্নয়ন ও বাজারের চাহিদা বিবেচনা করে প্রান্তিক পর্যায়ে দেশি মুরগির খামার আরও বৃদ্ধি করা উচিৎ। সরকারি সহায়তার পাশাপাশি সরকারের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের বেসরকারী সংস্থা (এনজিও) গুলোও প্রাণীসম্পদ উন্নয়নে নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে দেশের প্রাণীসম্পদ উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি এনজিও গুলোরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলেও জানান তিনি ।




‘নিজের কাজে সৎ থাকলে দর্শকরাও ফেরায় না ’

ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের কাজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আর চেষ্টাটাই চিত্রনায়ক সিয়ামকে আজ এ পর্যন্ত নিয়ে এসেছে। তাই কোনো ঘরানায় বন্দি থাকেননি তিনি। মডেলিং আর টিভি নাটকে যখন তুমুল ব্যস্ততায় সিয়ামের দিনরাত তখন সিনেমার জন্য নিজের মেধা-শ্রম ব্যয় করবেন বলেই এই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে আত্মনিয়োগ করার জন্য মনস্থির করলেন। ঐ সময়ের জন্য সিয়ামের এই সিদ্ধান্ত কিন্তু বেশ ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। কারণ মডেলিং ও নাটকে সিয়াম তখন প্রমাণিত ও ভীষণ জনপ্রিয়। সিনেমাকে ভালোবেসেই তার এই ফিল্ম অবগাহন।

সিয়াম যখন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যাত্রা শুরু করেন তখন কিন্তু নব্বই দশকের ইন্ডাস্ট্রির মতো এত সুবিধা ছিল না। ছিল না অগণিত ছবির শুভমুক্তি। হাজারের ওপরে সিনেমা হল! যেখানে একটি বা দুটি মুভি ক্লিক করলেই নিজেকে টিকিয়ে রাখা যেত। তবুও অনেকেই বলার চেষ্টা করেন, জাজ মাল্টিমিডিয়ার সাপোর্ট সিয়ামের জন্য বড় এক সৌভাগ্যের দরজা খুলে দিয়েছে। সিয়াম একাধিক ইন্টারভিউতে বলেছেন, ‘আমাকে আসলে প্রতিটি জায়গাতেই নিজেকে প্রমাণ করতে হয়েছে। জাজ মাল্টিমিডিয়া বড় প্লাটফর্ম এটা সত্য। তবে আমি, রায়হান রাফি, পূজা চেরী সকলেই আমাদের প্রথম ছবিতে একেবারেই নতুন ছিলাম। সেই জায়গায় আমি বলবো, পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই। নিজের কাজের প্রতি সৎ ছিলাম বলেই দর্শকরাও ফেরায়নি আমাকে।’

এবারের ঈদে দীপংকর দীপনের ‘অন্তর্জাল’ ছবিতে আসছেন সিয়াম আহমেদ। পোড়ামন থেকে অন্তর্জাল খুব অল্প সময়ের ক্যারিয়ারে সিয়ামের ঘরে এখন দু-দুটি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। চলচ্চিত্র বোদ্ধারা অনেকেই বলেন সিয়ামের ‘মৃধা বনাম মৃধা’ ছবিটি তার ক্যারিয়ারের সেরা অভিনয়। যে ছবির মাধ্যমে প্রথমবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি।

চলচ্চিত্রের বর্তমান চ্যালেঞ্জ মূলত সিনেমা হলে দর্শক ফেরানোর ক্রেজ তৈরি। বিনোদনের নানা খোরাকের সময় আজ সিয়ামদের জন্য তাই এটি কঠিন পরীক্ষা। কারণ এক সময়ের মান্না, জসিম বা সালমান শাহদের আজকের দুনিয়ার মতো এত এত বিনোদন মাধ্যমকে ফেস করতে হয়নি। এ প্রসঙ্গে সিয়াম বলেন, ‘আমি খুব আশাবাদী একজন মানুষ। আমাদের দেশের মানুষের মতো আন্তরিক ও কৌতুহলি কম রয়েছেন। তাদেরকে একটু ভালো গল্প আর প্রডাকশন দিলে তারাও দারুণ জবাব দেন। এটা অতীতেও দেখে আসছি। তাই সময়কে বা দর্শককে দোষ দিয়ে লাভ নেই। বরং আমাদের নিজেদেরকে আরো সুগঠিত হতে হবে। এই ইন্ডাস্ট্রিটা আমাদের সকলের। তাই সবাইকে এক হয়েই মোকাবেলা করতে হবে।’

সূত্র: ইত্তেফাক