গাংনীতে ব্যবায়ীকে কুপিয়ে মোটরসাইকেল ও মোবাইল ছিনতাই
গাংনী উপজেলার সাহারবাটি—গাঁড়াডোব রাস্তায় ছিনতাই সংঘঠিত হয়েছে। এতে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন ওরফে সবুজকে (৩২) রামদা দিয়ে কুপিয়ে মারাত্বক জখম করে মোটরসাইকেল, নগদ টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনতাই করেছে।
গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ৯ টার সময় সাহারবাটি—গাঁড়াডোব মাঠের মাঝখানে হোগলাগাড়ির মাঠ নামক স্থানে এই ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে।
সাদ্দাম হোসেন ওরফে সবুজকে উদ্ধার করে গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। তবে সে বর্তমানে আশংকামুক্ত বলে জানিয়েছেন গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেরের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) মারুফ হোসেন।
সাদ্দাম হোসেনের বন্ধু প্রবাস ফেরত লাভলু হোসেন বলেন, সাদ্দাম হোসেন ও আমি মোটরসাইকেল যোগে সাহারবাটি বাজার থেকে গাঁড়াডোব রাস্তায় যাচ্ছিলাম। ওই রাস্তার হোগলগাড়ির মাঠ নামক স্থানে পৌছানো মাত্রই পিছন থেকে মোটরসাইকেল যোগে ৪/৫ জনের একটি সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী আমাদের মোটরসাইকেল ঘীরে ধরে গতিরোধ করে। আমরা রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে পড়লে তারা আমাকে ও সাদ্দাম হোসেনকে হাত পিচ মোড়া দিয়ে বেঁধে ফেলে মাঠের মধ্যে নিয়ে যায়। এসময় সাদ্দাম হোসনের প্যান্টের পকেটে মানিব্যাগে রাখা ১২ হাজার টাকা ও মোটরসাইকেল ছিনতাই করে নিয়ে চলে যায়। এসময় সাদ্দাম হোসেনের পিছনে রামদা দিয়ে একটি কোপ মেরে ফেলে রেখে চলে যায় দূর্বত্তরা।
ব্যবসায়ী সাদ্দাম হোসেন গাংনীর সাবেক এমপি মকবুল হোসেনের ভাগ্নে ও কাজলা এন্টারপ্রাইজ নামের হার্ডওয়্যারের স্বতাধিকারী। লাভলু হোসেন সদস্য প্রবাস ফেরৎ ও গাংনীর চেংগাড়া গ্রামের জামাল উদ্দীনের ছেলে। তবে লাভলু হোসেনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ঘটনা শোনার সাথে ওই এলাকায় পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযান শুরু করা হয়েছে।
এদিকে হার্ডওয়্যার ব্যবসায়ী সবুজের উপর হামলা ও ছিনতাই খবর শুনে গাংনী উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মোখলেছুর রহমান মুকুল, গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি শাওনসহ স্থানীয় আওয়ামীলীগ ও অঙ্গসংগঠণের শত শত নেতা কর্মী হাসপাতালে ভীড় করেন।