মুজিবনগরে গুডনেইবার্স এর আমার প্রতিজ্ঞা দিবস পালন

মুজিবনগরে গুডনেইবার্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপির বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিসের আয়োজনে আমার প্রতিজ্ঞা দিবস পালন করা হয়েছে।

মঙ্গলবার বিকেলে বল্লভপুর মিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ক্লাসরুমে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছাত্রীদের নিয়ে এই প্রতিজ্ঞা দিবস পালন করা হয়।

আমার প্রতিজ্ঞা দিবসে গুডনেইবার্স বাংলাদেশ মেহেরপুর সিডিপির বল্লভপুর প্রজেক্ট অফিসের ম্যানেজার বিভোব দেওয়ান এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন, মুজিবনগর উপজেলা একাডেমিক সুপারভাইজার হাসনাইন করিম।বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্হিত ছিলেন, বল্লভপুর মিশন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক লুকহরেন্দ্র বিশ্বাস,বল্লভপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী প্রধান শিক্ষক জমিরুল ইসলাম।

প্রতিজ্ঞা দিবসে প্রজেক্ট ম্যানেজার বিভোব দেওয়ান ছাত্র ছাত্রীদেরকে শপথ বাক্য পাঠ করান, ৫ টি প্রতিজ্ঞা যা আমি কখনোই করব না। (১) আমি স্কুলে অনুপস্থিত থাকব না (২) আমি শিশু শ্রমে অংশ নেব না (৩) আমি বাল্য বিবাহ করব না (৪) আমি কখনো অসৎ কাজ করব না (৫) আমি নিজের ও অন্যের জীবন বিপন্ন করব না ।
এবং ৫ টি প্রতিজ্ঞা যা আমি করব (১) আমি মন দিয়ে লেখাপড়া করব (২) আমি আমার স্বপ্নকে সফল করব (৩) আমি আমার পরিবার নিয়ে সুখে থাকব (৪) আমি সুস্থ্য ও সুন্দর জীবন যাপন করব (৫) আমি একজন সু-প্রতিবেশী হব। স্কুলের ছাত্র ছাত্রীরা শপথ বাক্য মেনে চলার প্রতিজ্ঞা করে।

অনুষ্ঠানটির সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন,মেহেরপুর সিডিপির ইউথ লিডার শামিম খাঁন।




মেহেরপুরে অনলাইন কজ লিস্ট উদ্বোধনঃ আদালতের সকল তথ্য এখন হাতের মুঠোয়

স্মার্ট বিচার বিভাগ বাস্তবায়নের উদ্দেশ্যে “সকল মামলার তথ্য এক ঠিকানায়” এই স্লোগানকে সামনে রেখে সরকারের এটুআই প্রোগ্রামের আওতায় সারা দেশের জেলা পর্যায়ের আদালতসমূহের তথ্য অনলাইনে প্রকাশের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। প্লে স্টোর থেকে মোবাইলে “আমার আদালত” অ্যাপ ডাউনলোড করে এবং মোবাইল বা কম্পিউটার থেকে https://causelist.judiciary.gov.bd/ এই ঠিকানায় ভিজিট করে পৃথিবির যেকোন প্রান্ত থেকে এখন আদালতের বিচারাধীন মামলার হালনাগাদ তথ্য, মামলার পরবর্তী তারিখ, রায় এবং আদেশ জানা যাবে। ইতিমধ্যে ৪২ টি জেলায় এই কার্যক্রম উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানের মাধ্যমে মেহেরপুর জেলায় অনলাইন কজলিস্ট পরিচালনার কার্যক্রম উদ্বোধন করেন মেহেরপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মোঃ শহিদুল্লাহ।

উক্ত অনুষ্ঠানে সংযুক্ত ছিলেন এটু আই জুডিসিয়ারি টিমের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ ফারজানা খান, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ সাব্বির মাহমুদ চৌধুরী এবং যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ মোঃ মাহবুব সোবহানী। এছাড়া সংযুক্ত ছিলেন বিচারক (জেলা জজ), নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনাল তোহিদুল ইসলাম, চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আবু বকর সিদ্দিক, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ রিপতি কুমার বিশ্বাস এবং মেহেরপুরের সকল বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট এবং আদালতের সহায়ক কর্মচারীবৃন্দ। এটুআই জুডিসিয়ারি টিমের পক্ষ থেকে ব্যবহারিক সেশন পরিচালনা করেন মোঃ মাহবুব সোবহানী। আটুআই জুডিসিয়ারি টিমের পক্ষ থেকে এই কার্যক্রমে স্বতস্ফুর্ত অংশ গ্রহনের জন্য অতিরিক্ত জেলা জজ ফারজানা খান মেহেরপুর বিচার বিভাগের সবাইকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন এবং স্মার্ট বিচার বিভাগের পথে মেহেরপুরের এই যাত্রায় আটুআই এর পক্ষ থেকে সর্বাত্তক সহযোগিতার আশ্বাস প্রদান করেন। সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো শহিদুল্লাহ মেহেরপুর জেলায় অনলাইন কজলিস্ট পরিচালনার কার্যক্রম উদ্বোধন ঘোষনা করেন এবং সমাপনি বক্তব্য প্রদান করেন।

সমাপনি বক্তব্যে তিনি মেহেরপুরের সকল বিচারক, ম্যাজিস্ট্রেট এবং কর্মচারিদের প্রতিদিনের মামলার হালনাগাদ তথ্য অনলাইনে ইনপুট দেওয়ার নির্দেশ প্রদান করেন। এটুআই প্রোগ্রাম কর্তৃক এমন যুগান্তকারী একটি উদ্যোগ গ্রহন করায় তিনি সরকার এবং এ টুআই জুডিসিয়ারি টিমকে ধন্যবাদ জানান। স্মার্ট জুডিসিয়ারি বিনির্মানে মেহেরপুর বিচার বিভাগ তার সর্বোচ্চটি দিয়ে কাজ করবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। ভার্চুয়াল

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন সিনিয়ার জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এস, এম, শরিয়ত উল্লাহ।




ঝিনাইদহে আগুনে পুড়ল কোটি টাকার সম্পদ, আহত ১

ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ শহরের একটি ইলেকট্রনিক্স দোকান অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে। মঙ্গলবার (৯ মে) সকাল ১০টার দিকে কালীগঞ্জ থানা সংলগ্ন আল্লার দান ইলেকট্রনিক্সে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।

ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। এ ঘটনায় কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শেখ মামুনুর রশিদ আহত হয়েছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে আল্লার দান ইলেকট্রনিক্সে আগুন দেখে ফায়ার সার্ভিসকে খবর দেওয়া হয়। মুহূর্তেই মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। তিন তলা ভবনের অন্য দুই তলায় গোডাউন ও পরিবার নিয়ে বসবাস করতেন দোকান মালিক। তারা নিরাপদে আশ্রয় নেন।

ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণের জন্য ঘটনাস্থলে আসে। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় দেড় ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। আল্লার দান ইলেকট্রনিক্সের পাশের দোকান মোল্লা ট্রেডার্সও আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এতে আনুমানিক প্রায় ১ কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে জানিয়েছেন দোকান মালিক।

ঝিনাইদহ ফায়ার সার্ভিস ও ডিফেন্স সার্ভিসের উপ-সহকারী পরিচালক আব্দুস সালাম জানান, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে ফায়ার সার্ভিসের ৩টি ইউনিট কাজ করেছে। প্রায় দেড় ঘণ্টার বেশি সময় লেগেছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে। এতে কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শেখ মামুনুর রশিদ আহত হয়েছেন। তাকে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শর্টসার্কিট থেকে আগুন লাগতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।




ঝিনাইদহে স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন

ঝিনাইদহে এক স্কুলছাত্রীকে অপহরণের পর ধর্ষণের মামলার দুটি ধারায় এক যুবকের যাবজ্জীবন ও ১৪ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।

মঙ্গলবার (৯ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঝিনাইদহ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. মিজানুর রহমান এ দণ্ডাদেশ দেন।

দণ্ডাদেশে তিনি উল্লেখ করেন, হরিণাকুন্ডু উপজেলার এক ছাত্রীকে অপহরণ ও ধর্ষণের ঘটনা প্রমাণ হওয়ায় ধর্ষক আমিরুল ইসলামকে (৩৩) এ দণ্ডাদেশ প্রদান করেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে তিন লাখ টাকা জরিমানাও করা হয়।

মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০০৮ সালের ১৫ মে হরিণাকুন্ডু উপজেলার সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে অপহরণ করে নিয়ে যায় ভায়না গ্রামের আমিরুল ইসলাম। সে দুদিন মেয়েটিকে ঝিনাইদহ শহর ও হরিণাকুন্ডুর সাতব্রিজ এলাকায় আটকে রেখে ধর্ষণ করে। পরে ১৭ মে ঝিনাইদহ শহরের কলাহাট এলাকায় তাকে ফেলে পালিয়ে যান আমিরুল ইসলাম।

এ ঘটনায় ২৯ মে ভিকটিমের মা বাদী হয়ে হরিণাকুন্ডু থানায় আমিরুলকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। পুলিশ তদন্ত শেষে ওই বছরের ২৯ জুলাই আমিরুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। দীর্ঘদিন বিচারিক প্রক্রিয়া শেষে আদালত ধর্ষণের দায়ে আমিরুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও দুই লাখ টাকা জরিমানা এবং অপহরণের দায়ে ১৪ বছরের কারাদণ্ড ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেন।




গাংনীতে পুলিশের অভিযানে ৫ নারীসহ ৯ আসামি গ্রেফতার

গাংনী থানা পুলিশের নিয়মিত অভিযানে বিভিন্ন মামলায় আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানাভূক্ত ৫ নারীসহ ৯ আসামি গ্রেফতার হয়েছে।

সোমবার দিবাগত রাত ব্যাপি আজ মঙ্গলবার ভোররাত পর্যন্ত গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে থানা পুলিশের পৃথক টিম একাধিক অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, গাংনী উপজেলার সাহেবনগর গ্রামের আমির আলীর স্ত্রী আয়েশা খাতুন মামলা নং সিআর ৩৫৯/২২, ওসমান আলীর স্ত্রী সানোয়ারা খাতুন, মামলা নং সিআর ৩৫৯/২২, মোবারক হোসেনের স্ত্রী সেলিনা খাতুন, মামলা নং সিআর ৩৭২/২২, বাবুল শাহ’র স্ত্রী পারুল খাতুন মামলা নং সিআর ৩৫৯/২২, সিরাজুল ইসলামের স্ত্রী সাবানা খাতুন মামলা নং সিআর ৩৭৩/২২, গাংনী থানার নিয়মিত মামলা নং ১১, তারিখ ০৮/০৫/২৩, ধারা ৪৩৬ পিসি এর আসামি নওদাপাড়া গ্রামের রিয়াজতুল্লাহর ছেলে রোজিফোর ও তার ছেলে হৃদয় হোসেন, সিআর মামলা নং ২১৮/২০২২ এর আদালতের পরোয়ানাভূক্ত আসামি গাংনী পৌর সভার শিশিরপাড়া গ্রামের রহমতুল্লাহ খাঁ এবং মামলা নং সিআর ২২৮/২০২৩ এর আসামি গাঁড়াডোব গ্রামের লালু’র ছেলে জনি হোসেন।

গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, গোপন সুত্রে খবর পেয়ে গাংনী থানার একাধিক টিম পৃথক অভিযান চালিয়ে এইসব আসামি গ্রেফতার করেন।

আসামিদের আজ মঙ্গলবার দুপুরের দিকে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




অভিনয়ে তিন দশক পূর্তি, আমিন খানের

আমিন খান, ঢাকাই সিনেমার এক সময়ের ব্যস্ত নায়ক। এখনো অভিনয় করেন, তবে অনিয়মিত। ১৯৯৩ সালে মোহাম্মদ হোসেন পরিচালিত ‘অবুঝ দুটি মন’ সিনেমার মধ্য দিয়ে অভিনয়ে পথচলা শুরু তার।

অবশ্য অভিষেক সিনেমা মুক্তির আগেই একই বছর বাদল খন্দকার অনেকটা চ্যালেঞ্জ নিয়েই আমিন খানকে কাস্ট করে নির্মাণ করেন ‘দুনিয়ার বাদশা’। এ সিনেমার নায়িকা ছিলেন শাবনূর। মুক্তির পর সিনেমাটি হিট। এরপর আর পিছন ফিরে তাকাতে হয়নি। সেই থেকে কেটে গেছে তিন দশক। উপহার দিয়েছেন বহু হিট সিনেমা।

তিন দশকের ক্যারিয়ারে অভিনয় করেছেন ১৭৩টি সিনেমায়। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য ‘হৃদয় থেকে হৃদয়’, ‘দুনিয়ার বাদশা’, ‘হৃদয় আমার’, ‘শয়তান মানুষ’, ‘জনম জনম’, ‘আমার মা’, ‘মনের মতো মন’, ‘রাঙ্গা বউ’, ‘সাগরিকা’, ‘তোমার আমার প্রেম’, ‘কে আমার বাবা’, ‘লাভ ইন সিঙ্গাপুর’, ‘মগের মুল্লুক’, ‘কঠিন বাস্তব’, ‘ঠেকাও মাস্তান’, ‘লাল দরিয়া’, ‘পিতার আসন’, ‘হীরা চুনি পান্না’, ‘সমাধি’, ‘মুখোমুখি’, ‘ও আমার দেশের মাটি’, ‘অবতার’ ইত্যাদি। সর্বশেষ তার অভিনীত সাদেক সিদ্দিকী পরিচালিত ‘ডাইরেক্ট অ্যাটাক’ নামে একটি সিনেমা রয়েছে মুক্তির অপেক্ষায়।

সিনেমার বাইরে নাটক এবং বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। বর্তমানে একটি মাল্টিন্যাশনাল (ইলেকট্রনিক) কোম্পানির সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ডাইরেক্টর হিসাবে কর্মরত। চাকরির ফাঁকে সময় পেলে অভিনয় করেন।

তিন দশকের ক্যারিয়ার ও বর্তমান অবস্থান প্রসঙ্গে আমিন খান বলেন, ‘আমার সিনেমা জীবন, পরবর্তীতে আমার চাকরি জীবন-দুটো নিয়ে আমি বেশ সন্তুষ্ট। আজকের অবস্থানের নেপথ্যে আমার চাচা আবু হাসান খান’সহ প্রতিটি সিনেমার প্রযোজক পরিচালক ও সব কলাকুশলীর কাছে কৃতজ্ঞ। আমার ভক্ত দর্শকের প্রতিও আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ। আমার স্ত্রী স্নিগ্ধার প্রতিও কৃতজ্ঞ। সে আমাকে প্রতিনিয়ত, এখনো অনুপ্রেরণা দেয়।’

সূত্র: যুগান্তর




 ১০০ রানে সাজঘরে সেরা তিন তারকা

ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলছে বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড ক্রিকেট দল। মঙ্গলবার শুরু হওয়া সিরিজের প্রথম ম্যাচে দুটি পরিবর্তন নিয়ে খেলছে টাইগাররা।

গত মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে সর্বশেষ ওয়ানডে দলে ছিলেন তারকা পেসার তাসকিন আহমেদ। চোটের কারণে চলতি সিরিজে নেই দেশের গতিময় এই পেসার।

মার্চে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে দলে ছিলেন বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদ। চলতি সিরিজে তাকে বাদ দিয়ে খেলানো হচ্ছে আরেক বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামকে।

পেস বোলার তাসকিন আহমেদ ও বাঁহাতি স্পিনার নাসুম আহমেদের পরিবর্তে আজ ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে খেলছেন পেসার শরিফুল ইসলাম ও স্পিনার তাইজুল ইসলাম।

বাংলাদেশ দল: তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), লিটন দাস, নাজমুল হোসেন, মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তাওহিদ হৃদয়, মেহেদি হাসান মিরাজ, শরিফুল ইসলাম, হাসান মাহমুদ, এবাদত হোসেন ও তাইজুল ইসলাম।

সূত্র : ‍যুগান্তর




মুজিবনগরে পুলিশের অভিযানে গ্রেফতার-৪, হেরোইন উদ্ধার

মুজিবনগরে হেরোইন বিক্রেতাসহ বিভিন্ন মামলার ৪ আসামি গ্রেফতার করেছে থানা পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মুজিবনগর উপজেলার আনন্দবাস গ্রামের হযরত আলীর ছেলে বিপ্লব হোসেন, আব্দুস সালামের স্ত্রী ইরানি সুলতানা, তাদের নামে আদালতের পরোয়ানাভূক্ত সিআর মামলা নং ২২৯/২৩, আনন্দবাস গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে সলিম উদ্দীন , মামলা নং জিআর ২০/২৩ ইং। এছাড়া ২ গ্রাম হেরোইনসহ আনন্দবাস গ্রামের আরজুল্লাহর ছেলে জুলফিকার মল্লিক।

মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেল এতথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, গোপন সংবাদে আনন্দবাস গ্রামে অভিযান ২ গ্রাম হেরোইনসহ জুলফিকার মল্লিককে আটক করা হয়েছে। এছাড়া পুলিশের পৃথক টিম একই গ্রামে অভিযান চালিয়ে জিআর ও সি আর মামলায় আদালতের পরোয়ানাভূক্ত ৪ আসামি গ্রেফতার করে।

আটক জুলফিকার মল্লিকের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের ৫ দালালকে ৫ দিনের কারাদন্ড

সরকারি হাসপাতালে আগত সাধারণ রোগীদের ভুল বুঝিয়ে বেসরকারি ডায়াগনোস্ট্রিক সেন্টারে নিয়ে যাওয়া ও জনদূর্ভোগ সৃষ্টির অপরাধে ৩ নারীসহ ৫ জন দালালকে ৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: রনী খাতুন।

আজ মঙ্গলবার (৯ মে) দুপুরের দিকে মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতাল চত্ত্বরে সদর থানার পুলিশের সহযোগীতায় অভিযান চালিয়ে এসব দালালকে আটক করে ভ্রাম্যমান আদালত।

দন্ডিতরা হলেন, মেহেরপুর জেলা শহরের গোরস্থানপাড়া এলাকার মো: মিন্টু আলীর স্ত্রী খাজুরা খাতুন(৩৫), সদর উপজেলার বাঁড়িবাকা গ্রামের ইজারুল ইসলামের স্ত্রী সুমি খাতুন (৩২), যাদবপুর গ্রামের আনারুল ইসলামের ছেলে জামাল উদ্দীন (৩২), দিঘিরপাড়া গ্রামের দেলোয়ার হোসেনের ছেলে সোহাগ হোসেন (৩২) ও দিঘিরপাড়া গ্রামের আলাউদ্দীনের মেয়ে জেসমিন খাতুন (৩৩)।

জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোছা: রনী খাতুন বলেন, দন্ডিতরা দীর্ঘদিন যাবৎ হাসপাতালে আসা গ্রামের রোগীদের ভুল বুঝিয়ে সরকারি সেবা থেকে বঞ্চিত করে বিভিন্ন প্রাইভেট ক্লিনিকে ও ডায়াগনোস্ট্রিক সেন্টারে নিয়ে গিয়ে কমিশন বাণিজ্য করে থাকেন। এতে রোগীদের সময়, অর্থ ও স্বাস্থের হানি ঘটে। এদের বারবার শতর্ক করার পরেও প্রতিনিয়ত এই অনৈতিক কাজ করে থাকেন। আজ মঙ্গলবার তাদের আটক করে দন্ড বিধি ১৮৬০ এর ২৯১ ধারায় প্রত্যেককে ৫ দিন করে বিনাশ্রম কারাদন্ড দিয়ে জেল হাজতে প্রেরণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

এসময় মেহেরপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি), সাইফুল ইসলাম, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলমসহ পুলিশের একটি টিম ভ্রাম্যমান আদালতকে সহযোগীতা করেন।

উল্লেখ্য, দন্ডিতদের এর আগেও বেশ কয়েকবার আটক করে ভ্রাম্যমান আদালতে নিয়ে জেল ও জরিমানা করা হয়েছে। তাদের বিভিন্নভাবে শতর্ক করা হয়েছে। তারপরেও তারা একই কাজ বার বার করেন।




আরাভ খানের ১০ বছরের কারাদণ্ড

দুবাইয়ের আলোচিত সোনা ব্যবসায়ী আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলামের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারদণ্ড দেওয়া হয়েছে তাকে।

মঙ্গলবার (৯ মে) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ ও মেট্রো বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-১৪ এর বিচারক মুর্শিদ আহাম্মদের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।

এর আগে রোববার (৭ মে) ঢাকার ষষ্ঠ অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মুর্শিদ আহাম্মদ রাষ্ট্র ও আসামি পক্ষের যুক্তি উপস্থাপন শেষে রায় ঘোষণার জন্য আজ মঙ্গলবার (৯ মে) দিন ধার্য করে। এ মামলায় ২০ জনের মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, ২০১৫ সালের ২৮ জানুয়ারি আরাভ খান তার শ্বশুর সেকেন্দার আলীকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে টাকা আদায় করতে শ্বশুরের মগবাজারের বাসায় যান। এ সময় একটি গুলি ভর্তি রিভলবারসহ শ্বশুরের বাসার সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ঘটনায় আরাভের বিরুদ্ধে রমনা মডেল থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেন ডিবি পশ্চিমের গাড়ি চুরি প্রতিরোধ ও উদ্ধার টিমের তৎকালীন উপ-পরিদর্শক সুজন কুমার কুন্ডু।

আসামি রবিউল ইসলাম আপনের বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় ২০১৫ সালের ১ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবির উপ-পরিদর্শক শেখ হাসান মুহাম্মদ মোস্তফা সারোয়ার। একই বছরের ১০ মে আদালত রবিউলের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

এ মামলায় ২০১৮ সালের ১৪ মার্চ জামিন পান রবিউল। এরপর জামিনে গিয়ে পলাতক থাকায় ২০১৮ সালের ২৪ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত।

সূত্র: ইত্তেফাক