শিক্ষকদের ওপর হামলার প্রতিবাদে মেহেরপুরে মানববন্ধন

মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরে শিক্ষকদের উপর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও সহযোগীদের দ্বারা হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি ও মানববন্ধন করেছে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ।

বৈষম্য বিরোধী সরকারী মাধ্যমিক শিক্ষা পরিষদের আয়োজনে আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল ১১ টার দিকে মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ফজলুল হক ও মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শরিফুল ইসলাম বক্তব্য রাখেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, মাধ্যমিক শিক্ষকরা মাধ্যমিক শিক্ষা প্রশাসনে আসতে পারবেন না। অথচ মাধ্যমিক, উচ্চ মাধ্যমিক, কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়, NCTB, NAEM, শিক্ষাবোর্ডসহ সকল শিক্ষা প্রশাসনে শিক্ষকরাই কৃতিত্বের সাথে প্রশাসনিক দায়িত্ব পালন করে আসছেন কিন্তু তারা চর দখলের মতো এই পদগুলো অনৈতিকভাবে দখল করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন এবং মাধ্যমিক শিক্ষাকে নিজেদের স্বার্থে ফ্যাসিবাদি কায়দায় পিছিয়ে দেওয়ার গভীর ষড়যন্ত্র করছেন।

সরকারি মাধ্যমিকের ২০২১ সালের নিয়োগবিধি অনুযায়ী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার ও সহকারি মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসারের ৫০% পদ সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক ও সহকারি শিক্ষকদের জন্য সংরক্ষিত ইতোমধ্যে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার পদে পদায়নের জন্য মাউশি দরখাস্ত আহবান করেছেন এবং পদায়নের কাজ চলামান রয়েছে। অথচ একটি মীমাংসিত বিষয়কে ফ্যাসিবাদি কায়দায় কিছু অসাধু কর্মকর্তার যোগসাজশে মাধ্যমিক শিক্ষকদের বঞ্ছিত করে বিধি বহির্ভূত ভাবে জেলা শিক্ষা অফিসার ও সহকারী জেলা শিক্ষা অফিসার পদে পদায়নের গভীর ষড়যন্ত্র করছেন।

তারা আরো বলেন, ১৭/০৯/২০২৪ তারিখে ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসী হামলার দোষীদের নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। বিধি বহির্ভূত কর্মকান্ডের সাথে জড়িতদের বিভাগীয় শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে। অন্যথায় সরকারি মাধ্যমিকের শিক্ষকরা কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচি দিতে বাধ্য হবে।

এসময় মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান, মোঃ আব্দুর রাজ্জাক, নাসির উদ্দিন আহমেদ, মোঃ এমরান হোসেন,  এ.এস.এম. সাইফুল ইসলাম, মোঃ বাছাদ আলী, মোহা: রফিকুল ইসলাম, মোঃ মামুন আলী মীর, মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে সিনিয়র শিক্ষক মোঃ সেকেন্দার আলী, মোঃ হাসান ফেরদৌস, মোঃ সোহরাব হোসেন, মোঃ আব্দুল মান্নান, মুহা: সিরাজ উদ্দিন, কে. এম খসরু পারভেজ, মোঃ আলিমুজ্জামান, মোঃ আব্দুল হক, মোঃ লিয়াকত আলী, মোঃ সাইদুর রহমান, মোঃ আব্দুল হামিদ, রেবেকা সুলতানা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণায় বাংলাদেশের চমক

আসন্ন নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করেছে বাংলাদেশ দল। বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বিসিবির অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করা হয়েছে। বিশ্বকাপের দল ঘোষণায় চমক রেখেছে বিসিবি। মূলত দেশের বাইরে থাকা প্রবাসীদের দিয়ে বিশ্বকাপ দলে থাকা ক্রিকেটারদের নাম প্রকাশ করেছে তারা।

সাধারণত সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করে থাকে বিসিবি। তবে এবার চমক দেখিয়েছে তারা। প্রবাসী বাংলাদেশিদের সাহায্যে এক ভিডিওর মাধ্যমে ১৫ সদস্যের বিশ্বকাপের স্কোয়াড ঘোষণা করেছে বিসিবি।

ভিডিওর শুরুতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের নারী বিভাগের প্রধান হাবিবুল বাশার সুমন বলেন, ‘নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের খুব একটা দেরি নেই। আমাদের মেয়ে ক্রিকেটাররা অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাচ্ছে এবারের বিশ্বকাপে তাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে।’

১৫ সদস্যের বিশ্বকাপ দলে চমক হিসেবে আছেন কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচ না খেলা তাজ নেহার। ২৬ বছর বয়সী এই নারী ক্রিকেটার শ্রীলঙ্কা সফরে বাংলাদেশ ‘এ’ দলে ছিলেন। এ ছাড়া অভিষেকের অপেক্ষায় থাকা অলরাউন্ডার দিশা বিশ্বাসও আছেন দল। বিশ্বকাপে টাইগ্রেসদের নেতৃত্ব দেবেন উইকেটরক্ষক ব্যাটার নিগার সুলতানা জ্যোতি।

আগামী ৩ অক্টোবর পর্দা উঠবে নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরের। এবারের আসরটি বাংলাদেশে হওয়ার কথা থাকলেও রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের কারণে আইসিসি টুর্নামেন্টটি সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেয়। তবে আয়োজক হিসেবে বাংলাদেশের নামই রয়েছে। উদ্বোধনী দিনে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ স্কটল্যান্ড।

৩ অক্টোবর থেকে ২০ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে টুর্নামেন্টটি। দুবাই ও শারজাহর দুটি স্টেডিয়ামে মোট ২৩টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এবারের আসরে গ্রুপ ‘বি’ তে রয়েছে বাংলাদেশ। এই গ্রুপে টাইগ্রেসদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও স্কটল্যান্ড। গ্রুপ ‘এ’ তে রয়েছে পাকিস্তান, ভারত, অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কা।

নারী টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপের বাংলাদেশ দল: নিগার সুলতানা (অধিনায়ক), নাহিদা আক্তার, মুরশিদা খাতুন, স্বর্ণা আক্তার, রিতু মনি, সোবহানা মোস্তারী, রাবেয়া খান, সুলতানা খাতুন, ফাহিমা খাতুন, মারুফা আক্তার, জাহানারা আলম, দিলারা আক্তার, তাজ নেহার, সাথী রানি, দিশা বিশ্বাস।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ কর্মসূচি

আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে সুস্থ রাখতে বৃক্ষরোপণের বিকল্প নেই। বর্তমান সময়ে আমাদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বৃক্ষরোপণ অপরিহার্য।

বৃক্ষরোপণের উপকারিতা ও বৃক্ষরোপণে শিক্ষার্থীদের উৎসাহিত করতে বৃক্ষরোপণ ও বৃক্ষের চারা বিতরণ করেছে ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং,বাংলাদেশ (আইডিইবি) মেহেরপুর জেলা শাখা।

আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের উজলপুর গ্রামের ভৈরব মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয় এ বৃক্ষরোপণ ও চারা বিতরণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

এসময় ২ শতটি ফলদ, বনজ, ঔষধি বৃক্ষ ও ফুলগাছের চারা বিতরণ করা হয়। যার মধ্যে রয়েছে কাঁঠাল, জলপাই, বহেরা, কদবেল, পেয়ারা, কৃষ্ণচূড়া, পলাশ, শিউলি, বকুল, জারুল ইত্যাদি।

এ সময় এক সংক্ষিপ্ত আলোচনাও অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, মেহেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের অধ্যক্ষ মোঃ আরিফ হোসেন তালুকদার।

এ সময় তিনি বলেন, এ ধরণিতে নিঃস্বার্থ, প্রকৃত ও উপকারী বন্ধু হলো বৃক্ষ। বৃক্ষের ছায়াতলেই গড়ে উঠেছে মানবসভ্যতা। তাই বৃক্ষ ছাড়া মানুষের অস্তিত্ব কল্পনা করা যায় না। এক কথায় বৃক্ষ মানুষের জীবন ও জীবিকার সঙ্গে জড়িত।

ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং, বাংলাদেশ (আইডিইবি) মেহেরপুর জেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ আব্দুল আলিমের সার্বিক পরিচালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভৈরব মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা নাজমা সালেহীন।

এছাড়াও এসময় ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং,বাংলাদেশ (আইডিইবি) মেহেরপুর জেলা শাখার উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলাম, শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মোঃ আব্দুর রহমান, যুগ্ম সম্পাদক মনিরুজ্জামান, নির্বাহী সদস্য সোহেল রানা, মোঃ মাসুদ পারভেজ, মোঃ আলমগীর হোসেন, মেহেরপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ইন্সট্রাক্টর মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ ফারুক হোসেন, প্রশিক্ষক আবু হুরায়রা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।




গাংনীতে শিক্ষক সমাজের সংবাদ সম্মেলনে নানা অভিযোগ

গাংনীতে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নাছির উদ্দীনের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদে শিক্ষক সমাজের সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে গাংনী উপজেলা পরিষদ চত্বরে শিক্ষক সমাজের আয়োজনে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে এক শ্রেনীর শিক্ষকের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ এনে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন শিক্ষক সেলিম রেজা। এসময় শিক্ষক নেতা আক্তারুজ্জামান, সেলিম আহমেদ, শরিফুল ইসলাম, নাহারুল ইসলাম, রাশেদুল ইসলাম, ফিরোজ আহমেদ, মুস্তাফিজুর রহমান, রজব আলী, আজমাইন হোসেন, ইব্রাহিম খলিল, আফ্ফান আলী, আব্দুল হাকিম, জালাল উদ্দিন, হাসান আলীসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ২০১৪ -১৫ ইং সালে প্রাক প্রাথমিক সজ্জিতকরণ বাবদ প্রয়োজনের তুলনায় অতিরিক্ত টাকা উত্তোলন করে ওই শিক্ষক মহল ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন।

২০১৭ সালে নব্য জাতীয়করণ প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে মামলা করার নামে সকল শিক্ষকের নিকট থেকে ১ হাজার টাকা করে মোট ৩ লাখ ৫৫ হাজার টাকা আদায় করেছে ওই মহলটি। অথচ, ওই টাকা দিয়ে কোন মামলা না করে পকেটস্থ করেছেন তারা। সেই টাকা কোনো শিক্ষককে ফেরত দেয়নি। ২০১৮-১৯ সালে ডিজিটাল হাজিরা মেশিন ক্রয়ে করেন ওই মহলটি। তারা সিন্ডিকেড গড়ে তুলে হাতিয়ে নেন প্রায় ৮ লাখ টাকা। তারা প্রতি মাসিক মিটিং এ বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক অসুস্থ হলে তাদের চিকিৎসা বাবদ জনপ্রতি ২ শ’ টাকা করে উত্তোলন করেন। উত্তোলিত সেই অর্থ রোগীদের না দিয়ে তারা ভাগ বাটোয়ারা করে নিয়েছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

বিগত সরকারের সময় শেখ মুজিবেব বই কেনার নামে হাজার টাকা উত্তোলন হাতিয়ে নিয়েছে ঐ চক্রটি।
লিখিত বক্তব্যে তারা আরও বলেন, বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকারের সময় বিগত দিনের অনিয়ম দুর্নীতি বন্ধ করে নিয়মের মধ্যে আনতে চাওয়ায় ওই মহলটি শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ তৈরী করেছেন।

তারা শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে কাল্পনিক অনিয়ম দুর্নীতির নাটক সাজাচ্ছেন। ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দিয়েছে।

তারা অভিযোগ করে বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত ক্ষমতাশীল রাজনৈতিক দলের পরিচয়ে স্কুলে হাজিরা দেয়নি অনেক শিক্ষক। এখনও তারা ঠিকমত স্কুলে যায়না ,এমনকি ক্লাসও করে না।

তারা বলেন, গাংনী উপজেলার মুন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোলাম ফারুক , মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) নুরুল আমিন এবং বাহাগুন্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মাসুদ পারভেজ স্কুলে প্রায় অনুপস্থিত থাকেন। বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা অফিসার কারন দর্শানো নোটিশ দিলে তারা শিক্ষা অফিসারকে নানাভাবে অপমানিত ও লাঞ্ছিত করেছে। এসব শিক্ষক মানসিক রোগী বলেও আখ্যায়িত করেছেন তারা। এই চক্রের সাথে জড়িতদের নামও উল্লেখ করেন। তারা হলেন, শিক্ষক মাঝহারুল ইসলাম, দানেচুর রহমান, মুক্তি, পারভেজ সাজ্জাদ রাজা, নুরুজ্জামান, তারিকুজ্জামান, আমানুল্লাহ, মাহবুবসহ আরও অনেকে। দীর্ঘ ১৬ বছর যাবত দায়িত্ব প্রাপ্ত শিক্ষা অফিসারদের রাজনৈতিকভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে নানা অপকর্ম ও নামে বেনামে টাকা উত্তোলন করে ভাগ বাটোয়ারা করেছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

বর্তমানে তাদের কথামত কাজ না করায় শিক্ষা অফিসারদের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের দিয়ে হেনস্তা করছে এবং বিভিন্ন দপ্তরে শিক্ষা অফিসারদের বিরুদ্ধে দরখাস্ত করছে। বিগত সময়ে দায়িত্বরত শিক্ষা অফিসার মো. মোস্তাফিজুর রহমান, ফারুক হোসেন, আকবর আলী, মো. সামসুজ্জামান, আতাউর রহমান, আলঅউদ্দীন এবং বর্তমান শিক্ষা অফিসার নাছিরউদ্দীনকেও বলির পাঠা বানিয়ে নানাভাবে হেনস্তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তারা।

অভিযোগে আরও জানান, মোমিনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (চলতি দায়িত্ব) নুরুল আমিন বিনা অনুমতিতে অনুপস্থিত সহ নানা অনিয়ম তুলে স্থানীয় অভিভাবকদের অভিযোগের ভিত্তিতে ২৪/০৯/২০২২ ২৯/০৯/২০২২, ২১/০৩/২০২৩, ২৫/০১/২০২৪ এবং ০৪/০২/২০২৪ খ্রী: অনুপস্থিত থাকার কারনে কারন দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়। তিনি নোটিশের কোন জবাব দেননি। এসব অভিযোগের ভিত্তিতে সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. আরিফ হাসান স্কুল পরিদর্শনে গেলে ২১/০৩/২০২৩ ও ০৪/০৪/২০২৩ তারিখে তাকে অনুপস্থিত পাওয়া গেলে কারন দর্শানো নোটিশ দেয়া হয়। ২০২৩ সালে তিনি মুভমেন্ট রেজিস্টার ব্যবহার ও হালনাগাদ করেননি। নৈমিত্তিক ছুটির রেজিষ্টারও হালনাগাদ করেননি।তিনি ১৭/০১/২০২৪ ও ১৮/০১/২০২৪ তারিখে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত ছিলেন।

এব্যাপারে ক্লাষ্টার অফিসার ২১/০১/২০২৪ তারিখে পরিদর্শনে গেলে তাকে অনুপস্থিত পাওয়া যায়। একইভাবে ক্লাষ্টার অফিসার আরিফ হাসান স্কুল পরিদর্শনে গেলে ১ থেকে ৩ সেপ্টেম্বর, ২৪ তারিখেও অনুপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও তিনি সরকারিভারে প্রদানকৃত ল্যাপটপ বিক্রি করে দিয়েছিলেন।পরে শিক্ষা অফিসার ব্যবস্থা নেয়ার কারনে পরবর্তীতে ল্যাপটপ ফেরত দেয়।

এসব অভিযুক্তদের সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে আইনের আওতায় নিলে থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে এবং তাদের শাস্তি নিশিচত হলে শিক্ষার পরিবেশ ফিরে আসবে বলে জানান এসব শিক্ষকবৃন্দ।




সেনাবাহিনীকে ম্যাজিষ্ট্রেসি ক্ষমতা প্রদান

সারা দেশে আগামী ২ মাস নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের দায়িত্ব পালন করবেন সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানিয়েছে জনপ্রসাশন মন্ত্রণালয়।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, ১৮৯৮ এর ১২(১) ধারা অনুযায়ী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর কমিশন প্রান্ত কর্মকর্তাগণকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা দেওয়া হলো।

এতে আরও বলা হয়, ফৌজদারী কার্যবিধি ১৮৯৮ এর ধারা ৬৪, ৬৫, ৮৩, ৮৪, ৮৬, ১৫(২), ১০০, ১০৫, ১০৭, ১০৯, ১১০, ১২৬, ১২৭, ১২৬, ১৩০, ১৫৩, ১৪২ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেটের ক্ষমতা অর্পণ করা হলো।

 




দামুড়হুদায় নবগাত নির্বাহী অফিসার মমতাজ মহলের যোগদান

দামুড়হুদা উপজেলায় নবগাত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) হিসাবে যোগদান করেছেন মমতাজ মহল।  মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ৩ টার সময় তিনি যোগদান করেন।

দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসন অফিস সুত্রে জানাগেছে, নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ মহল এর আগে মাগুরা জেলার শ্রীপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বিসিএস ৩৪ তম ব্যাচের প্রশাসনিক ক্যাডার। এর আগে গত ইং ১২/০৯/২০২৪ তারিখ পর্যন্ত ১ বছর ৭ মাস দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইউএনও রোকসানা মিতা কর্মরত ছিলেন। তিনি বদলী জনিত কারনে যশোর চৌগাছা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হিসেবে যোগদান করেছেন। নবাগত দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মমতাজ মহল দামুড়হুদা উপজেলা বাসীর সহযোগিতা কামনা করেছেন।




চিনি শিল্পের কৃষি বিভাগকে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি পেশ

বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন (বিএসএফআইসি) এর রাষ্ট্রায়ত্ত চিনিকল সমূহকে লাভজনক ও যুগোপযোগী করতে চিনি শিল্পের কৃষি বিভাগ কে রাজস্ব খাতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবীতে স্মারকলিপি পেশ করা হয়েছে। বাংলাদেশ অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ডঃ মোহাম্মদ ইউনুস বরাবর স্বারকলিপি পেশ করেছে চিনি শিল্প কতৃপক্ষ।

আজ মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১১ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক কার্যলয়ে পেশ কৃত স্বারকলিপিতে বলা হয়েছে, চিনিশিল্পের কৃষি বিভাগ ও বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন কে সংস্কার ও ঢেলে সাজানো এবং লাভজনক করার দাবিতে চিনিশিল্প স্বারক লিপি পেশ করেছে ১৫ টি চিনিকলের কৃষি বিভাগ।

১৯৭২ সালের মহামান্য রাষ্ট্রপতির ২৭ নম্বর আদেশবলে বাংলাদেশ চিনিকল করপোরেশন গঠিত হয়। পরে ১ জুলাই ১৯৭৬ সালে বাংলাদেশ চিনিকল করপোরেশন ও বাংলাদেশ ফুড এন্ড অ্যালাইড ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশনকে একীভূত করে বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প করপোরেশন গঠন করা হয়। এর অধীনে ১৫টি রাষ্ট্রায়ত্ব চিনিকল পরিচালিত হতো। কিন্তু বিগত সরকার লোকসানের অযুহাতে ডিসেম্বর ২০২০ সালে ৬ চিনিকল বন্ধ করে দেয়। বর্তমানে যে চিনিকলের মিল চালু আছে, তাতেও সরকারের বিনিয়োগ ও সহযোগিতা যথার্থ নয়।

চিনিশিল্পে প্রায় ১৬ হাজার শ্রমিক, কর্মচারী ও কর্মকর্তার কর্মসংস্থান। আখচাষের ওপর নির্ভর দেশের উত্তর ও দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের প্রায় পাঁচ লক্ষ চাষী এবং এর সাথে ৫০ লক্ষ মানুষের জীবন জীবিকা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জড়িত। আখ একটি লাভজনক অর্থকরী ফসল এবং চিনি ও শুড় তৈরির প্রধান কাঁচামাল। কৃষি উন্নয়ন, কর্মসংস্থান, সৃষ্টি, অবকাঠামো, শিক্ষা ও সংস্কৃতিক উন্নয়ন পরিবেশ সুরক্ষা, পুষ্টি চাহিদা পূরণ, শিশু খাদ্য ও মেডিসিন তৈরিতে এবং বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয়ে আখের অবদান অনস্বীকার্য।

আখ একমাত্র ফসল যা কৃষক সরাসরি সরকার নির্ধারিত মূল্যে কৃষিভিত্তিক শিল্পে সরবরাহ করতে পারে। এই গুরুত্বপূর্ণ কৃষিক্ষেত্রে ও আখ উৎপাদনে, চিনিশিল্পের কৃষি বিভাগ সরাসরি মাঠ পর্যায়ে কাজ করে থাকে। উৎপাদন ফলন বৃদ্ধি ও প্রযুক্তি সম্প্রসারণে আমরা কৃষিবিভাগ কৃষি ও কৃষকের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।

কৃষি বিভাগে অনেক কৃষিবিদ, ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ও বিজ্ঞান বিভাগ হতে জনবল সরাসরি কৃষকের সাথে নিবিড় যোগাযোগের মাধ্যমে আখ উৎপাদ’ন ও আখের সাথে সাথীফসল হিসেবে আলু, পেঁয়াজ, রসুন, আদা, হলুদ, মসুর, মুগ, মাসকালাই, মরিচ, সরিষা, ভুট্টাসহ আরো বিভিন্ন রকমের শাকসবজি উৎপাদনে জড়িত ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করে থাকে। আমরা বাংলার কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে মাঠ পর্যায়ে কাজ করি বিধায় চিনিকলগুলো এখনো টিকে আছে। বাংলাদেশ খাদ্য শিল্প করপোরেশনের কৃষি বিভাগের ইক্ষু উন্নয়নের সহকারি সিডিএ আব্দুল্লাহ আল মাসুদের পক্ষে স্মারকলিপি পেশ করে।

এ সময় স্বারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,কেরুজ চিনিকলের কৃষি বিভাগের সিডিএ হারিজুল ইসলাম,এ.এস.এম.কবির, এইচ এম সাকী মাহমুদ, মাঈনউদ্দিন আহমেদ, একরামুল হক খলিল, সাইফুল্লাহ, মুকুল হোসেন, শহিদুল হক,সিআইসি জুলফিকার আলী,প্রমুখ।




সাবেক এমপি খোকন ও সাবেক ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকারের নামে চাঁদাবাজি মামলা

পাঁচ লাখ টাকা চাঁদার দাবী ছিলো গাংনী থানার তৎকালিন ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার, সাবেক এমপি মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকনসহ অন্যান্য আসামিদের। ভিকটিম এসব আসামিদের হাতে ২ লাখ টাকা চাঁদা দিয়েও মুক্তি পাননি। ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকার দাবিকৃত ৫ লাখ টাকা চাঁদা না পেয়ে ভিকটিমকে শারীরিকভাবে নির্যাতনসহ ক্রস ফায়ারের হুমকি ও আগ্নেয়াস্ত্রসহ ৩ টি মিথ্যা মামলা দিয়ে চালান দেন কোর্টে।

ঘটনার পাঁচ বছর পর গাংনী পৌরসভার চৌাগাছা গ্রামের ভিকটিম মনিরুজ্জামান(৪৪) বাদী হয়ে বিজ্ঞ আমলী আদালত, গাংনীর বিচার জাহিদুর রহমানের আদালতে ২১ জনকে আসামি করে ধারা ৩৬৪/৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭/১১৪/৫০৬(২০) পিসি একটি মামলা দায়ের করেছেন।

মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন, গাংনী থানার তৎকালিন উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুল হক, এসআই বখতিয়ার, এসআই ইসরাফিল হক এসআই নারদ কুমার, এএসআই শরীফুল ইসলাম, এএসআই রেদওয়ানুল হক, ডিএসবির কনস্টেবল বজলুর রহমান, চৌকিদার মো: শামীম, গাংনী উপজেলা যুবলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন, গাংনী উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের আওয়ামীলীগ নেতা আইতাল হক, আব্দুর রশিদ, গাংনী শহরের আব্দুল খালেক, গাংনী উপজেলা যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌগাছা গ্রামের মজিরুল ইসলাম মিয়া, নিশিপুর গ্রামের আব্দুল কাদের, বামন্দী বাসস্ট্যান্ড এলাকার রাজনুল হক, শিমুলতলা গ্রামের আকছেদ আলী, কাজিপুর গ্রামের মো:স্বপন আলী, মো: ঝন্টু, ও মটমুড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সোহেল আহমেদ।

বাদী মনিরুজ্জামানের মামলার এজাহাওে জানা গেছে, ২০১৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বিকাল আনুমানিক সাড়ে ৪ টার সময় বাদি গাংনী উপজেলা শহরের আব্দুল মালেক ফল ভান্ডারের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এসময় আসামি চৌকিদার মো: শামীম আমাকে ডেকে নিয়ে যুবলীগ নেতা মোশাররফ হোসেনের অফিসে যায়। আমি সেখানে পৌছানো মাত্রই ১২ থেকে ২১ নং আসামিরা আমাকে চড় থাপ্পর মারতে থাকেন। এসময় তারা বলেন ৫ লাখ টাকা চেয়েছিলাম। এখনো পরিশোধ করিসনে কেনো। পরে আমার পরিবারের লোকজনকে ৯ নং আসামি ডিএসবি কনেস্টবল বজলুর রহমান আমার বাড়িতে খবর দেন। পরে পরিবারের লোকজন ১ লাখ টাকা নিয়ে মোশাররফ হোসেনের অফিসে আসেন। এসময় তিনি আরও টাকা দাবি করেন। তাদের দাবিকৃত টাকা দিতে না পারায় থানা পুলিশকে খবর দেন। পরে গাংনী থানার এস আই আব্দুল হকের নেতৃত্বে ৬/৭ জন পুলিশ এসে আমাকে আটক করে থানায় নেন। পরে তৎকালিন ওসি হরেন্দ্র নাথ সরকারের অফিস কক্ষে আমাকে চোখ বেঁধে ও পিচ মোড়া করে হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে মারপিট করতে থাকে।

এসময় ওসি হরেন্দ্রনাথ সরকার বলেন ৫ লাখ টাকা না দিলে আজ রাতেই তোকে ক্রস ফায়ার দিয়ে হত্যা করবো। এক পর্যায়ে চোখ বেঁধে পুলিশের গাড়িতে তুলে নিয়ে মাঠে নিয়ে ক্রস ফায়ারের ভয় দেখায়। এক পর্যায়ে অকথ্য নির্যাতনের ফলে রাত আনুমানিক ১ টার দিকে আমার খালার কাছ থেকে ও মায়ের স্বর্ণালংকার বিক্রির দুই লাখ টাকা দিই। তারপরেও আমাকে না ছেড়ে দিয়ে বাকি দুই লাখ টাকা না পেয়ে আমাকে নিয়ে অস্ত্র উদ্ধারের মিথ্যা ঘটনা সাজায়। পরে একটা সার্টারগান ও বিস্ফোরক আইনে অন্য দুটি মিথ্যা মামলা দিয়ে পরের দিন আদালতে প্রেরণ করেন। মামলাগুলো এখন আদালতে বিচারাধীন। এসব মিথ্যা মামলার ফলে আমার শারীরিক ও মানষিক ক্ষতি হয়েছে। এতোদিন পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় মামলা করার সাহষ পাইনি।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট কামরুল হাসান জানান, বিজ্ঞ বিচারক আমাদের আরজি শুনে খুশি হয়ে গাংনী থানা পুলিশকে মামলাটি নথিভ’ক্ত করার আদেশ দিয়েছেন। আমরা আশা করছি আমরা আদালতে ন্যায় বিচার পাবো।




সাবেক এসপি নাহিদকে প্রধান আসামি করে ২৬ জনের নামে মামলা

মেহেরপুর সদর উপজেলার হিজুলি গ্রামের জামায়াত নেতা ও ইউপি সদস্য (মেম্বর) আব্দুল জব্বারকে গুলি করে হত্যা করে বন্দুকযুদ্ধ বলে চালিয়ে দেওয়ার অভিযোগে তৎকালিন পুলিশ সুপার (এসপি) একেএম নাহিদসহ পুলিশের কয়েকজন কর্মকর্তা, জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রট ও আওয়ামীলীগ নেতাসহ ২৬ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করা হয়েছে।

আজ মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মেহেরপুর আমলী আদালতে মামলাটি দায়ের করা হয়।

এ নিয়ে মেহেরপুরের তৎকালিন পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলামের নামে মেহেরপুর আদালতে দুইটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে।

২০১৩ সালের ৩০ ডিসেম্বর জামায়াত নেতা আব্দুল জব্বারকে মেহেরপুর সদর থানা পুলিশ তার বাড়ি থেকে আটক করে। ওই রাতেই তাকে গুলি করে হত্যার পর বন্দুকযুদ্ধ হিসেবে ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করে। শুধু হত্যা করেই ক্ষান্ত হয়নি আসামিরা। তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন মামলা ও অস্ত্র গোলাবারুদ উদ্ধারের নাটক সাজায় আসামিরা।

মেহেরপুরের চাঞ্চল্যকর আব্দুল জব্বার হত্যাকাণ্ডের মামলায় এজাহার নামীয় ২৬ জন আসামির মধ্যে রয়েছেন- তৎকালীন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোস্তাফিজুর রহমান, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাঈদ মোমিন মজুমদার, ওসি তদন্ত তরিকুল ইসলাম, সদর থানার এসআই শরজিদ কুমার ঘোষ, এসআই গাজী ইকবাল হোসেন, কনস্টেবল সাধন কুমার ও নারদ কুমার, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান গোলাম রসুল, জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি জনপ্রশাসন মন্ত্রীর ভগ্নিপতি আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল ইসলাম।

এছাড়াও অজ্ঞাত পরিচয়ের আরও ২০-৩০ জনকে আসামি করা হয়েছে। নিহত আব্দুল জাব্বরের ছেলে আব্দুল মালিতা বাদি হয়ে মামলাটি দায়ের করেছেন।

বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সদর থানার ওসিকে এফআইআরএর নির্দেশ দিয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন বাদি পক্ষের আইনজীবী কামরুল ইসলাম।
আসামিরা পরস্পর জোগসাজসে আব্দুল জব্বারকে আটক করে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পরিবারের।

মামলার আর্জিতে উল্লেখ করা হয়েছে, নিহত আলহাজ্জ আব্দুল জব্বার ইসলামি ভবাদর্শের তৃণমূলে নেতা এবং আমঝুপি ইউনিয়ন পরিষদের ৯নং ওয়ার্ড সদস্য (মেম্বর) ছিলেন। পরবর্তী নির্বাচনে তিনি আমঝুপি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন।

মামলার আর্জিতে আরও বলা হয়েছে, আব্দুল জব্বারের পাশাপাশি তার ছেলেকেও (মামলার বাদি) গ্রেফতার করে সদর থানা হাজতে রাখা হয়। পরে ছেলেকে একটি মামলা আদালতে সোপর্দ করা হলেও আব্দুল জব্বারকে শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতন শেষে বুকে পিঠে গুলি করে হত্যা করা হয়। ঘটনার দুই মাস পর বাদি জামিনে মুক্তি পেয়ে স্বাক্ষীদের কাছ থেকে হত্যাকান্ডের বিষয়টি জানতে পারেন।

প্রসঙ্গত, মেহেরপুর জেলা জামায়াতের সহকারি সেক্রেটারি তারিক মুহাম্মদ সাইফুল ইসলামকে বন্দুকযুদ্ধের নামে হত্যার অভিযোগে গেল ৬ সেপ্টেম্বর একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন তার ভাই। এ মামলটিরও প্রধান আসামি তৎকালিন পুলিশ সুপার একেএম নাহিদুল ইসলাম। মামলাটিতে পুলিশ, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট, জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আওয়ামী লীগের কয়েকজন নেতাকর্মী আসামি রয়েছেন।




মেহেরপুরে চাষীদের কার্ড বাতিলের প্রতিবাদে মানববন্ধন

মেহেরপুর সদর উপজেলার কালি গাংনী গ্রামের ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির লিফ রিজনের অর্ধশত তামাক চাষীদের তামাক বিক্রয়ের কার্ড প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে বাতিল করার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছে ভুক্তভোগী চাষীরা।

আজ মঙ্গলবার বিকেলে কালিগাংনী-কাথুলী সড়কে মানববন্ধন করেন তামাক চাষীরা। মানববন্ধনে নেতৃত্বদেন, কালিগাংনী গ্রামের লিফ রিজনের তামাকচাষী মানিক হোসেন।

তিনি লিখিত বক্তব্যে বলেন, ব্রিটিশ আমেরিকান টোব্যাকো কোম্পানির আঞ্চলিক ব্যবস্থাপক ( আর এম) হাসিবুর রহমান, এরিয়া লিফ ম্যানেজার সাইফুল ইসলাম, সহকারী লিফ ম্যানেজার তাসনিম হোসেন, যোগদানের পর থেকে মেহেরপুরে অনিয়ম দুর্নীতির মাধ্যমে তামাক ক্রয় করে আসছিলেন। গত বছর আমাদের এলাকার প্রকৃত তাৃাক চাষীদের তামাক না নিয়ে দালালদের মাধ্যমে অন্য জেলার বড় বড় তামাক ব্যবসায়ীদের নিকট থেকে কেজিপ্রতি কমিশন নিয়ে নিম্নমানের তামাক ক্রয় করেন। ফলে কার্ডে তামাক বিক্রি করা ও ন্যায্যমুল্য থেকে বঞ্চিত হন চাষীরা। এমন নানা অনিয়মের প্রতিবাদ করি। এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে কালিগাংনী গ্রামের লিফ রিজনের প্রায় ৪০ জন তামাক চাষীর কার্ড অবৈধভাবে বাতিল করেছেন বলে আমরা জানতে পেরেছি।

আমরা এই ঘটনার বিষয়টি ব্রিটিশ টোব্যাকো কোম্পানির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সুদৃষ্টি কামনা করছি। কার্ড কেটে দেওয়ার বিষয়টি তদন্ত করে নিয়মানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করছি। একই সাথে আমাদের কার্ড তালিকাভুক্ত করার দাবী জানাচ্ছি।

মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, কালি গাংনী গ্রামের লিফ রিজনের তামাক চাষী, জাকের হোসেন, ইশারত আলী, জিনারুল ইসলাম, পিকলু, জিয়া উল হক, ইয়ারুল ইসলাম, সরোত দাস, ভরোত দাস, রকবুল হোসেন, গোলাম মোস্তফা, রমজান আলী, আখের আলী, মাহাবুল হক, আসাদুল হকসহ গ্রামের অর্ধশত তামাক চাষীরা মানববন্ধনে আংশ গ্রহন করেন