আলমডাঙ্গার ভাটুই নদীর বুকে বোরো ধান চাষ

আলমডাঙ্গা উপজেলার বুক দিয়ে বয়ে যাওয়া ভাটুই নদী নাব্যতা হারিয়ে এখন মরা খালে পরিণত হয়েছে। মরা নদীতে বোরো ধানসহ বিভিন্ন ফসল চাষ করছেন স্থানীয় কৃষকেরা । কয়েক যুগ নদীর নাব্যতা রক্ষার্থে খননের কোন উদ্যোগ নেয়নি কতৃপক্ষ। বর্ষা মৌসুমে ভেসে আসা পলি-মাটি নদীর তলদেশে পড়ে এখন সমতল ভুমিতে রুপ নিয়েছে। খরস্রোতা নদীটি পুনঃখনন করে নাব্যতা ফিরিয়ে দিতে সরকারের কার্যকরী পদক্ষেপের দাবী স্থানীয়দের।

এলাকাবাসি জানান, খরস্রোতা ভাটুই নদী খননের অভাবে অস্থিত্ব হারিয়ে অনেক আগেই কৃষি জমিতে পরিণত হয়েছে। শত শত হেক্টর জমিতে রোপন করা হয়েছে বোরো ধান। এ নদীতে অবৈধ দখলের কবলে পড়ে পানির স্রোত ধারা বিঘ্নিত হচ্ছে। মূলত বর্ষা মৌসুমে এক-দুই মাস পানি থাকে। আবার নদীটি তার আপন সত্তা হারিয়ে শুকিয়ে যায়। অথচ ওই নদীতে চৈত্র-বৈশাখেও ছিল পানি। ছিল দেশীয় প্রজাতির মাছের সম্ভার। এখন নদীতে পানিও নেই, মাছও নেই। দেখা দিয়েছে দেশীয় মাছের আকাল। ফলে নদীকেন্দ্রিক মানুষগুলো বেকার হয়ে পড়েছে। নদী শুধু বর্ষাকালে কয়েক দিনের জন্য ফুটে ওঠে। এখন নদীর তলায় চাষাবাদ হচ্ছে ধান, ভুট্রাসহ নানান ফসল।

সরেজমিনে নদী এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ভাটুই নদীর বুকে শত শত ভূমিহীন কৃষক বিশেষ করে বোরো ধানসহ নানা ফসল চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

জাহাপুর গ্রামের আমজেদ আলি বলেন, নদীতে পানি শুকিয়ে সমতল ভুমিতে পরিণত হয়েছে। নদী এখন ফসলি জমিতে রুপ নিয়েছে। কোথাও হাটু জল, কোথাও জলবিহীন গর্ত। এভাবে চলতে থাকলে এক সময় হয়েতো নদীর প্রাণ হারিয়ে মানচিত্র থেকে মুছে যাবে। তাই নদীর অস্তিত্ব সংকট কাটিয়ে খনন ও সংস্কার করা জরুরী।

ঘোলদাড়ি কুঁটিপাইকপাড়া গ্রামের ভূমিহীন কৃষক বদরুদ্দিন বলেন, আমাদের তেমন জমিজমা নেই, তাই বোরো মৌসুমে নদী শুকিয়ে গেলে চাষাবাদ করি।

চুয়াডাঙ্গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ আহমেদ জানান,- ভাটুই নদী পূর্ণখননের জন্য মন্ত্রণালয়ে কাগজ পাঠানো হয়েছে। আবেদনের প্রেক্ষিতে বরাদ্দ হলেই খনন কাজ শুরু করা হবে। তিনি আরো বলেন,- নদীর বুকে ফসলের চাষাবাদ ও ভরাটের বিষয়ে তিনি অবগত রয়েছেন।

আলমডাঙ্গা উপজেলা কৃষি অফিসার হোসেন শহীদ সরোয়াদ্দী বলেন, শুকিয়ে যাওয়া নদীতে ভূমিহীন কৃষকরা বোরো ধানসহ অন্যান্য ফসল চাষাবাদ করে কিছুটা আর্থিক সচ্ছল হচ্ছেন।




যেসব আইফোন আর চলবে না

বছরের সেপ্টেম্বরে নতুন আইফোন সিরিজ লঞ্চ করছে নির্মাতা সংস্থা অ্যাপল। নতুন আইফোন মানেই প্রযুক্তি বিশ্বে আলাদা উন্মাদনার সৃষ্টি হয়। সারা বিশ্বের আইফোন প্রেমীরা মুখিয়ে থাকেই এই সময়ের জন্য। পুরোনো আইফোন বাদ দিয়ে নতুন আইফোন কেনেন।

তবে এর ঠিক উল্টো কাজও করেন অনেকে। পুরোনো আইফোন বিক্রি না করে কাছেই রেখে দেন। ব্যবহার করেন দিনের পর দিন। তবে যারা পুরোনো জেনারেশনের আইফোন ব্যবহার করেন তাদের জন্য দুঃসংবাদ। ২০২৩ সালের মে মাস থেকে চলবে না কয়েকটি আইফোন। অ্যাপল বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শিডিউলড আইফোন আপগ্রেডের ফলে ব্যবহারকারীরা একাধিক সমস্যার সম্মুখীন হতে চলেছেন।

তাই যত দ্রুত সম্ভব আইফোন ব্যবহারকারীদের তাদের ফোনটি সাম্প্রতিকতম আইওএস ভার্সনে আপডেট করে নিতে হবে। যদি আপডেটটি না করেন, তাহলে ভবিষ্যতে ফোনের অ্যাক্সেস পাবেন না। কারণ আইওএসের পুরোনো ভার্সনটি একাধিক জরুরি ফাংশন হারাতে চলেছে। যেমন, ম্যাপ নেভিগেট করা, ফোনে সিরি ভয়েস কন্ট্রোল, জরুরি অ্যাপের জন্য অ্যাপ স্টোর এই সব কিছুই ব্যাকডেটেড।

মে মাসের প্রথম দিকে অ্যাপল পরিষেবাগুলোর অ্যাক্সেস হারাতে পারেন। আইক্লাউড বাদে, আইওএস ১১-১১.২.৬ সফটওয়্যারের ডিভাইসগুলোতে কাজ করা বন্ধ করে দেবে। নতুন সিকিওরিটি ফিচার এবং আপগ্রেডগুলো ব্যবহার করতে আপনাকে আইফোন ৭ মডেলটি আইওএস ১৫-এ আপডেট করে নিতে হবে। যদিও আইফোন ৭ কখনো আইওএস ১৬ সাপোর্ট করবে না।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের ইফতার মাহফিলের আয়োজন

মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের আয়োজন পবিত্র মাহে রমজানের ২৩তম দিনে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়।

গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় জেলা প্রেসক্লাবের নিজস্ব কার্যালয়ে সকল সদস্যদের নিয়ে এ ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর পৌর সভার মেয়র মাহফুজুর রহমান রিটন, মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দু, দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, গাংনী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মাহবুবুল হক সহ মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সকল সদস্যবৃন্দ।




ঈদে হানিফ সংকেতের ‘বাড়িঘর আপন পর’

প্রতি ঈদেই ‘ইত্যাদি’র পাশাপাশি বরেণ্য নির্মাতা হানিফ সংকেত একটি নাটক নির্মাণ করেন। এবারও তার ব্যতিক্রম হচ্ছে না। তার এবারের ঈদ নাটকের নাম ‘বাড়িঘর আপন পর’। নাটকটি প্রচারিত হবে ঈদের দিন রাত ৮টা ৫০ মিনিটে এটিএন বাংলায়।

হানিফ সংকেতের ঈদ নাটকের নামে যেমন ভিন্নতা থাকে গল্পেও থাকে তেমনি আলাদা স্বাদ ও বৈচিত্র্য। পাশাপাশি থাকে একটি সামাজিক বক্তব্য। তাই হানিফ সংকেতের নাটক দেখার জন্য দর্শকদের বাড়তি আকর্ষণ থাকে। নাটকটি ধারণ করা হয়েছে ঢাকার মিরপুরে অবস্থিত ফাগুন অডিও ভিশনের নিজেস্ব শুটিংস্পটে।

একজন নারী কখনও একজন মা, একজন অভিভাবক, একজন স্ত্রী, একজন উপার্জনশীল ব্যক্তি, একজন দায়িত্বশীল কর্মকর্তা, একজন ভালো বন্ধু। কিন্তু তারপরও অধিকাংশ ক্ষেত্রে তাকে সব সময় সব কিছুতেই আপোস করে চলতে হয়। হতে পারে সেটা সংসার জীবনে, কর্মক্ষেত্রে, কিংবা ব্যক্তিগত জীবনে। সদ্য বিবাহিতা একজন নারীর সামাজিক অবস্থান এবং তার মনে জেগে ওঠা কিছু প্রশ্ন নিয়ে গড়ে উঠেছে ‘বাড়িঘর আপন পর’ নাটকের কাহিনি।

নাটকটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আবুল হায়াত, দিলারা জামান, শহীদুজ্জামান সেলিম, মীর সাব্বির, তারিন জাহান, আব্দুন নূর সজল, লুত্ফর রহমান জর্জ, সুভাশিষ ভৌমিক ও নজরুল ইসলাম। নাটকের সূচনা সংগীতের কথা লিখেছেন মোহাম্মদ রফিকউজ্জামান, সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী এবং কণ্ঠ দিয়েছেন পুলক ও রিয়াদ।

উল্লেখ্য, ঈদের নাটকের ভিড়ে সবাইকে সব চ্যানেলে একাধিকবার দেখা গেলেও ঈদের দিন হানিফ সংকেতের নাটক দেখা যায় শুধুমাত্র একটি চ্যানেলে। কারণ প্রতিবছর দুই ঈদে দুটি নাটক নির্মাণ করেন তিনি এবং সেটি দীর্ঘ দেড় দশক ধরে শুধুমাত্র এটিএন বাংলাতেই প্রচারিত হয়ে আসছে। বছরে মাত্র দুটি নাটক আর সেগুলো পারিবারিক গল্প, শিক্ষণীয় ও বক্তব্যধর্মী হওয়ায় দর্শকদের আগ্রহ এবং প্রত্যাশাও থাকে লক্ষণীয়। এবারও সেই ধারাবাহিকতা থাকবে বলেও মনে করছেন নাটকটির সংশ্লিষ্টরা।

সূত্র: ইত্তেফাক




কার্পাসডাঙ্গায় মৎস্য আড়ৎে মাছ ক্রয় করা’কে কেন্দ্র করে সংঘর্ষ

গতকাল দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গার শান্তি হালদারের মৎস্য আড়ৎে মাছ ক্রয় করা’কে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষ হয়। না গেছে মদনা ইউনিয়নের মদনা গ্রামের মো: আব্দুলা পিতা আব্দুল জলিল ও কার্পাসডাঙ্গা কোমরপুর গ্রামের আব্দুল কাদের পিতা এড়েং এর ছেলে সকাল ৯ ঘটিকার সময় মাছ ডাকা’কে কেন্দ্র করে হাতাহাতি হয়, এক পর্যায়ে উভয়পক্ষ মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছিলো।

পরবর্তীতে সন্ধা ৭ টার দিকে কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল করিম বিশ্বাস উভয়পক্ষ’কে ডেকে সমঝোতা করে দেয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন কার্পাসডাঙ্গা বাজার দোকান মালিক সমিতির সভাপতি আলমগীর রাসেল, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজ কচি, কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান (মুকুল), ইউনিয়ন পরিষদের ৪ নং ওয়ার্ড সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মনিরুজ্জামান মন্টু, আওয়ামী লীগ নেতা আক্তারুজ্জামান, ফারুক হোসেন, ইসরাফিল, এবং ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সানাউল কবির( শিরিন) সহ স্থানীয় ব্যক্তিবর্গ।

কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল করিম বিশ্বাস উভয়পক্ষকে হাতে হাত মিলিয়ে শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রেখে ব্যবসা চালিয়ে যেতে বললেন। চেয়ারম্যান এই মহৎ উদ্যোগে মদনা ও কার্পাসডাঙ্গা কোমপুরে উভয়পক্ষই সন্তুষ্ট এবং চেয়ারম্যান’কে সাধুবাদ জানায়।




কলকাতা মাঠে নামার আগে যে বার্তা দিলেন লিটন

দুই হার ও দুই জয়ের পর কলকাতা নাইট রাইডার্সের সামনে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। রোববার বিকাল ৪টায় ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে দুদল।

কলকাতা এবার দলে নিয়েছে টাইগার ক্রিকেটার লিটন কুমার দাসকে। কিন্তু টুর্নামেন্টে এখনো অভিষেক হয়নি তার। দলের আগের ম্যাচগুলোতে ভালো করতে না পারায় মুম্বাইয়ের বিপক্ষে বাদ পড়তে পারেন দলটির আফগান ওপেনার রহমানউল্লাহ গুরবাজ। তার পরিবর্তে সুযোগ মিলতে পারে লিটনের।

আইপিএল অভিষেক হওয়ার সম্ভাবনা যখন প্রবল, ঠিক সেই সময় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি ছবি শেয়ার করেছেন লিটন। সেই ছবিতে লিটনকে কী যেন পরামর্শ দিচ্ছেন দলটির কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। সেই ছবির ক্যাপশনে লিটন লেখেন— ‘নাইট রাইডার্স আজ মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বিপক্ষে মুখোমুখি হওয়ার জন্য প্রস্তুত!’

আসলেই কি মুম্বাইয়ের বিপক্ষে লিটনের অভিষেক হবে? পরিসংখ্যান অন্তত সেটার ইঙ্গিতই দিচ্ছে। ওপেনার রহমতউল্লাহ গুরবাজ মোটেই আশার প্রতিদান দিতে পারছেন না। এক ফিফটি বাদ দিলে ভালো শুরু এনে দিতে পারেননি বাকি ম্যাচগুলোতে। ব্যাট হাতে ধারাবাহিকভাবে ব্যর্থ আন্দ্রে রাসেলও। চার ম্যাচের একটিতে সর্বোচ্চ ৩৫ রান বাদ দিলে বাকি তিন ইনিংসেই সাজঘরে ফিরেছেন ১ অঙ্কের ঘরে। তবে কেন হটফর্মের লিটন সুযোগ পাবেন না— সমর্থকরা তো সেই প্রশ্ন তুলতেই পারেন।

শুধু গুরবাজ আর আন্দ্রে রাসেল কেন, কলকাতার বিদেশি বোলাররাও নেই ভালো ফর্মে। আসরের প্রথম দুই ম্যাচে ৬ ওভারে ৭৯ রান খরচ করা টিম সাউদিকে বসিয়ে সুযোগ দেওয়া হয় ফার্গুসনকে। কিউই পেসার অবশ্য খুব একটা পার্থক্য গড়তে পারেননি। দুই ম্যাচে ৬ ওভার হাত ঘুরিয়ে রান দিয়েছেন ৭৭। হায়দরাবাদের কাছে হারের দিনে সবচেয়ে খরুচে বোলার ছিলেন এই কিউই।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে পর্ণোগ্রাফি মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

মেহেরপুরে গৃহবধুর পর্ণোগ্রাফি আইনে দায়ের করা মাসলার আসামি রফিকুল ইসলাম (৫০) কে গ্রেফতার করেছে গাংনী থানা পুলিশ। রফিকুল ইসলাম মেহেরপুর সদর উপজেলার মদনা গ্রামের বেলতলাপাড়া এলাকার মৃত ফজের আলীর ছেলে।

গতকাল শনিবার দুপুরের দিকে গাংনী থানা পুলিশের একটি টিম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করেন। পরে বিকালের দিকে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে গত শুক্রবার রাতে গাংনী পৌর এলাকার উত্তরপাড়া গ্রামের কাঠমিস্ত্রি জিয়াউর রহমানের স্ত্রী ও এক সন্তানের জননী তার বিরুদ্ধে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করেন। গাংনী থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, আসামি রবিউল ইসলাম বিভিন্ন সময় তাকে প্রলোভন দেখিয়ে কুপ্রস্তাব দিয়ে আসতো। এতে মামলার বাদী রাজি না হওয়ায় আসামি তাকে বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত ও মান-সম্মান নষ্ট করার ভয় দেখিয়ে তার সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলাতে বাধ্য করে। একপর্যায়ে জিয়াউর রহমানের স্ত্রী সংসার ছেড়ে রবিউল ইসলামের সাথে বিয়ে করে নেয়। সংসারের ১৫ দিনের মাথায় জানতে পারে রবিউল ইসলাম এর আরও একটি স্ত্রী রয়েছে। তাই সে রবিউল ইসলামের সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে পূর্বের স্বামীর কাছে চলে আসে। এরপর আসামি রবিউল ইসলাম আরও বেপরোয়া হয়ে ওঠে। ফলে ১৫ দিনের সংসার জীবনের বিভিন্ন শারীরিক সম্পর্কের গোপনে ধারণকৃত ভিডিও বর্তমান স্বামী জিয়াউর রহমানের কাছে পাঠিয়ে সংসার নষ্ট করার চেষ্টা করে।

রবিউল ইসলাম ইতোপূর্বে গোপনে ধারনকৃত ছবি ও ভিডিও তার বর্তমান স্বামীর জিয়াউর রহমানের কাছে পাঠানোর হুমকি দিয়ে শারীরিক সম্পর্কের জন্য কুপ্রস্তাব দেয়। এতে বাদী নিরুপায় হয়ে কখনো চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, মেহেরপুর ও গাংনী এলাকার কয়েকটি বাড়িতে নিয়ে তার সাথে অবৈধভাবে শারীরিক সম্পর্ক করে।

কিছুদিন পূর্বে বাদি অবৈধ সম্পর্কে রাজি না হওয়ায় তার ১১ বছর বয়সী শিশু লিজনকে মোটরসাইকেলে বাড়ি পৌঁছে দেওয়ার কথা বলে তুলে নিয়ে যায়। পরে বাদি রবিউল ইসলামের সাথে শারীরিক সম্পর্কে রাজি হলে ছেলেটিকে ছেড়ে দেওয়া হয় বলেও জানান জিয়াউর রহমানের স্ত্রী।

আসামি গত ২ এপ্রিল বাদীর নগ্ন ছবি ও ভিডিও মোবাইল ফোনের মাধ্যমে তার স্বামীর মোবাইলে পাঠিয়ে সংসার ভেঙে দেওয়ার হুমকি দিতে থাকে।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী জিয়াউর রহমানের স্ত্রী গত শুক্রবার (১৪ এপ্রিল) রাতে রবিউল ইসলামকে আসামি করে পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে নারীর অজ্ঞাতে তার নগ্নছবি মোবাইল ফোনে ধারন করে অন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে সামাজিক ও মানসিকভাবে মর্যাদাহানি করার অপরাধ আইনে মামলা দায়ের করেন।




মেহেরপুর ও চুয়াডাঙ্গায় দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা

কাঠ ফাটা রোদ আর ভয়ানক গরমে পুড়ছে মেহেরপুর জেলার মানুষ। প্রচন্ড দাবদাহে নাভিশ্বাস উঠেছে প্রাণীকুলেও। এই পরিস্থিতিতে ফ্যানের বাতাসও গরম হয়ে পড়ছে। ফলে ঘরের ভেতরেও টেকা দায়। প্রকৃতির রুদ্ররূপে দুঃসহ জীবনযাপন করছে মানুষ। সব মিলে ওষ্ঠাগত প্রাণ। কয়েক দিনের মধ্যে বৃষ্টি না হলে জনজীবন আরও প্রকট হয়ে উঠতে পারে বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের।

মৌসুমের এই তাপদাহ আগামী ঈদের আগে কমার লক্ষণ নেই বলেই জানালো চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অধিদপ্তর।
গতকাল শনিবার বিকাল ৩ টার সময় চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিস মেহেরপুরের তাপমাত্রা রেকর্ড করেছে ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এবং বাতাসের আর্দতা রেকর্ড করেছে ১৬ শতাংস। এটাই চলতি মৌসুমে দেশের সর্ব্বোচ্চ তাপমাত্রা বলে জানিয়েছেন আবহাওয়া অফিস।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জামিনুর রহমান বলেন, ঈদের আগ পর্যন্ত আবহাওয়া পরিবর্তণের কোনো লক্ষণ নেই। একই আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে। তবে, কয়েকদিন পর একটু একটুু করে গরম কমতে পারে।

আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাধারণত কোনো এলাকার তাপমাত্রা ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হলে সেখানে মৃদু দাবদাহ শুরু হয়। এটি ৩৮ ডিগ্রি পার হলে তা পরিণত হয় মাঝারি দাবদাহে। আর ৪০ ডিগ্রি পার হলে সেটাকে তীব্র দাবদাহ বলা হয়। যদি ৪২ ডিগ্রি পার হয়, সেটা অতি তীব্র দাবদাহে রূপ নেয়। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা মেহেরপুরে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এই গরমে দিন মজুর শ্রমিক, হতদরিদ্র রিকশাচালক, শ্রমজীবি থেকে শুরু করে পথচারি কেউই বাদ নেই; হাসফাঁস করছেন সবাই। এ অবস্থায় মেহেরপুরের খেটে খাওয়া মানুষের ত্রাহিদশা।

স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকা সত্ত্বেও তীব্র গরমে ফুটপাতের ভ্রাম্যমান লেবু ও আখের শরবতের দোকানগুলোতে ব্যাপক ভিড় লক্ষ করা গেছে।

গাংনী বাজারের পাখি ভ্যান চালক, আব্দুর রহিম বলেন, ১০/১২ দিন থেকে ভ্যাপসা গরমে ঠিকমত ভ্যান চালাতে পারছিনা। বার বার পানি ও শরবত খাচ্ছি। খুব কষ্ট হচ্ছে এই গরমে ভ্যান চালাতে।

পাখি ভ্যান চালক মিন্টু হোসেন বলেন, মানুষ বাইরে বের হচ্ছেনা। তাই ভাড়াও হচ্ছেনা। সারাদিন অনেক কষ্ট করে ভাড়া মারলেও দিন শেষে হাট বাজার করার টাকা মিলছেনা।

দিনমজুর কুবাদ শেখ বলেন, সকাল ১০ টা বাজলেই শুরু হচ্ছে অসহ্য গরম। এই গরমে কাজ করতে গেলে শরীর ঘামে ভীজে যাচ্ছে। বাজারে খুব লোকজন নেই। তাই কাজও পাচ্ছিনা।

সাহারবাটি গ্রামের ইঞ্জিন চালিত আলগামন চালক শরীফুল ইসলাম বলেন, এলাকার সবজী নিয়ে যায় মেহেরপুর কাঁচা মালের আড়তে। রাস্তার দুধারে আগে গাছ গাছালি ছিল। গাছ গাছালির ছায়ায় ঠান্ডায় ঠান্ডায় যেতে পারতাম। এখন রাস্তার দুপাশের সেই বড় বড় গাছ কেটে ফেলায় ওই রাস্তায় এক ধরণের ভাপ উঠছে। কোথাও দাড়ানোর কোনো অবস্থা নেই। মনে হচ্ছে মুখে আগুনের ফুলকি এসে লাগছে।

বাওট গ্রামের মাছ ব্যবসায়ী খলিলুর রহমান বলেন, ভ্যানে করে মাছ ফেরি করে গ্রামে বিক্রি করি। টানা ভ্যাপসা গরমে জীবন যায় যায় অবস্থা। কোথাও একটু দাড়ানোর অবস্থা নেই। প্রচন্ড গরম থেকে রক্ষা পেতে পানি দিয়ে হাত মুখ ধুয়ে শরীর ভিজিয়ে ঠান্ডা করছি বারবার।

গাংনী উপজেলা পরিষদের মধ্যে আমবাগানের মধ্যে দেখা গেছে প্রচন্ড গরম থেকে বাঁচতে মানুষ গাছের ছায়ায় বসে প্রাণ জুড়াচ্ছে।

জেলার বিভিন্ন স্থানে গিয়ে দেখা যায়, শিশুরা পানিতে ডুবিয়ে দিয়েছে শরীর। শুধু মানুষ নয়, কুকুর ও পাখিরাও অল্প পানিতে শরীর জুড়িয়ে নিচ্ছে।

মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার মকলেচুর রহমান বলেন, গরমের কারণে হাসপাতালে বেড়েছে ডাইরিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। মেহেরপুর ২৫০ শয্যার জেনারেল হাসপাতালে গত এক সপ্তাহে ৩৮৬ জন ডাইরিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হয়েছেন।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাক্তার মারুফ বলেন, রোজাদারদের সেহরি ও ইফতারিতে বেশি করে পানি ও সরবত পান করতে হবে। যারা রোজাদার নন, তাদেরকে বেশি বেশি পানি ও রসালো ফল খাওায়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এছাড়া প্রচন্ড গরমে প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

মেহেরপুর জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডাক্তার জমির মোহাম্মদ হাসিবুস সাত্তার বলেন, এই গরমে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক মানুষের অবস্থা বেশি খারাপ। দাবদাহে হিটস্ট্রোকে আক্রান্ত হয়ে মানুষের মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। এছাড়া পানিশূন্যতা থেকে ডায়রিয়াসহ টাইফয়েড ও অন্যান্য পানিবাহিত রোগ ছড়ানোর আশঙ্কা রয়েছে। এমন অবস্থায় বিশুদ্ধ পানি পানের পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।

এদিকে, চুয়াডাঙ্গাতেও তীব্র দাবদহে জ্বলছে জেলার মানুষ। শরীরে লাগছে ঝলসানো রোদের তাপ। দুপুর হতেই প্রয়োজন বিহীন কেউ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে না। দাবদহের কারণে পিচ ঢালা রাস্তায়ও ধরেছে গলণ। টানা ১৪ দিন দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। গতকাল শনিবার দুপুর ৩টায় চুয়াডাঙ্গার তাপমাত্রা বেঁড়ে দাড়ায় ৪২.২ ডিগ্রি। তাপদহে ফসলের মাঠ ফেটে চৌঁচির । রোজাদার মানুষও অসুস্থ হয়ে পড়ছে। প্রতিদিন এজেলায় গড়ে ১ ডিগ্রি করে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা আবহাওয়া অফিস জানায়, চলতি মৌসুমেগতকাল  শনিবার দেশের তীব্র সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। আগামি কয়েকদিন এই তাপমাত্রা অব্যাহত থাকবে। দ্রূত তাপমাত্রা কমা কিংবা বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই। গতকাল শনিবার বেলা ৩টায় চুয়াডাঙ্গায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.২ ডিগ্রি। বাতাসের আদ্রতা ১৬ শতাংশ। গত শুক্রবার এ-জেলায় ৪১.৭ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়।

এক টানা তীব্র দাবদহের কারণে রোজাদার মানুষেরা দুর্বিষহ হয়ে উঠেছে। এতে অনেকে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে। কৃষি জমিতে পানির অভাবে দেখা দিয়েছে ফাটল। এছাড়াও চলতি বোরো মৌসুমে ধান কাটতে পারছে না কৃষকেরা।

জেলার প্রথম শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণাগারের সিনিয়র পর্যবেক্ষক রাকিবুল হাসান জানান, চলতি মৌসুম গতকাল  শনিবার বেলা ৩ টায় জেলায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪২.২ ডিগ্রি। শুক্রবার রেকর্ড করা হয়েছে ৪১.৭ ডিগ্রি। চলতি সপ্তাহেই তাপমাত্রা আরো বৃদ্ধি পাবার সম্ভবনার কথা জানান।




হারিসের ক্যারিয়ারসেরা বোলিংয়ে পাকিস্তানের দাপুটে জয়

দলের প্রধান কয়েকজন খেলোয়াড় ছাড়াই পাকিস্তানে টি-টোয়েন্টি ও ওয়ানডে সিরিজ খেলতে এসেছে নিউজিল্যান্ড। টি-টোয়েন্টি দিয়ে শুরু করা সিরিজের প্রথম ম্যাচে তুলনামূলক খর্বশক্তির সফরকারী দল কোনো পাত্তাই পায়নি। হারিস রউফ ও শাহিন আফ্রিদিদের বোলিং তোপে তারা মাত্র ৯৪ রানেই গুঁড়িয়ে গেছে।

এর আগে ব্যাটে ঝড় তুলেছিলেন পাকিস্তানের ফখর জামান ও সাইম আইয়ুবরা। লড়াই জমাতে ব্যর্থ কিউইরা ৮৮ রানের বড় ব্যবধানে হার দিয়ে সিরিজ শুরু করেছে।

লাহোরে পাঁচ ম্যাচ সিরিজের প্রথম ম্যাচে টস জিতে আগে ব্যাটিংয়ে নামে স্বাগতিকরা। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও শততম ম্যাচ খেলতে নামা বাবর আজমকে ফিরিয়ে বিপর্যয়ের আভাস দেন অ্যাডাম মিলনে। তবে তৃতীয় উইকেট জুটিতে হাল ধরেন ফখর ও সাইম। দুজনের ব্যাট থেকেই আসে ৪৭ রান।

এরপর হেনরির তোপে রানের গতি কিছুটা কমে যায় স্বাগতিকদের। ১৩ তম ওভারের শেষ দুই বলে শাদাব খান ও ইফতিখার আহমেদ তুলে নেওয়ার পর ১৯ তম ওভারের প্রথম বলে শাহিন আফ্রিদিকে শিকার করে হ্যাটট্রিকের স্বাদ পান হেনরি। ২০ ওভার শেষ হওয়ার এক বল বাকি থাকতেই ১৮২ রানে অলআউট হয় পাকিস্তান।

জবাবে পাকিস্তানের বোলিং আক্রমণের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি নিউজিল্যান্ড। পাওয়ার প্লের ভেতরই হারিয়ে ফেলে তিন উইকেট। এরপর ড্যারিল মিচেল, মার্ক চাপম্যান ও জিমি নিশামই কেবল দুই অঙ্কের দেখা পান। সর্বোচ্চ ৩৪ রান আসে চাপম্যানের ব্যাট থেকে। লোয়ার অর্ডার তেমন কোনো প্রতিরোধ গড়তে না পারায় ৯৪ রানেই গুটিয়ে যায় কিউইরা। ১৮ রানে ৪ উইকেট নিয়ে ম্যাচ-সেরা হয়েছেন হারিস রউফ। দুটি উইকেট পান ইমাদ ওয়াসিম।

এদিকে সিরিজের দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে আজ বাংলাদেশ সময় রাত ১০টায় আবারও মুখোমুখি হবে দুই দল।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনে বর্ষবরণ উৎসব উৎযাপন

মেহেরপুরের গাংনীতে বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যদিয়ে পালিত হয়েছে বর্ষবরণ উৎসব। শুক্রবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় গাংনী উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে একটি বর্ণাঢ্য মঙ্গল শােভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে নেতৃত্ব প্রদান করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু,সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হােসেনসহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা,রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন শ্রেণীপেশার মানুষ। শােভাযাত্রাটি উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে আলােচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠিত।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন গাংনী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক। বিশেষ অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন সাবেক সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হােসেন। উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) নাদির হােসেন শামীম, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক, গাংনী উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সিরাজুল ইসললাম আওয়ামীলীগ নেতা মনিরুজ্জামান আতু,উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান একেএম শফিকুল আলম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন গাংনী উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব মাহবুবুল হক মন্টু।

এদিকে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে গাংনী উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ অন্যান্য সংগঠনগুলাে নানা কর্মসূচির আয়োজন করে।