গাংনীর বেতবাড়ীয়ায় অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্তদের সহোযোগিতা করলেন ইউএনও

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার কাজিপুর ইউনিয়নের বেতবাড়ীয়া গ্রামের বিশ্বাস পাড়ায় গত মঙ্গলবার (৯ই মে) বিকেলে আগুন লেগে ৩টি পরিবারের বসতঘর, আসবাবপত্র সহ ২টি ছাগল ও ১টি গরু পুড়ে যায়। এতে ওই ৩টি পরিবারের ২লক্ষাধীক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়। যা নিয়ে সংবাদ প্রকাশ করে দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন পত্রিকা।

এ ঘটনার একদিন না পেরুতেই বুধবার (১০ই মে) গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু ক্ষতিগ্রস্ত ওই ৩টি পরিবারের সাথে দেখা করে সান্ত্বনা দেওয়া সহ সহোযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেন।

এসময় গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন কাজিপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের মেম্বার সাইদুল ইসলাম, ৬ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ মহিবুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রেজাউল হক, ফারুক হোসেন সহ অনেকেই।

উল্লেখ্য: মঙ্গলবার (৯ই মে) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে বেতবাড়ীয়া গ্রামের জলিল উদ্দিনের রান্না ঘরে হঠাৎ করেই আগুন লেগে যায়। মুহুর্তের মধ্যেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে আশেপাশে। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর চেষ্টা করেও ব্যার্থ হয়। ফলস্বরূপ পার্শ্ববর্তী ফজল বিশ্বাস ও নাজির উদ্দিন বিশ্বাসের বসতঘর আগুন লেগে যায়। পরে খবর পেয়ে বামন্দী ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণ করে।




জেলার শ্রেষ্ঠ ওসি নির্বাচিত হলেন গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক

মেহেরপুর জেলার শ্রেষ্ঠ চৌকস ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নির্বাচিত হয়েছেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক।

আজ মেহেরপুর জেলা পুলিশ লাইনস ড্রীল শেডে জেলা পুলিশের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাককে জেলার শ্রেষ্ঠ চৌকস ওসি নির্বাচন করা হয়।

মেহেরপুর পুলিশ সুপার মো: রাফিউল আলম, বিপিএম-পিপিএম সেবা’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাসিক কল্যাণ সভায় এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

পরে ওসি আব্দুর রাজ্জাকের হাতে ক্রেষ্ট ও পুরুস্কারের নগদ অর্থ তুলে দেন পুলিশ সুপার মো: রাফিউল আলম।

মাসিক কল্যাণ সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জামিরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) মোঃ আজমল হোসেন, মেহেরপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) সাইফুল আলম, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম, মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল

মেহেরপুর, ডিআইও-২ জেলা বিশেষ শাখা, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক, টিআই মেহেরপুরসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

সভার শুরুতে গত মার্চ ও এপ্রিল মাসের বিভিন্ন পর্যায়ে সাফল্য অর্জনের স্বীকৃতি স্বরুপ ৫ জন পুলিশ সদস্যকে নগদ অর্থ পুরস্কার প্রদান করেন পুলিশ সুপার মো: রাফিউল আলম।

মার্চ ও এপ্রিল মাসে শ্রেষ্ট ওয়ারেন্ট তামিলকারি উপপরিদর্শক (এসআই) নির্বাচিত হয়েছেন গাংনী থানার এসআই মাসুদুর রহমান, মাদক উদ্ধারে জেলার শ্রেষ্ট অফিসার নির্বাচিত হয়েছেন গাংনী থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ, বামন্দী পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই ইস্রাফিল হোসেন।




সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া চার কন্যার পাশে দাঁড়ালেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক

চুয়াডাঙ্গায় আলোড়ন সৃষ্টিকারী একসঙ্গে ভূমিষ্ঠ হওয়া চার কন্যার পাশে দাঁড়ালেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান।

বুধবার বেলা সাড়ে এগারোটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান সদ্য একসঙ্গে ভূমিষ্ঠ হওয়া চার কন্যার জন্য মিষ্টি ও আর্থিক সহায়তা দেন। এসময় তিনি সদ্য ভূমিষ্ঠ হওয়া চার কন্যার নামকরণ করেন দোয়েল-কোয়েল-ময়না-টিয়া।

চুয়াডাঙ্গা শহরের আঁখিতারা জেনারেল হাসপাতালে একসঙ্গে চার কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়েছেন দামুড়হুদা উপজেলার জুরানপুর ইউনিয়নের বিষ্ণপুর গ্রামের কল্পনা-মাহাবুব দম্পতি। আজ নবজাতকদের দেখতে হাসপাতালে গিয়ে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান এবং মিষ্টিমুখ করান চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এসময় তিনি ঐ দম্পতির হাতে ১০০০০/-(দশ হাজার) টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেন এবং হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নবজাতকদের যাবতীয় চিকিৎসা খরচ বিনামূল্যে প্রদান করার জন্য অনুরোধ জানান।

ঐ দম্পতির অনুরোধে জেলা প্রশাসক মহোদয় তাদের যথাক্রমে দোয়েল, কোয়েল,ময়না ও টিয়া নামকরণ করেন।

উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের গাইনী কনসালটেন্ট আকলিমা খাতুন।




মুজিবনগর থানা পুলিশের মাদক বিরোধী র‍্যালী ও সমাবেশ 

মাদককে না বলি ” মাদকমুক্ত মুজিবনগর গড়ি এই প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরের মুজিবনগর থানা পুলিশের আয়োজনে মাদকবিরোধী র‍্যালী ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস বাজারে মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মেহেদীর রাসেলের নেতৃত্বে একটি র‍্যালী বের হয়ে বাজারের সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়ে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয় ।

মাদক বিরোধী র‍্যালী ও সমাবেসে উপস্থিত ছিলেন, মুজিবনগর থানার এস আই সাজ্জাদ এস আই অতুল , এস আই হেকমত, এস আই বিপ্লব কুমার হালদার, এস আই সজিবুর ,আওয়ামীলীগ নেতা জাহাঙ্গীর , মুজিবনগর থানা পুলিশ সদস্য সহ আনন্দবাস গ্রামের বিভিন্ন শেণীপেশার মানুষ।

এ সময় মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ মেহেদী রাসেল মুজিবনগর উপজেলাকে মাদকমুক্ত করতে এবং একটি মাদক মুক্ত সুন্দর ও সুস্থ সমাজ গড়তে মাদক বিক্রেতা ও মাদক সেবীদের তথ্য দিয়ে পুলিশকে সহায়তা করার মাধ্যমে মাদক মুক্ত দেশ গড়তে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।




ইমরান খান ৮ দিনের রিমান্ডে

আল-কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট (আইএইচসি) প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেফতার হয়েছিলেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও তেহরিক-ই-ইনসাফের প্রধান (পিটিআই) ইমরান খান। সেই মামলায় বুধবার ইসলামাবাদ পুলিশ লাইনে গঠিত বিশেষ আদালতে তোলা হয় তাকে। পরে, আদালত ইমরান খানের আটদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। খবর দ্য ডনের।

প্রতিবেদনে জানানো হয়, পিটিআই চেয়ারম্যান ইমরান খানের ১৪ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে ন্যাশনাল অ্যাকাউন্টেবিলিটি ব্যুরো (এনএবি)। শুনানি শেষে বিচারক ৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এই মামলার শুনানি হয়েছে ইসলামাবাদ পুলিশ লাইনে গঠিত বিশেষ আদালতে। গত সোমবার এই স্থানকে আদালতের মর্যাদা দেওয়া হয়। ইমরান খানের মামলার শুনানিতে বিচারক হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন মোহাম্মদ বশির।

শুনানির শুরুতে এনএবি ইমরানের ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করার জন্য আদালতকে অনুরোধ করে। তবে, এর বিরোধীতা করেন পিটিআই প্রধানের আইনজীবী খাজা হারিস। আইনজীবী বলেন, ‘আল-কাদির ট্রাস্ট মামলাটি ব্যুরোর পরিধির মধ্যে পড়েনি। এমনকি, এনএবি এখনও তদন্ত প্রতিবেদনও শেয়ার করেনি।’

খাজা হারিস বলেন, ‘প্রত্যেকেরই সুষ্ঠু বিচারের অধিকার আছে। এই শুনানি একটি খোলা আদালতে হতে পারতো। আল-কাদির ট্রাস্টের আওতায় যে বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে সেখানে বিনামূল্যে মানুষ শিক্ষা গ্রহণ করতে পারে।’

অন্যদিকে, এনএবির আইনজীবীর বলেন, ‘যখন ইমরান খানকে গ্রেফতার করা হয় তখন তাকে গ্রেফতারি পরোয়ানার কাগজ দেখানো হয়েছিল।’ তদন্ত প্রতিবেদনের জবাবে এনএবির আইনজীবী বলেন, ‘যথাযথ কাগজপত্র প্রয়োজনে জমা দেওয়া হবে।’ তিনি আরও বলেন, ‘এটি একটি দুর্নীতির মামলা, যার প্রমাণ দিয়েছে বিট্রিশ ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি (এনসিএ)।’

শুনানির সময় ইমরান খান আদালতকে বলেন, ‘যখন আমাকে গ্রেফতার করা হয়, তখন পরোয়ানা দেখানো হয়নি। ব্যুরোর অফিসে নেওয়ার পর সেটি দেখানো হয়েছে। ২৪ ঘণ্টা ধরে আমি বাথরুমে যাইনি। আমার একজন চিকিৎসকের প্রয়োজন।

সূত্র: খবর দ্য ডন




বুবলীকে আমার সঙ্গে আর অনস্ক্রিন–অফস্ক্রিন কোথাও দেখা যাবে না: শাকিব

ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় অভিনেতা শাকিব খান দ্বিতীয় বার বিয়ে করেন অভিনেত্রী শবনম বুবলীকে তাদের ঘরে আছে এক ছেলে। তাদের সম্পর্ক নিয়ে প্রায় সময় আলোচনা আসে সামাজিক যেগাযোগমাধ্যমে।

বিচ্ছেদের পরও দুজন প্রায় সময়ই সংবাদের শিরোনাম হচ্ছেন। ছাড়াছাড়ি হলেও বুবলীর মুখে শাকিব খানের প্রশংসা শোনা যেত হরহামেশাই। নায়িকা সবসময় বোঝাতে চাইতেন তাদের সর্ম্পক মধুর।কিন্তু এবার শাকিবের মুখে উল্টো সুর!

শাকিব খান মঙ্গলবার বুবলীর সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে কথা বলেছেন। তার জবাবে আজ মুখ খুললেন শাকিবের দ্বিতীয় স্ত্রী শবনম বুবলী। তিনি বলেন, এখনো শাকিব খানের সঙ্গে ডিভোর্স হয়নি তার।

গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে শাকিব বলেন, বুবলীর সঙ্গে আমি আর কোনো সিনেমাতে কাজ করব না, এটা চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত। বুবলীকে আমার সঙ্গে আর অনস্ক্রিন–অফস্ক্রিন কোথাও দেখা যাবে না।

তাদের দূরত্বের বিষয়টি খোলাসা করে তিনি আরও বলেন, আপনারা যদি ‘লিডার: আমিই বাংলাদেশ’ সিনেমার ‘সুরমা সুরমা’ গানটি দেখে থাকেন, তাহলে খেয়াল করবেন, একটা রোমান্টিক গান; তবে দুই শিল্পীর একটা দূরত্ব ছিল। কাছাকাছি দেখা যায়নি তাদের। আমার পুরো অভিনয় জীবনে এমনটা কখনো ঘটেনি। কারণ, আমি আর কোনোদিন বুবলীর সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করতে চাই না।

‘বাস্তব জীবনে তার সঙ্গে আমার সব সম্পর্ক অনেক আগে শেষ হয়ে গেছে। তার জীবন তার, আমার জীবন আমার। সন্তানের কারণে আমাদের যা করণীয়, সেটাই হবে, দ্যাটস ইট। আবারো বলছি, তার সঙ্গে আমার অধ্যায় পুরোপুরি শেষ হয়ে গেছে।

বুধবার বেলা ১১টার দিকে তার ফেসবুক স্ট্যাটাসে এসব বিষয় নিয়ে কথা বলেন এ অভিনেত্রী।

তিনি পোস্টে লেখেন— মিস্টার শাকিব খান, আপনার বিশেষ কিছু সাক্ষাৎকার খুব অপরিচিত লাগে, কেমন যেন! বাস্তবে দেখা আপনার সঙ্গে মেলে না।

তিনি বলেন, আপনি কি সবসময় সজ্ঞানে কথা বলেন নাকি অজ্ঞানেও মাঝেমাঝে কথা বলেন? নাকি আপনার হয়ে আপনার একান্ত মুখপাত্ররাও কথা বলেন?

২০১৮ সালের ২০ জুলাই চিত্রনায়ক শাকিবের সঙ্গে বিয়ে হয় বুবলীর। এর পর ২০২০ সালের ২১ মার্চ ছেলে শেহজাদ খান বীরের জন্ম হয় বলে জানান বুবলী।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে তীব্র তাপপ্রবাহ; এসএসসি পরীক্ষার্থীদের দুর্ভোগ

গত তিনদিন ধরে মেহেরপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ বুধবার (১০ মে) বিকাল ৩ টার সময়ে চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিকাল ৩ টার সময় জেলার তাপমাত্র রেকর্ড করা হয়েছে ৪০.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মেহেরপুর জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান জানান, আজ দিন এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। পরবর্তী তিন দিন পর বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টিপাত হতে পারে।

আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, গতকাল মঙ্গলবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় ৪১.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
এদিকে জেলায় তাপপ্রবাহ বয়ে চলায় মানুষ ও প্রাণীকুলের মাধ্য ত্রাহী অবস্থা। ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া যাচ্ছেন। এবারের তাপপ্রবাহে সব চেয়ে বেশি কষ্টে আছে চলতি এসএসসি পরীক্ষার্থী ও নিম্ন আয়ের মানুষ জন। সকাল ৮ টার পর থেকেই তাপ প্রবাহ বাড়তে শুরু করছে। এসময় বাইরে যাওয়া যাচ্ছেনা। বাইরে বের হলে চোখ মুখ রোদের তাপে পুড়ে যাচ্ছে।




গাংনী থানায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি পেল ওয়াচার কনস্টেবল ইকরামুল

মেহেরপুর জেলা পুলিশের আয়োজনে গত এপ্রিল মাসের কল্যাণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (১০ই মে) পুলিশ লাইন্স ড্রিলসেডে মাসিক কল্যাণ সভায় মেহেরপুর জেলা পুলিশের বিভিন্ন পদমর্যাদার অফিসার ও ফোর্সদের মধ্যে ভালো কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।

জেলা পুলিশের সদস্যদের নিয়ে আয়োজিত উক্ত মাসিক কল্যাণ সভায় সভাপতিত্ব করেন মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপার রাফিউল আলম। আরো উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) জামিরুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সার্কেল) আজমল হোসেন।

২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের কল্যাণ সভায় জেলা পুলিশের সদস্যরা পুলিশ সুপারের নিকট তাদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন। পুলিশ সুপার তাদের সমস্যাগুলো তাৎক্ষণিক সমাধানসহ প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা প্রদান করেন।

এসময় মেহেরপুর জেলা গাংনী থানা এলাকার ওয়াচার কনস্টেবল হিসেবে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি স্বরুপ ইকরামুল হককে নগদ অর্থ ও ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। ইকরামুল হক ২০২১ সালের ২০-ই জুন মেহেরপুর জেলা ডিএসবি শাখায় যোগদান করেন এবং গাংনী থানায় ওয়াচার কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত রয়েছেন। তিনি তার এই অবদানের স্বীকৃতি দেওয়ায় পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।




নিয়োগ দেবে আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরি, বেতন ২২ হাজার টাকা

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরি লিমিটেড। প্রতিষ্ঠানটিতে টেরিটরি অফিসার পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

টেরিটরি অফিসার।

কর্মস্থল

বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে যেকানো স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে।

বেতন

২২,০০০ টাকা।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রার্থীদের অনলাইনের (www.akijbiri.com/career) মাধ্যমে আবেদন করতে হবে।

আবেদনের শেষ তারিখ

১৫ মে, ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




তরমুজের বীজের যত উপকারিতা, খাওয়ার উপায়

গরমে তরমুজ খাওয়া যেমন উপকারী তেমন এর দানাও পুষ্টিকর। খাওয়ার সময় তরমুজের দানা ফেলে না দিয়ে বরং জমিয়ে রাখুন। কারণ এই দানাতেও রয়েছে নানান উপকারিতা। ‘হেল্থশটস ডটকমে’ প্রকাশিত প্রতিবেদনে নয়াদিল্লির প্রাইমাস সুপার স্পেশালিটি হসপিটালের দায়িত্বপ্রাপ্ত পুষ্টিবিদ অঙ্কিতা ঘোশাল এ বিষয়ে বলেন, তরমুজের বীজ অনেকেই ফেলে দেন। তবে এটা নানান পুষ্টি উপাদানে ভরপুর।

হৃদ স্বাস্থ্য: তরমুজের বীজ ম্যাগনেসিয়ামের খুব ভালো উৎস। এটা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রেখে হৃদ স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়তা করে। এছাড়াও হৃদগতির ছন্দ ধরে রাখতে এটা উপকারী।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: জিংক রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সহায়তা করে। তরমুজের বীজে রয়েছে এ উপাদান। এটা সংক্রমণসহ অন্যান্য অসামঞ্জস্যতার বিরুদ্ধে কাজ করতে সহায়তা করে।

হজম স্বাস্থ্য উন্নত করে: তরমুজের বীজে রয়েছে আঁশ এবং অপরিশোধিত চর্বি; যা হজমে সহায়তা করে। ফলে পেট পরিষ্কার থাকে।

ত্বক ও চুল ভালো রাখে: তরমুজের মাস্ক যেমন ত্বক সতেজ রাখে; একইভাবে এর বীজ ত্বক ও চুলের উপকার করে। তরমুজের বীজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন ও অত্যাবশ্যকীয় ফ্যাটি অ্যাসিড, যা ত্বক ও চুল সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। এটা প্রদাহ ও ব্রণ কমাতে পারে।

হাড়ের সুস্থতা: তরমুজের বীজে রয়েছে ক্যালসিয়াম, যা হাড় সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। হাড় ছাড়াও পেশির কার্যকারিতা বাড়াতে ও স্নায়ু সচল রাখতে এটা উপকারী।

বীজ খাওয়ার উপায়: তরমুজের বীজ কাঁচা না ভেজে খেতে হবে, এটা নিয়ে প্রশ্ন থাকতে পারে। উত্তর হলো- তরমুজের বীজ রান্না করে খাওয়া যেতে পারে। এছাড়া তরমুজের দানা রোদে শুকিয়ে রেখে পরে ওভেনে বেইক করে সামান্য লবণ বা অন্যান্য উপাদান মিশিয়েও খাওয়া যায়। এছাড়াও তরমুজের বীজ গুঁড়া করে তা সালাদ বা অন্যান্য খাবারের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে।

অঙ্কিতা ঘোষাল বলেন, নিয়মিত তরমুজের বীজ খাওয়া যায়। কেননা এটা ভিটামিন, আঁশ, স্বাস্থ্যকর চর্বি ও প্রোটিনের ভালো উৎস। তবে এতে ক্যালরি থাকায় প্রচুর পরিমাণে না খাওয়াই ভালো। দৈনিক ৩০ গ্রাম বা এক কাপের তিন ভাগের এক ভাগ খাওয়া উচিত।

কিছু ক্ষেত্রে এড়ানো উচিত: তরমুজের দানায় রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আঁশ। তাই যাদের পাকস্থলিতে সমস্যা রয়েছে যেমন অনিয়মিত মল ত্যাগ- তাদের তরমুজের বীজ না খাওয়াই ভালো। এতে রয়েছে অ্যালার্জিক উপাদান। তাই যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে তাদের এই বীজ না খাওয়াই উত্তম। থাকে প্রচুর পরিমাণে পটাশিয়াম যা ‘কিডনি’ বা বৃক্ক যাদের দুর্বল তাদের জন্য ক্ষতিকর। তাই বৃক্কে সমস্যা থাকলে পরিমিত পরিমাণে তরমুজের বীজ খেতে হবে। নিয়মিত তরমুজের বীজ খাওয়ার আগে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেওয়া ভালো।

সূত্র: যুগান্তর