বাবরকে অধিনায়ক থেকে সরানোর অভিযোগে যা বললেন আফ্রিদি

বিতর্ক আর পাকিস্তান ক্রিকেট যেন একে অন্যের পিছু ছাড়তেই পারে না। এবার তো অধিনায়ক বাবর আজম আর সাবেক কিংবদন্তি শহীদ আফ্রিদিকে নিয়ে বিতর্ক উস্কে দিয়েছেন স্বয়ং পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের (পিসিবি) সভাপতি নাজাম শেঠি। পিসিবি সভাপতি বলেছিলেন, আফ্রিদি নাকি বাবরকে অধিনায়কের পদ থেকে ছেঁটে ফেলতে চেয়েছিলেন। এদিকে নাজাম শেঠির এমন বক্তব্যের পরই আফ্রিদি অবশ্য জানিয়েছেন, পিসিবি সভাপতি তার কথা বলেননি।

একটি ইউটিউব চ্যানেলে নাজাম শেঠি বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেওয়ার সময় একটি অন্তবর্তীকালীন নির্বাচন কমিটি করেছিলাম। নির্বাচকরা বোর্ডে আসার আগে, আমাদের তারা বলেছিলো কিছু পরিবর্তন করা দরকার এবং অধিনায়ক হিসেবে বাবরকে বদলাতে হবে।’ তবে নিয়োগ পাওয়ার পর নাকি বাবরের বদলির কোনও প্রয়োজন নেই, বলে বলেছিলো তারা, এমন কথাও যোগ করেন শেঠি।

নাজাম শেঠির বক্তব্যের পর পাকিস্তানজুড়ে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েন আফ্রিদি। সমালোচনা বন্ধ করতে নিজের টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে দেওয়া এক টুইট বার্তায় আফ্রিদি জানান, আমি পিসিবি চেয়ারম্যান নাজাম শেঠির সঙ্গে কথা বলেছি। বাবর আজমের অধিনায়কত্বের বিষয়ে তিনি আমাকে ইঙ্গিত করে কিছু বলেননি। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তিনি তার অবস্থান পরিষ্কার করেছেন। এই আলোচনা তাই শেষ হয়ে গেছে। নিউজিল্যান্ড সিরিজের জন্য বাবর ও দলের জন্য শুভকামনা।

নাজাম শেঠিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বিষয়টি ব্যাখ্যা করে লিখেছেন, অনেক মাস ধরেই দেশের সংবাদমাধ্যম ও ক্রিকেট সংশ্লিষ্টদের অনেকেই সব সংস্করণে বাবরকে অধিনায়ক রাখা নিয়ে কথা বলছিল। আর যেহেতু এটা চেয়ারম্যানের সিদ্ধান্ত, তাই আমি শহীদ আফ্রিদি ও হারুন রশিদের নির্বাচক কমিটির কাছে তাদের মতামত জানতে চেয়েছিলাম।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে দুস্থ কম্পিউটার প্রশিক্ষানার্থীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ

বহুমুখী মানবকল্যান সংস্থা ও সমাজসেবা অধিদপ্তরের যৌথ আয়োজনে “দুস্থ, বিধবা, স্বামী পরিত্যক্তা ও হতদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সর্মসংস্থানমূলক কাজের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে আর্থসামাজিক অবস্থার উন্নয়ন “শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় “কম্পিউটার অফিস অ্যাপ্লিকেশন”  প্রশিক্ষানার্থীদের মাঝে উপকরণ বিতরণ করা গয়েছে।

আজ মঙ্গলবার সকালে সংগঠনের মেহেরপুর জেলা কার্যালয়ে মুজিবনগর উপজেলার  প্রথম ব্যাচের ৩০  প্রশিক্ষনার্থীদের এ উপকরণ বিতরণ করা হয়।

এতে বহুমুখী মানবকন্যান সংস্থার জেলা শাখার সভাপতি নুরুল আহমেদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে অধ্যক্ষ প্রফেসর রফিকুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বঙ্গবন্ধু শিক্ষা ও গবেষণা পরিষদ জেলা শাখার সভাপতি প্রফেসর হাসানুজ্জামান মালেক। এসময়  প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর  জয়নুল আবেদীনসগ  প্রশিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




বাংলাদেশের কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লক্ষ মামলা বিচারাধীন—-প্রধান বিচারপতি

বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী বলেন, বাংলাদেশের সমস্ত কোর্টগুলোতে প্রায় ৪০ লক্ষ মামলা বিচারাধীন রয়েছে। এই মামলার জট কমাতে বিচারক এবং আইনজীবিগণ এক সাথে চেষ্টা করা হচ্ছে।

আজ মঙ্গলবার (১১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ৯ টার সময় মেহেরপুর জজকোর্ট চত্তরে বিচারপ্রার্থীদের জন্য প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা ব্যায়ে নির্মাণাধীন “ন্যায়কুঞ্জে”র ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে এসব কথা বলেন প্রধান বিচারপতি।

এসময় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার মো: তোফায়েল হাসান, মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ মো: শহিদুল্লাহ, মেহেরপুর জেলা প্রশাসক প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, মেহেরপুর পুলিশ সুপার মো: রাফিউল আলম, জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, আইনজীবি সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আরও বলেন, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টে গত বছর ৮২ হাজার মামলা ফাইল হয়েছে। মামলাগুলোর মধ্যে ৭৯ হাজার মামলা নিস্পত্তি হয়েছে। অর্থাত নিস্পত্তি হয়েছে শতকরা ৯৫ ভাগ। জেলা পর্যায়ের জুডিসিয়ারীতেও যে মামলা ফাইল হয়েছে, অর্ধেকেরও বেশী জেলাতে কেস নিস্পত্তির সংখ্যা মামলা ফাইল যত হয়েছে তার চেয়ে বেশি মামলা নিস্পত্তি হয়েছে।

প্রধান বিচারপতি বলেন, এই দেশের ৪০ লক্ষ মামলার জন্য জাজের সংখ্যা মাত্র দুই হাজার। এট খুবই অপ্রতুল। আমরা চেষ্টা করছি, নতুন বিচারক নেওয়ার। ইতোমধ্যে ১০২ জন বিচারক নেয়ার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। পুলিশী তদন্তে আছেন তারা। আমরা এই বছরের মধ্যেই তাদের নিয়োগ দিতে পারবো। এছাড়া ১০০ জাজ নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী আরও বলেন, আমরা আশাবাদি, বিচারকগণ পরিশ্রম করেই মামলাজট সুরাহা করতে পারবেন। সেক্ষেত্রে আইনজীবীগণকে আদালতকে সহায়তা করার আহবান জানান। যাতে করে সবাই এক সাথে মামলাজটকে রিমুভ করতে পারি।

প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, এই দেশের মালিক জনগণ। প্রতিদিন আদালত প্রাঙ্গণে শত শত লোক বিচারের আশায় আসেন। তাদের বসার কোনো যায়গা নেই। এইসব চিন্তা ভাবনা করেই আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি বিচারপ্রার্থীরা যাতে আদালতে এসে একটু স্বস্তিতে বসতে পারেন। সেটাই আজকের এই “ন্যায় কুঞ্জে”র কনসেপট।

সেই বিবেচনা থেকেই সরকার আদালত প্রাঙ্গণে বিচাারপ্রার্র্থীদের বিশ্রামাগারের জন্য ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। সে টাকাতেই এই ন্যায় কুঞ্জ নির্মাণ। ৬৪ টি জেলায় প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা করে বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। তবে, যেখানে লোকজন বেশী সমাগম হবে সেখানে একটু বেশী বরাদ্দ দেওয়া হবে। তুলনামুলক ছোট জেলাতে একটু কম বরাদ্দ হবে।

ঠিকাদারদের এবং প্রকৌশলীকে উদ্দ্যেশ্য করে প্রধান বিচারপতি বলেন, সাধারণ মানুষের জন্য বিশ্রামাগার “ন্যায় কুঞ্জ” তৈরী করা হচ্ছে। তাই লক্ষ রাখবেন যেনো এই বরাদ্দের টাকাটা যাতে মিসইউস না হয়। এইসব অসহায় সাধারণ মানুষের দিকে তাকিয়ে দ্রুত এর নির্মাণ কাজ শেষ করারও আহবান জানান তিনি।

এর বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকী মেহেরপুর সার্কিট হাউজে পৌছালে প্রথমে মেহেরপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম, মেহেরপুর পুলিশ সুপার মো: রাফিউল আলম, প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম ও জজকোর্টের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্য, আইনজীবী সমিতির পক্ষে অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান, মেহেরপুর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি)’র পক্ষে অ্যাডভোকেট পল্লব ভট্টাচার্যসহ জেলা প্রশাসন ও জেলা জজকোর্টের বিচারকগণ তাকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।

এসময় মেহেরপুর জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে একটি চৌকস দল প্রধান বিচারপতিকে গার্ড অফ অনার প্রদান করেন। পরে আদালত চত্তরে একটি কৃষ্ণচুড়া বৃক্ষরোপন করেন প্রধান বিচারপতি।

সকাল ৯ টার দিকে দিক মেহেরপুর জজ আদালতের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন। এসময় বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের বিভিন্ন নির্দেশনামুলক বক্তব্য রাখেন তিনি।

পরে তিনি মুজিবনগর স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন এবং চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন।




যুবলীগ নেতা সুইটসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজী মামলা

মেহেরপুরে চাঁদাবাজীর অভিযোগে যুবলীগ নেতা সাহিদুজ্জামান সুইটসহ তিন জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন আব্দুর বারী ফারুখ নামে এক ব্যক্তি। মামলার অপর আসামীরা হলেন সুইটের ভাই মো. লিভু ও মো. রানা।

গত ৭ এপ্রিল শুক্রবার মেহেরপুর সদর থানায় বাদী এ মামলা দায়ের করেন। আসামী সহিদুজামান সুইট (৩৬) ও মো. লিভু (৪০) শহরের পুরাতন বাসস্ট্যাণ্ড পাড়াার মৃত আমজাদ হোসেনের ছেলে এবং মো. রানা (৩৫) একই পাড়ার মো. নজুর ছেলে।

লিখিত এজাহারে বাদীর অভিযোগ, আসামীগন মাদক ব্যবসায়ী ও চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক। তারা এলাকায় মাদক ব্যবসা ও চাঁদাবাজী করে জীবিকা নির্বাহ করে। বাদী মোদীখানার পাইকারী ব্যবসায়ী। বাদীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের নাম আফিল ট্রেডার্স। বাদীর পৈত্রিক সূত্রে প্রাপ্ত সম্পত্তি উক্ত জমি বিক্রয়ের জন্য ঘোষণা করিলে আসামীগন বিভিন্ন ভাবে বিভিন্ন সময় বাদীকে বলে জমি বিক্রয় করিলে আসামীকে চাঁদা দিতে হইবে নইলে জমি বিক্রয় করিতে পারবেন না জানায়।

গত ৩০ মার্চ অনুমান সকাল ১০টার দিকে আসামীগন বাদীর দোকানে ‘যান এবং বাদীকে এবং বাদীর পরিবারের লোকজনদের খুন জখমের ভয়ভীতি প্রদর্শন করিয়া নগদ দুই লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। বাদী মোদীখানার দোকান আফিল ট্রেডার্সের মধ্যে মোঃ সিরাজ ও মোঃ আঃ কুদ্দুস মেঘা উপস্থিতে ১নম্বর আসামী সহিদুজামান সুইট ও ৩ নম্বর আসামী মোঃ রানার হাতে নগদ এক লক্ষ বিশ হাজার টাকা চাঁদা দেন।

বাদী এজাহারে আরো বলেন, আসামীরা জমি ক্রয়ের জন্য বিভিন্ন সময় ক্রেতারা আসলে তাদেরকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করে তাড়িয়ে দেয়। জমি বিক্রয়ের সংবাদ পেয়ে আসামীগন বাদীকে এবং বাদীর ম্যানেজার সিরাজকে ৪এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে সময় বাস ষ্ট্যান্ড পাড়ায় বাদীর জমির উপর মারতে যায় ও হুমকি দিয়ে বলে যে চার লক্ষ টাকা চাঁদা দিতে হবে বলে আসামীগন ভয়ভীতি হুমকী দিয়া চলে যায়।




দর্শনা সীমান্তে বিজিবির চোরাচালান বিরোধী অভিযানে

দর্শনা সীমান্তে বিজিবি অভিযান পরিচালনা করেছে। এ অভিযানে মালিকবিহীন অবস্থায় ২০ হাজার ইউএস ডলার ও রুপার গহনাসহ মোটরসাইকেল উদ্ধার করেছে।

চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনস্থ জেলার দামুড়হুদা উপজেলার সীমান্তবর্তী ফুলবাড়ি সীমান্ত ফাঁড়ি অভিযান পরিচালনা করে এ ডলার উদ্ধার করে।

বিজিবি জানায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার অধিনস্থ দর্শনা সদর থানার অন্তর্গত ফুলবাড়ী সীমান্ত এলাকা দিয়ে ইউএস ডলার পাচার করা হবে মর্মে প্রাপ্ত বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান, পিএসসি এর সার্বিক দিক-নির্দেশনায় ফুলবাড়ী সীমান্ত ফাঁড়ীর কমান্ডার নাঃ সুবেদার এনামুল কবিরের নেতৃত্বে ফুলবাড়ি সীমান্ত এলাকায়।

এসময় বিজিবি সশস্ত্র টহল দল সীমান্তের সীমান্ত পিলার ৮৬ হতে ১.৫ কিঃ মিঃ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ফুলবাড়ি গ্রামের ফুলবাড়ী মাঠের মধ্যে এ্যাম্বুশ করে।

এরই একপর্যায় গতকাল সোমবার বেলা পৌনে ১১ টার দিকে একজন ব্যাক্তিকে একটি ব্যাগ হাতে ফুলবাড়ী মাঠের মধ্যে দিয়ে পার্শ্বের গ্রামের দিকে যেতে দেখলে বিজিবি টহলদল তার গতিরোধের চেষ্টা করে। ফলে বিজিবি সদস্যদেরকে উপস্থিতি টেরপেয়ে তার হাতে থাকা ব্যাগটি ফেলে দৌড় দেয়। পরবর্তীতে বিজিবি টহলদল পালিয়ে যাওয়া ব্যক্তির ফেলে যাওয়া ব্যাগটি জব্দ করে ব্যাগের মধ্যে থাকা ২ টি ব্যান্ডেলে ১০০ ইউএস ডলার মানের ২০০টি নোট উদ্ধার করতে সক্ষম করতে হয়।

এ বিষয়ে দর্শনা থানায় মামলা করতঃ ইউএস ডলার চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সাংবাদিকদের জানায় ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেঃ কর্ণেল সাঈদ মোহাম্মদ জাহিদুর রহমান। গত রবিবার দর্শনা সীমান্তে বিজিবির চোরাচালান বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেছে। এ অভিযানে চোরাকারবারীর ফেলে যাওয়া মোটরসাকেলে অভিনব কায়দায় লুকিয়ে রাখা স্থান থেকে প্রায় ৫ কেজি রুপার গহনা উদ্ধার করেছে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি।

বিজিবি জানায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার দর্শনা থানার অন্তর্গত সুলতানপুর বিওপির দায়িত্বপূর্ণ এলাকা ঝাঝাডাঙ্গা গ্রামের মধ্যে দিয়ে রুপা পাচার করা হবে। এমন প্রাপ্ত বিশেষ তথ্যের ভিত্তিতে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবি ব্যাটালিয়নের সুলতানপুর বিওপির টহল কমান্ডার হাবিলদার মোঃ আব্দুল মান্নান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে সীমান্ত পিলার ৭৮/৬-আর হতে আনুমানিক ৪০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ঝাঝাডাঙ্গা মাঝাপাড়া পুরাতন মসজিদের সামনে পাঁকা রাস্তার পার্শ্বে এ্যাম্বুশের জন্য অবস্থান করে। সময় আনুমানিক সন্ধা সাড়ে ৬ টার দিকে অজ্ঞাত একজন ব্যক্তি ১টি মোটরসাইকেলযোগে দর্শনা এলাকার দিকে যেতে দেখে এবং বিজিবি সশস্ত্র টহলদল উক্ত মোটর সাইকেলটি গতিরোধ করলে মোটরসাইকেল আরোহী টহলদলকে দেখতে পেয়ে দ্রুত মোটর সাইকেলটি ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে টহলদল মোটরসাইকেলটি জব্দ করে তাতে তল্লাশি করে মোটরসাইকেলের তেলের ট্যাংকির উপর সুতির গামছা দিয়ে মোড়ানো ৪ টি পলিথিনের ব্যাগ হতে ৪ কেজি ৯৮৫ গ্রাম (৪২৭.৩৮ ভরি) ওজনের রুপা এবং ১ টি মোটর সাইকেল আটক করতে সক্ষম হয়।

এ ব্যাপারে হাবিলদার মোঃ আব্দুল মান্নান বাদী হয়ে দর্শনা থানায় মামলা করতঃ আটককৃত রুপাগুলি চুয়াডাঙ্গা ট্রেজারী অফিসে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




গাংনীতে বিদ্যুত লাইনের তারে জড়িয়ে শিশু আহত

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা শহরের পশু হাসপাতাল পাড়ায় বিদ্যুত লাইনের তারে বেধে যাওয়া ঘুড়ি পাড়তে (নামাতে) গিয়ে জুবায়ের হােসেন (১০) নামের এক শিশু বিদ্যুত স্পৃষ্টে আহত হয়েছে। শিশু জুবায়ের পশু হাসপাতাল পাড়ায় বসবাসকারি ও টায়ার ব্যবসায়ি মহব্বত আলীর ছেলে।

আজ সােমবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে নিজ বাড়ির পাশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয়রা জানান,শিশু জুবায়ের এদিন বিকেলে ঘুড়ি উড়াচ্ছিল। ঘুড়িটি হঠাৎ বিদ্যুত লাইনের মেইন তারে জড়িয়ে যায়। জুবায়ের একটি লােহার রড দিয়ে খােঁচা দিয়ে ঘুড়িটি নামাতে যায়।

এসময় বিদ্যুত স্পৃষ্টে সে গুরুতর আহত হয়। পরিবার ও প্রতিবেশীরা তাকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন।




জীবননগরে ভ্যারাইটি স্টোর মালিককে ৩০হাজার টাকা জরিমানা

জীবননগর ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালিয়ে একটি প্রতিষ্ঠানকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা প্রদান করেছে।

আজ সোমবার দুপুরে জীবননগর উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি তিথি মিত্র জীবননগর থানা পুলিশের সহযোগিতায় জীবননগর পৌর শহরের পান বাজারে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে সোহানা ভ্যারাইটি স্টোর থেকে নকল সিভিট বিক্রয়, মেয়াদ উত্তীর্ণ তেতুলের আচার, রঙ মিশ্রিত চকলেট বিক্রয় করার অপরাধে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন এ দোকানের মালিক মোঃ রিপন হোসেনকে ৩০হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। এবং জব্দকৃত পণ্য আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হয়।

ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনার সহযোগিতা করেন জীবননগর হাসপাতালের ইন্সেফেক্টর মোঃ আনিসুর রহমান।




আলমডাঙ্গায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে সংরক্ষিত মহিলা সদস্যকে মারপিটের অভিযোগ

ভিজিডি কার্ড সঠিক ভাবে বন্ট না করায় প্রতিবাদ করাতে  সংরক্ষিত মহিলা মেম্বারকে মারপিটের ঘটনায় ইউপি সদস্যের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

ঘটনাটি গতকাল রবিবার উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদ প্রাঙ্গণে ঘটেছে। ওই ঘটনায় আজ সোমবার সংরক্ষিত মহিলা মেম্বার বাদি হয়ে ইউপি সদস্য মাসুদ রানা শিপনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আলমডাঙ্গার কালিদাসপুর ইউনিয়ন পরিষদে গত ৯ এপ্রিল ভিজিডি কার্ড বিভাজন সংক্রান্ত মিটিং চলছিল। বরাবরের মত মহিলা সদস্যদের কার্ড প্রাপ্তির ন্যায্য হিস্যা থেকে বঞ্চিত করতে চাইলে মহিলা সদস্যরা প্রতিবাদ করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ৪ নং ওয়ার্ড মেম্বার মাসুদ রানা শিপন মহিলা সদস্যদের গালিগালি শুরু করেন ।

সংরক্ষিত মহিলা সদস্য সাবিয়া খাতুন প্রতিবাদ জানালে তাকে চেয়ার তুলে মারধর করা হয়। এতেও ক্ষান্ত না হয়ে তিনি মোবাইলফোনে পারকুলা গ্রামের লাল্টু, পাইকপাড়া গ্রামের সোহাগসহ কয়েকজন যুবককে ডেকে নেন। তারা উপস্থিত হয়ে মহিলা সদস্যদের আরেক দফা গালমন্দ করেন। মারধরের হুমকি দেন।

এ ঘটনার বিষয়ে ইউপি চেয়ারম্যান আশাদুল হক মিকা জানান, “আমি উপস্থিত ছিলাম না। শুনেছি – ওই দিন পরিষদে মিটিং ছিল। মিটিং চলাকালে ওয়ার্ড মেম্বর মাসুদ রানা শিপন মহিলা মেম্বরকে গালমন্দ করেন। ধাক্কাধাকি হয়। এক পর্যায়ে চেয়ার তুলে মহিলা মেম্বর সাবিয়াকে মারতে উদ্যত হয়। তারা সকলেই মেম্বর। মহিলা মেম্বররা তিনটি ওয়ার্ডের মেম্বার। তাদেরকে গালমন্দ করা উচিত হয়নি। এতে ইউনিয়ন পরিষদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ হয়েছে।”




কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুই এম্বুলেন্সের ১ জন ড্রাইভার

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইটি এম্বুলেন্সের ড্রাইভার রয়েছে ১ জন। এতে করে পরিবহন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারন মানুষ। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরেকটি ড্রাইভার এখন সময়ের দাবি এলাকাবাসির।

জানা যায়, ১ টি পৌর সভা ও ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে এ উপজেলা। এ উপজেলায় রয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ১শ ২১ জন মানুষ। এ ছাড়া এ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫টি উপজেলার মাঝখানে অবস্থিত। এ কারনে ওই সব উপজেলার অধিকাংশ রোগি চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন এ কমপ্লেক্সে।যার মধ্যে রয়েছে ঝিনাইদহ সদরের কিছু অংশ, কালিগঞ্জ, মহেশপুর, চৌগাছা ও জীবননগর।

এ সব উপজেলা থেকে প্রতিনিয়ত রোগি আসে এ কমপ্লেক্সে। এ কারনে বাড়তি চাপ নিতে হয় এ কমপ্লেক্সের ডাক্তার, নার্স, সহ সংশ্লিষ্টদেরকে। এর মধ্যে রয়েছে পরিবহন সেবা অন্যতম। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইটি এম্বুলেন্স রয়েছে। তবে ড্রাইভার রয়েছে ১ টি। এ কারনে রোগিরা সরকারি এম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।

অন্যদিকে প্রাইভেট এম্বুলেন্সের সেবা নিতে গেলে ব্যয় হচ্ছে বেশি টাকা। আর এ সবের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘিরে গড়ে উঠেছে প্রাইভেট এম্বুলেন্সের ব্যবসা। কয়েক বছর আগেও কোটচাঁদপুরে প্রাইভেট এম্বুলেন্স ছিল ১/২ টা। বর্তমানে সব মিলিয়ে প্রাইভেট এম্বুলেন্স রয়েছে ১০/১২ টি। আর সব প্রাইভেট এম্বুলেন্স সেবা নিতে গেলে মানুষের লাগে বাড়তি টাকা।

এদিকে এ কমপ্লেক্সে ২ টি এম্বুলেন্স থাকা সত্বেও এর সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগিরা। এ কারনে আরেকটি এম্বুলেন্স ড্রাইভার এখন এলাকাবাসির সময়ের দাবি।

ভুক্তভোগি হেলাল উদ্দিন জানান, প্রয়োজনের সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্স সেবা পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে ওই সময় প্রাইভেট এম্বুলেন্স সেবা নিতে হয়। গুনতে বেশি টাকা। এ কারনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরো একটা ড্রাইভার খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। আর এটা এখন এলাকাবাসির সময়ের দাবি।

কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি কোটচাঁদপুর শাখার সহসভাপতি হাসানুজ্জামান ডাবলু বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইটি এম্বুলেন্স থাকা সত্বেও মানুষ প্রয়োজনের সময় এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানুষকে গুনতে হয় দ্বিগুন টাকা।

তিনি বলেন, এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি আশ-পাশের কমপ্লেক্সের তুলনায় রোগির চাপ সব সময় বেশি হয়। এ কারনে এখান থেকে রোগি রেফার্ড ও বেশি হয়ে থাকে। এ জন্য জোরদার করা প্রয়োজন জরুরি এম্বুলেন্স সেবা। যাতে করে মানুষের এ সেবাটি নিশ্চিত করা যায়। এ কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরেকটি ড্রাইভার এখন এলাকাবাসির সময়ের দাবি।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্স ড্রাইভার আজব আলী জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইটি সচল এম্বুলেন্স রয়েছে। তবে থেকে লাভ কি। আমি কি একা দুটো কিভাবে চালাব। আরেকটি ড্রাইভার হলে কেমন হয়, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অফিস চাইলে দিতে পারেন। আমার কোন সমস্যা নাই। কারন আমার চাকুরি তো সে নিয়ে নিবে না।

প্রয়োজনের সময়ে আপনাকে পাওয়া যায় না, এমন অভিযোগ রয়েছে আপনার বিরুদ্ধে। জানতে চাইলে বলেন, রাত দিন ২৪ ঘন্টা আমার ডিউটি। আমি ডিউটি ঠিকমতই করি। তবে মাঝে-মধ্যে বিপদ-আপাদ তো মানুষের থাকে। সে ক্ষেত্রে অন্য ব্যবস্থা তো করতে হবে।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইটি এম্বুলেন্স রয়েছে। ড্রাইভার একটা। ওই ড্রাইভার অলটানেট করে চালাবেন এম্বুলেন্স।  তিনি বলেন, এ কমপ্লেক্সে একটা ড্রাইভারের পদ রয়েছে। চাইলেই হবে না। তবে কমপ্লেক্সের ১শ ভেবে কার্যক্রম চালু হলে এই সময় দুইজন ড্রাইভার চাইলে হয়তো পাওয়া যেতে পারে।




কোটচাঁদপুরে পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত

ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর উপজেলায় পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রস্তুতি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকালে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদ অফির্সাস ক্লাবে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রস্তুতি সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার উছেন মে। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান শরিফুন্নেছা মিকি। উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি খাতুন, পৌর সভার প্যানেল মেয়র জাহিদ হোসেন, মডেল থানার তদন্ত ওসি জগন্নাথ চন্দ্র, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার অশোক সরকার, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার অশিত বরণ পাল, সমাজ সেবা অফিসার জহুরুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী আলমগীর হোসেন, সাফদারপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান, কোটচাঁদপুর রিপোর্টার্স ইউনিটির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ বাশার, রিপোর্টার ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক সুব্রত কুমার প্রমুখ।

এ সময় পহেলা বৈশাখ উদ্যায়াপন উপলক্ষে বিভিন্ন করনীয় বিষয় তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন অতিথি বৃন্দরা। সে সময় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, জন প্রতিনিধি, এনজিও কর্মী,উপজেলা প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মরত কর্মকর্তা কর্মচারী,সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।