কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইটি এম্বুলেন্সের ড্রাইভার রয়েছে ১ জন। এতে করে পরিবহন সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন সাধারন মানুষ। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরেকটি ড্রাইভার এখন সময়ের দাবি এলাকাবাসির।
জানা যায়, ১ টি পৌর সভা ও ৫ টি ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে এ উপজেলা। এ উপজেলায় রয়েছে ১ লাখ ৪১ হাজার ১শ ২১ জন মানুষ। এ ছাড়া এ উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫টি উপজেলার মাঝখানে অবস্থিত। এ কারনে ওই সব উপজেলার অধিকাংশ রোগি চিকিৎসা সেবা নিতে আসেন এ কমপ্লেক্সে।যার মধ্যে রয়েছে ঝিনাইদহ সদরের কিছু অংশ, কালিগঞ্জ, মহেশপুর, চৌগাছা ও জীবননগর।
এ সব উপজেলা থেকে প্রতিনিয়ত রোগি আসে এ কমপ্লেক্সে। এ কারনে বাড়তি চাপ নিতে হয় এ কমপ্লেক্সের ডাক্তার, নার্স, সহ সংশ্লিষ্টদেরকে। এর মধ্যে রয়েছে পরিবহন সেবা অন্যতম। এ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দুইটি এম্বুলেন্স রয়েছে। তবে ড্রাইভার রয়েছে ১ টি। এ কারনে রোগিরা সরকারি এম্বুলেন্স সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
অন্যদিকে প্রাইভেট এম্বুলেন্সের সেবা নিতে গেলে ব্যয় হচ্ছে বেশি টাকা। আর এ সবের জন্য স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ঘিরে গড়ে উঠেছে প্রাইভেট এম্বুলেন্সের ব্যবসা। কয়েক বছর আগেও কোটচাঁদপুরে প্রাইভেট এম্বুলেন্স ছিল ১/২ টা। বর্তমানে সব মিলিয়ে প্রাইভেট এম্বুলেন্স রয়েছে ১০/১২ টি। আর সব প্রাইভেট এম্বুলেন্স সেবা নিতে গেলে মানুষের লাগে বাড়তি টাকা।
এদিকে এ কমপ্লেক্সে ২ টি এম্বুলেন্স থাকা সত্বেও এর সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন রোগিরা। এ কারনে আরেকটি এম্বুলেন্স ড্রাইভার এখন এলাকাবাসির সময়ের দাবি।
ভুক্তভোগি হেলাল উদ্দিন জানান, প্রয়োজনের সময় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্স সেবা পাওয়া যায় না। বাধ্য হয়ে ওই সময় প্রাইভেট এম্বুলেন্স সেবা নিতে হয়। গুনতে বেশি টাকা। এ কারনে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরো একটা ড্রাইভার খুবই জরুরি হয়ে পড়েছে। আর এটা এখন এলাকাবাসির সময়ের দাবি।
কেমিষ্ট এন্ড ড্রাগিষ্ট সমিতি কোটচাঁদপুর শাখার সহসভাপতি হাসানুজ্জামান ডাবলু বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইটি এম্বুলেন্স থাকা সত্বেও মানুষ প্রয়োজনের সময় এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে। মানুষকে গুনতে হয় দ্বিগুন টাকা।
তিনি বলেন, এ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি আশ-পাশের কমপ্লেক্সের তুলনায় রোগির চাপ সব সময় বেশি হয়। এ কারনে এখান থেকে রোগি রেফার্ড ও বেশি হয়ে থাকে। এ জন্য জোরদার করা প্রয়োজন জরুরি এম্বুলেন্স সেবা। যাতে করে মানুষের এ সেবাটি নিশ্চিত করা যায়। এ কারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আরেকটি ড্রাইভার এখন এলাকাবাসির সময়ের দাবি।
বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এম্বুলেন্স ড্রাইভার আজব আলী জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইটি সচল এম্বুলেন্স রয়েছে। তবে থেকে লাভ কি। আমি কি একা দুটো কিভাবে চালাব। আরেকটি ড্রাইভার হলে কেমন হয়, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, অফিস চাইলে দিতে পারেন। আমার কোন সমস্যা নাই। কারন আমার চাকুরি তো সে নিয়ে নিবে না।
প্রয়োজনের সময়ে আপনাকে পাওয়া যায় না, এমন অভিযোগ রয়েছে আপনার বিরুদ্ধে। জানতে চাইলে বলেন, রাত দিন ২৪ ঘন্টা আমার ডিউটি। আমি ডিউটি ঠিকমতই করি। তবে মাঝে-মধ্যে বিপদ-আপাদ তো মানুষের থাকে। সে ক্ষেত্রে অন্য ব্যবস্থা তো করতে হবে।
এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুর রশিদ জানান, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের দুইটি এম্বুলেন্স রয়েছে। ড্রাইভার একটা। ওই ড্রাইভার অলটানেট করে চালাবেন এম্বুলেন্স। তিনি বলেন, এ কমপ্লেক্সে একটা ড্রাইভারের পদ রয়েছে। চাইলেই হবে না। তবে কমপ্লেক্সের ১শ ভেবে কার্যক্রম চালু হলে এই সময় দুইজন ড্রাইভার চাইলে হয়তো পাওয়া যেতে পারে।