গাংনীতে র‌্যাবের অভিযানে দেড় কেজি গাঁজাসহ আটক ১

র‌্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-১২) একটি টিম অভিযান চালিয়ে দেড় কেজি ভারতীয় গাঁজাসহ মোঃ নাহিদ ইসলাম (২০) নামের এক মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে।

আটক নাহিদ হোসেন গাংনী উপজেলার গাঁড়াবাড়িয়া গ্রামের মোঃ লাল্টু মিয়ার ছেলে। আজ রবিবার (১৬ এপ্রিল) দুপুরের দিকে এই অভিযান চালান র‌্যাব।

র‌্যাব-১২ মেহেরপুর সিপিসি-২ এর গাংনী ক্যাম্প কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার (এএসপি)মোঃ গোলাম ফারুকের নেতৃত্বে র‌্যাবের একটি টিম গাংনী উপজেলার রামকৃষ্ণপুরধলা গামী পাকা রাস্তার উপর অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করেন। এসময় তার নিকট থেকে দেড় কেজি গাঁজা উদ্ধার করা হয়। একটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়েছে।

এঘটনায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা দিয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীকে গাংনী থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।




দর্শনায় ২২ টি স্বর্ণের বার সহ আটক; বাংলাকে রিমান্ড শেষে কারাকাগারে প্রেরণ

দর্শনায় ২২ টি স্বর্ণের বার সহ আটক বাংলার রিমান্ড শেষে কারাকাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। গত শুক্রবার তার রিমান্ড শেষে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তাকে মামলার আয়ু দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ ফেরদৌস ওয়াহিদ চুয়াডাঙ্গা আদালতের মহামান্য বিচারকের নিকট ৫ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন।

আদালতের বিজ্ঞ আদালত তাকে ১ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করলে আসামী সাঈদ খান ওরফে বাংলাকে দর্শনা থানা পুলিশ থানা হেফাজতের কাষ্টরিতে রেখে ১ দিন জিজ্ঞাসাবাদ শেষে গত শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে প্রেরণ করেন। এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালতের বিজ্ঞ বিচারক মোছাঃ জহুরা খাতুন।

উল্লেখ্য, গত ৫ এপ্রিল বুধবার সকালের দিকে মহেশপুর-৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মাসুদ পারভেজ রানা, এএফডব্লিউসি, পিএসসি, জি+ নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে জানতে পারেন একজন ব্যক্তি মোটরসাইকেল যোগে উথলী এলাকা হতে স্বর্ণ পাচারের উদ্দেশ্যে দর্শনার দিকে গমন করবে। অতঃপর অধিনায়কের নেতৃত্বে ব্যাটালিয়ন সদরের একটি বিশেষ টহল দল উথলী এলাকায় এ্যাম্বুশ স্থাপন করে বসে থাকে।

এমন অবস্থায় পৌনে ১১ টার দিকে মোটরসাইকলে আরোহী উথলী অতিক্রম করে দর্শনার দিকে যেতে থাকার সময় এ্যাম্বুশ দল পিছু ধাওয়া করে দর্শনা রেল ক্রসিং এর পাশে ৪ কেজি ৪১৬ গ্রাম ওজনের স্বর্ণ (২২টি বার) এবং ১টি মোটরসাইকেল সহ সাঈদ খান (৪২) নামের একজনকে আটক করে। আটককৃত ব্যাক্তি চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা থানাধীন দর্শনা মোবারকপাড়ার আব্দুর রাজ্জাক মন্ডলের ছেলে।

আটকৃত স্বর্ণের বারের মূল্য ৩ কোটি ৭৪ লক্ষ ৮৯ হাজার ১৩৪ টাকা। স্বর্ণের বার শুল্ক কর ফাকি দিয়ে ভারতে পাচারের জন্য পরিবহন করা ও নিজ জিম্মায় রাখায় অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়। আটককৃত আসামীর বিরুদ্ধে দর্শনা থানায় মামলা দায়ের এবং স্বর্ণের বার চুয়াডাংগা ট্রেজারী অফিসে জমা করা হয়েছে বলে ব্যাটালিয়নের সহকারী পরিচাল মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদেরকে জানিয়েছেন।




জীবননগরে ১০টাকার বিনিময়ে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিক্রয়

জীবননগরে ১০ টাকার বিনিময়ে ছিন্নমূল মানুষের মাঝে ঈদ সামগ্রী বিক্রয় । গতকাল শনিবার সকাল ১১টার সময় জীবননগর ইয়ুথ এ্যাসেম্বলির আয়োজনে উপজেলার কে,ডি,কে ইউনিয়নের আবাসনে বসবাসরত সাধারন মানুষের মাঝে ১০টাকার বিনিময়ে ১ কেজি চাউল,১ কেজি আলু,৫০০গ্রাম চিনি ও ৫০০গ্রাম সেমাই বিক্রয় করা হয়।

জীবননগর ইয়ুথ এ্যাসেম্বলির সভাপতি মিঠুনর মাহমুদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মাহফুজুর রহমান মনজু।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন,জীবননগর উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, দামুড়হুদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পঃপঃ কর্মকর্তা ডাঃ হেলেনা আক্তার নিপা,বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী মিকাইল ইসলাম পারুল কে,ডি,কে ইউপি সদস্য আব্বাস আলী,ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়ার কর্মকর্তা মোঃ কামরুজ্জামান যুদ্ধ,ওয়েভ ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা আশরাফুল ইসলাম লিটন,রইচ উদ্দিন,মিরাজ হোসেন,স্বপনা খাতুন, জীবননগর ইয়ুথ এ্যাসেম্বলির সদস্য তুহিনুজ্জামান,লাবনী খাতুন ঐশী ,মেহেদী হাসান প্রমুখ। উক্ত অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন জীবননগর ইয়ুথ এ্যাসেম্বলির সদস্য তুহিনুজ্জামান।




এসএসসি পাসে নিয়োগ দেবে সিটি গ্রুপ

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সিটি গ্রুপ। প্রতিষ্ঠানটিতে ‘ইটিপি অপারেটর ’ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

ইটিপি অপারেটর (রূপশী কমপ্লেক্স -২)।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে এসএসসি ( কারিগরী) পাস হতে হবে। বয়স ২৪ থেকে ৩২ বছর

এফএমসিজি শিল্পে প্রাসঙ্গিক অভিজ্ঞতা।

কর্মস্থল

নারায়ণগঞ্জ (রূপগঞ্জ)।

বেতন

আলোচনা সাপেক্ষে।

আবেদন প্রক্রিয়া

আগ্রহী প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

২৪ এপ্রিল, ২০২৩।

সূত্র : বিডিজবস




বাংলাদেশের বেকার সমস্যা ও তার সমাধান

(সংকেত: ভূমিকা; বেকার সমস্যা কী; বেকারত্বের ধরণ ও প্রকারভেদ; বেকার সমস্যা ও বাংলাদেশ; বেকারত্বের কারণ; বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট; বেকারত্বের নেতিবাচক প্রভাব; বেকারত্ব দূরীকরণের উপায়; উপসংহার।)

ভূমিকা: কোনো দেশের জনশক্তির তুলনায় কর্মসংস্থানের স্বল্পতার ফলে সৃষ্ট সমস্যাই বেকার সমস্যা। বর্তমান বাংলাদেশে এই সমস্যা জটিল ও প্রকট আকার ধারণ করেছে। যা বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল একটি দেশের অর্থনীতির জন্য মারাত্মক হুমকিস্বরূপ। কর্মহীন এই বিশাল উদ্বৃত্ত জনশক্তি না পারছে দেশের অর্থনীতিতে কোনো অবদান রাখতে, না পারছে নিজের সুন্দর-সমৃদ্ধ ভবিষ্যত নির্মাণ করতে। বেকারত্বের অসহ্য যন্ত্রণায় তারা জড়িয়ে পড়েছে বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে। ফলে রাষ্ট্রযন্ত্রের সর্বত্র দেখা দিচ্ছে বিশৃংখলা। ক্রমবর্ধমান এই সমস্যা সমাধানে আশু পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে অর্থনৈতিক অবকাঠামো যেকোনো সময় ভয়াবহ ভাঙনের মুখে পড়বে।

বেকার সমস্যা কী: বেকারত্ব বলতে মূলত বোঝায় কর্মক্ষম শ্রমশক্তির পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের অভাব। আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার সংজ্ঞা অনুযায়ী, “Unemployment (or joblessness) occurs when people are without work and actively seeking work.” The Bureau of Labour Statistics (BLS) বেকারত্বের সংজ্ঞায় বলেছে- ‘বেকারত্ব হচ্ছে এমন কিছু মানুষের কর্মহীন অবস্থা; যাদের কোনো কর্ম নেই, গত চার সপ্তাহ যাবত সক্রিয়ভাবে কাজের সন্ধান করছে এবং তারা কাজের জন্য প্রস্তুত।’ বাংলাদেশের শ্রমশক্তি সম্পর্কিত জরিপে (এলএফএস) বেকার হিসেবে বিবেচনা করা হয়েছে এমন ব্যক্তিকে যার বয়স ১০ বছর কিংবা তার বেশি; কাজের জন্য প্রস্তুত থেকে সক্রিয়ভাবে কাজের অনুসন্ধান করেও যে কাজের সুযোগ পায়নি বা কাজ করতে পারেনি।

বেকারত্বের ধরণ ও প্রকারভেদ: দেশের ভৌগোলিক অবস্থান, আর্থ-সামাজিক অবস্থা, সামাজিক অবকাঠামো, বেকারত্বের সংজ্ঞা, কারণ ও বৈশিষ্ট্যের বিচারে বেকারত্ব বিভিন্ন ধরণের হতে পারে। অর্থনৈতিক সংকট, রাজনৈতিক অস্থিরতা, রাষ্ট্রীয় কাঠামোগত দুর্বলতার ফলে সৃষ্টি হয় অবকাঠামোগত বেকারত্ব। হঠাৎ কোনো মিল-কারখানা বন্ধ হয়ে যাওয়া কিংবা স্থানান্তরের ফলে আকস্মিক বেকারত্বের সৃষ্টি হয়। কারিগরি বা প্রযুক্তিগত অপর্যাপ্ততার দরুণ বেকার সমস্যা তৈরি হয়। তৈরি পোশাকশিল্পসহ অন্যান্য মৌসুমি ব্যবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে দেখা দেয় মৌসুমি বেকারত্ব। আবার কাজের ধরণের সঙ্গে শ্রমশক্তির দক্ষতার অসঙ্গতির ফলে সৃষ্টি হয় এক ধরণের বেকারত্ব। তবে বাংলাদেশে কাঠামোগত বেকারত্বের হারই বেশি।

বেকার সমস্যা ও বাংলাদেশ: বর্তমান বাংলাদেশে বেকার সমস্যা ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা, কমনওয়েলথসহ একাধিক সংস্থার সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী গত এক দশকে বাংলাদেশে বেকারত্বের হার বেড়েছে ১.৬ শতাংশ, যেখানে কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধির হার ২ শতাংশ। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে ২০২২ সালে মোট বেকারের সংখ্যা দাঁড়াবে ২১ কোটিতে। আন্তর্জাতিক শ্রমসংস্থার (আইএলও) সর্বশেষ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, বর্তমানে বাংলাদেশে মোট প্রায় ৩০ লাখ বেকার। এই বিশাল বেকার জনগোষ্ঠীর মধ্যে শিক্ষিত বেকারের হারই বেশি।

বেকারত্বের কারণ: বাংলাদেশ প্রেক্ষাপট: বাংলাদেশে বেকার সমস্যা সৃষ্টির পেছনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ নানাবিধ কারণ রয়েছে। কিছু কারণ নিচে তুলে ধরা হলো-

ঔপনিবেশিক শাসনের প্রভাব: ২০০ বছর ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক এবং ২৪ বছর পাকিস্তানি শাসনের সময় বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন চরমভাবে অবহেলিত হয়েছে। উপরন্তু তারা শোষণ করে নিয়ে গেছে এদেশের মূল্যবান সম্পদ। ফলে ক্রমেই ভেঙে পড়েছে অর্থনৈতিক অবকাঠামো আর বেড়েছে বেকারত্বের চাপ।

শিল্পবিপ্লবের প্রভাব: শিল্পবিপ্লবের মাধ্যমে প্রচুর পরিমাণে অধিক উৎপাদনমুখী যন্ত্রের আবিষ্কার হয়েছে। ফলে আধুনিক কৃষিব্যবস্থা জনশক্তির পরিবর্তে কৃষিযন্ত্রের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। শ্রমিকের প্রয়োজন যন্ত্রে পূরণ করায় সৃষ্টি হচ্ছে বেকার সমস্যা।

মুক্তিযুদ্ধোত্তর চাপ: ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের ফলে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অবকাঠামো চরমভাবে ভেঙে পড়ে। যুদ্ধোত্তর স্বাধীন দেশে শিল্পায়নে গতিহীনতা, সঠিক পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে অদক্ষতার দরুন বিশাল একটি জনগোষ্ঠী বেকার হয়ে পড়ে। যার দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব বাংলাদেশকে এখনও তাড়িয়ে ফিরছে।

অধিক জনসংখ্যা: বাংলাদেশে বেকার সমস্যার বর্তমান পরিস্থিতি বিশ্লেষণ করলে দেখা যায়, জনসংখ্যার সীমাহীন চাপই মূলত এর জন্য প্রধানত দায়ী। যে হারে জনসংখ্যা বাড়ছে, সেই অনুপাতে কর্মসংস্থানের সুযোগ বাড়ছে না।

শিক্ষা ব্যবস্থায় অসঙ্গতি: বাংলাদেশের শিক্ষার হার কম। তদুপরি আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। এতে নেই বৃত্তিমূলক, কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ। বছর বছর সনদধারী শিক্ষিত জনশক্তি তৈরি হলেও তৈরি হচ্ছে না যোগ্য ও দক্ষ জনশক্তি।

অপরিকল্পিত উৎপাদন ব্যবস্থা: কৃষকের অসচেতনতা ও অপরিকল্পিত ভূমি ব্যবহার বেকার সমস্যার অন্যতম কারণ। জমির উর্বরতা হ্রাস, কোনো কোনো ক্ষেত্রে জমি উৎপাদন শক্তিহীন হয়ে যাওয়ায় নষ্ট হয় কাজের সুযোগ।

রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোগত দুর্বলতা: সুষ্ঠু পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়নে উদ্যোগহীনতা, রাজনৈতিক অস্থিরতা, আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি, সীমাহীন দুর্নীতি প্রভৃতি কারণে দেশের অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্থ হচ্ছে। যার ফলে বাড়ছে বেকারত্বের চাপ।

কায়িক শ্রমে অনীহা: কায়িক শ্রমের প্রতি অনীহা বেকার সমস্যার একটি অন্যতম প্রধান কারণ। অভাব অনটন সত্ত্বেও এদেশের মানুষ কায়িক পরিশ্রম করতে আগ্রহী নয়। প্রাতিষ্ঠানিক চাকরি না পেয়ে বেকার হয়ে বসে থাকে, কিন্তু নিজেই আত্মকর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে ভাগ্যোন্নয়নে উদ্যোগী হয় না।

বেকারত্বের নেতিবাচক প্রভাব: বেকারত্ব একটি অভিশাপ। ব্যক্তিজীবন থেকে শুরু করে সর্বত্র এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। বেকারত্বের ভয়াল থাবায় দুর্বল হয়ে পড়ে রাষ্ট্রকাঠামো। বেকারত্বের কারণে কোনো কাজ না পেয়ে মানুষ নানা অবৈধ ও অসামাজিক কাজে লিপ্ত হয়। সমাজে খুন, রাহাজানি, চুরি-ডাকাতি, ছিনতাই অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধি পায়। স্থবির হয়ে যায় অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রা। দেখা দেয় শাসনতান্ত্রিক বিশৃংখলা। রাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে প্রভাবশালী দেশগুলো। ফলে দেশের সার্বভৌমত্ব বিপন্ন হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়।

বেকারত্ব দূরীকরণের উপায়: বাংলাদেশের বেকারত্ব সমস্যা সমাধানের জন্য নিম্নোক্ত পদক্ষেপগুলো গ্রহণ করতে হবে। যথা-

– যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অতিরিক্ত জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করতে হবে। অধিক জনসংখ্যাকে দেশের বোঝা নয়, সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করতে হবে।

– বৃত্তিমূলক, কারিগরি ও কর্মমুখী শিক্ষার পর্যাপ্ত সুযোগ তৈরি করতে হবে। নারী শিক্ষার সম্প্রসারণে যথাযথ কর্মসূচি গ্রহণ করতে হবে।

– ধর্মীয় কুসংস্কার থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।

– কোনো কাজকেই তুচ্ছ না ভেবে কায়িক পরিশ্রমের মর্যাদা দিতে হবে।

– পরিকল্পিত শিল্পকারখানা গড়ে তুলে পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করতে হবে।

– আধুনিক প্রযুক্তি ও যন্ত্রপাতি ব্যবহারে যথাযথ প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ শ্রমশক্তি গড়তে তুলতে হবে।

– ভাষাগত দুর্বলতা দেশি-বিদেশি শ্রমবাজারে কর্মসংস্থ্না প্রাপ্তিতে একটি বড় সমস্যা। প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শ্রমিকদের ভাষাগত দুর্বলতা কাটিয়ে তুলতে হবে।

– কর্মক্ষম শ্রমিকদের বিদেশে কাজের ব্যবস্থা করতে হবে।

– শিক্ষিত যুবসমাজকে গ্রামমুখী করতে হবে।

– তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে ইন্টারনেটে আউটসোর্সিং হতে পারে বেকারত্ব হ্রাসের আরেকটি উপায়।

উপসংহার: বেকারত্বের ভয়াবহ অভিশাপ থেকে মুক্তি পেতে হলে সমগ্র জাতিকেই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। কর্মক্ষেত্রে রাজনৈতিক দলীয়করণের মনোবৃত্তি পরিহার করে মেধা ও যোগ্যতার ভিত্তিতে কর্মে নিয়োগের বিষয়টি নিশ্চিত করা জরুরি। রাষ্ট্রীয় অবকাঠামোর গুণগত পরিবর্তনের মাধ্যমে বেকারত্ব থেকে উত্তরণের জন্য কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করতে হবে




মিরপুরে অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে ডা: এসএম মুস্তানজীদ

কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার পোড়াদহ ইউনিয়নের বেলগাছী ও আহম্মদপুর গ্রামে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে গিয়ে দাঁড়ালেন কুষ্টিয়া নাগরিক কমিটির সভাপতি ও কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ (মিরপুর-ভেড়ামারা) আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী ডা: এসএম মোস্তানজীদ।

গতকাল শনিবার সকালে তিনি অগ্নিকাণ্ডের ক্ষতিগ্রস্ত ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে অসহায় পরিবারকে আপাতত খাদ্য সহায়তা প্রদান করেন।

ডা: এসএম মোস্তানজীদ বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর শুনেছিলাম তখন ঢাকায় ছিলাম। আমি কুষ্টিয়া ফিরেই ছুটে এসেছি এসব অসহায় ওই পরিবারগুলোর পাশে। এসব পরিবারের মানুষের বিপদে আমি সবসময় থাকতে চাই।

তিনি বলেন, আমি ব্যাক্তিগতভাবে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর জন্য সহায়তা প্রদান করেছি। আগামীতে আরও ভালো কিছু করার চেষ্টা করবো। এছাড়াও বিত্তশালীদের ক্ষতিগ্রস্থদের পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধও জানান তিনি।

অসহায় পরিবারের সদস্যদের বরাত দিয়ে স্থানীয় শাহীন আলী জানান, বেলগাছী ও আহম্মদপুর গ্রামে পানবরজ ও বসতবাড়িতে আগুন লাগে।

আগুনে ১১ টি পরিবারের সবকিছু পুড়ে ছাই হয়ে যায়। তারা খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছে। খবর পেয়ে ডা: এসএম মোস্তানজীদ স্যার পরিদর্শন করেন এবং সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন।

এ সময় জেলা পরিষদের সদস্য আলহাজ্ব মহাম্মদ আলী জোয়ার্দ্দার, বারুইপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ডাঃ শফিকুল ইসলাম মন্টু, প্রেসক্লাবের সভাপতি বাবলু রঞ্জন বিশ্বাস, আলো সংস্থা নির্বাহী পরিচালক ফিরোজ আহাম্মেদ, আরোহী সংস্থার সাবেক নির্বাহী পরিচালক হোসেন শহীদ সরোয়ার্দী ফেমাস, পোড়াদহ ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য দেলোয়ার হোসেন দুলাল, শাহ আলম, বারুইপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মাসুম বিশ্বাস, আসলাম হোসেন, সেতু এনজিওর সাবেক সভাপতি ওমর আলী, ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন বিশ্বাস, সহ-সভাপতি শাহাজাহান আলী বিশ্বাস, উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাহিন আলীসহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিরা উপস্থিত ছিলেন।




কুষ্টিয়ায় কারাবন্দীদের শাড়ী, লুঙ্গি ও কসমেটিকস উপহার দিলেন মৌবন

কুষ্টিয়া কেন্দ্রীয় কারাগারের কয়েদি ও হাজতি কারাবন্দীদের মাঝে ঈদ উপহার হিসেবে লুঙ্গি এবং কারাবন্দী নারীদের মাঝে নতুন শাড়ি বিতরণ করা হয়েছে। একইসাথে তাদের জন্য হাতের মেহেদি, চুড়ি, টিপ, কানের দুল, মালা, খোঁপা, নেলপলিশ, লিপস্টিক ও মাথার ব্যান্ড তুলে দেওয়া হয়। এসব পেয়ে আনন্দে আত্মহারা হয়ে ওঠেন কারাবন্দীরা।

গতকাল শনিবার বিকেলে বন্দীদের মাঝে লুঙ্গি, শাড়ি ও কসমেটিকস সামগ্রী কুষ্টিয়া জেলা কারাগারের জেল সুপার আ: বারেক ও জেলার আবু মুসার হাতে এসব হস্তান্তর করা হয়।

এসময় মৌবনের ম্যানেজার আশিকুজ্জামান রনি,এক্সিকিউটিভ অফিসার মীর তনিমা, এসএম জামাল, কনক আহমেদ, বিপ্লব হোসেন সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মৌবন কুষ্টিয়া পরিচালিত “নারী বাতায়ন” এর আয়োজনে এবং খুলনা বিভাগীয় ‘জয়িতা’ মৌবনের নির্বাহী পরিচালক সাফিনা আনজুম জনির অর্থায়নে এসব উপহার সামগ্রী বিতরণ করা হয়। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কারাগারে বন্দী পুরুষ এবং কয়েদি ও হাজতি নারীদের মাঝে শাড়ি ও এসব কসমেটিকস সামগ্রী বিতরণ করা হয়। এছাড়াও মায়েদের সঙ্গে থাকা ১জন শিশুর মাঝেও নতুন পোশাক তুলে দেওয়া হয়।

মৌবনের নির্বাহী পরিচালক সাফিনা আঞ্জুম জনির এমন মহতী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে জেল সুপার আ: বারেক বলেন, এই উপহারগুলো বন্দীদের অনেক আনন্দ দেবে। তিনি বলেন, ‘ঈদের দিন সবাই নতুন পোশাক পরলেও বন্দীরা এ সুযোগ থেকে অনেক সময় বঞ্চিত হয়ে থাকে। ঈদ মানে আনন্দ, আর ঈদ মানে খুশি। তাই তাদের মাঝে মৌবনের পক্ষ থেকে আজ ওই সব উপহার সামগ্রী তুলে দিতে পেরে আমিও আনন্দিত।’

এক শুভেচ্ছা বার্তায় মৌবনের নির্বাহী পরিচালক সাফিনা আঞ্জুম জনি বন্দীদের জানান, পরিবার-পরিজন ছাড়া ঈদ উদযাপন করতে হয় বন্দীদের। এতে তাদের মনের মধ্যে যে দুঃখ কাজ করে থাকে তাতে আমরাও দুঃখিত হই। ঈদের বিশেষ একটা দিনে তাদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য কিছুটা হলেও আমি তৃপ্তি পাবো। তারা সংশোধিত হয়ে নতুন ও সুন্দর একটি জীবন গড়ে তুলবেন, এটা আমাদের প্রত্যাশা।’




দর্শনায় ৮৯ ব্যাচের উদ্দ্যেগে ইফতার মাহফিল

দর্শনায় ৮৯ ব্যাচের উদ্দ্যেগে দর্শনা সরাকরী কলেজে এক ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্টিত হয়েছে।

গত শুক্রবার সন্ধা ৬ টার দিকে দর্শনা সরকারী কলেজের একটি কক্ষে ৮৯ ব্যাচের উদ্দ্যেগে এ ইফতার মাহফিল ও দোয়া অনুষ্টিত হয়। উক্ত দোয়া মাহফিলে দর্শনা সরকারী কলেজের প্রয়াত প্রতিষ্ঠাতা-শিক্ষক-কর্মচারী শিক্ষার্থীদের রুহের মাগফেরাত কামনায় দোয়া ইফতার মাহফিল অনুষ্টিত হয়।

এ ইফতার মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন নব নির্বাচিত পৌর মেয়র আতিয়ার রহমান হাবু সাবেক উপধাক্ষ মোশারেফ হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা এ্যাডভোকেট শহীদুল ইসলাম, বীর মুক্তিযোদ্ধা সৈয়দ মজনুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা জাহাঙ্গীর আলম, ৮৯ ব্যাচের সাধারন সম্পাদক আব্দুস আজাদ বিপু,কনিকা সিডের পরিচালক নুর আলম লিটন, দর্শনা প্রেসক্লাবের সভাপতি আওয়াল হোসেন, দর্শনা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক হানিফ মন্ডল, দর্শনা প্রেসক্লাব ও সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইকরামুল হক পিপুল, সাধারন সম্পাদক আহসান হাবীব মামুন ও ৮৯ ব্যাচের সকল বন্ধুবর।




আলমডাঙ্গার ছোট-পুটিমারীর মাদকসম্রাট সামিম আটক

আলমডাঙ্গার ছোট-পুটিমারী গ্রামের মাদক সম্রাট শামিম খন্দকারকে আটক করেছে পুলিশ। গত ১৪ এপ্রিল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় ছোটপুটিমারী মাদ্রাসার নিকট ভূট্টা ক্ষেতের মধ্যে থেকে আটক করে। তার নিকট থেকে ২০ পিস ইয়াবা ও ৪০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে।

এলাকাসূত্রে জানাযায়, উপজেলার জেহালা ইউনিয়ন মানেই মাদকের অভায়রণ্য। বিভিন্ন গ্রামে সহজেই মিলতো চোলাই মদ, গাঁজা, ইয়াবাসহ ট্যাপেন্ডাডল ট্যাবলেট। বর্তমান আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথের উদ্যোগে ওই ইউনিয়ন জুড়ে চলমান মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করছে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়িপুলিশ। অনেকটা স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে জেহালা ইউনিয়ন। মাদক সেবনকারীরাও স্বাভাবিক জিবনে ফিরতে শুরু করেছে। তবে ছোট-পুটিমারী গ্রামের মৃত খন্দকার আবু সাইদের ছেলে সামিম খন্দকার গোপনে রমরমা ইয়াবা ও ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট বিক্রয় করে আসছে। পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়েও সে থাকে ধরা ছোয়ার বাইরে।

গত শুক্রবার রাতে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়িপুলিশের নিকট সামিমের বিরুদ্ধে গোপনে মাদক বিক্রয়ের তথ্য আসে। সংবাদ পেয়ে আলমডাঙ্গা থানার ওসি বিপ্লব কুমার নাথের নির্দেশে রাত সাড়ে ৯টার দিকে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে মুন্সিগঞ্জ ফাঁড়ির আইসি এসআই তাপস কুমার ও এএসআই শিপন মিয়া। ছোট-পুটিমারী গ্রামের মাদ্রাসা সংলগ্ন ভুট্টা ক্ষেতে রাস্তার উপর থেকে তাকে আটক করে। তার শরীর তল্লাশী করে ২০ পিস ইয়াবা ও ৪০ পিস ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করে পুলিশ। গতকাল শনিবার সকালে সামিমের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

উল্লেখ্য, মুন্সিগঞ্জ এলাকার মাদক সম্রাট সামিমের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানাসহ বিভিন্ন থানায় এক ডজন মাদক মামলা রয়েছে। তিনি ইতিপূর্বে বিভিন্ন মাদক মামলায় কারাভোগ করেছে।




আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুরে মুদি দোকানী ও তার ছেলেকে কুপিয়ে জখম

আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুর গ্রামের হাফিজুর রহমান আকুল নামের এক মুদি দোকানদার ও তার ছেলে কলেজ ছাত্র হিমেল (১৭) কে কুপিয়ে মারাত্মক জথম করা হয়েছে। দোকানে মালামাল কিনতে এসে তর্কাতর্কির এক পর্যায়ে গ্রামের হান্নান,আসলামসহ কয়েকজন দোকানে হামলা ও মারপিটের ঘটনা ঘটায় । রক্তাক্ত আহত অবস্থায় পিতা,পুত্রকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে হারদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

জানা গেছে,আলমডাঙ্গার গোবিন্দপুর গ্রামের মন্ডল পাড়ায় হাফিজুর রহমান আকুলের একটি মুদি দেকান রয়েছে। ওই দোকানে গত কয়েকদিন আগে একই পাড়ার আকলিমা খাতুন নামের এক মহিলা মালামাল কিনতে আসেন। এ সময় তার সাথে কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আকলিসা খাতুন তার স্বজন আব্দুল হান্নান,আসলাম,নাঈম ও রাসেলকে ডেকে আনে। পুর্ব শত্রুতার জের ধরে পুূর্ব পরিকল্পিত ভাবে মুদি দোকানদার হাফিজুর রহমান আকুলের মাথায় ও কপালে হেঁসো দিয়ে কোপ মারে, সে মাটিতে পড়ে গেলে তার পিঠেও আঘাত করে তারা। এ সময় তার ছেলে হিমেল তার পিতাকে বাঁচাতে গেলে তাকেও রক্তাক্ত জখম করে। স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহত পিতা ও পুত্রকে উদ্ধার করে হারদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

মুদি দোকানীর স্ত্রী শারমিন ডলি জানান,আমার স্বামী ও সন্তানকে হত্যার উদ্দেশ্যে তারা হামলা করেছে। দোকান ভাংচুর ও নগদ ১ লাখ ৬০ হাজার টাকাও ছিনিয়ে নিয়ে গেছে। আমরা স্বামী নিরীহ মানুষ। আমাদের নানা ভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে তারা।

এ ঘটনায় হাফিজুর রহমান আকুলের স্ত্রী বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।