আজকের শিশু শুধু আগামী দিনের ভবিষ্যৎ নয়, তারা অমুল্য বর্তমান – জেলা প্রশাসক আজিজুল ইসলাম

মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বলেছেন, আজকের শিশু শুধু আগামী দিনেরর ভবিষ্যৎ নয়, তারা অমুল্য বর্তমান। একজন শিশুর মধ্যে যে প্রতিভা ও সম্ভাবনা লুকায়িত আছে, তার মধ্যেই আমাদের ভবিষ্যৎ সম্ভাবনা আছে।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১ টার সময় মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমী মিলনায়তনে বাংলাদেশ শিশু একাডেমির উদ্যোগ জেলা পর্যায়ে সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্বোধন উপলক্ষে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম এসব কথা বলেন।

মেহেরপুর জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তার আয়ূব হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক সাইদুর রহমান ও মেহেরপুর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি নুরুল আহমেদ।

মেহেপুর জেলা তথ্য অফিসার আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা সমবায় অফিসার ও গাংনী উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির প্রতিনিধি মাহাবুবুল হক মন্টু।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম আরও বলেন, বীজ ভাল না হলে ফল ভাল হবে না। একজন শিশুর মধ্যে যে সম্ভাবনা লুকায়িত আছে, তার মধ্যে আমাদের ভবিষ্যৎ রচনা হবে। শিশুরা শুধু ভবিষ্যাতে নয়, তারা বর্তমানেও অনেক বড় মুল্যবান। তাই আমরা শিশুদের বর্তমানকেও গুরুত্ব দিতে চাই।

শিশুদের উদ্যেশ্যে জেলা প্রশাসক বলেন প্রথম হওয়ার জন্য নয়, প্রতিযোগীতায় অংশগ্রহণ করলে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস, দৃঢ়তা আর সাহষ বাড়ে।তাই প্রতিযোগীতায় অংশ নিতে হবে। তিনি আরোও বলেন, শিশুদের শুধু আগামী দিনের ভবিষ্যত বললে কম বলা হয়, তাদের বর্তমান সম্ভাবনাকে অস্বীকার করা হয়। তারা শুধু আগামী দিনের ভবিষ্যত নয়, অমূল্য বর্তমানও।

জেলা পর্যায়ে সাংস্কৃতিক উৎসব ২০২৩ এ মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি, মুজিবনগর উপজেলা শিল্পকলা একাডেমি, মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বালিকা বিদ্যালয় ও মেহেরপুর জিনিয়াস ল্যাবরেটরি স্কুল এন্ড কলেজের শিল্পীরা সংগীত, কবিতা আবৃত্তি ও নৃত্য পরিবেশন করেন।




চিৎলা জাগরণী ক্লাবকে ট্রাইবেকারে হারিয়ে গোলাম রহমান স্মৃতি সংঘ দ্বিতীয় রাউন্ডে

মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর চতুর্থ দিনের খেলায় গাংনীর চিৎলা জাগরণী ক্লাবকে ট্রাইবেকারে ৭-৬ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে গোলাম রহমান স্মৃতি সংঘ।

উত্তেজনাপূর্ণ খেলাটিতে প্রথম অর্ধের ৫ মিনিটের সময় গোলাম রহমান স্মৃতি সংঘের খেলোয়াড় সাব্বির হোসেন দৃষ্টিনন্দন গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। এরপর ২৫ মিনিটের সময় গোলাম রহমান স্মৃতি সংঘের খেলোয়াড় ডি বক্সের মধ্যে হ্যান্ড করায় পেনাল্টি পেয়ে গোলটি শোধ করে চিৎলা জাগরণী ক্লাব। খেলায় দু দলই একাধিক সুযোগ পেলেও কোনো গোলের দেখা পায়নি।

অবশেষে সরাসরি ট্রাইবেকারে গড়ায় দু দলই। দু দলকে প্রথম ৫ টি করে বল দেওয়া হয়। সেখানেও ৫ টি করে গোল করে দু দল। পরে আরো একটি করে বল দেওয়া হয় সেখানেও ব্যার্থ হয় দুই দল। পেনাল্টির ৩য় দফায় গোলাম রহমান এক গোলে এগিয়ে থেকে জয়ের মালা ছিনিয়ে নেয়। অবেশেষে খেলায় বিচারকদের দৃষ্টিতে সেরা খেলোয়াড়ের হিসেবে নির্বাচিত হন গোলাম রহমান স্মৃতি সংঘের ফরোয়ার্ড সাব্বির। তার হাতে সেরা খেলোয়াড়ের পুরুস্কার তুলে দেন মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্টের পরিচালনা কমিটির সভাপতি এমদাদুল হক ও সদস্য মাহবুব হাসান ডালিম।

এসময় মেহেরপুর ফুটবল টুর্নামেন্টের আহবায়ক সাবেক কৃতি ফুটবলার এমদাদুল হক, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, খেলা পরিচালনা কমিটির নির্বাহী সদস্য মাসুদ করিম ধলস, শামীম জাহাঙ্গীর সেন্টু, সেলিম রেজা, হাসানুজ্জামান বাবু, জাহাঙ্গীর আলম, শামসুজ্জামান শামীম, মাহাবুব হাসান ডালিম ।

রেফারি হিসেবে মাঠে খেলা পরিচালনা করেন ঝিনাইদহ থেকে আসা রবিউল ইসলাম। তাকে সহযোগীতা করেন গাংনীর আব্বাছ আলী ও মুজিবনগরের সোহেল আহম্মেদ। চতুর্থ রেফারি হিসেবে ছিলেন টুটুল রহমান।
উত্তেজনাপূর্ণ খেলাটি দেখতে এলাকার ফুটবল প্রেমি দর্শকরা উপস্থিত ছিলেন।

আগামী ৮ জুন পঞ্চম ম্যাচে একই মাঠে সদর উপজেলার কোলা ইলেভেন স্টার ক্লাব ও ফাস্ট ক্যাপিট্যাল অব বাংলাদেশ (এফসিবি) লড়াই করবে।




দুটি ভিন্ন গ্রামে একই নামে দুটি বিদ্যালয়

গাংনীতে একই নামে দুটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিয়ে বিভ্রান্তিতে পড়েছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। বিদ্যালয়টি নিয়ে হাইকোর্টে রিট হয়েছে। ২০২২ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্ত হয়। এমপিও ভূক্তির কারনে এখন দু গ্রামের মানুষের মাঝে শুরু হয়েছে শক্তির লড়াই।

তবে, মামলার কারনে এখন আটকে গেছে বিদ্যালয় দুটির সকল উন্নয়ন কার্যক্রম। বিদ্যালয় দুটি উপজেলার মোমিনপুর ও গোয়ালগ্রামে অবস্থিত।

একই নামে চরগোয়ালগ্রামে আরেকটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে মোমিনপুর গ্রামের সচেতন মানুষজন মানববন্ধনসহ বিভিন্ন দফতরে চিঠি পত্র দিয়েছে। এমজিজিএম বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্ত হলেও আটকে গেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের এমপিওভূক্তকরণ।

সূত্র মতে জানা গেছে, ১৯৯৯ সালে গাংনী উপজেলার মোমিনপুরে স্থাপিত হয় ‘এমজিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়।’ পাশাপাশি চারটি গ্রামের নামের প্রথম অক্ষর (মোমিনপুর, গোয়ালগ্রাম (পাড়) গোয়ালগ্রাম (চর), মোহাম্মদপুর) দিয়ে শুরু হয় বিদ্যালয়ের কার্যক্রম।

অবশেষে ২০২২ সালে বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্ত হয়। ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হুদা ও কয়েকজন শিক্ষক মিলে বিদ্যালয়ের আইডি কোর্ড নং ব্যবহার করে মোমিনপুরের পরিবর্তে নিজ গ্রাম চরগোয়ালগ্রামে এসে একই নামে এমজিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থাপন করেন ২০১৯ সালে।

২০২২ সালে এমপিওভূক্ত হওয়ায় ১৯৯৯ সালের প্রথম স্কুল মোমিনপুরের পরিবর্তে ঠিকানা পরিবর্তন করে চরগোয়ালগ্রামে স্থাপিত ২০১৯ সালের স্কুলটিকে এমপিওভূক্তর ঠিকানায় ব্যবহার করার চেষ্টা চলছে।

এ নিয়ে মোমিনপুর গ্রামের সাধারণ মানুষ ও শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা মানববন্ধনসহ বিভিন্ন কর্মসূচি দিয়ে আন্দোলন করেছেন। তাদের দাবী প্রথম স্কুলটি ১৯৯৯ সালে মোমিনপুরে স্থাপিত হয়। অনেক কষ্ট করে স্কুলটিকে এ পর্যন্ত আমরা চালিয়ে আসছি। অথচ, স্কুলের প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হুদা নিয়ম বহির্ভূতভাবে মোমিনপুরের স্কুলটি উদ্যেশ্যে প্রনোদিতভাবে নিজ গ্রাম চরগোয়ালগ্রামে ২০১৯ সালে একই নামে স্থাপন করেন। ২২ সালে মোমিনপুর এমজিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্ত হলে প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হুদা চরগোয়ালগ্রামে স্কুলটিকে এমপিওভূক্ত দেখানোর চেষ্টা করছেন।

স্বারক নং উমাশিঅ/গাংনী/মেহের/২০১৯/৫১৬ তারিখ, ০৭/০২/২০১৯ গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার এমজিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থানান্তর ও ভূঁয়া কমিটি গঠণ সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন দাখিল করেন।

প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেন, গাংনী উপজেলাস্থ এমজিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয় স্থানান্তর ও ভূঁয়া কমিটি গঠণ সংক্রান্ত অভিযোগের তদন্তের জন্য ০১/০১/২০১৯ খ্রীষ্টাব্দ তারিখে কথিত স্থানান্তরিত বিদ্যালয়টিতে সরেজমিনে যায়। বিদ্যালয়টিতে গিয়ে দেখা যায় একটি নির্মীয়মান টিন শেড ভবনের সামনে খোলা আকাশের নিচে কিছু শিক্ষার্থী বেঞ্চে উপবিষ্ট। এমজিজিএম বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষককে সেখানে দেখতে পাওয়া যায়। এবং সেখানে গ্রামের অনেক অভিভাবক, গণ্যমান্য মুরব্বি উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান শিক্ষকের নিকট বিদ্যালয়ের স্থানান্তরের বিষয় জানতে চাইলে তিনিসহ অন্যান্য শিক্ষকগণ জানান, মুল বিদ্যালয়টি মোমিনপুর গ্রামে ভৌগলীক অবস্থার কারনে শিক্ষার্থী সংকট হয় ফলে শিক্ষার্থীর অভাবে বিদ্যালয়টি ধ্বংসের মুখে। অন্যদিকে স্থানান্তরিত বিদ্যালয়টি জনবহল এলাকায় হওয়ায় শিক্ষার্থীর সংকট নেই। অতপর স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তির বক্তব্য শুনে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণ ত্যাগ করে অদুরে অবস্থিত মুল এমজিজিএম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে যায়। সেখানে ছাত্র ছাত্রীসহ স্থানীয় অনেক অভিভাবক ও মুরব্বীগণ উপস্থিত ছিলেন। এলাকাবাসি এবং শিক্ষার্থীদের একটাই দাবী কোনো কিছুর বিনিময়ে তারা বিদ্যালয় স্থানান্তরের পক্ষে নয়। প্রয়োজনে তারা যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করতে রাজী।

গোয়ালগ্রামে স্থানান্তরিত প্রধান শিক্ষকের কাছে ভূঁয়া ম্যানেজিং কমিটি গঠণের ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি অকপটে স্বীকার করেন যে, ম্যানেজিং কমিটির কোনো সদস্যের কোনো সন্তান বিদ্যালয়ে অধ্যায়ন করেনা। ম্যানেজিং কমিটির বিপরীতে প্রদর্শিত শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ ভূঁয়া। এ সংক্রান্ত লিখিত প্রত্যায়পত্র ইতোপূর্বে প্রধান শিক্ষক সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জমা দিয়েছেন। তার স্বীকারোক্তির সাথে প্রত্যয়নপত্রের বর্ণনার হুবুহু মিল রয়েছে। যেহেতু অনুমোদিত কমিটির সকল সদস্যই ভূঁয়া। সেহেতু এই জাতীয় কমিটি গঠণ বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গভর্ণিং বডি ও ম্যানেজিং কমিটি সংক্রান্ত বিধিমালা ২০০৯ এর প্রবিধান-২ এর দফা (ক) এর উপদফা (খ) এর পরিপন্থী।

এই অবস্থায় মোমিনপুরে অবস্থিত প্রথম এমজিজিএম বিদ্যালয়টি এমপিওভূক্ত হিসেবে আইনগত সকল বিধি বিধান অনুযায়ী হওয়ার কথা থাকলেও নিজ গ্রামে স্থান পরিবর্তন করে প্রধান শিক্ষক আনোয়ারুল হুদা অবৈধ চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

মটমুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ জানান, দুই গ্রামের বাসিন্দাদের মধ্যে মনস্তাত্ত্বিক দ্বন্দ্বের ফলে একই নামে পৃথক দুটি বিদ্যালয় তৈরি করা হয়েছে। এমনকি বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। তিনি চেষ্টা করেও দুই প্রতিষ্ঠান এক করতে ব্যর্থ হয়েছেন।

মেহেরপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্বাছ উদ্দীন বলেন, আমি নতুন এসেছি। এখনও পুরো বিষয়টি বুঝে উঠতে পারিনি। আমি খোঁজ খবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবো। তবে, সমাধান না হওয়া পর্যন্ত ওই বিদ্যালয়ের শিক্ষক এমপিও’র বেতন ভাতা দেওয়া হবেনা।




মেহেরপুরে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন

মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে।গতকাল সোমবার সকাল ১০ টার দিকে মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে এই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করা হয়।

সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী আনিসুজ্জামান সভাপতিত্বে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম ফিতা কেটে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করেন।

মেলায় জেলার ৩টি উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ১৬ টি স্টল স্থান পেয়েছে। পরে জেলা প্রশাসক মেলার স্টল পরিদর্শন করেন।

মেলার স্টল পরিদর্শন কালে অন্যান্যদের মধ্যে মেহেরপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্বাস উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজমল হোসেন, সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গোলাম রাব্বানী সোহেল, রিফাত জাহান, দেবাংশু বিশ্বাস, উপস্থিত ছিলেন।

উদ্বোধন শেষে দুপুরের দিকে মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মিলনায়তনে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ এবং বিজ্ঞান মেলা উপলক্ষে “ইন্টারনেটে আসক্তির ক্ষতি ” শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে(জুমের মাধ্যমে) প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন।

“ইন্টারনেটে আসক্তির ক্ষতি ” শীর্ষক সেমিনারে মূল প্রতিপাদ্যের উপর আলোচনা করেন মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের প্রভাষক নিষ্কৃতি মন্ডল।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর রফিকুল ইসলাম।

সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: রনী খাতুনের সঞ্চালনায় সেমিনারের অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্বাস উদ্দিন, সহকারী পুলিশ সুপার ইমদাদ হোসেন বিপুল, মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এর ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী আনিসুজ্জামান প্রমূখ।




মেহেরপুরে ২ সফল খামারী উদ্যেক্তাদের মাঝে সম্মাননা সনদ ও ক্রেষ্ট প্রদান

মেহেরপুরে দারিদ্র বিমোচনের সমন্তিত কৃষি ইউনিট (প্রানী সম্পদ খাত) এর আওতায় ২ জন সফল খামারী উদ্যেক্তাদের মাঝে সম্মাননা সনদ ও ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়েছে।

গতকাল সোমবার বিকালে মেহেরপুরের বেসরকারি সংস্থা “দারিদ্র বিমোচন সংস্থার” মিলনায়তনে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। দারিদ্র বিমোচন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক মো: আবু জাফরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর জেলা প্রাণী সম্পদ অফিসার (ডিএলও) কৃষিবিদ মো: সাইদুর রহমান। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, সমাজ সেবা অফিসার সোহেল মাহমুদ।

এছাড়া বক্তব্য রাখেন, দারিদ্র বিমোচনের সমন্তিত কৃষি ইউনিটের ফোকাল পার্সন মো: জালাল উদ্দীন, সফল উদ্যেক্তা জাহানারা খাতুন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনায় ছিলেন, কৃষিবিদ মো: সাজিদুর রহমান ও প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মো: রুহুল আমিন সরদার।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন, দারিদ্র বিমোচন সংস্থার শাখা পর্যায়ের কর্মকর্তা ও কর্মচারীবৃন্দ, সাধারণ ও সফল খামারীগন।

উল্লেখ্য, পল্লী কর্ম সহায়ক পিকেএসএফের সহযোগীতায় দারিদ্র বিমোচন সংস্থা সমন্বিত কৃষি ইউনিটের আওতায় গ্রামীণ মানুষকে খামার ও উদ্যোক্তা হিসেবে সৃষ্টি করে তাদের ঋণ দিয়ে গরু মোটাতাজাকরণ, পাঠা পালন ও ছাগল, হাসমুরগী পালনের উপর প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদের আত্মনির্ভরশীল হিসেবে গড়ে তুলছেন। এই প্রকল্পের আওতায় সুবিধাভোগীদের আরও উদ্বুদ্ধকরণের জন্য প্রতি বছর শ্রেষ্ট খামারীদের মাঝে ক্রেষ্ট, সম্মাননা স্বারক ও নগদ টাকা দিয়ে থাকে।




শ্যামপুরকে ৫-০ গোলে হারিয়ে আমঝুপি ক্লাব ও লাইব্রেরী দ্বিতীয় রাউন্ডে

মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর তৃতীয় দিনের খেলায় আমঝুপি ইউনিয়ন একাদশকে ৫-০ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে আমঝুপি ক্লাব ও লাইব্রেরী।

উত্তেজনাপূর্ণ খেলাটিতে প্রথম অর্ধের ১৫ মিনিটের সময় আমঝুপি ক্লাব ও লাইব্রেরী ৭ নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় মিরাজ ১ টি গোল করে দলকে এগিয়ে নেন। এর পর ২১ মিনিটের সময় ৬ নং জার্সি পরিহিত খেলোয়াড় দিপু আরেকটি গোল করে ২-০ শুন্য গোলে এগিয়ে নেন দলকে। দ্বিতীয় অর্ধের ১৩ মিনিটের সময় আমঝুপি ক্লাব ও লাইব্রেরীর হিমেল ১ টি, ১৯ মিনিটের সময় শামীম ১ টি ও ৪৪ মিনিটের সময় দিপু আরেকটি গোল করে দলকে ৫-০ গোলে দলকে এগিয়ে নেন।

তবে, খেলায় শ্যামপুর ইউনিয়ন একাদশ বেশ কয়েকটি এগোলা করার সুযোগ পেলেও তারা ব্যার্থ হয়।
খেলায় বিচারকদের দৃষ্টিতে সেরা খেলোয়াড়ের হিসেবে নির্বাচিত হন আমঝুপি ক্লাব ও লাইব্রেরীর ফরোয়ার্ড দিপু। তার হাতে সেরা খেলোয়াড়ের পুরুস্কার তুলে দেন মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্টের পরিচালনা কমিটির সদস্য আনোয়ারুল হক কালু।

এসময় মেহেরপুর ফুটবল টুর্নামেন্টের আহবায়ক সাবেক কৃতি ফুটবলার এমদাদুল হক, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমীন, ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, খেলা পরিচালনা কমিটির নির্বাহী সদস্য মাসুদ করিম ঢলস, আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, সেলিম রেজা, আনোয়ারুল হক কালু, হাসানুজ্জামান বাবু, জাহাঙ্গীর আলম, শামসুজ্জামান শামীম, মাহাবুব হাসান ডালিম ।

রেফারি হিসেবে মাঠে খেলা পরিচালনা করেন ঝিনাইদহ থেকে আসা রবিউল ইসলাম, গাংনীর আব্বাছ আলী ও মুজিবনগরের সোহেল আহম্মেদ। খেলায় চতুর্থ রেফারি হিসেবে ছিলেন, মেহেরপুরের কৃতি ফুটবলার ইয়ারুল ইসলাম।

উত্তেজনাপূর্ণ খেলাটি দেখতে এলাকার ফুটবল প্রেমি দর্শকরা উপস্থিত ছিলেন।

আগামীকাল ৬ জুন মঙ্গলবার ৪র্থ ম্যাচে একই মাঠে গাংনী উপজেলার ধানখোলা ইউনিয়নের চিৎলা জাগরণী ক্লাব ও আমদহ ইউনিয়নের গোলাম রহমান স্মৃতি সংঘ লড়াই করবে।




মেহেরপুর বড়বাজারে দিনদুপুরে ছিনতাই করার সময় গণধোলাইয়ের শিকার মাদকাসক্ত

মেহেরপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে বড় বাজারের বিশিষ্ট সার ব্যবসায়ী মিরাজুল হক লিটনকে তার দোকানের সামনে ধারালো অস্ত্র নিয়ে আক্রমন করে বাবলু নামের এক দূর্বৃত্ত। এ সময় উপস্থিত জনতা ও ব্যবসায়ীরা বাবলুকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে।

সোমবার দুপুর ৩ টার সময় এ ঘটনা ঘটে। হামলার শিকার মিরাজুল হক লিটন (৪৭) মৃত সামাদের ছেলে এবং মুখার্জিপাড়ার মৃত মোয়াজ্জেম হোসেনের জামাই। আক্রমণকারী বাবলু বাবুল থানা রোড নিবাসী আব্দুর রবের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা গেছে, সোমবার বিকাল ৩টার দিকে বড় বাজারের বিশিষ্ট সার ব্যবসায়ী লিটনকে তার দোকানের সামনে ধারালো অস্ত্র নিয়ে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে লিটনের উপরে হামলা চালায় মাদকাসক্ত বাবলু। এ সময় উপস্থিত জনগন বাবলুকে ধরে গণধোলাই দেয় এবং পুলিশকে জানায়। পুলিশ এসে গণধোলাইয়ের শিকার বাবলুকে হেফাজতে নেয়।




আলমডাঙ্গায় শীর্ষ মাদক বিক্রেতা বোমা কালাম গাঁজাসহ গ্রেপ্তার

৫’শ গ্রাম গাঁজাসহ আলমডাঙ্গা উপজেলার বেলগাছি এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম ওরফে বোমা কালাম (৪৫) কে আটক করেছে পুলিশ।

আটকৃত আবুল কালাম বেলগাছি মালিথা পাড়ার সাহেব আলী মালিথার ছেলে। সোমবার আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।

সে আঞ্চলিক ভাবে বোমা কালাম হিসেবে পরিচিত থাকলেও বর্তমানে সে শীর্ষ মাদকদ্রব্য গাঁজা ব্যবসায়ী নাম খ্যাতি অর্জন করেছে। তার বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা সহ বিভিন্ন থানায় একাধিক মাদক সহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে।

পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, উপজেলার বেলগাছি ইউনিয়নের মালিথা গ্রামের আবুল কালাম ওরফে বোমা কালাম। সে দীর্ঘদিন যাবৎ মাদকদ্রব্য গাঁজা বিক্রয় করে আসছে। ইতিপূর্বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী র্যাব, ডিবি, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদফতর সহ আলমডাঙ্গা থানাপুলিশ তাকে একাধিকবার গ্রেপ্তার করে।

সে বেলগাছি সহ পার্শ্ববর্তী ডামোশ, কেদারনগর, কাশিপুর, ফরিদপুর, এরশাদপুর ছাড়াও পৌর এলাকার বিভিন্ন এলাকায় খুচরা ও পাইকারি গাঁজা বিক্রয় করে। কালামের অনুপস্থিতিতে তার স্ত্রী মাদকদ্রব্য গাঁজা বিক্রয়ের হাল ধরে।

এসুত্রে আলমডাঙ্গা থানাপুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেলগাছি শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালামের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশ কালামের বাড়ির পাশের আম বাগান থেকে তাকে আটক করে। কালামের তথ্যমতে ৫’শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে পুলিশ।




আলমডাঙ্গায় ৯৯৯ এ কল/ চার ছাত্রকে উদ্ধার করলো পুলিশ

আলমডাঙ্গার হারদিতে তুচ্ছ ঘটনায় চার কলেজ শিক্ষার্থীকে বেধড়ক পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে ইন্টারনেট ব্যবসায়ী মিন্টুর বিরুদ্ধে।

গত রোববার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হারদি এলাকার ডিসমোড়ে একটি ছাত্রাবাসে এ ঘটনা ঘটে। আহত চার কলেজ শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

আহত কলেজ ছাত্ররা হলেন, সিয়াম উদ্দিন, নাঈম, শুভ ও ইমরান। এরা প্রত্যেকে আলমডাঙ্গার হারদী এম,এস জোহা ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী।

ভুক্তোভোগী ছাত্ররা বলেন, আমাদের ছাত্রাবাসে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবাদাতা কার্নিভাল প্রতিষ্ঠানের ইন্টারনেট ব্যবহার করে আসছি। এই প্রতিষ্ঠানের অনু ডিভাইজ (অপটিক্যাল সিগন্যাল কে ইলেকট্রিক্যাল সিগন্যাল এ রূপান্তর করে) ঘরের মধ্যে থাকায় বাইরে দেয়ার জন্য দীর্ঘদিন যাবত স্থানীয় প্রতিনিধি মিন্টুকে তাগিদ দেয়া হয়। রোববার রাতে অনু ডিভাইজ সরিয়ে নেয়ার জন্য ১ হাজার টাকা সার্ভিজ চার্জ দাবি করে। অতিরিক্ত চার্জ দিতে আপত্তি করলে মিন্টুর সঙ্গে আমাদের কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে মিন্টুর হাতে থাকা লোহার সেলাই রেঞ্জ দিয়ে শিক্ষার্থী সিয়ামের মাথায় আঘাত করে। এতে তার মাথা ফেটে যায়। পরে শিক্ষার্থী নাইম, শুভ ও ইমরানকে হাত দিয়ে কিল ঘুষি মেরে আহত করে।

বিষয়টি তাৎক্ষনিক জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ কল করা হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে আমাদের উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠায়।

আহত সিয়াম উদ্দিনের মামা নজির উদ্দিন বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ভাগ্নের উপর হামলা করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে মিন্টু। হারদি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। গতকাল সোমবার মাথায় সিটিস্ক্যান করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ।

ইন্টানেট ব্যবসায়ী মিন্টু বলেন, সার্ভিস চার্জ ১হাজার টাকা বলায় শিক্ষার্থীরা আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে হামলা করে। এতে আমার হাত কেটে গেছে। আমিও পালটা হামলা করেছি।




চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষ রোপন

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ লাইন্সে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে বৃক্ষ রোপন করা হয়েছে।

সোমবার বেলা সাড়ে দশটার সময় পুলিশ লাইন্স প্যারেড মাঠের চতু্র্দিকে সীমানা প্রাচীর ঘেঁষে প্রায় ০.৭৫ কি.মি. এলাকায় শতাধিক মেহগনি গাছের চারা রোপন করা হয়।

গাছ লাগিয়ে যত্ন করি, সুস্থ প্রজন্মের দেশ গড়ি প্রতিপাদ্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের আয়োজনে এবং বেসরকারি প্লাটফর্ম বনায়ন এর সহযোগিতায় সবুজ বাংলাদেশ বিনির্মাণে যা পর্যায়ক্রমে চুয়াডাঙ্গা জেলার সকল ইউনিট- থানা, ফাঁড়ি, তদন্ত কেন্দ্র এবং ক্যাম্পে ফলজ বনজ ও ঔষধি গাছের চারা রোপনের আওতায় আনা হবে।

উক্ত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মোঃ আবু তারেক, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্স পুলিশ পরিদর্শক (সঃ) কাশেম আলী, ঝিনাইদহ লিফ রিজিওন রিজিওনাল লীফ ম্যানেজার মাজেদুল হক খাঁন, এআইও মোহাম্মদ সরোয়ার আলম, মোঃ আতিয়ার রহমান, তানভির নিশাত সহ অন্যান্য পুলিশ সদস্যবৃন্দ।