স্মার্টফোনে গেরিলা ম্যালওয়ার আতঙ্ক

২০১৮ সালে সর্বপ্রথম এই ম্যালওয়ারের অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যায়। সম্প্রতি ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ব্রাজিলসহ একাধিক দেশে প্রায় ৫০ টি ব্র্যান্ডের ফোনে এই ম্যালওয়ার প্রি-ইনস্টল অবস্থায় পাওয়া যাচ্ছে। সিকিউরিটি ফার্ম ট্রেন্ড মাইক্রো জানিয়েছে, প্রায় ৮ দশমিক ৫ মিলিয়ন ফোনে এই সমস্যা রয়েছে।

গেরিলা ম্যালওয়ার ফোনের জন্য খুবই খারাপ। এই ম্যালওয়ারের কারণে ব্যাটারির সমস্যা, হুটহাট বিজ্ঞাপনের ঝামেলা বাড়ে। এমনকি ব্রাউজিং করার সময় এই ম্যালওয়ার অহেতুক ফিশিং সাইট বা অ্যাপের সাজেশানে নিয়ে যায়। তবে ঝামেলা এখানেই শেষ নয়। ২০১৬ সালের ট্রায়াডা ম্যালওয়ারের মতোই এর কিছু ঝুঁকি আছে। এই ম্যালওয়ার হোয়াটসঅ্যাপকেও নিয়ন্ত্রণ করতে পারে এবং ব্যবহারকারীর ডাটা বাইরে পাঠিয়ে দিতে পারে।

আপাতত দক্ষিণ আমেরিকায় এর আক্রমণের হার বেশি। তবে এশিয়াতেও ১০ শতাংশ ফোনে এই ম্যালওয়ার আছে। এই ম্যালওয়ার অন্যান্য আইওটি ডিভাইস যেমন স্মার্ট টিভি বা অ্যাপ্লায়েন্সেও বড়সড় হুমকি হতে পারে।

সূত্র: ইত্তেফাক




রঙ্গালয় – হাফিজুর রহমান

জনগণের পিতা তুমি জনপ্রতিনিধি
সন্তানগুলোর রাখো না খেয়াল,
পছন্দ কর দেখতে সবসময় ওদের
দশাটা থাকে যেন বেহাল।

এই রকমেরই যদি হয় সমাজপতি
তুমি তাহলে কী ধরনের পিতা?
খেলা দেখ মজা নিতে আরাম করে
সেবা দেয়ার কেটে ফিতা?

গোলমেলে নীতির এখন রাজনীতি
হেলেদুলে – ঝুলে নাচে জনগণ!
বানরের মত যেমনটি নাচাবে পিতা
তেমনটি নাচলেই ভাগ্যবান।




মেহেরপুরে ভিক্ষুক যাচাই বাছাই কার্যক্রম শুরু

মেহেরপুরে আনুষ্ঠানিকভাবে ভিক্ষুক যাচাই বাছাই কার্যক্রম শুরু হয়েছে। আজ মঙ্গলবার (২৩ মে) সাকল ১১ টার সময় মেহেরপুর সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এই কর্মসূচির উদ্বোধন করেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উদ্যোগে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কার্যক্রমের আওতায় মেহেরপুর শহর সমাজসেবা অফিসের সহযোগিতায় ভিক্ষুক যাচাই বাছাই কার্যক্রমের অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

মেহেরপুরের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লিংকন বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কার্যক্রমের আওতায় ভিক্ষুক যাচাই বাছাই কার্যক্রম অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি।

অন্যান্যদের মধ্যে উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান লতিফন নেছা লতা, বুড়িপোতা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহজামান, কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজা, বারাদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম, আমদহ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রওশন আলী টোকন, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরে রেজিস্ট্রেশন অফিসার কাজী মোহাম্মদ আবুল মুনসুর, শহর সমাজসেবা কর্মকর্তা সোহেল আহমেদ, সদর উপজেলা সমাজ সেবা কর্মকর্তা আনিসুর রহমান, পৌর কাউন্সিলর আব্দুর রহিম, রোকসানা কামাল রুনু, জোসনা খাতুন, শারমিন সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

মেহেরপুর পৌর এলাকা এবং সদর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের ভিক্ষুকরা যাচাই-বাছাই কাজে অংশগ্রহণ করেন।




খালি পেটে পেঁপে খেলে দূর হবে কোষ্ঠকাঠিন্যসহ যেসব রোগ

আমরা শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে ফল খাই। তবে ফলের তালিকায় অনেকেই পেঁপে রাখি, আবার রাখি না। তবে পেঁপে পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল। বিভিন্ন ভিটামিন এবং খনিজের প্রাকৃতিক উৎস থাকে পাকা পেঁপে। এজন্য চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদরা প্রতিদিন সকালে পেঁপে খাওয়ার পরামর্শ দেন।

পেঁপের মধ্যে রয়েছে ভিটামিন এ, সি, ই, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ও ফাইবার। আর এই ফলে ক্যালোরির পরিমাণও খুব কম। খেতে মিষ্টি হলেও ডাইবেটিস রোগীরা এই ফল খেতে পারেন। পেটের সমস্যায় থাকলে এই ফল বেশ উপকারী।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পাকা পেঁপে খেলে শারীরিক উপকার পাওয়া যায়। তাই সবার খালি পেটে পেঁপে খাওয়ার উপকারিতা জেনে রাখা ভাল।

প্রথমত কোষ্ঠকাঠিন্যে সমস্যায় পাকা পেঁপে ভাল কাজ করে। পেঁপে ফাইবার সমৃদ্ধ, যা কোষ্ঠকাঠিন্য সারায় এবং স্বাভাবিক মলত্যাগে সাহায্য করে। সকালে খালি পেটে পাকা পেঁপে খেলে পাকস্থলি সুস্থ থাকবে এবং পেটের বিভিন্ন সমস্যাও দূর হবে। অ্যাসিডিটি ও বদহজমের সমস্যা কমাতেও সহায়তা করে এ ফল।

খালি পেটে পাকা পেঁপে খেলে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এতে ক্যালোরির পরিমাণ খুবই কম, আর ফাইবার থাকে প্রচুর পরিমাণে। যার ফলে দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা থাকে। ঘন ঘন ক্ষুধা পায় না। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় ভিটামিন সি এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ পাকা পেঁপে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। যার ফলে বিভিন্ন সংক্রমণ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি হয়।

শুধু তাই নয়, প্রতিদিন সকালে খালি পেঁপে খেলে শরীর থেকে টক্সিন বেরিয়ে যায়। চুল পড়াও কমে। পেঁপের ফাইবার খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে।

এ ছাড়া পাকা পেঁপেতে রয়েছে পটাশিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে পাকা পেঁপে খেলে হার্ট সুস্থ থাকে। ত্বকের জেল্লা ফেরে পাকা পেঁপে স্বাস্থ্যের পাশাপাশি ত্বকের জন্যও খুব উপকারী। পেঁপেতে থাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা ত্বকের কোষ মেরামত করে। এতে ত্বক ভাল থাকে।

সূত্র: যুগান্তর




বৃহস্পতিবার শুরু হচ্ছে নারী ডিপিএল

কদিন আগেই শেষ হয়েছে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বর আসর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগ (ডিপিএল)। এবার শুরু হতে যাচ্ছে নারী ডিপিএলের আসর। আগামী বৃহস্পতিবার (২৫ মে) থেকে মাঠে গড়াবে নারী ডিপিএলের আসর।

ঢাকার তিন মাঠে অনুষ্ঠিত হবে এবারের নারী ডিপিএল। বিকেএসপির ১ আর ৩ নম্বর মাঠ এবং ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে হবে আসরের সবগুলো ম্যাচ।

এখনও টুর্নামেন্টের পুরো সূচি প্রকাশ করেনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। বৃহস্পতিবার টুর্নামেন্টের উদ্বোধনী দিন বিকেএসপির ৩ নম্বর মাঠে মুখোমুখি হবে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ও কলাবাগান। অন্য দুই মাঠে দুই ম্যাচে মুখোমুখি হবে রুপালী ব্যাংক ক্রীড়া পরিষদ-গুলশান ইয়ুথ ক্লাব এবং বিকেএসপি-সিটি ক্লাব।

১১টি দল নিয়ে টুর্নামেন্ট হওয়ার কথা থাকলেও শেষ পর্যন্ত ৯ দল নিয়েই মাঠে গড়াবে নারী ডিপিএল। শেষ মুহূর্তে এসে টুর্নামেন্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নেয় অ্যাজাক্স ও শেখ রাসেল।

শেষ মুহূর্তে এসে দল দুটি সরে যাওয়ায় জাতীয় দলের পেসার জাহানারা আলম ক্ষুব্ধ হয়ে বলেছিলেন, ‌‘দুইটা টিম খেলতে আসছে না, এটা উইমেন্স ক্রিকেটের জন্য খুবই খারাপ একটা বিষয়। প্রত্যেকটা প্লেয়ার কিন্তু সারাবছর আশা নিয়ে থাকে। অক্লান্ত পরিশ্রম করে তারা। নিজেদের টাকা ইনভেস্ট করে ট্রেইনিং করে, কিন্তু তারা সেরকম স্বাবলম্বীও নয়। আপনারা জানেন যারা ন্যাশনাল প্লেয়ার, শুধুমাত্র তারাই মোটামুটি স্বাবলম্বী।’

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার-৫

মেহেরপুরে পুলিশের ২৪ ঘন্টার নিয়মিত মামলায় ৫ আসামি গ্রেফতার হয়েছে। এসময় মামলা রজু হয়েছে ৫ টি। এসব মামলার মধ্যে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে ৩ টি।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে নিয়মিত মামলায় ৪ জন ও আদালতের পরোয়ানাভূক্ত সিআর মামলায় সাজাপ্রাপ্ত ১ আসামি।
সোমবার সকাল থেকে আজ মঙ্গলবার ভোররাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে মাদক মামলায় ১ জন, গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে মাদক মামলায় ১ ও সদর থানা পুলিশের অভিযানে ৩ জন রয়েছে।
পুলিশের একটি সোর্স এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
গ্রেফতারকৃতদের আজ মঙ্গলবার সকালের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




মেহেরপুরে ৯৯৯ মায়ের কল; গ্রেফতার হলেন ছেলে

৯৯৯ অসহায় মায়ের ফোন কলে পেয়ে ছেলে সাদ্দাম হোসেন (৩০)কে গ্রেফতার করেছে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত সাদ্দাম হোসেন মেহেরপুর শহরের ২ নং ওয়ার্ড বোসপাড়া এলাকার মৃত হজরত আলীর ছেলে।

গতকাল সোমবার দিবাগত রাতে সাদ্দাম হোসেন পারিবারিক কলহের জের ধরে তার নিজের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করছিল। অসহায় মা তাকে নিবৃত করতে না পেরে অবশেষে ৯৯৯ কল দেন। ৯৯৯ কল পেয়ে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করে থানায় নেন।

সাদ্দাম হোসেনের মা সানোয়ারা খাতুন বলেন, বাড়িতে কোনো কিছু হলেই সে বাড়ি ঘর ও ঘরের জিনিসপত্র ভাঙচুর করে। তাই এবার সহ্য করতে না পেরে ৯৯৯ কল দিয়ে ছেলেকে পুলিশের হাতে তুলে দিয়েছি।

সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রেজাউল করিম বলেন, বাড়ি ঘর ভাঙচুর করার অপরাধে সাদ্দাম হোসেন (৩০) নামের একজনকে ১৫১ ধারায় গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতারকৃত আসামি সাদ্দাম হোসেনকে আজ মঙ্গলবার (২৩ মে) সকালের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




গাংনীতে ২ কেজি গাঁজাসহ একজন আটক

গাংনী উপজেলার লক্ষিনারায়নপুর ধলা গ্রামে পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২ কেজি গাঁজাসহ ইন্তাজ আলী (৫৫) কে আটক করেছে।

আটক ইন্তাজ আলী লক্ষিনারায়নপুর ধলা গ্রামের মৃত আকছেদ আলীর ছেলে। গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে গতকাল  সোমবার দিবাগত মধ্যরাতে গাংনী থানার এসআই শাহিন মিয়া, এসআই সইবুর রহমা, এসআই আয়ূব হোসেন, এসআই তুষার সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে তার ঘরের ভিতর থেকে এই গাঁজা উদ্ধার করেন। এসময় বাড়ির মালিক ইন্তাজ আলীকে আটক করেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, মাদক কারবারি ইন্তাজ আলী এলাকার শীর্ষ মাদক কারবারি। বিক্রির উদ্যোশ্যে গাঁজা বাড়িতে রেখেছিলেন তিনি। গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ তাকে আটক করা হয়।

গাঁজা উদ্ধারের ঘটনায় গাংনী থানা পুলিশ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দায়ের করেছেন। আটক ইন্তাজকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদান সম্মেলনে বিশ্বের মুক্তিকামী কণ্ঠস্বর মিলেছিল এক মোহনায়

যুদ্ধ-দারিদ্র্য-দুর্ভিক্ষমুক্ত শান্তিময় এশিয়া গড়ার আকাঙ্খায় বুধবার ২৩ মে, ১৯৭৩ সালে ঢাকায় অনুষ্ঠিত হয়েছিল এশীয় শান্তি সম্মেলন। সম্মেলন চলেছিল তিন দিন। উদ্বোধন করেছিলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সম্মেলন আয়োজন করে এশীয় শান্তি পরিষদ। সে সম্মেলনের প্রধান আকর্ষণ ছিল বঙ্গবন্ধুকে শান্তির জন্য জুলিও কুরি পদক প্রদান। এ পদক নোবেল শান্তি পুরস্কারের পরে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে সবচেয়ে মর্যাদাশীল ও সম্মানিত শান্তিপদক। নিপীড়িত বাঙালী জাতির মুক্তির সংগ্রামে অতুলনীয় নেতৃত্ব প্রদানের জন্য বঙ্গবন্ধুকে এশীয় শান্তি পরিষদ এ পদকে ভূষিত করেছেন। সেদিনের সে সম্মেলনের মাধ্যমে বিশ্বের মুক্তিকামী কণ্ঠস্বর মিলেছিল এক মোহনায়। সে সম্মেলনের প্রবেশমুখে ব্রেজনেভ, হো চি মিন, বঙ্গবন্ধু, শ্রীমতি ইন্দিরা গান্ধীর প্রতিকৃতি। মঞ্চের দু’পাশে ছিল পদকের প্রতিষ্ঠাতা প্রখ্যাত বিজ্ঞানী জুলিও কুরি ও বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতী। সে সম্মেলনে উত্তর ভিয়েতনাম, দক্ষিণ ভিয়েতনাম, লাওস, দক্ষিণ আফ্রিকা, প্যালেস্টাইন, সোভিয়েত ইউনিয়ন, তৎকালীন জিডিআর, ভারত, হাঙ্গেরী, অস্ট্রেলিয়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বুলগেরিয়া, কানাডা, বৃটেন, মিশর, ইরাক, ফ্রান্স, জাপান, জর্দান, মালয়েশিয়া, মঙ্গোলিয়া, শ্রীলংকা, সিরিয়া, উত্তর ইয়েমেন, ওমান, পোল্যান্ড ইত্যাদি দেশের প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। বাণী দিয়েছিলেন বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানগণ। জুলিও কুরি পদক সেদিন সম্মানিত হয়েছিল।

বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদান সম্মেলনে বিশ্বের মুক্তিকামী কণ্ঠস্বর মিলেছিল এক মোহনায়জুলিও কুরি শান্তি পদকে ভূষিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সেদিন বলেছিলেন, বিশ্বশান্তি আমার জীবন দর্শনের অন্যতম মূলনীতি। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত এবং শান্তি ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ-সে বিশ্বের যে কোন স্থানেই হোক না কেন, তাদের সাথে আমি রয়েছি।

উদ্বোধনী ভাষণে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, সকলের কাছে বন্ধুত্ব-কারো প্রতি বিদ্বেষ নয়, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের নীতিতে আমরা আস্থাশীল। আমরা সর্বপ্রকার অস্ত্র প্রতিযোগিতার পরিবর্তে দুনিয়ার সকল শোষিত ও নিপীড়িত মানুষের কল্যাণে বিশ্বাসী বলেই বিশ্বের সব দেশ ও জাতির বন্ধুত্ব আমরা কামনা করি। সামরিক জোটগুলির বাহিরে থেকে সক্রিয় নিরপেক্ষ পররাষ্ট্রনীতি আমরা অনুসরণ করে চলেছি। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, শুধু সরকারের নীতিই নয়-আন্তর্জাতিক শান্তি ও সংহতি সুদৃঢ় করা আমাদের সংবিধানের অন্যতম অনুশাসন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ মুজিবুর রহমান তার ভাষণে বলেছিলেন, আমরা মুক্তি সংগ্রামের আলোকেই জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের মূল্য অনুধাবন করেছি প্রতি অনু-পরমাণুতে। আমরা জানি মুক্তিকামী মানুষের ন্যায়সঙ্গত সংগ্রাম অস্ত্রের জোরে স্তদ্ধ করা যায় না। সেজন্য ভিয়েতনাম, কম্বোডিয়া, লাওস, এঙ্গোলা, মোজাম্বিক, বিসাউসহ দুনিয়ার সকল উপনিবেশবিরোধী সংগ্রামের প্রতি আমরা জানিয়েছি অকুণ্ঠ সমর্থন।

বঙ্গবন্ধু অন্যায়ভাবে আরব এলাকা জোরপূর্বক দখলে রাখার জন্য ইসরাইলের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ ও দক্ষিণ আফ্রিকাসহ বিশ্বের সকল স্থানের বর্ণভেদবাদী নীতিকে দ্বিধাহীন চিত্তে নিন্দা জ্ঞাপন করেন সে সম্মেলনে ভাষণ দানকালে। সেই সঙ্গে বিশ্বশান্তি নিয়ন্ত্রীকরণ ও মানব কল্যাণের যে কোন সৎ প্রচেষ্টার প্রতি জানিয়েছিলেন অকুণ্ঠ সমর্থন।

বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান উপমহাদেশের স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পাকিস্তানের বৈরী মনোভাবের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বলেছিলেন, পাকিস্তান বার বার উপমহাদেশের নতুন বাস্তবতাকে মেনে নিতে অস্বীকার করে এসেছে। স্থায়ী শান্তি ও মানবিক কল্যাণে আমাদের উদ্যোগের সর্বশেষ প্রমাণ ১৭ই এপ্রিলের ভারত-বাংলাদেশ দৃপ্ত ঘোষণা। এই ঘোষণায় স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার সূত্র খুঁজে বের করার অনুকূল পরিবেশ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে মানবিক সমস্যা সমাধানের জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। এই প্রস্তাবে অনুকূল সাড়া দেয়ার পরিবর্তে পাকিস্তান প্রতিহিংসামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করে পাকিস্তানে বেআইনীভাবে আটক নিরপরাধ বাঙালীদের বন্দীনিবাসে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, এইভাবে পাকিস্তানের একগুয়ে নীতি উপমহাদেশ স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠার পরে অন্তরায় হয়ে দাঁড়াচ্ছে। পাকিস্তানের অস্ত্র সরবাহ প্রসঙ্গে কারো নাম উল্লেখ না করে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছিলেন, কেউ কেউ আবার নতুন করে পাকিস্তানকে সজ্জিত করে চলেছেন নতুন নতুন সমরাস্ত্রে। নিঃসন্দেহে এটা স্থায়ী শান্তির যে কোন শুভ উদ্যোগের পথে অন্তরায় সৃষ্টি করতে পারে। বঙ্গবন্ধু এ ব্যাপারে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এশীয় শান্তি সম্মেলনে বলেছিলেন, আমরা চাই বিশ্বের সর্বত্র শান্তি বজায় থাকুক। তাকে সুসংহত করা হোক। বৃহৎ শান্তিবর্গ বিশেষভাবে আগ্রাসী নীতি অনুসারী কতিপয় মহাশক্তির অস্ত্রসজ্জা তথা অস্ত্র প্রতিযোগিতার ফলে আজ এক সংকটজনক অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এর ফলে অনুন্নত ও উন্নয়নকামী দেশসমূহের অর্থনৈতিক সাহায্য সংক্রান্ত মহা ঘোষণাগুলিও মূল্যহীন বলে প্রমাণিত হতে চলেছে। এই অস্ত্র প্রতিযোগিতার চক্রধারায় জড়িয়ে পড়ছে ছোট-বড়-মাঝারি অনেক দেশ। ফলে নানাভাবে বিভিন্ন দেশের সামরিক বাজেট হচ্ছে স্ফীত। এ অবস্থার অবসান আমাদের একান্ত কাম্য। আমরা চাই অস্ত্র প্রতিযোগিতায় ব্যয়িত অর্থ দুনিয়ার দুঃখী মানুষের কল্যাণের জন্য নিয়োগ করা হোক। তাহলে পৃথিবী থেকে দারিদ্র্যের অভিশাপ মুছে ফেলতে কাজ অনেক সহজসাধ্য হবে।

জাতির জনক শেখ মুজিবুর রহমান উদ্বোধনী ভাষণের শুরুতে বলেছিলেন, শ্যাম-সবুজ বাংলাদেশের সোনার মানুষ যুগ যুগ ধরে একান্তভাবে কামনা করেছে নিরবিচ্ছিন্ন শান্তি। কিন্তু পেয়েছে শুধু বিভিন্ন ঔপনিবেশিক শাসকগোষ্ঠীর হিংস্র ছোবল। যার পরিণতিতে আমাদের অর্থনীতি হয়েছিল বিপর্যস্ত। উপনিবেশবাদী শাসন আর শোষণের নগ্ন হামলাকে প্রতিরোধ করে ত্রিশ লক্ষ শহীদের প্রাণের বিনিময়ে আমরা ছিনিয়ে এনেছি আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা।

জাতির পিতা আরো বলেছিলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে তাই শান্তি আর স্বাধীনতা একাকার হয়ে মিশে গেছে। পাকিস্তানের ঔপনিবেশিক শাসকচক্রের গণহত্যা, বর্বরতম জংলী নীতি ও সর্বাপরি চাপিয়ে দেয়া যুদ্ধকে প্রতিহত করে এক সাগর রক্ত দিয়ে আমাদের স্বাধীনতা লাভ করতে হয়েছে। আমরা মর্মে মর্মে অনুধাবন করি, বিশ্বশান্তি তথা আঞ্চলিক শান্তির অপরিহার্যতা। বঙ্গবন্ধু বলেন, বিশ্বশান্তি পরিষদই একমাত্র সংস্থা যারা বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছিলেন। বাংলাদেশের মুক্তিসংগ্রামে বিশ্বশান্তি পরিষদের অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছিলেন, বাংলাদেশের চরম দুঃসময়ে বিশ্বশান্তি পরিষদ আমাদের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করেছিলেন। এ দেশের মানুষও ঠিক একইভাবে বিশ্বশান্তি আন্দোলনের সাথে সহমর্মিতা জানিয়ে এসেছেন। বঙ্গবন্ধু স্মৃতিচারণ করে বলেছিলেন, আমি নিজে পিকিং (বেইজিং) এ অনুষ্ঠিত প্রথম এশীয় ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলীয় শান্তি সম্মেলনে একজন প্রতিনিধি ছিলাম। বিশ্বশান্তি পরিষদের ১৯৫৬ সালের স্টকহোম সম্মেলনে আমি যোগ দিয়েছিলাম। বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, আমরা একটি শোষণমুক্ত সমাজ ব্যবস্থা কায়েম করতে চাই। যুগ যুগ ধরে সাম্রাজ্যবাদী শোষণ এবং পাকিস্তানের ২৪ বছরের উপনিবেশবাদী লুণ্ঠন, সর্বোপরি নয় মাসে পাকিস্তানী বাহিনীর হামলার ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মেরুদন্ড ভেঙ্গে পড়েছে। আর বাংলার দুঃখী মানুষের ঘরে ভাত নেই। পরণের কাপড় নেই। এই ভুখা-নাঙ্গা মানুষকে বাঁচানোর জন্য আমাদের সংগ্রাম। এই সংগ্রাম বুভুক্ষা, বেকারত্ব, দারিদ্র ও নিরক্ষরতার বিরুদ্ধে। এই সংগ্রাম সফলকাম হওয়ার জন্য আমাদের শান্তিপূর্ণ পরিবেশ প্রয়োজন। এই জন্যই উপমহাদেশসমূহ দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াকে শান্তির এলাকা ঘোষণার আহ্বান জানিয়েছিলাম।

শান্তি পদক গ্রহণ করে বঙ্গবন্ধু বলেছিলেন, এ সম্মানের জন্য আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু এ সম্মান কোন ব্যক্তি বিশেষের নয়। এ সম্মান বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে আত্মদানকারী শহীদদের। মুক্তি সংগ্রামের বীর সেনানীদের। জুলিও কুরী শান্তিপদক সমগ্র বাঙালী জাতির। আমার দেশের সাড়ে সাত কোটি মানুষের। এ সম্মেলনে যোগদানের জন্য যুক্তরাষ্ট্র থেকে আগত প্রতিনিধি মিঃ ডীন বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রসহ সকল সাম্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে বাংলাদেশের জনসাধারণ সংগ্রামের এক অনন্য দৃষ্টান্ত ও অনুপ্রেরণা। তিনি বলেন এতে বিশ্বেও মুক্তিকামী মানুষকে অনুপ্রাণীত করা হলো।

বিশ্বশান্তি পরিষদের সেক্রেটারী জেনারেল শ্রী রমেশচন্দ্র বলেন, বঙ্গবন্ধু শান্তি ও স্বাধীনতার অগ্রদূত এবং বিশ্বেও মহান মানব। বাংলাদেশের স্বাধীনতার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু জাতীয় মুক্তিসংগ্রামে লিপ্ত বিশ্বের স্বাধীনতাপ্রেমীদের উদ্বুদ্ধ করেছেন।
এখনো বিশ্বেও বিভিন্ন দেশে সা¤্রাজ্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে শান্তিকামী মানুষেরা মুক্তির সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন। তারা শান্তির অন্বেষায় রক্ত বিলুচ্ছেন আর বঙ্গবন্ধুর মত একজন মুক্তিকামী নেতা খুঁজে ফিরছেন। মুক্তির এ সংগ্রামে আমাদের হাতও মুষ্ঠিবদ্ধ হোক, কণ্ঠ গর্জে উঠুক- বঙ্গবন্ধুকে জুলিও কুরি শান্তি পদক প্রদানের সুবর্ণজয়ন্তীতে এই হোক প্রত্যাশা।

লেখকঃ উপপ্রধান তথ্য অফিসার, আঞ্চলিক তথ্য অফিস, ময়মনসিংহ, পিআইডি, ময়মনসিংহ




দর্শনা সীমান্তে ভলিবল খেলায় বিজিবিকে হারিয়ে -বিএসএফ চাম্পিয়ান

দর্শনা আন্তজার্তিক জয়নগর সীমান্তে বিজিবি- বিএসএফের মধ্যে এক প্রীতি ভলিবল খেলা অনুষ্টিত হয়েছে।

জানাগেছে গতকাল সোমবার বেলা ৩ টার দিকে জয়নগর সীমান্তের ৭৭নং পিলালের ৫শ গজ বাংলাদেশের ভিতরে শৃন্য রেখায় এ ভলিবল প্রীতি ম্যাচটি অনুষ্টিত হয়। এ প্রীতি ভলিবল খেলায় বিএসএফ-২-১ ব্যাবধানে বিজিবিকে পরাজিত করে।

চুয়াডঙ্গা ৬ বিজিবির আমন্ত্রণে গতকাল সোমবার বেলা ৩ টায় দর্শনা সীমান্তের মেইন পিলালের ৭৬ /৭৭ নং দিয়ে বি এসএফের ১২ সদ্যস্যার ভলিবল দল অফিসার ১৩ সদস্যসহ বাংলাদেশে প্রবেশ করে।

এ সময় চুযাডাঙ্গা ৬ বিজিবির পক্ষে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির পরিচালক সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান পি এস সি, মেডিক্যাল অফিসার খন্দকার আশিকুল আরেফিন, এডিসোনাল অফিসার শেখ মোঃ ইমরান আলী, দর্শনা কোম্পানী কমন্ডার জহির আহম্মেদ, দর্শনা আইসিপি কমান্ডার আব্দুল জলিল, বিওপি কমান্ডার আব্দুল জলিল বিওপি কমান্ডার মোজাম্মেল হক, এডমিন স্টাফ আবু নাসির, এডমিন স্টাফ আবুল কালাম আজাদ, মিনহাজ উদ্দীন, ডিনারুল ইসলাম, তমাল উদ্দীন, বিএসএফের ৫৪ ব্যাটেলিয়নের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন, বি এসএফের সেকেন্ড ইন কমান্ড হার মেট শিং সানি, সেকন্ড অফিসার জগোদেব শিং, ডেপুটি কমান্ড সুনীল পায়েল, সহকারী কোম্পানী কমান্ডার শ্রী নোগেনদ্র পাল, সহকারী অফিসার শ্রী মহেশ, বিএসএফের ক্যাম কমান্ডার শ্রী মোজন্দার, মেডিকেল অফিসার বরুন কুমার, এ এস আই শামীম, এডিএম স্টাফ জে মজুমদার, অফিস স্টাফ শ্রী প্রতাপ প্রমুখ।

খেলা শেষে বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা ৬ বিজিবির পরিচালক সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান পি এস সি, বলেন প্রীতি ভলিবল খেলার মধ্য দিয়ে দুই বাহিনীর মধ্যে বিরাজমান সৌহাদ্যপূর্ণ সম্পর্ক আরো জোরদার হবে। খেলা শেষে দুই দেশের বাহীনীর মধ্যে ট্রফি তুলে দেন খেলোয়াড়দের মাঝে।