কুষ্টিয়ার গড়াই নদে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে গ্রেফতার-১৪

কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলায় গড়াই নদ থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের অভিযোগে ১৪ জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল শনিবার ( ১৩ মে) সকালে চাপড়া ইউনিয়নের জয়নাবাদ মৌজা থেকে তাদের গ্রেফতার করে পুলিশ। এসময় পাঁচটি ড্রাম ট্রাক ও দুইটি স্যালোইঞ্জিন চালিত লাটাহাম্বা গাড়ি জব্দ করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন – মো. বিল্লাল হোসেন (৪০), মো. শাকিব খান (৩০), মো.সাজ্জাদ হোসেন (২০), রাসেল হোসেন (২৮), মো. মেহেদী ইসলাম (২৮), সোহাগ হোসেন (২৩), মো. সাগর বিশ্বাস (৩১), মো. কালাম আলী (১৯), ফিরোজ ইসলাম (২২), শামীম হোসেন (২৭), রাজু আহমেদ (৩০), ইসমাইল হোসেন (৩২), মো. কাজল হোসেন (২৩) ও সবুজ বিশ্বাস (২০)।

কুমারখালী থানার ওসি মো. মোহসীন হোসাইন বলেন, হাইকোর্টের নির্দেশ মোতাবেক গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গড়াই নদের জয়নাদ মৌজায় অবৈধ বালু উত্তোলন প্রতিরোধে অভিযান চালায় পুলিশ। অভিযানে পাঁচটি ড্রাম ট্রাক ও দুইটি লাটাহাম্বাসহ ১৪ জনকে আটক করা হয়। পরে বালু মহল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনে তাদের বিরুদ্ধে একটি মামলা করা হয়। উক্ত মামলায় আসামিদের গ্রেফতার দেখিয়ে শনিবার বিকেলে আদালতের মাধ্যমে তাদেরকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

তবে অভিযোগ অস্বীকার করে জয়নাবাদ মৌজার বালু মহলের ইজারাদার মো. মাসুদ রানা বলেন, তিনি জেলা প্রশাসনের নিকট থেকে প্রায় ৬ কোটি টাকা দিয়ে ইজারা নিয়ে বালু উত্তোলন করছিলেন। কিন্তু পুলিশ কেন তাঁর লোকজন ধরে চালান দিয়েছে তা তিনি বুঝতে পারছেন না।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশার (ভূমি) মো. আমিরুল আরাফাত বলেন, ১৪ এপ্রিল ইজারা দিয়েছে প্রশাসন। কিন্তু ২৭ এপ্রিল উচ্চ আদালত জয়নাবাদসহ চারটি মৌজায় বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ করে রিট পিটিশন জারি করেছেন। বিষয়টি সমাধানের জন্য আলাপ আলোচনা চলছে বলে তিনি জানান




ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ও পৌর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ও পৌর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল শনিবার (১৩মে) সকাল সাড়ে ১১টার সময় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

দিনব্যাপি এই সম্মেলনের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই এমপি। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, ঝিনাইদহ-২ আসনের সংসদ সদস্য তাহজীব আলম সিদ্দিকী সমি ও বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য মোঃ নবী নেওয়াজ উপস্থিত ছিলেন।

সম্মেলনে প্রধান বক্তা ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা বাবু সুব্রত কুমার পাল (সিআইপি), এছাড়া বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক ও খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা অ্যাড.ড.শামীম আল সাইফুল সোহাগ বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

এছাড়াও স্থানীয় অতিথি হিসেবে সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাড. আব্দুর রশিদ, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও পোড়াহাটি ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম হিরণ,পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি বাবু জীবন কুমার বিশ্বাস ও সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বিশ্বাস,বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মানিত সদস্য হুমায়ুন কবির, ইঞ্জিনিয়ার প্রতিক ঘোষ, শেখ জসিম উদ্দিন ও অ্যাড.এম.হাসানুজ্জামান তুষার।

সকালে সম্মেলনের শুভ উদ্বোধন করেন জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক আশফাক মাহমুদ জন। সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক ইব্রাহিম খলিল রাজার সভাপতিত্বে বিশেষ বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-আহবায়ক রাশিদুর রহমান রাসেল, হাফিজুর রহমান, রাজু আহম্মেদ ও শফিকুল ইসলাম শিমুল।

প্রথম অধিবেশন শেষে বিকাল সাড়ে তিনটার দিকে সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশ শুরু হয়। এতে ঝিনাইদহ সদর উপজেলার সভাপতি পদে কাউন্সিলররা ৭জনের, সাধারণ সম্পাদক পদে ১১জনের নাম প্রস্তাব করেণ এবং ঝিনাইদহ পৌর যুবলীগের সভাপতি পদে ৭জন এবং সাধারণ সম্পাদক পদে ১৩ জনের নাম প্রস্তাব করেণ। স্থানীয়ভাবে কোন সমঝোতা না হওয়ায় প্রধান বক্তার প্রস্তাবে এবং কাউন্সিলরদের সমর্থনে প্রস্তাবিত নামের মধ্য থেকে কেন্দ্রীয় আওয়ামী যুবলীগের পরামর্শে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হবে বলে জানান।

সম্মেলনে প্রধান বক্তা বাবু সুব্রত পাল বলেন,‘ভাই লীগ, দাদা লীগ ও দিদি লীগের দিন শেষ। আগামী নির্বাচনে জায়ামাত বিএনপিকে মোকাবেলা করতে হবে, আপনারা নিজেদের মধ্যে লাঠালাঠি করবেন না। লাঠি রাখবেন, সামনে জামায়াত-বিএনপিকে মোকাবেলা করার জন্য’।

উল্লেখ যে, দীর্ঘ দুইযুগ পর ঝিনাইদহ সদর উপজেলা ও ঝিনাইদহ পৌর যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সর্বশেষ ১৯৯৮সালে এই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। এই সম্মেলনকে ঘিরে ঝিনাইদহ আওয়ামী লীগ ও যুবলীগের মধ্যে প্রাণ-চঞ্চলতা ফিরে এসেছে। শহরজুড়ে মিছিল-মিটিং আর চায়ের আড্ডায় কারা নেতৃত্বে আসছে এই নিয়ে আলোচনা সমালোচনা দেখা গেছে। আওয়ামী যুবলীগের একাধিক গ্রæপ মিছিল সহকারে সম্মেলন স্থলে গিয়ে ক্ষমতা প্রদর্শন করার চেষ্টা করছে। এর আগে সদর উপজেলা এবং পৌর আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হতে ৭৯ জন যুবনেতা তাদের জীবন বৃত্তান্ত জমা দিয়েছিল।




মেহেরপুরে ইটভাটায় ‘স’ মিল; দেখতে পায় না প্রশাসন

মেহেরপুরের ৯৩ টি ইটভাটায় নির্বিচারে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ। আর এসব ইটভাটায় কাঠ পোড়াতে বসানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ ‘স’ মিল।

সদর উপজেলার মেহেরপুর-কাথুলি রাস্তার পাশেই এআরবিসিসহ জেলার বিভিন্ন ইটভাটায় বসানো হয়েছে অস্থায়ী ‘স’ মিল। আইন ও সরকারি বিধি-বিধানের তোয়াক্কা না করেই আবাদি জমির পাশেই গড়ে তোলা হয়েছে পরিবেশ বিপর্যয়কারী এসব ভাটা ও ‘স’ মিল। এসব ভাটায় কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে কৃষি জমির উর্বর মাটি। গাছ ও জমির উর্বর মাটি উজাড়ের মাধ্যমে পরিবেশ ধ্বংসের প্রক্রিয়া চলমান থাকলেও প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রশাসন কঠোর ব্যবস্থা নিচ্ছেনা ।

আরো অভিযোগ রয়েছে, ইটভাটাগুলোতে এসব জ্বালানি কাঠ যাচ্ছে সরকারি, বেসরকারি ও ব্যক্তি মালিকানাধীন বাগান থেকে। ইটভাটায় গাছের ছোট ছোট ডালপালা বা পাতা ব্যবহার হয় না। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মোটা মোটা গাছ করাত দিয়ে কেটে ছোট ছোট টুকরা করে ইটভাটার চুল্লিতে পোড়ানো হচ্ছে।

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া রাস্তার পোড়াপাড়া নামক স্থানে পাশাপাশি ৪টি ইটভাটায় বসানো হয়েছে ভ্রাম্যমাণ স’মিল। প্রশাসনের নাকের ডগায় রাতদিন সমানতালে ভ্রাম্যমাণ ‘স’ মিলে চলছে কাঠ ফাড়াই। এখানে মোটা মোটা কাঠের গুলি জড়ো করে চেরাই করা হচ্ছে।এসব ইটভাটা শতশত বিঘা আবাদি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে। এসব অবৈধ ভাটায় স’মীল বসিয়ে উজাড় করা হচ্ছে গাছপালা। অবাধে পোড়ানো হচ্ছে কাঠ।

অবৈধ ‘স’ মীলের মালিক ছাতিয়ান গ্রামের হানিফ বলেন, আমার মোট ৩টি ‘স’ মীল রয়েছে। প্রতিটি ‘স’ মিলে ৫/৬ জন করে শ্রমিক কাজ করেছন। প্রতি শ্রমিকের মজুরী এক হাজার টাকা। তিনি বলেন, প্রতিদিন একটা ‘স’ মিলে ৪০০ মন কাঠ ফাড়াই করা হয়।

‘স’ মিলের শ্রমিক আক্তার হোসেন মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, প্রতি মন কাঠ চেরাই করেত ২২ টাকা করে নেওয়া হয়।

ইটভাটার একজন শ্রমিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেহেরপুর প্রতিদিনিকে বলেন, ৪ লাখ ইট তৈরি করতে ভাটায় ২০ থেকে ২২ দিন সময় লাগে। এতে প্রায় ৩৫ হাজার মণ কাঠ পোড়ানো হয়।

এব্যাপারে একজন ভাটার মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে মেহেরপুর প্রতিদিনকে বলেন, গাংনী-ধানখোলা রোডে পরপর ৪টি, মালশাদহ-হাড়িয়াদহ রোডে ৩ টি ইটভাটা রয়েছে। এরা সবাই কাঠ ও খড়ি পোড়ায়। প্রায় ভাটায় স’মিল বসিয়ে কাঠ ফাড়ায় করা হয়।

এআরবিসি ইট ভাটার মালিক রবিউল ইসলাম, দিপু ও জিয়ারুলের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলেও তাদের পাওয়া যায়নি।

প্রায় অর্ধশত বিঘা আবাদি জমি দখল করে গড়ে উঠেছে এআরবিসি এটাভাটা। আর সেখানেই ‘স’ মেশিন বসিয়ে প্রতিদিন ফাড়াই করা হচ্ছে প্রতিদিন শতশত ট্রাক গাছের গুড়ি। মেশিনে ফাড়ায় করে এসব কাঠ ভাটায় পোড়ানো হচ্ছে।

তবে, ভাটা মালিকরা মেহেরপুর প্রতিদিনিকে জানান, কিছু কিছু কাঠ ভাটায় পোড়াতে হয়। এদিকে ইটভাটায় ট্রাক্টর দিয়ে মাটি টানার ফলে কোটি কোটি টাকা ব্যায়ে নির্মিত গ্রামীণ রাস্তাগুলোর বেহাল দশা। এসব ইট ভাটার গাড়ি চলাচলের কারনে রাস্তার এমন অবস্থা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এলাকাবাসি।

কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক আতাউর রহমান বলেন, অবৈধ ইট ভাটার বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। তাদের ভাটায়ও অভিযান চলবে, এবং অবৈধ ইট ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।




মেহেরপুরে তর সইছে না ব্যবসায়ীদের; রাতের আঁধারে ভাঙছে আম

তর সইছে না আম ব্যবসায়ীদের। ১৫ মে থেকে গুটি ও বোম্বায় আম ভাঙানোর তারিখ নির্ধারণ করে দিয়েছে জেলা প্রশাসন। কিন্তু তার তিন দিন আগে থেকেই অতিমুনাফার লোভে গুটি ও বোম্বায় আম ভেঙে জেলার বাইরে রপ্তানিতে ব্যস্ত চাষীরা। আর এ কাজটি করা হচ্ছে প্রতিদিন রাতের আঁধারে।

গতকাল শনিবার রাতে মুজিবনগর উপজেলার পুরন্দরপুর ও কোমরপুর এবং শুক্রবার রাতে মুজিবনগরের ভবেরপাড়া থেকে বাগান থেকে আম ভেঙে ট্রাক লোড করে নিয়ে যেতে দেখা গেছে।

মেহেরপুরে অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর অনুকুল আবহাওয়া থাকাতে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। এ মৌসুমে ঝড় ও বৈরি আবহাওয়া না থাকায় প্রতিটি আমগাছ আমের ভারে নুয়ে পড়েছে। ফলন ভালো হওয়ার পাশাপাশি বাগান মালিকরা কীটনাশক মুক্ত আম উৎপাদন করেছে। এই আম আমাদের দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রির পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি হওয়ার কথা। কিন্তু অতি মুনাফালোভী অসাধু ব্যবসায়ী চক্রের দৌরাত্ম্যে মেহেরপুরের বিভিন্ন আম বাগান হতে গতকাল শনিবার (১৩মে তারিখ) থেকে আটি ও বোম্বাই আমের পাশাপাশি অপরিপক্ক হিমসাগর আম পেড়ে রাতের আধারে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। এতে মেহেরপুরের হিমসাগর আমের সুনাম ক্ষুন্ন হওয়ার পাশাপাশি রপ্তানি বাজার হুমকিতে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

মুজিবনগর ভবেরপাড়ার আম বাগান ব্যবসায়ী সিদ্দিক বলেন, ‘জেলা প্রশাসন আম পাড়ার জন্য ১৫ মে থেকে জাত ভেদে বিভিন্ন সময় নির্ধারণ করলেও মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসন ১২ মে থেকে আটি ও বোম্বাই আম পাড়ার অনুমতি দিয়েছে।’ তবে হিমসাগর আম পাড়ার অনুমতি নেই বলে জানান বাগান ব্যবসায়ী সিদ্দিক।

তবে, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস এ বিষয়ে জোর দিয়ে কিছু বলতে চাননি।

মেহেরপুর জেলা প্রশাসন ও জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের নির্দেশনা অনুযায়ী মেহেরপুর জেলায় এবছর আম সংগ্রহের সময়সুচি আটি ও বোম্বাই জাতের ১৫ মে, গোপালভোগ ১৮ মে, হিমসগার ২৫ মে, ল্যাংড়া-২৮ মে, আম্রপালি ৫জুন, মল্লিকা ১০ জুন, ফজলি ২০ জুন এবং বিশ্বনাথ,আশ্বিনা ও বারি-৪ জাতের আম সংগ্রহের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ জুলাই থেকে।

কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর আমের মুকুল আসা থেকে শুরু করে আম বাজারজাত করা পর্যন্ত সকল প্রকার পরামর্শ দিচ্ছে বাগান মালিকদের। মেহেরপুর জেলায় চলতি বছরে ২ হাজার ৩৪০ হেক্টর আম বাগানে প্রায় ৪৫ হাজার মেট্রিকটন আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে হিমসাগর আমের বাগান রয়েছে ৭০০ হেক্টর জমিতে।

এবছর মেহেরপুর থেকে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে ৪০ মেট্রিকটন হিমসাগর আম রপ্তানি ও প্রায় ২০০ কোটি টাকার আম বিক্রির সম্ভাবনার কথা জানিয়েছিলো মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। কিন্তু অতি মুনাফালোভী ব্যাপারী চক্রের দৌরাত্ম্যে ও জেলা প্রশাসনের সিদ্ধান্ত সঠিকভাবে বাস্তবায়ন না হওয়াতে আজ মেহেরপুরের বিখ্যাত আমের সুনাম ক্ষুন্নের পাশাপাশি আগামীতে রপ্তানি বাজার হারানোর আশংকা দেখা দিয়েছে।




গাংনীতে ইয়াবাসহ যুবক আটক

গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ২৩ পিচ ইয়াবাসহ মুওদুদ হোসেন রিকো (২৩) কে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ। এ সময়ে তার কাছ থেকে একটি পুরাতন মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়েছে।

মওদুদ আহাম্মেদ রিকো গাংনী পৌর সভার শিশিরপাড়া গ্রামের মোবিনুর রহমানের ছেলে।

গাংনী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আবুল কালাম গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযোন চালিয়ে তাকে ইয়াবাসহ আটক করেন। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

ইয়াবা উদ্ধারের ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১) এর ১০(ক) ধারায় একটি মামলা হয়েছে। মামলা নং ১৫, তারিখ ১২/০৫/২৩ ইং।

আটক মওদুদ আহম্মেদকে গতকাল শনিবার সকালের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।

থানা পুলিশের অপর অভিযানে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত সিআর মামলা নং ৯৮/২০ এর আসামি গাংনী উপজেলার চাঁদামারী গ্রামের মৃত মহাম্মদ আলীর ছেলে আশরাফ আলী (৫০ কে গ্রেফতার করা হয়েছে। এসআই জগদীস বসু সঙ্গীয় ফোর্সসহ তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন।




গাংনীতে দিনব্যাপি জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ প্রতিযোগীতা অনুষ্ঠিত

গাংনীতে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহ-২০২৩ উদযাপন করা হয়েছে। গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার শিক্ষা সপ্তাহের উদ্বোধন করেন।

গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অডিটোরিয়ামে এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

এসময় বিচারক প্যানেলের বিচারক উপজেলা মৎস্য অফিসার খন্দকার শহিদ, বিআরডিবি অফিসার শাহ আলম, পাটবীজ কর্মকর্তা মেহেদী হাসানসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এবারের জাতীয় শিক্ষা সপ্তাহের প্রতিযোগীতায় মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, মাধ্যমিক ও কলেজ এবং মাদ্রাসা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী, শ্রেষ্ঠ শিক্ষক ক্যাটাগরীতে পৃথক পৃথক ভাবে সনদ পত্র ও ক্রেষ্ট পুরস্কারের নিমিত্তে প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।

৬ষ্ঠ শ্রেনি থেকে ৮ম শ্রেণি পর্যন্ত ‘ক’ গ্রুপ, ৯ম শ্রেনি থেকে ১০ম শ্রেণি পর্যন্ত ‘খ’ গ্রুপ, একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত ‘গ’ গ্রুপ ও স্নাতক শ্রেনি থেকে অনার্স মাষ্টার্স শ্রেণি পর্যন্ত ‘ঘ’ গ্রুপে প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। পাশাপাশি হামদ্-নাতে রাসুল, গান, নৃত্য, রচনা প্রতিযোগিতা, জারী, আবৃত্তি, চিত্রাংকন, বক্তৃতা, (ইংরেজি ও বাংলা), বিতর্ক প্রতিযোগিতায় কৃতি শিক্ষার্থীদের বাছাই করা হয়।

প্রতিযোগিতা উপজেলা অডিটোরিয়াম, উপজেলা পরিষদ সম্মেলন কক্ষ, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের ১ম ও ২য় তলা ভেন্যুতে অনুষ্ঠিত হয়।

প্রতিযোগিতায় গাংনী উপজেলার স্বনাম ধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জোড়পুকুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ, গাংনী প্রি ক্যাডেট এন্ড হাই স্কুল , জুগিন্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চিৎলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মিকুশিস মাধ্যমিক বিদ্যালয়, গাংনী স্কুল এন্ড কলেজ, বিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়, জেটিএস মাধ্যমিক বিদ্যালয়সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা অংশগ্রহন করে।

প্রতিযোগিতায় গাংনী উপজেলা শিল্পকলা একাডেমির ওস্তাদ রতন সরকার বিচারক প্যানেলে আহবায়ক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন। সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আমিরুল ইসলাম অল্ডাম এর সার্বিক তত্বাবধানে বিচারক মন্ডলী হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন, বাংলাদেশ বেতার ও টেলিভিশনের শিল্পী গোলাম আম্বিয়া, মটমুড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা ও বেতার শিল্পী মাহবুবা আক্তার বিউটি ও বিশিষ্ট গীতিকার শিল্পী ও সাংবাদিক জুলফিকার আলী কানন।

প্রতিযোগিতা শেষে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসের একাডেমিক সুপারভাইজার আব্দুল্লাহ আল মাসুম প্রতিযোগিতার ফলাফল ঘোষনা করেন। প্রতিটা ইভেন্টে শুধুমাত্র ১ম স্থান অধিকারীর নাম ঘোষনা করা হয়। এরাই জেলা পর্যায়ে প্রতিযোগিতায় শ্রেষ্ঠ হিসাবে অংশগ্রহন করার যোগ্যতা অর্জন করবে।

অনুষ্ঠানে উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, সহকারী শিক্ষক মন্ডলী, কৃতি শিক্ষার্থীবৃন্দ ও গণ মাধ্যম কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




দৌলতপুরে শিশু বলাৎকার: মাদ্রাসা শিক্ষক আটক

কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে শিশু বলাৎকারের অভিযোগে সিরাজুল হক (২৫) নামে এক মাদ্রাসা শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। আজ শনিবার (১৩ মে) দুপুর ১২টার দিকে মাদরাসা শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ (১০) নামে এক শিশু বলাৎকারের অভিযোগে তাকে আটক করে পুলিশ।

আটককৃত সিরাজুল হক দৌলতপুর উপজেলার হোসেনাবাদ ফজলুল হক উলুম বহুমুখী মাদ্রাসার শিক্ষক ও নাটোর জেলার বড়বাড়িয়া গ্রামের আইনাল হকের ছেলে।

বলাৎকারের শিকার ওই শিশুর পরিবারের অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, হোসেনাবাদ ফজলুল হক উলুম বহুমুখী মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্র আব্দুল্লাহকে গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত রাত ১২টার দিকে নিজ কক্ষে ডেকে নেয় একই মাদ্রাসার শিক্ষক সিরাজুল হক।

এ সময় তাকে জোরপূর্বক বলাৎকার করে ঘটনাটি কাউকে না বলার জন্য হুমকি দেয় ওই শিক্ষক। পরে আজ শনিবার সকালে বলাৎকারের শিকার ওই শিশু তার পিতা রাকিকুল ইসলামকে ঘটনাটি জানালে সে দৌলতপুর থানা পুলিশকে জানায়।

এ বিষয়ে হোসেনাবাদ ফজলুল হক উলুম বহুমুখী মাদ্রাসার সুপার শামসুজ্জোহা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষক সিরাজুল হককে আটক করে থানা নিয়ে গেছে পুলিশ।

দৌলতপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মজিবুর রহমান বলেন, হোসেনাবাদ ফজলুল হক উলুম বহুমুখী মাদ্রাসায় শিশু বলাৎকারের ঘটনায় অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় নিয়ে জিঞ্জাসাবাদ করা হচ্ছে।




টুইটারের নতুন সিইও লিন্ডা ইয়াকারিনো

এতদিন শুধু গুজন শোনা গেছে। ইলন মাস্ক এনবিসিইউ এর নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিত্ব লিন্ডা ইউকারিনোকে টুইটারের পরবর্তী সিইও হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার চিন্তা করছেন। এবার তা সত্য হলো। মাস্ক একটি ইউটিউব টুইটে এর সত্যতা এক টুইটের মাধ্যমে জানিয়েছেন।

এর আগে লিন্ডা এক টুইটে জানিয়েছেন তিনি এনবিসিইউ এর চেয়ারম্যান অব গ্লোবাল এডভারটাইজিং অ্যান্ড পার্টনারশিপের পদটি ছেড়ে দিচ্ছেন। টুইটারে একজন খ্যাতনামা এডভারটাইজিং বিশেষজ্ঞ নিয়োগ দেওয়ার পদক্ষেপটি ইতোমধ্যে প্রশংসিত হয়েছে। কারণ বিগত কয়েক মাস ধরেই টুইটারে নেতৃত্ব সংকট দেখা দিয়েছিল। মাস্ক আপাতত চেয়ারম্যান এবং সিটিওর দায়িত্ব পালন করবেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




কুষ্টিয়ায় মেধা’র ব্যবস্থাপনায় হুইলচেয়ার ও বাইসাইকেল বিতরণ

কুষ্টিয়ায় মেধা’র ব্যবস্থাপনায় দু:স্থ্য ও অসহায় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়েছে। একই সাথে মেধা’র নির্বাহি পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার সালাহউদ্দিনের সহায়তায় এক দরিদ্র শিক্ষার্থীকে বাইসাইকেল প্রদান করা হয়।

শনিবার দুপুরে মেধা’র কার্যালয়ে ডা: মেহনাজ নাসরীনের অর্থায়নে ও মেধা’র ব্যবস্থাপনায় পাঁচ জন শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়।

মেধা’র নির্বাহি পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শামীম আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া শহর সমাজসেবা অফিসার জহিরুল ইসলাম।

এসময় মেধা’র উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মুহা. আব্দুল লতিফ. রেজানুর রহমান খান চৌধুরী মুকুল, মেধা’র সহসভাপতি শাহনেওয়াজ আনসারী মনজু, নির্বাহী সদস্য আব্দুল মান্নান বিদ্যুত, মনজুর রহমান মনু, এহসান আনোয়ার বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, কুষ্টিয়ার মেধা একটি বাস্তবমুখি সামাজিক সংগঠন। এ সংগঠনের মাধ্যমে যে সব কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছে তা জেলার শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভুমিকা রেখে যাচ্ছে। মেধার মাধ্যমে এ অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে উপকৃত হয়ে আসছে। পাশাপাশি সামাজিকভাবেও বেশ কিছু কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ পাঁচ জন শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়েছে।




কোটচাঁদপুর পল্লীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়েছে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও জব্দ জালে দেয়া হয়েছে আগুন। শনিবার উপজেলার পৃথক দুইটি স্থানে এ অভিযান চালান প্রশাসন।

জানা যায়,শনিবার সকালে উপজেলার কাগমারি গ্রামের আজিজুল ইসলাম (আজা) ভেকু দিয়ে মাটি কাটছিল। এমন খবরে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের পাঠান। পরে ওই মাটি কাটা বন্ধ করিয়ে ভেকু তুলেদেন।

অন্যদিকে, শনিবার সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভুমি) নিরুপমা রায় কোটচাঁদপুরের কপোতাক্ষ নদের জগন্নাথপুর অংশে অভিযান চালান। এ সময় তিনি ১৪ টি চায়না নিশিদ্ধ দোয়াড়ি জব্দ করা হয়। পরে তা ওই নদের তীরেই আগুন দিয়ে ধ্বংস করা হয়।

জাল ধ্বংসের সময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্চয় কুমার,কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ মোঃ আজিজ। এ ছাড়া সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরাও ওই অভিযানে ছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন,বিষয়টি জেনেছি। খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যদিকে সহকারী কমিশনার( ভুমি) নিরুপমা রায়ের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।