দামুড়হুদা হাউলী ইউনিয়নে বিএনপির কর্মীসভা

দামুড়হুদা হাউলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার বেলা ৪টার দিকে হাউলী ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড বিএনপির আয়োজনে জয়রামপুর ষ্টেশন বাজার মাঠে এই কর্মীসভা অনুষ্ঠিত হয়।

হাউলী ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আবুল হাসান এর সভাপতিত্বে কর্মী সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সভাপতি মনিরুজ্জামান মনির। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রফিকুল হাসান তনু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াহেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক প্রফেসার আবুল হাসেম। হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ইউসুফ আলী, সাধারণ সম্পাদক নাফিজ আক্তার সিদ্দিকী, সিনিয়র সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন,। দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ভারপ্রাপ্ত আনছার আলী, থানা বিএনপি নেতা রোকনুজ্জামান তোতাম, আব্দুস সালাম।

হাউলী ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মালেক রুস্তম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহবায়ক রকিবুল হাসান তোতা, চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ, পাঠাগার সম্পাদক আরিফুল ইসলাম, দামুড়হুদা উপজেলা যুবদলের নেতা হুমায়ুন কবির ডাবলু, মমিনুল ইসলাম, সুমন।

হাউলী ইউনিয়ন কৃষক দলের সভাপতি শমসের আলী, সাধারণ সম্পাদক মমিনুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিরুল ইসলাম,
হাউলী ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি তরিকুল ইসলাম, সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইদ্রিস আলী।হাউলী ইউনিয়ন ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক হাফিজুর রহমান।

হাউলী ইউনিয়ন যুবদল নেতা আরিফুল ইসলাম, দেলোয়ার, নূর সালামসহ বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে আসা বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

 

সভায় বক্তারা বলেন, দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির উদ্যোগে এই কর্মী সভায় উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানায়। সভায় দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম জোরদার করার পাশাপাশি দলীয় ঐক্য বজায় রেখে ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক কার্যক্রম পরিচালনার বিষয়ে আলোচনা হয়। বক্তারা দলের তৃণমূল পর্যায়ের কর্মীদের সক্রিয় ভূমিকা এবং জনগণের পাশে থাকার আহ্বান জানান। তারা দলীয় আদর্শ ও নেতৃত্বের প্রতি আস্থা রেখে সংগঠনকে আরও সুসংগঠিত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। বক্তারা গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠায় সবাইকে একযোগে কাজ করার আহ্বান জানান। উল্লেখ্য, এই কর্মী সভা ভবিষ্যৎ কর্মসূচি প্রণয়ন ও সংগঠনের কার্যক্রম শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অনুষ্ঠানের সার্বিক তত্ত্বাবধানে ছিলেন, হাউলী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ড বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মো: আব্দুর রাজ্জাক।




মেহেরপুরে সন্ত্রাস দমন আইন মামলায় এক আসামি গ্রেফতার

মেহেরপুর সদর থানায় সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার এজাহার নামীয় আসামী আওয়ামী লীগ নেতা মোঃ ফিরোজুর রহমান ফিরোজ আলী (৪৭)কে গ্রেফতার করেছে সদর থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃত ফিরোজুর রহমান মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদদহ গ্রামের মৃত বুরহান আলীর ছেলে ও আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতা।
সদর থানা পুলিশের অটর একটি অভিযানে সিআর নং-পাঃ জারী-২৫/১৮ মামলার আসামী মোঃ কাবিদুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে।
কাবিদুল ইসলাম মেহেরপুর শহরের ৯ নং ওয়ার্ড শিশুবাগান পাড়ার মৃত ফড়ু মিয়ার ছেলে।

আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত পৃথকুটি অভিযান চালিয়ে তাঁদের নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করেন।

মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মেসবাহ উদ্দিনের নেতৃত্বে পুলিশ পরিদর্শক মোঃ জাহাঙ্গীর সেলিম, এসআই (নিঃ) প্রহলাদ রায়, এসআই (নিঃ) সুজয় কুমর মল্লিক, এএসআই(নিঃ) মাহবুব আলম, এএসআই(নিঃ) মনিরুজ্জামান, এএসআই(নিঃ) মোঃ হাসান শাহনেওয়াজ সঙ্গীও ফোর্স অভিযানে অংশ নেন।

মেহেরপুর সদর থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ মেসবাহ উদ্দিন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আসামীদের আজ শুক্রবার মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।




গাংনীতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মামলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা গ্রেফতার

সন্ত্রাস বিরোধী আইনে দায়ের করা মামলার এজাহারনামীয় আসামি স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জীবন আকবর (৩০) কে গ্রেফতার করেছে গাংনী থানা পুলিশ।

আজ শুক্রবার (৩১ জানুয়ারী) দুপুরে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম উপজেলা পরিষদ চত্তরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জীবন আকবর গাংনী পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড শিশিরপাড়া গ্রামের খলিলুর রহমানের ছেলে ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের গাংনী উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দায়ের করা মামলার এজাহার নামীয় তিন নম্বর আসামি তিনি। গাংনী থানার মামলা নং ১১, তারিখ ১১/০৮/২৪, ধারা সন্ত্রাস দমণ আইনের ৬(২)/৭(৫)/৭(৬) (ক)/ ৭(৬) খ/১০/১১/১২/১৪ ইং।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বানী ইসরাইল এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি জানান, গত বছরের ৩০ জুলাই সন্ধ্যায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ আন্দোলনে শহীদ ছাত্রদের আত্মার মাগফেরাত কামনায় গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্তরে মোমবাতি প্রজ্জলন করতে যায়। এসময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতারা দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতৃবৃন্দের উপর হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হন। এই ঘটনায় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কর্মী গাংনী পৌর এলাকার চৌগাছা গ্রামের সাবেক সেনা সদস্য জুলফিকার আলির ছেলে রেজানুল হক ইমন বাদী হয়ে ছাত্রলীগ নেতা তন্ময়কে এক নম্বর, গাংনী উপজেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব হোসেনকে ২ নং জীবন আকবরকে তিন নম্বর আসামি করে ৩৭ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করেন।

মামলার অপর আসামিদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন, গাংনী পৌরসভার সাবেক মেয়র আহম্মেদ আলী, আশরাফুল ইসলাম, রাইপুর ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম সাকলায়েন ছেপু, বামন্দী ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ওবায়দুর রহমান কোমল, যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিরুল ইসলাম, ছাত্র লীগের গাংনী উপজেলা শাখার সম্পাদক অনিক আহমেদ।

মামলার আইও গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অঙ্কুশ কুমার জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্তরে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারকৃত আসামি জীবন আকবরকে আদালতে নেয়ার প্রস্তুতি চলছে।




মেহেরপুরে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ

মেহেরপুর ডেভলপমেন্ট ফোরামের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়। শীতার্ত মানুষের পাশে থাকি মানবিক হৃদয় জাগ্রত রাখে এই শ্লোগানে মেহেরপুর ডেভলপমেন্ট ফোরামের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় পৌর শহরের ৮ নং ওয়ার্ড কলেজপাড়ায় মেহেরপুর ডেভলপমেন্ট ফোরামের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ আয়োজন করা হয়েছে।

মেহেরপুর ডেভেলপমেন্ট ফোরাম এর সভাপতি আবু সাঈদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর সোহেল রানা ডলার। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর ডেভেলপমেন্ট ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আবু বক্কর সিদ্দিক, উপদেষ্টা রাশেদ ওসমান, উপদেষ্টা আব্দুল জব্বার, ৫ নং ওয়ার্ড কনভেনর গোলাম মোস্তফা,৭ নং ওয়ার্ড কনভেনার রবিউল ইসলাম সহ ডেভেল পমেন্ট ফোরামের সদস্যরা।

মেহেরপুর ডেভলপমেন্ট ফোরামের উদ্যোগে শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে মোঃ আমজাদ হোসেন সঞ্চালনায় এই সময় ৫০০ শত শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হয়ে।




ঝিনাইদহে খাদ্যভিত্তিক পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালার সমাপনী

ঝিনাইদহে ৫ দিন ব্যাপী খাদ্যভিত্তিক পুষ্টি বিষয়ক প্রশিক্ষণ কর্মশালা শেষ হয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে ঝিনাইদহ শেখ কামাল টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ার কলেজে এ প্রশিক্ষণের সমাপনী অনুষ্ঠিত হয়।

বাংলাদেশ ফলিত পুষ্টি গবেষণা ও প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট (বারটান)’র আয়োজনে ৫ দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মশালায় অংশ নেয় ঝিনাইদহের বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের ৩০ জন কর্মকর্তা।

সমাপনী দিনে কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ প্রদান করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ডা: তানভীর হাসান। সমাপনী দিনের অনুষ্ঠানে বারটান’র উর্দ্ধতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা সোনিয়ার শারমিন, সরকারী বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা বেলাল হোসেনসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

গত ২৬ জানুয়ারি বারটানের নির্বাহী পরিচালক রেহেনা আকতার এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন। ৫ দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, ড. আব্দুস সামাদ, ড. শফিকুল ইসলাম, ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ষষ্টী চন্দ্র রায়সহ প্রশিক্ষকরা খাদ্য, ফলিত পুষ্টি, নিরাপদ খাদ্য, মা ও শিশুদের যত্নসহ নানা বিষয়ে প্রশিক্ষণ প্রদাণ করেন।

আয়োজকরা জানায়, আগামী দিনে সরকারি বিভিন্ন অনুষ্ঠানে পুষ্টি সচেতনতা বিষয়ক এই বার্তা সাধারণ মানুষের মাঝে পৌঁছে দেওয়ায় এ প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে।




১৬ বছর পর পিলখানা মামলার আসামি তৌহিদ ও শাকিল ফিরলেন বাড়ি

আলোচিত পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় দীর্ঘ ১৬ বছর কারাভোগের পর চুয়াডাঙ্গার দর্শনার দুই বিডিআর সদস্য তৌহিদ হোসেন ফকির ও শাকিল নিজ নিজ বাড়িতে ফিরেছেন।

দর্শনা থানার পারকষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের বড়বলদিয়া বাজারপাড়ার আব্দুস সালাম ফকিরের ছেলে তৌহিদ হোসেন ফকির এবং দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের সুবুলপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে শাকিল গত ২৩ জানুয়ারি জামিন পেলেও দুদিন পর ২৫ জানুয়ারি (শনিবার) বাড়ি ফেরেন।

২০০৬ সালে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে বিডিআরে যোগ দিয়েছিলেন তৌহিদ। কিন্তু ২০০৯ সালের পিলখানা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তিনি ও শাকিল আসামি হয়ে চাকরিচ্যুত হন এবং কারাগারে পাঠানো হয়। তৌহিদ জানান, ঘটনার সময় তিনি ব্যারাকেই ছিলেন, তবুও তাকে আসামি করা হয়।

দীর্ঘ ১৬ বছর পর তৌহিদ ও শাকিল বাড়ি ফিরলে তাদের দেখতে ভিড় জমায় স্থানীয়রা। পরিবারের সদস্যরা আবেগাপ্লুত হয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন। তৌহিদের বাবা-মা বলেন, “আমাদের সন্তানকে ফিরে পেয়েছি, এটাই সবচেয়ে বড় পাওয়া। তবে তাদের সঙ্গে অন্যায় করা হয়েছে। আমরা মামলা প্রত্যাহার ও ক্ষতিপূরণের দাবি জানাই।”

তৌহিদের স্ত্রী তাকে ছেড়ে চলে গেছেন, আর শাকিল এখনো অবিবাহিত। তিনি বলেন, “ছুটিতে এসে বিয়ে করার কথা ছিল, কিন্তু ভাগ্য সহায় হয়নি।”

বিডিআর তৌহিদ বলেন, “পিলখানার ঘটনার সময় ব্যারাকে থাকলেও আমাকে আসামি করা হয় এবং চাকরি থেকে বহিষ্কার করা হয়। আমি চাকরি পুনর্বহাল, মামলা থেকে অব্যাহতি ও ১৬ বছরের পাওনা প্রদানের দাবি জানাই।”

তিনি আরও বলেন, “আমি বাংলাদেশ বিডিআরের হয়ে বক্সিংয়ে স্বর্ণপদক ও বাংলাদেশ অলিম্পিক গেমসে ব্রোঞ্জপদক অর্জন করেছি। তিন বছরের চাকরিজীবনে আমি ল্যান্স নায়েক পদে পদোন্নতি পেয়েছিলাম।”

বিডিআর শাকিল বলেন, “ছাত্র আন্দোলনের কারণে আমরা মুক্তি পেয়েছি, তাদের কাছে চিরকৃতজ্ঞ। পাশাপাশি সরকার যেন আমাদের চাকরি পুনর্বহাল করে এবং ন্যায়বিচার দেয়, সেটাই আমাদের প্রত্যাশা।”




দর্শনা বালিকা বিদ্যালয়ে তারুণ্যের পিঠা উৎসব

চুয়াডাঙ্গার দর্শনা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে নতুন বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে তারুণ্যের উদ্যোগে পিঠা উৎসব উদযাপিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) স্কুল প্রাঙ্গণে আয়োজিত এ উৎসবে শিক্ষার্থীসহ শত শত মানুষ অংশ নেয়।

সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত চলা এ উৎসবে ১৪টি স্টলে ৭০ ধরনের ঐতিহ্যবাহী পিঠা পরিবেশন করা হয়। উৎসব উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও অনুষ্ঠিত হয়।

উৎসবের সভাপতি ছিলেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এ.কে.এম হুমায়ুন কবীর। প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী ভূমি কমিশনার কে.এইচ. তাসফিকুর রহমান।

তিনি বলেন, এ ধরনের পিঠা উৎসব দেখে আমি সত্যিই মুগ্ধ। পিঠা উৎসব গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী একটি প্রথা। তাছাড়া শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। সকাল থেকেই বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা দল বেঁধে স্কুল ক্যাম্পাসে এসে উৎসবে ভিড় জমায়।

উৎসবের আগে শিক্ষার্থীদের পরিচালনায় ও ছাত্রীদের পরিবেশনায় বিদ্যালয়ের উন্মুক্ত মঞ্চে একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। নৃত্য ও সংগীতের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনায় পুরো উৎসব প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। পরে ছাত্রীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

এছাড়াও এসময় বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক হাসমত আলী, আব্দুস সালাম, রফিকুল ইসলাম, মহবুবুর রহমান, আরিফুল ইসলাম, মাহমুদা খাতুন, সনচিতা রানী, সাথী রাণী, সুমিতা, শামসুন নাহার হীরা, শারমিন, নাছরীন আক্তারী, শামসুন নাহার তুলি, সাইদুর রহমান, খোরশেদ আলম, কামাল হোসেন, হাফিজুর রহমান, সাবিনা খাতুন, ইয়াছিন, জামাত আলী, রফিকুল ইসলাম, ফরিদা খাতুন, সাজ্জাদ হোসেন, ফয়সাল আহম্মদ ও নজরুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।




চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর বিএনপির ৩১ দফা বাস্তবায়নে দিনব্যাপী কর্মশালা

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের নিয়ে দিনব্যাপী জনসম্পৃক্তি প্রশিক্ষণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল ১০টায় চুয়াডাঙ্গা শহরের শাহেদ গার্ডেনে বিএনপির কেন্দ্রীয় প্রশিক্ষণ বিষয়ক কমিটির উদ্যোগে এই কর্মশালা আয়োজন করা হয়।

কর্মশালার মূল বিষয় ছিল “আগামী রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি” নিয়ে আলোচনা ও প্রশিক্ষণ।

কর্মশালার সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সভাপতি মাহমুদ হাসান খান বাবু। প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যোগ দেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।

প্রধান অতিথি তারেক রহমান কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে দলের নেতাকর্মীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন।

কর্মশালাটি পরিচালনা করেন বিএনপির সহ-গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক আনিসুর রহমান তালুকদার খোকন। এতে আরও বক্তব্য রাখেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ড. মাহদী আমিন, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও পুনর্বাসন সম্পাদক অ্যাড. নেওয়া হালিমা আরলী, স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক শাম্মী আক্তার, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি কাজী রওনকুল ইসলাম শ্রাবণ, মেহেরপুর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাবেদ মাসুদ মিল্টন, চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শরীফুজ্জামান শরীফ, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সদস্য সচিব এড. কামরুল হাসান।

এছাড়া উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ফয়েজ মোহাম্মদ, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আলমগীর খান ছাতু, জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আব্দুল আওয়াল, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আমিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মিজান মেনন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি রেজাউল হক, সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মারুফ আহমেদ বিজন, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি আমিরুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান বাবলু, গাংনী পৌর বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইনসারুল হক ইনসু, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দাল হক, সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, ছাত্রদলের মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি আকিব জাভেদ সেনজি, সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লবসহ চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা বিএনপি এবং অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা।

বক্তারা আশা প্রকাশ করেন যে, এ ধরনের কর্মশালা দলের জনগণের সঙ্গে সম্পর্ক আরও গভীর করবে এবং ৩১ দফা কর্মসূচি বাস্তবায়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।




অ্যাপলের আইওএস ১৮.৩: নতুন কী থাকছে?

অ্যাপল অবশেষে সব আইফোন ব্যবহারকারীর জন্য উন্মুক্ত করেছে তাদের নতুন অপারেটিং সিস্টেম আইওএস ১৮.৩। এক মাসেরও বেশি সময় বেটা সংস্করণ চালানোর পর, সোমবার থেকে ব্যবহারকারীরা এটি ডাউনলোড ও ইনস্টল করতে পারবেন। নতুন এই আপডেটে বেশ কিছু উন্নত ফিচার যুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে আলোচিত হলো অ্যাপলের নিজস্ব কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স’।

নতুন আপডেটে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিভাইস নোটিফিকেশনের সারাংশ তৈরি করবে, যা তথ্যকে আরও নির্ভুল ও স্পষ্ট করে তুলবে। যদিও আগের সংস্করণে কিছু ভুল তথ্য দেওয়ার কারণে সমালোচনার মুখে পড়েছিল এ এআই ফিচার, তবে অ্যাপল দাবি করছে যে নতুন আপডেটে এটি আরও উন্নত এবং নির্ভুল হবে। ব্যবহারকারীরা চাইলে সেটিংস অপশনে গিয়ে অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স ফিচারটি বন্ধও করতে পারবেন।

নতুন আপডেটে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সংযোজন হলো ‘ভিজুয়াল ইন্টেলিজেন্স’। এ ফিচারের মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা সহজেই পোস্টার থেকে ক্যালেন্ডার ইভেন্ট তৈরি করতে পারবেন এবং বিভিন্ন উদ্ভিদ ও প্রাণী চিহ্নিত করতে পারবেন। অ্যাপল আরও নিশ্চিত করেছে যে, নতুন আপডেটে নোটিফিকেশনের সারাংশ ইটালিক ফ্রন্টে দেখানো হবে এবং এর নিচে ‘অ্যাপল ইন্টেলিজেন্স-এর মাধ্যমে তৈরি’ ট্যাগ থাকবে।

আইওএস ১৮.৩ ইনস্টল করতে ব্যবহারকারীদের ‘সেটিংস’ অপশনে গিয়ে ‘জেনারেল’ মেনু থেকে ‘সফটওয়্যার আপডেট’ অপশনে যেতে হবে এবং সেখান থেকে আপডেটটি চালু করতে হবে। নতুন এ আপডেট অ্যাপল ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাকে আরও উন্নত করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সূত্র: যুগান্তর




ঝিনাইদহ পৌরসুপার মার্কেটের নির্মাণ বন্ধ, নষ্ট কোটি টাকার মালামাল

ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের আন্তঃকোন্দল ও প্রতিহিংসার রাজনীতির রোষানলে পড়ে ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকার ঝিনাইদহ পৌরসুপার মার্কেটের নির্মান কাজ বন্ধ হয়ে আছে। চার বছর আগে আদালতের আদেশে নির্মান করা বন্ধ হলেও ঝিনাইদহ পৌর কৃর্তপক্ষ আইনের বেড়াজাল থেকে মুক্ত হতে পারেনি।

এদিকে ঝিনাইদহ পৌরসভার সুপার মার্কেটের নির্মাণকাজ দীর্ঘদিন বন্ধ থাকায় নষ্ট হচ্ছে কোটি টাকার সম্পদ। সেই সাথে চলছে দখল বাণিজ্য। মার্কেটের সামনে রাতারিাতি দখল করে বিশেষ মহল গড়ে তুলেছে ২০টি দোকান। মার্কেটের কয়েক কোটি টাকার রডে জং ধরে মরিচা পড়ে গেছে।

ঝিনাইদহ পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ৩০ মার্চ জাইকার অর্থায়নে ১৮ কোটি ৫০ লাখ টাকা ব্যয়ে ঝিনাইদহ পৌরসুপার মার্কেটের নির্মান কাজ শুরু হয়। নির্মান কাজ চলা অবস্থায় ২০২০ সালের ৬ সেপ্টম্বর বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতির মামলার (রিট পিটিশন নং ১২৪৪০/১৯) এর কারণে জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার মার্কেটের নির্মান কাজ বন্ধ করে দেয়। বাদী পক্ষের দাবী মার্কেটের জায়গায় একটি পার্ক ছিল।

সেখানে বাচ্চারা খেলতো। বহুতল মার্কেট তৈরী হলে পরিবেশের ক্ষতি হবে। আদালত ৬ মাসের মধ্যে সিএস ৭৮৪ দাগে অবস্থিত রাস্তা ও মসজিদ ব্যাতিত সকল অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য নির্দেশ দেয়। মামলার বিরুদ্ধে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসটি-এমইপি (জেভি) উচ্চ আদালতে আপীল করলে বিজ্ঞ আদালত স্থিতিতাবস্থা জারী করে। গত চার বছর ধরে একই অবস্থায় মামলাটি পড়ে আছে। মামলার কারণে ঠিকাদারের দেড় কোটি টাকার সম্পদ পড়ে থেকে নষ্ট হয়েছে।

অভিযোগ উঠেছে সেসময় ঝিনাইদহ পৌরসভার মেয়র ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু। মেয়র মিন্টুর সঙ্গে স্থানীয় এমপি তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি, পৌর আ’লীগ নেতা বাবু জীবন কুমার বিশ্বাস ও সাবেক যুবলীগ সভাপতি মাহমুদুল ইসলাম ফোটনের বিরোধ থাকায় তারাই মুলত মার্কেট নির্মানের বিরুদ্ধে মামলার ইন্ধন যুগিয়েছে। কারণ হিসেবে পৌর নাগরিকরা মনে করেন, আ’লীগ নেতা ফোটনের “মকবুল প্লাজা” নামে একটি বহুতল ভবন নির্মানাধীন ঝিনাইদহ পৌরসুপার মার্কেটের সামনেই অবস্থিত। তার মার্কেটের সামনে এমন একটি অত্যাধুনিক সুপার মার্কেট নির্মিত হলে আ’লীগ নেতা ফোটনের ব্যবসা লাঠে উঠতে পারে এমন আশংকা থেকে বাংলাদেশ পরিবেশ আইনবিদ সমিতিকে দিয়ে এই রিট পিটিশন করা হয় বলে শহরজুড়ে কথিত আছে।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী কামাল উদ্দীন মঙ্গলবার বিকালে জানান, পৌরসুপার মার্কেটটি নির্মিত হলে শহরের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পেতো। সেই সঙ্গে বাড়তো পৌরসভার আভ্যান্তরীন আয়। তিনি জানান সুপার মার্কেটটি ছিল অত্যাধুনিক। আশপাশের কোন জেলায় এমন শপিংমল নেই। মার্কেটের ডিজাইনে ছিল ১১৯টি পার্কিং লট, চলন্ত সিঁড়ি, লিফট ও হাই পাওয়ারের জেনারেটর। ঝিনাইদহ সচেতন নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও সাবেক কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আহমেদ হোসেন জানান, উচ্চ আদালতে চলা মামলা নিম্পত্তি করে দ্রুত মার্কেটটির নির্মান কাজ শুরু করা হোক। সুপার মার্কেটটি নির্মিত হলে শহরের আভিজাত্যতা ফুটে উঠতো বলে তিনি মনে করেন।

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ডেপুটি রেজিষ্টার আনোয়ার হোসেন জানান, রাজনৈতিক বিরোধের কারণে এমন একটি সৃষ্টি ধ্বংস করা ঠিক হয়নি। তিনি সুপার মার্কেটটির কাজ সম্পন্ন করার দাবী জানান।

ঝিনাইদহের তরুণ উদ্যোক্তা ফিরোজ আনোয়ার মাসুম জানান, আদালতের আদেশ মানতে হলে শুধু পৌর সুপার মার্কেটই নয়, আশপাশের বহু সরকারী স্থাপনা ভাঙ্গতে হবে। তারচে বরং পৌর কর্তৃপক্ষের উচিৎ হবে অন্য স্থানে একটি শিশু পার্ক তৈরী করে বিজ্ঞ আদালতের কাছ থেকে নতুন নির্দেশনা চাওয়া।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এসটি-এমইপি (জেভি)’র পক্ষে এস এম বিল্লাহ রিন্টু জানান, সুপার মার্কেটটির নির্মান কাজ বন্ধ থাকায় তিনি প্রায় চার কোটি টাকা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন। দেড় কোটি টাকার নির্মান সামগ্রী নষ্ট হয়েছে। এছাড়া কর্তনকৃত জামানতের টাকা ফেরৎ পাননি। সব মিলিয়ি তিনি পৌরসভার কাছে সাড়ে চার কোটি টাকা পাবেন। একাধিকবার তিনি চিঠি দিয়েছেন, কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ তাকে এখনো বিল পরিশাধ করেননি। তিনি বিলের টাকা পেতে আদালতের দারস্থ হবেন বলেও জানান।