মেহেরপুরে মৌমাছির চাকে ঈগল পাখির থাবা, মুসল্লিদের উপর আক্রমন

মরদেহ দাফনের উদ্যোশ্যে ঈদগাহ ময়দানে নিয়ে দাড়াতেই ঈগল পাখি একটি মৌমাছির চাকে থাবা মারে। এসময় মৌমাছির দল জানাযাতে দাড়ানো মুসল্লির উপর আক্রমন চালাতেই আহত হন কমপক্ষে ১২ জন মুসল্লি।

মেহেরপুর সদর উপজেলার বুড়িপোতা গ্রামে আজ বৃহস্পতিবার সকালের দিকে বুড়িপোতা ঈদগাহ মাঠে মৌমাছির কামড়ের এই ঘটনা ঘটে।

আহতদের উদ্ধার করে মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।

বুড়িপোতা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য শরিফ উদ্দিন জানান, বুড়িপোতা গ্রামের আবু জাফরের স্ত্রীর জানাজা করার লক্ষ মরদেহ নিয়ে ঈদগাহ মাঠে উপস্থিত হন। এ সময় ঈগল পাখি ঈদগাহ মাঠের পাশে একটি গাছে মৌমাছির চাকে আঘাত করলে মৌমাছির দল ঈদগাহ মাঠে জানাজায় অংশ নিতে আসা মানুষের উপর আক্রমণ করে। মৌমাছির আক্রমণে বুড়িপোতা গ্রামের কমপক্ষে ১২ জন গুরুতর আহত হন।

আহতদের মধ্যে বুড়িপোতা গ্রামের মিন্টুর ছেলে শাকিব, নাসির উদ্দিনের ছেলে মনিরুল, ফরমানের ছেলে শফিউদ্দিন, ইমাস উদ্দিনের ছেলে মমতাজ, রবিউল, মিনারকে উদ্ধার করে মেহেরপুর-২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়।




মেহেরপুরে ভৈরব নদে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলন, ৫০ হাজার টাকা জরিমানা

মেহেরপুর ভৈরব নদে অবৈধভাবে মাটি উত্তোলনের অপরাধে মো: ইলিয়াছ হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ আল বাকী।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ মে) দুপুর ৩ টার দিকে সদর উপজেলার ইসলামপুর খালের মাঠ নামক স্থানে ভৈরব নদের মাটি অবৈধভাবে উত্তোলন করার সময় এই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।

জেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোঃ আব্দুল্লাহ আল বাকী বলেন, মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়নের ইসলামপুর খালের মাঠে ইট প্রস্তুত করার উদ্দেশ্যে অবৈধভাবে ভৈরব নদের মাটি উত্তোলন করছে এমন সংবাদে অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩ এর ৫(২) ধারা লংঘনের দায়ে ১৫(১)(খ) ধারা অনুসারে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করে আদায় করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে পানি উন্নয়ন বোর্ড, মেহেরপুর ও সদর থানা পুলিশ সহযোগিতা করেন।

ইলিয়াছ হোসেন সদর উপজেলার আশরাফপুর গ্রামের মৃত মহাসীন বিশ্বাসের ছেলে।




মুন্সীগঞ্জে নিয়োগ দেবে সিটি গ্রুপ

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সিটি গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটিতে মেইন্টেনেন্স প্যাকিং অপারেটর পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

মেইন্টেনেন্স প্যাকিং অপারেটর (ঢাকা সল্ট অ্যান্ড কেমিক্যালস লিমিটেড)।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে এসএসসি পাস হতে হবে। বয়স ২৪ থেকে ৩২ বছর। এফএমজি শিল্পে প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতাকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

কর্মস্থল

মুন্সীগঞ্জ (গজারিয়া)।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন

আবেদনের শেষ তারিখ

৪ মে, ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




টিন্ডারের নতুন আপডেটে বাড়বে ব্যবহারকারীর সংখ্যা

জনপ্রিয় ডেটিং অ্যাপ টিন্ডার তাদের অ্যাপে একাধিক নতুন আপডেট নিয়ে এসেছে। এরপর ম্যাচ গ্রুপ সম্প্রতি তাদের মুনাফার ওপর পর্যবেক্ষণ করে ইতিবাচক মন্তব্য জানিয়েছে।

ম্যাচ গ্রুপ বলছে, এখনো নতুন আপডেট থেকে ব্যবসায়ী লাভের হিসেবটি দৃশ্যমান নয়। তবে দ্রুতই একটি ভালো ফলাফল পাওয়া যাবে। চলতি বছর কোম্পানিটির শেয়ার ২ শতাংশ বেড়েছে। ভোলাটাইল ট্রেডিং বেলের পর তা আরও ৩ শতাংশ বেড়ে যায়। ম্যাচ গ্রুপ এরইমধ্যে ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বাইব্যাক শেয়ার চালু করেছে।

থার্ড ব্রিজের একজন বিশ্লেষক জানান, ডেটিং সার্ভিস ২০২৩ এর বাকি অংশে দ্রুতই জনপ্রিয় হয়ে উঠবে৷ নানা সংকটে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সমস্যার কারণে অনেকেই এসব প্ল্যাটফর্মে যুক্ত হচ্ছে।’ তিনি অনুমান করেছিলেন কোম্পানির এখন মোট আয় ৮২২ দশমিক ২২ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। অনুমানটি খুব পেছনে না। তারা আপাতত ৮১৫ দশমিক ৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। বছরের প্রথম তিন মাসে অর্থাৎ ৩১ মার্চ পর্যন্ত কোম্পানিটি প্রায় ৭৮৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে। তআই টিন্ডারের মধ্যে সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এই বছরটা টিন্ডারের জন্য বড় কিছু হতে পারে।




গাংনীতে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ উপজেলা ও পৌর শাখার কমিটি গঠিত

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা ও পৌর শাখার বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদের কমিটি গঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (৪ই মে) সকাল সাড়ে দশটার দিকে গাংনী সরকারি ডিগ্রি কলেজে অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ মেহেরপুরের জেলা শাখা সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ মেহেরপুর জেলা শাখার সহসভাপতি সিরাজুল ইসলাম, মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ মো: রফিকুল ইসলাম, মেহেরপুর শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান।

অনুষ্ঠানে অধ্যক্ষ মনিরুল ইসলামকে সভাপতি ও আলহাজ্ব শফি কামাল পলাশকে সাধারণ সম্পাদক করে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ গাংনী উপজেলা শাখা এবং আ.লীগ নেতা একরামুল হককে সভাপতি ও সাংবাদিক নুরুজ্জামান পাভেলকে সাধারণ সম্পাদক করে বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ গাংনী পৌর শাখার কমিটি গঠন করা হয়।




জাতীয় ফল খেতে যাদের মানা

গ্রীষ্মকালকে বলা হয় মধুমাস। আর এসময় নানারকম রসালো ফলের মধ্যে প্রথম তালিকায় জাতীয় ফল কাঁঠালের নাম থাকে ওপরে। কাঁঠালে রয়েছে হাই কার্ব। এছাড়া প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ফাইবার আছে এই খাবারে।

তবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত রোগীদের কাঁঠালের প্রতি লোভ না দেখানোই ভালো। এই ফলটিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে কার্বোহাইড্রেট। যার ফলে দেহে চটজলদি সুগার লেভেল বেড়ে যায়।

ডায়াবেটিস রোগীদের কাঁঠাল খাওয়ায় সতর্ক করে ইব্রাহিম মেডিক্যাল কলেজের সহযোগী অধ্যাপক ডাক্তার খাদিজা বেগম বলেন, যদি কোনো ডায়াবেটিসের রোগী দিনে পাকা কাঁঠালের তিন চারটি কোষ খান তাহলে ওই দিন অন্য কোনো মিষ্টি ফল খেতে পারবেন না।

এছাড়া তিনি জানান, কাঁঠালে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার, যা পাচন প্রক্রিয়ার গতি কমিয়ে দেয় ফলে আচমকা রক্তের শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ায় আশঙ্কা কমে।

পাশাপাশি যাদের অ্যালার্জির সমস্যা রয়েছে, তাদের এই ফল এড়িয়ে চলাই ভালো। বিশেষ কিছু ক্ষেত্রে কাঁঠালের প্রতিক্রিয়ায় রক্ত জমাট বেঁধে যাওয়ার সমস্যা দেখা দিতে পারে।

পরিশেষে তার মতে কিডনি রোগীদের জন্য কাঁঠাল খাওয়া বারণ। কারণ, কাঁঠাল রক্তে পটাশিয়ামের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মাদক না ছাড়ায় নোবেলকে তালাক দিলেন স্ত্রী সালসাবিল

দেশের বিতর্কিত কণ্ঠশিল্পী মাইনুল আহসান নোবেলকে তালাক দিয়েছেন তার স্ত্রী সালসাবিল মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (৪ মে)  বিষয়টি নিশ্চিৎ করেছেন সালসাবিল।

তিনি বলেন, তালাকের চিঠি আগেই পাঠিয়েছিলাম। তালাক কার্যকর হতে তিনমাস সময় লাগে। কিন্তু চাইলে সেটাকে স্থগিত করা যায়। নোবেল পরিবর্তন হবে- এমন আশায় সেটাকে স্থগিত রেখেছিলাম। আজ সকালে (বৃহস্পতিবার) সেটা কার্যকর করেছি। আমার পরিবারের সঙ্গে সিদ্ধান্ত নিয়ে অবশেষে এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হলাম।

এদিকে বৃহস্পতিবার দুপুরে ফেসবুক পোস্টে সালসাবিল মাহমুদ লিখেছেন, আমি হয়তোবা আগে ব্যাপারটা ক্লিয়ার করিনি। যেহেতু আমরা দুজনেই সিদ্ধান্ত নিয়ে ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশনটা উকিলকে বলে হোল্ডে রেখেছিলাম। সাম্প্রতিক কিছু ঘটনার পরও যখন আমার ও নোবেলের কথা হয় আমি তাকে শেষবারের মতো মাদকদ্রব্য ছাড়ার কথা এবং চিকিৎসা নেবার জন্য জিজ্ঞেস করি।

সে পরিষ্কারভাবে জানিয়ে দেয় সে কখনো মাদক ছাড়বে না এবং বলে, ‘নেশা ছাড়লে তো আগেই ছাড়তাম’ এরপর আমি আমার পারিবারিক সিদ্ধান্তে আমার ডিভোর্স রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করি।’

নোবেলের মাদকাসক্ত হওয়ার পেছনে অনেকের হাত আছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমার প্রাক্তনকে আমি শুভকামনা জানাই। নোবেল কখনোই এতো অসুস্থ ছিল না। এমন না যে নোবেলের আজকের এই অবস্থার জন্য ও শুধু একা দায়ী। অবশ্যই সে নিজেই সবচেয়ে বেশি দায়ী কিন্তু তার মাদকদ্রব্য প্রাপ্তি ও আসক্তির ক্ষেত্রে অনেক ক্ষমতাশালী মানুষদের অবদান আছে সরকারি প্রশাসনিক উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদ, ক্ষমতাশালী ব্যবসায়ী।’

‘ভালো গল্প-চরিত্র ছাড়া কাজের কোনো মানে হয় না’‘ভালো গল্প-চরিত্র ছাড়া কাজের কোনো মানে হয় না’ সবশেষে নোবেলের স্ত্রীর লিখেছেন, আগের ক্রিমিনাল রেকর্ড আপনারা নিউজে দেখেছেন অথবা এখনো দেখেননি, কিন্তু নোবেলের আশে পাশে তাদের অবশ্যই দেখেছেন এবং দেখে থাকবেন। তাদের মধ্যে কিছু শো অরগানাইজারও রয়েছে। দরকার হলে নাম বলবেন বলে জানিয়েছেন পোস্টে।

বাংলাদেশের মাদকদ্রব্য ব্যাবসায় তারা সচল এবং কিছু এয়ার হোস্টেসদের (একজন এয়ারহোস্টেস যে অন্য এয়ারহোস্টেসদের পরিচালনা করে এবং ডিস্ট্রিবিউশন সুবিধার্থে পরিচিত মুখ/ ভিক্টিম খুঁজে বের করে) মাধ্যমে এবং অন্যান্য পন্থায় তারা দেশে মাদক আমদানি করে এবং গোপনভাবে ডিস্ট্রিবিউশন করে যার একজন ভিক্টিম নোবেল নিজেই, আসলে শুধু ভিক্টিম বললে ভুল হবে এখন জড়িত। মিডিয়ার বিষয় তাই শুধু সামনে এসেছে কিন্তু এসব/এক ক্ষমতাধারী সিন্ডিকেটের ব্যাবসার মুনাফাই আসে বিভিন্ন পরিবারের সন্তানদের ও যুবসমাজকে মাদকাসক্ত করিয়ে।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে পুলিশের নিয়মিত অভিযানে ৯ আসামি গ্রেফতার

মেহেরপুরের তিন থানা পুলিশের ২৪ ঘন্টার নিয়মিত অভিযানে বিভিন্ন মামলার ৯ আসামি গ্রেফতার করেছে।

গতকাল বুধবার (৩ মে) দিবাগত রাতের বিভিন্ন সময়ে আজ বৃহস্পতিবার ভোররাত পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে এসব আসামি গ্রেফতার করে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ ২ আসামি, গাংনী থানা পুলিশ ৩ ও মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে ৪ আসামি রয়েছে। এরা সবাই আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানাভূক্ত জিআর ও সিআর মামলা ও নিয়মিত মামলার আসামি।

পুলিশ সুপার মো: রাফিউল আলমের নির্দেশে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম, গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ও মুজিবনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মেহেদী রাসেলের নেতৃত্বে পুলিশের একাধিম টিম এই গ্রেফতার অভিযানে অংশ নেন।

গ্রেফতারকৃতদের আজ বৃহস্পতিবার (৪ মে) সকালের দিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।




মেহেরপুরে পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের সহায়তায় মৎস্য চাষে বিপ্লব

মেহেরপুরে মৎস্য চাষীদের নিরাপদ মাছ চাষ, পুষ্টির চাহিদা পূরণ ও আর্থিকভাবে লাভবান করে বিপ্লব ঘটিয়েছে পল্লী কর্মসহায়ক ফাউন্ডেশন(পিকেএসএফ)। পুকুর ও পুকুর পাড়ের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করে মাছ চাষ ও সবজি উৎপাদন করতে জেলার শতাধিক মৎস্য চাষিকে আর্থিক সহায়তা,কারিগরি প্রশিক্ষণসহ নানামুখি সহায়তা দিচ্ছে পিকেএসএফ-নামের এই প্রতিষ্ঠানটি। আর্থিক ও কারিগরি সহযোগিতায় পিএসকেএস মৎস্য খাতে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় রীতিমতো মৎস্য বিপ্লব ঘটেছে। স্বল্প খরচে অধিক লাভজনক হওয়ায় সাধারণ চাষ পদ্ধতির চেয়ে কার্প ফ্যাটেনিং পদ্ধতিতে মাছ চাষে মৎস্য চাষীদেরর আগ্রহ বাড়ছে, অন্যদিকে সাবলম্বী হচ্ছেন অনেক উপকারভোগীরা ।

স্বল্প সময়ে বড় মাছ উৎপাদন হওয়ায় বাণিজ্যিক ভাবে লাভবান হচ্ছেন অনেকেই। এ পদ্ধতির ব্যপকতা তৈরীতে চাষীদের আর্থিক ও কারিগরি সহায়তা করছে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ)-এর সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত মৎস্য খাত। কার্যক্রমটি দক্ষতার সাথে বাস্তবায়ন করছে মেহেরপুর জেলার পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস) নামক একটি বেসরকারি সংস্থা।

জানা গেছে, সারা দেশে সমন্বিত কৃষি ইউনিটভুক্ত মৎস্য খাতের বিপ্লব ঘটাতে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) ২০১৩-১৪ অর্থবছরে একটি কার্যক্রম চালু করে। মেহেরপুর অঞ্চলে কার্যক্রম(প্রোগ্রাম) বাস্তবায়ন করছে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস)। এরই আওতায় মেহেরপুর জেলায় মৎস্য চাষীদের মাধ্যমে কার্প ফ্যাটেনিং পদ্ধতিতে মাছ মোটাতাজাকরণের ১৩০ টি প্রদর্শনী বাস্তবায়ন করা হয়েছে। সুফলভোগীদের মাঝে মাছ চাষের সব উপকরণ বিতরণের পাশাপাশি মৎস্য চাষীদের মাছ চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ, মাঠ দিবস, মৎস্য সেবা ও পরামর্শ কেন্দ্র বাস্তবায়ন, মৎস্য সপ্তাহ উদযাপন সহ বিভিন্ন সেবামূলক কাজ করে যাচ্ছে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি (পিএসকেএস)।

গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামের মৎস্য চাষী কিবরিয়া জানান, ছোট মাছ বিক্রি করে আগে যে পরিমাণ টাকা আয় হতো তাতে আমার লোকসান হতো। পরে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির কারিগরি কর্মকর্তার পরামর্শে কার্প ফ্যাটেনিং পদ্ধতিতে মাছ মোটাতাজাকরণ শুরু করি। এর জন্য আমাকে পোনা সহায়তা দিয়েছে এবং বিভিন্ন উপকরণ দিয়েছে। সব সময় পরামর্শ দিয়েও সহায়তা করছে। আমার পুকুরে ৩ থেকে ৪ কেজি ওজনের মাছ রয়েছে। ৫০ শতাংশ পুকুরে এ বছর দেড় থেকে ২ লাখ টাকার মাছ বিক্রি হবে বলেও জানান এই মৎস্য চাষী।

সুফলভোগী মৎস্য চাষী ওবাইদুর রহমান জানান, বাজারে সব সময়ই বড় মাছের চাহিদা অনেকাংশে বেশি। ফলে দামও ভাল। আমার এক বিঘা পুকুরে বড় মাছ তৈরী করেছি। ২ কেজির নিচের ওজনের মাছ বিক্রি করলে দাম কম হয়। তাই ৩ থেকে ৪ কেজি ওজনের মাছ বিক্রি করি ৩০০ টাকা থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত।

জোড়পুকুরিয়া গ্রামের মৎস্য চাষী হাসান ও নাহিদ জানান, আধা কেজি ওজনের মাছের মূল্য ১৩০ টাকা থেকে ১৫০ টাকা। এই ওজনের মাছ মোটাতাজা করে বিক্রি করা হলে অনেক ভাল দাম পাওয়া যাচ্ছে। এতে দাম ভাল পাওয়ার পাশাপাশি পুকুরে খাবারও কম লাগে। বড় মাছের প্রয়োজন হলেই এলাকার বিভিন্ন মানুষ আমাদের সাথে মাছ কিনে নিয়ে তাদের বড় মাছের চাহিদা পূরণ করেন।

পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির মৎস্য কর্মকর্তা সাঈদ-উর-রহমান জানান, গতানুগতিক মাছ চাষের পরিবর্তে আমরা আদর্শ মৎস্য চাষের পরামর্শ দিয়ে থাকি । কার্প ফ্যাটেনিং পদ্ধতিতে আধা কেজি ওজনের কার্প জাতীয় মাছ পুকুরে পরিমিত ঘনত্বে মজুদ করে এবং নিয়মিত সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগের মাধ্যমে চাষ করে দেড় বছরে পাঁচ কেজি থেকে ছয় কেজি ওজনের মাছ উৎপাদন করাই কার্প ফ্যাটেনিং বা মাছ মোটাতাজাকরণ । বাজারে রুই, কাতলা, মৃগেল, সিলভার কার্প, কমন কার্প প্রভৃতি মাছের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। এই জাতীয় মাছ দ্রত বড় হয়, রোগাক্রান্ত কম হয়, খাদ্য ও জায়গার জন্য একে অপরের প্রতিযোগী নয়, পানির সব স্তর থেকে প্রাকৃতিক খাদ্য প্রাপ্তি নিশ্চিত হয়। তাই পুকুরের পরিবেশ ভালো থাকে এবং এসব মাছ খেতেও সুস্বাদু।

কার্প ফ্যাটেনিং প্রযুক্তিতে সাধারণত বড় আকারের যেমন ৪০০ থেকে ৬০০ গ্রাম ওজনের কার্প জাতীয় মাছ পুকুরে মজুদ করা হয়। এতে প্রাকৃতিক খাদ্যের পাশাপাশি সম্পূরক খাদ্য প্রয়োগ করে নয় থেকে দশ মাসেই মাছ বাজারজাত করা হয়, যা মেহেরপুর জেলার মৎস্য চাষীদের কাছে ছিল অকল্পনীয় । কার্প ফ্যাটেনিং প্রযুক্তির পাশাপাশি প্রকল্প এলাকায় গ্রামীণ মহিলাদের সম্পৃক্ত করে ছোট আকারের জলাশয়ে শিং, মাগুর, গুলশা মাছ চাষ বৃদ্ধির কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সংস্থাটি। বর্তমান বাজারে ছোট মাছের পাশাপাশি বড় মাছের চাহিদা ও মূল্য অনেক বেশি। জেলায় বড় মাছের চাহিদা পূরণ করে বাইরের জেলাতে মাছ বিক্রি শুরু করেছেন চাষীরা। এতে অধিক মুনাফা আয় করে সাবলম্বী হচ্ছেন অনেকেই।

কার্প ফ্যাটেনিং পদ্ধতিতে পুকুরে পাতলা করে মাছ চাষ করা হয়। এ পদ্ধতিতে বিঘা প্রতি ১২০ থেকে ১৫০টি রুই মাছ, কাতলা ৪০টি, মৃগেল ৭০ টি, কমন কার্প ৩০ টি ও সিলভার কার্প ২০টি করে চাষ করা হয়। সাধারণভাবে যে পদ্ধতিতে মাছ চাষ করা হয় এর তুলনায় এ পদ্ধতিতে পাঁচ-ছয় গুণ বেশি মাছ উৎপাদন করা হয়।

কার্প ফ্যাটেনিং পদ্ধতিতে মাছ চাষ করে বছর শেষে বিঘা প্রতি ১০০০-১২০০ কেজি মাছের উৎপাদন পাওয়া যায়। মাছ বড় হওয়ার কারণে এসব মাছ প্রতি কেজি ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা দরে বিক্রয় হয়ে থাকে। এতে বিঘা প্রতি দেড় থেকে ২ লাখ টাকা পর্যন্ত মাছ বিক্রয় করা সম্ভব হয়। মৎস্য চাষীরা ছোট মাছ উৎপাদন করে বিঘা প্রতি এক বছরে ৫০ হাজার টাকা থেকে সর্বোচ্চ ১ লাখ টাকার মাছ বিক্রয় করতে পারেন। কার্প ফ্যাটেনিং পদ্ধতিতে মাছ উৎপাদন করে দুই থেকে তিন গুণ বেশি লাভ করা সম্ভব হচ্ছে।

জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, মেহেরপুর জেলা মৎস্য স্বয়ংসম্পূর্ণ একটি জেলা। জেলায় ছোট বড় ৯০৬৫ জন মৎস্য চাষী রয়েছে। এ সকল মৎস্য চাষী প্রতি বছর ১৩ হাজার ৫৯০ মেট্রিক টন মাছ উৎপাদন করে। জেলায় মাছের চাহিদা রয়েছে ১৩ হাজার ৯৯৫ মেট্রিক টন। জেলায় পুকুর রয়েছে ৫ হাজার ৩৬৫ টি। এর মধ্যে শুধু গাংনী উপজেলাতেই পুকুর রয়েছে ৩ হাজার ৭১৩টি। মৎস্য চাষী রয়েছে ৪০০০ অধিক। উপজেলায় ৬ হাজার ২২১ মেট্রিক টন মাছ শুধুমাত্র গাংনী উপজেলাতেই উৎপাদন হয়ে থাকে। এ উৎপাদনে পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর আর্থিক সহায়তা প্রকল্প বড় ভূমিকা পালন করে চলেছে।

পিএসকেএস-এর পরিচালক (কর্মসূচি) মোহাঃ কামরুজ্জামান বলেন, বাংলাদেশ একটি কৃষি প্রধান দেশ । এদেশের জনগনের খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা প্রদান, জীবনযাত্রার মান উন্নয়ন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি কৃষক বা খামারির দক্ষতা উন্নয়নে পিএসকেএস পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) এর সহায়তায় কৃষি, মৎস্য ও প্রণিসম্পদ খাতে উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে । এরই ধারাবাহিকতায় মেহেরপুরের গাংনী উপজেলাতে আমাদের কার্যক্রম চলমান রয়েছে । আমরা সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করতে সহায়ক শক্তি হিসেবে কাজ করছি ।

মেহেরপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ রোকনুজ্জামান জানান, জেলায় চাহিদা ও উৎপাদন মোটামুটি সমান সমান। বাইরের জেলা থেকে মাছের প্রত্যাশা করে না। কার্প ফ্যাটেনিং পদ্ধতিতে মাছ মোটাতাজাকরণ প্রকল্পের আওতায় পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশন (পিকেএসএফ) অর্থ দিয়ে জেলার মৎস্য চাষিদের সহায়তা করে আসছে। অনেক মৎস্য চাষী পিকেএসএফ এর প্রণোদনা পেয়ে মাছ মোটাতাজাকরণ করে লাভবান হচ্ছে। সরকারি সহায়তার পাশাপাশি সরকারের সাথে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের বেসরকারী সংস্থা (এনজিও) গুলোও মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে নানা কর্মকান্ড পরিচালনা করে যাচ্ছে । দেশের মৎস্য সম্পদ উন্নয়নে সরকারের পাশাপাশি এনজিও গুলোরও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে বলেও জানান তিনি ।




মেহেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন নেই ১২ বছর

দীর্ঘ ১২ বছর মেহেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন নেই। বেশ কয়েকবার প্রস্তুতি নেয়া হলেও তা সম্ভব হয়নি। শেষবার ২০১৭ ও ২০২০ সালে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও শেষ পর্যন্ত মামলা জটিলতায় সেটাও ভেস্তে গেছে। দীর্ঘদিন খেলাধুলা না থাকায় স্থবির হয়ে পড়েছে জেলা ক্রীড়াঙ্গন।

১২ বছর ধরে সরকারি কর্তাদের দিয়েই চলছে মেহেরপুর ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম। ফলে ধীর ধীরে গতি হারিয়ে ফেলছে মেহেরপুর জেলার ক্রীড়াক্ষেত্র। যদিও চলছে খেলোয়াড়দের অনুশীলন। তবে, একটি সূত্রের দাবী এই ক্রীড়া ফেডারেশনে নির্বাচিত কমিটি না আসার পেছনে দায়ী সংগঠকরা।

নির্বাচনের তফশিল ঘোষণা করলেই নির্বাচনকে সামনে রেখে অ্যাডহক কমিটির লোকজন দৌড়ঝাপ শুরু করে। খেলার উন্নয়নে কোনো কার্যক্রম দেখা মেলেনা।

মেহেরপুর ক্রীড়া চক্রের শেষ নির্বাচন হয়েছিল ২০০৮ সালে। তারপর ২০১২ সালে নির্বাচন হওয়ায় কথা থাকলেও সেটা আর হয়নি। শেষ নির্বাচিত কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সালাহ উদ্দীন আহমেদ আবলু। বিভিন্ন সময়ে বরাদ্দকৃত অর্থ তছনছ করার অভিযোগ উঠলে সালাহ উদ্দীন আহমেদ আবলুকে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কালো তালিকা করে তাকে বাদ দিয়ে নির্বাচন দিতে গেলে সে মামলা করে। সেই মামলার অযুহাতে আটকে রয়েছে নির্বাচন।

একটি সূত্র জানায়, জেলা ক্রীড়া সংস্থার মোট সদস্য সংখ্যা ১০৯ জন। তৎকালিন সাধারণ সম্পাদক সালাহ উদ্দীন আহমেদ আবলুকে বাদ দিয়ে ১০৮ সদস্যের নাম ঘোষণা করে প্রশাসন। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন আবলু।

পরে তাকে বাদ রেখে প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১৫ সদস্যের অ্যাডহক কমিটি গঠণ করে। আগের ১০৮ সদস্যের তালিকা বাদ রেখে পরে ৬৬ সদস্যের একটি ভোটার তালিকা তৈরী করে প্রশাসন। এই ১৫ সদস্যের এ্যাডহক কমিটির বিরুদ্ধে মামলা করেন আবলু।

নাম না প্রকাশ করার শর্তে একজন সংগঠক বলেন, সরকারিভাবে সেসব খেলাধুলা হওয়ার কথা থাকলেও কোনোরকম নয় ছয় করে কিছু খেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে, প্রায় ৬ বছর যাবৎ আয়োজন করা হয়নি ক্রিকেটলীগ। এছাড়া স্থানীয়ভাবে খেলাধুলার আয়োজন করার কথা থাকলেও কমিটির কারণে সেই খেলাগুলো করানো হয়না। শহরের ইয়োলো ক্রীড়া চক্র, ব্রাইট স্টার ক্রীড়া চক্র ও ক্লাসিক ক্রিকেট টীমের কয়েকজন কর্মকর্তা জানান, মেহেরপুর থেকে সব ধরণের খেলা ধুলা প্রায় উঠে গেছে। মেহেরপুরে মামলা জটের কারণে, ক্রীড়া পরিষদের নির্বাচন হয়না। জেলার একজন প্রতিমন্ত্রী থাকলেও তার কোনো ভূমিকাও নিতে দেখা যায়নি। সরকারি আমলারা তাদের নিজের মত করে চালাচ্ছে ক্রীড়া সংস্থাটি।

গতকাল বিকাল পর্যন্ত মেহেরপুর স্টেডিয়ামে থাকলেও কোনো খেলোওয়ারের দেখা মেলেনি। শুধুমাত্র অফিস সহায়ক আসাদুল ইসলাম স্বপনকে পাওয়া গেছে। অফিস পাহারা দিচ্ছিলেন তিনি।

আসাদুল ইসলাম স্বপন বলেন, আমাকে যেভাবে চালায় সেভাবেই চলতে হবে। তিনি আক্ষেপ করে বলেন, ক্রীড়া সংস্থার নির্বাচন না হওয়াতে আমাদেরও সমস্যা। কারণ, কোনো সমস্যার কথা সরকারি কর্মকর্তাদের সব সময় বলা সম্ভব হয়না। কিন্তু ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদককে বলা সম্ভব হয়।

মেহেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার অ্যাডহক কমিটির সদস্য ও মেহেরপুর পৌর সভার প্যানেল মেয়র শাহীনুর রহমান রিটন বলেন, প্রায় ১২ বছরের কাছা কাছি মেহেরপুর ক্রীড়া সংস্থা ক্রিকেট লীগের কোনো আয়োজন করতে পারেনি। এছাড়া কমিটির নির্বাচনও প্রায় ১২ বছর হয়নি। একটা অবৈধ কমিটি দিয়ে চলছে ক্রীড়া সংস্থার কার্যক্রম। আমি মনে করি রাজনৈতিক কারণেই ১২ বছর যাবৎ কমিটির নির্বাচন হয়নি। তিনি প্রশ্ন করে বলেন, সাধারণ সম্পাদকের অর্থনৈতিক কেলেংকারির জন্যই যদি ১২ বছর যাবৎ কমিটি গঠণ করা সম্ভব না হয় তাহলে বেআইনী কমিটি দিয়ে কিভাবে জেলা ক্রীড়া সংস্থার মাটি ভরাট, গ্যালারী তৈরী, রং করণ ও মার্কেট নির্মাণ হয়েছে। এই কমিটির এখতিয়ার আছে কিনা জানতে চান তিনি।

শাহিনুর রহমান রিটন আরো বলেন, জেলা প্রশাসক এবিষয়ে ভূমিকা রাখতে পারেন। কমিটি না থাকার কারণে মেহেরপুর জেলাবাসি বিভিন্ন ক্রীড়া থেকে বঞ্ছিত হচ্ছেন।

মেহেরপুর জেলা ক্রীড়া সংস্থার সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম বলেন, জেলা ক্রীড়া সংস্থা সব সময় সচল রাখা উচিৎ। কারন, ক্রীড়াঙ্গণের মডেল রোল প্লে করে জেলা ক্রীড়া সংস্থা। জেলা ক্রীড়া সংস্থা সচল করতে সব ধরণের ব্যবস্থা করা হবে।