দামুড়হুদায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে সেমিনার অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদায় জাতীয় আইনগত সহায়তা দিবস উপলক্ষে আইনগত সহায়তা বিষয়ে উপজেলা পর্যায়ে সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বুধবার দুপুর ৩টায় উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটির আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সম্মেলন কক্ষে এই সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সভাপতি ও দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু’র সভাপতিত্বে সেমিনারে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা লিগ্যাল এইড অফিসার (সিনিয়র সহকারী জজ) মো: সাইফুদ্দীন হোসাইন।

উপজেলা লিগ্যাল এইড কমিটির সদস্য সচিব ও দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও রোকসানা মিতা’র সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা খাতুন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকী সালাম, উপজেলা সমাজসেবা অফিসার তোফাজ্জল হক, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ: করিম বিশ্বাস, দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার এসআই শেখর চন্দ্র মল্লিক, দর্শনা থানার অফিসার এসআই সোহেল রানা, দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শেখ হাতেম, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমানসহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ।




গুগল অথেনটিকেটরে অবশেষে টুএফএ কোড

গুগল অথেনটিকেটরকে ক্রেতারা বহুদিন অনুরোধ করছে গুগল অ্যাকাউন্টে যেন টু-ফ্যাক্টর অথেনটিকেশন কোড চালু করা হয়। অবশেষে এই চাহিদা পূরণ হতে চলেছে। এখন যে কেউ নতুন ফোনে লগিন করলে অথেনটিকেটর তার নিজস্ব সেটাপ প্রসেস বাদেই কাজ করবে। তারমানে এখন যদি আপনি আপনার ফোন হারান তাহলে পুরনো ফোনের ডাটা খুঁজে পাওয়া আরও জটিল কাজ হয়ে উঠবে।

ক্লাউড সিংকিং এমনিতেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তবে গুগলই এই বিষয়টিকে ২০১০ সাল থেকে ব্যাপক জনপ্রিয় করে তুলেছে। যাহোক, গুগলের ক্লাউড সিংকিং টু-ফ্যাক্টর কোড চালু করতে হলে অথেনটিকেটরের লেটেস্ট ভার্সনটি ইন্সটল করতে হবে।

আপনার নতুন ডিভাইসে কোডগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবেই স্টোর করা থাকবে। অনেকের জন্য এটি একটি স্বস্তির বিষয়। এখন কোড ব্যবহার করা হবে আরও সহজ। অনেক অ্যাপেই অথেনটিকেটর ব্যবহার করা সহজ। এসএমএস কোডের মাধ্যমেই করা যায়। গুগলের ক্ষেত্রেও এই সুবিধাটির জন্য অনেকে অপেক্ষা করছিলেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনী সূর্যোদয় স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালকের বিরুদ্ধে অভিভাবকের অভিযোগ

গাংনী সূর্যোদয় স্কুল এন্ড কলেজের বহুল আলোচিত পরিচালক আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে এবার সাজ্জাদ হোসেন নামের একজন অভিভাবক ইউএনও বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তার মেয়ে ফারজানা সাজ্জাদের এসএসসি পরীক্ষার প্রবেশপত্র নিতে গেলে অতিরিক্ত ২৪ শ টাকা দাবী করে প্রবেশপত্র আটকিয়ে রেখেছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে (ইউএনও) দেওয়া লিখিত অভিযোগের অনুলিপি গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও মেহেরপুর প্রতিদিনকেও দিয়েছেন অভিযোগকারী সাজ্জাদ হোসেন।

লিখিত অভিযোগে সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমার মেয়ে ফারজানা সাজ্জাদ গাংনী সূর্যোদয় স্কুল এন্ড কলেজ থেকে চলতি বছরে এসএসসি পরীক্ষার্থী। জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত তার স্কুলের বেতন পরীক্ষার ফিস ও অন্যান্যসহ সমস্ত বকেয়া পরিশোধ আছে। আমি আমার মেয়ের পরীক্ষার প্রবেশপত্র আনার জন্য সূর্যোদয় স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক আবুল কাসেমের কাছে যায়। প্রবেশপত্র চাইলে তিনি অতিরিক্ত ২৪ শ টাকা দাবী করেন। তার দাবীকৃত ২৪’শ না দিলে প্রবেশপত্র দেবেনা বলে জানান তিনি। এই টাকা কেনো চাচ্ছেন এমন প্রশ্ন করলে তিনি কোনো জবাব না দিয়ে বলেন আমি প্রবেশপত্র বাবদ ২৪ শ টাকা পেয়ে থাকি। তোমাকেও ২৪ শ টাকা দিতে হবে। আমি গরীব মানুষ অতিরিক্ত টাকা দেওয়ার সামর্থ নেই। মেয়ের পরীক্ষা পাওয়ার জন্য সাজ্জাদ হোসেন ইউএনও’র সুদৃষ্টি কামনা করেছেন।

গাংনী সূর্যোদয় স্কুল এন্ড কলেজ থেকে চলতি বছরে ৪৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেবে বলে জানায় বিদ্যালয়ের একটি সূত্র।

এব্যাপারে গাংনী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মীর হাবিবুল বাশার বলেন, একটি লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। সাজ্জাদ হোসেন নামের এক অভিভাবক এই অভিযোগ ইউএনও স্যারকে দিয়েছে। তারই অনুলিপি আমাকে দিয়েছেন। আমি সাথে সাথে সূর্যোদয় স্কুল এন্ড কলেজের পরিচালক আবুল কাসেম সাহেবকে ফোন দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, এর আগে বিদ্যালয়ের এক প্রাক্তন শিক্ষক তার শিক্ষা সনদ ও বকেয়া বেতন পরিশোধ না করার কারণে আবুল কাসেমের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সহকারি বজলুর রহমান বলেন, লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। অভিযোগটি ডকেট করে ইউএনও স্যারের বরাবর পাঠানো হয়েছে।




জওয়ানের ফাঁস হওয়া সকল দৃশ্য মুছে ফেলতে হাইকোর্টের নির্দেশ

পাঠানের দুর্দান্ত সাফল্যের পর শাহরুখ খানের আগামী ছবি জওয়ান নিয়েও ভক্তদের আগ্রহের শেষ নেই। শাহরুখের ফার্স্ট লুক পোস্টার মুক্তির পরই ছবি নিয়ে সবার মধ্যে উত্তেজনা ক্রমশ বাড়ছে। ব্যান্ডেজ বাঁধা শাহরুখের রক্তাক্ত মুখের ভয়ংকর পোস্টার আর টিজারে বলিউড বাদশার সেই ভিলেন হাসিতে শিরদাঁড়া দিয়ে যেন ঠান্ডা স্রোত বয়ে গিয়েছিল। শাহরুখ ভক্তদের উত্তেজনাকে উসকে বেশ কয়েকবার সোশ্যাল মিডিয়ায় ফাঁস হয়ে গিয়েছে জওয়ানের শ্যুটিং সেটের ছবি।

কখনও সিগরেট মুখে নিয়ে শাহরুখের জমজমাট অ্যাকশন সিকোয়েন্স, তো কখনও আবার আন্ডারওয়াটার শ্যুটিংয়ের দৃশ্যের কয়েক ঝলক।

সম্প্রতি ভারতীয় সংবাদমাধ্যম হিন্দুস্তান টাইমসের খবর অনুযায়ী, বারবার এই ঘটনার জেরে এবার দিল্লি উচ্চ আদালতের দ্বারস্থ শাহরুখ-গৌরীর রেড চিলি প্রযোজনা সংস্থা। মঙ্গলবার (২৫ এপ্রিল) এই মর্মে দিল্লি হাইকোর্ট সোশ্যাল মিডিয়ার যে সকল প্ল্যাটফর্মে এই ধরনের ভিডিও বা ছবি রয়েছে তা বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে। তার আগে ফাঁস হওয়া ছবি ও ভিডিও অবিলম্বে মুছে ফেলতে বলেছে দিল্লি উচ্চ আদালত।

জানা গেছে রেড চিলিজের পক্ষ থেকে কপি রাইট লঙ্ঘনের জন্য দিল্লি হাইকোর্টে মামলা করা হলে ২৫ এপ্রিল বিচারপতি সি হরি শংকর গুগল, টুইটার, রিডিট, ইউটিউবের মতো সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মগুলো থেকে জওয়ানের ফাঁস হওয়া ভিডিও গুলো সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

এছাড়াও ইন্টারনেট পরিষেবা প্রদানকারীদেরও নির্দেশ দিয়েছেন যাতে জওয়ানের ফাঁস হওয়া দৃশ্য ডাউনলোডের সাইটগুলোর অ্যাক্সেস বন্ধ করে দেওয়া হয়। বারবার শাহরুখের ছবির শ্যুটিংয়ের দৃশ্য ফাঁস হয়ে গেলে সিনে ব্যাবসার ক্ষতির সম্ভবনা তৈরি হয়।

সেই জন্যই আইনের দ্বারস্থ হয়েছে রেড চিলি প্রোডাকশন হাউজ। প্রথমবার দক্ষিণী বিউটি নয়নতারার সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করবেন বলিউড বাদশা শাহরুখ খান। নতুন জুটির এই নয়া কেমিস্ট্রি দেখতে অধীর আগ্রহে অপেক্ষারত ভক্তরা।

জওয়ানে ক্যামিও চরিত্রে দেখা যাবে গ্ল্যাম ডিভা দীপিকা পাডুকোনকে। সিনেমার পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ ঠিকঠাক থাকলে আগামী ২ জুন সিলভার স্ক্রিনে মুক্তি পাবে শাহরুখ খান ও নয়নতারা অভিনীত জওয়ান।

সূত্র: হিন্দুস্তান টাইমস




সিনিয়র গ্রুপে ওল্ড টাইগার্স, জুনিয়রে ২০০২ চ্যাম্পিয়ন

ভাঙলো প্রাণের মেলা। ২৩ এপ্রিল শুরু হয়ে ২৫ এপ্রিল বিকালে ফাইনাল খেলার মধ্যে দিয়ে শেষ হলো মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় (এমজিএইচএস) ক্রিকেট টুনামেন্ট। বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের যেন এক মিলনমেলায় পরিণত হয়েছিলো।

১৯৭৫ থেকে ২০১০ সালের এসএসসি ব্যাচ ভিত্তিক এ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজন করে বিদ্যালয়ের ২০০৪ সালের ব্যাচের শিক্ষার্থীরা। তাদের এ আয়োজন প্রাণের সঞ্চার তৈরি করে বন্ধুত্তের মেল বন্ধন সৃষ্টি করেছে। তরুণ সমাজ যখন মোবাইলসহ বিভিন্ন ধরণের নেশায় আসক্ত ঠিক সে মুহুর্তে এ আয়োজন মেহেরপুরে নতুন এক বার্তা বয়ে নিয়ে এসেছে। এ টুর্নামেন্টকে ঘিরে দুর দুরান্তের দর্শকরাও বিমোহিত ছিলো চেয়ারবিহীন গ্যালারিতেও। চার ছক্কা কিংবা আউট হলেও মিউজিকের শব্দে পুরো খেলার মাঠে উৎসবের আমেজ তৈরি হচ্ছিলো। টুর্নামেন্টে দুটি গ্রুপে ১২ টি দল অংশ নেয়। সিনিয়র গ্রুপে ১৯৭৫ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত এসএসসি ব্যাচসহ ২০০১ সাল পর্যন্ত ৪টি দল এবং জুনিয়র গ্রুপে ২০০২ সাল থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত ৮টি দল খেলায় অংশ নেয়।

সিনিয়র গ্রুপে ওল্ড টাইগার ২০০১ ব্যাচকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় এবং ২০০২ ব্যাচ ২০১০ ব্যাচকে হারিয়ে জুনিয়র গ্রুপের শিরোপা ঘরে তোলে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে সিনিয়র গ্রুপের ফাইনাল খেলায় ৮ উইকেটে ২০০১ ব্যাচকে পরাজিত করে। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০০১ ব্যাচ ৮ ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ৯২ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে ফয়সাল ৪২ করে রান করে। জবাবে খেলতে নেমে ওল্ড টাইগার্স ২ উইকেট হারিয়ে শ^াসরুদ্ধকর ম্যাচ জিতে নেয়। শেষ বলে ওল্ড টাইগার্স এর প্রয়োজন ছিল পাঁচ রান। অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার লিটিল শেষ বল থেকে ৬ রান করে নাটকীয়ভাবে দলকে জয়ী করান। খেলা শেষে ওল্ড টাইগার্সের খেলোয়াড়রা উল্লাসে ফেটে পড়েন। দলের পক্ষে জুয়েল সর্বোচ্চ ৪৭ রান করেন।

বিকালে জুনিয়র গ্রুপের ফাইনাল খেলায় ২০০২ এর ব্যাচ ৪২ রানের বড় ব্যবধানে ২০১০ ব্যাচকে পরাজিত করে। টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০০২ ব্যাচ ৮ ওভারে ৪ উইকেট হারিয়ে ১১১ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষে ইমরুল কায়েস ৩২,ইমন ২৪, জিকো ২২ এবং ফয়সাল ২০ রান করেন। ২০১০ ব্যাচের নির্ঝর, বিজন এবং রাজু ১টি করে উইকেট লাভ করেন।

জবাবে খেলতে নেমে ২০১০ ব্যাচ নির্ধারিত ৮ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ৭০ রান তুলতে সমর্থ হন। ২০০২ ব্যাচের জিকো ও উজ্জল দুটি করে উইকেট লাভ করেন। খেলায় বিজয়ী দলের পক্ষে ইমরুল কায়েস ম্যান অফ দ্যা ফাইনাল ,ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট,সর্বোচ্চ ছক্কা ও সেরা ক্যাচ নির্বাচিত হন।

খেলা শেষে চ্যাম্পিয়ন, রানার্স আপ দলের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়। স্টাসিস গ্রুপের স্বত্বাধিকার নিশাত বিন জিয়া রুম্মান প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে পুরস্কার তুলে দেন।

এসময় তিনি বলেন, আমি এ স্কুলে লেখাপড়া না করলেও মেহেরপুরের প্রতি আমার মায়া রয়েছে। আয়োজকবৃন্দরা এ ধরণের খেলা যতদিন আয়োজন করবে স্ট্যাসিস গ্রুপ প্রতিবারই এ খেলার স্পন্সর করবে।

পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে চ্যাম্পিয়ন ২০০২, রানার্স আপ ২০১০, সিনিয়র গ্রুপে চ্যাম্পিয়ন ওল্ড টাইগার্স, রানার্স আপ ২০০১ সহ দুটি গ্রুপের ম্যান অফ দ্যা টুর্নামেন্ট ইমরুল কায়েস এবং জুয়েল, ম্যান অব দা ফাইনাল জিকো ,ফেয়ার প্লেট ট্রফি ২০০৪ ব্যাচ, সেরা রান সংগ্রহকারী,সর্বোচ্চ ছক্কা সেরা ক্যাচ ম্যান অব দ্যা সিরিজ ২০০২ এর ইমরুল কায়েসকে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়।

এছাড়াও প্রতিটি খেলার ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হিসেবে ইয়ারুল (২০০৮), জীবন(২০০৪), আসিফ (২০১১), ইমরুল কায়েস (২০০২), বিজন (২০১০), অমি (২০০৯),জুয়েল ( ওল্ড টাইগার্স), রাসেল (২০০৪), জনি (২০০৫),পল্লব(২০১০), রনি(২০০১), অমি (২০০৯), জিকো (২০০২),নির্ঝর (২০১০),সোহাগ(২০০২)কে পুরস্কার তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষক কাজী আনিসুজ্জামান, নাসির উদ্দিন, আব্দুর রাজ্জাক, সুশীল চক্রবর্তী,ব্যবসায়ী ফিরোজ আহমেদ, সোনিয়া শারমিন, টুর্নামেন্টের মূল উদ্যোক্ত সাইদুর রহমান সিমন, কানন, রাসেল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে উপস্থিত শিক্ষকদের সম্মাননা ক্রেস্ট প্রদান করা হয়।




মুজিবনগর থানা পুলিশ অভিযানে ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে পলাতক আসামী গ্রেফতার

মুজিবনগর থানা পুলিশের অভিযানে ঢাকা এয়ারপোর্ট থেকে দুর্ধষ পলাতক আসামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে গতকাল মঙ্গলবার ভোর হযরত শাহজালাল (র:) আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে এয়ারপোর্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের সহায়তায় মুজিবনগর এলাকায় ত্রাস সৃষ্টিকারী, হত্যা, ডাকাতি ও বিস্ফোরক দ্রব্য আইনসহ ০৮ টি বিভিন্ন মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত দুর্ধষ পলাতক আসামী উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়নের যতারপুর গ্রামের সিরাজুল ইসলাম সিরাজ এর ছেলে সেলিম রেজাকে (৩৫) গ্রেফতার করে মুজিবনগর থানা পুলিশ।

মুজিবনগর থানা সুত্রে জানা গেছে, মুজিবনগর থানা অফিসার ইন-চার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেলের দিকনির্দেশনায় মুজিবনগর থানার এসআই উত্তম কুমার, এএসআই আব্দুল মালেক ও সঙ্গীয় ফোর্স এয়ারপোর্ট এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে আসামীকে গ্রেফতার করে।

মুজিবনগর থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী রাসেল জানান, অপরাধ সংঘটিত করে উক্ত আসামি সুকৌশলে পালিয়ে গিয়ে দীর্ঘদিন মালয়েশিয়ায় পলাতক অবস্থায় ছিল। গোপন সংবাদ পাওয়া যায় সে গোপনে বাংলাদেশে আসছে এর উপর ভিত্তি করে অভিযান চালিয়ে তাকে এয়ারপোর্ট থেকে গ্রেফতার করা হয়। আসামীকে প্রয়োজনীয় পুলিশ প্রহরার মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তিনি জানান।




আলমডাঙ্গায় আল-ইকরা একাডেমির কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা

আলমডাঙ্গা একাডেমিতে (আল ইকরা) প্রাথমিক বৃত্তি ও এসএসসি -২০২২ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ কৃতি শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে। হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৮ টায় প্রতিষ্ঠান প্ প্রাঙ্গণে এ সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে আলমডাঙ্গা একাডেমির সভাপতি ফকির মোহাম্মদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন আলমডাঙ্গা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডঃ খন্দকার সালমুন আহম্মদ ডন,আলমডাঙ্গা সরকারী কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মোনায়েম,জেলা সমাজ সেবা অফিসারর সহকারী পরিচালক আবু তালেব,উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ফজলুল হক,আলমডাঙ্গা একাডেমির বিদ্যোৎসাহী সদস্য আলহাজ্ব লিয়াকত আলী লিপু মোল্লা,উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি প্র.ড মুহাম্মদ আব্দুস শহীদ। অভিবাকদের পক্ষ থেকে বক্তব্য প্রদান করেন একেএম রাজিউজ্জামান রাজ,সৈয়দ আল মামুন।

সহকারি শিক্ষক শাহিন শাহিদের উপস্থাপনায় কৃতি শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন নাবাত রেহান মারফী,সালমান সাদিক,আতিকুজ্জামান নাভিদ,এইচ এম ফাহিম,ইকবাল মাহমুদ সানভী,আহসানউল্লাহ সজীব,আঃ রাব্বী,হাসান আল নোমান,আব্দুস শহীদ নাসিস।

অনুষ্ঠানে প্রাথমিক বৃত্তি ও এসএসসি-২০২২এর কৃতি শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। ২০২২ সালের প্রাথমিক বৃত্তি পরীক্ষায় ২৪ জন ট্যালেন্টপুলে, ১৬ জন সাধারণ গ্রেডে ও এসএসসি পরীক্ষায় ৪জন ট্যালের্টপুল,১৩জন সাধারণ গ্রেড ও ৩৮জন জিপিএ- ৫.০০ প্রাপ্ত শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। এছাড়াও ২০১৬ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্ব অর্জনকারী শিক্ষার্থীদের মধ্যে ২৫ জন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে ও ৮ জন মেডিকেল কলেজে ভর্তির সুযোগ পাওয়ায় তাদেরকে সংবর্ধিত করা হয়। ৩জন ক্যাডেট কলেজ ও জাতীয় পর্যায়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত আরও ৩ জন শিক্ষার্থীসহ ৬ জনকে বিশেষ পুরস্কার প্রদান করা হয়।




ফি না দিলেও নীল টিক চিহ্ন ফিরিয়ে দিচ্ছে টুইটার

কয়েক সপ্তাহ যাবত টুইটারের নীল টিক চিহ্ন নিয়ে অনেক আলোচনা চলেছে। এখন থেকে ভেরিফাইড হিসেবে নীল টিক চিহ্ন পেতে হলে প্রতি মাসে একটি নির্দিষ্ট ফি দিতে হবে। এই ফি নিয়েই অনেকের আপত্তি। কদিন আগে অনেক সেলিব্রিটির একাউন্টের নীল টিক চিহ্নও সরিয়ে নিয়েছে তারা। যারা সাবস্ক্রিপশন ফি আগেই দিয়েছে তাদের নীল টিক চিহ্ন ঠিকই রয়ে গেছে।

তবে ২০ এপ্রিল থেকে টুইটার ফের নীল টিক চিহ্ন ফিরিয়ে দিতে শুরু করেছে। সাবস্ক্রিপশন ফি না দিলেও এই টিক চিহ্ন পাওয়া যাচ্ছে। এক সপ্তাহের ভেতর প্রায় ১০ লাখ ইউজার তাদের ভেরিফিক্যাশন নীল টিকচিহ্ন ফেরত পেয়েছে। এদের মধ্যে লেখক নীল গেইম্যান, ফুটবলার রিয়াদ মাহারেজ, সংগীততারকা লিল নাস এক্স, জ্যানেল পারিস লং এবং টিভি উপস্থাপন রিচার্ড ওসমান রয়েছেন। সাবস্ক্রিপশন ছাড়াই নীল টিকচিহ্ন ফিরে পাওয়ার এই ঘটনায় অবাক অনেকেই। বিশেষত নীল গেইম্যান এক টুইটে লিখেছেন, ‘আমার নীল টিক চিহ্ন ফেরত এসেছে দেখে কৌতূহল জাগছে। আমি তো টুইটার ব্লু সাবস্ক্রাইব করিনি। আমি আমার ফোন নাম্বার দেইনি। এই জায়গাটা সত্যিই অসহনীয় হয়ে উঠছে।’

বিগত কয়েক দিন ধরে এত নাটকীয়তা ইলন মাস্ক ও তার কোম্পানিকে পিছিয়ে দিচ্ছে। অনেক গুরুত্বপূর্ণ একাউন্ট তাদের ভেরিফাইড নীল টিক হারানোতে ক্ষুব্ধ হয়েছেন অনেকেই। তারা টিক মার্কের জন্য তিনটি আলাদা রঙ নির্ধারণ করেছিল। সরকারি প্রতিষ্ঠানের জন্য ধূসর, ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্টে নীল আর বিশেষ অ্যাকাউন্টে সোনালী। তবে সাম্প্রতিক এই ঘটনায় ইলন মাস্ক জানিয়েছেন, ‘তিনি ব্যক্তিগতভাবে সবার হয়ে সাবস্ক্রিপশন ফি দিয়ে দিচ্ছেন। তার বন্ধুপ্রতীম অনেককেই তিনি নীল টিক চিহ্ন ফিরিয়ে দিয়েছেন।’

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনী যাত্রা শিল্পী উন্নয়ন পরিষদের কমিটি গঠন সভাপতি আজগর সম্পাদক অল্ডাম

বাংলাদেশ যাত্রাশিল্প উন্নয়ন পরিষদের গাংনী উপজেলা শাখার কার্যকরী কমিটি গঠন সম্পন্ন হয়েছে। বিলুপ্ত প্রায় সুস্থ বিনোদনের মাধ্যম ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ সংস্কৃতির শেকড় দর্শক নন্দিত যাত্রাশিল্পকে ফিরিয়ে আনার প্রত্যয়ে গাংনীতে গঠন করা হয়েছে কার্যকরী কমিটি। গত রবিবার সকাল ১১ টার সময় গাংনীর ঐতিহ্যবাহী নাট্যক্লাব ‘সীমান্ত অপেরা’র নিজস্ব কার্যালয়ে ত্রি-বার্ষিক কর্মী সম্মেলনের মাধ্যমে সর্বসম্মতিক্রমে ৩৫ সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা কমিটি গঠিত হয়েছে।

সীমান্ত অপেরা’র পরিচালক ও প্রযোজক আব্দুর রাজ্জাকের সভাপতিত্বে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ব্যাপক আলোচনা শেষে নাট্যশিল্পী আলী আজগরকে সভাপতি ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম অল্ডাম কে সাধারন সম্পাদক মনোনীত করে কার্যকরী নির্বাহী কমিটি গঠন করা হয়।

উপজেলা কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীকে রয়েছেন বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সর্বজন শ্রদ্ধেয় সিরাজুল ইসলাম ,কমরেড আব্দুল মাবুদ, আবুল কাশেম অনুরাগী সহ যাত্রাশিল্পী সংস্কৃতির সাথে জড়িত ব্যক্তিবর্গ।

একইভাবে গাংনী পৌর কমিটিও গঠন করা হয়। যাত্রাশিল্পী সংগঠক মো. কুতুবউদ্দীনকে সভাপতি ও নাট্যশিল্পী আকবর আলীকে সাধারন সম্পাদক মনোনীত করে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট পৌর কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয়। গাংনী পৌর কমিটির উপদেষ্টা মন্ডলীতে রয়েছেন সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম অল্ডাম, আজিজুল হক রানুসহ সংস্কৃতিমনা ব্যক্তিবর্গ। কর্মী সম্মেলনে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম থেকে আগত যাত্রাশিল্পী ও মেহেরপুর জেলা পর্যায়ের বিশিষ্ট নাট্যশিল্পীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




বুবলীর চাওয়া বীর শাকিবের মতো না হোক

ঈদুল ফিতরের রেশ এখনও কাটেনি। সিঙ্গেঅঙ্গনে এখনও ঈদের আবহ। ভক্তদের মধ্যে ব্যাপক চর্চা চলছে এ ঈদে কে, কত টাকা সালামি পেয়েছেন প্রিয় মানুষদের কাছ থেকে। ঢালিউড সুপারস্টার শাকিব খানের ছেলে শেহজাদ খান বীর কত টাকা সালামি পেয়েছেন সেটি জানার অপেক্ষায় ভক্তরা। এ বিষয়ে মুখ খুলেছেন চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী। বীর বড় হয়ে কী হবে সে বিষয়েও নিজের পছন্দের কথা জানিয়েছেন ঢালিউড নায়িকা।

যমুনা টিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শবনম বুবলী জানিয়েছেন, বাসার সব থেকে বড় লিডার শেহজাদ খান বীর। সবকিছু এখন তার নিয়ন্ত্রণে। তাকে আমাকে সবকিছুতে জবাবদিহি করতে হয়। আমার যদি একটা ফোন আসে, সে আগে দেখে পছন্দ হলে আমাকে দেবে, পছন্দ না হলে দেবে না। কীভাবে পছন্দ করে সেটা আমি জানার চেষ্টা করেও জানতে পারিনি।

বাবার কাছ থেকে বীর ঈদ সালামী পেয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে বুবলী বলেন, অবশ্যই। শুধু বাবা নয়, দাদা, দাদি, নানা-নানির কাছ থেকেও ঈদ সালামী পেয়েছেন বীর। তবে বাবা হাজার ব্যস্ত থাকলেও চেষ্টা করে এগুলো মেইনটেইন করার। এবার ঈদে অনেক সময় দিয়েছে বাবা (শাকিব) বীরকে।

বীর বড় হয়ে পেশা হিসেবে কোনটি বেছে নেবে—এমন প্রশ্নে বুবলি বলেন, প্রত্যেক বাবা-মায়ের সন্তানকে নিয়ে স্বপ্ন থাকে। তেমনি আমারও স্বপ্ন আছে বীরকে নিয়। সে বাবার মত নায়ক না হয়ে, ব্যারিষ্টার হোক। শাকিবও এমনই স্বপ্ন দেখেন। এর থেকে বড় কথা হল যে, ছেলে বড় হয়ে ভালো মানুষ হোক। শেহজাদ খান বীর বড় হয়ে তার মত সিদ্ধান্ত নিলেও আপত্তি থাকবে না আমাদের।

সূত্র: যুগান্তর