কুষ্টিয়ায় মেধা’র ব্যবস্থাপনায় হুইলচেয়ার ও বাইসাইকেল বিতরণ

কুষ্টিয়ায় মেধা’র ব্যবস্থাপনায় দু:স্থ্য ও অসহায় শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়েছে। একই সাথে মেধা’র নির্বাহি পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার সালাহউদ্দিনের সহায়তায় এক দরিদ্র শিক্ষার্থীকে বাইসাইকেল প্রদান করা হয়।

শনিবার দুপুরে মেধা’র কার্যালয়ে ডা: মেহনাজ নাসরীনের অর্থায়নে ও মেধা’র ব্যবস্থাপনায় পাঁচ জন শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়।

মেধা’র নির্বাহি পরিষদের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার সালাহউদ্দিনের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব শামীম আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কুষ্টিয়া শহর সমাজসেবা অফিসার জহিরুল ইসলাম।

এসময় মেধা’র উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ড. মুহা. আব্দুল লতিফ. রেজানুর রহমান খান চৌধুরী মুকুল, মেধা’র সহসভাপতি শাহনেওয়াজ আনসারী মনজু, নির্বাহী সদস্য আব্দুল মান্নান বিদ্যুত, মনজুর রহমান মনু, এহসান আনোয়ার বুলবুল উপস্থিত ছিলেন।

বক্তারা বলেন, কুষ্টিয়ার মেধা একটি বাস্তবমুখি সামাজিক সংগঠন। এ সংগঠনের মাধ্যমে যে সব কর্মকান্ড পরিচালিত হয়ে আসছে তা জেলার শিক্ষা বিস্তারে ব্যাপক ভুমিকা রেখে যাচ্ছে। মেধার মাধ্যমে এ অঞ্চলের বিপুল সংখ্যক মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীরা দীর্ঘদিন ধরে উপকৃত হয়ে আসছে। পাশাপাশি সামাজিকভাবেও বেশ কিছু কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ পাঁচ জন শারীরিক প্রতিবন্ধীদের মাঝে হুইলচেয়ার বিতরণ করা হয়েছে।




কোটচাঁদপুর পল্লীতে ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান

কোটচাঁদপুর উপজেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বন্ধ হয়েছে অবৈধভাবে মাটি কাটা ও জব্দ জালে দেয়া হয়েছে আগুন। শনিবার উপজেলার পৃথক দুইটি স্থানে এ অভিযান চালান প্রশাসন।

জানা যায়,শনিবার সকালে উপজেলার কাগমারি গ্রামের আজিজুল ইসলাম (আজা) ভেকু দিয়ে মাটি কাটছিল। এমন খবরে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে ঘটনাস্থলে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের পাঠান। পরে ওই মাটি কাটা বন্ধ করিয়ে ভেকু তুলেদেন।

অন্যদিকে, শনিবার সকালে উপজেলা সহকারী কমিশনার( ভুমি) নিরুপমা রায় কোটচাঁদপুরের কপোতাক্ষ নদের জগন্নাথপুর অংশে অভিযান চালান। এ সময় তিনি ১৪ টি চায়না নিশিদ্ধ দোয়াড়ি জব্দ করা হয়। পরে তা ওই নদের তীরেই আগুন দিয়ে ধ্বংস করা হয়।

জাল ধ্বংসের সময় উপস্থিত ছিলেন,উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্চয় কুমার,কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ মোঃ আজিজ। এ ছাড়া সঙ্গীয় পুলিশ সদস্যরাও ওই অভিযানে ছিলেন।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে বলেন,বিষয়টি জেনেছি। খোজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। অন্যদিকে সহকারী কমিশনার( ভুমি) নিরুপমা রায়ের সঙ্গে কথা বলা সম্ভব হয়নি।




‘কোহলি-রোহিত টি-টোয়েন্টিতে আর চলে না’

ক্রিকেট বিশ্বের বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা দুই তারকা হলেন বিরাট কোহলি ও রোহিত শর্মা। ভারতের সাবেক এবং বর্তমান অধিনায়ককে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেছেন সাবা করিম।

চলতি আইপিএলে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করছেন রাজস্থান রয়েলসের ২১ বছর বয়সী তরুণ ওপেনার যাশাসবি জয়সওয়াল। গত বৃহস্পতিবার কলকাতা নাইট রাইডার্সের বিপক্ষে আইপিএল ইতিহাসে ১৩ বলে ফিফটির রেকর্ড গড়েন তিনি।

এদিন ৪৭ বলে ১২টি চার আর ৫টি ছক্কার সাহায্যে ৯৮ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলে দলকে জয় উপহার দেন জসওয়াল। আইপিএলের চলতি আসরে ১২ ম্যাচে ৫৭৫ রান করে দ্বিতীয় পজিশনে রয়েছেন তিনি। তার চেয়ে মাত্র ১ রান বেশি করে শীর্ষে আছেন রয়েল চ্যালেঞ্চার্স বেঙ্গালুরুর অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি।

রাজস্থানের তরুন তারকা ওপেনার জসওয়ালের ভুয়সী প্রশংসা করে ভারতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক প্রধান নির্বাচক সাবা করিম একটি টুইট করেছেন।

সেই টুইটে জসওয়াল লেখেন, জসওয়ালের ব্যাটিং দেখলেই স্পষ্ট বুঝা যায়, রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলির ব্যাটিং টি-টোয়েন্টিতে আর চলে না।

সেই টুইটটি ভারতীয় কিংবদন্তি ক্রিকেোর অনিল কুম্বলে, ধারাভাষ্যকার হার্ষা ভোগলেকে ট্যাগ করেন সাবা করিম।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরের হিমসাগর আম যাবে বিদেশেও

সু-স্বাদু আর রসে ভরপুর আমের কথা উঠলেই চলে আসে মেহেরপুরের হিমসাগর আমের কথা। জেলায় বেশ কয়েকটি জাতের আমের চাষ হয়ে থাকে, তার মধ্যে হিমসাগর, ল্যাংড়া, আমরুপালি, বিশ্বনাথ ও ফজলি এই কয়টি আম জেলার সুখ্যাতি বয়ে নিয়ে এসেছে। শুধু দেশে নয়, মেহেরপুরের আম এখন বিদেশেও রপ্তানি হচ্ছে। বাগানমালিকরা বলছেন সম্পুর্ণ বিষমুক্ত ও কোন প্রকার কেমিক্যাল ছাড়াই হিমসাগরসহ সব আম দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হবে। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর বলছেন, আমের মুকুল আসা থেকে শুরু করে আম বাজারজাত করা পর্যন্ত সকল প্রকার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বাগান মালিকদের।

মেহেরপুর জেলায় চলতি বছরে ২ হাজার ৩৪০ হেক্টর আম বাগানে প্রায় ৪০ থেকে ৪৫ হাজার মেট্রিকটন আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। এর মধ্যে হিমসাগর আমের বাগান রয়েছে ৭০০ হেক্টর জমিতে। চলতি সময়ে ৪০ মেট্রিক টন হিমসাগর আম রপ্তানি করার সম্ভাবনা রয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশে। দেশের চাহিদা পুরুনের পাশাপাশি সরকারি ঘোষনা অনুযায়ী আম সংগ্রহ এবং বাজারজাত করতে সংগ্রহের জন্য প্রস্তত করেছে মেহেরপুরের আমচাষিরা ।

আম বাগান মালিক আব্দুর রহিম জানান, অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর অনুকুল আবহাওয়ায় হিমসাগর আমের কাংখিত ফলন হয়েছে। বিশেষ করে মেহেরপুরের হিমসাগর আমের চাহিদা অন্যান্য আমের চেয়ে অনেক বেশি। আমাদেও জেলায় তেমন ঝড় ঝাপটা না হওয়ায় প্রতিটি আমগাছ আমে নুইয়ে পড়েছে। ফলন যেমন ভাল হয়েছে তেমনিভাবে আমরা একেবারেই কেমিক্যাল ও কীটনাশকমুক্ত আম উৎপাদন করেছি। যা আমাদের দেশের বিভিন্ন জেলায় বিক্রি করা হবে। তবে বিদেশেও বিক্রির জন্য উন্মুক্ত বাজার তৈরী করতে পারলে কৃষকরা আরও বেশি লাভবান হবে বলেও আশা করেন তিনি।

বাগান মালিক সাজাহান আলী জানান, এবছর আমের বাম্পার ফলন পেয়েছি। সযত্নে আম বাজারজাত করার জন্য প্রস্তত রয়েছি। আশা করি ন্যায্য মুল্য পাব। তবে ন্যায্য মুল্য না পেলে লোকসান হবে। বিশ্ব বাজারে মেহেরপুরের আমের বাজার তৈরী করে চাষিদের আম চাষে উৎসাহি করার জন্য কৃষি বিভাগের প্রতি অনুরোধ জানান তিনি।

আমের পাইকারি ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, মেহেরপুরের হিমসাগর আম যখন বাইরের জেলায় বিক্রি করতে যায় তখন অনেক কদর থাকে এই আমের। অনেকেই জানেন মেহেরপুরের আম মানেই বিষ ও ক্যামিক্যাল মুক্ত।

মেহেরপুরের আমের কথা শুনলে অন্যান্য জেলার আমের আগেই মেহেরপুরের আম আগে বিক্রি হয়ে যায়। এবার তিনি বিভিন্ন বাজারে আম নিয়ে ব্যবসা করবেন বলে জানিয়েছেন এবং বাগান মালিকদের সাথে আম কেনা বেচার কথা পাকা করছেন। সরকারি নিধারিত সময়ে তিনি আম বাজারজাত করার চেষ্টা করছেন।

আমের খুচরা ব্যবসায়ীরা জানান, আমাদের মেহেরপুর জেলায় এখনও আম সংগ্রহ শুরু হয়নি। তবে অনেক গাছের আম পাকা শুরু হয়েছে। গাছ থেকে পাকা আম পড়ে নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু বাজারে নিয়ে যেতে পারছিনা। তবে আম গাছে আম দেখে সংগ্রহের সময়সীমা নির্ধারণ করার আনুরোধ জানিয়েছেন তারা।

মেহেরপুর কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক-শংকর কুমার মজুমদার জানান, জেলায় অন্যান্য বছরের তুলনায় এবছর আমের অনেক ভাল ফলন হয়েছে। জেলায় ২৩৪০ হেক্টর আম বাগানে প্রায় ৪০থেকে ৪৫ হাজার মেট্রিকটন আমের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। বিশেষ করে জেলার হিম সাগর আমের অনেক খ্যাতি রয়েছে। হিমসাগর আম ইউরোপীয় ইউনিয়নের কয়েকটি দেশে এবার রপ্তানি করা হবে। সে লক্ষে ইন্টারন্যাশনাল ভার্জিনিয়াটেক, গ্লোবাল ট্রেড লিংক, গ্রীনগ্লোবাল, বিএইচ ট্রেডার ও নাফিজা এন্টারপ্রাইজসহ বেশ কয়েকটি রপ্তানি কারক প্রতিষ্ঠান আম ক্রয় করতে আগ্রহপ্রকাশ করেছে। আম ক্রয়ের লক্ষে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি আম বাগান তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখেছে। গত বছরেও বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান হিম সাগর আম রপ্তানি করেছিল। এবছরেও তারা আমের চাহিদা দিয়েছেন।

আমরা আশাকরি মেহেরপুরের হিমসাগর, লাংড়া ও আমরুপলি শুধু দেশেই নয়,বিদেশেও খ্যাতি বয়ে আনবে। সেই সাথে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে।




মুজিবনগর দাদপুর বিলে সিবিএফএম-মৎস্য সংশ্লিষ্ট আইন বাস্তবায়নে জনসচেতনতামূলক সভা

মুজিবনগরে ন্যাশনাল এগ্রিকালচারাল টেকনোলজি পোগ্রাম ফেজ-প্রজেক্টের (এনএটিপি-২)আওতায় দাদপুর বিল(টুপলা অংশ) সিবিএফএম-মৎস্য সংশ্লিষ্ট আইন (ফিশিং কোড)বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদান সংক্রান্ত জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার সকাল এগারোটার দিকে মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের গোপালপুর দাদপুর বিলে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জনসচেতনতা মূলক সভা অনুষ্ঠানে দাদপুর বিল(টুপলা অংশ) এর সভাপতি শহিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।

মুজিবনগর সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা(অঃদাঃ) গোলাম সারোয়ার এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর জেলা মৎস্য অফিসার রোকনুজ্জামান,মহাজনপু্র ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, ইউপি সদস্য আরিফ হোসেন প্রমুখ ।

অনুষ্ঠানে বক্তারা জেলা প্রশাসকের কাছে বিল খনন,বিদ্যুৎ ব্যাবস্থা সহ চলাচলের রাস্তা পাকাকরন করার বিষয়ে অবহিত করেন।

তারই ধারাবাহিকতায় জেলা প্রশাসক সকলের দাবির প্রতিশ্রুতি জানিয়ে তিনি বলেন,আমরা মাছে ভাতে বাঙ্গালী। মাছ আমাদের কাছে প্রিয় খাবার। আমরা বেশি বেশি মাছ উৎপাদন করবো এবং দেশকে মাছের দিক দিয়ে স্বয়ংসম্পূর্ণ করে তুলতে সহায়তা করবো। আর সে জন্য মেহেরপুর জেলার প্রত্যেকটি জলাশয়ের দিকে আমার লক্ষ্য থাকবে।প্রতিটি জলাশয়ে যাতে করে সম্পূন্ন রুপে পানি থাকে এবং পরিপূর্নভাবে মাছ চাষ করা যায় সে লক্ষে আমি সকল ধরনের চেষ্টা করে যাবো।




কক্সবাজার উপকূলে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত

বাংলাদেশের উপকূলের দিকে অতিপ্রবল রূপ ধারণ করে ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’। এমন পরিস্থিতিতে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করা হয়েছে। অন্যদিকে চট্টগ্রাম ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

শনিবার (১৩ মে) সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে এক সভা শেষে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেন, বাতাসের গতিবেগ কমে যাওয়ায় ঘূর্ণিঝড় মোখা সুপার সাইক্লোনে পরিণত হবে না। এটি অতিপ্রবল (ভেরি সিভিয়ার সাইক্লোন) ঘূর্ণিঝড় হিসেবে আঘাত হানবে।

তিনি আরও বলেন, রোববার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে বিকেল ৬টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি কক্সবাজার ও মায়ানমারে আঘাত হানবে। এর প্রভাবে কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিনে ৬ থেকে ৯ ফুট এবং ভোলা, বরগুনায় ৩ থেকে ৪ ফুট উচ্চতার জলোচ্ছ্বাস হতে পারে।

মোখা মোকাবিলায় মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, কক্সবাজারের ১৬০০ আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এখানে ১৪ টন শুকনো খাবার পাঠানো হয়েছে। প্রয়োজনে সব বাহিনীর সাথে সেনাবাহিনী কাজ করবে।

এদিকে আজ শনিবার সকালে ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে ১৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এতে বলা হয়, আজ রাত থেকে চট্টগ্রাম ও বরিশাল বিভাগের উপকূলীয় এলাকায় অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাব শুরু হতে পারে।

এ অবস্থায় পায়রা ও মোংলা সমুদ্রবন্দরসমূহকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা কক্সবাজার, চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহ ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

এদিকে, ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে কক্সবাজার, চট্টগ্রাম এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৮-১২ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে। এছাড়া ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুর, ভোলা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরসমূহের নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হতে পারে স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৫-৭ ফুট অধিক উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে।

অপরদিকে, অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে চট্টগ্রাম, সিলেট ও বরিশাল বিভাগে ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণ হতে পারে। অতিভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে।

এমন পরিস্থিতিতে উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত সকল মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ নিয়ে ১৪ নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে আরও জানানো হয়, পূর্ব-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘মোখা’ উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। ঘূর্ণিঝড়টি আজ শনিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৮১৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৮৫ কি.মি. দক্ষিণে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৭৪৫ কি.মি. দক্ষিণে অবস্থান করছিলো।

এটি আরও উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও ঘণীভূত হয়ে আগামীকাল রোববার (১৪ মে) সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টার মধ্যে কক্সবাজার-উত্তর মায়ানমার উপকূল অতিক্রম করতে পারে।

সূত্র: ইত্তেফাক




গুঞ্জনকে সত্যি করে আজ পরিণীতি-রাঘবের বাগদান

বেশ কয়েকমাস ধরেই বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি চোপড়া ও সংসদ সদস্য রাঘব চাড্ডার প্রেমের গুঞ্জন চলছে। বাগদান ও বিয়ে নিয়েও নানা কথা উড়ে বেড়াচ্ছে বলিউডের হাওয়ায়। এবার সেই খবর সত্য হতে চলেছে। দুজনের আংটি বদল উপলক্ষে সেজে উঠেছে দিল্লির কনট প্লেসের কাপুরথালা হাউস। এদিকে বোনের বিয়েতে যোগ দিতে ভারতে আসছেন প্রিয়াঙ্কা চোপড়া।

হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা এবং এনডিটিভির প্রতিবেদন অনুযায়ী আজ শনিবার (১৩ মে) বিকেলেই পরিণীতি চোপড়া আর রাঘব চাড্ডার আংটি বদল। আর সেই উপলক্ষে দিল্লির কনট প্লেসের কাপুরথালা হাউসে চলছে আয়োজন। যদিও মুখ বন্ধই রেখেছে দুই পরিবার।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, একটি ফ্যানপেজ থেকে প্রিয়াঙ্কার একটি সেলফি শেয়ার করা হয়েছে। যা অভিনেত্রী তুলেছেন লন্ডন এয়ারপোর্টে কোনো এক অজ্ঞাত ব্যক্তির সঙ্গে। যার থেকে ধারণা করা হচ্ছে, তুতো বোনের বিয়েতে যোগ দিতেই ভারতে আসছেন তিনি।

এসময় বেইজ রঙের পোশাক আর একটা টুপির সঙ্গে অভিনেত্রীকে একেবারেই নো মেকআপ লুকে দেখা গেছে। ছবি শেয়ার করে ওই ভক্ত লিখেছেন, ‘প্রি (প্রিয়াঙ্কা) লন্ডনে।’

ছবিটির প্রতিক্রিয়া জানিয়ে একজন ভক্ত লিখেছেন, ‘তাহলে সত্যিই কাজিনের বিয়েতে যোগ দিতে ভারতে ফিরছেন।’ আরেকজন লিখলেন, ‘আমার মনে হয় ভারতে ফেরার ফ্লাইটের জন্য অপেক্ষা করছেন।’ তৃতীয়জন লিখলেন, ‘হ্যাপি জার্নি’।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আংটি বদলের অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বিকেল ৫টা থেকে। শিখ রীতি অনুযায়ী অনুষ্ঠানটি শুরু হবে সুখমনি সাহেব পাঠের মাধ্যমে এবং সন্ধ্যা ৬টায় আরদাসের মাধ্যমে।

অনুষ্ঠানে রাঘব ও পরীণিতির পরিবার ও ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল এবং পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত মান। এদিকে প্রিয়াঙ্কা ছাড়াও বলিউড তারকা হিসেবে নিমন্ত্রিত থাকার কথা রয়েছে করণ জোহরেরও।

সূত্র: হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা




গরম খাবারে কাটবে গরম

প্রচণ্ড গরমে শরীর ঠাণ্ডা করতে হলে আমরা প্রথমেই ঠাণ্ডা পানীয় নাহয় ঠাণ্ডা খাবার খুঁজি। কিন্তু প্রবাদে আছে, কাটায় কাটা তোলা। গরম খাবার দিয়ে গরম কাটানোর এই পন্থা অনেক দেশের মানুষই অনুসরণ করে। বিশেষত ঠাণ্ডা পানীয় কখনই আমাদের শরীরের গরম কাটায় না। বরং ঠাণ্ডা পানীয় অনেক সময় আমাদের শরীরে পানিশূন্যতা তৈরি করে। একথা সত্য, ঠাণ্ডা পানীয় পান করলে অনেক সময় কিছুটা আরাম পাওয়া যায়। কিন্তু স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস হিসেবে তা মেনে চলা যাবে না।

একাধিক নির্ভরযোগ্য গবেষণা দ্বারা প্রমাণিত হয়েছে, গরম খাবার আমাদের শরীরের তাপমাত্রার ভারসাম্য ধরে রাখতে সাহায্য করে। দেহের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রার তুলনায় বেশি তাপমাত্রার খাবার খেলে শরীর তাপ ছেড়ে দেয়।

বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি হলো, তাপ উচ্চমাত্রার অংশ থেকে নিম্নমাত্রার অংশে প্রবাহিত হয়। এজন্য গরম খাবার খেলে ঘাম হয় অনেক। ওই ঘাম শুকিয়ে গেলে শরীর ঠাণ্ডা অনুভূতি সঞ্চার করে। অবশ্য এক্ষেত্রে আর্দ্রতার হিসেবটিও মাথায় রাখা জরুরি।

পূর্ব এশিয়ার অনেক দেশ বহু আগে থেকেই এই পন্থা অনুসরণ করে আসছে। তারা সময়-অসময়ে চা আর সয়াদুধ পান করে। কোরিয়ানরাও তীব্র গরমে প্রচুর ঝাল দেওয়া স্যুপ পান করেন। আমাদের দেশেও সম্প্রতি এমন একটি অভ্যাস চালু হয়েছে। তবে গরমে অতিরিক্ত চা আর কফি খেয়ে এই পদ্ধতির প্রয়োগ না করাই ভালো। পানিশূণ্যতা তৈরি করে এমন খাবার এড়িয়ে স্বাস্থ্যকর স্যুপ খাওয়ার অভ্যাস গড়ে নিন। উপকার পাবেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে এসএসসি উপকেন্দ্রের সহকারী সচিবের অব্যহতি চেয়ে ৯ শিক্ষকের আবেদন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার সাহেবনগর কেএনএসএইচ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে পরীক্ষা উপকেন্দ্রের সহকারী সচিব আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ তুলে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি চেয়ে ৯জন শিক্ষক আবেদন করেছে।

অব্যহতির আবেদন গত বৃহস্পতিবার (১১ই মে) পরীক্ষার মূলকেন্দ্রে সাহেবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্র সচিবের কাছে জমা দেন ওই ৯জন শিক্ষক। কেএনএসএইচ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় উপকেন্দ্রের সহকারী সচিব আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে কক্ষ পরিদর্শকের দায়িত্ব থেকে অব্যহতি চাওয়া শিক্ষকেরা হলেন- কাজিপুর মাথাভাঙ্গা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের (৩জন শিক্ষক) সহকারী শিক্ষক তাহাজ উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক ইয়াসমিন আক্তার, সহকারী শিক্ষক হাফিজুর রহমান। কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শাহানাজ পারভীন, হাড়াভাঙ্গা আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের (৫জন শিক্ষক) সহকারী শিক্ষক তানভীর আক্তার, সহকারী শিক্ষক ইলিয়াস হোসেন, সহকারী শিক্ষক লাভলী খাতুন, সহকারী শিক্ষক মশিউর রহমান, সহকারী শিক্ষক বেলাল হোসেন।

বিষয়টি নিয়ে কথা হয় স্বেচ্ছায় অব্যহতি চাওয়া শিক্ষকদের সঙ্গে। তারা ওই উপকেন্দ্রের সহকারী সচিব আব্দুল হালিমের বিরুদ্ধে নানান ধরনের অভিযোগ তুলেন।

অব্যহতি চাওয়া কাজিপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পারভীন বলেন, ‘পরিক্ষার ডিউটিতে থাকা সব শিক্ষকই উপকেন্দ্র সচিবের খারাপ আচরণে অতিষ্ঠ হয়ে মূলকেন্দ্রর সচিবের নিকট লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।

তবে কেএনএসএইচ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের অভিযুক্ত সহকারী কেন্দ্র সচিব আব্দুল হালিম বলেন,’আমি নকলমুক্ত পরীক্ষা কেন্দ্র ও সুষ্ঠু পরিবেশ ঠিক রাখতে কাজ করেছি; যারা অভিযোগ করছেন তারা আমার কেন্দ্রে পরীক্ষায় অংশ নেওয়া তাদের আত্নীয়দের ও লোকজনদের সহোযোগিতা কিংবা নকল করতে পারছেনা তাই তারা আমার বিরুদ্ধে এসব ভিত্তিহীন মিথ্যা অভিযোগ তুলছে।’

এবিষয়ে এসএসসি পরীক্ষার মূলকেন্দ্র সাহেবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সচিব আব্দুর রশীদ বলেন, ‘একটি লিখিত অভিযোগ জমা হয়েছে উপকেন্দ্রের সহকারী সচিবের বিরুদ্ধে। বিষয়টি আমি ইউএনও’কে (উপজেলা নির্বাহী অফিসার) অবগত করেছি।’

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু বলেন,’বিষয়টি আমি অবগত হয়েছি সহকারী কেন্দ্র সচিবের সাথে সমস্যার বিষয়ে আজ শনিবার মূলকেন্দ্রের সচিব বসবেন এবং কি-হয় সেটা আমাকে জানাবে।’




মেহেরপুরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার ১১

মেহেরপুর সদর, গাংনী ও মুজিবনগর থানা পুলিশের ২৪ ঘন্টার নিয়মিত অভিযানে বিভিন্ন মামলার ১১ আসামি গ্রেফতার হয়েছেন।

গ্রেফতারকৃত আসামিদের মধ্যে মেহেরপুর মুজিবনগর থানা পুলিশ আদালতের পরোয়ানাভূক্ত সিআর মামলায় ৪, নিয়মিত মামলায় ২ আসামি, গাংনী থানা পুলিশের অভিযানে নিয়মিত মামলায় ১ আসামি ও সদর থানা পুলিশ নিয়মিত মামলায় ৪ আসামি গ্রেফতার করেছেন।

শুক্রবার সকাল থেকে আজ শনিবার (১৩ মে) ভোররাত পর্যন্ত তিনটি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে পুলিশের একাধিক টিম অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম, মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল ও গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিক টিম গ্রেফতার অভিযানে অংশ নেন।

শনিবার (১৩ মে) সকালের দিকে গ্রেফতারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।