চাঁদ দেখা যায়নি, শুক্রবার রোজা শুরু

বাংলাদেশের আকাশেও রমজানের চাঁদ দেখা না যাওয়ায় আগামী শুক্রবার রোজা শুরু হবে।

বুধবার সন্ধ্যায় বায়তুল মোকাররমের সভাকক্ষে জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটির বৈঠক শেষে ধর্ম প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান দুলাল এ ঘোষণা দেন।

তিনি বলেন, দেশের আকাশে কোথাও চাঁদ দেখার খবর পাওয়া যায়নি। তাই বৃহস্পতিবার শেষ হবে শাবান মাস এবং শুক্রবার শুরু হবে রমজান।

ধর্ম প্রতিমন্ত্রী জানান, ১৮ এপ্রিল দিনগত রাতে শবে কদর পালিত হবে।

আগের দিন মঙ্গলবার চাঁদ দেখা না যাওয়ায় সোদি আরবে বৃহস্পতিবার থেকে রোজা শুরু হবে।

সূত্র: যুগান্তর




মেহেরপুরে পবিত্র মাহে রমাদানের আগমন উপলক্ষে ইমাম সমিতির স্বাগত র‍্যালী

পবিত্র মাহে রমাদানের আগমন উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয় ইমাম সমিতি মেহেরপুর জেলার উদ্যোগে স্বাগত র‍্যালী অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বুধবার বিকেলে ‘আহলান সাহলান মাহে রমজান’ এই স্লোগানে জেলা কোট মসজিদ থেকে শুরু করে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক ঘুরে পৌরসভার সামনে শেষ হয়

এসময় বক্তারা আসন্ন মাহে রমজানে সকলকে রোজা রাখার আহবান জানান এবং রমজানের পবিত্রতা রক্ষা করে রোজা চলাকালীন সময়ে খাবার দোকান বন্ধ রাখার আহবান জানান।

এ র‍্যালীতে বাংলাদেশ ইমাম সমিতি মেহেরপুর জেলা শাখার সভাপতি মাওলানা রোকনুজ্জামান, সাধারণ সম্পাদক মাওলানা সিরাজ উদ্দিন, মাওলানা শাহজালাল, মাওলানা শাহজাহান, মাওলানা জাহিদ হাসান, মাওলানা আনিছুর রহমান সহ বিভিন্ন মাদ্রাসার শিক্ষক এবং ছাত্ররা উপস্থিত ছিলেন




গাংনীতে জাতীয় পতাকা দিবস পালন করেছে পথিকের পাঠশালা

গাংনীতে ৭১’এর অগ্নীঝরা দিনগুলো স্মরণ করেছে পথিকের পাঠশালা।  বুধবার (২২ মার্চ) সকালে কাথুলী মোড়ে পাঠশালার পরিচালক রফিকুল ইসলাম পথিক এর সভাপতিত্বে ৭১ এর উত্তাল দিনগুলোর স্মরণানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয় ।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন কবি ইয়াসিন রেজা, সাবেক কমিশনার নবীরুদ্দিন, প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির গাংনী সভাপতি পারভেজ সাজ্জাদ রাজা প্রমুখ। পতাকা নিয়ে কবিতা আবৃত্তি করে জান্নাত ফাতিমা রোজা, সীমন্তিকা দাস জয়া, তাসফিয়া জাহান রুপা, নওশীন জাহান জেবা ও তাসনিম শশী।

এসময় রফিকুল ইসলাম পথিক বলেন ,” বাংলাদেশের স্বাধীনতার ইতিহাসে ১৯৭১ সালের মার্চ মাস ছিল উত্তাল ঘটনাবহুল মাস। মার্চ মাসের প্রতিদিনের ঘটনা-আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলার স্বাধিকার আন্দোলন চুড়ান্ত রুপ নেয়। আগামী ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হবে। উত্তাল মার্চকে স্বরণ করতেই গাংনীতে এই প্রথম উদযাপিত হলো জাতীয় পতাকা দিবস।




মুজিবনগরে ওয়েভ ফাউন্ডেশনের বিশ্ব পানি দিবস পালন

পানি বিষয়ক সমস্যা সমাধানে “পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করো”এই প্রতিপাদ্যে এবং ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সকলের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিতকরণ স্লোগানে মুজিবনগরে পালিত হয়েছে বিশ্ব পানি দিবস।

বুধবার সকালে উপজেলার মানিকনগর গ্রামে ওয়েব ফাউন্ডেশন মুজিবনগর শাখা এর আয়োজনে, দিবসটি পালন উপলক্ষে র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

র‍্যালী ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন,মুজিবনগর উপজেলা প্রকৌশল অফিসের উপ সহকারী প্রকৌশলী সিহান হোসেন,ওয়েভ ফাউন্ডেশন এর প্রকল্প সমন্বয়কারী (অ্যাক্সিস প্রকল্প) শাহেদ জামাল, ওয়েভ ফাউন্ডেশন এর ফিল্ড মনিটর নাহিদ ফাতেমা,ওয়েভ ফাউন্ডেশন এর মুজিবনগর ইউনিট ম্যানেজার ইনারুল ইসলাম,ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সি,ডি,ও-২ আব্দুল মতিন।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পৃথিবীব্যাপি সুপেয় পানির সংকট ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে। বাংলাদেশও এর ব্যতিক্রম নয়।বর্তমানে দেশের প্রায় সকল স্হানে সুপেয় পানির সংকট রয়েছে। উপকূল অঞ্চলের পানিতে মাত্রাতিরিক্ত লবনাক্ততা রয়েছে। বরেন্দ্র অঞ্চল, পাহাড়ী অঞ্চল খরাপ্রবণ অঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় পানির স্তর নিচে নেমে গেছে, ফলে বছরের সব সময় যথেষ্ট পানি পাওয়া যায় না। পানিতে মাত্রাতিরিক্ত আর্সেনিক ও আয়রন দেখা যাচ্ছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য বিপদজনক। এছাড়া পানিতে অদৃশ্য ভাইরাসেরও অস্তিত্ব রয়েছে, যা থেকে প্রতিদিন ডায়রিয়া, আমাশয়ের শিকার হচ্ছে অসংখ্য শিশু,নারী ও পুরুষ।

এ সংকট মোকাবেলা করে সকলের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিত হওয়া জরুরী। সারা বিশ্বের মানুষকে সচেতন ও উদ্যোগী করার জন্য জাতিসংঘ ১৯৯৩ সাল থেকে বিশ্ব পানি দিবস পালন করে আসছে ২০২৩ সালে সারাবিশ্বে পানি সংকটকে মোকাবেলা করার জন্য “পরিবর্তনকে ত্বরান্বিত করো” প্রতিপাদ্য করে ২২ মার্চ বিশ্ব পানি দিবস পালিত হচ্ছে।দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনে জানা গেছে, আমাদের দেশের শতকরা ৫৯ ভাগ মানুষ নিরাপদ খাবার পানি পায়। বাকি ৪১ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৭ কোটি মানুষ নিরাপদ খাবার পানি থেকে বঞ্চিত। জাতিসংঘের এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী বাংলাদেশে সকলের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে।

এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা অনুযায়ী ২০৩০ সালের মধ্যে দেশের সকলের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিতকরণে সরকারকে বর্তমানের তুলনায় দ্বিগুণ/তিনগুণ হারে প্রয়োজন অনুযায়ী কার্যক্রম বাস্তবায়ন করতে হবে। পাশাপাশি আমাদেরকে পানির অপচয় রোধ করতে হবে। ভূ-পৃষ্ঠের পানি ব্যবহার বৃদ্ধি করতে হবে, একইসাথে ভূ-গর্ভস্থ পানির ব্যবহার হ্রাস করতে হবে। জমিতে ক্ষতিকর কীটনাশক ও রাসায়নিক সারের ব্যাবহার বন্ধ করতে হবে। ময়লা পানি ও আবর্জনা দিয়ে নদী নালার পানিকে দূষিত করা চলবে না। শহরে গ্রামে সব জায়গায় ময়লা পানি ও আবর্জনা রাখার সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা করতে হবে। ব্যবহৃত পানি পুণ্যবহারসহ প্রয়োজন অনুযায়ী বিভিন্ন পদক্ষেপ যত দ্রুত বাস্তবায়ন করা হবে, সমস্যার চিত্র পরিবর্তন তত ত্বরান্বিত হবে। দেশের সকল শিশু, নারী, পুরুষ নিরাপদ পানি পান করার সুযোগ পাবে এবং সকলের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত হবে।

ওয়েভ ফাউন্ডেশন এ বছর ১৫টি জেলার কর্মএলাকায় পানির সংকট মোকাবেলা করে সকলের জন্য নিরাপদ পানি নিশ্চিতকরণে সব স্তরের জনগণকে সচেতন ও উদ্যোগী করার জন্য বিশ্ব পানি দিবস ২০২৩ পালন করছে। আশা করা যায়, বিশ্ব পানি দিবসের অনুষ্ঠানসমূহে অংশগ্রহণকারী ১৮ হাজারেরও অধিক মানুষ এ বিষয়ে সচেতন হয়ে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালনে উদ্যোগী হবে।

এক্সেস প্রকল্পেটি ওয়াটার- ওআরজি এর কারিগরি সহায়তায় বাস্তবায়িত হচ্ছে।




চুয়াডাঙ্গা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে চুয়াডাঙ্গা জেলায় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের মাঝে ঘর ও জমি প্রদান অনুষ্ঠানে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ঘর ও জমি পেয়ে মানুষ যখন হাসে সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে।বাংলাদেশের মানুষের জন্য এটি সবথেকে বড় উৎসব। এর থেকে বড় উৎসব বাংলাদেশের মানুষের জন্য হতে পারে না। গতকাল বুধবার সকাল দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে গণভবন থেকে সরাসরি ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে ঘর ও জমি প্রদান অনুষ্ঠানের ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে গৃহহীন ও ভূমিহীন পরিবারের মাঝে তিনি ঘরের চাবি বুঝিয়ে দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলে। সেই সাথে চুয়াডাঙ্গা জেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। একইসাথে তিনি প্রতিটি পরিবারের জন্য বরাদ্দ দুই শতাংশ জমির কাগজ বুঝিয়ে দেন।

চুয়াডাঙ্গায় গৃহহীন ও ভূমিহীনদের জন্য নির্মিত উপকারভোগীরা ভিডিও কনফারেন্স মাধ্যমে সরাসরি যুক্ত হন। জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ শহিদুল ইসলাম, এ সময় তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে একসাথে এত মানুষকে গৃহ প্রদান করা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এক অদম্য সাহসী পদক্ষেপ। তার এই সিদ্ধান্তে উপকৃত হয়েছে দেশের লাখ লাখ মানুষ।

অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ২৬ টি পরিবারের মাঝে চতুর্থ পর্যায়ে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরের চাবি হস্তান্তর করা হয়।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার( প্রশাসন ও অর্থ) আবু তারেক , চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার নির্বাহী অফিসার জনাব শামীম ভূইয়া, চুয়াডাঙ্গার সহকারী কমিশনার(ভূমি) মাজহারুল ইসলাম সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তাবৃন্দ সহ উপকারভোগী পরিবারের লোকজন।




চাকরি দেবে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন

জনবল নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে জাগরণী চক্র ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠানটি ‘ফাইন্যান্স অফিসার-এমসি, ইআরসি প্রজেক্ট’ পদে নিয়োগ দেবে। আগ্রহী যোগ্য প্রার্থীরা অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

পদের নাম

ফাইন্যান্স অফিসার-এমসি ইআরসি প্রজেক্ট।

শিক্ষাগত যোগ্যতা ও অভিজ্ঞতা

প্রার্থীকে হিসাব বিজ্ঞান বা ফাইন্যান্স বিষয়ে স্নাতকোত্তর পাস হতে হবে। পদ সংশ্লিষ্ট কাজে প্রার্থীর পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতা থাকতে হবে। এছাড়াও যোগাযোগে দক্ষতা, কম্পিউটার জ্ঞান এবং বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় সাবলীল হতে হবে। একই সাথে প্রার্থীকে কক্সবাজারের আঞ্চলিক ভাষা জানতে হবে। ৩০ বছর বয়সী পুরুষ প্রার্থীরা আবেদন করতে পারবেন।

কর্মস্থল

কক্সবাজার।

বেতন

৬৩ হাজার ৫ শত ২৫ টাকা। এছাড়াও কোম্পানির নীতিমালা অনুযায়ী অন্যান্য সুযোগ সুবিধা প্রদান করা হবে।

আবেদন প্রক্রিয়া

প্রার্থীরা বিডিজবস অনলাইনে আবেদন করতে পারবেন।

আবেদনের শেষ তারিখ

৩০ মার্চ, ২০২৩।

সূত্র: বিডিজবস।




চ্যাটজিপিটির প্রতিদ্বন্দ্বী ‘বার্ড’ আনল গুগল

গত বছরের নভেম্বরে মার্কিন প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ওপেনএআই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত (এআই) চ্যাটবট চ্যাটজিপিটি নিয়ে আসে। মাইক্রোসফটের অর্থায়নে তৈরি চ্যাটজিপিটি উন্মুক্তের পরপরই দ্রুত জনপ্রিয়তা পায়। এবার চ্যাটজিপিটির সঙ্গে পাল্লা দিতে বার্ড (বিএআরডি) নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত চ্যাটবট তৈরি করেছে গুগল। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বসবাসকারীদের জন্য চ্যাটবটটি উন্মুক্ত করেছে প্রতিষ্ঠানটি।

গুগলের তথ্যমতে, ২০২২ সালের প্রথম দিক থেকেই বার্ড নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত চ্যাটবট তৈরির কাজ করছিল গুগল। এই চ্যাটবটের ব্যবহার এত দিন পরীক্ষামূলক বা বেটা হিসেবে গুগলের প্রকৌশলী ও পরীক্ষকেরা ব্যবহার করছিলেন। চ্যাটবটটি ইংরেজি ভাষায় করা যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে পারবে। ফলে চ্যাটবটটি আলাদাভাবে ব্যবহার করা যাবে। প্রাথমিকভাবে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে বসবাসকারীরা নিবন্ধন করে চ্যাটবটটি ব্যবহার করতে পারবেন।

গুগলের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তি এলএএমডিএ (ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ফর ডায়ালগ অ্যাপ্লিকেশনস) কাজে লাগিয়েই মূলত তৈরি করা হয়েছে বার্ড নামের চ্যাটবটটি। যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের ব্যবহারকারীদের মতামত পাওয়ার পর চ্যাটবটটি সবার জন্য উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন গুগল রিসার্চ বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট জোবিন গরমানি।

সূত্র: ফিন্যান্সিয়াল টাইমস




সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হোক আয়, বাড়ুক পরিচিতি

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম হিসেবে ইদানিং  ফেসবুক আর ইউটিউব খুবই শক্তিশালী ও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এই মাধ্যমকে ব্যবহার করে অনেকেই পরিচিতি তৈরী করছেন সারা বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষি মানুষের মধ্যে। এই মাধ্যম দুটি ব্যবহার করে কেউ প্রবাস জীবনের খুটিনাটি , কেউ আবার খাবার, কেউ আবার দর্শনীয় স্থান অথবা  ইমিগ্রেশনের  আদ্যপান্ত্য তুলে ধরছেন। জনপ্রিয় এই মাধ্যম টি হয়ে উঠছে অনেকের আয়ের উৎস।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইদানিং বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠছেন কানাডা প্রবাসী এক বাংলাদেশী পরিবার।  ইমিপ্রেশন বা ফুড ব্লগিং নয়, তারা প্রচার করছেন লাইফ স্টাইল অথবা ট্রাভেল ব্লগিং। তাও আবার পুরোপুরি বাংলা ভাষাতেই। এই দম্পতি তাদের ক্যামেরায় তুলে আনছেন কানাডার সাসকাচোয়ান প্রদেশের সাসকাটুন শহরসহ আশেপাশের শহর ও প্রভিন্স। যেখানের থাকা বাংলাদেশী কমিউনিটির মানুষের যাপিত জীবনের কাহিনী। বাংলা ভাষাভাষি মানুষের জীবন যাপনের গল্প কথা থাকছে তাদের চ্যানেলে। তাদের এই চ্যানেলে আপনি দেখবেন বিশ্বের অন্যতম আলোকিত শহর র “সাসকাটুন সাইন” “সাসকাটুন” এর প্রাকৃতিক দৃশ্য। এইসব দেখতে আপনাকে থাকতে হবে এই চ্যানেলটির সাথে। https://youtube.com/@BeautylevenCanada

কয়েকদিন আগে দেশে এসেছিলেন এই দম্পতি। প্রায় দশ বছর পর দেশে আসেন এই দম্পতি। সাথে ছিলেন তাদের একমাত্র সন্তান। সেই সময়ে আড্ডা জমে উঠে কানাডা প্রবাসী দম্পতি, ইউটিউবার বোরহান আহমেদ এবং রিজিয়া বোরহানের সাথে। দুজনেই কানাডিয়ান সিটিজেন এখন। আর দুজনেই কাজ করছেন  সাসকাচুয়ান প্রভিন্স এর প্রভিন্সিয়াল Government  Health এ। এই দুজনের জন্মই ঢাকায়। পারিবারিক ভাবে  বিয়ে হয় ২০০৫ সালে।

বোরহান আহমেদ ধানমন্ডি স্কুল আইডিয়াল কলেজ এবং জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা সম্পন্ন করেছেন। বাংলাদেশে থাকাকালীন চাকরি করেছেন বিভিন্ন মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে বিক্রয় ও বিপণন ম্যানেজার হিসেবে। রিজিয়া বোরহান হোম ইকনোমিক্স কলেজ থেকে চাইল্ড সাইকোলজিতে অনার্স মাস্টার্স সম্পন্ন  করে শিক্ষকতা  করতেন  ঢাকার একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলে। বোরহান এবং রিজিয়ার সাথে কথা হচ্ছিল মোহাম্মদপুরের নবোদয় হাউজিং এ থাকা মামাতো বোন বর্নালীর বাসায়।

কেমন ছিলো আমাদের প্রবাস জীবনের শুরু, এই প্রশ্নের উত্তরে বোরহান দম্পতি জানালেন , প্রথম কয়েক বছর তারা বেশ চ্যালেঞ্জিং সময় পার করেছেন। নানা চড়াই- উতরাই পার হয়ে বর্তমানে তারা  প্রভিনশিয়াল  Government এর সাসকাচুয়ান হেলথ অথোরিটি ( SASKATCHEWAN HEALTH AUTHORITY ) তে কাজ করছেন।

সাসকাচুয়ান প্রভিন্স এর  সাসকাটুন শহরে আসা এবং বসবাস করার শুরু থেকেই  Bangladeshi  Community Association of Saskatchewan  ( BCAS )এর বিভিন্ন প্রোগ্রামে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত রয়েছেন। একুশে ফেব্রুয়ারি, ফাগুন উৎসব, স্বাধীনতা উৎসব, পহেলা বৈশাখ সহ জাতীয় সব অনুষ্ঠানে প্রত্যক্ষভাবে কাজে অংশ নেয়ায় বোরহান এবং রিজিয়া  দম্পতি বাংলাদেশী কমিউনিটির সকলের নিকট ভীষণ জনপ্রিয় ।

বর্তমানে তারা  Bangladeshi Community Association of Saskatchewan (BCAS) এর কেন্দ্রীয় মিডিয়া পার্টনার হিসেবে তাদের কার্যক্রম Beautyleven Canada চালিয়ে যাচ্ছেন।    Bangladeshi Students Association of University of  Saskatchewan  (BSAUS)  এর মিডিয়া পার্টনার হিসেবেও বেশ জনপ্রিয় তারা।

ভিডিও করা, ছবি তোলা এবং সোশ্যাল মিডিয়া তা আপলোড করার ক্ষেত্রে বোরহানের বিশেষ  ঝোক থাকায় করোনা কালীন সময়ে অনলাইন বিজনেস শুরু করেন ‘বিউটিলেভেন কানাডা’র মাধ্যমে। অনলাইন বিজনেস ধীরে ধীরে প্রসার হওয়ায় ইউটিউবের ভাবনাও মাথায় আসে এবং ফেব্রুয়ারি ২০২২ এ প্রথম ভিডিও আপলোড করেন। বর্তমানে বোরহান – রিজিয়া দম্পতি দুজনেই নিজেদের কাজ, সামাজিকতা আর পরিবারকে সময় দেয়ার পর বাকি সময়টা দিচ্ছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

কানাডিয়ান বাংলাদেশীদের জীবনের গল্প বোরহান দম্পতির চোখ দিয়েই দেখতে শুরু করে দর্শকরা যারা কানাডা এবং এর  বাংলাদেশি  কমিউনিটি সম্পর্কে জানতে  আগ্রহী। তারা দুজনেই বেশ সাবলীলভাবে তাদের লাইফ স্টাইল দেখিয়ে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। কানাডা– বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় ভ্রমণ, খাওয়া-দাওয়া আর পজিটিভ জীবন যাপনের একটা আইকন হয়ে উঠছেন অনেক বাংলাদেশী তরুণ তরুণীদের এর কাছে।

প্রায় বছরখানেক আগে খোলা বিউটিলেভেন কানাডা তাদের সোশ্যাল মিডিয়াতে  এখন প্রায় ৫০ হাজারেরও বেশি ফলোয়ার রয়েছে  যা ক্রমাগত বেড়েই চলছে। বোরহান দম্পত্তির বেশ কয়েকটি কনটেন্ট দেখা হয়েছে কয়েক হাজার ঘন্টা করে। এই প্রথমবার ১০ বছর পর পরিবার,  আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব আর ফলোয়ারদের টানে বাংলাদেশে আসেন এই পরিবার। মাসখানেকের ছুটিতে ঢাকাতেই অবস্থান করছেন তারা।

ভবিষ্যতে কি করতে চান- এই প্রশ্নের উত্তরে এই দম্পতি জানালেন, তারা কনটেন্ট ক্রিয়েশনে আরও বেশি মনোযোগী হতে চান। মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে চান কানাডিয়ান বাংলাদেশী লাইফস্টাইল এর ধারণা। গ্লোবালাইজেশন এই যুগে বাংলাদেশের শিক্ষিত ও অবস্থাপন্ন জনগোষ্ঠীর একটা বিশাল অংশ যারা কানাডায় যাচ্ছেন বা যাবেন, তাদের তথ্যের একটা উৎস আর চলার পথের অনুপ্রেরণা  হয়ে থাকতে চান Beautyleven Canada এর কর্ণধার বোরহান আহমেদ  এবং রিজিয়া বোরহান। তাদের একমাত্র সন্তান ফাইয়াজ আহমেদ জারিফ গ্রেড ১০ এ পড়াশোনা করছেন। পাশাপাশি এই বিষয়েও আগ্রহী হয়ে উঠছেন।

লেখক : উন্নয়ন কর্মী




নবাগত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর সঙ্গে এম এ এস ইমনের সাক্ষাৎ

নবনির্বাচিত রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপ-কমিটির সদস্য ও মেহেরপুরের তরুণ রাজনীতিবিদ এম এ এস ইমন।

বুধবার রাষ্ট্রপতি সাহাবদ্দিন চুপ্পুর বাসভবনে তিনি এ সাক্ষাৎ করেন। সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু  মেহেরপুরের রাজনীতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে এম এ এস ইমনের কাছে জানতে চান এবং বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।

রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। সে সুবাদে এম এস ইমন তার সান্নিধ্যে ছিলেন দীর্ঘদিন।




মেহেরপুরে ভুমিহীন ও গৃহহীনদের মাঝে ঘরের কাগজপত্র ও চাবি হস্তান্তর

মেহেরপুরে চতুর্থ পর্যায়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের আওতায় ঘর পেল আরও ১২৩ টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার।

আজ বুধবার স্থানীয়ভাবে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত হয়ে এসব ঘর হস্তান্তর কাজের শুভ উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে তিন উপজেলা মেহেরপুর সদর, মুজিবনগর ও গাংনীতে উপকারভোগীদের হাতে ঘরের চাবি ও কাগজপত্র তুলে দেন জেলা প্রশাসক ড.মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান।

গাংনী উপজেলা প্রশাসনের সভা কক্ষে আয়োজিত ঘর হস্তান্তর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন গাংনী পৌর সভার মেয়র আহম্মেদ আলী, গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাজিয়া সিদ্দিকা সেতু , সহকারী কমিশনার (ভূমি) নাদির হোসেন শামীম, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নিরঞ্জন চক্রবর্তী ও বিভিন্ন ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দরা।

এসময় সরকারী দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারিবৃন্দসহ উপজেলার ৪৭ টি উপকারভোগী উপস্থিত ছিলেন। মেহেরপুর সদরে ৬১ ও মুজিবনগর উপজেলায় ১৫ টি পরিবারের মাঝে একই সময়ে ঘরের চাবি ও কাগজপত্র হস্তান্তর করা হয়। মেহেরপুরের তিনটি উপজেলায় পর্যায়ক্রমে ৩৯৯টি পরিবার প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর প্রদান করা হয়েছে।

সারাদেশে ৩৯ হাজার ৩৬৫ টি ঘর প্রদান করা হয়েছে। ইতোমধ্যে দেশের ৭টি জেলা ও ১৫৯টি উপজেলাকে ভুমহীন ও গ্রহহীন মুক্ত ঘোষনা করা হয়েছে। ইতোমধ্যে মেহেরপুর জেলাও ভুমিহীন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষণা করা হবে বলে জানান জেলা প্রশাসক মুনসুর আলম খান।

গাংনী উপজেলায় এপর্যন্ত ১৯৬টি ভুমিহীন ও গ্রহহীন পরিবারকে প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ঘর প্রদান করা হলো। পরেও যারা ভমিহীন ও গৃহহীন থাকবে তাদেরকে এই সুবিধা দেয়া হবে বলেও ঘোষনা দেয়া হয়েছে। ঘরের কাগজপত্র ও চাবি পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা ও তার দীর্ঘায়ু কামনা করেন উপকার ভোগি অংসংখ্য পরিবার। সেই সাথে বর্তমান সরকারের উন্নয়নের প্রসংশা করেন তারা।