গাংনীর আব্দুল আলীম হত্যা মামলায় পিতা-পুত্র গ্রেফতার

জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে গাংনীর পল্লী মহম্মদপুর গ্রামের ভ্যান চালক আব্দুল আলীম হত্যা মামলার এজাহার নামীয় ৩ নং আসামি সেন্টু ও ৬ নং আসামি তার পিতা সাইদুল ইসলাম ওরফে সাদুকে গ্রেফতার করেছে গাংনী থানা পুলিশ।
আজ শুক্রবার (১২ মে) দুপুরের দিকে তাদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
ওসি আব্দুর রাজ্জাক বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার(১১ মে) বিকালের দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানার কাতলামারী গ্রামে তার আত্মীয় বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত সেন্টু মামলার এজাহার নামীয় ৩ নং আসামি এবং তার পিতা সাইদুল ইসলাম ওরফে সাদু এই মামলার ৬ নং আসামি।
গত মাসের শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) সকালে গাংনী উপজেলার মটমুড়া ইউনিয়নের মহাম্মদপুর গাইন পাড়া এলাকায় বিরোধপূর্ণ জমিতে আব্দুল আলীমকে হত্যা করে।

গত মাসের (২৮ এপ্রিল) সকালে চাচা খলিলুর রহমানকে দিয়ে আব্দুল আলীমকে মাঠে ডেকে নিয়ে যায়। যেখানে আব্দুল কাদেরের ছেলে বান্টু, আব্দুল হান্নান, সুদু ও তার ছেলে সেন্টু, আব্দুল হান্নানের ছেলে রাশেদ, ইঞ্জিনিয়ার রাসেল আহম্মেদ দেশিয় অস্ত্র হাসুয়া, রামদা, ফলা, ঢাল নিয়ে সেই জমিতে আগে থেকে ওঁত পেতে থাকে। আব্দুল আলীম ওই মাঠে পৌঁছানো মাত্রই তারা সবাই মিলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ও ফলা দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে এবং মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়।
এই ঘটনায় নিহতের স্ত্রী মনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা হওয়ার কয়েক দিন পর আব্দুল হান্নানকে গ্রেফতার করেন গাংনী থানা পুলিশ। এনিয়ে ৩ আসামি গ্রেফতার হলো।




বৃষ্টির বাধায় টস হতে দেরি

প্রথম ম্যাচ বৃষ্টিতে পণ্ড হয়ে যায়। বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় ওয়ানডেতেও বাগড়া দিয়েছে বৃষ্টি। আর তাই নির্ধারিত সময়েও হয়নি টস। এখনও বৃষ্টি পড়ছে।

ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডের ক্লাউড কাউন্টি গ্রাউন্ডে শুক্রবার (১২ মে) বাংলাদেশ সময় বিকেল ৩.৪৫ মিনিটে ম্যাচটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। নির্ধারিত সময়ে টস না হওয়ায় খেলা শুরু হতেও দেরি হবে।

দিনের শুরুতে বৃষ্টি ছিল না। বাংলাদেশ এবং আয়ারল্যান্ড দল যখন মাঠে প্রবেশ করে তখন আকাশ বেশ রোদ ঝলমলে ছিল। মাঠে অনুশীলনও করেছেন ক্রিকেটাররা।

কিন্তু টসের আগেই বাংলাদেশ সময় ৩টার পর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়। তবে বৃষ্টির মাত্রা আগের দিনের মতো না। আপাতত আম্পায়াররা মাঠ পরিদর্শন করেছেন। ধারণা করা হচ্ছে বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার পর বৃষ্টি থামতে পারে। তাহলে ৩০ ওভারে ম্যাচটি হতে পারে।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে গাঁজাসহ নারী মাদক ব্যবসায়ী আটক

১১০ গ্রাম গাঁজাসহ পারেছা খাতুন (৩৮) নামের এক নারী মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ।
আটক পারেছা খাতুন গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামের মন্টু বিশ্বাসের স্ত্রী।
গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদে খবর পেয়ে বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২ টার দিকে তার বাড়িতে অভিযান ১১০ গ্রাম গাঁজাসহ পারেছা খাতুনকে আটক করে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, আটক পারেছা খাতুনের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে শুক্রবার সকালের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




মেহেরপুরে নানা আয়োজনে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালিত

“আমাদের নার্স, আমাদের ভবিষ্যৎ” প্রতিপাদ্যে বর্ণাঢ্য র‌্যালি, আলোচনা সভা ও মোমবাতি জ্বালিয়ে শপথ নেওয়ার মধ্য দিয়ে মেহেরপুরে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালিত হয়েছে।
দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার (১২ মে) সকাল সাড়ে আটটায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাঃ জামির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তারের নেতৃত্বে একটি বর্ণাঢ্য র‌্যালি শহরের পৌর ঈদগাহ গেট থেকে শুরু করে প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতাল প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।
মেহেরপুর ২৫০ শয্য বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্ববধায়কের সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
ডাঃ জামির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তারের সভাপতিত্বে “আমাদের নার্স, আমাদের ভবিষ্যৎ ” শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর জেলা বিএমএ’র সভাপতি ডাঃ এম এ বাশার, ডাঃ মেহেদী হাসান, নার্সিং সুপারভাইজার নাজমা খাতুন, ইসমত আরা, কুলসুম আরা, আসাদুল হক, তুষার বিশ্বাস প্রমুখ।
এর আগে সেখানে বেলুন উড়িয়ে এবং কেককেটে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস অনুষ্ঠানের সূচনা করা হয়। সব শেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।




মেহেরপুরে বিতর্কিত নারীর পক্ষে ভুঁইফোঁড় সংগঠনের মানববন্ধন

মেহেরপুরে আলোচিত আটলান্টিক হোটেল কাণ্ড মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি ও এলাকার বিতর্কিত নারী নিলুফার ইয়াছমিন রুপার পক্ষে মানববন্ধন করলেন আওয়ামী লীগের ভূঁইফোঁড় সংগঠন বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের ব্যানারে কয়েকজন।

আর এই ভূঁইফোঁড় সংগঠনের জেলা কমিটির আহবায়ক (প্রস্তাবিত) নিলুফার ইয়াছমীন রুপার প্রকাশিত একটি পোষ্টারকে ঘিরে আওয়ামী লীগ নেতা কর্মীদের মন্তব্যে এখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে প্রতিবাদের ঝড়। নিলুফার ইয়াছমীন রুপার ছাপানো পোষ্টারে দেখা যাচ্ছে জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ছোট করে রুপার ছবির নিচে দেওয়া। পোস্টারের এই ছবি নিয়ে ইতিমধ্যে জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল মান্নান তার ফেসবুক পেজে একটি পোস্ট দিয়েছেন। সেই পোস্টকে কেন্দ্র করে এখন শুরু হয়েছে সমালোচনার ঝড়। নেতাকর্মীরা বিতর্কিত নারী নিলুফার ইয়াছমীনকে গ্রেফতারেরও দাবী জানিয়েছেন।

জানা গেছে, মেহেরপুর শহরের সব চাইতে আলোচিত হোটেল আটলান্টিক কান্ড মামলায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গত মাসের ১১ তারিখে নিলুফার ইয়াছমীন রুপাকে ১৩ নম্বর আসামি করে ১৭ জনের নাম উল্লেখ করে বিজ্ঞ আদালতে চার্জশিট দাখিল করেছেন। এই চার্জশিটের প্রতিবাদে নিলুফার ইয়াছমীন রুপা বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের ব্যানারে মেহেরপুর জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে মানববন্ধন করেন। মানববন্ধনে অল্প কিছু লোক থাকলেও উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু সৈনিকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির পরিচয় দানকারী দুই নেতা। এরা হলেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (খুলনা) আমিনুল হক রতন মোল্লা ও কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (চট্টগ্রাম) সেলিম রেজা। তবে স্থানীয় কোনো নেতা কর্মী এই মানববন্ধনে অংশ নেননি।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আব্দুল মান্নান তার নিজ ফেসবুকে রুপার পোষ্টার নিয়ে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। পাঠকদের উদ্দেশ্যে তা হুবুহু তুলে ধরে হলো :

মাননীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক জেলা আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের সমর্থক অথবা কর্মী হওয়ার অধিকার অনেকেই রাখে তবে কোন সংগঠন এর ব্যানার ব্যবহারে জেলা আওয়ামী লীগের জানা থাকার কথা। সৈনিক লীগ নামে কোন সংগঠন কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগ বা জেলা আওয়ামীলীগের কোন সহযোগী সংগঠন কি না, হয়ে থাকলে এটা মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের কোন নেতার মদদে চলে, দয়া করে জানালে খুশী হবো।

জেলা প্রশাসক, মহোদয়,এখন তো হাজারো সৈনিকের দখলে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ছবি ব্যবহারের একটা আইন আছে। আমি একটা পোস্টার পোস্ট করছি দয়া করে দেখুন এই পোস্টারটিতে জাতির পিতার ছবি ব্যবহার সঠিকভাবে হয়েছে কিনা।
এদিকে এই পোস্টকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে নানা মন্তব্য, পাঠকদের উদ্দেশ্যে সেখান থেকে কিছু মন্তব্য প্রদান করা হলো ।

সুবাদ মিয়া লিখেছেন, এটা ঠিক না, আমরা যারা আওয়ামী লীগ করি আমাদের মানতে হবে বঙ্গবন্ধু মানেই কিন্তু আওয়ামী লীগ বুঝায়। তাই এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। উনি কে? হঠাত করে সৈনিক লীগ নিয়ে এলো। কোন দিন কোন জাতীয় প্রোগ্রামে দেখি নাই ইনাকে। আর আজ সৈনিক লীগ নিয়ে এলো। আসলে মেহেরপুর জেলায় একে প্রতিহত করতে হবে। এটা আমাদের দাবি।

অ্যাডভোকেট রাকিবুল ইসলাম লিখেছেন, ভুইফোড় সংগঠন এবং এ সকল ব্যক্তিকে দলে জায়গা আমরা সমর্থকরা দিই না,যারা দায়িত্বশীল তাদের দায়িত্ব দলীয় পরিচয় দিয়ে কারা সুবিধা নিচ্ছে সেসব দেখা এবং কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থার পাশাপাশি,আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানানো এরা আমাদের কেউ না।

নাহিদ মাহমুদ লিখেছেন, হেতে কি তাইলে পাওয়ারফুল নাকি, বিচার চাই বিচার চাই,এই মহিলা জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার ছবিকে হেয় প্রতিপন্ন করেছে। এই মহিলার বিরুদ্ধে অবিলম্বে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবী জানাচ্ছি। এই মহিলা এত বড় খারাপ অপকর্মটি করার দুঃসাহস দেখায় কি করে।

তাসনিম তামান্না লিখেছেন, এই মহিলা খুবই উচ্ছৃংখল, উনার বাসা রাবেয়া ক্লিনিকের পেছনে। এসব মহিলার ডাইরেক্ট এ্যাকশন নিতে হবে।

রাইহান উদ্দীন মন্টু লিখেছেন ডিম থেরাপি দেওয়া হোক, সকল হোতা বের হয়ে আসবে।

রানা নাইম একাধিক পোষ্ট দিয়েছেন, তার মধ্যে একটি পোস্ট তুলে ধরা হলো, বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের সভাপতি জনাব হারুনুর রশিদ জানিয়েছেন তিনি রুপা নামে মেহেরপুরের কাউকে চেনেন না এবং এই নামে কোন প্রস্তাবিত কমিটি তার দপ্তরে জমা পড়েনি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় কমিটিকে এই নোংরামির বিষয়ে জানানো হয়েছে। অতি দ্রুত এই ন্যাক্কারজনক ঘটনার সঠিক তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

আমি একজন সাবেক ছাত্রলীগ কর্মী হিসেবে বলতে চাই আগামী ২৪ ঘণ্টার ভিতরে স্বাধীনতার সূতিকাগার মুজিবনগর অধ্যুষিত মেহেরপুর জেলার যেসব স্থানে এই পোস্টার লাগানো হয়েছে তা যদি অপসারিত না হয় এবং এই মহিলা যদি জনসমক্ষে নিজের ভুল স্বীকার করে ক্ষমা না চায় তাহলে আমরা আওয়ামী প্রেমী জননেত্রী শেখ হাসিনার কর্মীরা কঠোর আন্দোলন ঘোষণা করবো। যার দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে যেন ভবিষ্যতে কেউ এই ধরনের ধৃষ্টতা দেখানোর সাহস না পাই।

ইতিপূর্বেও সে নিজেকে একবার বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের আহ্বায়ক দাবি করেছিল মেহেরপুর জেলা শাখার। গতকাল  আবার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে মানববন্ধন করার সময় নিজেকে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ মেহেরপুর জেলা শাখার প্রস্তাবিত আহ্বায়ক ঘোষণা করেছে। কে তাকে প্রস্তাব করেছে আমরা জানতে চাই। এর আগে একটি স্কুলে গার্লস গাইডদের দিয়ে গার্ড অফ অনার নিয়েছে কোন ক্ষমতার বলে। তখন প্রতিবাদ করা হয়নি বলেই আজকে বঙ্গবন্ধু ও জননেত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে এই ধরনের ধৃষ্টতার সাহস দেখিয়েছে। একে কোন ধরনের ছাড় দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই যারা একে সমর্থন করবে আমি মনে করি তারা আর যাই হোক বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক হতে পারে না।

জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু,জয়তু জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা।

কে এই রুপা ?
রুপা মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর গ্রামের সবজীর আড়ৎ ব্যবসায়ী মিঠুর স্ত্রী। আজ থেকে ১৫/২০ বছর আগে রুপা গাংনী ডিগ্রী কলেজপাড়াতে তার স্বামীসহ দুটি ছোট কক্ষ নিয়ে ভাড়া নিয়ে থাকতেন। রুপার স্বামী মিঠু বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থানীয় নেতা। সে কাঁচা মালের আড়ৎ ব্যবসা করে কোনো মতে সংসার চালাতেন। রুপা তখন থেকেই উচ্ছৃংখল জীবন যাপনে অভ্যস্ত। পরে বিএনপি ক্ষমতা হারালে মেহেরপুর শহরে পালিয়ে আসেন স্বামীসহ। তারপর থেকে মেহেরপুর শহরের টপ লেবেলের রাজনীতিক, জনপ্রতিনিধিসহ প্রশাসনের এক ধরণের লোকজনের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন।

নিলুফার ইয়াছমীন রুপা এই শহরের অনেক ধনাঢ্য ব্যক্তি, রাজনৈতিক নেতা ও জনপ্রতিনিধিদের সাথে স্বামী মিঠুর পরিচয় না থাকলেও রুপার সাথে গড়ে ওঠে বন্ধুত্ব। তারপর থেকে আর রুপাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। সম্পদের উপর সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছেন তিনি। মেহেরপুর শহরে আলীশান বাড়ি, তার দুই মেয়েকে বিশাল অংকের টাকা খরচ করে লেখাপড়া শেখানো, নিজে প্রাইভেটে চলাচল সব মিলিয়ে তার আলীশান জীবন যাপন। এর মধ্যে রুপার সাথে বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে গাংনী এলাকার শীর্ষ সন্ত্রাসী প্যাডির সাথে। প্যাডি এলাকায় বেশ কয়েকটি খুন করে রুপাকে নিয়ে ঢাকায় পালিয়ে থাকে। সে সময় প্যাডি তার নিকট আত্মীয় প্রথম আলো ও বণিক বার্তা পত্রিকার একজন কর্মকর্তাকে হত্যা করে। বেশ কয়েকদিন পর ওই সাংবাদিকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেসময় প্যাডি পালিয়ে যায়। পরে সাংবাদিক হত্যা মামলায় প্যাডির ফাঁসির আদেশ হয়। প্যাডি পালিয়ে গেলেও রুপা বহাল তবিয়তে মেহেরপুর ফিরে এসে ধর্নাঢ্য জীবন যাপন শুরু করে।

এলাকাবাসি জানান, রুপার গ্রামের বাড়ি গাংনী উপজেলার হাড়িয়াদহ গ্রামে। তার পরিবারের লোকজন সবাই জামায়াত এবং স্বামীর পরিবার বিএনপি হলেও রুপা হঠাৎ করেই তার গায়ে আওয়ামী লীগের তকমা লাগিয়ে নেন। রুপা মাঝে মধ্যে একজন উদ্যোক্তা, কখনো সাংবাদিক, কখনো শিক্ষিকা, কখনো ব্যবসায়ী আবার কখনো শিল্পী পরিচয় দিয়ে থাকেন।

এদিকে রুপার বিষয়ে মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক বলেন, রুপা বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের পরিচয়া দেয় কিনা আমার জানা নেই। জেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাকে বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগের ব্যানারে কোনো কিছু করার অনুমতি দেওয়া হয়নি।




শাকিবের মুখোমুখি হতে চলেছেন নিশো

রায়হান রাফীর পরিচালনায় প্রথমবারের মত বড়পর্দায় কাজ করতে যাচ্ছেন আফরান নিশো। বড়পর্দায় কাজ করতে এসেই তিনি মুখোমুখি হতে চলেছেন বড় পর্দার সুপারস্টার শাকিব খানের। অন্তত এই দুই অভিনেতার ছবি মুক্তির তারিখ লক্ষ করলে তেমনটাই বলছে ভবিষ্যত।

আগামী ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে শাকিব খান অভিনীত ‘প্রিয়তমা’। ইতোমধ্যে ছবিটির শুটিং শুরু হয়ে গিয়েছে।

চটেছেন ডিপজল, করবেন সভাপতি পদে নির্বাচন!চটেছেন ডিপজল, করবেন সভাপতি পদে নির্বাচন!
গতকাল (১০ মে) এই ছবির ফার্স্টলুক পোস্টার প্রকাশ্যে আসে। যেখানে লম্বা চুলে ধরা দেন শাকিব, পেছনে ঝুঁটি বাঁধা। গলায় হাত রেখে সুদূরে বিষণ্ণ দৃষ্টি। বৃষ্টিতে ঠোঁটের ফাঁকে জ্বলন্ত সিগারেট। পোস্টারজুড়ে রহস্যের আভাস।

অপর দিকে, একই দিন অর্থাৎ বুধবার (১০ মে) আফরান নিশো অভিনীত ‘সুড়ঙ্গ’ সিনেমার ফার্স্টলুক টিজার অন্তর্জালে প্রকাশ পেয়েছে। প্রায় দেড় মিনিটের এই টিজারজুড়ে রহস্যের গন্ধ। বাইরে বিদ্যুৎ চমকাচ্ছে, নির্জন বাড়িতে ঢেকে রাখা সুড়ঙ্গে নেমে পড়েন নিশো। এরপর এগিয়ে যান সুড়ঙ্গের অপর প্রান্তে! পুরো টিজারে ছিল না কোনো সংলাপ। ব্যাকগ্রাউন্ড মিউজিকে রোমাঞ্চের পারদ যখন চরমে তখনই শেষ দিকে স্ক্রিনে লেখা ওঠে, ‘প্রেক্ষাগৃহে দেখা হচ্ছে ঈদুল আজহায়।’

‘সুড়ঙ্গ’তে আফরান নিশোর বিপরীতে আছেন তমা মির্জা । তিনি ময়না চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




দামুড়হুদা জয়রামপুরে ছুটিতে আসা পুলিশ সদস্য’র বিরুদ্ধে বৃদ্ধ মহিলাকে লাঠিপেটা করার অভিযোগ

দামুড়হুদায় ছুটিতে আাসা পুলিশ সদস্য’র বিরুদ্ধে বৃদ্ধ মহিলাকে লাঠিপেটা করার অভিযোগ করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে জয়রামপুর কাঁঠালতলাস্থ বাজারে দোকানের সামনে এই ঘটনা ঘটে। এই ঘটনায় বৃদ্ধ মহিলা বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন জয়রামপুর গাতির পাড়ার মো: আবুল হোসেন এর ছেলে ১) মো: ইখলাস (পুলিশ সদস্য) ২) আলাউদ্দিন (৫০) মো: ইদ্রিস (৪০) এবং মিলন (৩০)।

অভিযোগ সুত্রে জানাগেছে দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কাঁঠালতলাস্থ বাজার নিবাসী স্বামী-মৃত নুরুল ইসলামের স্ত্রী মোছা: রহিমা খাতুন (৫৬) এর বসত বাড়ির সামনে নিজ দখলিয় তিনটি দোকান আছে। যা ৪০ বছর পূর্বে ক্রয়কৃত সম্পত্তি। সকালে দোকানের সামনে বৃদ্ধ মহিলা আসলে আগে থেকে ওত পেতে থাকা ছুটিতে আসা পুলিশ সদস্য এখলাস সহ অভিযুক্তরা বাজারে উপস্থিত লোকজনের সামনে লোহার রড ও কাঠের মোটা বাটাম দিয়ে এলোপাতাড়ি ভাবে বৃদ্ধ মহিলাকে মারপিট করতে থাকে। বৃদ্ধ মহিলার আত্মচিৎকারে স্থানীয় লোকজন ছুটে এসে অভিযুক্তদের কবল থেকে উদ্ধার করে দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।

স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানাগেছে
বৃদ্ধ মহিলার পরিবারটি দীর্ঘ প্রায় ৪০ বছর পূর্বে জমিকিনে এখানে বাসবাস করে আসছে। যা আমরা জন্মের পর থেকে দেখছি। ওই মহিলার ভোগ দখলকৃত বাড়ির সামনে তিনটে দোকান রয়েছে, অভিযুক্তদের দাবি ওই জমি তাদের। তারাও নাকি বছর ৪ পূর্ব ঐ জমি কিনেছে। এ বিষয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলছে। ওই দোকান তিনটিতে যাতে কোন ভাড়াটিয়া থাকতে না পারে সে কারণে ইট দিয়ে দোকানের সামনে ইট দিয়ে প্রাচীরের মতো করে রেখেছে, যাতে করে কেউ ওখানে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে না পারে। ইতিমধ্যে একজন ব্যবসায়ী দোকান ছেড়ে চলে গেছে। প্রধান সড়কের পাসে রাস্তায় ইটপাটকেল থাকায় সাধারণ মানুষেরও চলাচলে বিগ্নঘটে। স্বামীর মৃত্যুর পর থেকে বৃদ্ধ মহিলা ওই দোকান থেকে ভাড়া উত্তোলন করে কোনো রকমে জীবিকা নির্বাহ করে আসছে। সকালে মহিলা যখন দোকানের সামনে আসে তখন আমাদের সবার সামনে ওই বৃদ্ধ মহিলাকে যেভাবে মারপিট করা হয়েছে তা কোন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ করতে পারে না। হয় সে নেশাগ্রস্ত না হয় তার মস্তিষ্কে সমস্যা আছে। তানাহলে ৬০ উর্ধ ঐ বৃদ্ধ মহিলাকে জন সমূখে এভাবে কাঠের বাটাম দিয়ে বেধড়ক মারপিট করতে পারতো না। এটা খুবই খারাপ অমানবিক কার্যকলাপ। সব থেকে বেশি অন্যায় হয়েছে পুলিশ সদস্য এখলাসের। সে একজন পুলিশের সদস্য হয়ে নিজেই অতি উৎসাহী হয়ে এই গ্যাঞ্জামের সৃষ্টি করে। তার নেতৃত্বে তারই ভাই ভগ্গোর বৃদ্ধ মহিলাকে মারপিট করছে। উপরন্ত পরিবারটিকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ সহ বিভিন্ন হুমকি ধামকি প্রদান করেছে। প্রকাশ্য দিবালকে জন সম্মুখে পুলিশ সদস্যের এমন কাণ্ডে হতবাক হয়েছে এলাকাবাসী। পরিবারে একজন পুলিশ সদস্য থাকার কারনে দাম্ভিকতার সাথে প্রকাশ্যে সে সহ তার ভাইয়েরা মিলে বৃদ্ধ মহিলাকে আঘাত করে। একপাড়া থেকে আরেক পাড়ায় এসে এরকম মারামারি করা ঠিক হয়নি।

থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে ওখানে জমি নিয়ে একটা সমস্যা আছে। যেটা বিজ্ঞ আদালতে মামলা চলমান। এ বিষয়ে বাদী পক্ষ রহিমা গং বিজ্ঞ আদালতে একটি পিটিশন মামলা দায়ের করেন, যার নং ৪৩৩/২৩। এরই ধারাবাহিকতায় গত ০৯/০৫/২০২৩ ইং তারিখে দামুড়হুদা মডেল থানার এএসআই বিপ্লব কুমার দাস নিজে গিয়ে নুটিশ জারি করে আসে এবং উভয়পক্ষকে শান্তির শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নির্দেশ দেন। পুলিশি নির্দেশ উপেক্ষা করে ঘটনার দুই দিন যেতে না যেতেই ছুটিতে আসা পুলিশ সদস্যসহ তার আপন ভাইগন বৃদ্ধ মহিলাকে জনসম্মুখে প্রকাশ্যে মারপিট করে। বৃদ্ধ মহিলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি আছে বলে জানা গেছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী বিচারের দাবিতে ফুসে উঠেছে।

এবিষয়ে ভুক্তভোগী বৃদ্ধা রহিমা খাতুন বলেন, উল্লেখিত বিবাদীদের সাথে আমার স্বামীর ক্রয়কৃত ভোগ দখলীয় বসত ভিটার জমি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। বিবাদীরা আমাদেরকে উক্ত জমি হইতে উচ্ছেদ করার জন্য বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করার জন্য আমাদের বাড়াতে চলাচলের রাস্তায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা সহ নানা ভাবে হয়রানী করে আসছে। এমতাবস্থায় আমি জমিজমা সংক্রান্তে বিজ্ঞ আদালতে মামলা করি। পরবর্তীতে উক্ত মামলার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে দামুড়হুদা থানা পুলিশ উক্ত জমিতে শান্তি শৃংখলা বজায় রাখার জন্য বিবাদীদেরকে নোটিশ প্রদান করে। কিন্তু তারপরেও বিবাদী পক্ষ উক্ত জমি পুনরায় দখলে নেওয়ার পাঁয়তারা করতে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল সকাল অনুমান ৮ টার দিকে বিবাদীরা বিজ্ঞ আদালতের আদেশ অমান্য করিয়া পাওয়ার টিলার গাড়ী যোগে আমার বসত বাড়ীর প্রবেশে ইট ফেলে আমাদের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে দেয়। ঐ সময় আমি বিবাদীদেরকে আমাদের বাড়ীতে চলা চলের রাস্তায় ইট ফেলতে নিষেধ করিলে বিবাদীরা সকলে আমাকে এলোপাতাড়ী ভাবে মারপিট করে শরীরের বিভিন্ন স্থানে জখম করে। তখন আমার ডাক চিৎকার শুনে আশপাশ হইতে পাড়া প্রতিবেশী লোকজন ছুটিয়া এসে বিবাদীদের কবল থেকে আমাকে রক্ষা করে। বর্তমানে বিবাদীগন বিজ্ঞ আদালতে আদেশ অমান্য করিয়া বিরোধীয় জমিতে নির্মান কাজ করার পাঁয়তারা করিতেছে। পরবর্তীতে আমি উল্লেখিত বিষয়ে স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের জানাইয়া দামুড়হুদা মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি তদন্ত শফিকুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




কোষ্ঠকাঠিন্য হলে কী খাবেন না

কোষ্ঠকাঠিন্য একটি জটিল স্বাস্থ্যগত সমস্যা। শিশু থেকে বৃদ্ধ সব বয়সি মানুষ এই সমস্যায় ভোগে। অনেকেরই টয়লেটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা কেটে যায়, কিন্তু পেট পরিষ্কার হয় না। অস্বাস্থ্যকর এবং বাজে খাদ্যাভ্যাস, অপুষ্টিকর খাবার ইত্যাদির কারণে কোষ্ঠকাঠিন্যর মতো অস্বস্তিকর সমস্যায় পড়ে থাকেন তারা।

এ বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছেন মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের গ্যাস্ট্রোএন্টারোলজী বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. রোকনুজ্জামান ভূঞা।

কোষ্ঠকাঠিন্যটা কী?

এ বিষয়ে ডা. রোকনুজ্জামান ভূঞা বলেন, কোষ্ঠ একটি বাংলা শব্দ। যার অর্থ মল। আর কাঠিন্য মানে হল- কঠিন আকারে যখন মলত্যাগ করা। যদি সপ্তাহে ২-৩ বার বা তার কম বার মলত্যাগ হয় অথবা মল যদি অতিরিক্ত কঠিন বা শুষ্ক হয় এবং সন্তোষজনক মলত্যাগ যদি না হয় তাহলে আমরা তাকে কোষ্ঠকাঠিন্য বলবো। আর যখন এটা প্রায় ৩ মাস পর্যন্ত দীর্ঘ হয় তাহলে সেটাকে আমরা বলবো দীর্ঘমেয়াদি কোষ্ঠকাঠিন্য।

কারা কোষ্ঠকাঠিন্য রোগে ভুগে থাকেন?

জীবনের যে কোন সময় কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। তাৎক্ষণিক বিচলিত না হয়ে রোগীকে পর্যবেক্ষণ করতে হবে। কোনো রোগীর যদি রক্তশূন্যতা দেখা দেয় অথবা মল যদি কালো হয়, তাহলে বুঝতে হবে তার জটিল কোন সমস্যা আছে। সে সময় উচিৎ হবে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া।

এ ব্যাপারে ডা. রোকনুজ্জামান ভূঞা বলেন, কোষ্ঠকাঠিন্য যেকোনো বয়সে যে কোন সময় হতে পারে। তবে গবেষনায় দেখা গেছে বয়স্ক লোক বেশি থাকে। পুরুষ এবং মহিলাদের ভেতর মহিলদের কোষ্ঠকাঠিন্যটি বেশি দেখা যায়। আর বাচ্চাদের মধ্য যারা মায়ের দুধ ছেড়ে আস্তে আস্তে স্বাভাবিক খাবারের দিকে যায়, সেসব বাচ্চারা বেশি এ রোগে ভোগেন। এছাড়াও যেসব রোগী অন্য রোগের ফলে চলাফেরা করতে পারেন না (যাদের শুয়ে বসে থাকতে হয়) তারাও অনেক সময় কোষ্ঠকাঠিন্য ভুগে থাকেন।

এছাড়াও যদি পেটে ব্যথা থাকে তাহলে তার পেছনের কারণ খুঁজে বের করতে কিছু পরীক্ষা করা লাগতে পারে। সে সময় অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ব্যবস্থা করা উচিত। তা না হলে জটিল আকার ধারণ করতে পারে।

কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে কী খাবেন, কী খাবেন না

এ ব্যাপারে ডা. রোকনুজ্জামান ভূঞা বলেন, আমি বলবো, আমাদের প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি এবং ফল খেতে হবে। যার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে আঁশ থাকে। বিশেষ করে আমরা যদি মৌসুমী ফলের সময় ফল খাই তাহলে শরীরের আঁশের অভাব বেশি কমাবে।

আর সবজির ভেতরে ঢেঁড়স, পালং শাক, পুঁই শাক, কচুমুখিতে প্রচুর আঁশ থাকে। এগুলো যদি প্রচুর পরিমাণে খাই তাহলে তার কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়ে যাবে।

তিনি বলেন, কোষ্ঠকাঠিন্য রোগীদের কিছু খাবার কম খেতে হবে। যেমন: গরু- খাসির মাংস, ফাস্টফুড (কেক, বার্গার), চিকেন ফ্রাই, আলু ফ্রাই, চিপস ইত্যাদি এগুলা সব সময়ই কম খেতে হবে।

এক্ষেত্রে রোগী যদি খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন করতে পারেন তাহলে অনেক ক্ষেত্রে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করা সম্ভাব। এছাড়াও আমাদের কায়িক পরিশ্রম করার চেষ্টা করতে হবে।

সূত্র: যুগান্তর




চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের দক্ষতা উন্নয়ন কোর্সের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ 

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের দক্ষতা উন্নয়ন কোর্সের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশের ইন্সপেক্টর জেনারেল চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুন, বিপিএম (বার), পিপিএম নির্দেশনায় এক সপ্তাহব্যাপী বাংলাদেশ পুলিশের সকল সদস্যের পদমর্যাদাভিত্তিক প্রশিক্ষণের আওতাভুক্ত নায়েক ও কনস্টেবলদের দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স চলমান রয়েছে।

তারই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের বেলা সাড়ে বারোটার সময় ০৬ দিন ব্যাপি অনুষ্ঠিত দক্ষতা উন্নয়ন কোর্স ১০ম ব্যাচের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন।

পুলিশ সুপার দক্ষতা উন্নয়ন কোর্সের সমাপনী ও সনদপত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে সফলতা ও দক্ষতার সাথে প্রশিক্ষণ সমাপ্ত করায় প্রশিক্ষণে অংশগ্রহণকারী পুলিশ সদস্যদের মাঝে ক্রেস্ট ও সনদপত্র বিতরণ করেন।

এ সময় আরোও উপস্থিত ছিলেন সহকারী পুলিশ সুপার (শিক্ষানবিশ)এইচ.এম গোলাম রাব্বি, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইন্সের আর আই আমিনুল ইসলাম সহ দক্ষতা উন্নয়ন কোর্সের প্রশিক্ষকগণ ও প্রশিক্ষণে অংশগ্রহনকারী প্রশিক্ষনার্থীবৃন্দ।




গুগল ফটোজের এডিটিং ফিচারে আসছে বড় পরিবর্তন

বড় স্ক্রিন অর্থাৎ ট্যাবলেটে গুগল ফটোজের ইন্টারফেজে আসছে বড় ধরনের পরিবর্তন। আপাতত ট্যাবলেট কিংবা ল্যান্ডস্কেপে এখন অ্যাপটি ব্যবহার করা হলে শুধু বাড়তি অংশই দেখা যায়। তাতে এডিংটিং-এর কোনো সুবিধা হয় না।

সম্প্রতি গুগল নিউজ টেলিগ্রাম চ্যানেল এডিটর কয়েকটি স্ক্রিনশট ও ছবি প্রকাশ করেছে। সেখানে ট্যাবলেট ও বড় স্ক্রিনের স্ক্রিনশট সহজেই চোখে পড়বে। এই স্ক্রিনশটগুলো মূলত ট্যাবলেটে গুগল ফটোজের আপডেট। পুরো ইন্টারফেসেই বদল আনা হয়েছে।

নতুন ইন্টারফেসে এডিটিং এর রসদ স্ক্রিনের পাশে থাকবে। এই মুহূর্তে এডিটিং এর সবকিছু নিচের দিকে আছে। এমনিতে ইন্টারফেস বাদে নতুন কোনো কিছুই যুক্ত হয়নি। গুগল ফটোজের এডিটিং টুলের মধ্যে এনহ্যান্স, ক্রপ, ম্যাজিক ইরেজার, কালার এডজাস্টমেন্ট ব্যাপক জনপ্রিয়। কিন্তু ট্যাবলেটে এতদিন এডিটিং করা বেশ কঠিন ছিল। সেজন্যই নতুন আপডেটটি আনা হয়েছে।

সূত্র: ইত্তেফাক