কোটচাঁদপুরে গলায় রশি দিয়ে আত্মাহত্যা, কলেজ ছাত্রী পূজার

গলায় রশি দিয়ে আত্মাহত্যা করেছেন কলেজ ছাত্রী পূজা সরকার। রবিবার এ ঘটনাটি ঘটেছে কোটচাঁদপুরের সলেমানপুর পালপাড়ায়।

জানা যায়, পূজা সরকার কোটচাঁদপুর সলেমানপুর গ্রামের বিশ্বজিৎ সরকারের মেয়ে। আর বিশ্বনাথ একই পাড়ার নাড়ু শর্মার ছেলে। তারা একই ক্লাসের ছাত্র । দুইজনই বর্তমানে এইচএসসি পরীক্ষার্থী। ওই দুই জনের মধ্যে দীর্ঘ ৩ বছর প্রেম।

এক বছর হল বিয়ে হয়েছে তাদের। এরপর বিশ্বনাথের পরিবার মেনে নিলেও মেয়ের পরিবার ছিলেন শক্ত অবস্থানে। সম্প্রতি তৃতীয় পক্ষের সমঝোতায় উভয় পরিবারের মধ্যে মিমাংসা হয়। আত্মীয়তাও শুরু হয় দুই পরিবারে।

এরমধ্যে শনিবার শ্বশুর বাড়ি থেকে বাপের বাড়িতে আসেন পূজা সরকার। রবিবার এ ঘটনা ঘটিয়েছেন সে। এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মৃতের শ্বশুর নাড়ু শর্মা।

কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক শারমিন আক্তার বলেন,পূজাকে মৃত অবস্থায় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন,তাঁর স্বজনরা।

এ ব্যাপারে কোটচাঁদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হারুন অর রশিদ বলেন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খবরে আমরা গিয়ে ছিলাম। ময়না তদন্তের জন্য মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পারিবারিক কারনে এ ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।




৫০ লাখের মাইলফলক ছুঁয়ে দিলাম: মেহজাবীন

বর্তমানে তারকাদের জনপ্রিয়তার অন্যতম মানদণ্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কে কতটা এগিয়ে। কার কত ফলোয়ার। অভিনয়ের পাশাপাশি এ মাপকাঠিতে পিছিয়ে নেই অভিনেত্রী মেহজাবীন।

ফেসবুকের পাশাপাশি ইনস্টাগ্রামেও দারুণ সক্রিয় এ অভিনেত্রী। এই প্ল্যাটফরমে সম্প্রতি অভিনেত্রী তিশা ও নুসরাতকে পেছনে ফেলেছেন। তার ফলোয়ার সংখ্যা ৫ মিলিয়ন ছড়িয়েছে।

বর্তমানে ইনস্টাগ্রামে দেশের তারকাদের সবচেয়ে এগিয়ে গেছেন মেহজাবীন। তার মোট ফলোয়ার সংখ্যা ৫ মিলিয়ন বা ৫০ লাখ। এই অর্জনে মেহজাবীন ঘরোয়া আয়োজনে কেক কেটে উদযাপন করেন।

ইনস্টাগ্রামে এই অভিনেত্রী এখন বাংলাদেশিদের মধ্যে সবচেয়ে এগিয়ে। বাংলাদেশের আর কোনো তারকা, ব্যক্তি কিংবা প্রতিষ্ঠানেরও ইনস্টাগ্রামে এতসংখ্যক অনুসারী নেই।

দেখা গেছে, ৪০ লাখ ৭০ হাজার অনুসারী নিয়ে ইস্টাগ্রামে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন তানজিন তিশা। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন নুসরাত ফারিয়া, যার বর্তমান ইনস্টাগ্রাম অনুসারী ৩০ লাখ ৯০ হাজারেরও বেশি।

ইনস্টাগ্রামে শীর্ষে পৌঁছানো প্রসঙ্গে মেহজাবীন চৌধুরী এক বার্তায় লিখেছেন, ‌ইনস্টাগ্রামের একটা অডিয়েন্স আছে। যারা ফেসবুকের চেয়ে খানিকটা আলাদা। তারা আমাকে অনুসরণ করে, এটা আমার জন্য ভালো লাগার। শুক্রবার ৫০ লাখ ফলোয়ারের মাইলফলক ছুঁয়ে দিলাম, এটা অন্যরকম এক ভালো লাগা। যারা আমাকে অনুসরণ করছেন তাদের আন্তরিক ভালোবাসা জানাই

ইনস্টাগ্রাম আইডি প্রসঙ্গে অভিনেত্রী আরও বলেন, আমার এই আইডিটা ২০১২ সালে খুলেছিলাম। তখন প্রায় কয়েক বছর এটার প্রাইভেসি প্রাইভেট করে রেখেছিলাম তা না হলে এতদিনে হয়তো আরও অনেক অনুসারী হতো।

সূত্র: যুগান্তর




মুজিবনগরে সুদ কারবারীর বাড়িতে পুলিশের অভিযান, স্ট্যাম্প ও ব্যাংক চেক উদ্ধার

মেহেরপুরের মুজিবনগরে সুদের ব্যবসা ও প্রতারণার অভিযোগে একটি বাড়িতে ঘণ্টাব্যাপি অভিযান চালিয়েছে পুলিশের একটি দল। এ সময় বাড়ির মালিক সুদ কারবারী দিবাস্তিন মন্ডল (৪৮) কে আটক করা হয়। আটককৃত দিবাস্তিন মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের বল্লভপুর গ্রামের মৃত খোকন মন্ডলের ছেলে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে দিবাস্তিন মন্ডল একজন প্রতারক। সে বিভিন্ন এলাকার গরীব ও অসহায় লোকজনকে লোভের ফাঁদে ফেলে চেক ও স্ট্যাম্প নিয়ে সুদের কারবার করছে এবং পরবর্তীতে উক্ত চেক এবং স্ট্যাম্পে ইচ্ছামত টাকার অংক বসিয়ে প্রতারণা করে থাকে। এমনকি মোটর সাইকেলও জমা রাখে। পরবর্তীতে প্রতারণার মাধ্যমে অধিক টাকা আদায় করে।এমন গোপন খবর পেয়ে

শনিবার রাত ৮টা থেকে ঘণ্টাব্যাপি মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদি রাসেল এর নেতৃত্ব পুলিশের একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। এ সময় আটককৃত সিবাস্তিনের বাড়ি তল্লাশি চালিয়ে ৪৪ টি নং জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প,২৭ পিচ (ব্লাঙ্ক) ব্যাংক চেক এবং ৩টি মোটরসাইকেল জব্দ করা হয়।

মুজিবনগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদি রাসেল জানান,দিবাস্তিন মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামের মানুষকে স্ট্যাম্প ও সাদা ব্যাংক চেকে স্বাক্ষর করিয়ে নিয়ে চড়া সুদে টাকা ধার (হাওলাত) দিয়ে আসছিল। কেউ টাকা পরিশোধ করতে না পারলে,তাদের স্বর্ণের গহনা ও মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য মালামাল উঠিয়ে নিয়ে আসতো। দিবাস্তিনের এর বাড়িতে স্ট্যাম্প ও চেকসহ অন্যের কাছ থেকে জোরপূর্বক উঠিয়ে নিয়ে আসা মালামাল রয়েছে এমন গোপন সংবাদ পায়। শনিবার সন্ধ্যারাতে তার বাড়িতে অভিযান চালিয়ে এসব মালামাল জব্দসহ দিবাস্তিন কে থানা হেফাজতে নেয়া হয়েছে। তার নামে মামলা দিয়ে রবিবার কোর্ট প্রেরণ করা হয়েছে।

শীঘ্রই আসছে জিরো থেকে হিরো আলিশান বাড়ির মালিক সুদ কারবারি দিবাস্তিনের আমলনামা।




দুর্দান্ত বোলিংয়ে প্রস্তুত সিরিজ জয়ের মঞ্চ, টাইগারদের সামনে লক্ষ্য ১১৮

জিতলেই সিরিজ জয়, সিরিজ জিতলেই ইতিহাস। সেই ইতিহাস গড়তে বাংলাদেশ দলের সামনে লক্ষ্য ১১৮ রান। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচে আগে বোলিং করে ইংল্যান্ডকে ১১৭ রানেই বেধে ফেলেছে টাইগার বোলাররা। আগের ম্যাচে একাদশে না থাকা মিরাজ এই ম্যাচে মাঠে নেমেই বুঝিয়ে দিলেন মিরপুরের উইকেটে তিনি কতটা কার্যকরী। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং করে ইংল্যান্ডকে যেন একাই আটকে দিয়েছেন মিরাজ।

আজ বিকেল ৩টায় মিরপুরের শের-ই-বাংলা জতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ।টস জিতে ইংলিশদের ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানান টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান।

মিরপুরের স্পিনিং উইকেটের সুবিধা নিতে শামিম হোসেনের জায়গায় আজ মেহেদি হাআসান মিরাজকে নিয়ে মাঠে নামে বাংলাদেশ। সেই স্থার পূর্ণ প্রতিদান দিলেন মিরাজ। ৪ ওভারে ১২ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়ে একি যেন ধসিয়ে দিয়েছেন ইংলিশদের ব্যাটিং লাইনআপ।

বোলিংয়ে নেমে শুরুতেই ইংলিশ ব্যাটারদেরচেপে ধরে তাসকিন আহমেদ ও মুস্তাফিজুর রহমান। ইনিংসের তৃতীয় আর নিজের দ্বিতীয় ওভারেই বাংলাদেশকে প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন তাসকিন। ৮ বলে ৫ রান করা ডেভিড মালানকে ফেরান হাসান মাহমুদের ক্যাচ বানিয়ে। ১৬ রানেই প্রথম উইকেটা হারায় ইংলিশরা।

এরপর পাআওয়ার প্লে’র বাকিটা সময় অবশ্য বাংলাদেশকেই উল্টো ভয় দেখাচ্ছিলো ফিল সল্ট আর মঈন আলী।প্রতি ওভারেই চার-ছয়ে পাআওয়াআর প্লে শেষে ১ উইকেটে ৫০ রাআন তুলে ফেলে ইংল্যান্ড।পাওয়ার প্লে’র পরের ওভারেই বোলিংয়ে এসে দুজনের ৩৪ রানের জুটি ভাঙ্গেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। নিজের বলেই দুর্দান্ত এক ক্যাচ নিয়ে ফিল সল্টকে ২৫ রানেই সাজঘরে ফেরান সাকিব।

পরের অভারে ইংলিশ শিবিরে আঘাত হানেন পেসার হাসান মাহমুদ। ৬ বলে ৪ রান করা ইংলিশ অধিনায়ক জস বাটলারের স্ট্যাম্প ভেঙ্গে বাংলাদেশকে উল্লাসে মাতান হাসান মাহমুদ। পরের ওভারে ইংলিশ শিবিরে ফের আঘাত হানেন মিরাজ। নবম ওভারের শেষ বলে ১৭ বলে ১৫ রান করা মঈন আলীকে সাজঘরে ফেরান মিরাজ। ৫০ রানে ১ উইকেট থেকে মুহুর্তেই ইংল্যান্ড হয়ে যায় ৪ উইকেটেত ৫৭ রান।

সেখান থেকে দলকে ট্র্যাকে ফেরাতে চেয়েছিলেন বেন ডাকেট আর স্যাম কারান। দুজন মিলে গড়েন ৩৪ রানের জুটি। এরপরই জোড়া আঘাত মিরাজের। ১৫তম ওভারের দ্বিতীয় বলে ১২ রান করা কারানকে ফিরিয়ে জুটি ভাঙ্গেন মিরাজ। এক বল বাদে শূন্য হাতেই ক্রিস ওকসকেও সাজঘরের পথ দেখান মিরাজ। বেরিয়ে এসে খেলতে গিয়ে দুজনই স্ট্যাম্পিং হন লিটন দাসের হাতে।

এক ওভার বাদে নিজের শেষ ওভার করতে এসে আবারও লাল-সবুজের গ্যালারিকে উল্লাসে ভাসান মিরাজ। ১৭তম ওভারের শেষ বলে ক্রিজ জর্ডানকে ফেরান রনি তালুকদারের ক্যাচ বানিয়ে। ১০০ রানেই ৭ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড।

ইনিংসের শেশ ওভারে এসে উইকেটের দেখা পান মুস্তাফিজুর রহমানও। শেষ ওভারের প্রথম বলেই ২৮ বলে ২৮ রান করা বেন ডাকেটটে ফেরান নাজমুল হোসেন শান্তর ক্যাচ বানিয়ে। ওভারের চতুর্থ বলে রানআউট হয়ে ফেরেন ১১ বলে ১১ রান করা অভিষিক্ত রেহান আহমেদ। ইনিংসের শেষ বলে এসে রান আউট হন জোফরা আর্চারও।শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে সবগুলো উইকেট হারিয়ে ১১৭ রান সংগ্রহ করে ইংল্যান্ড।

সূত্র: ইত্তেফাক




গাংনীতে দুই সুদ কারবারীর নামে মামলা

মেহেরপুরে গাংনী শহরের উত্তরপাড়ায় অভিযান চালিয়ে দুই সুদ কারবারীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এসময় তাদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ৩২০ টি বিভিন্ন ব্যাংকের ব্লাঙ্ক চেক, ৬৬৯টি ননজুডিশিয়াল সাদা স্ট্যাম্প, ১৩টি টালি খাতা ও ৫টি মোটরসাইকেল। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে গাংনী থানা পুলিশের একটি টীম এ অভিযান চালায়। এসময় আনিছুর রহমান নামের অপর সুদ কারবারী পালিয়ে যায়।

গ্রেপ্তারকৃতরা হচ্ছে- উত্তরপাড়ার হাজী ছমির উদ্দীনের ছেলে হানিফ(৪৫) ও মৃত ইউনুস আলীর ছেলে আনারুল ইসলাম(৫৫)। রোববার দুপুরে দুজনকে মেহেরপুর আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আনিছুর রহমান নামের অপর সুদ কারবারীকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক রবিবার বেলা ১১টার সময় এক প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, বিপদে পড়া মানুষ তাদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে সুদের জালে আটকে যায়। টাকা নেওয়ার সময় ব্লাঙ্ক চেক ও সাদা স্ট্যাম্পে সই করে নেওয়া হয়। টাকা দেওয়ার পর থেকে সুদ ব্যবসায়ীদের জুলুমের শিকার হন অনেকে। চড়া সুদের অর্থ আদায় করতে অনেকের নামে চেক ডিজঅনার মামলা করে ফাঁসিয়েছে গ্রেফতারকৃত সুদ ব্যবসাযীরা। অনেকেই ভিটে মাটি বিক্রি করে এলাকা ছেড়েছেন।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক প্রেস ব্রিফিং করে জানান, জনৈক মনিরুল ইসলাম তার ব্যবহৃত একটি মোটরসাইকেল জিম্মা রেখে সুদ কারবারী হানিফের কাছ থেকে একলাখ টাকা গ্রহণ করেন। ওই টাকা সুদাসলে দুই লাখ ২০ হাজার টাকা হয়। হানিফ টাকা পেতে দেরী হওয়ায় মোটরসাইকেলটি বিক্রি করে দেয়।

এ ব্যাপারে মনিরুল ইসলাম গাংনী থানায় অভিযোগ করলে পুলিশ হানিফ আনারুলের বাড়িতে অভিযান চালায়। এসময় সুদ কারবারে ব্যবহৃত টালিখাতা, স্ট্যাম্প , চেক ও একটি স্বর্ণের চেইন উদ্ধার করা হয়। টের পেয়ে পালিয়ে যায় অপর সুদ কারবারী আনিছুর রহমান।

তাদের বিরুদ্ধে গাংনী থানার এসআই মাসুদুর রহমান বাদী হয়ে পেনাল কোড- ৩৪/৪০৬/৪২০/৪২২/৪২৩/৪২৪ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন যার নং- ১৪/২৩ তাং- ১২-০৩-২৩ ইং। এ মামলায় তাদেরকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে বলেও জানান ওসি।




মুজিবনগরে এম এ এস ইমনের গণসংযোগ

মেহেরপুর-১ (সদর ও মুজিবনগর) আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য এম এ এস ইমন বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ ও সরকারের উন্নয়ন চিত্র সম্বলিত বুকলেট বিতরণ করেছেন।

গতকাল শনিবার বিকালে মুজিবনগর উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে তিনি নেতাকর্মীদের সঙ্গে নিয়ে এ গণসংযোগ করেন।

গনসংযোগকালে এম এ ইস ইমন বলেন, আমরা আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন সম্বলিত বুকলেট বিতরণ করছি। বুকলেটটি দেখে সাধারণ মানুষ যাতে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন দেখে ভোট দিয়ে আবারও শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতায় নিয়ে আসে।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা মানে উন্নয়ন, সেই উন্নয়নের ক্ষেত্রে শেখ হাসিনার কোন বিকল্প নেই। আওয়ামী লীগ সরকার যেন আবার ক্ষমতায় আসতে পারে এ লক্ষ্যে আমরা আবার মাঠে নেমেছি। এর আগে যেমন করে আমরা প্রত্যেকটি বাড়িতে বাড়িতে গিয়েছি, আওয়ামী লীগের উন্নয়নের কথা বলেছি, শেখ হাসিনার উন্নয়নের কথা বলেছি, আমরা একইভাবে আবার মানুষের কাছে যাচ্ছি, আওয়ামী লীগের উন্নয়নের কথা বলছি।

গণসংযোগকালে মেহেরপুর শহর আওয়ামী লীগের সহসভাপতি বেলাল হোসেন, ২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরিদ আহমেদ, জেলা যুবলীগের সদস্য সাজ্জাদ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছা সেবক লীগ সম্মেলন প্রস্তুত কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চন্দন, শরিফ রেজা পান্না, রবিউল ইসলাম, যুবলীগ নেতা ফারুক হোসেন, আতিক রহমান স্বপন, সানা উল্লাহ, ছাত্রনেতা ইব্রাহিম আলীসহ দলীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেন।




আলমডাঙ্গায় সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ

আলমডাঙ্গা উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উদ্যোগে পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের আওতায় সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে আয়োজিত ঋণ বিতরণী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক (ডিসি) আমিনুল ইসলাম খাঁন ।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সমাজ সেবা অধিদফতরের মহা-পরিচালক (গ্রেড-১) ড. আবু সালেহ মোস্তফা কামাল। তিনি বলেন,সরকার সামাজিক সুরক্ষার জন্য সমাজ সেবা অধিদপ্তর থেকে অসংখ্য কর্মসুচি গ্রহন করেছেন।তিনি আরো বলেন গ্রামীন ব্যাংকের ২ বছর আগে থেকে আমরা সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋন বিতরন করছি,অথচ গ্রামীন ব্যাংক সুদযুক্ত ঋন দিয়েও নোবেল পুরস্কার পেল। আমরা অসহায় মানুষের পাশে সব সময় দাড়িয়েছি,এখনও আছি।

জাতীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সমাজ সেবা অধিদপ্তরকে ঢেলে সাজিয়েছিল,তখন থেকে গরীব অসহায় মানুষদের এই দপ্তরের মাধ্যমে সেবা দিয়ে আসছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নেই,কিন্ত তার সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধান মন্ত্রী সমাজ সেবা অধিদপ্তরের মাধ্যমে সামাজিক সকল প্রকার সুরক্ষা করে চলেছেন। আমি এই দপ্তরের দায়িত্ব নেবার পর দেখলাম এই অঞ্চল খুবই অবহেলিত। এখানে অনেকে বলছেন উপজেলা পরিষদের রাস্তাটি সংস্কার করা হয়না,আপনারা প্রকল্প গ্রহন করে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে পাঠান আমি স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ের সচিব কে বলে করে দেব,উনি আমার ব্যাচমেট। আসলে উপর স্তরে আমাদের লোক নেই,আজ নোয়াখালি,কুমিল্লার লোকদের দিকে তাকান দেখবেন সচিব,থেকে পিয়ন পর্যন্ত সব তারা।আমি মনে করি একজন চাকরি জীবির সৎতাই সব চাইতে বড় হাতিয়ার,আমি সৎ হলে যে কোন কাজ করতে আমাকে বেগ পেতে হবে না। জেলা প্রশাসক আমিনুল ইসলাম আমার সাথে একই মন্ত্রনালয়ে চাকরি করেছে,সে খুব একটিভ কর্মকর্তা।তাকে আপনারা ব্যাবহার করে কাজ করিয়ে নেন।

এসময় আরো বক্তব্য রাখেন খুলনা বিভাগীয় সমাজ সেবা কার্যালয়ের পরিচালক মোঃ আব্দুর রহমান,উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, জেলা সমাজ সেবা কার্যালয়ের উপ-পরিচালক সিদ্দিকা সোহেলী রশীদ, উপজেলা নির্বাহি অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রেজওয়ানা নাহিদ, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান সালমুন আহম্মেদ ডন, মহিলা ভাইস-চেয়ারম্যান কাজী মারজাহান নিতু,প্রেসক্লাবের সাধারন সম্পাদক হামিদুল ইসলাম আজম,বীর মুক্তিযোদ্ধা মইনদ্দিন পারভেজ,উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাষ্টার।

অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আবু মুছা, বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব শেখ নুরমোহাম্মদ জকু, চেয়ারম্যান এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোজাহিদুর জোয়াদ্দার লোটাস প্রমূখ।

উপজেলা পল্লী সমাজসেবা কার্যক্রমের আওতায় মোট ৪৪ জনের মধ্যে ৮ লক্ষ ২২ হাজার টাকা সুদমুক্ত ক্ষুদ্র ঋণ বিতরণ করা হয়। একই দিন বিভিন্ন এতিম শিশুদের মাঝে উপকরণ প্রদান করা হয়।




চুয়াডাঙ্গার দৌলাৎদিয়াড়ে আঞ্চলিক তুলা উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে কৃষক সমাবেশ

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার আলুকদিয়া ইউনিয়নের দৌলাৎদিয়াড় দক্ষিণপাড়ার জান্নাতুল মাওয়া হাফিজিয়া এতিমখানা প্রাঙ্গনে আঞ্চলিক তুলা উন্নয়ন বোর্ডের আয়োজনে এবং তুলা গবেষণা উন্নয়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর প্রকল্পের অর্থায়নে কৃষক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা আঞ্চলিক তুলা উন্নয়ন বোর্ডের প্রধান তুলা উন্নয়ন কর্মকর্তা কৃষিবিদ শেখ আল্-মামুনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের অতিরিক্ত পরিচালক ড.শেফালী রানী মজুমদার।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা তুলা উন্নয়ন বোর্ডের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ জাফর আলী, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক রাজীব হাসান কচি ও আলুকদিয়া ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আক্তাউর রহমান মুকুল এবং ৮ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য আব্দুর রহমান হাবলু।

সমাবেশে বক্তব্য রাখেন তুলা চাষী কামরুজ্জামান সজল ও সাইফুল ইসলাম।

প্রধান অতিথি ড.শেফালী রানী মজুমদার বলেন, তুলা চাষে উচ্চফলনশীল জাতের বীজ ব্যবহার করা হচ্ছে। তুলা উৎপাদনের পর বিক্রি ব্যবস্থা ঝাঁমেলামুক্ত। চাষীদের টাকা পেতে সমস্যা হয়না। চাষের ক্ষেত্রে সে কারনে চাষীরা এগিয়ে আসছে। সমাবেশে শতাধিক তুলা চাষী উপস্থিত ছিলেন।




সুদের টাকায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ; অবশেষে গাংনী পুলিশের জালে দুই সুদ ব্যবসায়ী

মেহরেপুরে গাংনী উত্তরপাড়ায় গাংনী থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে আলোচিত ও টাকার ব্যাংক খ্যাত দুই সুদ কারবারি আবু হানিফ (৪০) ও আনারুল ইসলামকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সুদ ব্যবসায়ী আনারুল ইসলাম গাংনির উত্তর পাড়ার মৃত  ইউনুস আলীর ছেলে ও আবু হানিফ একই পাড়ার ছমিরুদ্দীনের ছেলে। এসময় আরও এক সুদ কারবারী  পালিয়ে যায়। পুলিশ তাকে আটকের চেস্টা করছে।
শনিবার সন্ধা সাড়ে ৭ টার দিকে গাংনী থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাকের নেতৃত্বে অভিধান পরিচালিত হয়।  সুদ ব্যবসায়ী আবু হানিফের ছয়তলা বিশিষ্ট বাড়িতে আধা ঘন্টা যাবত তল্লাশী চালায় পুলিশ।  সুদ কারবারের কাজে ব্যবহৃত ব্লাঙ্ক চেক, সাদা স্ট্যাম্প ও ৫টি মোটর সাইকেল জব্দ করেছে পুলিশ। এসব ব্ল্যাংক চেক ও স্ট্যাম্প জিম্মা রেখে অবৈধভাবে সুদ ব্যবসার মাধ্যমে হাজারো মানুষকে পথে বসিয়েছে এসব সুদ ব্যবসায়ীরা। এমন অভিযোগে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে জানায় অভিযান পরিচালনাকারি পুলিশের টিম।
এদিকে  গাংনীর আলোচিত দুই সুদ ব্যবসায়ীর বাড়িতে পুলিশের অভিযানের বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে শত শত উৎসব জনতা আবু হানিফের ছয়তলা বাড়ির নিচে ভিড় জমাই এবং এই সুদ ব্যবসায়ীদের দৃষ্টান্ত  মূলক শাস্তির দাবি করেন।  একই সাথে উপস্থিত জনতা গাংনী থানা পুলিশের এই অভিযানকে স্বাগত জানান এবং  শুধু গাংনী শহর নয়,বিভিন্ন গ্রামেও  সমবায় সমিতির কথিত রেজিস্ট্রেশন নিয়ে যারা দেদারছে সুদ ব্যবসা চালিয় আসছে তাদের বিরুদ্ধেও আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য গাংনী থানা পুলিশের অভিযান অব্যাহত রাখতে আহ্বান জানান।
স্থানীয়রা জানান, সুদ কারবারী অবু হানিফ একসময় ওয়েল্ডিং মিস্ত্রি হিসেবে কাজ করতেন। সে সময় আর্থিক দৈন্যতার মধ্যদিয়ে চলতো আবু হানিফের সংসার। পরে জড়িয়ে পড়ে সুদ কারবারীর সাথে। সুদের টাকায় এখন সে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন। তার সুদের খপ্পরে পড়ে কয়েক হাজার পরিবার নিঃস্ব হলেও আবু হানিফ ও আনারুল গড়েছেন টাকার পাহাড়।  সুদ ব্যবসা করে আবু হানিফ নির্মাণ  করেছেন গাংনীতে ছয় তলা বাড়ি। এলাকাবাসী তাকে উত্তরা ব্যাংক নামে চেনে ও জানে। শুধু আনারুল ইসলাম ও আবু হানিফ নয় ,  গাংনী শহরের অনেক নামিদামি প্রভাবশালী ব্যক্তিও সুদ ব্যবসার সাথে জড়িত বলে  জনান স্থানীয়রা।
গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, বিপদে পড়া মানুষ তাদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়ে সুদের জালে আটকে যায়। টাকা নেওয়ার সময় ব্লাঙ্ক চেক ও সাদা স্ট্যাম্পে সই করে নেওয়া হয়। টাকা দেওয়ার পর থেকে সুদ ব্যবসায়ীদের জুলুমের শিকার হন অনেকে। চড়া সুদের অর্থ আদায় করতে অনেকের নামে চেক ডিজঅনার মামলা করে ফাঁসিয়েছে গ্রেফতারকৃত সুদ ব্যবসাযীরা। সুদের জালে আটকিয়ে অনেক পরিবার আজ এলাকাছাড়া হয়ে বিভিন্ন শহরে পালিয়ে মানবতার জীবন যাপন করছে। অনেক পরিবার তাদের ঘরবাড়ি বিক্রি করে সুদের টাকা পরিশোধ করে ওরে হায় পাইনি। অবশেষে ভুক্তভোগী পরিবারগুলির নামে মিথ্যা চেক বিজয়ার মামলা করে হয়রানি করছে।  সুদ ব্যবসায়ীদের খপ্পরে পড়া নিঃস্ব
ভুক্তভোগীদের  এমন অভিযোগের ভিত্তিতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাদের নামে মামলা দায়ের পুর্বক আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান ওসি।



মুজিবনগরে বৃত্তিপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা ও ল্যাপটপ বিতরণ

মুজিবনগরে বৃত্তিপ্রাপ্ত ৪৭ শিক্ষার্থীকে সংবর্ধনা ও ১৪ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়েছে।  শনিবার (১১ মার্চ) বিকালে মুজিবনগর অডিটোরিয়ামে সংবর্ধনা ও ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ও মেহেরপুর ১ আসনের সাংসদ ফরহাদ হোসেন।

এ সময় ট্যালেন্টপুলে ২২ ও সাধারণ বৃত্তিপ্রাপ্ত ২৫ জন শিক্ষার্থীকে ক্রেস্ট ও মেডেল এবং প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেন প্রতিমন্ত্রী। এছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনকারী ৪ জন শিক্ষককে পুরুষ্কার দেওয়া হয়।

বৃত্তিপ্রাপ্তদের সংবর্ধনা ও ল্যাপটপ বিতরণ অনুষ্ঠানে, মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাস এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন, জেলা প্রশাসক ড. মোহাম্মদ মুনসুর আলম খান, পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, জেলা শিক্ষা অফিসার মাহফুজুল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ খালেক, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ আলাউদ্দিন, মহাজনপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু,বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন।

অনুষ্ঠানটির সার্বিক সঞ্চালনায় ছিলেন, পুরুন্দরপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শিরিনা খাতুন।