শিক্ষক সমিতির মুজিবনগর উপজেলা শাখার কমিটি গঠন

বাংলাদেশ শিক্ষক সমিতি মুজিবনগর উপজেলা শাখার কমিটি গঠন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে মুজিবনগর উপজেলার গোপালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের হলরুমে এই শিক্ষক সমিতির কমিটি গঠন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

অনুষ্ঠানে জয়পুর-তারানগর মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক আজিজুল হক এর সভাপতিত্বে, জেলা কমিটির সদস্য বৃন্দুর উপস্থিতে আলোচনা সভার মাধ্যদিয়ে এই কমিটি গঠন করা হয়। সর্বসম্মতি ক্রমে গোপালনগর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জহিরুল ইসলাম কে সভাপতি, মুজিবনগর আম্রকানন মাধ্যমিক বিদ্যালয় প্রধান শিক্ষক শরিফুল ইসলাম কে সাধারণ সম্পাদক ও এম এম একাডেমী এর সহকারী শিক্ষক বায়েজিদকে সাংগঠনিক সম্পাদক নির্বাচিত করা হয়।

আলোচনা শেষে অনুষ্ঠানের সভাপতি আজিজুল হক কমিটির ঘোষণা করেন।




কুষ্টিয়ায় পদ্মার ভাঙনে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে গেলো বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের টাওয়ার

পদ্মা নদীর সর্বগ্রাসী ভাঙনে কুষ্টিয়ার মিরপুর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের হাজার হাজার বিঘা ফসলি জমি ও বসতি ঘরবাড়ি পানিতে বিলীন হয়ে গেছে।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে চলতি বন্যায় চরম ঝুঁকির মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকা জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালনের একটি টাওয়ার সম্পূর্ণভাবে নদীগর্ভে ভেঙে পড়ে।

মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া উপজেলার সাহেব নগর গ্রামে আরও অন্তত ছয়টি টাওয়ার ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

সরেজমিন দেখা যায়, মিরপুর উপজেলার বহলবাড়ীয়া ইউনিয়নের সাহেবনগর ও বারুইপাড়া ইউনিয়নের মির্জানগর এলাকায় পদ্মা নদীর তীরে কয়েক শ মানুষ বসে আছেন। তারা পানির তোড় দেখছেন। টাওয়ার ভেঙে পড়া জায়গায় অনেক লোকজন বসে ছিলেন।

কয়েকজনের সাথে কথা হলে তারা বলেন, গত বছরও নদীতে চর ছিল। গত এক মাসে ৫০০ মিটার ভেঙে গ্রামের দিকে চলে আসছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের জন্য তাঁরা এক মাস ধরে আন্দোলন করছেন। কয়েক দিন আগে মানববন্ধন, জেলা প্রশাসক ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কার্যালয় ঘেরাও, স্মারকলিপি প্রদান ও মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। পাউবোর কর্মকর্তারা বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলে যায়। কিন্তু তাতে কোনো কাজ হয় না।

এদিকে টাওয়ার ভাঙার পরপরই কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী মহাসড়কে গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করেন গ্রামবাসী। এতে সড়কের উভয় পাশে প্রায় এক কিলোমিটার যানবাহন আটকা পড়ে। প্রচণ্ড গরমে দুর্ভোগে পড়েন যাত্রীরা। বেলা তিনটা পর্যন্ত অবরোধ ছিল বলে জানা গেছে।

এলাকাবাসী ও স্থানীয় সূত্র জানায়, প্রতিবছরের মতো এবারও পদ্মার ভাঙনের কবলে পড়েছে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলার চারটি ইউনিয়ন। চরম আতঙ্কে দিন কাটছে এলাকার হাজারো মানুষের। গত এক মাসে নদীতে বিলীন হয়ে গেছে কয়েক শ হেক্টর ফসলি জমি। হুমকির মুখে পড়েছে বসতবাড়ি, সড়ক ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান।

স্থানীয়দের অভিযোগ, কয়েক বছর ধরে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের পোর্ট নির্মাণে প্রায় ৫’শ মিটার গ্রোয়েন বাঁধ পদ্মা নদীর মূল প্রবাহ চ্যানেলের মধ্যে নির্মিত হওয়ায় নদী তার গতিপথ হারিয়েছে। এতে নতুন গতিপথের সন্ধানেই পদ্মা আগ্রাসী হয়ে উঠেছে।

ভয়াবহ ভাঙনে কুষ্টিয়া সদর, মিরপুর ও ভেড়ামারা উপজেলার শত শত হেক্টর ফসলি জমিসহ নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে ঘরবাড়ি ও সরকারি-বেসরকারি অবকাঠামো। এছাড়া কুষ্টিয়া-ঈশ্বরদী জাতীয় মহাসড়ক, দেশের বৃহৎ সেচ প্রকল্প ও ৪১০ মেগা কম্বাইন্ড সাইকেল বিদ্যুৎকেন্দ্রসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে।

অবিলম্বে পদ্মা নদীর এই সর্বগ্রাসী ভাঙন রোধে স্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে আক্রান্ত এলাকার জনগণ তাদের অস্তিত্ব রক্ষায় রক্ষায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে এলাকাবাসী।

এদিকে পদ্মার ভাঙনে জাতীয় বিদ্যুৎ সঞ্চালন লাইনের টাওয়ার নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাওয়ার বিষয়ে কুষ্টিয়ার বটতৈল গ্রিডের প্রকৌশলী আবু তালেব বলেন, ভেঙে পড়া টাওয়ারে কয়েক দিন আগে থেকেই বিদ্যুৎ সঞ্চালন বন্ধ ছিল। এই লাইন দিয়ে ভেড়ামারা থেকে ফরিদপুরে বিদ্যুৎ আনা-নেওয়া হয়। ভেঙে পড়ায় বিদ্যুৎ সঞ্চালনে তেমন কোনো প্রভাব পড়বে না। বিকল্প লাইনে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক আছে। মিরপুর উপজেলার বহলবাড়িয়া ইউনিয়নের সাহেব নগর গ্রামে আরও অন্তত ছয়টি টাওয়ার ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী (পাউবো) পাউবোর কুষ্টিয়ার নির্বাহী প্রকৌশলী রাশিদুর রহমান বলেন, কয়েক বছর আগে থেকেই পদ্মা নদীর ডান তীরে ভেড়ামারা ও মিরপুর উপজেলার কয়েকটি গ্রামে ভাঙন চলছে। ভাঙন রোধে ইতোমধ্যে এক হাজার চারশ কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন পেয়েছেন তারা। তিনি আরও বলেন, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে নদীতে ২ থেকে ৩ সেন্টিমিটার পানি বেড়েছে। নদীর গতিপথ পরিবর্তনের কারণে নদীর ডান তীরে কুষ্টিয়ার অংশে ভাঙন বাড়ছে। ভাঙনকবলিত কয়েকটি স্থান শনাক্ত করা হয়েছে। সেখানে বালুভর্তি জিও ব্যাগ ফেলা হচ্ছে। নদীতে এখন পানি বেশি। পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করা হবে। সব প্রক্রিয়া শেষ পর্যায়ে আছে।

তিনি আরও বলেন, “প্রকল্পটি বাস্তবায়নে দরপত্র আহ্বানসহ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কার্যচুক্তি প্রক্রিয়াধীন। পদ্মার পানি কমার সঙ্গে সঙ্গে ভাঙনরোধে স্থায়ীভাবে প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ শুরু হবে।” কুষ্টিয়ার ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক শারমিন আখতার বলেন, নদীভাঙন হচ্ছে এটা সত্য। প্রায় দিনই সেখানে আন্দোলন হচ্ছে। স্থায়ী বাঁধ নির্মাণের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানানো হয়েছে।




দর্শনায় জনতা ব্যাংকের নতুন ভবন শুভ উদ্বোধন অনুষ্ঠানে আব্দুর রাজ্জাক

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় জনতা ব্যাংকের নতুন স্থানান্তরের শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টার দিকে দর্শনা রেল বাজার বাগদাদ মার্কেটের দ্বীতীয় তলায় জাঁকজমকপৃর্ন আনুষ্ঠানিক ভাবে ফিতা কেটে নতুন ভবনের উদ্ধোধন করেন জনতা ব্যাংকের খুলনা বিভাগীয় মহাব্যাবস্থাপক আব্দুর রাজ্জাক। পরে শুরু হয় আলোচনাসভা।

দর্শনা জনতা ব্যাংক শাখার ব্যবস্থাপক ফুহাদ হাসান খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে তিনি বলেন, জনতা ব্যাংক মানেই জনতার ব্যাংক গ্রাগকরা ব্যাংকের প্রান। আপনারা জনতা ব্যাংকে আসবেন এবং সেবা নেবেন।সেবাই কোন ক্রটি হলে সংশিষ্ট কতৃপক্ষকে জানাবেন। আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা পেলে সফলতার সাথে এগিয়ে যাবে জনতা ব্যাংক।এ সময় বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর মহাব্যাবস্থাপক অর্থ আব্দুস ছাত্তার, জনতা ব্যাংকের সহকারী এরিয়া মহাব্যাবস্থাপক আশরাফুজ্জামান, খুলনা বিভাগীয় কার্যলয়ের সহকারী মহাব্যাবস্থাপক সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।

এ নতুন ভবন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রায় ৪শ গ্রাহক উপস্থিত ছিলেন। এ অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন দর্শনা জনতা ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা রেজাউল হক।




ঝিনাইদহে মাসব্যাপী মেয়েদের কারাতে প্রশিক্ষণ উদ্বোধন

ঝিনাইদহে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের আওতায় প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের মেয়েদের আত্ম-রক্ষার্থে মাসব্যাপী কারাতে প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলা পরিষদ ব্যাডমিন্টন কোর্টে মাসব্যাপী এ প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করেন সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার রাজিয়া আক্তার চৌধুরী।

সেসময় যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, জাইকার প্রতিনিধি মোস্তাফিজুর রহমান ও সোতোকান কারাতে দো ঝিনাইদহের পরিচালক কাজী আলী আহাম্মেদ লিকু সহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

মাসব্যাপী কারাতে প্রশিক্ষণে অংশ নেবেন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক পর্যায়ের তিনটি স্কুলের ২৫ জন মেয়ে শিক্ষার্থী।




ঝিনাইদহে বিদ্যুৎ অফিসের লাইন সহকারীদের কর্মবিরতি

বেতন ভাতার দাবীতে কর্মবিরতি ও বিক্ষোভ করেছে ঝিনাইদহ ওজোপাডিকোর লাইন সহকারীরা।

আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) সকাল থেকে কর্মবিরতি ও বিদ্যুৎ অফিস প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করে তারা। সেসময় তারা বেতন ভাতার দাবিতে নানা শ্লোগান দেয় ।

কর্মসূচীতে লাইন সহকারী ইমামুল হক রকি, আব্দুলাহ আল মামুন, রুবেল হোসেন, মশিউর রহমান, আব্দুল মমিনসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সেসময় আন্দোলনকারী বলেন, বছরের পর বছর বিদ্যুৎ অফিসে কাজ করলেও তারা বেতন ভাতা পান না। অফিস টাইমের বাইরে কোথাও কাজে গেলে নামমাত্র টাকা পাওয়া যায়, সেই টাকা দিয়ে তাদের সংসার চালাতে হয়। ঝুকিপুর্ণ এই কাজ করার কারণে অনেকে মারাগেছে আবার অনেকের অঙ্গহানী হয়েছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত কর্তৃপক্ষ তাদের বেতন ভাতার কোন ব্যবস্থা করেনি। তাই অনির্দিষ্টকালের কর্মবিরতি পালন করছেন তারা। এদিকে লাইন সহকারীদের কর্মবিরতি পালন করায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে গ্রাহকদের।




ঝিনাইদহে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের মানববন্ধন

গ্রেড বৈষম্য দূর করতে ঝিনাইদহে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা।

আজ বৃহস্পতিবার সকালে জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের সামনে এ কর্মসূচির আযোজন করে পিটিআইএ প্রশিক্ষণরত শিক্ষকরা। এতে শিক্ষক রাসেদুজ্জামান রাসেল, সাগর হোসেন, আসাদুজ্জামান সজল, মাহমুদুল হাসান, সেবিনা খাতুন, শাম্মী ইসলাম,আইরিচ নাহারসহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন।

সেসময় বক্তারা, সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূর করতে সরকারের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রতি আহবান জানান। সেই সাথে শিক্ষকদের ১২ তম গ্রেডে উন্নীতকরণ প্রস্তাব বাতিল করে ১০ম গ্রেড বাস্তবায়নের দাবী জানান।




লতাপাতা

লতাপাতা একসাথে গাঁথা-একসাথে বসবাস,
নদীতট একসাথে থেকেও-যেন তারা পরবাস।

লতার সুখে পাতার সুখ, এক সাথে বাঁচে প্রাণ,
নদীর দুঃখে, তটের দুঃখ, জীবনের অবসান।

আলো আঁধার দু’জনাতে, একসাথে থাকে মিশে-
রাত আর দিন পাশাপাশি, কেমনে থাকে বসে।

লতারে পেঁচিয়ে পাতা, জড়িয়ে থাকে বুকে ধরে,
একই অঙ্গে কত রূপ তার, থাকে চুপটি করে।

আবার লতা পাতায় কত যে, ঔষধি গুনের দেখা,
সবুজে সবুজে ভরে প্রাণ-সতেজ জীবন আঁকা।

কখনো কখনো লতাপাতায়-সবজির থাকে গুণ,
অবয়ব জুড়ে উজ্জলতা আনে, থামায় পেটের আগুন।

মরুচরে গাদাগাদি করে-হয় নাকো বসবাস,
লতাপাতা ঘেরা আঙ্গিনার মাঝে সচল নিঃশ্বাস।

এক ডগা হতে আরেক ডগা, লাগে না পারাপারে,
দেখে চোখ জুড়ায়, ঝাপসা কাটে, ঘন অন্ধকারে।

নাম শুনলে ভালো লাগে-দেখতেও কতই না ভালো,
আগাছা ভেবে উপরে ফেলোনা-জীবন হবে কালো।।




জানা গেল ২৬ সেপ্টেম্বর কী হতে যাচ্ছে

২৬ সেপ্টেম্বর নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় নানা ধরনের কথা শোনা যাছে। একেক জন একেক কথা বলছেন। কেউ কেউ মজা করছেন, আবার কেউ আসলে কি হবে তা জানতেই পোস্ট করছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

অনেকে গুগলেও সার্চ করছেন ‘২৬ সেপ্টেম্বর কী হবে’ তা লিখে। এত এত আলোচনা এই ২৬ সেপ্টেম্বর নিয়ে। আসলে কি এমন ঘটবে যাতে মানুষ ধনী হয়ে যাবে?

জানা যাচ্ছে, টেলিগ্রামের একটি অ্যাপ আসলে এই আলোচনার নেপথ্যে।

টেলিগ্রামভিত্তিক একটি গেমিং বট নিয়েই আলোচনায় রয়েছে ২৬ সেপ্টেম্বর। গেমিং বটটির নাম ‘হামস্টার কমব্যাট’। যেখানে বিভিন্ন টাস্ক পূরণ ও ট্যাপ করে গেম কারেন্সি (কয়েন, কি ইত্যাদি) অর্জন করা যায়। ফেসবুক, এক্স ও ইউটিউবে অনেকেই এই গেমটির বিষয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন। তারা দাবি করেছেন, ২৬ তারিখে এই গেমটির কয়েনগুলোকে ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তর করা যাবে বলে গেমসটির নির্মাতারা জানিয়েছেন। তবে এর সত্যতা যাচাই করা যায়নি।

আবার কেউ কেউ বলছেন, টেলিগ্রামের এমন অ্যাপ অনেক আছে। মাঝেমধ্যেই তারা তাদের গেমস কারেন্সি ক্রিপ্টোকারেন্সিতে রূপান্তরের সুযোগ দিয়ে থাকে। তবে টিকটকের কারণে ‘হামস্টার কমব্যাট’ বেশি পরিচিতি পেয়েছে।

এদিকে এসব দাবির বিরোধিতা করে কেউ কেউ বলছেন, যদি এভাবে কোটিপতি বা বড়লোক হওয়া যেত, তাহলে মানুষ আর কাজ করত না! তাদের প্রশ্ন, হামস্টারের ৩০০ মিলিয়ন ফলোয়ারকে যদি দুই ডলার করেও দেওয়া হয়, তাহলে যে বিপুল অর্থ দিতে হবে সেটা কি আদৌ তারা দিতে পারবে?

হামস্টার কমব্যাটের গেমাররা ‘২৬ সেপ্টেম্বরের’ বিষয়টি মোটামুটি এভাবেই দেখছেন। বিষয়টি যখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রেন্ড করছে, তখন অনেকেই কৌতূহল কিংবা আতঙ্কের জায়গা থেকে জানার জন্য ফেসবুকে পোস্ট করছেন, কী হতে যাচ্ছে ২৬ তারিখ?

সূত্র: ইত্তেফাক




দিনের শুরুতেই হাসানের তিন উইকেট

চেন্নাই টেস্টে অবিশ্বাস্য শুরু করেছে বাংলাদেশ। টস জিতে বোলিং নিয়েই চেপে ধরেছে স্বাগতিকদের। দলীয় ৩৪ রানের মধ্যেই তিন উইকেট হারাল ভারত। রোহিত, গিলের পর এবার সাজঘরে ফিরলেন তারকা ব্যাটার বিরাট কোহলি। তিনটি উইকেটই নিয়েছেন পেসার হাসান মাহমুদ। হাসান মাহমুদের বলে ড্রাইভ করতে গিয়ে উইকেটের পেছনে লিটনের হাতে ক্যাচ দেন কোহলি।

এই প্রতিবেদন খেলা পর্যন্ত ১০ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে ভারতের সংগ্রহ ৩৪ রান। যশ্বী জয়সওয়াল ১৭ রান এবং ঋষভ পান্থ ০ রানে ব্যাট করছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে বাংলাদেশি পেসারদের দেখে শুনেই খেলছিলেন দুই ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা এবং যশ্বী জয়সওয়াল। তবে চতুর্থ ওভারে রোহিতকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেছিলেন রোহিত। কিন্তু আম্পায়ার আউট না দেওয়ায় রিভিউ নেন শান্ত। তবে বল বেল্টে লাগায় বেঁচে যান ভারতীয় অধিনায়ক।

তবে পিচে বেশিক্ষণ টিকতে পারেনি রোহিত। হাসানের পরের ওভারেই দ্বিতীয় স্লিপে কাটা পড়েন তিনি। এদিন চেন্নাইয়ের পিচের চরিত্র বোঝার আগের সাজঘরে ফেরেন শুভমান গিল। অষ্টম ওভারে লিটনের হাতে ক্যাচ তুলে দেন তিনি। সেই সঙ্গে জোড়া উইকেট তুলে নেন হাসান।

এরপর জয়সওয়ালকে সঙ্গে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ারি চেষ্টা করেন বিরাট কোহলি। কিন্তু দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে হাসানের তৃতীয় শিকার বনে যান এই কিংবদন্তি ক্রিকেটার। ৬ বলে ৬ রান করেন তিনি।

সূত্র: ইত্তেফাক




দর্শনায় মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত

ওয়েভ ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে ও পিকেএসএফ এর সহায়তায় পারকৃষ্ণপুর -মদনা ইউনিয়নে মৎসজীবিদের নিয়ে আধা নিবিড় পদ্ধতিতে কার্প জাতীয় মাছের উন্নয়ন ও মোটাতাজাকরনের পদ্ধতি ও প্রযুক্তি নিয়ে মাছ চাষের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও উদ্বুদ্ধ করার লক্ষ্যে মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল বুধবার বিকালে পারকৃষ্ণপুর গ্রামে এ মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়। মাঠ দিবসে মৎসজীবি সংগঠনের অন্যতম সংগঠক সাধন হালদারের সভাপতিত্বে মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে ছিলেন এশিয়ান টিভির জেলা প্রতিনিধি মোঃ আজাদ হোসেন।

এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির পারকৃষ্ণপুর- মদনা ইউনিয়নের সভাপতি শফিউল্লাহ শফি, সাধারণ সম্পাদক আজিবার রহমান, দর্শনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দর্শনা সাংবাদিক সমিতির সাধারন সম্পাদক হানিফ মন্ডল, দর্শনা প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি আওয়াল হোসেন, মনিরুজ্জামান মনি, সাংবাদিক মামুন, ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সহকারী পরিচালক নির্মল দাস, সিনিয়র সমন্বয়কারী মোঃ কামরুজ্জামান যুদ্ধ ও মৎস কর্মকর্তা আবু সাই।

মাঠ দিবসের অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন বিগত দিনে বাংলার মানুষ ছিলো মাছে-ভাতে বাঙ্গালী । এই প্রথা এখন অতিত ও স্মুতিময়। তবে বর্তমানে এখনো এই বাংলায় নদ-নদী,খাল- বিল, বাওড় ও পুকুরসহ যত ধরনের জলাশয় আছে তা যত্রতত্র ভাবে অপরিকল্পিত ভাবে চাষ না করে বিভিন্ন প্রযুক্তি ব্যবহার করে যদি চাষ করা যায় তাহলে বিদ্যমান যে জলাশয় আছে তা দিয়েই মাছের চাহিদা পুরন করা সম্ভব। এজন্য সরকারের পাশাপাশি ওয়েভ ফাউন্ডেশন যেমন মৎসহ উন্নয়ন ও প্রযুক্তি সম্প্রসারনের মাধ্যমে মাছের উৎপাদন বৃদ্ধি লক্ষ্যে কাজ করছে তেমনি ভাবে মৎসজীবিসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেনীপেশার মানুষের এক্যবদ্ধ সমর্থন ও সহায়তা রকার। আর এই সম্মিলিত প্রয়াশের মাধ্যমে একেিক যেমন মাছের চাহিদা পুরণ হবে ও অন্য দিকে পুষ্টির ঘাটতি পুরণ হবে।