হোয়াটসঅ্যাপে ব্যক্তিগত মেসেজ লুকিয়ে রাখতে ‘চ্যাট লক’

ইদানিংকালে একটির বেশি চারটি ডিভাইসে চ্যাট খুলে রাখার সুবিধা চালু করেছে হোয়াটসঅ্যাপ। কিন্তু সেই সুবিধার মধ্যেও রয়েছে একটি বিপদ। কথাবার্তা যদি নিতান্ত ব্যক্তিগত হয়, তাহলে একের পর এক চারটি ডিভাইসে চ্যাট খোলা থাকলে তা সর্বসমক্ষে চলে আসতে পারে। হোয়াটসঅ্যাপ খুলে রাখতে পারলেও যদি বিশেষ কোনও চ্যাট লুকিয়ে রাখার সুবিধা উপলব্ধ থাকে, তাহলে এক ঢিলে দুই পাখি মারতে পারবেন ব্যবহারকারীরা। এই সুবিধার কথা মাথায় রেখেই একটি বিশেষ নতুন ফিচার চালু করল হোয়াটসঅ্যাপ কর্তৃপক্ষ ‘মেটা’।

এই সংস্থার পক্ষ থেকে সম্প্রতি হোয়াটসঅ্যাপ-এ একটি নতুন বৈশিষ্ট্য যোগ করা হয়েছে, যা ব্যবহারকারীদের আলাদা আলাদা কথোপকথনগুলি লুকিয়ে রাখার জন্য বিশেষ ‘লক’ ফিচার দিচ্ছে। এই লক করার সুবিধা পাবেন কীভাবে? ‘মেটা’ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে যে, একটি পাসওয়ার্ড বা বায়োমেট্রিক প্রমাণীকরণ ব্যবহার করে যেকোনও নির্দিষ্ট চ্যাটকে লক করে রাখতে পারবনে ব্যবহারকারীরা। চ্যাটগুলি আলাদা আলাদা ফোল্ডারেও সংরক্ষণ করা হবে এবং কার সাথে চ্যাট করা হচ্ছে, তার নাম এবং প্রকৃত বার্তাও লুকিয়ে রাখা যাবে। শুধুমাত্র পাসওয়ার্ড বা বায়োমেট্রিক প্রমাণী দেওয়ার পরেই ওই বিশেষ চ্যাটটি দেখা যাবে।

অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয় ডিভাইসেই আগে থেকে বায়োমেট্রিক বা একটি পিন কোড ব্যবহার করে সম্পূর্ণ হোয়াটসঅ্যাপটি লক করে রাখার সুবিধা চালু ছিল। কিন্তু নির্দিষ্ট কোনও চ্যাট লুকিয়ে রাখার সুবিধা ছিল না। এবার থেকে এই নতুন ‘লক ফিচার’ বৈশিষ্ট্যটি ব্যবহার করে ব্যবহারকারীরা নির্দিষ্ট ব্যক্তিগত বার্তাগুলোকে আরও সুরক্ষিত করে রাখতে পারবেন। এর দ্বারা, যদি কেউ আপনার ফোনে অ্যাক্সেস করতে পারেন, তিনি কোনওভাবেই হোয়াটসঅ্যাপ-এর চ্যাট-লক করা বার্তাগুলি দেখতে পাবেন না।

হোয়াটসঅ্যাপে ইতিমধ্যেই বেশ কিছু নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা-কেন্দ্রিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যেমন এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন, এনক্রিপ্ট করা চ্যাট ব্যাকআপ, অদৃশ্য হয়ে যাওয়া চ্যাট, স্ক্রিনশট ব্লক করা এবং কে সর্বশেষ দেখা স্ট্যাটাস অ্যাক্সেস করতে পারবেন, তা নিয়ন্ত্রণ করার সুবিধা। এবার যদি আপনি সর্বশেষ আপডেট করান, তাহলে মেটা আপনার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাটের গোপনীয়তা এবং সুরক্ষা বৈশিষ্ট্যগুলিকে আরও শক্তিশালী করবে।

‘চ্যাট লক’ বৈশিষ্ট্য কী:

মেটার তথ্য অনুসারে, যখন একটি হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট ‘লক’ করা হয়, তখন সেই কথোপকথনের থ্রেডটি ব্যবহারকারীর ইনবক্স থেকে নেওয়া হয় এবং কথাগুলি তার নিজস্ব ফোল্ডারে রাখা হয়। এই ক্ষমতাটি স্বয়ংক্রিয়ভাবে সেই চ্যাটের বিষয়বস্তু লুকিয়ে রাখে।

হোয়াটসঅ্যাপে চ্যাট লক কীভাবে সক্রিয় করবেন:

অ্যান্ড্রয়েড এবং আইওএস উভয় ডিভাইসেই সর্বশেষ সংস্করণের দ্বারা হোয়াটসঅ্যাপে ডাউনলোড বা আপডেট করতে পারবেন।

এরপর আপনি লক করতে চান, এমন কোনও নির্দিষ্ট চ্যাটে যান।

ওই চ্যাটের প্রোফাইল পিকচারে ক্লিক করুন।

মেনু সেকশনে আপনি অদৃশ্য বার্তা মেনুর ঠিক নীচে ‘চ্যাট লক’ নামে একটি নতুন বিকল্প দেখতে পাবেন।

এখান থেকে ‘চ্যাট লক’ চালু করতে পারবেন।

ফোনের পাসওয়ার্ড বা বায়োমেট্রিক ব্যবহার করে চ্যাটগুলি লক করে রাখা যাবে।

হোয়াটসঅ্যাপে লক করা চ্যাটগুলি কীভাবে অ্যাক্সেস করবেন।

সমস্ত লক করা চ্যাট অ্যাক্সেস করতে। হোয়াটসঅ্যাপ-এর হোম পেজের নিচে সোয়াইপ করুন।

সূত: ইত্তেফাক




গাংনীতে গাঁজাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক

গাংনীর ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্প অভিযান চালিয়ে ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ মার্জিয়া খাতুন ওরফে ময়না (৪৫) নামের এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছেন।

মাজিয়া খাতুন ওরফে ময়না কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলার মনাইকুন্ডি গ্রামের বাদল মোল্লার স্ত্রী।

আজ সোমবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ৮ টার সময় বামন্দী-বেতবাড়িয়া সড়কের রামনগর বাজারের কাছ থেকে ওই নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে ভবানীপুর পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ আবুল কালাম আজাদ ও তার সঙ্গীয় ফোর্স।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি জানান, নারী মাদক ব্যবসায়ী ময়না খাতুন পুটলার মধ্যে করে গাঁজা নিয়ে বামন্দীর দিকে যাচ্ছিলেন রামনগর বাজারের উপর তাকে পুলিশ চেক করে গাঁজা পান। পরে তাকে গ্রেফতার করে গাংনী থানা পুলিশে হস্তান্তর করেন।

এঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে গাংনী থানায় একটি মামলা দায়ের করেন পুলিশ।

আজ সোমবার দুপুরের দিকে আটক ময়না খাতুনকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




প্রত্যাশা আজ প্রত্যাহৃত – রফিকুল ইসলাম

অনেকটা সময় লবঙ্গের সুঘ্রাণে হারিয়ে গেছে,
পরম সহিষ্ণতায় দুঃখগুলো প্রথিত মনে
সাত সাতটি বসন্ত পুড়ে গেছে তপ্ত বৈশাখে,
প্রতিশ্রুতির নামতা মেলেনি প্রতিশ্রুত ধারাপাতে।

গর্ভিণী মেঘেরা আজ সুখের বার্তা নিয়ে এসেছে
হলুদ পাতার বদলে জেগেছে সবুজ কিশোলয়,
অনুভব ছুঁয়ে সৌভাগ্যের বারান্দায় সুগন্ধ ছড়ায়
স্বপ্নলতিকা এখন জানালার কার্নিশ ছুঁয়ে যায়।

তবুও ঝড় উঠে স্বপ্নঘোরে ঘুমের আঁধার ভেঙে
বিস্ফোরিত আগ্নেয়গিরির জ্বালামুখ বেয়ে
প্রথিত কষ্টগুলো নিঃশব্দ কান্নায় জেগে উঠে
সুঘ্রাণ গোলাপে কাঁটাগুলো অলক্ষ্যে থাকে চেয়ে।

দূরে ঐ নীলিমায় পাখিরাও উড়ে যায় ফিরে
আঙ্গুলের ফাঁকে সূতাকাটা ঘুড়িটাও উড়ে যায় দূরে
দূরে— অনেক দূরে..! অনেক— দূরে..!




গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের বিক্ষোভ মিছিল

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদে মেহেরপুরের গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ শাখা ছাত্রলীগের উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২২শে মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ চত্বর থেকে একটা বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে বিভিন্ন সড়ক ঘুরে একই স্থানে এসে শেষ হয়।

বিক্ষোভ মিছিলে গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আহমেদের সঞ্চালনায় সভাপতিত্ব করেন গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি শাহিন রেজা। এসময় গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজের ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিক্ষোভ মিছিলে অংশগ্রহণ করেন।




চোখ লিভার ও কিডনিকে ভালো রাখে ঝিঙা

শারীরিকভাবে সুস্থ থাকতে আমিষ স্নেহজাতীয় খাবারের পাশাপাশি প্রচুর শাকসবজি খাই আমরা। ডাক্তারও প্রতিটি রোগীকে শাকসবজির প্রতি জোর দিতে বলেন। তবে সবজির তালিকাতে প্রায় আমরা ঝিঙার নাম রাখি না। অথচ ঝিঙার প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি আছে।

ঝিঙা অনেকেই পছন্দ করেন না। তবে স্বাদে খুব একটা আকর্ষণীয় না হলেও, ঝিঙা পুষ্টিগুণ ভরপুর। ওজন কমাতে, চোখ ভালো রাখতে এবং ইমিউনিটি বাড়াতে বেশ কার্যকরী এই সবজি। ঝিঙা খেলে স্বাস্থ্যের কী কী উপকার হয়, তা সবার জেনে রাখা উচিত।

ঝিঙা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট সমৃদ্ধ এবং এতে ক্যালোরি খুব কম। যে কারণে ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুব উপকারী সবজি এটি। পাশাপাশি ঝিঙা হাইপোগ্লাইসেমিক। যে কারণে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়তা করে।

ঝিঙাতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’ থাকে, যা চোখ ভালো রাখতে সহায়তা করে। বিশেষ করে বেশি বয়সি মানুষের ক্ষেত্রে ঝিঙা অত্যন্ত উপযোগী। ম্যাকুলার ডিজেনারেশন, আংশিক অন্ধত্ব এবং চোখের অন্যান্য অসুস্থতা প্রতিরোধে সহায়তা করে ঝিঙা। এ ছাড়া অপটিক স্নায়ু ভালো রাখে এই সবজি। বিভিন্ন ক্ষতিকর পদার্থ থেকে চোখের রক্তনালিকেও রক্ষা করে।

ঝিঙাতে প্রচুর পরিমাণে জলীয় উপাদান আর সেলুলোজ থাকে। সেলুলোজ এক ধরনের প্রাকৃতিক ফাইবার। ফলে ঝিঙা কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তি দেয় এবং পেট ভালো রাখে। পাশাপাশি স্বাভাবিক মলত্যাগ এবং হজমে সহায়তা করে।

ঝিঙা ফাইবার সমৃদ্ধ, যা হজম হতে সময় নেয়। ফলে দীর্ঘ সময় পেট ভরা রাখে। আর এতে ক্যালোরিও কম এবং জলের পরিমাণ বেশি, যা ওজন কমাতে অবদান রাখে।

ঝিঙা আমাদের শরীর থেকে বিষাক্ত বর্জ্য পদার্থ, অ্যালকোহল ও অপাচ্য খাদ্যকণা দূর করে। ফলে ভালো থাকে লিভার। পিত্তরসের ক্ষরণ ভারো রাখতেও ঝিঙার অবদান অনেক। ফলে জন্ডিস থেকে সেরে ওঠার সময় ঝিঙা খেতে বলা হয়।

চোখ, লিভার, পাকস্থলী ও কিডনি সংক্রমণের প্রধান কারণগুলোর মধ্যে একটি হলো শরীরের কম রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। ঝিঙাতে রয়েছে ভিটামিন ‘সি’, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, রাইবোফ্ল্যাভিন, থায়ামিন এবং জিঙ্ক। যে কারণে ইমিউনিটি বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে ঝিঙা।

সূত্র: যুগান্তর




ফারুকের আসনে উপনির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীদের ইঙ্গিত করে বাপ্পারাজের পোস্ট

বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় নায়ক এবং ঢাকা-১৭ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা আকবর হোসেন পাঠান ফারুক মারা গেছেন। তার মৃত্যুতে আসনটি শূন্য হয়েছে। এই আসনে নির্বাচনে অংশ নেওয়ার জন্য বেশ তোড়জোড় শুরু হয়েছে।

ছোটপর্দার জনপ্রিয় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক অনেক আগে থেকেই এ আসনে সংসদ সদস্য হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করে ব্যানার-ফেস্টুন ঝুলিয়ে আসছেন। তবে নায়ক ফারুকের মৃত্যুর পর থেকে অনেকটা বেশিই তৎপর হয়েছেন এ অভিনেতা। এ নিয়ে সমালোচনার মুখেও পড়েছেন।

এর আগে সিদ্দিক ছাড়াও আরও অনেক তারকার নাম প্রস্তাবনা হিসেবে এসেছে ঢাকা-১৭ আসনে।

এ নিয়ে মুখ খুলেছেন বাংলা চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় চিত্রনায়ক বাপ্পারাজ। এর পেছনে কারণও রয়েছে। এ অভিনেতার বাবা প্রয়াত নায়ক রাজ্জাকের বাড়ির নাম ‘লক্ষ্মীকুঞ্জ’। বাড়িটি রাজধানীর গুলশান-২ এ অবস্থিত। আর সেখানেই পরিবারসহ বসবাস করছেন বাপ্পারাজ। সেই হিসেবে তারা ঢাকা-১৭ আসনের অন্তর্ভুক্ত।

রোববার ফেসবুকে নিজস্ব ওয়ালে ক্ষোভ প্রকাশ করে একটি পোস্ট করেন। সেখানে বাপ্পারাজ লেখেন— ঢাকা উত্তরের যারা মেয়র হয়ে আসেন, তারা এতটাই এফিসিয়েন্ট যে, কোনো কাজ অসমাপ্ত রাখেন না। যেটা এসে কোনো এমপি সাহেবকে সমাপ্ত করতে হবে।

তিনি আরও লেখেন, একজন মৃত মানুষের সেন্টিমেন্টকে ক্যাশ করে যারা ফায়দা লুটতে চাচ্ছেন, তারা অফ যেতে পারেন। গুলশান আপনাদের চায় না।




মেহেরপুর বিএনপির রাজনৈতিক হালচাল

বিএনপির প্রথম এবং শেষ ভাবনা সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল এবং জনগণের আকাংখা দল নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে জাতীয় নির্বাচন। মানুষের ভাত ও ভোটের রাজনীতি করছে মেহেরপুর জেলা বিএনপি। এমন কথা জানালেন, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন।

অপরদিকে মেহেরপুর জেলা বিএনপির অপর অংশের নেতা জেলা বিএনপির আলমগীর খান ছাতু বলেন, “মাসুদ অরুন, আমজাদ, আমজাদ ও মাসুদ অরুন” এই দু ব্যক্তিই মেহেরপুর জেলা বিএনপির বিগত ত্রিশ বছর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের পদ দখল করে আছেন। এই দুজনের বাইরে কখনো কেউ পদে আসতে পারেনি। এছাড়া শেষ কমিটির বয়স ১০ বছর হলেও এখন পর্যন্ত এই কমিটি ্একটি পরিচিত সভাও করতে পারেনি। তাছাড়া আমরা সংস্কার পন্থিদের বাদ দিয়েই বিএনপির রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে চাই।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির রাজনীতি নিয়ে মেহেরপুর জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ নানা কথা তুলে ধরেছেন। বিএনপির বিভিন্ন স্তুরের নেতৃবৃন্দের বক্তব্য নিয়েই আজকের আয়োজন।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু বলেন, আমার সাথে জেলা বিএনপির সহসভাপতি ওমর ফারুক লিটন , যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক প্রভাষক ফয়েজ আহম্মেদ, যুগ্ম সাংগাঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি হুজাইফা ডিক্লার, জিয়া মঞ্চের জেলা আহবায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম ও জিয়া পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেনসহ ছাত্রদলের বেশ কয়েকজন নেতা কর্মী তাদের সাথে রয়েছে বলে দাবী করেন তিনি।

বিএনপির পেশাজীবি সংগঠন “শিক্ষক কর্মচারী ঐক্যজোটের’ ভারপ্রাপ্ত মহামসচিব ও মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য জাকির হোসেন বলেন, জেলা বিএনপির মধ্যে নেতৃত্বের প্রতিযোগীতা আছে। তবে, সংকটকালীন সময়ে বিএনপির সকল নেতাকর্মী এক সাথে কাজ করেন।

জেলা বিএনপির অফিস কেন্দ্রীক রাজনৈতিক কর্মসূটি বাস্তবায়ন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমান ফ্যাসিষ্ট সরকারের আমলে কোনো কর্মসূচি পালনের জন্য অনুমতি নিতে গেলে তারা আমাদের অনুমতি দেয়না। বাধা দেয় সকল কর্মসূচিতে। তাই, আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখার জন্য কর্মসূচি পালন করা হয়ে থাকে। যেকোনো কর্মসূচিতে বাধা দেয়।

ভোটের আগে আপনাকে রাজনীতির মাঠে দেখা যায়, বাকী সময়গুলোতে আপনাকে পাওয়া যায়না প্রশ্নের জবাবে জাকির হোসেন বলেন, কেন্দ্রীয় কর্মসূচিতে থাকার কারনে স্থানীয় রাজনীতিতে আমি সময় দিতে পারিনি। আমি বিএনপির কেন্দ্রীয় কোনো নেতা না হলেও বিএনপির পেশাজীবি সংগঠনের ব্যানারে সারা বাংলাদেশে কেন্দ্রীয় নেতাদের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হয়।

জাকির হোসেন বলেন, গতানুগতিক রাজনীতির বাইরে আমার নিজস্ব কিছু দর্শন আছে। সেই দর্শনের মধ্য দিয়ে মেহেরপুরের মানুষের জীবন মানের প্রকৃত উন্নয়ন সাধিত হবে। যা অতিতে কেউ এটা করে উঠতে পারেনি।

মেহেরপুর জেলা জিয়া মঞ্চের আহবায়ক অ্যাডভোকেট নজরুল ইসলাম বলেন, মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে বিএনপির অংশ বিএনপির মুল আদর্শের সাথে নেই। যেই কারণে, মেহেরপুর জেলা বিএনপি দুটি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। জেলা বিএনপি দুই ভাগে বিভক্ত হওয়ায় যারা তৃণমুলের রাজনীতিতে আছেন তারা সব সময় একটা বেকায়দার মধ্যে থাকেন। বিএনপির সহযোগী সংগঠণ হিসেবে জিয়া মঞ্চের সাথে যারা রয়েছেন তারাও বিপদের মধ্যে রয়েছেন। কেন্দ্রীয় নেতারা আসলে সব কর্মসূচি এক সাথে করতে হয়। তখন তাদের নির্দেশেই মাসুদ অরুনের সভাপতিত্বেই অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হয়।

মেহেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস বলেন, জেলা বিএনপির কমিটিতে প্রায় ৩’শ নেতা কর্মী রয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে ৫/৬ জন লোক এক সাথে চলে। এটাকে বিএনপির বিভক্তি বলা যায়না। বিএনপি তৃণমুল নেতাকর্মীর দল। স্থানীয় কর্মীরাই তাদের নেতা ঠিক করেন। মাসুদ অরুনের নেতৃত্বাধীনে জেলার হাজার হাজার লোক এক সাথে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে। গুটি কয়েক লোক নেতৃত্ব দিচ্ছে, সাথে কিছু খুচরা লোকজন আছেন। আমরা তাদের সেভাবেই দেখিনা।

কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ আসলে তাদের আমরা ডাকি। তখন তারা আমাদের সাথে এসে কর্মসূচি পালন করে থাকেন। আলাদা করে রাজনৈতিক কর্মসূচি দেওয়ার মত সক্ষমতাও তাদের নেই। তারা কোনো কর্মসূচিও পালন করে না। নিজেদের সক্ষমতা দেখাতেই ওয়ান ইলেভেনের পর থেকেই তারা গুটি কয়েক লোক এধরণের একটা পর্যায় সৃষ্টি করে রেখেছে। এটাকে বিএনপির মুল শক্তি পাত্তা দেইনা। বিএনপির জেলা কমিটির সাথে তৃণমুলের যেসব কমিটি রয়েছে সবাই এক সাথেই আন্দোলন সংগ্রামে আছে।

বিএনপি’র আগামী দিনের দাবী কি এমন প্রশ্নের জবাবে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক এমপি মাসুদ অরুন বলেন, আমাদের এখন প্রথম ভাবনা সরকারের পদত্যাগ, অবৈধ সংসদ বাতিল এবং জনগণের আকাংখা জাতীয় দাবি দল নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে জাতীয় নির্বাচন।

তিনি বলেন, সরকারের আগ্রাসী দুর্নীতীর কারনে, নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যের দাম লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। তাই এই দুর্নীতি বন্ধ করতে সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করা অথবা, তাদের স্ব ইচ্ছায় পদত্যাগ করতে হবে। আগামি তিন মাসের মধ্যে এই অবৈধ সরকারের পদত্যাগ করতে বাধ্য করা হবে বলেও জোর দাবী জানান তিনি।

ঘরের মধ্যে বা বিএনপি কার্যালয়ের সামনে রাজনৈতিক সমস্ত কর্মকান্ড করা প্রসঙ্গে বিএনপির এই নেতা বলেন, আমরা শুধু অফিসের সামনেই নয়, অফিসের বাইরেও অনেক প্রোগ্রাম কর্মসূচি করেছি। বিশেষ করে কাথুলি মোড় ও বিভিন্ন গ্রামে বিগত দিনে ৪/৫টি মিটিং মিছিল করেছি। কিন্তু আমরা লক্ষ্য করেছি সরকারি দল তাদের রাজনৈতিক দুর্বলতা ঢাকতে প্রশাসনকে ব্যবহার করে শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্ক বরাদ্দ দেয়না।

মাসুদ অরুন বলেন, আমরা মনে করি, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের ফসল শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্ক। জনগণের ন্যায্য দাবী দাওয়া এবং সত্য উচ্চারণের পক্ষে এই প্রাঙ্গণ ব্যবহার করা সকলের অধিকার, এটা নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের বিশ্বাস আগামি দিনে উপলব্ধি থেকে সরকারি দল এবং প্রশাসন এই পার্ক ব্যবহারে কোনো প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করবেনা।

কেন্দ্রীয় কর্মসূচি ও স্থানীয় দাবি দাওয়া নিয়ে মেহেরপুরের বিএনপি প্রতিনিয়ত স্বোচ্চার। জনগণের কাঙ্খিত লক্ষ্য সামনে রেখে চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলন মানুষের ভাত ও ভোটের অধিকারসহ চাল, ডাল, তেল, চিনি বিদ্যুৎ, গ্যাসের লাগামহীন মুল্য বৃদ্ধির এবং একটি গণতান্ত্রিক রাস্ট্র নির্মাণের জন্যই আমরা লড়ে যাচ্ছি।

এ কারণে গত ১৫ বছরে আমাদের জেলায় ২৭ জন নেতা কর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। শত শত বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতা কর্মীর নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি, নির্যাতন ও বেআইনীভাবে গ্রেফতার হয়রানি ও কারা নির্যাতন করা হয়েছে। জনগণের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্ছিত করা হয়েছে।




দামুড়হুদায় মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত

“চলো যাই যুদ্ধে, মাদকের বিরুদ্ধে” এই স্লোগানকে সামনে রেখে দামুড়হুদায় মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্ট ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ রবিবার বিকাল ৩ টার সময় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খাঁন।

এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, চলো যাই যুদ্ধে মাদকের বিরুদ্ধে, খেলাধুলায় বাড়ে বল, মাদক ছেড়ে খেলতে চল। ফুটবল একটি জনপ্রিয় খেলা। মাদকের উপর আসক্তি কমানোর জন্যই মূলত এই মাদক বিরোধী প্রীতি ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গার ফুটবলের একটি ঐতিহ্য রয়েছে। এর হারানো ঐতিহ্যকে ফিরিয়ে আনতে হবে। খেলাধুলা করলে মন ও শরীর উভয় ভালো থাকে। খেলাধুলা মাদক থেকে দূরে রাখে। সবারই নিয়মিত খেলাধুলা করা প্রয়োজন। মাদকের কড়াল থাবা থেকে বাঁচতে আগামী প্রজন্মকে মাদক থেকে দূরে রাখতে নিয়মিত খেলাধুলার আয়োজন করতে হবে। আপনার সন্তানদের নিয়মিত খোঁজ খবর নিবেন। তাদেরকে খারাপ সঙ্গ ত্যাগ করিয়ে খেলাধূলার প্রতি মনযোগের জন্য সবাইকে উদাত্য আহবান জানান। জেলায় মাদকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেন, এরই ধারাবাহিকতায় আগামীতে জেলার সবাইকে নিয়ে ডিসি গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের আয়োজন করা হবে বলে তিনি বলেন। মাদকে যারা জড়িয়ে গেছেন তারা তিলে তিলে নিঃশ্বেস হয়ে যাবে। মাদকের কারনে কিশোর গ্যাং চুরি ছিন্তাই বৃদ্ধি পায়। এসময় তিনি খেলার আয়োজক কমিটিকে ধন্যবাদ জানান।

দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে এসময় বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শরিয়ত উল্লাহ, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) জাকিয়া সুলতানা, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম, ওসি তদন্ত সফিউল আলম, উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ: করিম বিশ্বাস, কুড়ালগাছি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন, নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, হাউলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নিজাম উদ্দিন, সদর ইউপি সদস্য সামসুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিলন, দামুড়হুদা স্পোর্টিং ক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শহীদ আজম সদু প্রমুখ।

খেলায় মোট ৪টি দল অংশ গ্রহণ করেন। তারা হলেন নতিপোতা ইউনিয়ন একাদশ, মদনা একাদশ, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন একাদশ, কার্পাসডাঙ্গা একাদশ। একই দিনে সব দলের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম সেমিফাইনাল খেলায় নতিপোতা ইউনিয়ন একাদশ ২-০ গোলে মদনা ইউনিয়ন একাদশকে পরাজিত করে ফাইনালে ওঠে। পরে দামুড়হুদা ইউনিয়ন একাদশ ও কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন একাদশ এর মধ্যে খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় কোন দল গোল করতে না পারায় খেলাটি শুন্য গোলে ড্র হয় এবং খেলাটি ট্রাইবেকার পর্যন্ত গড়ায়। ট্রাইবেকারে দামুড়হুদা একাদশ ০১ গোল করে এবং কার্পাসডাঙ্গা একাদশ ০৩ গোল দিয়ে ফাইনালে উতীর্ণ হন। পরে কার্পাসডাঙ্গা বনাম নতিপোতা একাদশের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলায় কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন একাদশ ১-০ গোলে নতিপোতা ইউনিয়ন একাদশকে হারিয়ে চাম্পিয়ান হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। রানার্সআপ হয় নতিপোতা ইউনিয়ন একাদশ। খেলা শেষে প্রধান অতিথি চাম্পিয়ান দলকে চাম্পিয়ান টফি ও রানার্সআপ দলকে রানার্সআপ টফি প্রদান করেন।

খেলায় প্রধান রেফারির দায়িত্ব পালন করেন সৈয়দ মাসুদুর রহমান খোকন, সহকারী রেফারি ছিলেন, ইউসুফ আলী এবং তিতুয়ার রহমান। খেলায় ধারাভাষ্য দেন উদীয়মান ধারাভাষ্যকার মো: শামীম খাঁন।




দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডে ভস্নীভূত হওয়ায় পরিবারের পাশে ইউএনও রোকসানা মিতা

দামুড়হুদায় অগ্নিকাণ্ডে মেসার্স সাইম ট্রেডার্স পুড়ে ভস্নীভূত হওয়ায় পরিবারটির পাশে দাঁড়ালেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) রোকসানা মিতা। আজ তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ও পরিবারের খোঁজ খবর নেন। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করেন। সেই সাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পূর্ণনির্মাণ করার জন্য ঢেউটিনের আবেদন করতে বলেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা বলেন অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা জানতে পেরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি ও পরিবারের খোঁজ খবর নিয়েছি। অগ্নিকাণ্ডে ব্যবসায়ী অনেকটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, ঘটনাটি অত্যন্ত কষ্টদায়ক। ব্যবসায়ী শওকত ওসমান আমার অফিসে এসেছিলেন উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করা হয়েছে। সেই সাথে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পূর্ণনির্মাণ করার জন্য ঢেউটিনের আবেদন করতে বলেছি, আবেদন করলে ঢেউটিন প্রদান করা হবে। এবং পরিবারটিকে সার্বিক সহযোগিতা করার আশ্বাস দিয়েছি। এধরণের অনাকাঙ্ক্ষিত অগ্নিকান্ড এড়াতে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন থাকা দরকার বলে জানান।

উল্লেখ্য গত শুক্রবার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের চারুলিয়া গ্রামে মেসার্স সাইম ট্রেডার্স অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে ভস্নীভূত হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী চারুলিয়া গ্রামের পুলপাড়া এলাকার মৃত নজরুল মাষ্টারের ছেলে শওকত আলী(৬০)।

শুক্রবার রাত ৩ টার দিকে নিজ বাড়ির সাথে সার ও কীটনাশকের দোকানে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে। এ সময় অগ্নিকাণ্ডে প্রায় অর্ধকোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ী শওকত আলীর।




‘সুস্থতা ও সাফল্যের পথ দেখায় মেডিটেশন’

আজ রবিবার বিশ্ব মেডিটেশন দিবস। এ বছর দেশে দিবসটির প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ‘ভালো মানুষ ভালো দেশ, স্বর্গভূমি বাংলাদেশ’।

দিবসটি উপলক্ষ্যে প্রতি বছরের মতো এবারও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণসহ সারা দেশে ভোর ৬টায় একযোগে বিভিন্ন উন্মুক্ত স্থানে প্রাণায়াম বা দমচর্চা, প্রত্যয়ন পাঠ ও মেডিটেশন চর্চার আয়োজন করেছে। আর এর মধ্য দিয়ে ধ্যানীরা সুস্থতা ও প্রশান্তির বাণীকে ছড়িয়ে দেবেন সবার কাছে।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন জানিয়েছে, দেশে দিনদিন মেডিটেশনের জনপ্রিয়তা বাড়ছে। পরিপূর্ণ সুস্থতার জন্য বিদ্যমান চিকিৎসার পাশাপাশি মেডিটেশন যে প্রয়োজন, সেই পরামর্শ এখন চিকিৎসকরা দিচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সম্প্রতি যোগ-মেডিটেশনকে স্বাস্থ্যসেবার পরিপূরক হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করেছে। জানা গেছে, বিশ্ব জুড়ে এখন প্রায় ৫০ কোটি মানুষ নিয়মিত ধ্যান বা মেডিটেশন করেন। শারীরিক মানসিক সামাজিক ও আত্মিক অর্থাৎ সুস্থ থাকতে মেডিটেশন বা ধ্যানের কার্যকারিতা এখন চিকিৎসাবিজ্ঞানে প্রমাণিত। সুস্থতা ও সাফল্যের পথ দেখায় মেডিটেশন।

ছয় বছর আগে উইল উইলিয়ামস নামে এক ব্রিটিশ মেডিটেশন প্রশিক্ষক প্রথম এ দিবসটি পালনের উদ্যোগ নেন। উইল উইলিয়ামস ছিলেন অনিদ্রার রোগী। মেডিটেশনের মাধ্যমে নিরাময় লাভের পর তিনি এ সম্পর্কে আরো উত্সাহী হয়ে ওঠেন। তবে বাংলাদেশে মেডিটেশন চর্চার ইতিহাসে টানা ৩০ বছর ধরে কাজ করে যাচ্ছে কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশন। এই চর্চার সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন লাখো মানুষ। নিয়মিত মেডিটেশন চর্চাকারীরা বিশ্বাস করেন, মেডিটেশন চর্চার ভেতর দিয়ে সুস্থতা ও প্রশান্তির বাণী ছড়িয়ে দেওয়া প্রয়োজন।