প্রাণ ফিরে পাচ্ছে ওটিটি ও প্রেক্ষাগৃহ

ওটিটিতে মুক্তি পেয়েছে রায়হান রাফীর ‘তুফান’। একই দিন প্রকাশ্যে আসে একই নির্মাতার ওয়েব ‘মায়া’র সিরিজ মুক্তির খবর। ওই দিনই সন্ধ্যায় পরীমনি ও মোস্তাফিজ নূর ইমরানের ‘রঙিলা কিতাব’-এর অফিশিয়াল পোস্টারে মাতলেন থ্রিলারপ্রেমীরা।

কুসুম শিকদার জানিয়ে দিলেন, তার শরতের ‘জবা’ সিনেমা পূজায় আলোয় মুক্তি পাবে। আরেক তরুণ নির্মাতা নাহিদ হাসনাতের ‘এন্ড কাউন্টার’ মুক্তি পেল ।

শুধু ওটিটি প্ল্যাটফর্মই নয়, গত ৪ দিনে ইউটিউবেও মুক্তি পেয়েছে ২০টির বেশি নাটক। সব মিলিয়ে আভাস পাওয়া যাচ্ছে, শোবিজঅঙ্গন শিগগিরই ঘুরে দাঁড়াবে।

আগস্টে ওয়েব সিরিজ ‘রঙিলা কিতাব’ মুক্তির কথা ছিল। কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতির কারণে মুক্তি দেওয়া থেকে সরে আসে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান।

এখন অক্টোবরে এদিকে বন্যা-পরবর্তী সংকট মোকাবিলায় তহবিল সংগ্রমে কনসার্টের আয়োজন প্রাণ ফিরে পাচ্ছে ওটিটি ও প্রেক্ষাগৃহ সিরিজটি মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা করছে হইচই। পরিচালক অনম বিশ্বাস জানান, ‘এখনো দেশের রাজনৈতিক ঘটনার সঙ্গে যুক্ত সাধারণ মানুষ।

মানসিকভাবে সেদিকেই দর্শকদের মনোযোগ। কনটেন্ট না মুক্তি পেলে তো পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে না। কাউকে না কাউকে তো এগিয়ে আসতেই হবে। এটা আমাদের রুটি-রুজি। আমাদেরও তো কাজে ফিরতে হবে।

ওটিটিগুলো আর কত দিন কনটেন্ট প্রচার বন্ধ রাখবে। আমাদের ইন্ডাস্ট্রি চলমান রাখতে হবে। প্রযোজক সমিতির তথ্য অনুয়ায়ী, এ সপ্তাহে আরিফিন শুভ ও জান্নাতুল ঐশীর সিনেমা ‘নূর’ মুক্তির তালিকায় আছে। পরের সপ্তাহে রয়েছে ‘ময়না’ ও ‘উদীয়মান সূর্য’ সিনেমার নাম। পরের মাসেও ‘বিলডাকিনী’, ‘দায়মুক্তি’, ‘চরিত্র’, ‘হৈমন্তীর ইতিকথা’সহ আটটির মতো সিনেমা মুক্তির জন্য শিডিউল নেওয়া রয়েছে।

অক্টোবর থেকে সিনেমা মুক্তির সংখ্যা বাড়বে বলে মনে করছেন প্রযোজকেরা। এই সময়ে ‘নন্দিনী’ ‘দরদ, ‘সাবা’, ‘রং ঢং’সহ একাধিক সিনেমা পরিস্থিতি বুঝে মুক্তির তালিকায় যোগ হবে।

সূত্র: ইত্তেফাক




এঁকেছি চোখে

জবা ফুল তুমি রোজ লাল হয়ে ফোটো
কুমড়োলতা তুমি কারে বেয়ে উঁচু ওঠো?
শিমুলের কী সুবাস অথচ বিনয়ে ঝুঁকে
শাপলা পদ্মের বোন বলে গরিমা বুকে।

শালিকপাখি গোনা জানে গণকেরা যথা?
চড়ুইয়ের উড়ুউড়ু বুকে নিরব কত কথা
বাবুইয়ের ঠোঁটে ঠোঁটে সবুজ বসতি গাঁথা
কোয়েলের মনে আহা কে দিলো ব্যথা?

এই যে এঁকেছি চোখে পরিপাটি এক ছবি
ফুল, পাখি,নদী,শিশুখেলা সবার দাবি
আরও রাখা যেত জানি চাঁদ,তারা, রবি
তবু তোমরা দেখবে না জানে সবই কবি।

প্রকৃতির রূপ-রস যত সুন্দর মনের মতো
কে তারে চেয়ে দেখে ভরিতে উদর যতো,
জীবন সার্কাসের মঞ্চে নাচায় বাঁদর কতো
প্রকৃতি তো দূর,ভুলি নিজেকেই অবিরত।




মেহেরপুরে তীব্র গরমে জনজীবন ওষ্ঠাগত

বাংলা পঞ্জিকায় এখন চলছে আশ্বিন মাস। এবারের আশ্বিনের শুরুতে টানা চারদিন বৃষ্টির দাপট দেখালেও গত কয়েকদিন হলো বৃষ্টি কমে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে স্বমূর্তিতে হাজির হয়েছে গরম।

গত দুইদিনের চিটপিটে গরমে মানুষের জীবন ওষ্ঠাগত। শহরের পাশাপাশি গ্রামে যারা বসবাস করেন তারা আশ্বিনে মাসেও গরমে হাঁসফাঁস করছেন। তাপমাত্রা পরিমাপ স্কেলে দেখা যায় শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুর দুইটা পর্যন্ত মেহেরপুরের তাপমাত্রা ছিল ৩৪.৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম জানান, আজ শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) সকাল নয়টার সময় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বেলা ১২ টার সময় রেকর্ড করা হয়েছে ৩৪.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও বাতাসের আদ্রতা ৬৬ শতাংশ।
তিনি আরো বলেন, আগামী ২২ তারিখে সাগরে নিম্নচাপ তৈরী হতে পারে। ফলে ২৩ অথবা ২৪ তারিখের দিকে বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা আছে।
শনিবার (২১ সেপ্টেম্বর) মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় তীব্র গরমে নাজেহাল অবস্থা সকলের। মানুষ থেকে পশু পাখি সকলেই গরমে অতিষ্ঠ।

গাংনী উপজেলা শহরে এলাকায় দেখা যায়, কিছু মানুষ গাছের নিচে বসে আছে। তারা জানান তীব্র গরমে ঘরে থাকা যায় না তাই একটু শান্তির আশায় এখানে অবস্থান করছি।

ভাটপাড়া ডিসি ইকোপার্কে গিয়ে দেখা যায়, ছোট বড় সব বয়সের মানুষেরা সারি সারি গাছের ছায়ায় বসে আছে। অনেকে তীব্র গরমে তৃষ্ণা নিবারণের জন্য লেবুর শরবত, আখের শরবত ও ডাবের পানি পান করছে।
এদিকে তীব্র গরমের সাথে যুক্ত হয়েছে ঘন ঘন লোডশেডিং। দিন রাত মিলে ১০ থেকে ১২ ঘন্টা লোডশেডিং হচ্ছে। এতে সবচেয়ে বিপাকে পড়েছেন শিশু ও বয়স্করা।

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমঝুপি ইউনিয়নের কোলারমোড় এলাকার আব্দুস সামাদ বলেন, রাত দুইটার পরেও লোডশেডিং হয়। ভ্যাপসা গরমে নির্ঘুম রাত কাটাতে হচ্ছে।

এ বিষয়ে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আব্দুল্লাহ মারুফ জানান, গরমের কারণে বর্তমানে রোগীরা জ্বর, শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছে এদের অধিকাংশই শিশু ও বয়স্ক। তাই বয়স্ক ও শিশুদের দুপুরে রোদের মধ্যে বাইরে বের হওয়া যাবে না এবং বেশি করে পানি পান করতে হবে।




দামুড়হুদা পেট্রোল পাম্পে পাওনাদারদের অবস্থান; সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি শান্ত

দামুড়হুদায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে দীর্ঘ ২ বছরেরও বেশী সময়ের সমস্যা নিরসন করা হয়েছে। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ পেয়ে আজ শুক্রবার দুপুর ৩টার দিকে সেনাবাহিনীর একটি দল ও দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি আলমগীর কবির এর মধ্যস্থতাই সমস্যার সমাধান হয়।

জানাগেছে, দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দামুড়হুদা উপজেলা সদরের দশমী পাড়ার আনসার আলীর ছেলে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ শরিফুল আলম, আব্দুল মান্নান এর ছেলে মোঃ সেলিম উদ্দিন, আবুল হোসেন এর ছেলে মোঃ মজিবর রহমান এবং ঝিনাইদাহ জেলার শৈলকূপা থানা অন্তর্গত সমিরুদ্দিন বিশ্বাস এর ছেলে মোঃ আব্দুল খালেক দামুড়হুদা ফিলিং স্টেশনের স্বত্বাধিকারী মোঃ শাহজাহান আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে এই মর্মে যে, দামুড়হুদা ফিলিং স্টেশনটি শরিফুল আলম লিজ নেয়। কিন্তু শরিফুল আলম এ ব্যবসা না বোঝার কারনে শাহজাহান বলে আমি ব্যবসা করে দিচ্ছি, তোমরা মুলধন দিয়ে ব্যবসা চালু করে দাও। সে মোতাবেক ভুক্তভোগী চারজনের কাছ থেকে বিভিন্ন কৌশলে পাম্প মালিক শাহজাহান প্রায় দেড় কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়। প্রাপ্ত টাকার পরিমান শরিফুল আলম ৬০ লক্ষ, আব্দুল খালেক ২৯ লক্ষ, সেলিম উদ্দিন দামুড়হুদা ফিলিং স্টেশনের জমির অর্ধেক অংশের মালিক, মজিবর রহমান ৪৫ লক্ষ। এতো টাকা ইনভেস্ট করে ব্যবসা ভালোই চলে কিন্তু শাহজাহান ব্যবসার কোন লভ্যাংশ কাউকে দেয়না। এক শাহজাহান এর কারনে চার জনই আর্থিক সমস্যায় পড়েন। এক পর্যায়ে পাওনাদাররা টাকা ফেরত চাইলে শাহজাহান বিভিন্ন ভাবে ঘোরাতে থাকে।

পাওনাদার তাদের টাকা দেয়ার জন্য আজ শুক্রবার সকাল থেকে পাম্পের অবস্থান নেয়। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি হওয়ার আসংখ্যা হতে পারে। এমন সংবাদ পেয়ে সেখানে দামুড়হুদা থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী উপস্থিত হয়। পরে উভয় পক্ষের অভিযোগ পর্যালোচনা করে আগামী ৩১ অক্টোবর উল্লেখিত টাকা পরিশোধ করার অঙ্গীকার করে লিখিত দেয় পাম্প মালিক শাহজাহান। অন্যথায় শাহাজাহান তার দামুড়হুদা ফিলিং স্টেশন (তেল পাম্প) মোঃ শরিফুল আলম কে দিয়ে দেবে মর্মে অঙ্গিকার করে রেহায় পায়।




দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সহসভাপতি-সম্পাদক কে বন্ধু মহলের শুভেচ্ছা

ঐতিহ্যবাহী দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত কমিটির সহসভাপতি মিরাজুল ইসলাম মিরাজ ও সাধারণ সম্পাদক মুরশেদ বীর ফয়সাল (তানজির) কে বন্ধুদের পক্ষ থেকে ফুলেল শুভেচছা জানিয়েছেন বন্ধু মহল।

আজ শুক্রবার বিকেল আনুমানিক ৫টার দিকে দামুড়হুদার শিবনগর ডিসি ইকো পার্কে আনুষ্ঠানিক ভাবে ফুলেল শুভেচছা দেয়া হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মো:ইমরান হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আক্তার হোসেন, দৈনিক জনতার ইশতেহার প্রত্রিকার সম্পাদক-প্রকাশক মো:আবু হানিফ, ঠিকাদার শাকিল হোসেন, আল জার্জিস, রুবেল প্রমুখ।




আলমডাঙ্গায় ড্রাগন বাগানের বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকে কৃষকের প্রাণহানি

আলমডাঙ্গা উপজেলায় এক ড্রাগন চাষী চুরি ও পশুপাখি ঠেকাতে পাতা বৈদ্যুতিক ফাঁদে আটকা পড়ে শেখ আব্দুল হালিম (৫০) নামে এক কৃষক মারা গেছেন। আজ শুক্রবার সকাল ১০ টার দিকে উপজেলার খাদেমপুর ইউনিয়নের মাজহাট এলাকার বাইলে মাঠ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত শেখ আব্দুল হালিম ওই এলাকার মৃত শেখ মহিউদ্দীনের ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষে থেকে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করা প্রস্তুতি চলছিল। ঘটনায় পর থেকেই ড্রাগন চাষী শাজাহান হোসেন মিরা পলাতক রয়েছেন।

স্থানীয়রা জানান, গত ৪ বছর আগে মাজহাট গ্রামের বাইলে পাড়া মাঠে ড্রাগন চাষ করেন একই এলাকার শাজাহান হোসেন মিরা। চুরি ও পশুপাখি রোধে বাগানের চারিপাশে বৈদ্যুতিক তার বিছিয়ে রাখেন। আজ শুক্রবার সকালে নিহত শেখ আব্দুল হালিমসহ আরও দুজন প্রতিবেশী জিল্লুর রহমানের কলা বাগানে কাজ করতে যান। সকাল ১০টার দিকে হালিম পানি খাওয়ার জন্য ড্রাগন বাগানে যায়। এসময় ছিটিয়ে রাখা বৈদ্যুতিক তারে জড়িয়ে ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।

এদিকে কৃষক আব্দুল হালিমের মৃত্যুর ঘটনায় ড্রাগন চাষী শাজাহান হোসেন মিরার বিরুদ্ধে শাস্তির দাবি তুলেছে এলাকাবাসী।

আব্দুল জব্বার নামের এক কৃষক জানান, কয়েক মাস আগে চুরি ও পশুপাখি রোধে বাগানের চারিদিকে বৈদ্যুতিক তার ছিটিয়ে রেখেছে। সার্বক্ষণিক ওই তারে বিদ্যুৎ থাকে। ড্রাগন মালিক কোন প্রচার কিংবা ব্যানার ফেস্টুন না লাগিয়ে মানুষ মারার ফাঁদ তৈরি করেছে।

আলমডাঙ্গা থানার (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, আজ শুক্রবার দুপুরে ঘটনাস্থল থেকে নিহত কৃষকের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এঘটনায় তদন্ত চলছে। আইনগত বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।




ঝিনাইদহের শৈলকুপায় সাড়ে ৮’শ কৃষকের মাঝে কীটনাশক বিতরণ

‘মানুষ-পৃথিবী সমৃদ্ধির লক্ষ্যে আসুন আমরা একতাবদ্ধ হই’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে ঝিনাইদহে সাড়ে ৮’শ কৃষকের মাঝে বিনামূল্যে কীটনাশক ওষুধ বিতরণ করা হয়েছে।

আজ শুক্রবার সকালে শৈলকুপা উপজেলার বারইপাড়া-হাবিবপুর গ্রামের মাঠে এ কীটনাশক বিতরণ করা হয়। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত সাঈদ, মুগ্ধ ও ইয়াসিনের স্বরণে গঠিত ‘এসএমওয়াই’ ফাইন্ডেশনের পক্ষ থেকে ধানের মাজরা পোকা দমনের জন্য এ কর্মসূচী হাতে নেওয়া হয়। সেসময় ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা রোকনুজ্জামান রোকন, কর্মকর্তা মাওলানা ইউনুস আলীসহ স্থানীয়রা উপস্থিত ছিলেন।

আয়োজকরা জানায়, ওই এলাকার কৃষকদের আবাদকৃত ধানের মাজরাপোকা দমনের জন্য সাড়ে ৮ হাজার কৃষকের মাঝে পদ্মা অয়েল কোম্পানির ওষুধ বিতরণ করা হয়। বিতরণকৃত কীটনাশক দিয়ে ওই এলাকার ৫৬ হাজার শতক জমিতে প্রয়োগ করা যাবে বলেও জানান তারা।




অজান্তে তথ্য চুরি করে ফেসবুক-ইউটিউব

আপনি হয়তো নিশ্চিন্ত মনে হাতে থাকা ডিভাইসটি দিয়ে নিজের খুশি অথবা বেদনার কোনো মুহূর্ত ভাগ করে নিচ্ছেন আপনজনদের সঙ্গে। আর এ কাজে আপনার একমাত্র হাতিয়ার বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম। অবসরে হয়তো প্রিয় কোনো গায়ক বা অভিনেতা-অভিনেত্রীর নতুন গান বা অন্য কোনো কন্টেন্ট দেখতে বসেছেন ইউটিউবে। আপনি কি জানেন এসবের মাঝেই লুকিয়ে আছে বিশাল এক ফাঁদ।

আপনার পরিচিত ও প্রিয় বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম বা ভিডিও শেয়ারিং প্ল্যাটফর্মগুলো ব্যবহারের সময় তারা আপনারই তথ্য সংগ্রহ করে তা বিলিয়ে দিচ্ছে অন্য কারো কাছে। যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশনের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য উঠে আসে। সম্প্রতি দ্য গার্ডিয়ানে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এসব জানা যায়।

২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ইউটিউব, ডিসকর্ড, রেডিট, অ্যামাজন, স্ন্যাপচ্যাট, টিকটক ও টুইটারের পর্যবেক্ষণ ও তাদের তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া পর্যবেক্ষণ করে আমেরিকার এফটিসি। এ সময় এফটিসি এসব কোম্পানির চরিত্র বিশ্লেষণ করে- কীভাবে কোম্পানিগুলো তার গ্রাহকদের ব্যবহারবিধির ওপর নজরদারি করে এবং সে অনুযায়ী তাদের কাছে কন্টেন্ট ও বিজ্ঞাপন সরবরাহ করে থাকে।

এফটিসির প্রতিবেদনে দেখা যায়, কোম্পানিগুলো ট্র্যাকিং অনুশীলন গভীরতা ও প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোকে গ্রাহকদের ওপর নজরদারিকে বৈধতা দেয়। এর প্রেক্ষিতে এফটিসি মার্কিন কংগ্রেসকে ফেডারেল প্রাইভেসি রেজলুশন পাস করার প্রস্তাব দেয়। যাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত সুরক্ষাকে অবমূল্যায়ন করে এমন স্বীকৃতি আদায়ের জন্য আইনপ্রণেতাদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়।

মার্কিন সংস্থার প্রতিবেদনে দেখা যায়, কোম্পানিগুলো তাদের ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্য যেমন-বয়স, লিঙ্গ, ভাষাবিষয়ক তথ্য থার্ড পার্টির সঙ্গে শেয়ার করে। এ ছাড়া কিছু কোম্পানি ব্যবহারকারীদের আয়, শিক্ষাগত যোগ্যতা ও পারিবারিক অবস্থানবিষয়ক তথ্য সংগ্রহ করে থাকে। এমনকি যেসব কোম্পানি স্পষ্টভাবে এসব তথ্য সংগ্রহ করে না তারাও ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত জীবনের বিবরণ বের করতে প্ল্যাটফর্মে ব্যবহারকারীর আচরণ বিশ্লেষণ করে। যেমনটা দেখা যায়, কিছু কোম্পানি ব্যবহারকারীদের আগ্রহের বিষয়গুলোর মধ্যে ‘শিশু, বাচ্চা এবং মাতৃত্ব’ সংক্রান্ত তথ্য খোঁজার আচরণ বিশ্লেষণ করে তাদের পিতৃত্ব বা মাতৃত্বজনিত অবস্থা বের করে। একইভাবে তারা নববিবাহিত বা বিচ্ছেদের তথ্যও বের করে। অনেক কোম্পানি ব্যবহারকারীদের আগ্রহের বিষয়গুলো বিশ্লেষণ করে তাদের প্ল্যাটফর্মে কীভাবে আরও ব্যবহারকারী যোগ করা যায় তার বাড়াতে পদক্ষেপ নেয়। অনেক ক্ষেত্রে এসব তথ্য তৃতীয় কোনো পক্ষের সঙ্গে ভাগ করে নেওয়া হয় যাতে কোম্পানিগুলো আরও বেশি বিজ্ঞাপন পায়।

সূত্র: কালবেলা




মেহেরপুরে লেদ মেশিন কারখানায় অগ্নিকাণ্ড, ক্ষতি ৩০ লাখ টাকা

মেহেরপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে গেছে লেদ মেশিনের একটি কারখানা। এতে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে ওই লেদ মেশিনের মালিকের। এসময় একটি ট্রাক্টর পুড়ে ভস্মীভূত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকালের দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার বামনপাড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।

কারখানা মালিক সদর উপজেলার আমদহ গ্রামের সানোয়ার হোসেন জানান, বামনপাড়ার মোড়ে আমার লেদ মেশিনের কারখানা। প্রতিদিনের মতো কাজ সেরে বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ি চলে যাই।

সকাল নয়টার দিকে হঠাৎ করে সেখানে আগুন লাগে। আগুনে লেদ মেশিনের ভিতর রাখা একটি ট্রাক্টরসহ অন্যান্য জিনিস পুড়ে যায়। খবর পেয়ে মেহেরপুর ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স এর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে লেদ মালিক সানোয়ার জানান।

ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সদস্যরা জানান, গ্যাসের কোন লিকেজ অথবা বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের মাধ্যমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটতে পারে। তারা জানান,লেদ মেশিনের কারখানায় অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা রাখার কথা থাকলেও বারবার বলা সত্ত্বেও এখানে অগ্নি নির্বাপনে কোনো ব্যবস্থা রাখা হয়নি। অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা থাকলে ক্ষতির সম্ভাবনা কম হতো বলে ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা জানান।




“দেড় ডর্জন মাদক মামলার আসামিসহ আটক ২, ফেনসিডিল উদ্ধার”

মেহেরপুরে গাংনীতে যৌথবাহিনীর অভিযানে দেড় ডর্জন মাদক মামলার আসামি আবুল কালামসহ ২ মাদক ব্যবসায়ী আটক ও ১০০ বোতল ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার হয়েছে।

আজ শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় তেরাইল গ্রামের বাগানপাড়া এলাকায় এই অভিযান চালান যৌথবাহিনির একটি টিম।

অভিযানে নেতৃত্ব দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর লেফটেন্যান্ট আবীর হোসেন ও মেহেরপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই আবুল হাসেমসহ সঙ্গীয় ফোর্স।

বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে মেহেরপুর মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই আবুল হাসেম সাংবাদিকদের এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

আটকরা হলেন, গাংনী উপজেলার তেরাইল গ্রামের অলিনগরপাড়ার সুলতান মাহমুদের ছেলে ২০ টি মাদক মামলার আসামি এলাকার শীর্ষ মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী আবুল কালাম আজাদ (৪০) ও সীমান্তবর্তি সহড়াতলা গ্রামের নওয়াব আলীর ছেলে একাধিক মাদক মামলার আসামি এরশাদ আলী (৩০)।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের এসআই আবুল হাসেম বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে খবর পেয়ে যৌথবাহিনীর সহযোগিতায় মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের একটি টিম সকাল ৮ টার দিকে তেরাইল গ্রামের বাগানপাড়া এলাকায় অবস্থান নিই। এসময় সীমান্তবর্তি সহড়াতলা এলাকা থেকে একটি সিএনজি তেরাইল গ্রামের দিকে আসছিলো আমাদের অবস্থান টের পেয়ে সিএনজি নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যাচ্ছিলো সিএনজিটি।
পরে যৌথবাহিনীর টিম ওই সিএনজির গতিরোধ করলে সিএনজির চালক পালিয়ে যায়।

এসময় সিএনজি থেকে ১০০ বোতল নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেনসিডিলসহ এরশাদ আলীকে আটক করেন। পরে এরশাদ আলীর দেওয়া তথ্য মতে, তেরাইল গ্রামের অলিনগরপাড়ায় মাদক ব্যবসায়ী আবুল কালাম আজাদের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে আবুল কালাম আজাদকে আটক করা হয়।

তিনি আরও জানান, আবুল কালাম আজাদের বিরুদ্ধে গাংনী থানায় মাদক বিক্রির আভিযোগ প্রায় ২০ টি মামলা আদালতে বিচারাধীন রয়েছে। তাকে, গাংনী থানা পুলিশ, জেলা গোয়েন্দা পুলিশ ডিবি, র‌্যাব, সেনবাহিনীর টিম তার বাড়িতে একাধিকবার অভিযান চালিয়ে ফেনসিডিল, গাঁজাসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য উদ্ধার করেছে। এসময় র‌্যাব অভিযান চালিয়ে তার কাছ থেকে নাইম এমএম পিস্তল গুলি উদ্ধার করেছে। সে বছরে নয় মাস বিভিন্ন মামলায় কারাগারে অবস্থান করেন। জেলখানা থেকে বের হয়েই আবার মাদকান্ডে জড়িয়ে পড়েন।

এছাড়া অপর আসামি এরশাদ আলীও একজন চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। আজ আসামিদের গাংনী থানায় প্রেরণ করা হবে এবং মামলার কাজ প্রক্রিয়াধীন ও জেল হাজতে প্রেরণ করা হবে।