কুষ্টিয়ার মিরপুরে দশ হাজার মানুষের মাঝে শাড়ী লুঙ্গি বিতরণ

কুষ্টিয়ার মিরপুরে ঈদ-উল-ফিতর উপলক্ষে দশ হাজার নারী পুরুষকে ঈদের পোশাক তুলে দিয়েছেন মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কামারুল আরেফিন।

অসহায় মানুষের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে প্রতি বছরের মত এবারো তিনি ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসহায় নারী-পুরুষের মাঝে এ ঈদ বস্ত্র বিতরণ করেন।

গতকাল বুধবার সকালে মিরপুর উপজেলার আমলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের আমবাগানে এ উপহার সামগ্রী বিতরণের উদ্বোধন করেন মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন ও তাঁর মা আলহাজ্ব খোদেজা বেগম।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন মিরপুর উপজেলা চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিনের সহধর্মীনি শামসুন্নাহার সেফালি আরেফিন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম জোযার্দার, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাবের সভাপতি আল মামুন সাগর, সাধারণ সম্পাদক আনিসুজ্জামান ডাবলু, উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সামসুল আরেফিন অমূল্যসহ স্থানীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামারুল আরেফিন বলেন, ঈদের খুশি ভাগাভাগি করে নেওয়াটাই সবচেয় বড় আনন্দের বিষয়। আমি চাই সব সময় অসহায় মানুষদের পাশে দাঁড়াতে এবং তাদের সাথে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে। অসহায় মানুষগুলো শাড়ি, লুঙ্গী এবং পাঞ্জাবী পাওয়ার পরে তাদের খুশিটা আমার কাছে সবচেয়ে দামী।

তিনি বলেন, যখন আমি সদরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলাম সেসময় আমার মা জননী আমাকে বলেছিলেন মানুষের জন্য কিছু করতে, মানুষকে সেবা করতে। সেই থেকে শুরু করেছি মানবসেবা, মানুষের কল্যাণে আমি কাজ করি। ৯ বছর ধরে আমি মিরপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান। শুরু থেকেই প্রতি রমজানে গোটা উপজেলার দশ হাজার মানুষের মাঝে শাড়ী লুঙ্গি উপহার হিসেবে তুলে দেই। এছাড়াও পার্শ্ববর্তী উপজেলার মানুষও ছুটে আসে এখানে।

বিতরণকৃত বস্ত্র সামগ্রীর মধ্যে ছিল ৮হাজার ৪শ পিস শাড়ি, ১ হাজার পিস লুঙ্গি এবং ৬ শ ৫০ পিস পাঞ্জাবী।




দামুড়হুদায় চুয়াডঙ্গা ২ আসনের এমপির ভাই ডাঃ রফিকুল ইসলাম দাফন সম্পন্ন

দামুড়হুদায় হাজার হাজার মানুষের চোখের জলে শেষ বিদায় নিলেন চুয়াডঙ্গা ২ আসনের সংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগার টগর ও দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ আলী মুনছুর বাবু’র বড় ভাই ডাঃ রফিকুল ইসলাম। তিনি ঢাকার ল্যাবএইট হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্চাকেন্দ্রে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দীর্ঘ দিন থাকার পর গত মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে ৫ টার দিকে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন (ইন্নালিল্লাহি…রাজিউন)।

তিনি তার হাজার হাজার ভক্ত বন্ধু ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন। তিনি দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের মৃত আব্দুল ওহাবের ৫ম পুত্র। মৃত্যকালে তার বয়স হয়েছিল (৬০) বছর। গত মঙ্গলবার বিকালে মৃত্যুর সংবাদ পৌঁছালে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। ডাঃ রফিকুল ইসলাম দীর্ঘদিন ধরে বিভিন্ন রোগে ভুগছিলেন ।

তার মৃত্যুতে চুয়াডাঙ্গা ১ আসনের সাংসদ সদস্য এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা ও চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি সোলাইমান হক জোয়ার্দ্দার সেলুন, চুয়াডাঙ্গা ২ আসনের সাংসদ সদস্য এমপি হাজী মোঃ আলী আজগার টগর, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খাঁন, জেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বীরমুক্তিযোদ্ধা মোঃ আজাদুল ইসলাম আজাদ, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জু, চুয়াডাঙ্গা সাবেক মেয়র রিয়াজুল ইসলাম টোটন, দর্শনা পৌরসভার মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু, দর্শনা নাগরিক কমিটিরি সদস্য সচিব গোলাম ফারুক আরিফসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠনের নেতারা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন।

দামুড়হুদা উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে ডাঃ রফিকুল ইসলাম এর জন্ম। পারিবারিক জীবনে ডাঃ রফিকুল ইসলাম বিবাহিত এবং দুই সন্তানের জনক। তিনি স্ত্রী, সন্তানসহ অসংখ্য নেতাকর্মী, আত্মীয়স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। ডাঃ রফিকুল ইসলাম এলাকার উন্নয়নে যথেষ্ট ভূমিকা থাকার কারণে এখানকার মানুষের কাছে স্মরণীয়-বরণীয় হয়ে থাকবে। এছাড়া তিনি বিভিন্ন স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসায় আর্থিক সহায়তা দেওয়াসহ সামাজিক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।

গতকাল বুধবার সকাল সাড়ে ৯ টার সময় উপজেলার রঘুনাথপুর গ্রামের কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয় ।




গাংনীতে ইয়াবা ও হেরোইনসহ মাদক পাচারকারী আটক

মেহেরপুরের গাংনীর ছাতিয়ান থেকে ইয়াবা ও হেরোইনসহ নুরুজ্জামান কনক (৩৫) নামের এক মাদক পাচারকারী কে আটক করেছে গাংনী থানা পুলিশ।

এসময় তার কাছ থেকে ১৯৫ পিস ইয়াবা ও ১০ গ্রাম হিরোইন উদ্ধার করা হয়েছে। মাদক পাচারকারী রোকনুজ্জামান কনক বামুন্দীগ্রামের গোলাম কাওসারের ছেলে।

আজ বুধবার সকালে ছাতিয়ান এলাকা থেকে তাকে আটক করে।

বামুন্দি ক্যাম্পের (ইনচার্জ) এসআাই ইসরাফিল হোসেন জানান, একজন মাদক পাচারকারী মাদক নিয়ে যাচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোকনুজ্জামানকে আটক করা হয়। এসময় তার শরীর তল্লাশী করে ১৯৫ পিচ ইয়াবা ও ১০ গ্রাম হেরোইন উদ্বার করা হয়। তাকে আটক করে গাংনী থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে।

গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, রোকনুজ্জামান নামের একজনকে ইয়াবা ও হেরোইনসহ আটক করা হয়েছে। মাদক মামলায় তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে।




কোটচাঁদপুরে মাটি ব্যবসায়ী সাইফুলকে এক লাখ টাকা জরিমানা

আইন অমান্য করে মাটি কাটার অভিযোগে কোটচাঁদপুরের মাটি ব্যবসায়ি সাইদুল ইসলামকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। আজ বুধবার সকালে এ জরিমানা করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,কোটচাঁদপুরের পারলাট গ্রামের সাইদুল ইসলাম। সে উপজেলার ঝামাঘাটা এলাকায় আইন অমান্য করে পুকুর থেকে ভেকু দিয়ে মাটি কাটছিল।

খবর পেয়ে কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে ও সহকারী কমিশনার (ভুমি) নিরুপমা রায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন।

এ সময় মাটি ব্যবসায়ি সাইদুল ইসলাম কে এক লাখ টাকা জরিমানা করেন। সে কোটচাঁদপুরের পারলাট গ্রামের বাসিন্দা।

বিষয়টি নিয়ে উছেন মে বলেন, অভিযানের সময় ঘটনাস্থলে গিয়ে ছিলাম। তবে জরিমানা করেছেন সহকারী কমিশনার(ভুমি)। ওনি বিস্তারিত বলতে পারবেন।

সহকারী কমিশনার(ভুমি) নিরুপমা রায় বলেন, উপজেলার ঝামাঘাটা এলাকায় অভিযান চালানো হয়। এ সময় ওই কাজের কনডেক্টরকে বালুমহল মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ২০১০ সালের ৪ ধারা মোতাবেক ১৫ এর ১ ধারা অনুযায়ী অভিযুক্ত করে, এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

ওই সময় ইউএনও স্যার ছিলেন, তবে ভ্রাম্যমান আদালত আমি করেছি। এ সময় তালসার পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক সহ পুলিশ সদস্য ও সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন। এদিকে এ ধরনের অভিযান পরিচালনা করায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন এলাকাবাসী।




মুজিবনগরের সরকারি শিশু পরিবারে ঈদ সামগ্রী বিতরণ ও ইফতার মাহফিল

মুজিবনগর সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) নিবাসীদের ঈদ সামগ্রী বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে শিশু পরিবার মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

মুজিবনগর সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) এর আয়োজনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।

এসময় জেলা প্রশাসক শিশুদের সাথে কথা বলেন, তাদের খোঁজখবর নেন এবং শিশুদেরকে আত্মবিশ্বাস ও আত্মপ্রত্যয় নিয়ে এগিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন দেখান। তিনি তার দু’সন্তানকে নিয়ে শিশুদের সাথে ইফতার করেন ও ঈদ উপহার সামগ্রী তুলে দেন।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লিংকন বিশ্বাস, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরেরর উপ-পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) কাজী কাদের মোহাম্মদ ফজলে রাব্বি , মুজিবনগর সরকারি শিশু পরিবার (বালিকা) নিবাসের কর্মকর্তাগণ ও শিশু পরিবারের সকল সদস্যরা ।




আলমডাঙ্গায় গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী আটক

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে গাঁজাসহ ঝিনাইদহ আদর্শপাড়ার মাদক ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাককে আটক করেছে। আজ বুধবার বেলা দুপুরে পৌর এলাকার হাজী মোড় থেকে তাকে ৪শ গ্রাম গাঁজাসহ আটক করা হয়।

জানাগেছে, ঝিনাইদাহ আদর্শপাড়ার আনসার মন্ডলের ছেলে আব্দুর রাজ্জাক (৪১) দীর্ঘদিন ধরে গাঁজা ব্যবসা করে। সে ঝিনাইদাহসহ আশপাশ উপজেলায় গাঁজা পাইকারি বিক্রয় করে বেড়ায়। আজ বুধবার দুপুরে আলমডাঙ্গা থানার এসআই ইউসুফ আলী, এএসআই জিয়াউর রহমান ও এএসআই রওশন আলী সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদক বিরোধী অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে মাদক ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে।

পুলিশ কৌশলে তাকে আটক করে। আটকের পর তাকে তল্লাশি করে ৪শ গ্রাম গাঁজা উদ্ধার করে। এবিষয়ে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।




চুয়াডাঙ্গা জেলার শ্রেষ্ঠ ক্যাম্প ইনচার্জ নির্বাচিত এস আই ইমরান হোসেন

কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের এস আই ইমরান হোসেন জেলার শ্রেষ্ঠ ক্যাম্প ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছেন।

জানা গেছে আজ বুধবার চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের এস আই ইমরান হোসেন জেলার শ্রেষ্ঠ ক্যাম্প ইনচার্জ নির্বাচিত হওয়ায় চুয়াডাঙ্গা জেলার পুলিশ সুপার আব্দুলাহ আল মামুন মহোদয় আনুষ্ঠানিক ভাবে তার হাতে ক্রেস্ট ও সম্মাননা তুলে দেন। তার এই সাফল্যতায় গর্বিত কার্পাসডাঙ্গা এলাকাবাসী।




চুয়াডাঙ্গার ভিজে স্কুলের ৯৬ ব্যাচের পক্ষ থেকে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ

ব্যতিক্রম আয়োজনের মধ্য দিয়ে চুয়াডাঙ্গার ভিজে স্কুলের এসএসসি ৯৬ ব্যাচের পরিচালিত ” ক্লাব ৯৬” এর পক্ষ থেকে আসন্ন ঈদুল ফিতরের আনন্দ ভাগাভাগি করার প্রয়াসে সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ও দু:স্থদের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।

বুধবার ১৯ এপ্রিল বিকাল ৩ টায় চুয়াডাঙ্গার ভিজে এসএসসি ৯৬ ব্যাচের আয়োজনে চুয়াডাঙ্গা স্টেশন রোডস্থ ক্লাব ৯৬ কার্যালয়ে আনুষ্ঠানিক আয়োজনের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গার প্রায় তিন শতাধিক নারী -পুরুষের মাঝে এ খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়।

৯৬ ব্যাচের ডা. রাকিবুল হাসান শাওন বলেন, ‘মানুষের জন্য কিছু করার ইচ্ছা প্রতিটা মানুষেরই থাকে, কিন্তু একা করাটা অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না। সম্মিলিত চেষ্টায় কিছু একটা হয়ে ওঠে। অবশ্য তার জন্যও দরকার পড়ে কিছু দায়িত্ব শীল মানুষের। কর্ম ব্যাস্ততা আর দুরত্বের কারনে ইচ্ছে থাকা সত্বেও নিজ এলাকার মানুষের জন্য কিছু করাটা দুরহ । সেই দায়িত্ব নিজেদের কাধে নিয়ে আমাদের কিছু বন্ধু সব সময় অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে যায়, আর আমরা শুধু বন্ধু হিসেবে তাদের এই মহত কাজের ক্ষুদ্র অংশ হতে পারি।’

ক্লাব-৯৬ এর মুখপাত্র নাহিদ হাসান খান বলেন, ‘একটি পরিবারের ঈদ উপলক্ষে যা যা প্রয়োজন তার প্রায় অধিকাংশই উপহার হিসেবে প্রদান করা হয়েছে। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে দেওয়া খাদ্য সামগ্রীর মধ্যে ছিল ৫ কেজি চাল, ১ কেজি করে তেল,চিনি, লবন, পেয়াজ, পোলাও চাল ও সেমাই এবং ২ কেজি আলু ও ১ টি করে তাজা মুরগী।’

এপ্রসঙ্গে উল্লেখ্য চুয়াডাঙ্গার এই এসএসসি ৯৬ ব্যাচটি  “আমাদের আবেগ আছে, অনুভূতি আছে ,আছে বন্ধুত্বের শক্ত মেলবন্ধন” এই স্লোগান নিয়ে বিগত প্রায় ২০ বছর যাবৎ ফ্রি মেডিক্যাল ক্যাম্প, চক্ষু শিবির, শীতবস্ত্র ও কম্বল বিতরণ এবং দরিদ্রদের সাবলম্বী করা সহ নিঃস্বার্থ ভাবে চুয়াডাঙ্গা জেলায় নানা সমাজসেবা মূলক কার্যক্রম করে আসছে।




দামুড়হুদা কাদিপুরে দুর্বৃত্তদের হাতে মাদক ব্যাবসায়ী কিতাব খুন

দামুড়হুদায় গলাকেটে ও কুপিয়ে নৃশংস ভাবে কিতাব উদ্দিন নামের একজন মাদক ব্যাবসায়ীকে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার কাদিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশের মাঠে নিহতের লাশ পড়ে থাকতে দেখে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ঘটনাস্থলে এসে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে সুরতহাল প্রতিবেদন শেষে ময়না তদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে নিহতের লাশ পাঠানো হয়।

নিহত ব্যক্তি হলেন দামুড়হুদা উপজেলার হাউলী ইউনিয়নের কাদিপুর গ্রামের স্কুল পাড়ার মসলেম উদ্দিন এর জামাই (ঘরজামাই) এবং জীবননগর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেন এর ছেলে কিতাব উদ্দিন (৪৫)। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম।

স্থানীয় ও পারিবারিক সুত্রে জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলার কাদিপুর গ্রামের স্কুল পাড়ার মসলেম উদ্দিন এর মেয়ে রাবেয়া খাতুন (৩৯) এর সাথে প্রায় ২৪ বছর পূর্বে বিয়ে হয় কিতাব উদ্দিনের, এবং সেই থেকেই তিনি ঘরজামাই থাকতো কাদিপুর গ্রামে। তিনি দীর্ঘদিন মাদক (গাঁজা) ব্যাসার সাথে জড়িত ছিল। সংসারে তার দুই কন্যা ও এক পুত্র সন্তান রয়েছে। ইতিমধ্যে মেয়ে দুইটার বিয়ে দিয়েছে। বড় মেয়ে মিতা খাতুন (১৮), মেজো মেয়ে অন্তরা খাতুন (১৬) এবং ছোট ছেলের নাম অনিক হোসেন (৯)।

গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিহত কিতাব উদ্দিন পাখিভ্যান চালিয়ে বাড়ি আসে। রাত ৯টার দিকে একটি ফোন পেয়ে নিজবাড়ি হইতে চা খাওয়ার জন্য দোকানের উদ্দেশ্যে বাড়ি থেকে বের হয়। এরপরে কাদিপুর গ্রামের সাহাদত এর চা’য়ের দোকানে তাকে দেখাযায়। তারপর রাতে আর তিনি বাড়ি ফেরত যাইনি। বাড়ির সদস্যরা মনে করেছেন পবিত্র শবেকদরের রাতে হয়তো নামাজ পরছে।

আজ বুধবার সকাল সাড়ে ৬টার দিকে কাদিপুর গোরস্থান পাড়ার মৃত মেহের আলীর ছেলে জেহের আলী ধান ক্ষেতে পানি দেওয়ার জন্য জমিতে যাওয়ার সময় কাদিপুর গ্রামের মৃত সোবাহান মণ্ডল এর ছেলে ইসহাক মন্ডল এর জমির উপর মৃতদেহ দেখতে পায়। প্রথমে তিনি ফায়ার সার্ভিসে সংবাদ দেন, দ্রুত সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম ঘটনা স্থল পরিদর্শন করেন। সংবাদ পেয়ে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু তারেক ও দামুড়হুদা সার্কেলের এএসপি জাকিয়া সুলতানা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। জেলা গোয়েন্দা সংস্থা, র্যাব সিআইডি ও পিবিআই এর টিম ঘটনা স্থলে এসে পরিদর্শন করেন এবং বিভিন্ন আলামত সংগ্রহ করেন।

স্থানীয় গ্রামবাসীরা বলেন নিহত এবং তার পরিবারের লোকজন দীর্ঘদিন ধরে মাদক (গাঁজা) ব্যবসায়ের সাথে জড়িত। নিহত এবং তার স্ত্রীর নামে মাদক মামলা রয়েছে। ঘটনা স্থলের পাশে মাদক (গাঁজা) সেবনের সরঞ্জামাদি রয়েছে। নিহতের গলায় এবং শরীরের বিভিন্ন স্থানে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করে ক্ষত বিক্ষত করা হয়েছে। হয়তো গাঁজার সাথে জড়িত বা মাদকের কোন লেনদেন ছিল এমন কেউ তাকে পরিকল্পিত ভাবে হত্যা করতে পারে। তবে দেখে মনে হচ্ছে এটা এক জনের কাজনা। এর সাথে কয়েকজন জড়িত থাকতে পারে বলে স্থানীয় গ্রামবাসীর ধারণা।

নিহতের স্ত্রী রাবেয়া খাতুন বলেন আমাদের প্রায় ২৪ বছর পূর্বে বিয়ে হয়েছে। সেই থেকেই তিনি ঘরজামাই হিসাবে এখানে কাদিপুরে থাকে। মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে সে পাখিভ্যান চালিয়ে বাড়ি আসে। বাড়ি আসার কিছুক্ষণ পরে তার মোবাইলে একটা ফোন আসে। তখন সে বলে আমি একটু চা খেয়ে আসছি। এই বলে সে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায়। সারারাত আর বাড়ি ফেরেনি। আমি ভেবেছিলাম পবিত্র শবে কদরের রাতে হয়তো নামাজ পড়ছে। সকালে জানতে পারলাম তাকে খুন করা হয়েছে। কারো সাথে কোন শত্রুতা ছিলো কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন তেমন কারো সাথে কোন শত্রুতা ছিল না।

দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি সাইফুল ইসলাম জানান, মাদক সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে হত্যাকান্ড হতে পারে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে। নিহত কিতাব আলীর নামে একাধিক মাদক মামলা রয়েছে। এঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে আটক করা হয়নি।

এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আবু তারেক বলেন, এটা একটা হত্যাকান্ড। পরিকল্পিত ভাবে নিহতকে হত্যা করা হয়েছে মর্মে প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে। তদন্ত চলছে, নিহতের লাশ পোস্ট মর্টামের জন্য পাঠানো হয়েছে।




কোটচাঁদপুরে চলছে তীব্র তাপদহ আর গরম ঝরে পড়ছে গাছের আম

কোটচাঁদপুরে চলছে তীব্র তাপদহ আর গরম। অন্যদিকে বিদ্যুৎতের লোডশেডিং। এতে করে ঝরে পড়ছে গাছের আম। ধানে দেখা দিয়েছে ব্লাস্ট রোগ। ব্যহত হতে পারে উৎপাদন,এমন আশংকা চাষিদের। তবে ইতোমধ্যে চাষিদের সচেতন করতে লিফলেট বিতরন ও বিভিন্ন ধরনের পরামর্শ অব্যহত রেখেছেন বলে জানিয়েছেন, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিবুল হাসান।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়, কোটচাঁদপুর উপজেলায় এ বছর ধানের চাষ হয়েছে ৬ হাজার ১ শ ৫০ হেক্টর। তবে গেল বছরের তুলনায় ৫০ হেক্টর জমিতে কম চাষ হয়েছে।

আর আমের চাষ হয়েছে ৭ শ হেক্টর জমিতে। গেল বছর উৎপাদন হয়েছিল ১২ হাজার ৬ শ মেট্রিক টন। এ উপজেলায় ১৭ শ টি বাগান রয়েছে। তবে সব কিছু ঠিক ঠাক থাকলে গেল বছরের তুলনায় বেশি উৎপাদন হবে বলে আশাও করেছেন।

উপজেলার তালসার গ্রামের চাষি সোহরাব হোসেন বলেন,তীব্র তাপদহ,গরমে এমনিতেই ফসলের ক্ষতি হচ্ছিল। এরপর কয়েক দিন ধরে বিদ্যুৎতের টানা লোডশেডিংয়ে চাষিররা দিশেহারা। ওই চাষি বলেন, তাপ আর গরম থাকলেও ক্ষেতে ঠিকমত সেচ দেওয়ায় ফসলের তেমন ক্ষতি হচ্ছিল না। এ লোডশেডিংয়ে কয়েকদিন ধরে ঠিকমত সেচ দেয়া যাচ্ছে না। এতে করে ধানের ডগা শুকিয়ে যাচ্ছে। দেখা দিচ্ছে ব্লাষ্ট রোগ। যাতে উৎপাদন ব্যহত হতে পারে।

এ ছাড়া তাপ আর গরমে আমের গুটি লাল হয়ে ঝরে পড়ছে। তবে অন্য কোন ফসলে তেমন কোন সমস্যা দেখা যাচ্ছে না। এ সব বিষয় নিয়ে কৃষি অফিস ধানের জমিতে পানি রাখতে পরামর্শ দিয়েছেন। এছাড়া আমের জমিতে সেচ ও গাছেও পানি স্প্রে করতে বলেছেন।

নারানবাড়িয়া গ্রামের ফয়েজ আহমেদ বলেন, এ তাপ আর গরমে আম ঝরে পড়ছে। ধানেও দেখা দিয়েছে ব্লাস্ট রোগ। এতে করে উৎপাদন কমতে পারে বলে জানিয়েছেন ওই চাষি।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নাজিবুল হাসান বলেন,তীব্র তাপদহ ও অনাবৃষ্টিতে ধানের ক্ষতি হতে পারে। তবে সব ধরনের ধানের ক্ষতি হবে না। মূলত যে ধানের ফুল রয়েছে, ওই সব ধানের সমস্যা হতে পারে।

এ ছাড়া ব্লাষ্ট রোগের প্রাদুভাব দেখা দিয়েছে। তবে তেমন বেশি না। মাত্র ১ হেক্টর ধানের জমিতে এ রোগ দেখা দিয়েছে। তিনি বলেন, ইতোমধ্যে আমরা চাষিদের সচেতন করতে এলাকায় এলকায় লিফলেট বিতরন করা হচ্ছে।

কৃষি কর্মকর্তা বলেন,যে আবহাওয়ায় আম কিছু ঝরে পড়তে পারে। সে ক্ষেত্রে গাছের গোড়ায় পানি দেয়া যেতে পারে। এ ছাড়া অন্য কোন ফসলের তেমন কোন ক্ষতি হওয়ার কথা আমার জানা নাই। এ ছাড়া কেউ অভিযোগ ও করেনি।

তবে বিদ্যুৎ নিয়ে চাষিদের অভিযোগ রয়েছে। বেশ কয়েক দিন ধরে, ঘন ঘন লোডশেডিং হচ্ছে। ফলে চাষিরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী সেচ দিতে পারছে না। এ কারনে ধানে বিভিন্ন ধরনের রোগের প্রাদুভাব দেখা দিতে পারে। এতে করে উৎপাদন ও কম হওয়ার আশংকা দেখা দিবে।