মেহেরপুরে অংশ নিচ্ছে ৮ হাজার ৯০৯ পরিক্ষার্থী

চলতি বছরের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আজ রবিবার (৩০ এপ্রিল) শুরু হচ্ছে । এবার মেহেরপুর জেলার ১৫০ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৮ হাজার ৯০৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে। এদের মধ্যে জেনারেল শাখায় ৭ হাজার ৩৬২ জন, কারীগরি শাখায় (ভোকেশনাল) ৯০৫ জন ও মাদ্রাসা বোর্ডের আওতায় দাখিল শাখায় ৬৪২ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেবে।

জেলার তিনটি উপজেলায় জেনারেল শাখার জন্য ১৩টি কেন্দ্র, কারিগরী শাখা (ভোকেশনাল) ৪ টি ও মাদ্রাসা শিক্ষার্থীদের জন্য ২ টি পরীক্ষা কেন্দ্র নির্ধারণ করা হয়েছে।

মেহেরপুর জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: আব্বাস উদ্দীন এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

জেলার জেনারেল শাখার কেন্দ্রগুলোর মধ্যে রয়েছে মেহেরপুর সরকারি মাধ্যমিক বালক উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, মেহেরপুর সরকারি মাধ্যমিক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র, আমঝুপি মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, আমঝুপি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, গাংনী পাইলচ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এন্ড কলেজ কেন্দ্র, গাংনী সরকারি মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় কেন্দ্র, সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্র, বামন্দী নিশিপুর স্কুল এন্ড কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্র, জুগীরগোফা মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র, জুগীরগোফা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, মুজিবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র, গোপালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র, সাহেবনগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র, কেএন এইচ মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র, বামন্দী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র, বেতবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয় কেন্দ্র, বিপিএন বালিকা বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র, রাইপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র, দারিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরীক্ষা কেন্দ্র, দাখিল শাখার দুটি কেন্দ্র হলো মেহেরপুর দারুল উলুম আহমাদিয়া দাখিল মাদ্রাসা পরীক্ষা কেন্দ্র ও গাংনী ছিদ্দিকিয়া সিনিয়র আলীম মাদ্রাসা।

কারিগরী শাখার (ভোকেশনাল) পরীক্ষা কেন্দ্র গুলোর মধ্যে রয়েছে, মেহেরপুর টেকনিক্যাল স্কুল ও কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্র, গাংনী পাইলট বিদ্যালয় এন্ড কলেজ, সন্ধানী স্কুল এন্ড কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্র, দারিয়াপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মুজিবনগর সরকারি টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজ পরীক্ষা কেন্দ্র।

পরীক্ষা সুষ্ঠ,নকলমুক্ত শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পরীক্ষা সমাপ্ত করার লক্ষে তিন উপজেলার তিনটি ভিজিলেন্স টিম গঠণ করা হয়েছে। জেলা পর্যায়ে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইটি) প্রধান করে ৫ সদস্যের একটি ভিজিলেন্স টিম গঠণ করা হয়েছে। কমিটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন, মেহেরপুর সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: আব্বাস উদ্দীন, মেহেরপুর কারিগরী প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ ও মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক হোসেন।

এদিকে, জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম এসএসসি কেন্দ্রগুলোর আশেপাশে ১৪৪ ধারা জারি করেছেন এবং সকল কোচিং সেন্টার একমাস বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।




চুয়াডাঙ্গায় কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিলো ছাত্রলীগ

চুয়াডাঙ্গায় কৃষকের ধান কেটে ঘরে তুলে দিয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। দেশের অন্যান্য জেলার ন্যায় চুয়াডাঙ্গা জেলার বিস্তীর্ণ মাঠ জুড়ে এখন পাকা ধান। মাঠে যাদের পাকা ধান রয়েছে আকাশে মেঘ দেখলেই তাঁরা পড়ছেন চরম দুঃশ্চিন্তায়। ধান পুরোপুরি পেকে গেলেও শ্রমিক সংকটের কারণে অনেক কৃষকই সঠিক সময়ে ধান কাটতে পারছেন না। তাদের পাশে দাঁড়িয়েছে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগ।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে চুয়াডাঙ্গা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সদস্য ও চুয়াডাঙ্গা পৌর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক গাজী ইমদাদুল হক সজলের নেতৃত্বে চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজরুক গড়গড়ি বুদ্ধিমানপাড়ার রেজাউল নামের এক কৃষকের দুই বিঘা জমির পাকা ধান কেটে বেঁধে দিয়েছেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। ধান কাটা বাঁধা কাজে মাঠে উপস্থিত থেকে সজলকে সহযোগিতা করেন আরফিন সজীব, সুমন নাসিম, রাইসুল ইসলাম, ইউসুফ, লিখন, সাব্বির, তৌকি, অংকন, অনিক, আল-মামুন, রোমেল-সহ ছাত্রলীগের অন্যান্য নেতাকর্মীবৃন্দ।

গাজী ইমদাদুল হক সজল জানান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের নির্দেশনা অনুযায়ী ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে আমরা কৃষকের জমির পাকা ধান কেটে দিয়ে তাদের সহযোগিতা করছি। করোনাকালেও আমরা চুয়াডাঙ্গা জেলার অনেক কৃষকের ধান কেটে তাদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। সামনের দিনেও এধরনের কার্যক্রম আমরা অব্যাহত রাখবো। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সবসময় অসহায় মানুষের পাশে আছে, অতীতেও ছিল এবং ভবিষ্যতেও থাকবে।




ডিসকর্ডের মতো চ্যানেল মেথড চালু করবে রেডিট

সম্প্রতি রেডিট একটি চমৎকার ঘোষণা দিয়েছে। প্রতিষ্ঠানটি ডিসকর্ডের মতোই চ্যাট চ্যানেল প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে। বর্তমানে রেডিটে অ্যাসিক্রোনাস কমেন্টিং সিস্টেমে যোগাযোগ করা যায়। কিন্তু রেডিট চাচ্ছে ব্যবহারকারীরা যেন আরও ভালোভাবে একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে পারেন।

আপাতত রেডিট পরীক্ষা চালাচ্ছে। তারা সাবরেডিটে ২৫ টি গ্রুপ প্রতিষ্ঠা করেছে। সব গ্রুপ মিলিয়ে প্রায় ১ লাখ সদস্য রয়েছে। রেডিট বলছে এই চ্যানেলে প্রবেশ করা হবে সহজ ও যোগাযোগ হবে দ্রুত।

এর আগেও রেডিট চ্যাট গ্রুপ ফিচার চালু করেছিল ২০২০ সালে। সেবারের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে তারা নতুন করে আবার গোছাতে চাচ্ছে। নতুন পদ্ধতিতে মডারেটররা সাবরেডিটে আরও বেশি নিয়ন্ত্রণ পাবে। কারা এই চ্যাটে অংশ নিতে পারবে তার নিয়ন্ত্রণও থাকবে। রেডিটই একমাত্র কোম্পানি যারা হোস্টভিত্তিক কমিউনিটি চ্যাট চ্যানেল বানানোর সুবিধা দিচ্ছে৷ এমনটা হোয়াটস অ্যাপ আগে করার চেষ্টা করেছিল। আপাতত তাদের এই চেষ্টাটি রেডিটের জন্য আকর্ষণীয় ত বটেই।

সূত্র: টেকক্রাঞ্চ




ঝিনাইদহে ফেনসিডিলসহ এক মাদক কারবারি আটক

ঝিনাইদহ সদর উপজেলার ভবানীপুর গ্রাম থেকে ২৩ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিলসহ ইবরাহীম মণ্ডল ইব্রা নামে এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকাল ১০টার দিকে ভবানীপুর গ্রাম থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত ইবরাহীম মণ্ডল ইব্রা ভবানীপুর গ্রামের পিরু মণ্ডলের ছেলে।

ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি তদন্ত মো. আবুল খায়ের জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বেতাই চণ্ডীপুর পুলিশ ক্যাম্পের আইসি মনিরুজ্জামান হাজার ও এএসআই খোরশেদ আলম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ভবানীপুর গ্রামে অভিযান চালিয়ে ২৩ বোতল ফেনসিডিলসহ ইবরাহীমকে গ্রেফতার করে।

গ্রেফতার মাদক ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।




উড়ছেন মিথিলা, পেলেন আইকনিক স্টার অ্যাওয়ার্ড

ওয়েব সিরিজ ‘মন্টু পাইলট’ ও ঈদে ‘মাইশেলফ অ্যালেন স্বপন’ মুক্তি পাওয়ার পর যেন নতুন করে উড়ছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। ইতিমধ্যে পেয়েছেন দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা। এরই মধ্যে আরেক সফলতার মুকুট পড়লেন এ অভিনেত্রী। ২০২৩ সালের ইন্দোবাংলা ‘আইকনিক স্টার’ হয়েছেন মিথিলা।

শোবিজ জগতের তারকাদের অবদানের স্বীকৃতি ও সম্মাননা জানাতে ২০২০ সালে শুরু হয় ইন্দোবাংলা ‘আইকনিক স্টার অ্যাওয়ার্ড’। প্রতিবছর বর্ণিল আয়োজনে তারকাদের হাতে পুরস্কার তুলে দেয়া হয়। তারই ধারাবাহিকতায় ২৮ এপ্রিল কলকাতার কলামন্দিরে বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের অর্ধশত তারকা শিল্পীদের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হলো ইন্দোবাংলা ‘আইকনিক স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’।

ইন্দোবাংলা ‘আইকনিক স্টার অ্যাওয়ার্ড ২০২৩’ এ ওয়েব সিরিজ মন্টু পাইলটের জন্য সেরা অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন রাফিয়াত রশিদ মিথিলা। অভিনেত্রী তার ফেইসবুক পোস্টে পুরস্কার হাতে নেয়া তার হাস্যজ্জ্বোল ছবি দিয়ে কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন।

এদিকে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে মিথিলার ছবি ‘মায়া’। যার পরিচালক রাজর্ষি দে। এছাড়াও অর্ণব মিদ্দার নারীকেন্দ্রীক ছবি ‘মেখলা’তে অভিনয় করছেন মিথিলা।

সূত্র: ইত্তেফাক




বিশ্বকাপ পর্যন্ত চলবে তাইজুল-নাসুমের ‘মিউজিক্যাল চেয়ার’

জাতীয় দলের নির্বাচক কমিটি যেন তাইজুল ইসলাম আর নাসুম আহমেদকে নিয়ে ‘মিউজিক্যাল চেয়ার’ খেলতে শুরু করেছেন। তাইজুলকে সাধারণত টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে ধরা হলেও ইংল্যান্ড সিরিজে হঠাৎই তাকে ডাকা হয় ওয়ানডে দলে। নাসুমের পরিবর্তে কেন তাইজুল সেটি নিয়ে আলোচনাও হয়েছে বিস্তর। এক সিরিজ পরই আবার আয়ারল্যান্ড সিরিজে তাইজুলের পরিবর্তে আসে নাসুম। সেখান থেকে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের মাটিতে ফিরতি ওয়ানডে সিরিজের জন্যা আবারও নাসুমকে বাদ দিয়ে দলে দাক পেয়েছেন তাইজুল।

তাইজুল আর নাসুমকে নিয়ে যেন নিজেদের ইচ্ছেমতো ছেলেখেলায় মেতেছেন জাতীয় অলের নির্বাচকরা। তবে এই দুই স্পিনারকে কেন বারবার এমন রোটেশন পদ্ধতিতে খেলানো হচ্ছে সেটিই এবার জানালেন জাতীয় দলের কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে।

আয়ারল্যান্ড সিরিজ সামনে রেখে সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে তিনদিনের প্রস্তুতি ক্যাম্পের শেষদিনে আজ (২৯ এপ্রিল) হাথুরুসিংহে বলেন, ‘আমরা আলোচনা করেছি, সে অনুসারে স্কোয়াড বড় করতে চাই। সবাইকে অনেক অভিজ্ঞতা দিতে চাই। বিশ্বকাপের আগপর্যন্ত এমনটা চলতে থাকবে।’

দুজনের বারবার দলে ঢোকা আর বেরোনোতে তাদের ওপর বিরূপ প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে টাইগার কোচ বলেন, ‘এটা নিয়ে কোনো প্রভাব পড়বে না। কারণ তাদের সঙ্গে এগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। তাদেরকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা করা হয়েছে। আশা করি প্রভাব ফেলবে না। যদি প্রভাব পড়ে, তাহলে সেটি তাদের পারফরম্যান্সেও এফেক্ট করবে। ওই ধরনের খেলোয়াড় আমরা দলে চাই না।’

ভারতের মাটিতে আসন্ন ওয়ানডে বিশ্বকাপের বাকি আর মাত্র কয়েক মাস। এমন অবস্থায় বিশ্বমঞ্চের জন্য নিজেদের সেরা কম্বিনেশনটা খুঁজে বের করাটাই এখন বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) মূল কাজ হয়ে দাঁড়িয়েছে।ৎ

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে এক গ্রাম হেরোইনসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

মেহেরপুর জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর অভিযান চালিয়ে এক গ্রাম হেরোইনসহ শাহাবুদ্দীন শেখ (৪০) কে আটক করেছে।
শাহাবুদ্দীন শেখ মেহেরপুর শহরের নতুনপাড়া এলাকার মোনাজাত আলীর ছেলে।

মেহেরপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম শুক্রবার দিবাগত সাড়ে ১১ টার দিকে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এক গ্রাম হেরোইনসহ তাকে আটক করেন।

এঘটনায় ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের ৩৬(১)সারণীর ৮(ক) ধারায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং ৪০, তারিখ ২৮/০৪/২৩ ইং।




মেহেরপুরে ৯৭ বোতল ফেনসিডিল ও গাঁজাসহ দুইজন আটক

৯৭ বোতল ফেনসিডিল ও ১ কেজি গাঁজাসহ দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ।

আটকরা হলেন, মেহেরপুর শহরের পৌর কলেজ পাড়া এলাকার মাহাবুবুল হকের ছেলে সাব্বির হোসেন (২৬) ও ফুলবাগান পাড়া এলাকার মহসিন আলীর ছেলে নাজমুল সাদাত ওরফে শুভ (২৭)।

শনিবার দিবাগত রাত আনুমানিক ৩ টার দিকে সদর উপজেলার তেরোঘরিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে এই দুই মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করে পুলিশ।

সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম গোপন সংবাদের ভিত্ত্বিতে তেরোঘরিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের দুজনকে ৯৭ বোতল ফেনসিডিল ও এক কেজি গাঁজাসহ আটক করেন।

মেহেরপুর সদর থানার ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, আমার নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল রাত তিনটার দিকে সদর উপজেলার তেরঘরিয়া ওৎ পেতে থাকি। এ সময় মাদক ব্যবসায়ীর ওই রাস্তা দিয়ে ফেনসিডিল ও গাঁজা নিয়ে মেহেরপুর শহরের দিকে আসার সময় তাদের চ্যালেঞ্জ করা হয়।

এসময় মাদক ব্যবসায়ীরা পালানোর চেষ্টা করলে পুলিশ তাদেরকে আটক করে। তাদের নিকট থেকে ৯৭ বোতল ফেন্সিডিল এবং ১ কেজি গাঁজা সহ সাব্বির হোসেন ও নাজমুল শাহাদাত শুভকে আটক করে।

এ ঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ শনিবার তাদের আদালতের মাধ্যমে মেহেরপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।




দর্শনায় ১৬ দিনের ব্যবধানে দুটি পবিত্র কোরআন শরিফ পুড়ানোর অভিযোগে আটক ১

দর্শনার উজলপুর গ্রামে ১৬ দিনের ব্যবধানে দুটি পবিত্র কোরআন শরিফ পুড়ানোর অভিযোগ উঠেছে আনিছ উদ্দিন নামের এক ব্যাক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় আনিছ উদ্দিনকে পুলিশের কাছে তুলে দিয়েছে গ্রামবাসী।

আজ শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে দর্শনা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমান উল্লাহ, এসআই আহাম্মদ আলী বিশ্বাস ও এসআই সুজন ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তাকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।

ঘটনার বিবরণে জানাগেছে, আজ শুক্রবার দুপুর ২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন বেগমপুর ইউনিয়নের উজলপুর গ্রামের মৃত রহমান মন্ডলের ছেলে আনিছ উদ্দিন (৫৫) গ্রামের ছটাংগার মাঠে তার নিজ জমিতে একটি কোরআন শরিফ পুড়ায়। এরপর মাঠ হতে গ্রামে ফিরে তা মানুষের নিকট প্রচার করে।
এমন খবর শুনারপর তার সত্যতা যাচায়ে মাঠে যায় গ্রামের লোকজন। ঘটনাস্থলে যেয়ে কোরআন শরীফ পুড়ানোর সত্যতা পায়। পরে পুলিশের খবর দিলে দর্শনা থানার ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমান উল্লাহ আমান, এসআই আহাম্মদ আলী বিশ্বাস ও এসআই সুজন ঘটনাস্থল পৌছে প্রাথমিক তদন্ত শেষে কোরআন শরীফ পুড়ানোর অপরাধে আনিছ উদ্দিনকে আটক করে দর্শনা থানা পুলিশ।

উল্লেখ্য, গত ১২ এপ্রিল সে একটি কোরআন শরিফ আংশিক পুড়িয়ে গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে নজর আলী মাস্টারের বাড়ির গেটের সামনে রেখে যায়। পরে পুলিশ খবরপেয়ে সরজমিন পরিদর্শন করে কোরআন শরিফটি উদ্ধার করে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

স্থানীয়রা জানায়, আনিছ উদ্দিন বেশ কিছুদিন মানষিক ভারসাম্যহীন ভাবে চলাফেরা করছে। দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ ইন্সপেক্টর (তদন্ত) আমান উল্লাহ আমান জানান, পবিত্র কোরআন শরীফ পুড়ানোর অপরাধে ২৯৫ ধারায় মামলা দায়ের করে আসামীকে চুয়াডাঙ্গা কোট হাজতে পাঠানো হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় শ্রমিক সংকটে বিপাকে পড়েছে কৃষকেরা

চলতি বোরো মৌসুমে আলমডাঙ্গা উপজেলার বিভিন্ন মাঠে হাজার হাজার হেক্টর পাঁকা ধান। প্রতিদিন রোদ মেঘের খেলায় আতঙ্কিত হয়ে পড়ছে কৃষকেরা। এদিকে, ধান কাটতে চাপ বাড়ায় অধিক টাকা ব্যয় করেও শ্রমিক মিলছে না কৃষকদের। ধান কেটে ঘরে তোলা নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন তারা। গত বছর স্থানীয় শ্রমিকেরা ধান কাঁটা ও বাঁধায় বিঘা প্রতি ২ হাজার টাকা নিলেও বর্তমানে তা বেড়ে ৩ হাজার টাকায় পৌঁছে।

উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে আলমডাঙ্গায় বোরো চাষ হয়েছে ১৪ হাজার হেক্টর জমিতে।

কালিদাসপুর গ্রামের কৃষক মনজু আহমেদ নামে এক কৃষক বলেন, তীব্র দাবদহে পর থেকে প্রকৃতির বৈরিতা চলছে। পরপর ২ দফায় কাল বৈশাখী তাণ্ডব চালিয়েছে মাঠগুলোতে। ফলে অনেক গাছ মাটিতে লুটিয়ে পড়েছে। বৃষ্টির পানির পরিমাণ কম হলেও নিচু জায়গা গুলোতে হঠাৎ বৃষ্টিতে প্লাবিত হবার শঙ্কায় রয়েছে কৃষকেরা। ধান ঘরে তুলতে ব্যস্ত সময় পার করছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর ফলন হবে অনেক কম। গেলো বছরগুলোতে প্রতি বিঘা জমিতে ২৫-২৮ মণ ধান পাওয়া গেছে। এ বছর ১৮-২০ মণ ধান পাওয়া কঠিন। সব মিলিয়ে হতাশার মধ্যে আছি।

আইলহাঁস গ্রামের কৃষক মফিজ উদ্দীন জানান, একদিকে মাঠের পর মাঠ ধান নুয়ে পড়ে আসে কিন্তু কাটার মতো শ্রমিক নেই। অল্প কিছু শ্রমিক কাজ করছে। তারপর তাদের কাজ দিতে হচ্ছে উচ্চ মূল্য। গত বছর এক বিঘা জমির ধান কাটতে কাটতে খরচ হয়েছে ২ হাজার টাকা, এ বছর লাগছে ৩ হাজার টাকা। এরপরও শ্রমিক পাওয়া যাচ্ছে না।

নাগদাহ গ্রামের কৃষক সারোয়ার হোসেন জানান, এ বছর সবদিক দিয়ে কৃষকের লোকশান। একদিকে শ্রমিক সংকট অন্যদিকে বাজারে দাম পাওয়া যাচ্ছে না।

তিনি আরো জানান, আকাশে রোদ মেঘের খেলায় আতঙ্কের মধ্যে যাচ্ছি। ৫ বিঘা জমির ধান ক্ষেতে পড়ে আছে। ঝড় বৃষ্টি হলেই ধান ঝরে পড়বে। এতে বড় লোকসানের মধ্যে পড়তে হবে। সরকারি দাম ১২’শ টাকা নির্ধারণ করলেও খুচরা বাজারে ১ হাজার থেকে ১১’শ টাকায় ক্রয় করছে আড়ৎ মালিকেরা।

আলমডাঙ্গা মিল মালিক সংগঠনের সভাপতি আশরাফুল ইসলাম জানান, উঠতি মৌসুমের ধান ইতোমধ্যে বাজারে আসতে শুরু করেছে। বর্তমানে বাজারে আসা ধানে আদ্রতা ও চিটার পরিমাণ অনেক বেশি। ফলে এসব ধান বেশি দামে কিনলে লোকশান গুনতে হবে আমাদের। তাই বাজারে ধানের দাম কিছুটা কম।

আলমডাঙ্গা খাদ্য নিয়ন্ত্রক জানান, এরইমধ্যে সরকারিভাবে ধান সংগ্রহ শুরু হয়েছে। সরকারের শুরু হওয়া ধান ক্রয় কার্যক্রম বেগবান হলেই বাজারে ধানের দাম বাড়বে বলে আশা করা যাচ্ছে।