দামুড়হুদায় আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের ক্রীড়া প্রতিযোগিতার উদ্বোধন

দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে রবিবার সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে কলেজ প্রাঙ্গনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলি মুনছুর বাবু। তিনি বেলুন উড়িয়ে ক্রীড়া প্রতিযোগিতার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন।

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ, উপজেলা শিক্ষা অফিসার সাকী সালাম, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী ও দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবীর ইউসুফ।

উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিলন, সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব, সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান তোতা, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মশিউর রহমান, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার হোসেন বকুল, সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাসির উদ্দীন, শাহরিয়ার কবির, উপসহকারী পাট উন্নয়ন কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম, কলেজ গভর্নিং বডির সদস্য আশাবুল হক, বাবুল হোসেন নিশান তরফদার, শরীফুল আলম শরীফ, টুটুল শাহ।

শুরুতেই পবিত্র কোরআন থেকে তেলোয়াত করেন দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র হাফিজুর রহমান। শপথ পাঠ করান সাখাওয়াত হোসেন। মশাল হাতে মাঠ প্রদক্ষিন করেন একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী জান্নাতুল ফেরদৌস ও শারমিন খাতুন। খেলা পরিচালনা করেন ক্রীড়া শিক্ষক বশীর আহমেদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন প্রভাষক মিল্টন কুমার সাহা ও মরিয়ম মারু।




আলমডাঙ্গায় কৃষকলীগের কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামীলীগের সভাপতি কৃষকরত্ন জননেত্রী শেখ হাসিনা এম.পি -এর নির্দেশনায় কৃষকবান্ধব সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের চিত্র গ্রামীণ জনপদে তুলে ধরতে আলমডাঙ্গা উপজেলায় কৃষক সমাবেশ-২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার বিকেল ৫ টায় উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চে এ কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি এম আজিজুল হক।

প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা মহাবুব উল আলম।

তিনি প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন- বাংলাদেশ এখন কৃষি সম্মৃদ্ধি দেশের তালিকায় অন্যতম। জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে কৃষকলীগ সাধারণ মানুষের দৌঁড় গোড়ায় পৌছে গেছে। দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভাসছে।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ কৃষকলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু, কুঠির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক শাহিনুর রহমান, কৃষি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক কৃষিবিদ আশরাফুল ইসলাম স্বপন, বেসরকারি সংস্থা বিষয়ক সম্পাদক এ্যাডভোকেট মিরুল ইসলাম, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য মোমিন মন্ডল, চুয়াডাঙ্গা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক ও জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবির, মেহেরপুর জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক ওয়াসিম সাজ্জাদ লিখন, জেলা সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব মোস্তাফিজুর রহমান মাজু।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক বজলুল করিম, সহ-সভাপতি হারুন অর রশিদ, আমিরুল ইসলাম, আব্দুর রাজ্জাক, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিবর রহমান, পৌর কৃষকলীগের সভাপতি বীরমুক্তিযোদ্ধা সৌমেন্দ্রনাথ সাহা, আশাদুল আলম মন্টু প্রমূখ।




চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত

চুয়াডাঙ্গা জেলা আইন শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খানের সভাপতিত্বে জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জেলা আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভায় সম্পত্তি সংক্রান্ত অপরাধ নিয়ন্ত্রণ, সন্ত্রাস ও নাশকতামূলক কার্যক্রম পর্যালোচনা, মাদকদ্রব্য ও চোরাচালান নিরোধ, অনিষ্পন্ন চোরাচালান মামলার নিষ্পত্তি ত্বরান্বিতকরণ, সড়ক দুর্ঘটনা নিয়ন্ত্রণ, মানব পাচার প্রতিরোধ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শৃঙ্খলা, সড়কের শৃঙ্খলা, ফুটপাত হকারমুক্ত ও দখলমুক্ত ইত্যাদি বিষয়ের উপর বিস্তারিত আলোচনা হয়।

উক্ত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুন,চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক, চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভূইয়া, চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক মুন্সি আলমগীর হান্নান সহ উক্ত সভায় আরোও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধা, জনপ্রতিনিধিবৃন্দ, সুশীল সমাজের নেতৃবৃন্দ, মিডিয়া ব্যক্তিবর্গ।




আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউপি নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী বিপুল জোয়ার্দ্দারের সংবাদ সম্মেলন

আলমডাঙ্গার নাগদাহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রার্থীর সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিদ্রোহী (স্বতন্ত্র) চেয়ারম্যান প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ জোয়ার্দ্দার বিপুল।

রবিবার বিকেলে নাগদাহ গ্রামস্থ তার নিজস্ব বাসভবনের সামনে এক জনাকীর্ণ পরিবেশে তিনি সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল উল্লেখ করেছেন যে, আসন্ন ১১ নং নাগদাহ ইউপি নির্বাচনে তিনি স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী। তার নির্বাচনী প্রতীক চশমা। নির্বাচনে তার ব্যাপক জনপ্রিয়তা দেখে নৌকার প্রার্থী হায়াত আলী ও তার সমর্থকেরা বিভিন্ন হুমকি-ধামকিসহ তার (স্বতন্ত্র প্রার্থী) নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করছে।

গত ১১ মার্চ শনিবার রাত আনুমানিক ৯টার সময় নৌকার সমর্থকেরা দা, লোহার রড ও বিভিন্ন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ইউনিয়নের জহুরুলনগর গ্রামে তার নির্বাচনী অফিসে হামলা চালায়। এ সময় জহুরুলনগর গ্রামের রিন্টু, সহিদুল ও মোবারেক নামের তার তিন সমর্থককে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে জখম করে এবং নির্বাচনী অফিস ভাংচুর করে। এছাড়াও আরেক সমর্থক বুদোইকেও মারধর করে জখম করে।

তিনি বলেন, জহুরুলনগরে সংঘটিত ঘটনার পর ওই রাতে নৌকার সমর্থকেরা আরো সংগঠিত হয়ে ইউনিয়নে তার (স্বতন্ত্র) বিভিন্ন নির্বাচনী অফিসে হামলা চালায়। এ ঘটনার পর নৌকা প্রার্থীর সমর্থকদের সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে জহুরুলনগর গ্রামের তার (স্বতন্ত্র প্রার্থী) সমর্থকেরা বাড়ি থেকে বের হতে পারছে না। তারা বাড়িতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছে। এ অবস্থায় নাগদাহ ইউপি নির্বাচন আদোও সুষ্ঠু হবে কিনা তা নিয়ে তিনি আশংকা প্রকাশ করেছেন।
সংবাদ সম্মেলনে এজাজ ইমতিয়াজ বিপুল নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকল প্রশাসনিক কর্মকর্তার সুদৃষ্টি এবং এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের জোর দাবি জানিয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যান প্রার্থী এজাজ ইমতিয়াজ বিপুলের পিতা বর্ষিয়ান আওয়ামীলীগের নেতা নজরুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার সোনা মিয়া, খাজাউদ্দিন, মানিক মিয়া, গোলাম মোস্তফা, বুলবুল জোয়ার্দ্দার, বাক্কা জোয়ার্দ্দার, পিন্টু মন্ডল, মজিবর রহমান, আবু বকর সিদ্দিক ও সুরুজ হোসেনসহ গ্রামবাসি।




ইসলামপুরে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রওশন আলী টোকনের নির্বাচনী পথসভা

মেহেরপুর সদর উপজেলার আমদহ ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রওশন আলী টোকনের পথসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রবিবার রাতে আমদহ ইউনিয়নের ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে এ পথসভা অনুষ্ঠিত হয়।

আমদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি শরিফুল ইসলামের সভাপতিত্বে পথ সভায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী রওশন আলী টোকন, মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট মিয়াজান আলী,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও পিরোজপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও বারাদি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মমিনুল ইসলাম মোমিন,ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট কাজী শহিদুল হক, জিনারুল ইসলাম, একরামুল হক, আমদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের  যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোঃ আতিয়ার রহমান হিরা, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ সম্পাদক তানভীর আহমেদ সহ বিভিন্ন নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




মুজিবনগর পরিদর্শনে ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল মিঃ জিয়াংচেন ঝাং

মুজিবনগর ঐতিহাসিক আম্রকানন স্মৃতিসৌধ পরিদর্শনে এসেছেন WTO-এর ডেপুটি ডিরেক্টর জেনারেল মিঃ জিয়াংচেন ঝাং।

রবিবার দুপুরে ঢাকা থেকে হেলিকপ্টার যোগে মুজিবনগর হেলিপ্যাডে অবতরণ করেন।

এসময় উপস্থিত ছিলেন  অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সার্বিক লিংকন বিশ্বাস, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস, মেহেরপুর জেলা চেম্বার অফ কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গোলাম রসুল ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল এনাম বকুল এবং মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল অতিথিদের ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানান।

মেহেরপুরে আকস্মিক সফরের তিনি হেলিকপ্টার যোগে মুজিবনগরে আসেন এবং সন্ধ্যায় ঢাকায় ফিরে যান।
পরে মুজিবনগর সাধীনতার সৃতিসৌধে পুষ্পমাল্য অর্পণ করে সোনাপুর মাঝ পাড়ার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন।

এসময় এফবিসিসিআই এর পরিচালক সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, বানিজ্য মন্ত্রনালয়ের যুগ্ন সচিব আলম মস্তফা , চীনাদূতাবাসের দ্বিতীয় সেক্রেটারি জুয়েলিং শি সফর সঙ্গী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।




আসছে স্যামসাং গ্যালাক্সি সিরিজের নতুন দুই ফোন

দক্ষিণ কোরিয়ার প্রযুক্তি কোম্পানি স্যামসাং ১৬ মার্চ ভারতে নতুন দুটি স্মার্টফোন মডেল উন্মুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে। গ্যালাক্সি সিরিজের এ৫৪ এবং এ৩৪ নামে দুটি মডেল ভারতের বাজারে উন্মুক্ত করা হচ্ছে। বাংলাদেশে কবে নাগাদ আসবে তা যদিও জানা যায়নি। ইতোমধ্যে এই দুটি মডেল নিয়ে বাজারে ব্যাপক আলোচনা চলছে। স্যামসাং তাদের গ্যালাক্সি সিরিজের মাধ্যমে বিভিন্ন সেগমেন্টের ক্রেতাদের চাহিদা পূরণ করেছে। মূলত এই দুটি মডেল মিড বাজেট সেগমেন্টের বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

চলমান বৈশ্বিক সংকটে চিপের দাম বাড়ায় এমনিতেও মিড বাজেট সেগমেন্টে ভালো ফোন পাওয়া মুশকিল। সেখানে স্যামসাং প্রশংসনীয় উদ্যোগ নিয়েছে বলে গ্রাহকরা আগ্রহ দেখাতে শুরু করেছে।

ভারতের বাজারে উন্মুক্ত হচ্ছে বলে বাংলাদেশেও ফোন দুটির মডেল নিয়ে ব্যাপক আগ্রহ পরিলক্ষিত হচ্ছে। আপাতত ফোন দুটির টিজার উন্মুক্ত হয়েছে ও টিজার থেকেই যতটুকু জানা গেছে। তবে টিজারটিই আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু।

দুটো ফোনের বডিতেই গ্লাস ফিনিশ ব্যবহার করা হয়েছে। মিড বাজেটে সচরাচর প্লাস্টিক ফিনিস বেশি দেখা যায়। তবে এই ফোন সেদিক থেকে ব্যতিক্রম। এমনকি ফোনের ক্যামেরা প্রযুক্তিতেও বড় পরিবর্তন আনতে চলেছে তারা। টিজারে জানা গেছে, লো লাইটেও ক্যামেরা দিয়ে অসাধারণ কিছু ছবি তোলা সম্ভব হবে। ফোনটিতে সক্ষম প্রসেসর ব্যবহার করায় প্রসেসিং পাওয়ার ভালো থাকবে যা ছবি তোলার সক্ষমতাও বাড়াবে। মিডিয়াটেক ডিমেনসিটি ১০৮০ প্রসেসরটি এই ফোনটির প্রসেসিং এর প্রাণকেন্দ্র। এই চিপটি যে যথেষ্ট শক্তিশালী তা পূর্ববর্তী অনেক মডেল দেখেই আন্দাজ করা যাবে।

এছাড়া ভয়েস ও ভিডিওকলের জন্য উন্নতমানের নয়েজ ক্যান্সেলিং ফিচার সংযুক্ত করা হয়েছে। আর্থিক লেনদেন করার জন্য স্যামসাং ওয়ালেট সুবিধাটিও পাওয়া যাবে। শুধু তাই নয়। ফোনটি কেনার পর অপারেটিং সিস্টেম আপডেটের পাশাপাশি ইউজাররা চারটি গুরুত্বপূর্ণ আপডেটও পাবেন। এই সময় সফটওয়ার সেবার দিকেও স্যামসাং কমতি রাখেনি। পাঁচ বছরের সিকিউরিটি আপডেটের নিশ্চয়তা ক্রেতাদের বাড়তি স্বস্তি যে দেবে তাতে সন্দেহ নেই।

এমনকি ভিডিও দেখার ক্ষেত্রেও স্যামসাং কমতি রাখেনি। বাজারের সেরা সুপার অ্যামোলেড ডিসপ্লে উৎপাদনের ক্ষেত্রে স্যামসাং-এর সুনাম অনেক আগে থেকেই রয়েছে। এই ফোনটিতে সুপার অ্যামোলেডের পাশাপাশি ১২০ হার্জ রিফ্রেশ রেটের ব্যবস্থাও আছে। সবমিলিয়ে স্যামসাং এর এই দুটি মডেল বড়সড় চমক আনতে চলেছে।




কুষ্টিয়ায় ডা: লিজা নার্সিং ইনস্টিটিউটে নবীন বরন ও বিদায় অনুষ্ঠান

কুষ্টিয়ায় ডা: লিজা-ডা: রতন ম্যাটস ও ডা: লিজা নার্সিং ইনস্টিটিউট তরুণ প্রজন্মকে দক্ষ জনশক্তি হিসেবে গড়ে তোলায় বিশেষ অবদান রেখে চলেছে বলে জানিয়েছেন কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান।

তিনি বলেন, বৈশ্বিক মহামারি কোভিড-১৯ দুর্যোগ ঠেকাতে ও সুস্থ্য মাতৃত্ব এবং নবজাতক শিশু জন্মের জন্য নার্স-মিডওয়াইফদের কোনো বিকল্প নেই। ডা: এএফএম আমিনুল হক রতন ও ডা: আসমা জাহান লিজা পরিচালিত ডা: লিজা-ডা: রতন ম্যাটস ও লিজা নার্সিং ইনস্টিটিউট দক্ষ নার্স ও মিডওয়াইফ তৈরির মাধ্যমে স্বাস্থ্যসেবা খাতে বিশেষ অবদান রেখে চলেছে।

গতকাল সকালে কুষ্টিয়ার ডা: তোফাজ্জুল হেলথ এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের ৫ম তলায় ডা: লিজা-ডা: রতন ম্যাটস ও লিজা নার্সিং ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীদের নবীন বরন ও বিদায় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন, ডা: তোফাজ্জল হোসেন ছিলেন কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যবাহী পরিবার। তারই সন্তান ডা: আমিনুল হক রতন। কুষ্টিয়ার একজন মানবিক চিকিৎসক, সুস্থাধারার রাজনীতে রসাথে সম্পৃক্ত। এছাড়াও তিনি সামাজিক ও মানবিক কর্মকান্ডের সাথে নিজেকে মেলে ধরেছেন।

ডা: লিজা-ডা: রতন ম্যাটসের চেয়ারম্যান ডা: আসমা জাহান লিজার সভাপতিত্বে ও ডা: লিজা-ডা: রতন ম্যাটসের অধ্যক্ষ ডা: আমিনুল হক রতনের সার্বিক পরিচালনায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: মো: রফিকুল ইসলাম, ম্যাটস কুষ্টিয়ার অধ্যক্ষ ডা: হেলিশ রঞ্জন সরকার, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি চৌধুরী মুর্শেদ আলম মধু, কুষ্টিয়া সদর থানা আওয়ামীলীগের সভাপতি জিপি এ্যাড. আ স ম আক্তারুজ্জামান মাসুম, বিএমএ জেলা শাখার সহসভাপতি ডা: আইয়ুব আলী, কুষ্টিয়া জেলা আওয়ামীলীগের সদস্য হাবিবুল হক পুলক, আবৃত্তি পরিষদের সভাপতি কবি আলম আরা জুই, নাসিবের পরিচালক আব্দুস সাত্তার, জাসদের (রব) কুষ্টিয়ার সভাপতি মিজানুর রহমান মির্জা, বিএফএর সাবেক সভাপতি আবদুল লতিফ ও বিদায়ী শিক্ষার্থী আফরিনা খাতুন ও আজমুল হোসেন প্রমুখ।

জাতীয় সঙ্গীতের মাধ্যমে শুরু হয় এ অনুষ্ঠান। এরপর অতিথিদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয়। পাশাপাশি বিদায়ী শিক্ষার্থী এবং নবীন শিক্ষার্থীরা মোমবাতি প্রজ্বলনের মধ্য দিয়ে এবং তাদের মিষ্টিমুখ করিয়ে শুভেচ্ছা জানান অতিথিবৃন্দ। পরে বিদায়ী শিক্ষার্থীদের সম্মাননা স্মারক ক্রেষ্ট প্রদান করা হয়। এবং মনোজ্ঞ সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে সমাপ্তি হয় এ অনুষ্ঠানের




কুষ্টিয়া শহর সমাজসেবা সমন্বয় পরিষদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত

কাউকে পেছনে ফেলে উন্নয়ন সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন সমাজসেবা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন, কাউকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। বৈষম্যহীন সমাজ গঠনে প্রত্যেক মানুষের অবদান দরকার। আর প্রতিবন্ধীরা এখনো নানা সমস্যায় জর্জরিত। তাই ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সমাজ গঠনে প্রতিবন্ধীসহ পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়ন ঘটাতে হবে। এ ক্ষেত্রে প্রথমে আত্মোন্নয়ন ঘটাতে হবে।

রবিবার সকালে শহর সমাজসেবা কার্যালয় চত্বরে কুষ্টিয়া শহর সমাজসেবা কার্যালয়াধীন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন ট্রেডে সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ ও সমন্বয় পরিষদ সদস্যদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

তিনি বলেন,‘বঙ্গবন্ধু খেটে খাওয়া সাধারণ শ্রমজীবী মানুষের কথা ভাবতেন। তিনি সমাজসেবায় সুদমুক্ত ঋণপ্রথা চালু করেছিলেন গরিব মানুষের কথা ভেবেই।

‘১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথম দেশের সাধারণ মানুষের জন্য সুদমুক্ত ক্ষুদ্রঋণ দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলেন। তিনি দেশের মানুষকে নিজের জীবনের চাইতেও বেশি ভালোবাসতেন।’

তবে তাই হোক, আমি তোমাদেরই লোক এমন বাক্য উচ্চারণ করে তিনি বলেন, আমি গ্রেটার কুষ্টিয়ার মানুষ। তাই দায়বদ্ধতা থেকে আমি এই কুষ্টিয়া শহর সমাজসেবাকে আরও এগিয়ে নিতে যা করনীয় আমার চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। কুষ্টিয়ার ঐতিহ্যকে আরও সামনের দিকে এগিয়ে নিতে হবে এবং স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে আমাদের গড়ে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে বলেও জানান তিনি।

শহর সমাজসেবা কার্যালয় সমন্বয় পরিষদের সভাপতি জি. এম গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে ও জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ মুরাদ হোসেনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সমাজসেবা অধিদপ্তর খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত পরিচালক আবদুর রহমান,জেলা আওয়ামীলীগে সভাপতি ও জেলা পরিষদের সভাপতি আলহাজ্ব সদর উদ্দিন খান, জেলা সমাজসেবা অধিদপ্তরের উপপরিচালক আবদুল কাদের, শহর সমাজসেবা অফিসার মো: জহির উদ্দিন, শহর সমাজসেবা কার্যালয় সমন্বয় পরিষদের সহসভাপতি আশরাফ উদ্দিন নজু, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাইজাল আলী খান, জিপি এ্যাড. আসম আক্তারুজ্জামান মাসুম, ডা: আসমা জাহান লিজা, কাউন্সিলর সাইফুল হক চৌধুরী মুরাদ প্রমুখ।

অনুষ্ঠান শেষে শহর সমাজসেবা কার্যালয় চত্বরে কুষ্টিয়া শহর সমাজসেবা কার্যালয়াধীন দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্র কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন ট্রেডে সফলভাবে প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারীদের মাঝে সনদপত্র বিতরণ ও ৬৬ জন সমাজের প্রান্তিকজনগোষ্ঠী ও তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ও দলিত হরিজন ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর মাঝে বিনাসুদে ২৪ লাখ টাকার ঋণ বিতরণ করেন অতিথিবৃন্দ।




বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের হারিয়ে ইতিহাস গড়া সিরিজ টাইগারদের

মঞ্চটা প্রস্তুত করে দিয়েছিলেন বোলাররা। সেই মঞ্চে দাঁড়িয়েই ইতিহাস গড়লেন টাইগার ব্যাটাররা। আগের ম্যাচের নায়ক শান্ত এই ম্যাচেও মাঠ ছেড়েছেন দলকে জিতিয়েই। তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ডকে ৪ উইকেটে হারিয়ে ২-০ ব্যাবধানে সিরিজ জয় নিশ্চিত করলো বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের দেওয়া ১১৮ রানের টার্গেট ১৮.৫ ওভারে ৪ উইকেট হাতে রেখেই পেরিয়ে যায় টাইগার বাহিনী।

আজ বিকেল ৩টায় মিরপুরের শের-ই-বাংলা জতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ।টস জিতে ইংলিশদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। আগে ব্যাটিংয়ে নেমে তাআইগার বোলারদের বোলিং তোপে পড়ে মাত্র ১১৭ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। ক্যারিয়ার সেরা বোলিংয়ে ৪ ওভারে মাত্র ১২ রান দিয়ে মিরাজ একাই নেন ৪ উইকেট।

১১৮ রানের টার্গেট টি-টোয়েন্টিতে একেবারেই মামুলি বলাই যায়। সেই টার্গেটে ব্যাট করতে নেমেও ইংলিসজ বোলারদের বোলিংয়ে বেশ ভুগতে হয়েছে টাইগার ব্যাটারদের। ইংল্যান্ডের মতো বাংলাদেশও নিজেদের প্রথম উইকেট হারায় মাত্র ১৬ রানেই।৯ বলে ৯ রান করেই স্যাম কারানের বলে ফিরে যান লিটন দাস। টিকতে পারেননি রনি তালুকদারও। লিটনের সমান ৯ রান করেই ফেরেন জোফরা আর্চারের বলে। পাওয়ার প্লে’র মধ্যেই ৭ রানে ২ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

তৃতীয় উইকেট জুটিতে শুরুর চাপ সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন নাজমুল হোসেন শান্ত আর তৌহিদ হৃদয় মিলে। তবে ইংলিশদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে রান তোলার গতি ছিলো মন্থর। দুজন মিলে গড়েন ২৯ রানের জুটি। দলীয় ৫৬ রানে গিয়ে আগের ম্যাচে অভিষেক হয় হৃদয় ফেরেন ১৮ বলে ১৭ রান করে। ইংল্যান্ডের হয়ে এই ম্যাচেই অভিষেক হওয়া রেহান আহমেদের বলে ক্রিস ওকসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন হৃদয়।

৫৬ রানে ৩ উইকেট হারালেও উইকেটের এক প্রান্তে লড়তেছিলেন আগের ম্যাচের ম্যাচসেরা শান্ত। চতুর্থ উইকেটে মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে দলকে নিয়ে যেতে থাকেন জয়ের দিকে। দুজন মিলে এই জুটিতে যোগ করেন ৪১ রান। দলীয় ৯৭ রানে গিয়ে আর্চারের বলে আদিল রশিদের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন মিরাজ। ফেরার আগে করেন ১৬ বলে ২০ রান।

জয়ের জন্য আর বাকি ২১ রান। উইকেটে আসেন টাইগার ক্যাপ্টেন সাকিব আল হাসান। তবে সমর্থকদের আআজ হতাশই করেছেন সাকিব। ৩ বল খেলে মঈন আলীর বলে ফিরেছেন শুন্য রানেই। দলীয় ১০০ রানে পঞ্চম উইকেট হারায় বংলাদেশ। সাত নম্বরে নেমে আফিফও ব্যর্থ এদিন, ৩ বলে ২ রান করেই ফেরেন আর্চারের ১৪৮ কি.মি. গতির বোলিংয়ে। ১০৫ রানেই ষষ্ঠ উইকেট হারায় বাংলাদেশ।

শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশের জয়ের জন্য দরকার ছিলো ১৩ রান। ১৯তম ওভারে ক্রিস জর্ডানের প্রথম বলেই বলে বাউন্ডারি হাকিয়ে বাংলাদেশকে জয়ের দিকে নিয়ে যান শান্ত। ওই ওভারের চতুর্থ আর পঞ্চম বলে টানা দুই চারে বাংলাদেশকে জয়ের বন্দরে ভেড়ান তাসকিন আহমেদ।

৪ উইকেটে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন শান্ত আর তাসকিন।আগের ম্যাচেই ফিফটি করে ম্যাচসেরা হওয়া শান্ত আজও অপরাআজিত থেকেই মাঠ ছাড়েন ৪৭ বলে ৪৬ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলে।

সূত্র: ইত্তেফাক