গাংনীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে চাচাতো ভাইয়ের হাতে ভ্যানচালক খুন

মেহেরপুরের গাংনীতে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরে আব্দুল আলীম (৫০) নামের এক ভ্যান চালককে উপর্যপুরি কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।

শুক্রবার (২৮এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মোহম্মদপুর গ্রামের পূর্বপাড়া মাঠে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আব্দুল আলীম ঐ গ্রামের পশ্চিম পাড়ার আব্দুল গণির ছেলে। নিহতের চাচাকে হামলা কারিদের হাত থেকে বাঁচাতে আব্দুল আলীম খুন হয়েছে বলে দাবী পরিবারের।

নিহতের পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, শরিকানা জমি ভাগাভাগি নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। নিহতের অংশ বিক্রি হয়ে গেলেও গতকাল বৃহষ্পতিবার শরিকদের মধ্যে জমি ভাগ হয়। আজ সকালে জমিতে গেলে আগে থেকে প্রস্তুত প্রতিপক্ষ জমির বর্তমান মালিক ও নিহতের চাচা একই এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে খলিলুর রহমানের ওপর হামলা করলে, নিহত আব্দুল আলিম বাঁধা দিলে তাকে দেশিয় অস্ত্র (ফলা, হাতুড়ি, লোহার রড ও হাসুয়া) দিয়ে উপর্যপুরি কুপিয়ে ঘটনা স্থলেই মৃত্যু নিশ্চিত করে পালিয়ে যায়। এসময় আশপাশের মাঠের লোকজন ছুটে এসে আহত খলিলুর রহমানকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।

নিহত আব্দুল আলীমের স্ত্রী মানিয়ারা জানান, আমাদের জমির অংশ অনেক আগেই বিক্রি করে দিয়েছি। আমার স্বামীর সাথে কারও বিরোধ নেই। আমার চাচা শশুর খলিলুর রহমান আজ আবার নতুন করে জমি ভাগাভাগি করছিল। এসময় আমার আর এক চাচা শশুর আব্দুল কাদেরের ছেলে আব্দুর হান্নান, সাহাদত ও বান্টু ও তার ছেলেরা খলিলুর রহমানের ওপর হামলা করে। এসময় তাকে বাঁচাতে গেলে রাগান্বিত হয়ে হামলাকারিরা আমার স্বামীকেই খুন করে পালিয়ে যায়।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে একটি হত্যার ঘটনা ঘটেছে সংবাদ পেয়ে সাথে সাথে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়। এবং ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে স্থানীয় লোকজনের সাথে বিস্তারিত জেনেছি। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মেহেরপুর জেনারেল হাসাপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে হত্যাকারীদের গ্রেফতার করতে পুলিশ কাজ করছে।




মেহেরপুরে সেই চার সাংবাদিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট

প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের ভিডিও ধারণ করা তারপর ব্ল্যাকমেইল করে অর্থ আদায় চক্রের হোতা মেহেরপুরের চার সাংবাদিকসহ ১৭ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ।

গত ১১ এপ্রিল মেহেরপুরের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবির এস আই আশরাফ আলী। মামলায় শিল্পতি হাবিবুর রহমান, অ্যাড. কামরুল ইসলামসহ ১৮ জনকে অব্যহতি দেওয়া হয়েছে। এবং ১০জনকে সাক্ষী করা হয়েছে। আগামী ৮মে এই মামলার দিন ধার্য রয়েছে বলে একটি সূত্রে জানা গেছে।

অভিযুক্তরা হলেন- বাংলাভিশন ও নিউজ ২৪ চ্যানেলের মেহেরপুর প্রতিনিধি মুস্তাফিজুর রহমান ওরফে তুহিন আরন্য, ডিবিসি টেলিভিশনের সাংবাদিক আবু আক্তার করন, দেশ টিভির সাংবাদিক রোকসানা আরা, এশিয়ান টিভির সাংবাদিক মিজানুর রহমান জনি, কথিত সাংবাদিক নাজনিন খান প্রিয়া, ছন্দা খাতুন, আটলান্টিক হোটেল মালিক মতিয়ার রহমান, তার ছেলে মামুন জোয়ার্দার, আব্দুস সালাম, হাসিবুল হক জয়, নেহাল আল মুকিত, শাহাজান আলী, মোছা. রুপা, নুসরাত, বর্ষা, সুমন রহমান বিমান ও বিপাশা। এদের মধ্যে মিজানুর রহমান জনি, নাজনিন খান প্রিয়া, ছন্দা খাতুন, মতিয়ার রহমান, মামুন জোয়ার্দার, হাসিবুল হক জয়, শাহাজান আলী, নেহাল আল মুকিত পুলিশের হাতে আটক হয়ে হাজতবাস করেছেন। বর্তমানের তারা জামিনে আছেন। বাকিরা আত্মগোপনে রয়েছেন।

জানা গেছে, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে পেনাল কোডের ৪১৭/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারাসহ ২০১২ সালের পর্নোগ্রাফী নিয়ন্ত্রণ আইনের ৮(১),৮(২), ৮(৩), ৮(৪) ধারায় অপরাধ প্রাথমিকভাবে সত্যবলে প্রমানিত হওয়ায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা।

মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধান ও ওই সময় পুলিশের তথ্য থেকে জানা যায়, একটি নারী চক্র গড়ে তুলে মেহেরপুর শহরের আভিজাত শ্রেনীর হোটেল আটলান্টিকার মালিক মতিয়ার রহমান ও তার ছেলে মামুন বিভিন্ন ব্যবসায়ী, সরকারি কর্মকর্তা বা অভিজাত শ্রেনীর মানুষকে সুন্দরী নারী দিয়ে প্রেমের ফাঁদে ফেলে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করে তা ভিডিও ধারণ করেন। এবং সেই ভিডিও দিয়ে ব্লাকমেইল করে অর্থ হাতিয়ে নিচ্ছিল। এই চক্রে বিভিন্ন এলাকার প্রায় ডজ্জনখানেক সুন্দরী নারী জড়িত ছিলো। তাদের পৃষ্ঠপোষক করতো মেহেরপুরের চার সাংবাদিকও।

জানা গেছে, গত বছরের ২২ নভেম্বর মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি গ্রামের মনোয়ার হোসেন নামের এক এনজিও কর্মী সদর থানায় নারী চক্রের প্রধান হোতা প্রিয়া খানকে আসামি করে দণ্ডবিধির ৪১৭/৩৮৫/৩৮৬/৫০৬ ধারায় একটি মামলা করেন। মামলা দেওয়ার পর পুলিশ বিভাগ তদন্ত শুরু করেন। তদন্তে নানা চাঞ্চল্যকর তথ্য বেরিয়ে আসে। তদন্তের অংশ হিসেবে হোটেল আটলান্টিকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ হোটেল মালিক মতিয়ার, তার ছেলে মামুন ও ছন্দা খাতুনকে আটক করে। তার আগে মামলার দিনই পুলিশ শহরের হোটেল বাজার এলাকা থেকে নাজনিন খান প্রিয়াকে আটক করে।

ওই মেহেরপুরের জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে ছন্দা খাতুন ১৬৪ ধারায় জবানবন্দী প্রদান করেন। জবানবন্দীর ওই কপি মেহেরপুর প্রতিদিনে এসে পৌছালে গত বছরের ১ ডিসেম্বর মেহেরপুর প্রতিদিন জবানবন্দী নিয়ে ফলাও করে তার প্রকাশ করলে মেহেরপুর সহ সারাদেশে ওই সংবাদ আলোড়ন সৃষ্টি করে।
জবানবন্দীতে ছন্দা খাতুন এই চক্রের মুখোশ খুলে দেয়। তার জবানবন্দীতে মেহেরপুরের চার সাংবাদিক, কয়েকজন নারীর কথা উঠে আসে। উঠে আসে কয়েকজন আইনজীবীর কথাও। তবে জবানবন্দীতে দেওয়া তথ্যমতে প্রায় সব আসামি পুলিশের চার্জশিটে অভিযুক্ত হলেও কামরুল ইসলাম ওই আইনজীবীকে চার্জশীট থেকে পুলিশ অব্যহতি দেয়।

ছন্দার জবানবন্দী থেকে ওই সময় জানা যায়, বিগত ২/৩ বছর যাবৎ সাংবাদিক তুহিন অরন্য, আবু আক্তার করন, মিজানুর রহমান জনি, রেকসোনা, মানবতার চোখের সাংবাদিক শাহজাহান মেয়েদের মধ্যে বর্ষা, নুসরাত, প্রিয়া, হোটেল মালিক এর ছেলে মামুন সহ অজ্ঞাতনামা কয়েক জন মিলে মেহেরপুর আটলান্টিক হোটেলে কৌশলে ভিডিও ধারন করে ও ব্লাকমেইল করে বিভিন্ন ধনী ব্যক্তি, ব্যবসায়ী, বড় চাকুরীজীবীসহ বিভিন্ন লোককে এই ফাঁদে ফেলে চাঁদা আদায় করে চলেছে। মামুন তাকে প্রতি নিয়ত ভিডিও ফাঁস করার ভয় দেখিয়ে ব্যবহার করতো। সাংবাদিক রেকসোনা, বর্ষা, প্রিয়া, রুপা, নুসরাত এরা বেশি বাইরে যেয়ে বিভিন্ন মানুষের সাথে ঘনিষ্ট হয়ে ভিডিও ধারন করে চাঁদা দাবী করে। পুলিশ এর কথা বললে মতিয়ার তাকে জানায় পুলিশকে প্রতি মাসে টাকা দিয়ে কিনে রেখেছি। পুলিশ তার কিছুই করতে পারবে না। মতিয়ার এই ব্যবসা করে প্রচুর টাকার মালিক হয়েছে। আমঝুপির মৃত মোজাফফর হোসেনের ছেলে সাইদ ওই হোটেলে নিয়মিত যাওয়া আসা করে। কিছুদিন আগে তাকে ব্ল্যাক মেইল করেও অনেক টাকা নিয়েছে এই চক্রটি।

এদিকে, হোটেল আটলান্টিকার কাণ্ড নিয়ে তোলপাড় শুরু হলে ক্রমশই হোটেলটি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় হোটেল মালিক মতিয়ার রহমান। বর্তমানে হোটেল আটলান্টিক বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে বলে জানা গেছে।




সচেতন ও কার্যকর দায়িত্ব পালন করতে হবে- সাহিদুজ্জামান খোকন এমপি

অকুতোভয় তারুণ্যের সমাবেশ,গড়বো আগামীর সোনার বাংলাদেশ ” এই প্রতিপাদ্য কে ধারণ করে গাংনীতে দিনব্যাপি তৃতীয় ইয়ুথ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল  বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টায় গাংনী অডিটোরিয়ামে শুরু হয়ে দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত ইয়ুথ কনফারেন্সে অনুষ্ঠিত হয়েছে।

দি হাঙ্গার প্রজেক্ট এর সহযোগী প্রতিষ্ঠান ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গারের গাংনী উপজেলার সকল ইউনিটের আয়োজনে এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।

তৃতীয় ইয়ুথ কনফারেন্স এর আহবায়ক জেলা ইয়ুথ কোর্ডিনেটর ইনজামামুল হকের সভাপতিত্বে এবং ইরফানা তাসনুবা অদিতি এর সঞ্চালনায় প্রথম পর্বের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ খালেক এবং বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু, জাতীয় কন্যা শিশু এডভোকেসী ফোরামের জেলা সভাপতি সিরাজুল ইসলাম , দি হাঙ্গার প্রজেক্টের যশোর অঞ্চলের কোর্ডিনেটর খোরশেদ আলম। অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন সুজন এর জেলা সাধারণ সম্পাদক ও লুৎফুন্নেছা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সৈয়দ জাকির হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাংবাদিক রফিকুল আলম বকুল, গাংনী উপজেলা সাধারণ সম্পাদক এ এস এম আবু সাদাত সায়েম, প্রভাষক শফি কামাল পলাশ, দি হাঙ্গার প্রজেক্টের হাংনী এলাকা সমন্বয়কারী হেলাল উদ্দীন , সাংস্কৃতিক কর্মী ও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আজিজুল হক রানু, জিজিএস ফোরামের সভাপতি মো: আব্দুর রব ।

অনুষ্ঠানে ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার এর ফিরোজ আহম্মেদ পলাশ, শিরিন শারমিন,হুসাইন বাদশা, ইশরাত জাহান ইভা, মাহফুজ রাব্বি অনিক, রাকিবুল ইসলাম রকি সহ ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার এর সদস্যরা।দি হাঙ্গার প্রজেক্টের সহযোগী সংগঠন ইয়ুথ এন্ডিং হাঙ্গার এর সদস্যরা স্যানিটেশন, শিক্ষা স্বাস্থ্য সহ দেশের যে কোন প্রয়োজনে কাজ করে থাকে। বিশেষ করে করেনা মোকাবিলায় এ সংগঠনের সদস্যরা নিজের জীবনকে বাজী রেখে সম্মুখ সারির যোদ্ধা হিসেবে কাজ করেছে।

অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর ২ ( গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য সাহিদুজ্জামান খোকন।

প্রধানঅতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন এমপি বলেন, সবাইকে নিয়মের মধ্যে দিয়ে সহনশীল আচরণ, দায়িত্ববোধ তৈরি ও ভাল কাজের মধ্যে দিয়ে দেশের ও মানুষের প্রতি কর্তব্য পালন করতে হবে। এ দেশকে গড়ে তোলার দায়িত্ব তোমাদের মতো তরুনদের। আগামীর বাংলাদেশ তোমাদের হাত দিয়েই গড়ে উঠবে। তোমাদেরকে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র প্রয়াসের মাধ্যমে কাজ করতে হবে। আমাদের যুব সমাজ আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। মাদকদ্রব্য, মোবাইল আসক্তিতে আজ যুব সমাজ ডুবে গেছে। তোমাদেরকে সচেতন ও কার্যকর দায়িত্ব পালন করতে হবে। নিজেদেরকে আগামীর বাংলাদেশ, স্মার্ট বাংলাদেশের নাগরিক হতে হলে তোমাদের প্রকৃত শিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে, তোমাদের দায়িত্ব নিয়ে সমাজের জন্য কাজ করতে হবে। মনোযোগ দিয়ে শুনতে হবে , হুদয় দিয়ে অনুধাবন করতে হবে। ভাল মানুষ হতে হলে তোমাদের নিজের দায়িত্ববোধ নিয়ে সমাজের জন্য, পরিবারের জন্য কাজ করতে হবে। তিনি দি হাঙ্গার প্রজেক্টের বিভিন্ন উদ্যোগের প্রশংসা করেন। বিশেষ করে করোনাকালীন মানুষের পাশে থাকার জন্য হাঙ্গার প্রজেক্টের কথা উল্লেখ করেন। তরুনদের উদ্দেশ্য তিনি বলেন, তোমার যে কাজটা করবে অবশ্যই ভালভাবে মনোযোগ দিয়ে করতে হবে। সফলতা নিজের কাছে সুতরাং তোমাদের অবশ্যই মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে। তিনি ইয়ুথ সদস্যদের উদ্দেশ্য বলেন, সময়ের কাজ সময়ে করতে হবে, নিজের যোগ্যতায় কাজ করতে হবে। স্বনির্ভর বাংলাদেশ গড়তে হলে তোমাদের কাজ করতে হবে। মানবিক মুল্যবোধ নিয়ে কাজ করতে হবে। শতভাগ মনোযোগ দিয়ে তোমাদের কাজ করতে হবে। তিনি বলেন,তোমরাই আগামীর বাংলাদেশ। অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপ্ত হয়।




গাংনীর করমদি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবীনবরণ, বাইসাইকেল বিতরণ

গাংনী উপজেলার করমদী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের নবীন বরণ ও বিদায় অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার  সকালে বিদ্যালয়ের সভাপতি এমপি পত্নি লাইলা আরজুমান বানুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এই নবীনবরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন মেহেরপুর-২ আসনের জাতীয় সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক, আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুজ্জামান আতু প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শুরুতে নবীন ও বিদায়ী ছাত্র-ছাত্রীদের ফুল দিয়ে বরণ করা হয়। এসময় বিদ্যালয়ের ১৬ জন অস্বচ্ছল ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে বাই সাইকেল বিতরণ করা হয়। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষর্থী ও অভিভাবকববৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

এর আগে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি প্রাচির নির্মাণ কাজের অনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন এমপি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন এমপি। এসময় ব্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ, শিক্ষার্থী ও সুধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




জীবননগরে রয়েল এক্সপ্রেস টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন

জীবননগর রয়েল এক্সপ্রেস টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১০টার সময় জীবননগর শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়াম মাঠ এ খেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে কোয়ার্টার ফাইনাল খেলার উদ্বোধন করেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ নজরুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আবু মোঃ আব্দুল লতিফ অমল, জীবননগর পৌর সভার মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম , বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট টিমের খেলোয়ার ইমরুল কায়েস,জীবননগর পৌর আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ মুন্সী নাসির উদ্দিন, জীবননগর পৌর যুবলীগের সভাপতি শাহ আলম মোঃ শরিফুল ইসলাম ছোট বাবুসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও সাবেক খেলোয়াড়বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




ভয়ঙ্কর যুবলীগ নেতা মিঠু!

চাঁদাবাজি, বোমাবাজি, চুরি, নির্যাতন, হত্যা, নারী লোভী এমন কোন অপরাধ নেই যে নামের সাথে জড়াননি মিঠু। এত অপকর্মের হোতা আরিফুল ইসলাম মিঠুর বিরুদ্ধে এবার ফূঁসে উঠেছে গ্রামবাসী। অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম মিঠু মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং মহাজনপুর গ্রামের রেজাউল হকের ছেলে। তার বিরুদ্ধে হত্যা, চাঁদাবাজি, বোমাবাজিসহ ৫টি মামলা চলমান রয়েছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে মহাজনপুরে এসকল অপকর্ম তুলে ধরে তার থেকে রক্ষা পেতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচী পালন করেছে স্থানীয় রাজনীতিবীদ ও গ্রামবাসীরা। মানববন্ধনে প্রায় দুই শতাধিক নারী পুরুষ অংশ নেন। তবে গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের কথা জানতে পেরে আত্মগোপনে রয়েছেন অভিযুক্ত আরিফুল ইসলাম মিঠু।

মানবন্ধনে মিঠুর বিভিন্ন অপকর্ম তুলে ধরে বক্তব্য দেন, মহাজনপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য সোহরাভ হোসেন কালু, ৬ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য মো. ফিদু, সাবেক সদস্য জহুরুল ইসলাম স্বপন, সাবেক সদস্য আব্দুল হান্নান, মুজিবনগর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক আহবায়ক শেখ মিসকিন, মুজিবনগর উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হেলাল উদ্দিন, মহাজনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইমাম হোসেন ইমন, আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল গণি, আব্দুল বারি, মজিবার রহমানম, বিএনপি নেতা আমির হোসেন, মসজিদের ইমাম মো. আজবাহার, যুব মহিলালীগ নেত্রী গুলশানারা রুনু, স্থানীয় অঅনারুল ইসলাম, সায়েম খন্দকার প্রমুখ।

মানববন্ধনে তারা লিখিত বক্তব্যে বলেন, সাংসারিক অভাব অনটনের কারণে মিঠু মামাদের পরিবারে থেবে বেড়ে ওঠে। তার মামা ইজারুল ইসলাম ও মো. এনামূল হকের ছত্রছায়ায় অত্যন্ত বেপরোয়া হয়ে ওঠে এবং বিভিন্ন অপকর্মে সক্রিয়ভাবে জড়িয়ে পড়ে। যতবার অপকর্ম করেছে তারা মামারা তাকে প্রত্যক্ষভাবে সহযোগীতা করেছে।

বিভিন্ন সময়ে চাঁদা না দেওয়ার কারণে আব্দুল গণিকে মহাজনপুর হাটে প্রকাশ্য পিলারের সাথে বেধে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করে মিঠু। মহাজনপুর উত্তর পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আবেদ আলীর বাড়িতে বোমাবাজি করে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। বাবপুর গ্রামে সংখ্যালঘু হিন্দু পরিবারের সদস্য রতন চাঁদা দিতে না পারায় মিঠু নিজেই রতনের বাড়িতে বোমা নিক্ষেপ করে। যে মামলা আদালতে বিচারাধীন।

মহাজনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনে তিন অভিভাবক সদস্য প্রার্থীকে রাতের অন্ধকারে পিস্তল ঠেকিয়ে নির্বাচন থেকে সরে যাওয়ার জন্য হুমকি দিয়েছিলো মিঠু। একই বছরে সাবেক সংরক্ষিত মহিলা ইউপি সদস্য মোছা. গুলতা খাতুনের বাড়ি জবর দখলে নিয়ে নিজে ঘর তৈরি করে। মহাজনপুরের সার ও ডিজেল ব্যবসায়ী সুবোল চন্দ্র সাহা হত্যা মামলারও আসামি মিঠু।

মহাজনপুর ইউপি নির্বাচনের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থী মোঃ সোহরাব হোসেন কালুর মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর জন্য হুমকি প্রদর্শন করে। একই বছর তার শ^শুর বাড়িতে সন্ত্রাসীদের নিয়ে মিটিং চলা অবস্থায় তৎকালীন মুজিবনগর থানার ওসি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘেরাও করলে সে কয়েক রাউন্ড গুলি এবং আগ্নেয়াস্ত্র ফেলে পালিয়ে যায়।

গত বছর নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ফেরদৌস আলী ফিদুর ভাড়ায় চালিত মাটিকাটার যন্ত্র এক্সকাভেটর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া এবং দুই বিঘা কলা ও পেঁপে গাছ রাতের অন্ধকারে কেঁটে দেওয়ার অভিযোগও রয়েছে মিঠুর বিরুদ্ধে। প্রতিবেশী দিনমজুর ফজলু তার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে নিজ গ্রাম ছেড়ে ভবানীপুর গ্রামে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়। চলতি বছরের গত ২৮ মার্চ হেলাল উদ্দীন তাপুর মহাজনপুর হাটের কাছে অবস্থিত বাড়ি মিঠু তার মামাদের সহযোগীতায় ভাংচুর করে এবং বাড়ি সংলগ্ন দোকানের মালামাল লুটপাট করে। তাপুর মামা আব্দুল মান্নান এর প্রতিবাদ করায় পরদিন ২৯ মার্চ বিকালে মিঠু আব্দুল মান্নানকে দেশিয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে। গ্রামে মিঠু এবং তার পরিবার ক্যাসিনো সম্রাট (অনলাইন জুয়া) নামে পরিচিত। বিভিন্ন মানুষের কাছ থেকে এজেন্ট ব্যাংক এবং চ্যানেল দেওয়ার নাম করে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

অভিযুক্ত যুবলীগ নেতা আরিফুল ইসলাম মিঠুর সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সে আত্মগোপনে থাকায় কথা বলা সম্ভব হয়নি।

এ ব্যাপারে মুজিবনগর উপজেলা যুবলীগের সভাপতি কামরুল হাসান চাদু বলেন, মহাজনপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম মিঠুর বিরুদ্ধে অনেকগুলো অভিযোগ পেয়েছি। আমরা সাংগঠনিকভাবে তদন্ত করে জেলা কমিটির নির্দেশনা মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল জানান, আরিফুল ইসলাম মিঠুর নামে সম্প্রতি একটিসহ একাধিক মামলা রয়েছে। সে আত্মগোপনে রয়েছে। তাকে আটকের চেষ্টা চলছে।




চুয়াডাঙ্গায় জোড়া খুন মামলার অন্যতম পলাতক আসামী হৃদয় গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গার চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন মামলার অন্যতম পলাতক আসামী হৃদয়কে গ্রেফতার করেছে র‌্যাব-৬।

গত ২৫ এপ্রিল বিকেলে স্থানীয় মোছাঃ ছামেনা খাতুন কাপড় ক্রয় করার জন্য চুয়াডাঙ্গা জেলা সদর থানাধীন ভালাইপুর বাজারের মঙ্গল মার্কেটে যায়। সেখানে কাপড় ক্রয়-বিক্রয়কে কেন্দ্র করে আশরাফুল বস্ত্রালয়ের কর্মচারী রিয়ন এর সাথে তার বাকবিতন্ডার সৃষ্টি হয়। মোছাঃ ছামেনা খাতুন বাড়িতে গিয়ে বিষয়টি তার ছেলে মোঃ টিপুকে জানায়। মোঃ টিপু তার বন্ধু ভিকটিম সজল ও মামুনদ্বয়কে নিয়ে একই তারিখ রাতে বাজারে গিয়ে কর্মচারী রিয়নকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। তখন মোঃ টিপুদের সাথে রিয়নের পক্ষের লোকজনদের মধ্যে মারামারি শুরু হয়। একপর্যায়ে রিয়নের পক্ষের লোকজন ধারালো চাকু, হাসুয়া ইত্যাদি দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ভিকটিম সজল ও মামুনকে এলোপাতাড়িভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।

তাৎক্ষনিক স্থানীয় লোকজন তাদেরকে চিকিৎসার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ভিকটিম সজল ও মামুনদ্বয়কে মৃত ঘোষণা করে। এ বিষয়ে ভিকটিম মামুনের ভাই স্বপন আলী বাদী হয়ে গত ২৬ এপ্রিল চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। বিষয়টি বিভিন্ন মিডিয়ায় ব্যাপকভাবে প্রচারিত হয় এবং জনমনে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।

এরই ধারাবাহিকতায় আজ বৃহস্পতিবার র‌্যাব-৬, ঝিনাইদহ ক্যাম্পের একটি আভিযানিক দল গোপন তথ্যের মাধ্যমে জানতে পারে যে, উক্ত চাঞ্চল্যকর জোড়া খুন মামলার অন্যতম পলাতক আসামী হৃদয় চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর থানা এলাকায় অবস্থান করছে।

প্রাপ্ত সংবাদের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের উদ্দেশ্যে আভিযানিক দলটি একই তারিখ চুয়াডাঙ্গা জেলার সদর থানাধীন হুসুকপাড়া এলাকায় একটি বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে উক্ত হত্যা মামলার অন্যতম পলাতক আসামী- হৃদয়(২৭) কে গ্রেফতার করে।




কোটচাঁদপুরের আর্দশপাড়ায় প্রবাসীর বাড়িতে চুরি

গতকাল বুধবার রাতে কোটচাঁদপুরের আর্দশপাড়ার মফিজুর রহমানের বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে।

ভুক্তভোগী মফিজুর রহমান বলেন, গতকাল বুধবার (২৬ এপ্রিল) তারিখ রাতে আমার কোটচাঁদপুরের আর্দশপাড়ার বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় তারা নগদ ৭০ হাজার টাকা, ৫ হাজার বিদেশি টাকা,বিভিন্ন প্রকার ৫ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার ও ব্যবহারের অনেক কিছু নিয়ে গেছেন চোরেরা। সব মিলিয়ে ৭ লাখ টাকার ক্ষতি সাধিত হয়েছে বলে দাবি তাঁর।

তিনি বলেন, যশোরের মনিরামপুর পার খাজুরা গ্রামে আমার আরেকটি বাড়ি রয়েছে। ঈদে সবাই মিলে ওই বাড়িতে গিয়ে ছিলাম। আজ  বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) সকালে জানতে পারলাম, আমার কোটচাঁদপুরের বাড়িতে চুরি হয়েছে।

মফিজুর বলেন,চোরেরা প্রথমে আমার ছাদের ঘরের দরজা ভেঙ্গে বাড়িতে প্রবেশ করেন। এরপর ঘরের দরজা ভেঙ্গে সবকিছু নিয়ে যায়। জানা যায়, মফিজুর রহমান ছিলেন বিদেশ প্রবাসি। গেল কয়েক মাস হল তিনি বাড়িটি নির্মান করেছেন।

এ ব্যাপারে তিনি কোটচাঁদপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন বলে জানা গেছে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার ডিউটিরত উপপরিদর্শক (এসআই ) শাহ মোঃ আজিজ বলেন, চুরির ঘটনায় থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী। ওসি স্যার ও সার্কেল স্যার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন।




এইচএসসি পাসে নিয়োগ দেবে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্স। প্রতিষ্ঠানটিতে এ্যভিয়েশন সিকিউরিটি পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

এ্যভিয়েশন সিকিউরিটি।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে এইচএসসি বা সমমান পাস হতে হবে। বয়স ২১ থেকে ৩০ বছর। শারীরিকভাবে সুঠামদেহের অধিকারী হতে হবে। ন্যূনতম উচ্চতা ৫.৬”। অবসরপ্রাপ্ত সশস্ত্র বাহিনী/ বিজিবি/ পুলিশ/আনসার সদস্যদের জন্য বয়স সর্বোচ্চ- ৪০ বছর। প্রার্থীদের অবশ্যই জাতীয় পরিচয় পত্র থাকতে হবে ।

কর্মস্থল

কক্সবাজার, ঢাকা (শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর)।

বেতন

জয়েনিং- ১৭,৫০০/- থেকে ১৮,০০০/-।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

১১ মে, ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




মুজিবনগরে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু

মেহেরপুরের মুজিবনগর দারিয়াপুর মাঠে শাহাবুদ্দিন (৪০) নামের এক কৃষক বজ্রপাতে নিহত হয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টার দিকে বিদ্যাধরপুর বাউন দা মাঠে এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। নিহত শাহাবুদ্দিন বিদ্যাধরপুরের মৃত আলিমুদ্দিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানান, শাহাবুদ্দিন ঘটনার সময় নিজ জমিতে কাজ করছিলেন। এসময় হঠাৎ কালবৈশাখি ঝড় ও ব্রজপাতের ঘটনা ঘটে। বজ্রপাতে শাহাবুদ্দিন ঘটনাস্থলে মারা যায়।