স্মার্ট মেহেরপুর বিনির্মানে মুুজিবনগরে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কর্মশালা অনুষ্ঠিত

স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মানে মেহেরপুর জেলা প্রশাসনের আয়োজনে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

কোয়ান্টাম ফাউন্ডেশনের সহযোগীতায় মুুজিবনগর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বাস্তবায়নে সোমবার দুপুর ২টার দিকে মুুজিবনগর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতি কমপ্লেক্স অডিটোরিয়ামে এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।

এতে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন মুুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস। এসময় মেহেরপুর সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবীর হোসেন, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দীন, মুুজিবনগর সরকারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইজারুল ইসলাম, সহকারী প্রধান শিক্ষক আলিফ হোসেন, গণিত শিক্ষক এনামুল হক,বিজ্ঞান শিক্ষিকা রোকসানা পারভিনসহ বিদ্যালয়ের সকল শিক্ষার্থী, শিক্ষক- শিক্ষিকা ও অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সমগ্র অনুষ্ঠানের সঞ্চালনায় ছিলেন বাংলা সহকারী শিক্ষক আঃ আলীম।




মেহেরপুর আমঝুপিতে আন্তর্জাতিক নারী দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

আন্তর্জাতিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষ্যে  সকাল দশটার দিকে আমঝুপিতে মানববন্ধন ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এএলআরডি‘র সহযোগিতায়,মানব উন্নয়ন কেন্দ্র মউক এ সভার আয়োজন করে। মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা মহাসড়কে মানববন্ধন শেষে মউক হলরুমে সমাজসেবক আব্দুর রকিবের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপস্থিত ছিলেন মউকের নির্বাহী প্রধান আশাদুজ্জামান সেলিম।

এছাড়াও বক্তব্য রাখেন সাবেক ইউপি সদস্য (মেম্বার) শহীদুল্লাহ, নারীনেত্রী টুলু খাতুন। সভায় এলাকার বিভিন্ন পেশার প্রতিনিধিগন সহ বিভিন্ন নারী জনসমবায় দলের সদস্যগন অংশগ্রহণ করেন।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জনসমবায় দলের উন্নয়ন কর্মী মোঃ শাহিনুর হোসেন।




গাংনীতে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পালন

“মানসম্মত প্রাথমিক শিক্ষা, স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার দীক্ষা” প্রতিপাদ্যে মেহেরপুরের গাংনীতে প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহ পালন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে  সোমবার বেলা সাড়ে ১১ টায় উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রনী খাতুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এমএ খালেক।

স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দিন। বক্তব্য রাখেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, আওয়ামী লীগ নেতা মনিরুজ্জামান আতু। এসময় সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারসহ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক উপস্থিত ছিলেন।




আমদাহ ইউপি নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলন

আগামী ১৬ই মার্চ-২০২৩ আমদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলেক্ষ্য আনারস প্রতীকের সতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী আনারুল ইসলামের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

সোমবার বিকেলে জেলা শিল্পকলা একাডেমির মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে সতন্ত্র প্রার্থী আনারুল ইসলাম লিখিত বক্তব্যে বলেন, আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। বিগতদিনের চেয়ারম্যান হিসেবে নই, একজন সেকব হিসেবে যেভাবে জনগনের পাশে থেকেছি তারই ধারাবাহিকতায় আমার পক্ষে যে উৎসাহ উদ্দীপনা এবং জনজোটের সৃষ্টি হয়েছে সেটা নস্যাৎ করার জন্য পরিকল্পিতভাবে আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ সৃষ্টি করে শান্ত পরিবেশ অশান্ত করার পায়তারা করছে নৌকার প্রার্থীর নেতা কর্মীরা। তারই প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন ।

আপনারা জানেন আগামী ১৬ই মার্চ-২০২৩ আমদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। আমি মোঃ আনারুল ইসলাম, আনারস মার্কা প্রতীক নির্বাচনে অংশগ্রগ্রহণ করছি। বিগতদিনে চেয়ারম্যান হিসেবে নই, একজন সেকব হিসেবে যেভাবে জনগনের পাশে থেকেছি উন্নয়নের চাকা সচল রেখেছিলাম তারই ধারাবাহিকতায় আমার পক্ষে যে উৎসাহ উদ্দীপনা এবং জনজোটের সৃষ্টি সেই কারনে আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী । জনগণের বিচারেই জয়-পরাজয় নির্ধারিত হবে তাই জনগণের রায়কে মেনে নিয়ে ইউনিয়নবাসীর সার্বিক কল্যাণে এগিয়ে যাওয়ায় আমার একমাত্র লক্ষ্য।

আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে, আমার কর্মীদের হুমকি প্রদর্শনসহ, গোপন সূত্রে জানতে পারলাম আমার বিপক্ষ প্রার্থী এবং তার কর্মীগণ তাদেরই নিজ অফিস ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগের মতো অপ্রিতীকর ঘটনা ঘটাতে পারে। কারণে এই ধরনের ঘটনা ঘটিয়ে আমার কর্মীকে আইনি হায়রানি করার জঘন্য পরিকল্পনা করেছে। বিষয়টি আর্চ করতে পেরে, প্রথমেই আমি আপনাদের সহযোগিতা চাচ্ছি। কারণ আপনাদের লেখনি জনমানুষের বিবেককে জাগ্রত করে, আপনাদের তৎপরতাই যেকোন অপ্রিতীকর ঘটনা পরিকল্পনা নস্যাৎ এড়াতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই ।

এসময় মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক মন্টু, জেলা প্রেসক্লাবের দপ্তর সম্পাদক মাসুদ রানা, সাংবাদিক বেন আমীন মুক্ত, রামিজ সহ সাংবাদিকেরা উপস্থিত ছিলেন ।




আমদহ ইউপি নির্বাচনে নৌকার প্রচারণায় কেন্দ্রীয় নেত্রী

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রওশন আলী টোকনের পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বিকেলে আমদাহ ইউনিয়নের আশরাফপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠ প্রাঙ্গণে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আমদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড: শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে পথ সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য পারভীন জামান কল্পনা।

ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাড. কাজী সহিদুল ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী, আব্দুল মান্নান ছোট, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট খন্দকার আব্দুল মতিন, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম, সদর উপজেলা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও আমঝুপি ইউপি চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন চুন্নু, সাধারণ সম্পাদক ও বারাদি ইউপি চেয়ারম্যান মোমিনুল ইসলাম মোমিন, মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট খ ম হারুন ইমতিয়াজ বিন জুয়েল , জেলামহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদিকা লাভলী ইয়াসমিন ,কেন্দ্রীয় মহিলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও জেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শামীমা আরা হীরা।

এছড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলা আইনজীবী সমিতির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট আব্দুল আল মামুন রাসেল, জেলা তাঁতীলীগের আহবায়ক নুর ইসলাম সুবাদ, ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি বাইজিদ আহমেদ সুইট, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আতিয়ার রহমান হিরা, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের জুলকারনাইন বায়েজিদ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক তানভীর আহমেদ, কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক কুতুব উদ্দিন প্রমূখ।




নানা অভিধায়ে চেনা মানুষ বাবলু

বাগবুল ইসলাম বাবলু। ১৯৭১ সালে দেশ স্বাধীনের বীর মুক্তিযোদ্ধা। স্বাধীনতা পরবর্তী ছিলো বৈরী সময়, ঘর, প্রতিকুল পরিস্থিতি। তবুও তিনি কাজ করেছেন এলাকার জন্য। বিশেষ করে শিক্ষা বিস্তারে তার অবদান অনস্বীকার্য। বাগবুল ইসলাম বাবলুকে নানা অভিধায় মানুষ চিনতো, জানতো। বাবলু বাহিনী প্রধানের তকমা জুটেছিলো। শ্রেণিশত্রু ক্ষতমের অপরাজনীতিতেও জড়িয়েছিলেন। মূলত তার বিরোধী বাহিনী রোধ করার প্রয়োজনে। এর ওপরেও সবকিছু ছাপিয়ে তার মানবিক গুণাবলী বিকাশ হয়েছিলো কিছু মহৎ কর্মকাণ্ডের মধ্য দিয়ে।

জাসদের গণবাহিণীর রাজনীতিতে বাবলু স্থানীয় পর্যায়ে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পরে ৯০ দশকে স্বাভাবিক রাজনীতিতে এসে মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে অংশ নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। পরবর্তীতে সন্ত্রাস কবলীত জনপদে পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির উৎপাত প্রতিরোধে তিনি ওয়ার্কার্স পার্টিতে সম্পৃক্ত হন। এলাকায় সশস্ত্র্র বাহিনী গড়ে তোলেন। পেছন থেকে স্থানীয় প্রশাসন তাকে সহযোগিতা করেন। দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলে তখন একটি আতংকিত নাম হয়ে ওঠে বাগবুল ইসলাম বাবলু। ৯৬এর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে তৎকালীন স্বরাস্ট্র মন্ত্রীর কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে ফের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে এসে স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় হন। এবং দু‘বার তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

বাগবুল ইসলাম বাবলু ২০০২ সালের আজকের দিনে (১৩ মার্চ) মেহেরপুর শহরে ভাড়া বাড়িতে প্রতিপক্ষের গুলিতে খুন হন। বাগবুল ইসলাম এই দ্বন্দ্ববিক্ষুব্ধ অঞ্চলে এবং ভয়াল পরিস্থিতির মধ্যেও মহাজনপুর কলেজসহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছিলেন। যা চিরকাল তার স্মৃতিসংরক্ষণ করবে। তার ক্রমবর্ধমান জনপ্রিয়তায় তাকে তার বিরোধীপক্ষের রোষানলে ফেলেছিলো। তিনি মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদে দু‘বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। একজন জনপ্রতিনিধি হিসেবেই তিনি জনহিতকর নানা কাজ সম্পাদন করেছিলেন।

মহাজনপুর কলেজের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক শামীম জাহাঙ্গীর সেন্টু বাবলু প্রসঙ্গে বলেন- এলাকায় শিক্ষা বিস্তারে তিনি উদ্যোগি হয়েছিলেন এই অর্থেই যে- শিক্ষিত জনগোষ্ঠি একদিন এলাকায় সর্বপ্রকার নেতিবাচক রাজনীতিকে প্রতিহত করে এলাকায় শান্তি শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠায় ব্রতী হবেন। তিনি কতটুকু করতে সক্ষম হয়েছিলেন এলাকাবাসী চিরকাল স্মরণে রাখবে। তার শূন্যতায় এখন এলাকার মানুষ তার অভাব মর্মে মর্মে অনুভব করছে। তার প্রতিষ্ঠিত মহাজনপুর কলেজ, কোমরপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মহাজনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়, একটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও একটি মাদ্রাসা থেকে সন্ত্রাস কবলিত, জেলার অজ পাড়া গাঁয়ের মানুষ সু‘শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে।

শিক্ষকরা হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। শিক্ষক ছাড়া উন্নত সমাজ ও উজ্জল জীবন কল্পনাতীত। সমাজের একজন বিপথগামি মানুষ বাবলু সমাজ পরিবর্তনে শিক্ষার প্রয়োজন অনুভব করেছিলেন তা গবেষণার বিষয় বৈ কী।




শ্রীলঙ্কার হারে ফাইনালে ভারত

৬৮ শতাংশ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত করেছিল অস্ট্রেলিয়া। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলার স্বপ্ন নিয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজের প্রথমে ম্যাচে মাঠে নেমেছিল শ্রীলঙ্কা। টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে খেলতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২-০ ব্যবধানে জিততে হতো লঙ্কানদের।

অন্যদিকে ফাইনালে যেতে সিরিজের চতুর্থ ও শেষ টেস্টে জিততে হতো ভারতকে। ড্র বা হারলেও আশা বেঁচে থাকতো ভারতের। তবে প্রথম টেস্টে নিউজিল্যান্ডের কাছে শ্রীলঙ্কা হেরে যাওয়ার ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গী হয়েছে ভারত। ক্রাইস্টচার্চ টেস্টে শ্রীলঙ্কাকে ২ উইকেটে হারিয়েছে নিউজিল্যান্ড। সোমবার (১৩ মার্চ) শ্রীলঙ্কার দেওয়া ২৮৫ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ম্যাচের শেষ বলে ২ উইকেট হাতে রেখে জয় পায় কিউইরা।

এই ম্যাচ হেরে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে থেকে ছিটকে লঙ্কানরা। জুনে অজিদের বিপক্ষে টেস্ট শিরোপার লড়াইয়ে খেলবে রোহিত-কোহলিরা। এই নিয়ে টানা দ্বিতীয়বার টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল উঠলো ভারত।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে কৃষি প্রযুক্তি মেলার উদ্বোধন

মেহেরপুরের গাংনীতে কৃষি প্রযুক্তি মেলা ২০২৩ এর উদ্বোধন করা হয়েছে। ‘‘কৃষিই সমৃদ্ধ’’ এ প্রতিপাদ্যে সোমবার বেলা ১১ টার সময় গাংনী উপজেলা অডিটোরিয়াম চত্বরে দুই দিন ব্যাপী কৃষি প্রযুক্তি মেলা অনুষ্ঠিত হয়।

বৃহত্তর কুষ্টিয়া ও যশোর অঞ্চল কৃষি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় গাংনী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কৃষি প্রযুক্তি মেলার আয়োজন করে।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রপ্ত) রনি খাতুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন গাংনী উপজেলা চেয়ারম্যান এমএ খালেক। এসময় গাংনী উপজেলা পরিষদেও ভাইস চেয়ারম্যান ফারহানা ইয়াসমিন, কৃষি অফিসার কৃষিবিদ শিকদার মোহাম্মদ মহাইমেনুল  আক্তার , সাবেক কৃষি বিষয়ক সম্মপাদক শহিদুল ইসলাম, এমপি প্রতিনিধি মনিরুজ্জামান আতু, সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান উপস্থিত ছিলেন।

কৃষি প্রযুক্তি মেলায় ১০টি কৃষি ভিত্তিক স্টল সাজানো হয়। স্টলে কৃষিকে আরও সমৃদ্ধ করতে নানা প্রযুক্তি তুলে ধরেন মেলায় অংশ গ্রহন করেন।




মেহেরপু‌রের নতুন ডি‌সি আজিজুল ইসলাম

মেহেরপুরের নতুন জেলা প্রশাসক হিসাবে নিয়োগ পেয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম।

গতকাল রবিবার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ভাস্কর দেবনাথ বাপ্পি স্বাক্ষরিত এক আদেশে এ তথ্য জানা গেছে ।মেহেরপুর জেলা প্রশাসকসহ আট জেলায় নতুন জেলা প্রশাসক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

তবে মেহেরপুরের বর্তমান জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খানকে কোন জেলায় নিয়োগ দেয়া হয়‌নি ব‌লে আ‌দে‌শে জানা গে‌ছে।




আলমডাঙ্গায় ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর আহত ১১

আলমডাঙ্গা নাগদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের (নৌকা) ও স্বতন্ত্র বিদ্রোহী (চশমা)’র প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

গত শনিবার (১১ মার্চ) রাত ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত ইউনিয়নের জহুরুলনগর, বলিয়ারপুর নাগদহ গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

এ সময় আওয়ামী লীগের ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর (স্বতন্ত্র) নির্বাচনী অফিস এবং কর্মীদের চারটি মোটরসাইকেল ও বাড়ি-ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে স্কুলছাত্রীসহ বিদ্রোহী প্রার্থীর (স্বতন্ত্র) তিনজন এবং নৌকা প্রার্থীর আটজন আহত হয়েছেন। তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
নৌকা প্রতীকের আহত আট কর্মী হলেন- বাবলুর রহমান (৫০), কেসমত আলী (৪০), আকরামুল হোসেন (৩৫), খবির উদ্দিন (৫৫), আনিছুর রহমান (৪৫), দবির আলী (৪০), মিয়া জান (৩৫) ও আব্দুস সেলিম (৪৬)। এর মধ্যে খবির উদ্দিনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন।

স্বতন্ত্র প্রার্থীর আহত কর্মীরা হলেন- ইসরাইল হোসেন বুদো (৪০), তার ছেলে মামুনুর রশিদ (২৪) ও মেয়ে নবম শ্রেণির ছাত্রী আয়েশা খাতুন (২৫)। এর মধ্যে ইসরাইল হোসেন বুদো স্বতন্ত্র প্রার্থীর বাড়িতে ভাঙচুর চালায় নৌকা প্রার্থীর কর্মীরা। এ সময় তার দুই ছেলে ও মেয়েকে বেধড়ক পিটিয়ে জখমের অভিযোগ উঠেছে।

এদিকে এ ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম।

নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মতিয়ার রহমান হায়াত আলি বলেন, জহুরুলনগর গ্রামে আমার কর্মীরা নির্বাচনী প্রচারণার কাজ করছিলেন। এ সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী উপস্থিত থেকে তার কর্মীদের দিয়ে আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালায়। এতে আমার কয়েকজন কর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়া আমরা কোনো নির্বাচনী অফিস ভাঙচুর করিনি। তারা নিজেরা নিজেদের অফিস ভাঙচুর করে আমার কর্মীদের ওপর দোষ চাপাচ্ছে। এ ঘটনায় আমি থানায় অভিযোগ করব।

আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী (স্বতন্ত্র) চশমা প্রতীকের এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল বলেন, রাতে জহুরুলনগর আমার নির্বাচনী অফিসের কাছাকাছি ছিলাম। এ সময় নৌকা প্রার্থীর ২০/৩০ জন কর্মী মোটরসাইকেলযোগে এসে আমার নির্বাচনী অফিস ও চারটি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। বলিয়ারপুর গ্রামে এক কর্মীর বাড়ি ভাঙচুর করে ও তার দুই ছেলে-মেয়েকে পিটিয়ে জখম করে। এছাড়া তারা নিজেরা নৌকার অফিস ভাঙচুর করে আমাদের ওপর দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আব্দুল কাদের বলেন, ১১ জনের সবার শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। আহতদের মধ্যে দবির আলীর শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে ধারণা করছি। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়েছে। এছাড়া বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে।

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বলেন, চশমা ও নৌকা প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে মারামারি ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। বিদ্রোহী প্রার্থীর অফিস ও তার কর্মীদেরও কয়েকটা মোটরসাইকেল ভাঙচুর করেছে। এতে উভয়পক্ষের মোট ৪ জন আহত হয়েছেন বলে জেনেছি। এখনো কোনো পক্ষ অভিযোগ করেনি। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।