মেসির হাতেই ‘ফিফা দ্য বেস্ট’

৩৬ বছরের অপেক্ষা শেষে বিশ্বকাপ জিতিয়েছেন আর্জেন্টিনাকে। ২০২২ সালের ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার যে লিওনেল মেসির হাতে উঠতে যাচ্ছে সেটি যেন অনুমিতই ছিলো। অনুষ্ঠানের আগেই ফাঁস হয়ে গিয়েছিলো নামও। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনার ইতি টেনে দ্বিতীয়বারের মতো ফিফা দ্য বেস্ট পুরস্কার উঠলো মেসির হাতেই।

প্রস্তুত ছিল মঞ্চ, উপস্থিত ছিলেন মেসি। অপেক্ষা শুধু আনুষ্ঠানিক নাম ঘোষণার। অবশেষে এলো সেই ক্ষণ। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতার। অপেক্ষার প্রহর শেষে আসলো সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। সোমবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাতে প্যারিসে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডসে’ ফিফা দ্য বেস্ট বিজয়ী হিসেবে মেসির নাম ঘোষণা করলেন ফিফা সভাপতি জিয়ান্নি ইনফ্যান্তিনো। মঞ্চে উঠলেন ক্ষুদে জাদুকর। দ্বিতীয়বারের মত হাতে তুললেন ফিফা দ্য বেস্টের ট্রফি।

ফিফ দ্য বেস্টে মেসির প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন দুই ফরাসি কিলিয়ান এমবাপ্পে ও করিম বেনজেমা। তবে বিশ্বকাপের সোনার পালক মাথায় নিয়ে প্যারিসে এসেছিলেন মেসি, এবার সবচেয়ে যোগ্য দাবিদার ছিলেন আর্জেন্টাইন মহাতারকা। এমবাপ্পে ও বেনজেমাকে পেছনে ফেলে বর্ষসেরা ফুটবলার হলেন মেসি।

এই নিয়ে দ্বিতীয়বারের মতো ফিফা দ্য বেস্ট পুরষ্কার জিতলেন মেসি। তবে ব্যালন ডি’অর ও ফিফার সম্মিলিত পুরস্কার হিসেব করলে সংখ্যাটা ৭। ১৯৯১ থেকে বিভিন্ন নামে বর্ষসেরা ফুটবলারের পুরস্কার দিয়ে আসছে বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ সংস্থাটি। শুরু থেকে ২০০৯ পর্যন্ত ‘ফিফা ওয়ার্ল্ড প্লেয়ার অব দ্য ইয়ার’ নামের পুরস্কার একবার জেতেন মেসি।

পরের ছয় বছর ফরাসি ম্যাগাজিন ‘ফ্রান্স ফুটবল’ আর ফিফা মিলে দেয় ফিফা ডি’অর। এই পুরস্কারটি মেসি জেতেন ৪ বার। এরপর ২০১৯ সালে ‘ফিফা দ্য বেস্ট’ নাম দেয় ফিফা, এই নিয়ে যেটি দ্বিতীয়বার জিতলে মেসি। তবে আগের প্রত্যেকবারের চেয়ে এবারেরটা অনেক বেশি স্পেশ্যাল মেসির কাছে। এবারেরটা যে পেয়েছেন দেশকে কাঙ্ক্ষিত বিশ্বকাপ শিরোপা এনে দেওয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ।

ফিফা দ্য বেস্ট জিতে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে লিওনেল মেসি বলেন, বছরটা আমার জন্য দারুণ ছিল। অনেক ত্যাগের পর স্বপ্নপূরণ হয়েছে। খুব কম খেলোয়াড়ই এই স্বপ্ন পূরণ করতে পারে এবং আমি তা পেরেছি। নিজের পরিবার ও আর্জেন্টিনার মানুষদের ধন্যবাদ জানাই।

শুধু মেসি নয়, প্যারিসে ‘দ্য বেস্ট ফিফা ফুটবল অ্যাওয়ার্ডস’র জমকালো আয়োজনে এবার অনেকটা আলো কেড়ে নিয়েছেন আর্জেন্টাইনরা। সেরা গোলরক্ষক এমিলিয়ানো মার্টিনেজ ও সেরা কোচ লিওনেল মেসির ট্রফিও গেছে আর্জেন্টিনার ঘরেই।

এদিকে, টানা দ্বিতীয়বারের মতো ফিফার বর্ষসেরা নারী ফুটবলারের পুরস্কার জেতেন অ্যালেক্সিয়া পুতেয়াস। যুক্তরাষ্ট্রের অ্যালেক্স মর্গান ও ইংল্যান্ডের বেথ মিডকে হারিয়ে বর্ষসেরার খেতাব জেতেন স্পেন ও বার্সা মিডফিল্ডার।




গাংনীতে কৃষক হত্যা মামলায় কৃষকলীগ নেতা আতিয়ার সহ ৮ জনের যাবজ্জীবন

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার ধলা গ্রামের কৃষক এনামুল হক নইলো হত্যা মামলায় গাংনী উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আতিয়ার রহমানসহ ৮ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার দুপুরে মেহেরপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিজ্ঞ বিচারক শহিদুল্লাহ আসামীদের উপস্থিতিতে এ রায় প্রদান করেন।

দণ্ডিতরা হলেন- ধলা গ্রামের ছইফতুল্লাহর ছেলে আতিয়ার রহমান, মহব্বত আলীর ছেলে ছামিদুল ইসলাম, রহমতুল্লাহর ছেলে শাহার আলী, শাহার আলীর ছেলে টিপু সুলতান, গোলাম হোসেনের ছেলে আব্দুল খালেক, আহম্মদ আলীর ছেলে আক্তারুজ্জামান, জার্মান ওরফে দফের আলীর ছেলে মান্নান ওরফে মানা ও আজিত বক্সের ছেলে জিল্লুর রহমান।

মামলার বিবরনে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৯ জুলাই সন্ধ্যায় ধলা গ্রামের আক্কাস আলীর ছেলে এনামুল হক নইলোকে পূর্ব শত্রুতার জেরে স্থানীয় নওপাড়া নবীনপুর ঈদগাহ ময়দানের পাশে হত্যা করে গাংনী উপজেলা কৃষকলীগের সভাপতি আতিয়ারসহ ৯ জন। এ ব্যাপারে নিহতের ভাই আজমাইন হোসেন টুটুল বাদী হয়ে গাংনী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। যার নং ৩৪। সেশন ১৬৯/১৮ ও জিআর ২৪১/১৭। পরবর্তীতে মামলাটি সিআইডিতে স্থানান্তর করা হয়। সিআইডির উপ-পরিদর্শক হাসান ইমাম মামলার তদন্ত শেষে ৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশীট প্রদান করেন।

বিজ্ঞ আদালত বাদী বিবাদী পক্ষের আইনজীবীর যুক্তিতর্ক ও ১৫ জন স্বাক্ষিদের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামীদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ২০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের কারাদণ্ড প্রদান করেন।

মামলায় রাষ্ট্রপক্ষে কৌশলী ছিলেন (পিপি) পল্লব ভট্টাচার্য ও আসামী পক্ষের কৌশলী ছিলেন একেএম শফিকুল আলম।

পরে দণ্ডিতদেরকে মেহেরপুর জেলা কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।




মেহেরপুরে আ.লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে চার প্রার্থী মাঠে

মেহেরপুরে রাজনৈতিক অঙ্গনে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের হাওয়া বইতে শুরু করেছে। ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রার্থীরা বিভিন্ন সমাবেশ, গণসংযোগ, সরকারের উন্নয়ন চিত্র সম্বলিত বুকলেট বিতরণ ও সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় শুরু করেছেন।

আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে থেকে ৪ জন সম্ভাব্য প্রার্থী ইতোমধ্যে এসকল রাজনৈতিক কমূর্সচী শুরু করেছেন। তারা হলেন- জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন এমপি, সাবেক এমপি প্রফেসর আব্দুল মান্নান, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য এম এ এস ইমন ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি ও সদর উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. ইয়ারুল ইসলাম।

কয়েক মাস ধরে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন সম্বলিত বুকলেট বিতরণ করে তৃণমূলে নতুন করে সাড়া ফেলেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় প্রচার ও প্রকাশনা উপকমিটির সদস্য ও সাবেক ছাত্রনেতা এম এ এস ইমন। তিনি নিজে এবং অনুসারারী মেহেরপুর-১ আসনের (সদর ও মুজিবনগর) সকল গ্রামে বুকলেট বিতরণ করে বর্তমান সরকারের উন্নয়ন চিত্র মানুষের মাঝে তুলে ধরছেন। বুকলেটে বর্তমান আওয়ামী লীগের সরকারের দেশব্যাপী নানা উন্নয়ন ও বিএনপি সরকারের উন্নয়ন নিয়ে তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরেছেন। খুব সহজেই আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চিত্র সম্পর্কে গ্রামের সাধারণ মানুষ ধারণা পেয়ে যাচ্ছেন। প্রায় প্রতিদিন বিকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এম এ এস ইমনের অনুসারী নেতাকর্মীরা বুকলেট বিতরণের কাজ করছেন। মানুষের সুখ দু:খের খোঁজ খবর নিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ কর্মীরা নতুন করে আশা জাগাচ্ছে।

বুকলেট বিতরণের উদ্বোধনী দিনে তিনি বলেছেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক চিত্রের পাশাপাশি বিএনপির সরকারের উন্নয়নের তুলনা করে এ বুকলেট তৈরি করা হয়েছে। যাতে করে সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চিত্র সম্পর্কে ধারণা পায়। এবং একই সঙ্গে পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসে। এ বুকলেট ভালোভাবে পড়লেই সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে পারবে।

মেহেরপুর সদর উপজেলা চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি এ্যাড. ইয়ারুল ইসলামও কয়েক মাস ধরে বিভিন্ন গ্রামে গণসংযোগ করে বেড়াচ্ছেন। তিনিও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে।

মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য প্রফেসর আব্দুল মান্নান আগামী নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন বলে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি ইচ্ছা পোষণ করেছেন। তিনি বলেন, আমি মেহেরপুরের দলমত নির্বিশেষে সাধারণ মানুষের কাছে থাকতে চাই। মেহেরপুরের মানুষকে সাথে নিয়ে উন্নয়ন করতে চাই। যতদিন বেচে থাকবো মনোনয়ন চাইবো। আশা নিয়ে থাকতে চাই। তবে দলীয় মনোনয়ন না পেলে নির্বাচন করবো না কিন্তু দলের পক্ষে নির্বাচনী মাঠে থাকবো।

কয়েক মাস ধরে মহিলা সমাবেশ ও দলীয় সমাবেশ করে নির্বাচনী মাঠে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। তার স্ত্রী মোনালিসা হোসেন মহিলা সমাবেশ করে দলকে উজ্জীবিত করার কাজ করছেন।

এছাড়া কয়েকজন নেতা আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইবেন বলে খবর পাওয়া গেলেও এখনো কোন ধরণের গণসংযোগ করতে দেখা যায়নি। তবে পরবর্তি পর্বে সকল প্রার্থীদের নিয়ে প্রতিবেদন প্রকাশ করা হবে।

উল্লেখ্য, মেহেরপুর সদর ও মুজিবনগর উপজেলা মিলে মেহেরপুর-১ আসন। ২০০৮ সাল থেকে এই আসনের ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দখলে। ২০০৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি জয়নাল আবেদীন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফরহাদ হোসেন।

নির্বাচনী হাওয়া নিয়ে ধারাবাহিকভাবে রাজনৈতিক সংবাদ প্রকাশ আজকের পর্ব দিয়ে শুরু হলো। ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন দলের সংবাদগুলো বিভিন্নভাবে প্রকাশ করা হবে। (চলমান)




জীবননগর উপজেলাকে ভূমিহিন ও গৃহহীনমুক্ত ঘোষনা সংক্রান্ত যোথ সভা

জীবননগর উপজেলাকে ভ’মিহিন ও গৃহহিনমুক্ত ঘোষনা সংক্রান্ত যোথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার সকাল ১০টার সময় জীবননগর উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের হলরুমে এ মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকুনুজ্জামানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাফিজুর রহমান,উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূ’মি তিথি মিত্র, জীবননগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আর বাবু, জীবননগর সাংবাদিক সমিতির সভাপতি জাহিদ বাবু, সীমান্ত ইউপি চেয়ারম্যান ইসাবুল ইসলাম মিল্টন,বাকা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের প্রধান, রায়পুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ শাহ, আন্দুলবাড়িয়া ইউপি চেয়ারম্যান শেখ শফিকুল ইসলাম মোক্তার প্রমুখ ।




জীবননগরে ডাঃ জাহাঙ্গীর আলমের লেখা দুইটি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন

জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ জাহাঙ্গীর আলমের লেখা কোকেন কান্ডে কিংস কাইট,তিন গোয়েন্দা ও ভোরের পাখি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়েছে।

সোমবার বেলা সাড়ে ১১টার সময় জীবননগর প্রেস ক্লাবের আয়োজনে প্রেস ক্লাব ভবনে এ বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করা হয়।

জীবননগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আর বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে তিনটি বইয়ের মোড়ক উম্মোচন করেন জীভননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকুনুজ্জামান, জীবননগর পৌর মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার, সিনিয়ার সাংবাদিক কামাল সিদ্দিক বাবু, জীবননগর সাংবাদিক সমতিরি সভাপতি জাহিদ বাবু, জীবননগর প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক কাজী শামসুর রহমান চঞ্জল, সাংবাদিক সালাউদ্দিন কাজল, মুন্সী রায়হান উদ্দিন, মাজেদুর রহমান লিটন, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম, পৌর কাউন্সিলার খোকন হোসেন, শিল্পী রানা, কবি আজিজুর রহমান প্রমুখ।

উক্ত অনুষ্ঠানটি সার্বিক পরিচালনা করেন সাংবাদিক মিঠুন মাহমুদ ।




জীবননগরে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

জীবননগরে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার ৭ম প্রতিষ্ঠিাবার্ষিকী পালন হয়েছে।

সোমবার সকাল সাড়ে ১১টার সময় দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার জীবননগর প্রতিনিধি মহিবুল ইসলাম মুকুলের আয়োজনে জীবননগর প্রেস ক্লাবে কেক কাটার মধ্যে দিয়ে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার ৭ম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালিত হয়।

জীবননগর প্রেস ক্লাবের সভাপতি এম আর বাবুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জীবননগর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী মোঃ হাফিজুর রহমান।

বিশেষ অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ রোকুনুজ্জামান, জীবননগর পৌর মেয়র মোঃ রফিকুল ইসলাম, জীবননগর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম ঈশা, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আয়েসা সুলতানা লাকী, জীবননগর থানার ওসি (তদন্ত) স্বপন কুমার, সিনিয়ার সাংবাদিক কামাল সিদ্দিক বাবু, জীবননগর সাংবাদিক সমতিরি সভাপতি জাহিদ বাবু, জীবননগর প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক কাজী শামসুর রহমান চঞ্জল, সাংবাদিক সালাউদ্দিন কাজল, মুন্সী রায়হান উদ্দিন, মাজেদুর রহমান লিটন, জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডাঃ জাহাঙ্গীর আলম, পৌর কাউন্সিলার খোকন হোসেন, শিল্পী রানা, কবি আজিজুর রহমান প্রমুখ।




জীবননগরে ৬ ইউপি নির্বাচন ৯ প্রাথী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার

আগামী ১৬ মাচ জীবননগর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন। এ নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হওয়া আওয়ামীলীগের ৩ নেতাসহ ৬সদস্য তাদের মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করে নির্বাচন থেকে সড়ে দাড়িয়েছেন।

সোমবার জীবননগর উপজেলা নিবাচন অফিস সুত্রে জানা গেছে।

আগামি ১৬মাচ জীবননগর উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন নিবাচন থেকে সরে দাড়িয়েছেন, মনোহরপুর ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রাথী মোঃ রাজা মিয়া, উথলী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রাথী ফৈরদৌস লিমন ও বাকা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান মোঃ শামীম হোসেন এছাড়াও মনোহরপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়াডের মেম্বার প্রাথী আবু সাঈদ কে ডি কে ইউনিয়নের ৩নং ওয়াডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য জোসনা খাতুন, ৩নং ওয়াডের মেম্বার প্রাথী আঃ হান্নান, ৪নং ওয়াডের মেম্বার প্রাথী মোঃ বাবলু ,বাকা ইউনিয়নের ১নং ওয়াডের মেম্বার প্রাথী হাফিজুর রহমান, হাসাদহ ইউনিয়নের ৯নং ওয়াডের মেম্বার প্রাথী বোরহান উদ্দিন মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেন।

উপজেলার ৬টি ইউনিয়ন থেকে স্বতন্ত্র প্রাথী নির্বাচন থেকে সড়ে দাঁড়ানোর কারনে বর্তমানে নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী রয়েছেন ২৮ জন।

প্রার্থীরা হলেন কে ডি কে ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রাথী মোঃ খাইরুল বাশার শিপলু, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ রাজিব হোসেন, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ মুহিবুল হক, মনোহরপুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রাথী মোঃ সোহরাব হোসেন খান, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ কামরুজ্জামান, ইসলামী আন্দোলনের মনোনীত প্রাথী মোঃ আবু নাঈম, উথলী ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রাথী মোঃ আব্দুল হান্নান, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ আবুল কালাম আজাদ, স্বতন্ত্র প্রাথী আফজালুর রহমান ধীরু, হাসাদহ ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রাথী মোঃ রবিউল ইসলাম বিশ্বাস, স্বতন্ত্র প্রাথী সোহরাব বিশ্বাস, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ মতিয়ার রহমান, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ আলম, রায়পুর ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রাথী মোঃ তাহাজ্জদ মিজা, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ আব্দুর রশিদ শাহ, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ সাজ্জাদ বিশ্বাস, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, বাকা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রাথী আব্দুল কাদের প্রধান, স্বতন্ত্র প্রাথী মোঃ শাহাববুদ্দিন, স্বতন্ত্র প্রাথী মাওলানা মোঃ হাফিজুর রহমান, স্বতন্ত্র প্রাথী আবুল কাশেম, স্বতন্ত্র প্রাথী রাজা মালিতা।

জীবননগর উপজেলা নিবাচন অফিসার মোঃ মেজর আহম্মেদ বলেন, আগামী ১৬ মাচ জীবননগর উপজেলার ৬টি ইউনিয়নে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে এই নিবাচন অবাধ সুষ্ঠ নিবাচন হবে। ইতোমধ্যেই ৩জন স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রাথী সেচ্ছায় মনোনয়ন প্রত্যাহার করে নিয়েছে। আজ মঙ্গলবার প্রাথীদের মাঝে প্রতীক বরাদ্ধ দেওয়া হবে।




দামুড়হুদায় মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার বার্ষিক মতবিনিময় সভা

নারীর প্রতি সহিংসতা কমিয়ে এনে নারী অধিকার প্রতিষ্ঠা, বাল্য বিবাহের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলাসহ নির্যাতিত নারীদের দির্ঘদিন ধরে আইনি সহায়তা দিয়ে আসছে মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থা। এরই ধারাবাহিকতায় দামুড়হুদায় সরকারি কর্মকর্তা, জনপ্রতিনিধি, গণমাধ্যম কর্মীসহ বিভিন্ন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মুক্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার বার্ষিক মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ সভাকক্ষে মতবিনিময়সভা অনুষ্ঠিত হয়।

দামুড়হুদা উপজেলা সমবায় অফিসার হারুন অর রশিদের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রোকসানা মিতা।

বিশেষ অতিথি ছিলেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম। এ ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি (অপারেশন) শফিউল আলম, জুড়ানপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান এসএএম জাকারিয়া আলম, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী, উপজেলা যুব উন্নয়ন কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন, উপজেলা পল্লী উন্নয়ন কর্মকর্তা সাইফুন নাহার ইপসি, উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা তোফাজ্জল হোসেন, দামুড়হুদা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার হোসেন বকুল, ব্র্যাকের এরিয়াম্যানেজার শংকর মহাজন, সিডিও’র সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ কমিটির সদস্য জয়িতা নাজমা খাতুন প্রমুখ।

শুরুতেই প্রকল্পের সার্বিক চিত্র তুলে ধরেন সংস্থার সহ-সমন্বয়কারী ফরহাদ আলী খান। সংস্থার সার্বিক কার্যক্রম বিষয়ে আলোকপাত করেন প্রকল্প সমন্বয়কারী উম্মে সালমা। বার্ষিক প্রতিবেদন তুলে ধরেন সংস্থার প্রকল্প কর্মকর্তা দিল তৌহিদা পারভীন।

সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সংস্থার অফিস সহকারী হাবিবুর রহমান।




দামুড়হুদায় পুনর্বাসন সম্পর্কিত যৌথ সভা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদায় ভূমিহীন-গৃহহীন (ক-শ্রেণী) পরিবারের শতভাগ পুনর্বাসন সম্পর্কিত যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার বেলা সাড়ে ১২টার সময় দামুড়হুদা উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে উপজেলা পরিষদের সভা কক্ষে ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারের শতভাগ পুনর্বাসন সম্পর্কিত যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাহফুজুর রহমান মঞ্জু।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাহিদা বেগম। সভায় স্বগত আলোচনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সজল কুমার দাস।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজী শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি অপারেশন সাইফুল আলম, পার কৃষ্ণপুর মদনা ইউপি চেয়ারম্যান জাকারিয়া আলম, জুড়ানপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান হযরত আলী, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আ: করিম, কুড়ালগাছি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন,নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী,নাটুদাহ ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, ওদুদ শাহ্ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ কামাল উদ্দিন, দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিলন, সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান তোতা, হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) নিজাম উদ্দিন, প্যানেল চেয়ারম্যান (২) শহিদুল ইসলাম, সদর ইউপি সদস্য ও দামুড়হুদা উপজেলা সিআইজি কৃষক সংগঠনের সভাপতি সামসুল ইসলামসহ সব ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও মেম্বারগণ এবং বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।




কোটচাঁদপুরে পানির কারখানায় অভিযান ৬০ হাজার টাকা জরিমানা

কোটচাঁদপুরে পানির কারখানায় অভিযান চালিয়েছেন ভ্রাম্যমান আদালত। তিন প্রতিষ্টানকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা, বন্ধ করা হয়েছে একটি। সোমবার কোটচাঁদপুর শহরে এ অভিযান চালানো হয়।

জানা যায়, কোটচাঁদপুর পৌর শহরে কয়েক জন অসাধু ব্যক্তি ফ্রেস পানির নামে অবৈধ্য প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলে, তাদের ব্যবসা করে আসছিল। গতকাল সোমবার ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চালান কোটচাঁদপুর ব্রীজঘাট হালদার পাড়ার এস এম নুরুল আমীনের আলামিন টেড্রিংয়ের বিশুদ্ধ পানি সাপ্লাই, কলেজ বাসস্ট্যান্ডের আক্তার হোসেনের মিরর ডিংকি ওয়াটার ও হাইস্কুল সড়কের রুহুল আমীনের কোটচাঁদপুর ফ্রেস পানির কারখানায়।

এ তিনটি পানির কারখানাকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। আর বন্ধ করে দিয়েছেন আলামিন ট্রেডিংয়ের ব্যাটারির পানির কারখানাটি।

অভিযানে উপস্থিত ছিলেন, ঝিনাইদহের ভোক্তাধিকারের সহকারি পরিচালক মামুনুল হাসান, কোটচাঁদপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্যানিট্যারি ইন্সপেক্টর মনিরুজ্জামান সহ সঙ্গীয় পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা।

এ ব্যাপারে ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট খান মাসুম বিল্লাহ বলেন, ভোক্তাধিকারের ৩৭ ধারা অনুযায়ী কোটচাঁদপুরেন তিনটি পানির কারখানাকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। আর বন্ধ করে দেয়া হয়েছে একটি ব্যাপারির পানির কারখানা।

তিনি বলেন, প্রাথমিক ভাবে এ জরিমানা করা হয়েছে। এরপরও তারা সংশোধন না হলে, পরবর্তীতে জরিমানা সহ অন্যান্য পদক্ষেপ নেয়া হবে।