প্রথম টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ

চট্টগ্রামে তিন ম্যাচের টি ২০ সিরিজের প্রথমটিতে মাঠে নামার অপেক্ষায় বাংলাদেশ ও আয়ারল্যান্ড। ইংল্যান্ড ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়ানডে ও টি ২০ মিলিয়ে টানা ছয় জয়। আইরিশদের বিপক্ষে একটি ম্যাচ বৃষ্টিতে পরিত্যক্ত না হলে সংখ্যাটা সাত হতে পারত।

এমন পরিসংখ্যান সামনে রেখে সাকিব আল হাসানের দলের লক্ষ্য আরও দাপুটে পারফরম্যান্সে আত্মবিশ্বাসের জ্বালানি বাড়িয়ে নেওয়া। নিজেদের ছাড়িয়ে যাওয়া। কিন্তু নিজেদের প্রিয় ফরম্যাট বলেই আইরিশরা এবার ভিন্ন কিছুর স্বপ্ন দেখছে।

ফেভারিট হিসাবেই আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে আজ সোমবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে মাঠে নামছে বাংলাদেশ। ম্যাচটি শুরু হবে দুপুর ২টায়।

ইংলিশ সিরিজে ভালো করেছেন লিটন দাস ও রনি তালুকদার। ফলে ওপেনিংয়ে এই দুই ব্যাটসম্যানকে দেখা যেতে পারে। টপ অর্ডারে নাজমুল হোসেন শান্ত ও তৌহিদ হৃদয় মোটামুটি নিশ্চিত।

এদিকে ফর্মহীনতার কারণে দল থেকে ছিটকে গেছেন আফিফ হোসেন। জায়গা পেয়েছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন মিরাজ। তাতে দলে জায়গা পক্ত হয়েছে তার। তবে আইরিশদের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজের আগে চোটে পড়ে প্রথম দুটি ম্যাচ মিস করেছেন তিনি।

বল হাতে অভিষেক হতে পারে রিশাদ হোসেনের। তার সঙ্গে থাকতে পারেন নাসুম আহমেদও। অথবা এই দুজনের বদলে একজন বেশি ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলতে চাইলে দলে জায়গা পেতে পারেন জাকের আলী।

পেসার হিসেবে তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও মোস্তাফিজুর রহমানকে দেখা যেতে পারে। এই তিনজনের মধ্যে শরিফুল ইসলামও জায়গা করে নিতে পারেন। সেক্ষেত্র বাদ পড়তে পারেন কাটার মাস্টার মুস্তাফিজ। তবে প্রথম ম্যাচে দ্য ফিজকেই বেশি প্রাধান্য দেয়া হতে পারে।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ
লিটন দাস, রনি তালুকদার, নাজমুল হোসেন শান্ত, তৌহিদ হৃদয়, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), মেহেদী হাসান মিরাজ, জাকের আলী, রিশাদ হোসেন, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও মুস্তাফিজুর রহমান।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে জেলা বিএনপির স্বাধীনতা দিবস পালন

মেহেরপুর জেলা বিএনপির উদ্যোগে মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে শোভাযাত্রা ও পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়েছে।

গতকাল সকালে মেহেরপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে জেলা বিএনপির কার্যালয় থেকে শোভযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে কলেজ মোড়ে গিয়ে শেষ হয়। পরে শহিদ স্মৃতিসৌধে পুস্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

এসময় সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মারুফ আহমেদ বিজন, সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলাম, পৌর বিএনপির সভাপতি জাহাঙ্গীর বিশ্বাস, মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আমিরুল ইসলাম, জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক সাহাবদ্দিন, মনিরুল ইসলামসহ জেলা বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা শোভাযাত্রা ও পুস্পস্তবক অর্পণ অনুষ্ঠানে অংশ নেন।




ঐতিহাসিক মুজিবনগরে ‘সর্বস্তরে জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়ন আন্দোলনে’র পথচলা শুরু

স্বাধীনতার সূর্য সন্তান শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে প্রতিটা জেলা-উপজেলায় স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়ন চাই এই দাবীকে সামনে রেখে স্বাধীনতার প্রথম সরকার গঠনের ঐতিহাসিক স্থান মুজিব নগর স্মৃতিসৌধে ২৬ শে মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস ও জাতীয় দিবসে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সকল বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও এক মিনিট নীরবতা পালনের মাধ্যমে সর্বস্তরে জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়ন আন্দোলনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

মুজিবনগরে যাত্রার প্রাক্কালে নেতৃবৃন্দগণ মেহেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয় চত্বরে স্বাধীনতার প্রথম পতাকা উত্তোলনের স্থানে যান। সেখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে মুজিবনগর স্মৃতিসৌধের উদ্দেশ্যে রওনা দেন।

সর্বস্তরে জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়ন আন্দোলনের আহবায়ক ইকরামুল কবির বাবলুর আহবানে উপস্থিত ছিলেন যুগ্ম আহবায়ক রফিকুর রশীদ, যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ হাফিজ ফারুক, যুগ্ম আহবায়ক আব্দুলাহ আল আমিন, যুগ্ম আহবায়ক মীর দিনার হোসেন, সদস্য সচিব মির্জা গালিব উজ্জ্বল, তরিকুল ইসলাম (সদস্য), এনামুল হক এনাম (সদস্য), অধ্যাপক গৌতম বসু (সদস্য), কুটু জোয়াদ্দার (সদস্য), সালেহ কাজল (সদস্য), কামরুন্নেছা তানিয়া (সদস্য), অভিজিৎ বসু (সদস্য)।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধুর ডাকে মুজিব নগর সরকার কমিটির আহবায়ক দোয়াজ উদ্দিন মাস্টার।

আরও উপস্থিত ছিলেন, হাসানুজ্জামান রিপন, মোঃ স্বপন আলী, মোঃ শিমুল বিশ্বাস, ইব্রাহিম খান, হাসিবুল ইসলাম, আসলাম , রাজু আহমেদ, ইমরান হোসেন, আবু তালহা বিন হাবিব জুয়েল, আব্দুর রহিম, নয়ন আহামেদ প্রমুখ।

উপস্থিতিগণ জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে স্মৃতিসৌধ সর্বস্তরে বাস্তবায়নের তাগিদ অনুভব করেন। এরই প্রেক্ষাপট ‘বাংলাদেশ জেলা ভিত্তিক স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়ন আন্দোলন’ এর নাম পরিবর্তন করে জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে স্মৃতিসৌধ সর্বস্তরে বাস্তবায়ন ও সাংগঠনিক কার্যক্রমের গতিশীলতা তরান্বিত করতে ‘সর্বস্তরে জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়ন আন্দোলন’ নামকরণ করেন।

আহবায়ক ইকরামুল কবির বাবলু বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছরে ও মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণে রাষ্ট্রীয় দুটি গুরুত্বপূর্ণ দিবসে বিক্ষিপ্ত আকারে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়, যা জাতি হিসেবে আমাদের জন্য লজ্জা জনক। তাই অবিলম্বে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি বর্তমান সরকারের নিকট দেশের প্রতিটা জেলা, উপজেলা এমনকি শিক্ষাঙ্গনগুলোতে জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়ন চান।

যুগ্ম আহবায়ক ও বাংলা একাডেমীর পদক প্রাপ্ত রফিকুর রশীদ এই আন্দোলনের সাথে একমত পোষণ করে সর্বস্তরে জাতীয় স্মৃতিসৌধের আদলে স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়ন চান।

যুগ্ম আহবায়ক অধ্যক্ষ হাফিজ ফারুক বলেন, সর্বস্তরে জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়ন আন্দোলনের অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে। এ আন্দোলন একটি চলমান আন্দোলন। শহীদ মিনার ও স্মৃতিসৌধ এক নয়; এর ভিন্নতা উপলব্ধিতে আনতে হবে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন, ৫৪ সালের যুক্তফ্রন্ট আন্দোলন, ৫৬ সালের শাসনতন্ত্র আন্দোলন ৬২ সালের শিক্ষা আন্দোলন, ৬৬ সালের ৬ দফা আন্দোলন,৬৯ সালের গণঅভ্যুত্থান, ৭১ এর মুক্তিযুদ্ধ এই সাতটি আন্দোলনে শহীদদের স্মরণে সাতটি স্তম্ভের সমন্বয়ে নির্মিত হয়েছে জাতীয় স্মৃতিসৌধ। এই স্মৃতিসৌধের স্থপতি সৈয়দ মইনুল হোসেন। অতএব শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদন ও স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনও এক কাতারে ফেলা যায় কী? আসুন আমরা জেলায় উপজেলায় ‘সর্বস্তরে জাতীয় স্মৃতিসৌধ বাস্তবায়ন আন্দোলন’ এর পতাকাতলে কাতারবন্দি হয়ে কমিটি গঠন করি এবং বজ্রকণ্ঠে আওয়াজ তুলি জাতীয় বীর শহীদদের স্মরণে প্রতি জেলা উপজেলায় স্মৃতিসৌধ চাই।




চুয়াডাঙ্গায় মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস পালন

চুয়াডাঙ্গায় নানা আয়োজনের মধ্যে দিয়ে উদযাপন করা হলো মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ।

গতকাল রবিবার সকালে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা নিবেদন করে সরকারি-বেসরকারি সংস্থা, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক সংগঠন দিনভর নানা অনুষ্ঠানের মধ্যদিয়ে দিবসটি পালন করে। সকাল ৬ টায় চুয়াডাঙ্গা শহীদ হাসান চত্বর ৩১বার তপোধ্বনির মাধ্যমে দিবসের শুভসূচনা করা হয়।

সূর্যোদয়ের সাথে শহীদ হাসান চত্বর শহীদ স্মৃতিস্তম্ভ ও জেলা আওয়ামী লীগের দলীয় কার্যালয়ের সামনে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এরপর পরই শহীদ হাসান চত্বর শহীদ বেদিতে পুষ্পস্তর্পক অর্পণ শুরু হয়। প্রথম প্রহরে সকাল ৬টার কিছুক্ষণ পর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান পুষ্পার্ঘ্য নিবেদনের মাধ্যমে শহীদ বেদি উন্মুক্ত করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম ভূইয়াসহ জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ।

এরপর চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন এর নেতৃত্বে পুষ্পমাল্য অপর্ণ করে জেলা পুলিশ বিভাগ। সাথে ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাসসহ জেলা পুলিশের উর্ধ্বত কর্মকর্তারা। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সদস্যদের সঙ্গে শহীদ বেদিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন সাবেক জেলা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু হোসেন।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম সাইফুর রশিদের নেতৃত্বে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শহীদ বেদিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমানসহ শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করেন। এরপর, স্বাস্থ্য বিভাগ, চুয়াডাঙ্গা পৌর পরিষদ, সদর উপজেলা প্রশাসন, মেহেরপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চুয়াডাঙ্গা জেলা অফিস, জেলা যুবলীগ, জেলা ছাত্রলীগ, কৃষক লীগ, শ্রমিক লীগ, অঙ্গসহযোগি সংগঠনের নেতৃবৃন্দসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি, ব্যাংক-বীমা, স্বায়ত্ব শাষিত প্রতিষ্ঠান, স্কুল এদিন সকল সরকারি-বেসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও ব্যক্তি মালিকানাধীন ভবনসমূহে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। সন্ধায় ডিসি সাহিত্য মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে জেলা প্রশাসন।

পুরাতন স্টেডিয়ামে সমাবেশ ও কুচকাওয়াজ সকাল ৮টায় জেলা স্টেডিয়াম মাঠে (পুরাতন) সমবেত কণ্ঠে জাতীয় সংগীত উচ্চারণের মধ্যদিয়ে দিনের ২য় পর্যায়ের কর্মসূচী শুরু হয়। জাতীয় সংগীতের তালে তালে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। পরে পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুনকে সাথে নিয়ে শান্তির প্রতীক শ্বেতকপোত ও রঙিন বেলুন অবমুক্ত করে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। এরপর প্যারেড কমান্ডার চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনের আরআই এর চৌকস প্রহরায় জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার কুচকাওয়াজ পরিদর্শন করেন।

এ সময় জেলা প্রশাসক স্টেডিয়ামে আগত ও জেলার সকলের উদ্দেশ্যে দেশের মহান স্বাধীনতা, স্বাধিরতার সুবর্ণজয়ন্তী ও সার্বভৌমত্ব অক্ষুন্ন রাখা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে সুখি, সমৃদ্ধ, ক্ষুধা ও দারিদ্রমুক্ত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে ডিজিটাল প্রযুক্তির সার্বজনীন ব্যবহার নিশ্চিত করে দেশ গড়ার আহবান জানিয়ে প্রাণবন্ত ভাষণ দেন। তিনি বলেন, ৩০ লাখ শহীদের রক্তে ও ২ লাখ মা-বোনের ইজ্জতের বিনিময়ে আমরা পেয়েছি একটি লাল-সবুজ পতাকা ও স্বাধীন সার্বভৌম রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ছিলো নিপীড়িত-নির্যাতিত জর্জরিত মানুষের এ দেশটি যেন প্রীতির আবহে পূর্ণ হয়ে সুস্থ মানবতার আবাসভূমি হয়ে উঠতে পারে এবং সেই পরিবেশে বেড়ে ওঠে নতুন প্রজন্ম যেন পরিপূর্ণতার আশীর্বাদ মাথায় নিয়ে বিশ্বময় বিশ্বমানবতার জয়গানে মুখর হয়ে উঠতে পারে। এছাড়াও ভাষণে বেশ কিছু ব্যাপারে গুরুত্বারোপ করেন জেলা প্রশাসক।

অনুষ্ঠান মঞ্চে এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. একেএম সাইফুর রশিদ, চুয়াডাঙ্গা সরকারি আদর্শ মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর আজিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) আরাফাত রহমান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট কবির হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) আবু তারেক, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনিসুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুন্না বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম ভূইয়াসহ বিভিন্ন পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তা, সামাজিক ও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, সাংবাদিক ও শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ।




বামন্দী-কাজিপুর সড়কের কার্পেটিং শেষ হবে কবে ?

দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারহীন থাকায় একসময় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার বামন্দী-কাজিপুর আঞ্চলিক সড়কটি। ভাঙ্গাচোরা সড়কটি পরবর্তীতে গেল বছরে নতুন করে সংস্কার কাজের অনুমোদন হয়। ২০২২ সালের জানুয়ারীতে কাজের উদ্বোধন করা হয়। উদ্বোধনের ১ বছর পেরিয়ে গেলেও সড়কটির শতভাগ কাজ এখনো অসম্পূর্ণ।

সড়কটির নিশিপুর অংশ থেকে হাড়াভাঙ্গা মাদ্রাসা বাজার পর্যন্ত সাড়ে ৪কি.মি. এলাকা জুড়ে বালি আর ইটের খোয়া দিয়ে ডলা হলেও মাসের পর মাস পেরিয়েছে তবুও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান কার্পেটিং কাজ শুরু করেনি এখনো। যার ফলে সড়কটিতে ইটের খোয়ার লাল রঙের ধুলোবালি উড়ে সীমাহীন সমস্যার মধ্যে রয়েছে পথচারী ও স্থানীয় বাসিন্দারা।

কার্পেটিং না হওয়ার কারণে ধুলোবালি উড়ে সড়কের চলাচলে এবং মানুষের স্বাভাবিক জীবনে বিঘ্নতা ঘটাচ্ছে। সড়কটিতে চলাচলকারী পথচারীরা এবং বামন্দী-নিশিপুর থেকে হাড়াভাঙ্গা পর্যন্ত বসবাসরত স্থানীয় বাসিন্দাদের যেন বেদনার শেষ নেই। ধুলোবালি উড়ার ফলে বিভিন্ন রোগব্যাধি জন্মানোর আশঙ্কা করছেন তারা। এ সড়কের ধুলোবালি কয়েক লক্ষ মানুষের কাছে এখন আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

প্রচন্ড ধুলাবালির কারণে স্থানীয়রা মটরের পানি দিয়ে রাস্তা ভেজাচ্ছে বিগত কয়েক মাস ধরে। ধুলোবালিতে গাছগাছালি বিবর্ণ আকার ধারণ করেছে। এ সড়কে নিয়মিত চলাচলকারী মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক চালকেরা প্রায় দিশাহীন হয়ে উঠেছে। কার্পেটিং কাজ না হওয়ার ফলে সড়কটির পাশে অবস্থিত বেশকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষক শিক্ষার্থীরাও চরম দুর্ভোগে পড়েছে।

বালিয়াঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শাহাবুদ্দিন বলেন, আমাদের স্কুলের পাশের সড়কটিতে ইটের খোয়া দিয়ে ডলা হলেও কার্পেটিং কাজ হয়নি। যার ফলে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের স্কুলে আসতে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।

হাড়াভাঙ্গা ডি এইচ সিনিয়র ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ধুলোবালিতে এত পরিমাণ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে; যা ভাষায় প্রকাশের মতো না। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়কটি কার্পেটিং সহ সংস্কার চাই।

বালিয়াঘাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী মিতু খাতুন বলেন, রাস্তায় ধুলোবালির কারণে আমাদের স্কুলে আসতে খুব সমস্যা হয়। স্কুলড্রেস নোংরা হয়ে যায় ধুলোবালিতে।

এইচ বি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১০ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বায়েজিদ হোসেন বলেন, স্কুলে যেতে এবং বাড়ি ফিরতে প্রতিদিন ধুলোবালি অতিক্রম করতে হয়; স্কুলে যাওয়ার পথে সাদা স্কুলড্রেস লাল বালিতে লালচে আঁকার ধারণ করে।

সড়কটিতে চলাচলকৃত পথচারী কামাল হোসেন বলেন, ঠিকাদার কাজ না করে ফেলে রাখার কারণে চরম সমস্যার মধ্যে রয়েছি; পেটের মধ্যে ধুলোবালি ঢুকে অসুখ বিসুখ হচ্ছে।

সড়কটিতে চলাচলকারী আরেক পথচারী জাহিদ হাসান বাদল জানান, আমি প্রতিদিন ব্যবসার সূত্রে নতুন ব্রজপুর থেকে বামন্দী যায়। কার্পেটিং না হওয়ায় প্রচন্ড সমস্যা হচ্ছে; রাস্তার কাজ না করায় ঠিকাদার ও ইঞ্জিনিয়ারের শাস্তি হওয়া দরকার। বারবার শুধু আশ্বাস দিয়ে যাচ্ছে কিন্তু কাজ শুরু হচ্ছে না।

বামন্দী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য ও বালিয়াঘাট গ্রামের বাসিন্দা রবিউল ইসলাম জানান, ধুলোবালি উড়ার কারণে বিভিন্ন ধরনের রোগব্যাধি জন্ম নেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে কয়েকলক্ষ মানুষকে। দ্রুত সময়ের মধ্যে কার্পেটিং কাজ শুরু করা প্রয়োজন।

গাংনী উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল হোসেন আশ্বাস দিয়ে বলেন, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সৈকত এন্টারপ্রাইজকে অনুরোধ করা হয়েছে দ্রুত কাজ শেষ করার জন্য। বামন্দী ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের সামনে পাথর, বালু নিয়ে এসেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। আশা করছি দ্রুত কাজ শুরু হবে।

তবে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ঠিক কতদিন নাগাদ কার্পেটিং কাজ শুরু করবে সেবিষয়ে জানতে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান সৈকত এন্টারপ্রাইজের সাথে যোগাযোগ করা হলেও সঠিক জবাব পাওয়া যায়নি।




মেহেরপুরের সন্তানসহ ৭ শিক্ষার্থীদের নকশায় স্বাধীনতা ও বাংলাদেশ

কুয়াশার মতো ধুলা ও ইট–কংক্রিটের জঙ্গল পেরিয়ে একটু বুকভরে শ্বাস নেওয়ার সুযোগ হলো নিটার ক্যাম্পাসে পৌঁছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রযুক্তি ইউনিট এর অধীনে সাভারের জাতীয় বস্ত্র প্রকৌশল ও গবেষণা ইনস্টিটিউটটিই পরিচিত নিটার (ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড রিসার্চ) নামে।

নিটারে ‘ফ্যাশন ডিজাইন অ্যান্ড অ্যাপারেল ইঞ্জিনিয়ারিং’ বিভাগটি যাত্রা শুরু করে ২০১৮ সালে। এখানে আছে প্যাটার্ন ল্যাব, অ্যাপারেল ম্যানুফ্যাকচারিং ল্যাব, কম্পিউটার ল্যাবে হাতে-কলমে কাজ শেখার সুযোগ। ফ্যাশন–সম্পর্কিত আধুনিক সফটওয়্যারের দীক্ষাও নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা।

নকশার পাশাপাশি প্রকৌশলের বিষয়টিও এই প্রতিষ্ঠানের পড়ালেখায় গুরুত্ব পায়। তাই ফ্যাশন ও পোশাক নির্মাণের কারিগরি দিক—দুটিই মাথায় রাখেন শিক্ষার্থীরা। প্রতিবছরই বিশেষ দিবস, যেমন ২১ ফেব্রুয়ারি, ২৬ মার্চ, পয়লা বৈশাখ, ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষে থিমভিত্তিক পোশাকের নকশা করেন শিক্ষার্থীরা। সেই ধারাবাহিকতায় সম্প্রতি তাঁরা পোশাক বানিয়েছেন স্বাধীনতা দিবস মাথায় রেখে। শাড়ি-পাঞ্জাবির ওপর ফুটে উঠেছে মানচিত্র, পতাকা, স্বাধীনতার সংগ্রাম।

নকশায় ফিউশনের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলের পাহাড়ি নারীদের জন্য থামিও তৈরি করেছেন শিক্ষার্থীরা। বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠনের সহযোগিতায় এসব পোশাক নিয়ে ইতিমধ্যেই প্রদর্শনী ও ফ্যাশন শোর আয়োজনও করা হয়েছে। নিজ উদ্যোগে নিজেদের পোশাক পরে ফটোসেশন করছেন শিক্ষার্থীরা। যা ইতিমধ্যে পোশাক শিল্পে সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে প্রশংসার পঞ্চমুখ হয়েছে এবং তাদেরকে নিয়ে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন। বাংলাদেশ ও স্বাধীনতার থিম নিয়ে কাজ করেছে তৃতীয় বর্ষের প্রিতুল, ৪র্থ বষের বরাত, তানভীর আদনান,অদ্বিতী সরকার, ১ বর্ষের মাহাপাড়া, রিয়া, মুশফিকাসহ ৮ জন শিক্ষার্থী এবং মডেলও হয়েছেন নিজেরাই।

এদের মাঝে স্বাধীনতার সংগ্রাম নিয়ে উপস্থাপন করেছেন মেহেরপুরের কৃতি সন্তান বুলবুল আহমেদ সাগর বর্তমানে তিনি টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ডিপার্টমেন্ট এ তৃতীয় বর্ষে অধ্যায়ন করছেন। সেই সাথে তারা ৮ জন শিক্ষার্থী মেধা ও দক্ষতা দিয়ে জাতীয় পর্যায়ের সুনাম অর্জন করছে।




সাকিবদের আইপিএল খেলা নিয়ে যা বললেন হাথুরুসিংহে

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) শুরু হবে ৩১ মার্চ। ১ এপ্রিল সাকিব আল হাসান ও লিটন দাসদের কলকাতা নাইটরাইডার্সের প্রথম ম্যাচ। একই দিনে মোস্তাফিজুর রহমানদের দিল্লিরও প্রথম ম্যাচ।

৩১ মার্চ চট্টগ্রামে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচ সিরিজের শেষ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ দল। সেই ম্যাচে খেলে আইপিএলে অংশ নিতে ভারত সফরে যেতে পারেন পেস বোলার মোস্তাফিজুর রহমান। তার কারণ তিনি টেস্টে বিবেচনায় থাকেন না।

তবে সাকিব ও লিটন বাংলাদেশ টেস্ট দলের অধিনায়ক ও সহঅধিনায়ক। ৪ এপ্রিল মিরপুরে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে শুরু হবে একমাত্র টেস্ট ম্যাচটি। পুরো ৫দিন খেলা হলে ৮ এপ্রিল ঢাকার টেস্ট শেষ হওয়ার কথা।

এরপর জাতীয় দলের প্রধান কোচ হাথুরুসিংহের অনুমতি সাপেক্ষে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) এনওসি পাওয়ার শর্তে আইপিএল খেলতে ভারত সফরে যেতে পারেন সাকিব-লিটনরা।

তবে আগামী ৯, ১২ ও ১৪ মে ইংল্যান্ডের চেমসফোর্ডে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ খেলবে বাংলাদেশ দল। সেই সিরিজে সাকিব-মোস্তাফিজ-লিটনকে ছুটি দিলে তাদের বিকল্প কারা হবেন সেটা নিয়েই বেশি চিন্তিত বোর্ড ও প্রধান কোচ হাথুরুসিংহে।

সাকিব-লিটন-মোস্তাফিজদের আইপিএল খেলা প্রসঙ্গে রোববার চট্টগ্রামে জাতীয় দলের প্রধান কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহে বলেন, বোর্ডের সিদ্ধান্ত হলো দেশের হয়ে আগে খেলতে হবে। বোর্ড তাদের এই বার্তাই দিয়েছে-তারা অনাপত্তিপত্র পাওয়ার আগে,এমনকি নিলামে নাম তোলার আগেও। সে বার্তা বদলায়নি।

আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সোমবার দুপুর ২টায় চট্টগ্রামের শুরু হবে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম খেলা। তার আগে হাথুরুসিংহে বলেন, হ্যাঁ আমি বিশ্বাস কিরি আইপিএল খেললে সাকিব-লিটন-মোস্তাফিজের স্কিলের উন্নতি হবে, এটা নিয়ে সংশয় নেই। আইপিএল শীর্ষমানের টুর্নামেন্ট। তবে সবকিছুর আগে প্রাধান্য পাবে দেশের হয়ে খেলা।




গাংনীতে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত

মেহেরপুরের গাংনীতে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান স্বাধীনতা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসের শুরুতে রবিবার দিবাগত রাত ১২টা ১ মিনিটে ৩১ বার তােপধ্বনির মাধ্যমে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়।

সকাল ৬টার দিকে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।  গাংনী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিদা সিদ্দিকা সেতু পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাবির হোসেন সহ সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ।

এছাড়াও গাংনী উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষে পুষ্প স্তবক অর্পণ করেন, মেহেরপুর-২ (গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য ও
উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খােকন।

এসময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। এছাড়াও পুষ্পমাল্য অর্পণ করে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও সংগঠন।

সকাল ৮টার দিকে গাংনী হাইস্কুল ফুটবল মাঠে আয়ােজিত অনুষ্ঠানে জাতীয় পতাকা উত্তােলন করা হয়। পতাকা উত্তােলন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এমএ খালেক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিদা সিদ্দিকা সেতু, গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রাজ্জাক। পতাকা উত্তোলনের সাথে সাথে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। এরপর অতিথিবৃন্দরা অভিবাদন গ্রহণ করেন।

পরে বাংলাদেশ পুলিশ, আনসার ভিডিপি ও বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্যারেড ও কুচকাওয়াজে অংশগ্রহণ করেন । সকাল ১১টার দিকে, উপজেলা পরিষদ চত্বরে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়ােজন করে উপজেলা প্রশাসন ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিদা সিদ্দিকা সেতু।




মেহেরপুরে কেটে কেটে বিক্রি হচ্ছে ব্রয়লারের মাংস

নিম্ন আয়ের মানুষের পুষ্টির চাহিদা মিটত ব্রয়লার মুরগি দিয়ে। দাম বেশি হওয়ায় সেই ব্রয়লারও এখন কেটে কেটে বিক্রি হচ্ছে বাজারে। নিম্ন আয়ের মানুষগুলো ৫শ গ্রাম ৭শ গ্রাম বা যেটুকু প্রয়োজন সেটুকুই কিনছেন কাটা ব্রয়লারের মাংস।

রোজার মাসে গরু-ছাগলের মাংসের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় মুরগির বাজারে ক্রেতা বেশি ২৩০ থেকে ২৫০ টাকা পর্যন্ত ব্রয়লার বিক্রি হচ্ছে বাজারে। সোনালীর দাম ৩৬০ টাকা লেয়ার ৩১০ টাকা এবং দেশি মুরগি প্রায় ৭শ টাকা।

মুরগি বিক্রেতা তাহের আলী বলেন, রোজার কারণে বাজারে মাংশের ক্রেতা অনেক বেশি। গরুর মাংস, ছাগলের মাংস এমনকি মাছের দাম বেশি হওয়ার কারণে মুরগির উপর চাপ পড়েছে। অনেকেই মুরগির কাটা মাংস কিনছেন প্রয়োজন অনুযায়ী।

শহরের নতুন পাড়ার সামাদ বলেন, রোজার মাসে তরকারি ভালো না হলে কেউ খেতে চায়না। তাই ৬০০ গ্রাম ব্রয়লারের মাংস কিনলাম। সেহরীর সময় এটা দিয়ে খাওয়া হবে। অন্য মাংসের অনেক দাম। রোজার মাসে অনেক খরচ একটু হিসাব করে এই মাস চালাতে হবে।

বাজারে প্রতি কেজি গরুর মাংস সাড়ে ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।




নিয়োগ দেবে টিআইবি, বেতন ৯৭ হাজার টাকা

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। প্রতিষ্ঠানটি ‘অ্যাসিস্ট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর’ পদে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

অ্যাসিস্ট্যান্ট কো-অর্ডিনেটর-এমআইএস।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীর কম্পিউটার সায়েন্স বা কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং অথবা ইনফরমেশন টেকনোলজি বা এ সম্পর্কিত যেকোনো বিষয়ে চার বছরের বিএসসি ডিগ্রি থাকতে হবে। প্রার্থীর পদ সংশ্লিষ্ট কাজে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়াও শিক্ষাজীবনের কোনো পর্যায়ে প্রার্থীর ফলাফল তৃতীয় শ্রেণি বা সিজিপিএ ৪ স্কেলে ২.৫ অথবা ৫ স্কেলে ৩ পয়েন্ট এর নিচে হলে আবেদন করতে পারবে না। প্রার্থীর বয়সসীমা ২৫-৬০ বছর।

কর্মস্থল

ঢাকা।

বেতন

৯৭ হাজার ৩ শত ৭৪ টাকা। সপ্তাহে দুইদিন ছুটি, বছরে দুটি উৎসব ভাতা, মোবাইল বিল, প্রভিডেন্ট ফান্ড, গ্রাচুইটি প্রদান করা হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

৮ এপ্রিল, ২০২৩।

সূত্র: বিডিজবস।