মেহেরপুরে ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক’ দিনব্যাপী কর্মশালা
মেহেরপুরে ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের উদ্যোগে ‘ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতামূলক’ দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার মেহেরপুর জেলা মডেল মসজিদ ও ইসলামিক সাংস্কৃতিক কেন্দ্র মিলনায়তনে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের ধর্মীয় সম্প্রীতি ও সচেতনতা বৃদ্ধিকরণ প্রকল্পের আওতায় এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর ইসলামিক ফাউণ্ডেশনের উপপরিচালক এ জে এম সিরাজুম মুনীরের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আরডিসি রনি খাতুন, মেহেরপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাড. আব্দুস সালাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাসেল আহসান, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম, জেলা ও দায়রা জজ কোর্টের পিপি পল্লব ভট্টাচার্য, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম শাহীন।
২য় পর্বে বিভিন্ন মসজিদের ইমাম, শিক্ষক, মন্দিরের পুরোহিতসহ বিভিন্ন ধর্মীয় নেতাদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুরে তিন দরিদ্র শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ
‘শুভ কাজে সবার পাশে’ এ শ্লোগানকে ধারণ করে সামাজিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে মেহেরপুরে তিন জন শিক্ষার্থীর মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করেছে শুভ সংঘ।
বুধবার দুপুর ১২ টার সময় মেহেরপুর সদর উপজেলার বামনপাড়ায় কাজি কুদরুতুল ইসলাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এ শিক্ষা উপকরণ বিতরণ করা হয়।
কালের কন্ঠ শুভ সংঘের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব নুরুল আহমেদের সভাপতিত্বে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সহকারী প্রধান শিক্ষক শ্যামল কুমার হালদার।
মেহেরপুর শুভ সংঘের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদ পলাশের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সংগঠনের সহ-সভাপতি ও জেলা রোভারের কোষাধ্যক্ষ রফিকুল আলম বকুল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাদশা খান, সাজিদ ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আল মাসুম শেখ, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক নাফিউল ইসলাম, প্রচার সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ ও নির্বাহী সদস্য আবু রায়হান নিরব, তানজিমুল ইসলামসহ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক ও ছাত্রছাত্রীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের বাছাইকৃত তিনজন শিক্ষার্থীকে কালের কন্ঠ শুভ সংঘের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন শিক্ষা উপকরন বিতরণ করা হয়।
গাংনীতে র্যাবের উপরে হামলা; ৫ জনের নামে দু’টি মামলা
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামে র্যাবের অভিযান চলাকালিন সময়ে সরকারি কাজে বাধা দান, উপপরিদর্শক উত্তম কুমার রায়কে উপুর্যপরি কুপিয়ে জখম ও ফেনসিডিল উদ্ধারের ঘটনায় গাংনী থানায় পৃথক দুটি মামলা রুজ্জু হয়েছে।
র্যাব-১২ এর পক্ষ থেকে এজাহার নামীয় ৫ ও অজ্ঞাতনামা আরও ৪/৫ জনকে আসামি করে মামলা দুটি দায়ের করেন।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এজাহার নামীয় আসামিরা হলেন, গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা সেন্টারপাড়া এলাকার হামিদুল ইসলামের ছেলে মোঃ আবু সাইদ ওরফে সুইট(৩০), মৃতু নুর আহম্মেদের ছেলে মোঃ হামিদুল ইসলাম (৫৫), কালু হোসেনের ছেলে সুজন(৩০), রুহুল আমীনের ছেলে মো: ভুট্টো(২৮) ও সহড়াতলা গ্রামের বর্ডারপাড়া এলাকা সাধু হোসেনের ছেলে মিলন(২৫)। আরও অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন মাদক ব্যবসায়ীকে আসামি করা হয়েছে।
এদিকে র্যাব-১২, সিপিসি মেহেরপুর ক্যাম্পের কমান্ডারের পক্ষ থেকে আজ দুপুরে একটি প্রেস নোট পাঠানো হয়েছে।
র্যাব-১২ সিপিসি মেহেরপুর কমান্ডার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার মোঃ গোলাম ফারুক স্বাক্ষরিত প্রেসনোট থেকে জানা গেছে, গতকাল মঙ্গলবার (৩০ মে) বিকাল ৩টা ৫০ মিনিটের সময় র্যাবের একটি আভিযানিক দল গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা মাদ্রাসা- কালিতলা কল্যানপুরগামী ইটের সলিং রাস্তার হাড়াভাঙ্গা (বাগানপাড়া) একটি কলা বাগানের মধ্যে অভিযান চালান। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে সুইট তার পিতা হামিদুল, সুজন, ভূট্টো, মিলনসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়। এসময় সুইটকে তাড়া করলে সে পালানোর চেষ্টা করে। সুইট’কে ধৃত করার প্রাক্কালে তার বাম হাত থেকে মাদকদ্রব্য ফেন্সিডিল থাকার একটি বস্তা ফেলে দিয়ে তার ডান হাতে থাকা ধারালো হাসুয়া দিয়ে এসআই(নিঃ)/উত্তম কুমার রায়’কে লক্ষ্য করে উপর্যুপরি মাথা ও ঘাড়ে আঘাত করে গুরুতর রক্তাক্ত জখম করে।
এসময় এসআই উত্তম কুমার রায় তার নামে ইস্যুকৃত পিস্তল দিয়ে ৩ রাউন্ড গুলি এবং তার সঙ্গীয় কনস্টেবল কৃষ্ণ চন্দ্র’র নামে ইস্যুকৃত পিস্তল দিয়ে নিজেদের আত্মরক্ষা ও সরকারি অস্ত্র গুলি রক্ষার জন্য ৭ রাউন্ড গুলি করেন। এসময় আসামীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায় এবং আসামী মোঃ আবু সাইদ ওরফে সুইট হাতে পায়ে গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে পড়লে তাকে আটক করা হয়।
আটকের পর জখমী এসআই(নিঃ)/উত্তম কুমার রায়’কে চিকিৎসার জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে এবং গুলিবিদ্ধ আসামী মোঃ আবু সাইদ সুইট’কে প্রথমে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ডাক্তারের পরামর্শে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। আসামি আবু সাইদ সুইটের দখলে থাকা ৬৮ বোতল ফেনসিডিল উদ্ধার করা হয়েছে। এসময় হামলা করার কাজে ব্যবহৃত রক্তমাখা ধারালো হাসুয়া উদ্ধার করে ক্যাম্পের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হয়।
মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার-৭ জন
মেহেরপুর তিন থানা পুলিশের ১২ ঘন্টার নিয়মিত অভিযানে বিভিন্ন মামলায় ৭ জন আসামি গ্রেফতার হয়েছে।
এদের মধ্যে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত সিআর মামলায় ২ জন, মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত জিআর মামলায় ২ও গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে নিয়মিত মামলায় ৩ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময়ে জেলার বিভিন্ন স্থানে ও পুলিশের একটি টিম ঢাকাতে আজ বুধবার (৩১ মে) ভোররাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন।
গ্রেফতার অভিযানে নেতৃত্ব দেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম ও মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল। পুলিশের একাধিক টিম পৃথক অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন।
আজ বুধবার (৩১ মে) দুপুরের দিকে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।
মেহেরপুরের তিন মাদ্রাসা ছাত্রী উদ্ধার; গ্রেফতার ৩
গাংনী উপজেলার বামন্দী দাখিল মাদ্রাসার উধাও হওয়া তিন ছাত্রীকে ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে গাংনী থানা পুলিশ। সেই সাথে ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হলেন,আব্দুল হান্নান, রুমান আলী ও আলমগীর হোসেন।
গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে রাজধানী ঢাকার বিমানবন্দর এলাকা থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতদের বাড়ি বিভিন্ন জেলায়। তারা ঢাকায় শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলো।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতার্ মো: আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গত রোববার (২৮মে) গাংনী উপজেলার বামন্দী ইউনিয়নের দেবীপুর গ্রামের বানারুল ইসলামের মেয়ে ও বামন্দী দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী স্বপ্না খাতুন (১৪), একই গ্রামের সাইদুল ইসলামের মেয়ে ও একই মাদরাসার নবম শ্রেণির ছাত্রী সূবর্ণা খাতুন (১৫) এবং জামরুল ইসলামের মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী সুমাইয়া খাতুনকে (১৫) বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেনি। পরে তাদের অভিভাবকরা গাংনী থানায় এসে সাধারণ ডাইরি (জিডি) করেন। ওই তিন ছাত্রী একই সঙ্গে প্রতিদিন মাদ্রাসায় যাওয়া—আসা করতো। গ্রামের মানুষ অনেক খোঁজাখুঁজি করেও তাদের সন্ধান পাননি
বামন্দী পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এস আই ইসরাফিল বলেন, তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে তিন মাদ্রাসা ছাত্রী উদ্ধার ও তিন জনকে ঢাকার বিভিণ্ণ এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
প্রেম সংক্রান্ত ঘটনার কারনে না অন্য কোনো কারণে ওই মাদ্রাসা ছাত্রীরা ঢাকায় গিয়েছিলো। এ বিষয়ে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
গাংনীর বাঁশবাড়িয়া থেকে বালি ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার; পুলিশের ধারণা হত্যা
গাংনী উপজেলার বাঁশবাড়িয়া গ্রামে একটি বালির গাঁদা থেকে লাল্টু মিয়া (২৮) নামের এক বালি ব্যবসায়ীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।
আজ বুধবার (৩১ মে) সকালে স্থানীয়রা তার মরদেহ বালির গাঁদা থেকে উদ্ধার করেন। লাল্টু মিয়া এ উপজেলার পুড়াঁপাড়া গ্রামের খেদের আলীর ছেলে। নিহতের শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে তাকে পিটিয়ে ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করেছে দূবৃর্ত্তরা।
জানা গেছে, লাল্টুর ভাগ্নে ইয়াকুব আলীর অভিযোগ তার মামার সাথে ৩ শতক জমি নিয়ে প্রতিবেশী আলমাস আলী, জাব্বারুল ইসলাম, জাহাঙ্গীর আলম, বাদশা, পলাশ, মমতাজ, জনি, জসিম ও সেন্টুর সাথে গ্যানজাম চলছে। জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবৎ এদের সাথে মামলা মোকদ্দমা চলছে। তারাই মামাকে হত্যা করে ফেলে রেখেছে। এর আগেও জনি ও সেন্টু মামাকে মাথায় আঘাত করে মাথা ফাটিয়েছে। সে মামলায় তারা জেল খেটেছে। বিভিন্ন সময় তারা হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে। আজ ভোরে বালি নেবে বলে ডেকে নিয়ে হত্যা করেছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে তাকে হত্যা করা হয়েছে। বালির ব্যবসা বা জমি সংক্রান্ত কোনো বিরোধ আছে কিনা সেটা খোঁজ নিয়ে বলা যাবে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে।
মেহেরপুরে ভারতীয় মদসহ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক
১২ বোতল ভারতীয় অফিসার চয়েজ মদসহ আব্দুল্লাহ (২০) নামের এক যুবককে আটক করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যায় গাংনী উপজেলার কাজিপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ।আটক আব্দুল্লাহ কাজিপুর গ্রামের মৃত সিহাব আলীর ছেলে।
জেলা গোয়েন্দা শাখার ইন্সপেক্টর আমিনুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই আশরাফুল ইসলাম, এএসআই হেলাল উদ্দিন সংগীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান চালানো হয়।
আসামীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গাংনী থানায় মামলা হয়েছে। যার মামলা নং ৩৪
মেহেরপুরে মাদক ব্যবসায়ীর হামলায় র্যাব কর্মকর্তা জখম: গুলিবিদ্ধ অবস্থায় হামলাকারী আটক
মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার হাড়াভাঙ্গা গ্রামে মাদক ব্যবসায়ীর হাসুয়ার কোপে র্যাবের এসআই আহত। অপরদিকে র্যাবের গুলিতে হামলাকারী মাদক ব্যবসায়ী গুলিবিদ্ধ হয়েছে। র্যাব এ ঘটনায় ৫৭ বোতল ফেনি্সিডিলও উদ্ধার করেছে।
গতকাল মঙ্গলবার বিকাল পৌণে ৪ টার দিকে হাড়াভাঙ্গা গ্রামের বাগানপাড়ার মাঠ নামক স্থানে এই ঘটনা ঘটে।
আহত র্যাবের এসআই উত্তম কুমার র্যাব-১২ সিপিসি মেহেরপুর ক্যাম্পে কর্মরত এবং আহত হামলাকারী আনোয়ার হোসেন সুইট হাড়াভাঙ্গা গ্রামের আব্দুল হামিদের ছেলে। সে দেড় বছর আগে সৌদি আরব থেকে দেশে ফিরেছেন।
স্থানীয়রা জানান, বিকেল পৌনে ৪ টার দিকে র্যাব-১২, সিপিসি মেহেরপুর ক্যাম্পের একটি টিম এসআই উত্তম কুমারের নেতৃত্বে বাগানপাড়া এলাকার ভিটের মাঠে অভিযান চালায়। এসময় সুইট হাসুয়া হাতে করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ভিটের মাঠ নামক স্থানে পৌছানোর পর ধারালো হাসুয়া দিয়ে এসআই উত্তম কুমারের মাথায় পিঠে ও অন্যান্য স্থানে উপর্যুপুরি কুপিয়ে আহত করেন। অন্যান্য র্যাব সদস্যরা তাকে লক্ষ করে কয়েক রাউন্ড গুলি ছুঁড়লে সুইটের দু পায়ে ও হাতে ৪টি গুলিবিদ্ধ হয়। পরে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় সুইটকে আটক করেন র্যাব সদস্যরা।
স্থানীয় কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মু. আলম হুসাইন বলেন, ঘটনার সময় র্যাবের পক্ষ থেকে কমপক্ষে ৯ রাউন্ড গুলি করা হয়েছে বলে প্রত্যক্ষদর্শিরা আমাকে জানিয়েছে। সুইটের দুই পায়ে ও হাতে ৪টি গুলিবিদ্ধ হয়েছে।
র্যাব-১২, সিপিসি মেহেরপুর ক্যাম্প কমান্ডার সিনিয়র এএসপি গোলাম ফারুক জানায়, ফেনসিডিলের একটি চালান বেচাকেনা চলছে এমন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে র্যাব-১২ এর একটি টিম অভিযান চালাতে যায়। র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে র্যাবের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় সুইট। র্যাবের পক্ষ থেকেও আত্মরক্ষার্থে কয়েক রাউন্ড গুলি চালানো হয়েছে। এক পর্যায়ে গুলিবিদ্ধ সুইটকে ফেনসিডিলসহ আটক করা হয়েছে।
বর্তমানে র্যাবের উপপরিদর্শক (এসআই) উত্তম কুমার ও গুলিবিদ্ধ সুইটকে কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
মেহেরপুরে জিয়াউর রহমানের শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন
মেহেরপুরে সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪২ তম শাহাদাৎ বার্ষিকী পালন করেছে মেহেরপুর শহর বড়বাজার জেলা বিএনপি।
আজ মঙ্গলবার বিকালে মেহেরপুর শহরের বড় বাজার জেলা বিএনপি’র কার্যালয়ে এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।
মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওমর ফারুক লিটনের সভাপতিত্বে জেলা যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম দুলালের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক অধ্যাপক ফয়েজ মোহাম্মদ।
জিয়া মঞ্চ মেহেরপুর জেলা শাখার আহ্বায়ক অ্যাড.নজরুল ইসলাম, জেলা যুবদল নেতা ইসমাইল হোসেন, যুবদল নেতা মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা যুবদলের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আজাদুল হক, সাবেক ছাত্রনেতা মিন্টু, ব্যারিস্টার জাহাঙ্গীর সহ বিভিন্ন নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আলোচনা শেষে সাবেক রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরত কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।