মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি : প্রসঙ্গ বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন

 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি : প্রসঙ্গ বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন
মজিবর রহমান

একটি বিষয় বাংলাদেশে বেশ জোরেশোরেই আলোচনা হচ্ছে। সেটা হলো বাংলাদেশের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নতুন ভিসানীতি। আমি ভেবেছিলাম এটা কেবল শহুরে শিক্ষিত মানুষের আলোচনার বিষয়। বিশেষ করে রাজনীতি সচেতন মানুষজন এসব নিয়ে আলোচনা করছেন। কিন্তু আমার ধারণা ভূল প্রমাণ করলেন গ্রামের একজন সাধারণ মানুষ। কয়েকদিন আগে গ্রামের একটা চা স্টলে বসেছিলাম চা পানের জন্য। আমার সমবয়সী একজন আমাকে প্রশ্ন করে বসলেন- আমেরিকার ভিসাানীতি কী পারবে বাংলাদেশে অবাধ, সুষ্ঠ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে? আমি নিজে যে জবাবটা জানি অথবা যে জবাবটা দিতাম সেটা না দিয়ে উল্টো তাকেই জিজ্ঞেস করলাম তোমার কী মনে হয়? তিনি কোন ভাবনা চিন্তা ছাড়াই দৃঢ়তার সাথে জবাব দিলেন- পারবে। আমি বিস্ময়ভরা দৃষ্টে তার দিকে তালকালাম। আমি কিছু বলার আগেই তিনি বলতে লাগলেন সরকারি এবং বিরোধীদলগুলোর বড় বড় নেতাদের কথা শুনে মনে হচ্ছে একটা ভালো নির্বাচন না করে তাদের কোন উপায় নেই। আবার তাকে প্রশ্ন করলাম উপায় নেই মানে কী? জবাবে তিনি যা বললেন তাতে আমার চোখ ছানাবড়া হয়ে উঠলো। সে বললো- স্বার্থ। নিজেদের স্বার্থে সরকারি এবং বিরোধীদলগুলো একটা ভালো নির্বাচনের দিকে এগুবে। না হলো তো তাদের স্বপ্নের দেশের দরজা বন্ধ হযে যেতে পারে। ঘুষ-দূর্নীতি করে কামানো টাকার নিরাপত্তা ও সে টাকা দিয়ে ভোগ-বিলাস করবে কোথায়? তাছাড়া প্রয়োজনে পালানোর পথটাও তো পরিস্কার থাকা চাই। গ্রামের একজন সাধারণ খেটে খাওয়া মানুষের এরকম বুদ্ধিদীপ্ত আলোচনা আমাকে মুগ্ধ করেছে। হতে পারে হাজারো মানুষের চিন্তার প্রতিফলন এটা। নিজেকেই নিজে প্রশ্ন করি আমরা কী এরকম রাজনীতি কিংবা রাজনীতিবিদ চেয়েছিলাম? যাদের ওপর জনগণ আস্থা রাখতে কিংবা বিশ^াস করতে পারছে না। অথচ এই সাধারণ মানুষই তো একদিন রাজনীতিবিদদের কথায়, তাঁদের ওপর আস্থা ও বিশ^াস রেখে ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৫৪’র যুক্তফ্রন্ট নির্বাচন, ৬২’র শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬’র ছয় দফা আন্দোলন, ৬৯’র গণঅভ্যত্থান, ৭১’র মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং ৯০’র গণআন্দোলনে স্বতঃস্ফুর্ত অংশগ্রহণ করে।
যাক, ফিরে আসি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ঘোষিত নতুন ভিসানীতির ব্যাপারে। গত ২৪ মে ২০২৩ বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে উৎসাহিত করতে বাংলাদেশের জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নতুন ভিসানীতি ঘোষণা করেছেন। বাংলাদেশের গণতন্ত্রের বেহাল দশা, নির্বাচন প্রক্রিয়া, মানবাধিকার পরিস্থিতি, মত প্রকাশের স্বাধীনতা বিশেষ করে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার ইত্যাদির বাপারে যুক্তরাষ্ট্র ও পশ্চিমাদের আপত্তির কথা আমাদের সবারই মোটামুটি জানা। এখন যে কেউ প্রশ্ন করতেই পারেন এই ভিসানীতি তো নিষেধাজ্ঞা নয়। তবে এটা নিয়ে কেন এতো মাতামাতি, এতো চুলচেরা বিশ্লেষণ কেনই বা এতো ভীতি? আমরা র‌্যাবের কর্মকর্তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞার কথা কথা জানি। এটা র‌্যাব ছাড়া অন্যকোন সংস্থার ওপর প্রভাব পড়েনি। কিন্তু এই ভিসানীতি নির্বাচন বাধাগ্রস্ত করতে পারে এরকম নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলেই পড়তে পারেন। রাজনৈতিক, প্রশাসনিক, আইনশৃঙ্খলা কর্তৃপক্ষ, বিচারিক এমনকি সামাজিক নেতৃত্বের যে কেউই এর আওতায় চলে আসতে পারে। তার মানে নির্বাচনের সাথে সংশ্লিষ্ট কেউই এই প্রক্রিয়ার বাইরে না। এমনকি তাদের পরিবারের সদস্যরাও এর আওতায় পড়তে পারেন। কাজেই এর প্রভাব নিষোধাজ্ঞার চেয়ে বেশি বৈ কম নয়। স্বভাবতই এ প্রশ্ন আসতে পারে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা কী এমন গুরুত্বপূর্ণ জিনিস যে সেটা পেতেই হবে? হয়তো সাধারণ মানুষের জন্য এটা তেমন গুরুত্ব বহন করে না। কারণ সেখানে তাদের ব্যবসা বাণিজ্য নেই, সম্পদ নেই, তাদের ছেলেমেয়েরা সেখানে পড়াশুনা করে না। তারা এদেশে নিজেদেরকে অনিরাপদ ভাবেন না। দেশের প্রতি তাদের ভালোবাসারও কোন কমতি নেই। কাজেই তাদের কাছে এর তেমন একটা গুরুত্বও নেই। কিন্তু রাজনীতিবিদ, আমলা এদের কাছে এটা মহামূল্যবান। এটা ছাড়া তাদের চলবে না। কারণ এদেশে তাদের ছেলেমেয়েদের পড়াশুনা হয় না, তাদের অনৈতিকভাবে উপার্জিত সম্পদ নিরাপদ নয়। কাজেই যে কোন মূল্যে তাদের এর আওতার বাইরে থাকতেই হবে।
সরকারি ও বিরোধীদলের বাঘা বাঘা নেতারা সব তাদের মতামত দিয়ে যাচ্ছেন। যদিও কোন দল তাদের দলীয় অবস্থানটা এখনো পরিস্কার করেননি। তবে সরকারিদলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা বলছেন এই বিরোধী শিবিরকে চাপে ফেলবে। কারণ তারা সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে, কিংবা নির্বাচন প্রতিহত করতে গিয়ে জ¦ালাও পোড়াওয়ের রাজনীতি করতে পারবেন না। আর করলেই সুষ্ঠ অবাধ নির্বাচন বাধাগ্রস্ত হয়েছে মর্মে ভিসানীতির খড়গ তাদের ওপর পড়তে পারে। সরকারিদলের নেতারা মনে করছেন এতে তারা সুবিধা পেতে পারেন। আবার বিরোধী শিবির বলছেন এটা সরকার ও সরকারিদলকে চাপে ফেলবে। একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন দেয়া ছাড়া তাদের কোন পথ খোলা নেই। বিরোধীদের প্রতি কঠোর অবস্থান নেয়া মানে একটা অস্থীতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা তৈরি হওয়া। যা সবার গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচনের জন্য বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। আর তা হলেই নতুন ভিসানীতির মারপ্যাঁচে পড়ে যেতে পারেন।
তাদের এ ধরনের বক্তব্য জনগণকে আশাবাদী করে তুলছে নিশ্চয়ই? নতুন ভিসানীতির খড়গ যেন নিজেদের ওপর না পড়ে সেদিকে খেয়াল রাখতে গিয়ে উভয় পক্ষই নমনীয় আচরণ করবে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে উভয় শিবির নিজেদের জন্য, নিজেদের স্বার্থে যুক্তরাষ্ট্রের দরজা খোলা রাখার স্বার্থে ভিন্নভাবে হলেও একটা ঐক্যমত্যে পৌঁছে অবাধ, সুষ্ঠ ও সবার গ্রহণযোগ্য একটা নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে। যুক্তরাষ্ট্রের দরজা খোলা রাখার জন্য হলেও জনগণের চাওয়া অনুযায়ী যদি একটা ভালো নির্বাচন হয়, যদি জনগণ তাদের নিজেদের ভোটাধিকার ফিরে পায় তাহলে সেটাই বা মন্দ কী?




মুজিবনগরে রসনা বিলাশ বাঙালির আম ও চিড়া উৎসব

মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের নিয়ে মধু মাসে বাঙালির ঐতিহ্য রসনা তৃপ্তির প্রধান উপকরণ আম ও চিড়া উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার (৩ জুন) সকাল ১০ টার দিকে কেদারগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে উদ্যোগে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আনন্দঘন উৎসবমুখর পরিবেশে এই আম ও চিড়া উৎসব অনুষ্ঠিত হয়।
বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক নাসরিন খাতুন এর সভাপতিত্বে আম উৎসবে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহধর্মিনী বিপাশা বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, কেদারগঞ্জ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি হাসানুজ্জামান লালটুসহ স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ।
আম উৎসবে শুরুতেই অতিথিবৃন্দকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান স্কুলের শিক্ষার্থীরা পবিত্র কোরআন তেলাওয়াতের মধ্য দিয়ে শুরু হয় আম উৎসব।
আম উৎসবে মেহেরপুর ও মুজিবনগরের সেই বিখ্যাত গাছ পাকা হিমসাগর আম, চিড়া, দই এবং মিষ্টি দিয়ে আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে আপ্যায়ন করা হয় অতিথিবৃন্দ ও স্কুলের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের।




উত্তেজনাপূর্ণ উদ্বোধনী খেলায় বিজয়ী রামদেবপুর ফ্রেন্ডস ফুটবল দল

মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর উদ্বোধনী খেলায় মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের চাঁদবীল শেরেবাংলা ফুটবল একাদশকে ট্রাইবেকারে ৭-৬ গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছে গাংনী উপজেলার রামনগর ফ্রেন্ড ফুটবল একাদশ।

গতকাল শুক্রবার বিকেলে মেহেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে আয়োজিত ফুটবল টুর্নামোন্টে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌর সভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন।

খেলার প্রথমার্ধের ২৫ মিনিটের সময় রামদেবপুর ফ্রেন্ডস একাদশের পক্ষে মানিক একটি গোল করে দলকে ১-০ গোলে এগিয়ে নিয়ে যান। তারপর দীর্ঘ সময় অপেক্ষার পর দ্বিতীয় অর্ধের ৮ মিনিটের সময় চাঁদবীল শেরেবাংলা ফুটবল একাদশের পক্ষে রাসেল একটি দিয়ে খেলায় সমতা ফিরিয়ে আনেন। এর পর শুরু হয় আক্রমন পাল্টা আক্রমন। এসময়ের মধ্যে উভয় দলই গোল করার একাধিক সুযোগ পেলেও দু দলই গোল পোষ্ট বল প্রবেশ করাতে ব্যার্থ হয়। টান টান উত্তেজনাপূর্ণ খেলাটি শেষ অবধি ট্রাইবেকারে গড়াই।

রেফারী রবিউল ইসলামের সিদ্ধান্ত মোতাবেক দুই দলকে ৫ টি করে বল করার সুযোগ দেন। দু দলই ৪ টি করে গোল দিয়ে আবারো খেলায় সমাতা ফিরিয়ে আনেন। এর পরে রেফারি দ্বিতীয় ট্রাইবেকারে ৩ টি করে বল করার সুযোগ দেন। এতে রামদেবপুর ফ্রেন্ডস ফুটবল একাদশ পর পর দুটি গোল করলে ও চাঁদবীল শেরেবাংলা ফুটবল একাদশ পর পর দুটি গোল মিস করলে শেষ পর্যন্ত রেফারির বাঁশি রামনগর ফ্রেন্ডস ফুটবল একাদশকে বিজয়ী ঘোষণা করেন।

রামদেবপুর ফ্রেন্ডস একাদশের পক্ষে গোল করেন মোবিন, রওনক,সাহাব, আরিফুল, শামীম, হামজা ও মারুফ। এদিকে চাঁদবীল শেরেবাংলা ফুটবল একাদশের পক্ষে গোল করেন, সাকিব, হানিফ,সুজন, মহব্বত ও রাসেল।

খেলায় রেফারির দায়িত্বে ছিলেন ঝিনাইদহ থেকে আসা রেফারি রবিউল ইসলাম, সহকারি রেফারির দায়ীত্ব পালন করেন মাহাবুবুর রহমান ও আব্বাছ আলী এবং চতুর্থ রেফারির দায়ীত্ব পালন করেন মেহেরপুরের ইয়ারুল ইসলাম।

আজ শনিবার (৩ জুন) একই মাঠে অনুষ্ঠিত হবে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়ন একাদশ বনাম শালিকা টাইগার ক্লাবের মধ্যেকার খেলা।




পর্দা উঠলো মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্টের

মেহেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে গতকাল শুক্রবার বিকালে জমজমাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উম্মোচিত হলো মেহেরপুরের ইতিহাসের সব চেয়ে বড় ফুটবলের আসর মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩।

উদ্বোধনী দিনে একদিকে খেলেছে তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের রামদেবপুর ফ্রেন্ডস ফুটবল একাদশ বনাম আমঝুপি ইউনিয়নের চাঁদবীল শেরে বাংলা ফুটবল একাদশ।

মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনা এবং চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের সাবেক কৃতি ফুটবলারদের সরব উপস্থিতিতে মেহেরপুরের ফুটবল ইতিহাসের এক নতুন অধ্যায় সৃষ্টি হলো।

গতকাল শুক্রবার বিকাল ৩টায় মেহেরপুর সরকারি কলেজ ফুটবল মাঠে জাতীয় পতাকা ও ফুটবল টুর্নামেন্টের পতাকা উত্তোলন, পায়রা অবমুক্তকরণ ও শুভেচ্ছা বক্তব্যের মধ্য দিয়ে এই টুর্নামেন্টের জমজমাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
টুর্নামেন্টের আহবায়ক এমদাদুল হকের সভাপতিত্বে টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করেন, মেহেরপুর পৌর সভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন।

এসময় পৌর মেয়র বলেন, অনেক জল্পনা কল্পনা ও বাঁধা বিপত্তি পেরিয়ে এ টুর্নামেন্ট শুরু হলো। এ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্যে দিয়ে মেহেরপুরের হারিয়ে যাওয়া ঐতিহ্যবাহী ফুটবল খেলা ফিরে আসবে বলে বিশ্বাস করি।

আমন্ত্রিত অতিথি ছিলেন, মেহেরপুর প্রতিদিনের প্রকাশক এম এ এস ইমন, প্রবীন ক্রীড়াবিদ রমজান আলী, প্রবীন শিক্ষক আব্দুর রহমান, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুল মান্নান, সাবেক কৃতি ফুটবলার আব্দুস সামাদ, প্রিমিয়ার সুইটস এর বাংলাদেশ কান্ট্রি ডিরেক্টর মাহবুবুর রহমান বকুল, বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে) কোর্স চুয়াডাঙ্গার কৃতি ফুটবলার সারোয়ার হোসেন মধু, চুয়াডাঙ্গার আরেক সাবেক কৃতি ফুটবলার হ্যাজি, মেহেরপুরের সাবেক কৃতি সাতারু হাফিজুর রহমান হাফি, সাবেক কৃতি ফুটবলার হিরক, আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, আজমাইন হোসেন, কিসলুসহ অনেকে।

“মাঠে এসো খেলা হবে, কাপানো সেই হুংকারে” থিম সং আর মনোমুগ্ধকর পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এই আসর।




মেহেরপুর মল্লিক পাড়ায় ড্রেন সহ রাস্তা উদ্বোধন

গতকাল শুক্রবার দুপুরের দিকে মেহেরপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ড মল্লিক পাড়া ড্রেন সহ রাস্তা উদ্বোধনের আয়োজন করা হয়।

উদ্বোধন কালে মেহেরপুর পৌরসভার মেয়র ও মেহেরপুর জেলা যুবলীগের আহবায়ক মাহফুজুর রহমান রিটন বলেন মেহেরপুর পৌরসভা ৭ নম্বর ওয়ার্ড মল্লিক পাড়া এলাকায় বৃষ্টি হলে এক হাঁটু পরিমাণ পানি জমে যেত রাস্তার উপর যার ফলে এই মহল্লাতে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়তো। মানুষের দীর্ঘদিনের দাবি এবং আমরা এই টেন্ডারটা করতে সক্ষম হয়েছি।




মুজিবনগরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার-৭

মুজিবনগর থানা পুলিশের ১২ ঘন্টার অভিযানে নিয়মিত মামলার ৩ ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ৪ জনসহ ৭ আসামি গ্রেফতার করেছে।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময়ে আজ শুক্রবার (২ জুন) ভোররাত পর্যন্ত উপজেলার পৃথক গ্রামে অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন।
মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেলের নেতৃত্বে গ্রেফতার অভিযান পরিচালিত হয়।
আজ শুক্রবার (২ জুন) বেলা ১১ টার দিকে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




আজ পর্দা উঠছে মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্টের

আজ শুক্রবার বিকালে জমজমাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে পর্দা উঠবে মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩ এর।
উদ্বোধনী দিনে একদিকে খেলবে তেঁতুলবাড়িয়া ইউনিয়নের রামদেবপুর ফ্রেণ্ডস একাদশ বনাম আমঝুপি ইউনিয়নের চাঁদবীল শেরেবাংলা ক্লাব।মেহেরপুর সরকারি কলেজ মাঠে জমজমাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে উম্মোচিত হবে মেহেরপুরের ইতিহাসের সব চেয়ে বড় ফুটবলের আসর। মনোমুগ্ধকর উপস্থাপনা এবং মেহেরপুরের কৃতি ফুটবলারদের সম্মাননা জানানোর মধ্য দিয়ে মাঠে গড়াবে  মেহেরপুর প্রতিদিন ফুটবল টুর্নামেন্ট ২০২৩। শুক্রবার বিকাল ৩টায় শুরু হবে জমজমাট উদ্বোধনী অনুষ্ঠান।

টুর্নামেন্টের আহবায়ক এমদাদুল হক বলেন, “মাঠে এসো খেলা হবে, কাপানো সেই হুংকারে” থিম সং আর মনোমুগ্ধকর পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হবে মেহেরপুর কলেজ মাঠের ফুটবল খেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের এই আসর।
তিনি বলেন, ফুটবল খেলা হলো মানুষের কাছে এক দারুণ বিনোদন। আমি আশা করছি চমৎকার একটি মৌসুম কাটবে এই টুর্নামেন্ট আয়োজনের মধ্য দিয়ে।’
মেহেরপুর প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক ও টুর্নামেন্ট আয়োজক কমিটির সদস্য সচিব মাহাবুব চান্দু বলেন, সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। এখন শুধু উদ্বোধনের পালা। তিনি বলেন, বর্তমান প্রজন্ম একটি মোবাইল ফোন আর ইন্টারনেট কানেকশনের মধ্যে আটকিয়ে আছে। আমাদের দেশের সকল জনপ্রিয় খেলাধুলা গুলোও এখন বিলুপ্তির পথে। এই যুগের ছেলে মেয়েরা বিনোদন থেকে বঞ্চিত হয়ে তারা বিপথে পা বাড়াচ্ছেন। আমরা আমাদের সমাজ ও দেশ হারাচ্ছেন আমাদের সোনার ছেলেদের।
তিনি আরো বলেন, মেহেরপুর প্রতিদিন শুধু সংবাদ পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে বসে না থেকে আয়োজন করেছে মেহেরপুরের ইতিহাসের সব চেয়ে বড় ফুটবলের আসর। আমরা আশা করি এই আয়োজনের মধ্যে দিয়ে আমাদের ছেলে মেয়েরা ফিরে আসবে সেই হারানো ঐতিহ্যবাহি খেলাধুলার দিকে। আমরা এই সমাজের কল্যাণকর সব ধরনের আয়োজন করে আমাদের সেই দায় দায়ীত্ব পালন করবো। খেলাটি সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য সব ধরনের সহযোগীতা করার জন্য প্রশাসন, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও আপামর জনসাধারণকে আহবান জানান তিনি।

টুর্নামেন্টে জেলার বিভিন্ন এলাকার ১৬টি দল অংশ নিচ্ছে। চ্যাম্পিয়ন দল পুরস্কার হিসেবে পাবে নগদ ৫০ হাজার টাকা ও ট্রফি এবং রানার্স আপ দল পাবে নগদ ৩০ হাজার টাকাসহ ট্রফি। এছাড়া রয়েছে একগুচ্ছ পুরস্কার। টুর্নামেন্টের সবগুলো খেলা একযোগে সম্প্রচার হবে রাজধানী টিভি, মেহেরপুর প্রতিদিনের ফেসবুক পেজ ও ইউটিউব চ্যানেল ও রেডিও পায়রাতে।




কোটচাঁদপুরে ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে দোকানে চুরি

কোটচাঁদপুরে আড়ৎতের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে এক ব্যবসায়ীর চাল ও নগদ টাকা চুরি হয়েছে। গতকাল বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে পারলাটের বিদুৎ অফিসের সামনে।

ভুক্তভোগী জহুরুল ইসলাম বলেন,প্রতিদিনের ন্যায় বুধবার রাতে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে বাড়িতে যায়।  আজ বৃহস্পতিবার সকালে এসে দেখতে পায় দোকানে থাকা চাল নাই আর ড্রয়ারে রাখা টাকা ও নাই।

তিনি বলেন, টাকা আর চাল মিলে আমার ৮২ হাজার টাকা ক্ষতি সাধিত হয়েছে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। জহুরুল ইসলাম উপজেলার ফুলবাড়ি গ্রামের মৃত রবিউল আওয়ালের ছেলে।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বলেন, চুরির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করেনি।




ইস্টার্ন ব্যাংকে চাকরির সুযোগ

সম্প্রতি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটি তাদের ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট, ট্রান্সজেকশন ব্যাংকিং বিভাগে লোকবল নিয়োগ দেবে। আগ্রহীরা আগামী ৩ জুন পর্যন্ত অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম: রিলেশনশিপ অফিসার।

পদের সংখ্যা: নির্ধারিত না।

আবেদনের যোগ্যতা: কমপক্ষে স্নাতক পাস করতে হবে। ক্যাশ ম্যানেজমেন্ট, ট্রেড সেলস, ট্রেড ফাইন্যান্স/ করপোরেট ব্যাংকিং বিষয়ে জানাশোনা থাকতে হবে। বাংলাদেশ মার্কেট সম্পর্কে জানাশোনা থাকতে হবে। এমএস অফিসের কাজে দক্ষতা থাকতে হবে।

কর্মস্থল: চূড়ান্ত নিয়োগের পর বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে কাজের আগ্রহ থাকতে হবে।

বেতন ও সুযোগ সুবিধা: মাসিক বেতন আলোচনা সাপেক্ষে। কোম্পানির নীতিমালা অনুসারে অন্যান্য সুবিধা প্রদান করা হবে।

আবেদনের উপায়: আগ্রহীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন। আবেদন করতে ক্লিক করুন এখানে।

আবেদনের শেষ তারিখ: ৩ জুন, ২০২৩




বাজেট প্রতিক্রিয়া / সিগারেটে এমআরপি বাধ্যতামূলক ইতিবাচক, প্রয়োগ নিশ্চিত জরুরি

২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যে সিগারেট বিক্রি বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। বলা হয়েছে, ‘সিগারেটের প্যাকেটে লেখা MRP বা সর্বোচ্চ খুচরা মূল্যের চেয়ে কোন পর্যায়ে বেশি দামে বিক্রি করা যাবে না’। যা রাজস্ব আদায় ও তামাক নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে অত্যন্ত ইতিবাচক। কারণ সিগারেটের প্যাকেটে লেখা মূল্যের চেয়ে বেশি দামে সিগারেট বিক্রির মাধ্যমে তামাক কোম্পানিগুলো প্রতিবছর প্রায় ৫০০০ কোটি টাকা রাজস্ব ফাঁকি দেয়। এ সিদ্ধান্ত সিগারেট কোম্পানির কর ফাঁকি রোধে কার্যকর পদক্ষেপ হবে। তবে এ সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ বিভাগ এবং রাজস্ব বিভাগের জোরালো মনিটরিং জরুরি।  যেকোনো ধরণের মূল্য কারসাজির ক্ষেত্রে তামাক কোম্পানির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ জুন ২০২৩) তামাক কর বিষয়ক গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও নলেজ হাব বাংলাদেশ নেটওয়ার্ক ফর টোব্যাকো ট্যাক্স পলিসি (বিএনটিটিপি) ২০২৩-২৪ অর্থবছরের বাজেট প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা জানিয়েছে।

পাশাপাশি তামাক বিরোধী সংগঠনগুলোর প্রস্তাব অনুযায়ী জর্দার প্রতি ১০ গ্রামের দাম ৪৫ টাকা নির্ধারণ এবং পূর্বের ন্যায়  ৫৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক বিদ্যমান রয়েছে। প্রতি ১০ গ্রাম গুলের দাম ২৩ টাকা নির্ধারণ করে ৫৫ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক আরোপ করা হয়েছে। তবে ধোঁয়াহীন তামাকজাত দ্রব্যে রাজস্ব ফাঁকি বন্ধে স্ট্যান্ডার্ড প্যাকেজিং ও বাজার মনিটরিংয়ে এনবিআরকে নজর দিতে হবে বলেও জানিয়েছে বিএনটিটিপি।

বিএনটিটিপির পাঠানো বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বলা হয়েছে, এবারের বাজেটে নিম্ন স্তরের ১০ শলাকা সিগারেটের দাম মাত্র ৫ টাকা বাড়িয়ে ৪৫ টাকা করা হয়েছে। অর্থাৎ প্রতি শলাকায় বৃদ্ধি মাত্র ৫০ পয়সা। এই বৃদ্ধি তামাকের ব্যবহার কমাতে কার্যকর অবদান রাখবে না। প্রতি শলাকা ৫০ পয়সা বৃদ্ধির সুযোগে তামাক কোম্পানি বাজারে প্রতি শলাকার মূল্য এক টাকা বাড়িয়ে দেবে যা তামাক কোম্পনির অযাচিত মুনাফা বৃদ্ধির জন্য সহায়ক হবে। নিম্ন স্তরে সম্পূরক শুল্কের হার ৫৭ শতাংশ থেকে ৫৮ শতাংশ করা হয়েছে। এখানে বিশেষজ্ঞদের ৬৫ শতাংশ শুল্ক আরোপের সুপারিশ উপেক্ষিত হয়েছে। দেশের প্রায় ৭৭ শতাংশ ধুমপায়ী নিম্ন স্তরের সিগারেট সেবন করে। বিশেষজ্ঞদের প্রস্তাব মেনে এই স্তরের সিগারেটের মূল্য ৫০ টাকা এবং কর হার ৬৫ শতাংশ করা হলে তা ধূমপান কমিয়ে আনা এবং রাজস্ব বৃদ্ধি উভয় ক্ষেত্রে সুম্পষ্ট অবদান রাখতো।

এছাড়া মধ্যম ও উচ্চ স্তরে ১০ শলাকা সিগারেটের মূল্য মাত্র ২ টাকা বাড়িয়ে ৬৭ টাকা ও ১১৩ টাকা এবং অতিউচ্চ স্তরে ১০ শলাকার মূল্য ৮ টাকা বাড়িয়ে ১৫০ টাকা করা হয়েছে। এই ন্যূনতম বৃদ্ধি ধূমপান কমাতে কাঙ্ক্ষিত অবদান রাখবে না। বরং বর্ধিত মূল্য থেকে তামাক কোম্পানির অংশ বৃদ্ধি এবং খুচরা শলাকায় মূল্য বৃদ্ধির ফাঁদে ফেলে তামাক কোম্পানি তার মুনাফা বাড়িয়ে নেবে যা ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর যে ঘোষণা তার বাস্তবায়নকে বাধাগ্রস্ত করবে বলেও মনে করে বিএনটিটিপি।

বাজেট প্রতিক্রিয়ায় বিএনটিটিপির আহ্বায়ক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুমানা হক বলেন, এই বাজেটেও তামাকজাত দ্রব্যের ওপর করারোপে ত্রুটিপূর্ণ অ্যাডভেলোরেম পদ্ধতি বহাল রাখা হয়েছে। তামাক কর বিশেষজ্ঞদের সুপারিশ মেনে অ্যাডভেলোরেম পদ্ধতির পরিবর্তে তামাকজাত দ্রব্যের ওপর সুনির্দিষ্ট কর আরোপ করা হলে তা সরকারের রাজস্ব বৃদ্ধির পাশাপাশি তামাকের ব্যবহার কমাতে কার্যকর অবদান রাখতো। পাশাপশি তামাক কোম্পানির কর ফাঁকি দেওয়ার সুযোগ কমতো। একইসঙ্গে রাজস্ব আদায় প্রক্রিয়াকে আরও সহজ ও কার্যকর করতো। এবারের প্রস্তাবিত বাজেটে সিগারেটের যে মূল্য প্রস্তাব করা হয়েছে তাতে তামাক কোম্পানির মুনাফা বাড়বে। একইসঙ্গে তা ধূমপান কমিয়ে আনতে কাঙ্ক্ষিত অবদান রাখবে না। যা দেশের জনস্বাস্থ্য পরিস্তিতির ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।