আলমডাঙ্গায় আমন খেতে পোকার আক্রমণে বিপর্যস্থ কৃষক

আলমডাঙ্গা উপজেলার ডাউকি গ্রামের কৃষক আবু জাফর এবার ৭ বিঘা জমির আমনের খেতে সাম্প্রতিক বিভিন্ন পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। আবু জাফর বলেন, ‘কৃষি বিভাগের পরামর্শে খেতে আলোক ফাঁদ ব্যবহার শুর” করেছি।’ বেলগাছি গ্রামের কৃষক নজর”ল ইসলাম বলেন, ‘আমি পাঁচ বিঘা জমিতে এবার আমন ধানের চাষ করেছি। এক-দুদিন পরপর কীটনাশক স্প্রে করেও পোকা নিধন করা যাচ্ছে না। এতে লোকসান গুনতে হতে পারে। একারণে অবশেষে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে আলোক ফাঁদ প্রযুক্তি ব্যবহার করছি।’

এসব পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে উপজেলায় চলতি আমন খেতের পোকার আক্রমণ থেকে সুরক্ষায় আলোক ফাঁদ প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়ছে। এসব ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও তা দমন করতে এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় কৃষকেরা ইতিমধ্যে উপজেলার ৩০ টি ব্লকে আলোক ফাঁদ স্থাপন করেছেন। এছাড়া পযায়ক্রমে আরও ১৬ টি আলোক ফাঁদ স্থাপন করা হবে।

উপজেলা কৃষি কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গা উপজেলায় ১৬ হাজার ৫৩৫ হেক্টর জমিতে এবছর আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এ ছাড়া কয়েক হাজার হেক্টর জমিতে পোকার আক্রমণ দেখা দিয়েছে। কয়েক দিন পর গাছে থোড় আসবে। এই সময়ে ধানে বাদামি ঘাস ফড়িং, সবুজ ঘাস ফড়িং, পাতামোড়ানো পোকা, গান্ধী পোকা, মাজরা পোকাসহ বিভিন্ন ক্ষতিকর পোকা আক্রমণ করে।

পোকার উপস্থিতি নির্ণয় করতে ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে আমনখেতে আলোক ফাঁদ ব্যবহার শুর” করা হয়েছে, সেপ্টেম্বর মাস জুড়ে চলবে এ কাযক্রম। কৃষি সম্প্রসারন দপ্তর ১০টি ব্লকে আলোক ফাঁদ স্থাপন করেছে। অবশিষ্ট ৩৬ টি ব্লকে কৃষি কর্মকর্তাদের সহায়তায় কৃষকেরা এই আলোক ফাঁদ স্থাপন করেছেন। এ মৌসুমে আলোক ফাঁদের সংখ্যা ৪৬ ছাড়িয়ে যাবে। গত বছর তুলনায় এবছর আলোক ফাঁদ স্থাপন বেশী স্থাপন করা হয়েছে বলে কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানাগেছে।

উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণের এক কর্মকতা বলেন, রাতের বেলায় খেতে বৈদ্যুতিক বাল্ব টানানো হয়। বাল্বের নিচে পাত্র রাখা হয়। পাত্রের মধ্যে ডিটারজেন্ট বা কেরোসিনমিশ্রিত পানি থাকে। আকৃষ্ট হয়ে পোকামাকড় আলোর কাছে আসে এবং পাত্রের পানির মধ্যে পড়ে মারা যায়। ওই পোকামাকড় দেখে ক্ষতিকর পোকামাকড়ের উপস্থিতি নির্ণয় করা হয়। একটি খেতে তিন দিন এই আলোক ফাঁদ রাখতে হয়।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রেহানা পারভিন বলেন, পোকার আক্রমণে যাতে ফলনে প্রভাব না পড়ে, সে জন্য এবার আগে থেকেই বেশিসংখ্যক আলোক ফাঁদ ব্যবহার করা হচ্ছে। এতে ব্যয় একেবারেই কম। ইতিমধ্যে উপজেলার সব ব্লকে আলোক ফাঁদ প্রযুক্তি স্থাপন করা হয়েছে।




‘গান গেয়ে গেয়ে’ যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার ৩

চট্টগ্রাম নগরের পাঁচলাইশ থানার একটি ঘটনায় এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে, এবং পুলিশ তিনজনকে আটক করেছে।

মঙ্গলবার (২৪ সেপ্টেম্বর) রাতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়, এ তথ্য জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার কাজী মো. তারেক আজিজ।

সম্প্রতি এক ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে, যেখানে দেখা যাচ্ছে, এক যুবককে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে মারধর করা হচ্ছে। ভিডিওতে যুবকটির পরনে নীল গেঞ্জি ও জিন্স ছিল এবং তার চারপাশে কয়েকজন যুবক চট্টগ্রামের আঞ্চলিক ভাষায় গান গাচ্ছে। তাদের হাতে লাঠিও ছিল। পরে ওই যুবকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, ঘটনা ঘটে ১৩ আগস্ট। ওই সময়ে থানায় পুলিশের সংখ্যা ছিল অতি নগণ্য, যা দুর্বৃত্তদের সুযোগ করে দেয়।

১৪ আগস্ট রাতে নগরের প্রবর্তক এলাকা থেকে ২৪ বছর বয়সী মো. শাহাদাত হোসেনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এই ঘটনায় শাহাদাতের চাচা মো. হারুন পাঁচলাইশ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন, যেখানে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের আসামি করা হয়েছে।

নিহত শাহাদাত নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ি থানার পাঁচবাড়িয়া ইউনিয়নের নদনা গ্রামের বাসিন্দা ছিলেন এবং তিনি কোতোয়ালি থানার বিআরটিসি এলাকায় স্ত্রী শারমিন আক্তারের সঙ্গে বসবাস করতেন।

সুত্রঃ জাগো নিউজ ২৪




আলমডাঙ্গায় পাঁচ মন্দিরে ঢেউটিন দিলেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরীফুজ্জামান শরীফের নিজ অর্থায়নে ৫টি সার্বজনীন দুর্গা মন্দিরে ঢেউটিন টিন বিতরণ করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার সকাল ১০ টার দিকে পৌর এলাকার কালিদাসপুর ব্রিজ এলাকার বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে এ ঢেউটিন বিতরণ করা হয়। ঢেউটিন বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির (ভারপ্রাপ্ত) সভাপতি আক্তার জোয়ার্দার।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোঃ আয়ুব আলী, সাধারণ সম্পাদক আমিনুল হক রোকন, পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিল্লুর রহমান ওল্টু, বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আলী আজগর সাচ্চু, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল মাস্টার, পৌর বিএনপির সহ-সম্পাদক মাহাবুল হক মাষ্টার।
এছাড়া যুবদলের ভারপ্রাপ্ত আহবায়ক মীর উজ্জল, সদস্য সচিব রফিকুল ইসলাম, পৌর যুবদলের সদস্য সচিব সাইফুদ্দিন আলম কনক, যুগ্ন আহবায়ক আব্দুল কাদের।

উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক হিমেল, পৌর সে¦চ্ছাসেবক দলের যুগ্ন আহবায়ক জাকারিয়া শান্ত। এছাড়াও আরও উপস্থিত ছিলেন হিন্দু বৌদ্ধ খৃষ্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি মনিন্দ্রনাথ, পূজা উদযাপন কমিটির কুমারী মন্দিরের সভাপকি রতন, ক্যানেলপাড়া লিপন বিশ্বাস, সুইপার কলোনির লিটন এবং পোস্ট অফিস পাড়ার মিলন কুমার।




আলমডাঙ্গার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ পরিদর্শনে উপজেলা নির্বাহী অফিসার

দীর্ঘদিন আন্দোলন ফলে সম্প্রতি আলমডাঙ্গা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ শুরু করেছে। এই প্রাচীর নির্মাণ ও শহীদ মিনারের বেদখলকৃত জমি উদ্ধারে ছাত্র-জনতা ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন করেছে।

যার ফলস্বরূপ সরকার এই বেদখলকৃত জমির পুনঃরুদ্ধার ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণ কাজ বাস্তবায়ন শুরু হয়েছে।প্রথমে সিদ্ধান্ত হয়েছিল সীমানা প্রাচীর ৭ ফুট উচুঁ দেয়াল দিয়ে ঘেরা হবে। ৭ ফুট উচু দেওয়াল তৈরি হলে লোকচক্ষুর আড়ালে অনেক অনৈতিক কর্মকান্ড কর্মকাণ্ড সংগঠিত হতে পারে, এই আশংকার সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। সীমানা প্রাচীর ৩ ফুট উচু দেওয়াল ও তার উপর ৪ ফিট রডের গ্রীল দিয়ে ঘেরা হবে।

সচেতন মহলের অনেকের ধারনা শহীদ মিনারের মত শ্রদ্ধা প্রদর্শনের স্থাপনাগুলো সাধারণতঃ সহজ দৃশ্যমান করা হয়ে থাকে। স্থাপনা চত্ত্বরটি যদি ৭ ফুট বাউন্ডারি ওয়াল দিয়ে ঘেরা হয় তাহলে এটি নানান অসামাজিক কার্যকলাপের কেন্দ্রস্থল হয়ে উঠতে পারে।তাই বাউন্ডারি ওয়ালটিকে ৭ ফুট দেয়ালের পরিবর্তে ৩ ফুট দেয়াল ও দেয়ালের উপরিস্থ অংশে ৪ ফুট এমএস বার/রডের গ্রীল দিয়ে করার জন্য গতকাল ইউএনও সাহেব বরাবর আবেদন করেন। ইহাতে নিরাপদ সীমানা প্রাচীর নির্মাণের পাশাপাশি এলাকার সৌন্দর্যবৃদ্ধি এবং অসামাজিক কার্যকলাপের স্থান হওয়া থেকেও স্থাপনাটি রক্ষা পেতে পারে।

গতকালের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আলমডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ মেহেদী ইসলাম সরেজমিনে স্থাপনাটি পরিদর্শন করেন। বিষয়টি যৌক্তিক বিবেচনায় পরিবর্তনের জন্য সর্বাত্মক চেষ্টার প্রতিশ্রুতি দেন এবং সে পর্যন্ত নির্মাণ কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।




মেহেরপুরে প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির প্রতিবাদ করাতে পুলিশ নিয়ে চড়াও হলেন জেলা শিক্ষা অফিসার

মেহেরপুরে কবি নজরুল শিক্ষা মঞ্জিল মাধ্যমিক বিদ্যলয়ের প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করায় শিক্ষার্থীদের পুলিশ এনে ছড়াও হলেন জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।

শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানান, গত রবিবার থেকে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সানজিদা ইসলামের অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদে নেমেছে। এর অংশ হিসেবে আজ মঙ্গলবার শিক্ষার্থী ও শিক্ষক, কর্মচারীরা প্রধান শিক্ষকের কক্ষের সামনে অবস্থান নেন।

এসময় প্রধান শিক্ষক জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারকে ডেকে আনেন। তিনি সহ শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তাদের বিদ্যালয়ে আসেন। এর বেশ কিছু পরে বিদ্যালয়ে পুলিশ আসে। এরপর ছাত্ররা পুলিশ দেখে বিদ্যালয়ে পুলিশ কেন? শ্লোগানে বিক্ষোভ করে।

এসময় জেলা শিক্ষা অফিসার আব্বাস উদ্দিন পুলিশ নিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর চড়াও হন। এসময় জেলা শিক্ষা অফিসার আব্বাস উদ্দিন শিক্ষার্থীদের বলেন, তোমাদের এ আন্দোলন করার হুকুম দিয়েছে কে ? কোন শিক্ষক এর সাথে জড়িত, তার নাম বলো। নিজেরাও ধ্বংস হচ্ছো অন্য ছোট ভাইদেরও ধ্বংস করছো। তোমরা ছাত্র হবা না মস্তানি করবা। পুলিশ কেন এসেছে তোমাদের জানতে হবে না। তোমরা ক্লাসে ফিরে যাও না হলে তোমাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শিক্ষা অফিসার আব্বাস উদ্দিন বলেন, আমরা বিদ্যালয়ে এসেছি অনিয়ম দুনিতির তদন্ত করবো। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন বন্ধ করে ক্লাসে যেতে বলেছি। তবে বিদ্যালয়ে পুলিশের বিষয়ে তিনি বলেন বহিরাগতরা বিদ্যালয়ে এসে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে তাই পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।




মেহেরপুরের মঞ্জুর ও হুসাইন এখন দেশ সেরা মিক্সড মার্শাল আর্ট চ্যাম্পিয়ন

রয়েল বেঙ্গল ফাইটিং চ্যাম্পিয়নশীপ এর ঢাকা ফাইট নাইট সিরিজের আরও একটি ইভেন্ট। ইভেন্টটি অনুষ্ঠিত হয়েছিলো ঐতিহ্যবাহী শহীদ তাজউদ্দীন আহমেদ ইনডোর স্টেডিয়াম, গুলিস্তানে।

ইভেন্টের অনুমোদন দেয় অল বাংলাদেশ ন্যাশনাল মিক্সড মার্শাল আর্ট এসোসিয়েশন ও বাংলাদেশ মর্শাল আর্ট কনফেডারেশন। যেখানে দেশের ১৪ টি জেলা থেকে মোট ২৬ জন অভিজ্ঞ মিক্সড মার্শাল আর্ট (এমএমএ) খেলোয়াড় অংশগ্রহণ করেছিলো।

এই ইভেন্টে ৭ টি ওজনশ্রেনিতে মোট ১৩ টি বাউট (ফাইট) অনুষ্ঠিত হয়। যার মধ্যে হতে মেহেরপুর জেলার দুইজন দুটি ওজনশ্রণীর বাউটে (ফাইট) অংশগ্রহন করেছিল।

তারা হচ্ছে মঞ্জুর আলম (২৩) ও হুসাইন কবির(২৩)। মঞ্জুর আলম ফেদারওয়েট (৬৫ কেজি)ওজন শ্রেণীতে টাইটেল বেল্ট চ্যম্পিয়নশীপ এর জন্য লড়াই করে চট্টগ্রামের আব্দুল্লাহ আল ফয়সালের এর বিরুদ্ধে। এই ফাইটে মঞ্জুর আলম তার প্রতিপক্ষ কে প্রথম রাউন্ডেই টেকনিক্যাল নকআউট এর মাধ্যমে হারিয়ে হয়ে যান বাংলাদেশের প্রথম বারেরমত রয়েল বেঙ্গল ফাইটিং চ্যাম্পিনশীপ এর ফেদারওয়েট চ্যাম্পিয়ন।

মঞ্জুর আলম কে সবাই Manjoor “The Hunter” Alam নামেই চিনে। মঞ্জুর আলম এর আগেও ভারত ও থাইল্যান্ডে গিয়ে বাংলাদেশ ও মেহেরপুর নাম উজ্জ্বল করে এসেছে। ভারত ও থাইল্যান্ড থেকে একাধিকবার স্বর্নপদক এনে দিয়েছে দেশকে। তবে এই প্রথম সে কোনো টাইটেল বেল্ট এর জন্য ফাইট করে জয় লাভ করল।মঞ্জুর আলম এই টাইটেল বেল্ট জেতার পর জানিয়েছেন সে খুব তাড়াতাড়ি ইউএফসি, ওয়ান চ্যাম্পিয়নশীপ এর মতো গ্লোবাল প্রমোশনে বাংলাদেশর পতাকা উড়াবে।

আর অন্যদিকে হুসাইন কবির বানটামওয়েট (৬১ কেজি) ওজন শ্রেণীতে অংশগ্রহণ করে ঢাকার সামির রাজ এর বিরুদ্ধে। এবং সেও তার শক্তিশালী এই প্রতিপক্ষকে প্রথম রাউন্ডেই সাবমিশন কিমুরা লকের মাধ্যমে কুপোকাত করে তার ক্যারিয়ার প্রথম প্রফেশনাল উইন নিজের করে নেয়। হুসাইন কবিরও একাধিকবার ভারতে থেকে স্বর্ণ পদক বয়ে নিয়ে আসেন বাংলাদেশের হয়ে। এই ইভেন্টে জয় লাভ করার পর হুসাইন কবির জানান মঞ্জুর আলমের মত সেও খুব শীঘ্রই আরবিএফসি এর টাইটেল বেল্ট জয় করবে নিজের মানুষদের জন্য। মঞ্জুর ও হুসাইন দুইজনেই তাদের এই ঐতিহাসিক জয়ের পর তারা জানান এই জয় তাদের একার নয়, এই জয় দেশের মানুষে, এই জয় মেহেরপুরের মানুষের জয়।

মঞ্জুর আলম ও হোসাইন কবির বলেন আপনারা সবাই আমাদের দুজনের জন্য দোয়া করবেন যেন সামনে আরো ভালো কিছু করতে পারি ।




জীবননগরে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের স্মারকলিপি প্রদান

জীবননগরে এক দফা দাবি বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করেছেন জীবননগর নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদ।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টার দিকে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নারায়ণ চন্দ্র পালের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেন সংগঠনের নেতারা। এর আগে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদের নেতৃবৃন্দ মানববন্ধন করেন।

স্মারকলিপি প্রদানকালে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং সুপারভাইজার রানু খাতুন, সিনিয়র স্টাফ নার্স তাহমিনা খাতুন, শান্তনী খাতুন, জয়নব খাতুন, নাছরিন খাতুনসহ প্রমুখ।

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্সিং সুপারভাইজার মোছাঃ রানু খাতুন জানান, সারাদেশের ন্যায় জীবননগরেও এক দফা দাবি বাস্তবায়নে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। আমরা চাই নার্সিং ও মিডওয়াইফারি কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ও রেজিস্টার পদ থেকে প্রশাসন ক্যাডারদের অপসারণ করে ওই পদগুলোতে দক্ষ ও অভিজ্ঞ নার্সদের পদায়ন করা হোক।

প্রসঙ্গত, এক দফা দাবিতে গত ৯ সেপ্টেম্বর থেকে বিক্ষোভ ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে আসছে নার্সিং ও মিডওয়াইফারি সংস্কার পরিষদ।




নবাগত জেলাপ্রশাসকের সাথে মুজিবনগর উপজেলা কর্মকর্তাদের মতবিনিময় সভা

মেহেরপুর জেলার নবাগত জেলাপ্রশাসক ও জেলা ম্যাজিস্ট্রেট সিফাত মেহনাজ এর সাথে মুজিবনগর উপজেলার কর্মকর্তাবৃন্দ ও সুধীজনের সাথে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকাল ১১ টার সময় মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে, উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে, এই মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

মতবিনিময় সভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খাইরুল ইসলামের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলার নবাগত জেলাপ্রশাসক সিফাত মেহনাজ।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি নাজমুস সাদাত রত্ন, মুজিবনগর থানার (ওসি) তদন্ত আমিনুল ইসলাম।

মতবিনিময়ে সভায় নিজ দপ্তরের চলমান কার্যক্রমের উপর বক্তব্য প্রদান করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মেহেদী হাসান কৃষি অফিসার আব্দুল মমিন উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ হারিসুল আবিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী আহসান আলী খান, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মামুন উদ্দিন আল আজাদ, মুজিবনগর প্রেসক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক প্রিন্স, সাংবাদিক হাসান মুস্তাফিজুর রহমান, উপজেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি, ছাত্র প্রতিনিধি সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।

এ সময় নবাগত জেলা প্রশাসক সকল দপ্তরের কর্মকর্তাদের কে বলেন, সকল চাপের ঊর্ধ্বে থেকে দলীয় প্রভাব মুক্ত প্রশাসন গড়ে মেহেরপুর তথা মজিবনগর এর মানুষের সেবায় নিয়োজিত এসময় তিনি সকল সুধীজনদের কাছে সুন্দর মেহেরপুর মুজিবনগর গড়তে সহযোগিতা চান।




মেহেরপুরে দু’টি ঔষধের দোকানে অভিযান, জরিমানা আদায়

মেহেরপুর শহরে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি, বিক্রি নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ঔষধ বিক্রি, প্যাকেটের মধ্যে ভালো ঔষধ ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণের অপরাধে মেসার্স পল্টু ফার্মেসি ও মেসার্স পপি ফার্মেসি নামক দুটি ঔষধের দোকানে অভিযান চালিয়ে ২০ হাজার টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

আজ (২৪শে সেপ্টেম্বর) বিকালে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর, মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ শহরের হোটেলবাজার এলাকায় এই অভিযান চালান।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মেহেরপুর জেলার সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, মেহেরপুর শহরের হোটেল বাজার এলাকার মেসার্স পল্টু ফার্মেসি ও মেসার্স পপি ফার্মেসিতে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ওই প্রতিষ্ঠান দুটিতে মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ বিক্রি, বিক্রি নিষিদ্ধ ফিজিশিয়ান স্যাম্পল ঔষধ বিক্রি, একই প্যাকেটের মধ্যে ভালো ও মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ সংরক্ষণ করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন ২০০৯ এর ৪৫ ও ৫১ ধারায় ১০ হাজার টাকা করে মোট ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এসময় দোকান দুটি থেকে প্রচুর পরিমাণ মেয়াদ উত্তীর্ণ ঔষধ উদ্ধার করে জন সম্মুখে ধ্বংস করা হয়।

অভিযানটি সহযোগিতায় ছিলেন জেলা কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মো: তারিকুল ইসলাম, সদর উপজেলা স্যানিটারি ইন্সপেক্টর তারিকুল ইসলাম এবং মেহেরপুর জেলা পুলিশের একটি টিম।

অভিযানের সময় অন্যান্য দোকানে সচেতনতামুলক লিফলেট বিতরণ ও সবাইকে আইন মেনে ব্যবসা পরিচালনা, মুল্য তালিকা প্রদর্শন ও ক্রয় বিক্রির ভাউচার সংরক্ষণ করা এবং অতিরিক্ত দাম নেয়া থেকে বিরত থাকার জন্য সতর্ক করা হয়।




গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ ও সভাপতিকে অপসারণের দাবি

গাংনী মহিলা ডিগ্রি কলেজের এডহক কমিটির সভাপতি জাফর আকবর ও অধ্যক্ষ খোরশেদ আলীর পদত্যাগের দাবীতে মানববন্ধন করেছেন দুজন শিক্ষক ও এলাকাবাসী। তবে দুজন শিক্ষকের মধ্যে সাজেদুর রহমান বুলুর বিরুদ্ধেও নানা অভিযোগ রয়েছে বলে জানা গেছে।

মানববন্ধনে বক্তব্য দেন সিনিয়র শিক্ষক অর্থনীতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক বেদারুল আলম।

স্থানীয় এলাকাবাসীর ব্যানারে গতকাল মঙ্গলবার ১১ টার সময় মেহেরপুর— কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কের গাংনী উপজেলা পরিষদ গেটে এই মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করা হয়।

 পৌর বিএনপির নেতা শাজাহান সেলিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে কলেজের আরেক শিক্ষক সহকারি অধ্যাপক সাজেদুর রহমান বুলু বলেন, ঐতিহ্যবাহী মহিলা ডিগ্রি কলেজের ম্যানেজিং সভাপতি করার জন্য এলাকার সর্বজন শ্রদ্ধেয়, গ্রহণযোগ্য ও শিক্ষীত ব্যাক্তির নাম প্রস্তাব করেন। কিন্তু দুনীর্তিবাজ অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী ও কলেজের কয়েকজন শিক্ষক সেই দাবীকে পাশ কাটিয়ে এলাকার বিতর্কিত ব্যক্তি জাফর আকবরকে গভর্নিং বডির এডহক কমিটির গঠনের লক্ষ্যে বিএনপি নেতা জাফর আকবরকে সভাপতি ও বালিয়াঘাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক সাহাব উদ্দীনকে বিদ্যুৎসাহী সদস্য নিয়োগ দেওয়ার জন্য জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর বরাবর সুপারিশ পাঠান। বিষয়টি প্রকাশ পাওয়ার পর পরই ফুঁসে ওঠে স্থানীয়রা। এ সময় গাংনী পৌর বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজের শিক্ষক মোস্তাফিজুর রহমান, গাংনী উপজেলা জাসাসের সাধারণ সম্পাদক সুলেরী আলভী, বিএনপি নেতা ইনামুল হকসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার লোকজন উপস্থিত ছিলেন।

 অধ্যক্ষ খোরশেদ আলী বলেন, শিক্ষক সাজেদুর রহমান বুলু কখনো ক্লাস নেননা। কলেজের শৃ্ৃ্খলা মেনে চলেন না। তাকে ক্লাস নেওয়াসহ কলেজের শৃঙ্খলা মেনে চলার কথা বলা হলে তিনি নানা ধরণের হুমকি দিয়ে আসছিলেন বহুদিন ধরে। তিনি কলেজে হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়ান।
দুনীর্তি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সরকারি বিধি মোতাবেক জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধির মাধ্যমে এ সাতজনের নিয়োগ পক্রিয়া সম্পন্ন করেই নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এখানে কোন ব্যত্যয় হয়নি। প্রয়োজনে এ প্রক্রিয়া নিয়ে কারো আপত্তি থাকলে চ্যালেঞ্জের আহবান করছি।

এদিকে বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা গেছে, সহকারী অধ্যাপক সাজেদুর রহমান ব্যবস্থাপনা বিভাগের শিক্ষক হলেও ওই শাখাতে একজন শিক্ষার্থীও তিনি ভর্তি করান না। তিনি এলাকায় সুবিধাবাধি শিক্ষক হিসেবে পরিচিত। মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন এমপি থাকাকালীন সময়ে কলেজ সরকারি করণের জন্য মকবুলের নামে ৩ লাখ টাকা কলেজে থেকে নেন এবং এখনো ফেরৎ দেননি এমনকি এখনো পর্যন্ত কলেজ সরকারিকরণ হয়নি। যখন যে দল ক্ষমতায় থাকে বুলু সেই দলের ছাতি ধরে নিজেকে মাফিয়া হিসেবে তৈরি করেন। কলেজে ক্লাস না নিলেও তিনি বাড়িতে শত শত শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ান। তার বিরুদ্ধে প্রাইভেট পড়তে আসা ছাত্রীরাও নানা সময়ে অশ্লিল আচরণের অভিযোগ তোলেন।