মেহেরপুরে অতি বৃষ্টি ও ঝড়ো হাওয়ায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি

মেহেরপুর জেলার ওপর দিয়ে টানা চারদিনের অবিরাম বৃষ্টিতে মাঠের উঠতি ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। মরিচসহ বিভিন্ন সবজি আউশ ধান বিনষ্টের পাশাপাশি অনেক নিচু এলাকার আমনধান পানিতে তলিয়ে গেছে। ভেসে গেছে পুকুর ও মাছের ঘের। ক্ষয়ক্ষতি নিরপনে মাঠে কাজ করছে কৃষি অফিস।

গত শুক্রবার থেকে শুরু হয়েছে ঝড়ো হাওয়া ও ভারি বৃষ্টি। এতে আউশধান পানিতে তলিয়ে গেছে ও মাটিতে নেতিয়ে পড়েছে। একই অবস্থা মরিচ,লাউ,চিচিংগা, ঢেড়শ,মিস্টি কুমড়া,বাঁধাকপি, ফুলকপির ক্ষেতসহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেতের। কৃষকরা বলছেন, বেশ কয়েক বছর পর অতি বৃষ্টিতে ফসলের ব্যপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে। এক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকরা মোটা অংকের টাকা লোকসানে পড়বে।

জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় আগাম প্রস্ততি নিতে না পারাই বেশি ক্ষতির সম্মুখীন হতে হচ্ছে। তবে ক্ষয়ক্ষতি নিরপনে কৃষি অফিস কাজ করছে।

শুক্রবার বিকেল থেকে শুরু হয় বৃষ্টি আর মাঝা‌রি ঝড়। গতকাল সোমবার(১৬ সেপ্টেম্বর) বিকেল পর্যন্ত একইভাবে তা অব্যাহত রয়েছে।

সরেজমিনে মেহেরপুর জেলার বিভিন্ন মাঠ ঘুরে দেখা গেছে,পানির নিচে তলিয়ে গেছে নিচু এলাকার জমির ফসল। অন্যদিকে সবজি ক্ষেতে পানি জমে থাকায় গাছ মরতে শুরু করেছে। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হয়েছে মরিচ ক্ষেত। আউস মৌসুমের ধান কাটতে যাদের বাকি ছিল তারাও প‌ড়ে‌ছেন চরম বিপাকে। এছাড়াও লিচু এলাকার আমন ধান তলিয়ে গেছে প্রানির নিচে। পানির নিচে তলিয়ে গেছে সবজি ক্ষেত,বাঁধাকপি,ফুলকপি,লাউ,চিচিংগা ও ঢেঁড়সের মাঠ।

জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী জেলায় চলতি সময়ে ২ হাজার ২১৫ হেক্টর জমিতে আউশ,২ হাজার ৬৬০ হেক্টর আমনধান, ৪ হাজার ৫৪৫ হেক্টর মরিচ এবং ৪ হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন সবজির আবাদ হয়েছে। যা জেলার সারা বছরের চাহিদা পুরুন করে দেশের বিভিন্ন জেলার চাহিদা পুরুন করে এবং তা বিক্রি করে সংসার খরচ চলে কৃষকদের।

এদিকে ঝড়ো হাওয়া ও ভারি বৃষ্টিতে ক্ষতির পরিমাণ করছে জেলা কৃষি বিভাগ। তথ্য বলছে, শুক্রবার থেকে রবিবার পর্যন্ত প্রায় ১ হাজার হেক্টর জমির আমনধান, ১৫০০ হেক্টর আউশধান, ৪৫০ হেক্টর জমির মরিচ আবাদ এবং ৮০০ হেক্টর জমির সবজি পানিতে তলিয়ে গেছে। তবে শেষ পর্যন্ত ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা গেছে।

কৃষকরা জানান,দীর্ঘ কয়েক বছর অনাবৃষ্টির এই জেলায় আকস্মিক প্রচুর বৃষ্টিপাতের ফলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে। মেহেরপুর জেলায় আবহাওয়া অফিস না থাকায় বৃষ্টিপাত বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কোন সংবাদ জানতে পারিনি। দুর্যোগের আগাম সংবাদ পেলে প্রস্ততি নেয়া যেত।

মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী গ্রামের মরিচ চাষি মতলেব হোসেন বলেন, দুই বিঘা ৫ কাঠা জমিতে মরিচ লাগিয়েছি দেড়মাস আগে। প্রতিটি গাছে ফুল ধরেছে। কিছু গাছে মরিচ ধরেছে। বাতাস ও ভারি বৃষ্টিতে মরিচ গাছ নেতিয়ে পড়েছে। অনেক মরিচ গাছ মরতে শুরু করেছে।

কৃষক ছাইদুল ইসলাম বলেন, দেড়বিঘা জমিতে লাউ আবাদ করেছি। চারদিনের বৃষ্টির পানিতে লাউয়ের মাচা পর্যন্ত পানি উঠেছে। এভাবে পানিতে জমি ডুবে থাকলে লাউগাছ মরে যাবে।

সদরের মদনাডাংগা গ্রামের কৃষক কোরবান আলি জানান, দুই বিঘা জমির আউশধান কেটে মাঠে বিচালি শুকানোর জন্য জমিতে ফেলে রাখা হয়েছিল। পুরো জমির ধান পানিতে ভাসছে। ধানে চারা গজিয়ে পড়েছে। দুই বিঘা জমিতে অন্তত ৩৫ থেকে ৪০ মন ধান ঘরে উঠতো।

গাংনীর গাড়াডোব গ্রামের কৃষক রহমতুল্লা বলেন, মেহেরপুর জেলায় আমাদের মত হাজারও কৃষক আছে। যারা শুধুমাত্র সবজি চাষ করে। কিন্তু মেহেরপুর জেলায় তেমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ না থাকায় সবজির চাষ করে লাভবান হই। অথচ হঠাৎ এই দুর্যোগের কারনে সব সবজি পানির নিচে। আমার এক বিঘা জমির আগাম জাতের বাঁধাকপির জমিতে পানি জমে থাকায় মরে যাচ্ছে।

ভাটপাড়া গ্রামের মরিচ চাষি আব্দুল আলীম বলেন, ঝড়ো হাওয়ায় মরিচের গাছ পড়ে গেছে। বৃষ্টির পানিতে ডুবে গেছে মরিচের গাছ।
ধানচাষি রহিদুল ইসলাম বলেন,আউশধান লাগিয়েছি দেড়বিঘা। ধান পেকে গেছে। দুএকদিনের মধ্যেই ধান কাটামাড়াই করে ঘরে তুলতাম। জমিতে গিয়ে দেখি শুধুই পানি। দুএকদিনের মধ্যেই ধানে চারা গজিয়ে যাবে। এধান ঘরে তুলতে না পারলে সংসার চালানো মুশকিল হয়ে পড়বে।

এদিকে টানা বৃ‌ষ্টি‌তে কার্যত অচল হয়ে পড়েছে জনজীবন।

কখনো হালকা বৃষ্টি আবার কখনো ভারী বৃষ্টিপাতের কবলে পড়েছে মেহেরপুর জেলা। এতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছেন। শ্রমজীবী এবং কর্মজীবী মানুষ ঘর থেকে বের হলেও যানবাহন না পেয়ে বিপাকে পড়ছেন। অন্যদিকে বৃষ্টির মধ্যে ছোট ছোট যানবাহন নিওয় বের হলেও যাত্রী পাচ্ছেন না এর চালকরা। এতে অলস সময় পার করছেন তারা।

এদিকে জরুরি প্রয়োজনে ঘর থেকে মানুষ বের হলেও পাচ্ছেন না কাঙ্খিত সেবা। অব্যাহত বৃষ্টির কারণে রাস্তাঘাট হয়ে পড়েছে ফাঁকা। ব্যবসা-বাণিজ্য সহ সব কাজেই বিরূপ প্রভাব পড়েছে। কার্যত অচল অবস্থা বিরাজ করছে জনজীবনে।

বঙ্গোপসাগরের গভীর স্থল নিম্নচাপ এবং মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে মেহেরপুর জেলাসহ খুলনা বিভাগের সব জেলায় বৃষ্টিপাত ও ঝড় হচ্ছে বলে জানায় চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস। চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র পর্যবেক্ষণ কর্মকর্তা রকিবুল ইসলাম জানান, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর অঞ্চলে গতকাল সকাল ৬ টা থেকে দুপুর ২ টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে ১০৮ মিলিমিটার এবং বাতাসের গতিবেগ ছিল ৩৫ থেকে ৪০ কিলোমিটার।

মেহেরপুর কৃষিসমপ্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক কৃষিবিদ বিজয় কৃঞ হালদার বলেন, মেহেরপুর জেলা একটি কৃষি নির্ভয় জেলা। এজেলায় প্রাকৃৃতিক কোন দুর্যোগ নেই। জেলায় প্রচুর সবজি,ফল,ধান ও মরিচ হয়। গত শুক্রবার থেকে একটানা বর্ষণ ও ঝড়োহাওয়া বইছে। এতে ফসলের ক্ষতি হচ্ছে। বিশেষ করে উঠতি ফসলের ক্ষতি হয়েছে বেশি। তবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নিরপনে কৃষি বিভাগ কাজ করছে। ইতোমধ্যে প্রাথমিক ভাবে একবার ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট প্রেরণ করা হয়েছে। আবারও মাঠ পর্যায়ে ক্ষয়ক্ষতির পরিমান নিরপন করার কাজ অব্যাহত রয়েছে। তবে সবজির জমি থেকে দ্রত পানি নিষ্কাশন করা এবং পচনরোধক স্প্রে করতে কৃষকদের পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।




চুয়াডাঙ্গায় ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে দোয়া ও মোনাজাত

চুয়াডাঙ্গায় ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী( সা.) উপলক্ষে দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।  সোমবার চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে এই দোয়া মাহফিল ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় আয়োজনে দেশ ও জাতির কল্যানে এবং মুসলিম উম্মাহর ঐক্য, শান্তি ও অগ্রগতি কামনা করে বিশেষ মোনাজাত করা হয়।

অনুষ্ঠানে চুয়াডাঙ্গার নবাগত জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গার নবাগত পুলিশ সুপার খন্দকার গোলাম মওলা, বিপিএম- সেবা, চুয়াডাঙ্গা সিভিল সার্জন সাজ্জাৎ হোসেন।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক( সার্বিক) মিজানুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিপুল আশরাফ, চুয়াডাঙ্গা সদর আলমডাঙ্গা জীবননগর ও দামুড়হুদার উপজেলা নির্বাহী অফিসার সহ জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা ছাড়াও বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ ও আলেম সমাজের প্রতিনিধিগণের উপস্থিতিতে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সা.) পালিত হয়।




মেহেরপুর পৌর জামায়াতের উদ্যোগে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবীর আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর পৌর জামায়াতের উদ্যোগে মডেল মসজিদ সিরাতুল ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ।

আজ সোমবার (১৬ই সেপ্টেম্বর) রাত ৭ টার সময় মেহেরপুর পৌর জামায়াতের উদ্যোগে মডেল মসজিদ সিরাতুল ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন  মেহেরপুর জেলা আমির মাওলানা তাজ উদ্দিন খান, পৌর আমির সোহেল রানা ডলার, পৌর সেক্রেটারি, মনিরুজ্জামান, জেলা মডেল মসজিদ ইমাম সাদিকুর রহমানসহ জামায়াতের নেতাকর্মীগন উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় টানা বৃষ্টিপাতে কৃষকের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ; ভেঙ্গে পরছে মাটির ঘর

সারাদেশের ন্যায় দামুড়হুদা উপজেলায় টানা ৩ দিনের বৃষ্টিপাতে কৃষকের সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই সঙ্গে ভেঙ্গে পরছে মাটির ঘর।

আজ সোমবার সকালে উপজেলার বিভিন্ন স্থান ঘুরে দেখা যায় সবজি চাষের জমিতে বৃষ্টির পানি জমে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এদিকে উপজেলার ডুগডুগি গ্রামের তিনটি পরিবারের মাটির ঘর ভেঙ্গে গেছে।

জানাগেছে, দামুড়হুদা উপজেলায় একটানা তিন দিন বৃষ্টিপাত হওয়ার কারণে ডোবা ও নিচের জমিতে পানি বেধে যায়। এতে পেঁপে গাছ, কাঁচা মরিচ, পাকা ধান ও কপি সহ বিভিন্ন সবজির ক্ষেতে পানি ওঠার কারণে লাল হয়ে মারা যাচ্ছে। অতিরিক্ত বৃষ্টি পাতের কারণে পেঁপে গাছ ভেঙ্গে গেছে। কোথাও কোথাও বৃষ্টির পানি বেঁধে পেঁপে গাছের গোড়া পচন ধরেছে। সেই সাথে কাঁচা মরিচের গোড়ার বৃষ্টির পানি বেঁধে মরিচ গাছ ঝিমিয়ে পড়েছে। গাছের গোরা নরম থাকায় ঝাল তুলতে গেলে গাছ সহ উঠে আসছে। কপি গাছের গোড়ায় বৃষ্টির পানি উঠায় কপি গাছ নষ্ট হয়ে যাছে। অনেকের পুকুরে পানি বোঝায় হয়ে মাছ ভেসে গেছে। টানা বৃষ্টিতে কৃষকের যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরুন হবার নয়।

এদিকে বৃষ্টিপাতে উপজেলায় একই গ্রামের ৩টি পরিবারের মাটির ঘর ভেঙ্গে পরছে। উপজেলার ডুগডুগি গ্রামের হামিদুল ইসলাম, জাকির হোসেন ও আশা পাগলার মাটির ঘর ভেঙ্গে পরে গেছে। এতে কারও কোন ক্ষয় ক্ষতি হয়নি। তবে ঘর ভেঙ্গে যাওয়ায় তাদের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। প্রাকৃতিক দূযোগের কারণে এমন যেন মেনে নিতে পারছে না সাধারণ মানুষ। নিরবে সহ্য করতে হচ্ছে এ ক্ষতি। কৃষক ও সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য সকলের সুদৃষ্টি কামনা করছে এলাকার সাধরণ কৃষকরা।

কাঞ্চনতলা গ্রামের কৃষক শফিকুল ইসলাম বলেন, আমি দুই বিঘা কপি লাগিয়েছিলাম। দেখছেন তো সব পানির নিচে চলে গেছে। এত খরচ করে ফসল ঘরে তুলতে পারলাম না। আমার কপাল খারাপ। একই গ্রামের রকিবুল ইসলাম বলেন, আমার দুই বিঘা আউশ ধান ছিল। ধান কেটেছি পাঁচ দিন আগে। ধান কাটার পর পরই একটানা ৩-৪ দিন বৃষ্টি হচ্ছে। কাটা ধান বৃষ্টির পানিতে বিচালি সব ডুবে গেছে। ধান সব কল হওয়ার পথে। দুই বিঘা ধান আমার নষ্ট হয়ে গেল। কাকে দুষাবো। আল্লাহ যা ভালো মনে করেছেন তাই হয়েছে।

দামড়হুদা উপজেলা কৃষি অফিসার শারমিন আক্তার বলেন, টানা তিন দিনের বৃষ্টিপাতের কারণে সবজি চাষের ব্যাপক ক্ষতি হবে। তবে কি পরিমান ক্ষতি হয়েছে এখনই কিছু বলা যাচ্ছে না। আমরা মাঠ জরিপে আছি। পরবর্তীতে জানা যাবে কতটুকু পরিমাণ জমির সবজি চাষ নষ্ট হয়েছে। কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে তা নির্ণয় করা হবে।




প্রতিবন্দী জহুরাকে দেখতে গেলেন কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা

সংবাদ প্রকাশের পর প্রতিবন্দী জহুরাকে দেখতে যান কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে। আশ্বাস দেন সব ধরনের সহায়তার। গতকাল রবিবার( ১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জহুরার ঝুপড়ি দেখত যান তিনি। গতকাল ১৬ সেপ্টেম্বর প্রতিবন্দী জহুরাকে নিয়ে বেশ কিছু পত্রিকা ও অনলাইন পোটালে সংবাদ প্রকাশিত হয়। ওই সংবাদে তুলে ধরা হয় প্রতিবন্দী জহুরার জীবন জীবিকা ও তাঁর বাস্তব চিত্র।

বিষয়টি দৃষ্টি গোচর হয় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে র। রবিবার দুপুরে তিনি জহুরাকে দেখতে ছুটে যান কোটচাঁদপুরের সলেমানপুর দাসপাড়ার সড়কের পাশে বসবাস করা ঝুপড়িতে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জান্নাতুল মাওয়া, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শিলা বেগম ও তথ্য সেবা কর্মকর্তা তানিয়া সুলতানা।

নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন, দুই জন গণমাধ্যম কর্মী সহ জহুরার দেখা- শোনা করা রুমা খাতুনের সঙ্গে।
উল্লেখ্য, প্রতিবন্ধী জহুরা খাতুন (৫৮)। ৩০ বছর আগে স্বামী মারা যায়। এরপর ভিক্ষা বৃত্তি করে মানুষের কাছ থেকে চেয়ে মেয়েটিকে বড় করেন। এরপর বিয়ে দেন তাকে। গেল ২ বছর আগে সেও মারা যায়। হারিয়ে ফেলে জহুরা শারিরীক শক্তি ও মনোবল। এরপর গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পড়ে সে।

ভিক্ষা বৃত্তি ও করতে পারেন না। এ সময় সলেমানপুর দাসপাড়ার ৪ জন নারী পাশে দাড়ান জহুরার। যার মধ্যে রয়েছে রুমা বেগম,রাহেলা বেগম,সাজেদা বেগম ও পারভিনা বেগম। তারা স্থানীয় মানুষের কাছ থেকে টিন আর বেড়া চেয়ে এনে পরের জায়গায় রাস্তার পাশে থাকার ঝুপড়ি ঘরটি বানিয়ে দেন।

যার মধ্যে বসবাস করেন জহুরা। খাবার আর ওষুধের ব্যবস্থাও করেন তারা। কয়েক দিন ধরে অবিরাম বর্ষণে ডুবে গেছে রাস্তা ঘাট। সেই সাথে পানিতে ডোবার উপক্রম হয়েছে জহুরার ঝুপড়ি।

বিষয়টি নিয়ে ১৬ তারিখের বেশ কয়েকটি পত্রিকা ফলাও করে প্রকাশিত হয় সংবাদটি। এরপর রবিবার তাকে দেখতে যান নির্বাহী কর্মকর্তা উছেন মে । আশ্বাস দেন সব ধরনের সহায়তার। তিনি বলেন, জহুরা ও তাঁর ঘরটি আমরা স্বজমিনে দেখে গেলাম। স্যারের সঙ্গে কথা বলে দেখি ওনার জন্য কি করা যায়। ওই সময় তিনি প্রতিবন্দী জহুরার ঝুপড়িতে আলোর ব্যবস্থাও করতে বলেন সংশ্লিষ্টদের।




মেহেরপুরে ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

আজ সোমবার (১৬ই সেপ্টেম্ব সকাল সাড়ে ১১ টার সময় পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজের সভাপতিত্বে এ সময় বক্তব্য রাখেন স্থানীয় সরকারের উপ-পরিচালক শামীম হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রনি আলম নুর, সদর উপজেলা নির্বাহী  অফিসার (ভারপ্রাপ্ত)গাজী মূয়ীদুর রহমান, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক এ জে এম সিরাজুম মূনীম, জেলা নাজির মোঃ আফতাব উদ্দিন, ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ফিল্ড অফিসার আমানুল্লাহ আমান।

আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে কোরআন তেলাওয়াত করেন জেলা মডেল মসজিদের ইমাম সাদিকুর রহমান।

পরে পবিত্র ঈদ-ই-মিলাদুন্নবী (সঃ) উপলক্ষে  ও দোয়া মাহফিল মোনাজাত করেন কোট মসজিদে ইমাম জুবায়ের হাসান।




নিয়োগ দেবে সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক

নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক। প্রতিষ্ঠানটির অ্যাডমিন বিভাগ ডেপুটি ম্যানেজার পদে একাধিক জনবল নিয়োগ দেবে প্রতিষ্ঠানটি।

প্রতিষ্ঠানের নাম : সূর্যের হাসি নেটওয়ার্ক

পদের নাম : ডেপুটি ম্যানেজার পদসংখ্যা : নির্ধারিত নয় অভিজ্ঞতা : কমপক্ষে ৩ থেকে ৫ বছর

বয়সসীমা : উল্লেখ নেই

কর্মস্থল : দেশের যে কোনো জায়গায়

বেতন : আলোচনা সাপেক্ষে

আবেদন শুরুর তারিখ : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৪

কর্মঘণ্টা : ফুলটাইম

কর্মক্ষেত্র : অফিসে

প্রার্থীর ধরন : নারী-পুরুষ (উভয়)

আবেদনের শেষ সময় : ১৪ অক্টোবর ২০২৪

শিক্ষাগত যোগ্যতা : ইংরেজি, পাবলিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনস অথবা সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্নাতক/স্নাতকোত্তর ডিগ্রি

অন্যান্য যোগ্যতা : কম্পিউটারে এমএস ওয়ার্ড, এক্সেল এবং পাওয়ার পয়েন্টে দক্ষতা। অন্যান্য সুবিধা : প্রতিষ্ঠানের নীতিমালা অনুযায়ী

যেভাবে আবেদন করবেন : আগ্রহীরা আবেদন করতে ও বিস্তারিত বিজ্ঞপ্তিটি দেখতে এখানে ক্লিক করুন।




চাঁদের মাটিতে সম্পদের খোঁজে যাচ্ছে রাশিয়া

মহাকাশে একের পর এক অভিযান ও নতুন নতুন আবিষ্কারের প্রতিযোগিতায় লিপ্ত পৃথিবীর শক্তিশালী দেশগুলো। রাশিয়াও সেই প্রতিযোগিতা থেকে পিছিয়ে থাকতে চাইছে না। সোভিয়েত আমলে সর্বশেষ চন্দ্রাভিযানের পর গত বছর আবারও চাঁদে মহাকাশযান পাঠায় মস্কো। তবে ব্যর্থ হয় সেই অভিযান।

লুনা-২৫ চন্দ্রাভিযান নিয়ে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যে ছিল রাশিয়া। কিন্তু রাশিয়াকে হতাশ করে মহাকাশযানটি চাঁদে বিধ্বস্ত হয়। এরপর প্রায় এক বছর কোনো আলোচনা না হলেও এবার লুনা-২৬ এবং লুনা-২৭ মিশন নিয়ে কথা বলেছে দেশটি।

রাশিয়ান একাডেমি অব সায়েন্সেসের (আরএএস) মহাকাশ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (আইকেআই) বৈজ্ঞানিক পরিচালক শিক্ষাবিদ লেভ জেলেনি জানিয়েছেন, লুনা-২৬ এবং লুনা-২৭ মিশনের জন্যে বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম তৈরির কাজ প্রায় শেষ করেছে পুতিনের দেশ। তাই খুব দ্রুতই হতে পারে পরবর্তী অভিযান।

রাশিয়ার চন্দ্র কর্মসূচির প্রথম পর্যায়ের বৈজ্ঞানিক পরিচালক হিসেবেও দায়িত্বপালনকারী লেভ জেলেনি বলেছেন, লুনা-২৬ এবং লুনা-২৭ মিশনের জন্যে বৈজ্ঞানিক সরঞ্জাম তৈরির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।

জেলেনির মতে, রসকসমস দুটি কক্ষপথ নির্মাণের ধারণাকে সমর্থন করলেও অপর্যাপ্ত তহবিলের কারণে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়নি। লুনা-২৬ অরবিটারের উদ্দেশ্য হলো প্রাকৃতিক চন্দ্র সম্পদের সন্ধান এবং পরিমাপ করা যা ভবিষ্যতে ল্যান্ডিং মিশন দ্বারা শোষণ করা যেতে পারে। খুব দ্রুতই হতে পারে এই অভিযান।

আর চাঁদের উত্তর মেরুতে বা তার দূরের দিকে একটি মহাকাশ ফ্লাইটে ২০২৮ সালের দিকে লুনা-২৭ মিশন চালানোর কথা রয়েছে।

সূত্র: কালবেলা




দর্শনায় কেরু এ্যান্ড কোম্পানিতে পুরস্কার বিতরন ও বিদায় অনুষ্ঠান

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় কেরু এ্যান্ড কোম্পানিতে অন্তঃকক্ষ ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ২০২৪ পুরস্কার বিতরন ও বিদায় বরন অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল রবিবার (১৫ সেপ্টেম্বর) বেলা সাড়ে ১২ টার দিকে কেরু অফিসার্স ক্লাবে পুরস্কার বিতরন ও বিদায় বরন সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ পুরস্কার বিতরন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিদায়ী কেরু এ্যান্ড কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন।

এ সময় তিনি বলেন,আমি প্রায় ৩ বছর আপনাদের সাথে ছিলাম এবং এই প্রতিষ্ঠানটি ঘুরে দাড়ানোর জন্য যা করার দরকার আমি সব কিছু করেছি। তাই আপনারা যারা আছেন নিষ্ঠার সাথে কাজ করে যাবেন। আমি এই প্রতিষ্ঠানের কথা কখনও ভুলবোনা এ প্রতিষ্ঠানের জন্য সব সময় আমার দোয়া থাকবে। আপনারা যারা আছেন সবাই মন প্রান দিয়ে আমার সহিযোগিতা করেছেন আমি আপনাদের ঝন শোধ করতে পারবো না।

এ সময় তিনি অফিসারদের মাঝে খেলাধুলার পুরস্কার তুলে দেন।এবং বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালককে সৃতি চারন হিসাবে ক্রেষ্ট ও সম্মানা স্বারক তার হাতে তুলে দেন।

এ পুরস্কার ও বিদায়ী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন,কেরু এ্যান্ড কোম্পানির মহাব্যবস্থাপক জি এম কৃষি আশরাফুল আলম ভৃইয়া, মহাব্যবস্থাপক অর্থ আব্দুস ছাত্তার, মহাব্যবস্থাপক জি এম ডিস্টিলারি রাজিবুল হাসান, মহাব্যবস্থাপক এ ডি এম ইউসুফ আলী, ডিহি ফার্ম ম্যানেজার ইমদাদুল হক, মিনারুল ইসলাম, অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন কেরু এ্যান্ড কোম্পানীর ফার্ম ম্যানেজার সুমন কুমার সাহা। অপরদিকে রবিবার রাত ১০ টার দিকে নবাগত ব্যবস্থাপনা পরিচালক রাব্বিক হাসানকে কেরু গেষ্ট হাউজে তাকে ফুলের শুভেচ্ছা জানান বিদায়ী ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মোশারেফ হোসেন, মহাব্যবস্থাপক জি এম কৃষি আশরাফুল আলম ভৃইয়া, মহাব্যবস্থাপক অর্থ আব্দুস ছাত্তার, মহাব্যবস্থাপক জি এম ডিস্টিলারি রাজিবুল হাসান, এডিএম ইউসুফ আলীসহ বিভিন্ন কর্মকর্তা।




অস্কার কোয়ালিফাইং উৎসবে যাচ্ছে’নট আ ফিকশন’

সিনেকুয়েস্টের পর এবার দক্ষিণ এশিয়ান সিনেমার একমাত্র অস্কার কোয়ালিফাইং উৎসব ‘১৯তম তাসভির ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল অ্যান্ড মার্কেট’-এ একমাত্র বাংলাদেশি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র হিসেবে অফিশিয়াল সিলেকশন পেয়েছে শাহনেওয়াজ খান সিজু নির্মিত ‘নট আ ফিকশন’।

এই নিয়ে টানা ২য় বারের মতো হলিউডের অস্কার- কোয়ালিফায়িং উৎসবে সিলেকশন পেল আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে এক শটে নির্মিত বাংলাদেশি এই স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রটি, যার বাজেট ছিল মাত্র ১০ হাজার টাকা।

দক্ষিণ এশিয়ান ডায়াস্পোরার ১১০টি চলচ্চিত্র নিয়ে আয়োজিত এই উৎসবটি যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটন ডিসির সিয়াটল শহরে আগামী ১৫ থেকে ২০ অক্টোবর, ২০২৪-এ অনুষ্ঠিত হবে, যার ফিল্ম মার্কেট সেশনের কী-নোট স্পিকার হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অস্কার মনোনীত ভারতীয়-কানাডিয়ান নির্মাতা দীপা মেহতা।

এছাড়া অমিতাভ বচ্চন, বাবিল খান, পায়াল কাপাডিয়াসহ নেটফ্লিক্স, এইচবিও, সিএএ এবং আমাজন এমজিএম স্টুডিওসের মতো হলিউডের বড় বড় স্টুডিওগুলো উপস্থিত থাকবে দক্ষিণ এশিয়ান সিনেমা কেন্দ্রিক নর্থ আমেরিকার প্রথম এই গ্লোবাল ফিল্ম মার্কেট এবং ফেস্টিভ্যালে।

বাংলাদেশি নির্মাতা শাহনেওয়াজ খান সিজু তার প্রথম ফিচার ফিল্মের আন্তর্জাতিক ফান্ড সংগ্রহের জন্য অংশ নেবেন তাসভির ফিল্ম ফান্ড পিচেস (নেটফ্লিক্স সাপোর্টেড), কো-প্রোডাকশন মার্কেট, ইন্ডাস্ট্রি প্যানেল এবং নেটওয়ার্কিং সেশনে। আগামী ১৮ অক্টোবর যুক্তরাষ্ট্র সময় দুপর ২টায় ‘নট আ ফিকশন’-এর সিয়াটল প্রিমিয়ার অনুষ্ঠিত হবে উৎসবের মূল ভেন্যু এসআইএফএফ সিনেমা আপটাউন, সিয়াটলে। যেখানে ছবিটি লড়াই করবে সেরা অডিয়েন্স চয়েস এবং জুরি অ্যাওয়ার্ডের জন্য; যা একটি অস্কার কোয়ালিফায়িং অ্যাওয়ার্ড।

এই উৎসবের সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্যের পুরস্কার ছিনিয়ে আনতে পারলে নুহাশ হুমায়ুনের পরে ২য় বাংলাদেশি নির্মাতা হিসেবে অস্কারে কোয়ালিফাই করবেন শাহনেওয়াজ খান সিজু।

আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড নিয়ে নির্মিত এই চলচ্চিত্রটির নির্মাতা সিজু জানান, ‘তাসভিরের মতো এত বড় উৎসবে যাওয়াটা নিঃসন্দেহে আনন্দের খবর, সব ঠিক থাকলে আগামী ১৩ অক্টোবর সিয়াটলের উদ্দেশে ফ্লাই করব আমরা।’ তিনি আরো বলেন, “এতদিন ‘নট আ ফিকশন’-এর সফলতার গল্পই শুনে এসেছে সবাই, বারবার জানতে চেয়েছে ছবিটার গল্প নিয়ে। দেশে কেন দেখাচ্ছি না সেটা নিয়েও প্রচুর প্রশ্নের সম্মুখীন হয়েছি গত এক বছরে, তবে গুম হয়ে যাওয়ার ভয়ে উত্তর দিতে পারিনি। শুধুমাত্র আমার কাছের মানুষেরাই জানে, ফ্যাসিস্ট হাসিনার আমলে আইনবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের মতো স্পর্শকাতর একটা বিষয় নিয়ে কীভাবে বানিয়েছি এই ছবিটা। ভয় পাচ্ছিলাম, কখন যেন আবার আয়নাঘরে বন্দি হতে হয়! যাক, স্বাধীন দেশে এবার দেখাব ছবিটা, মাসখানেকের মধ্যেই ঢাকার মার্কিন দূতাবাসের আমেরিকান সেন্টার অথবা ইএমকে সেন্টারে প্রথম প্রিমিয়ারটা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর মুক্তি দেব ছবিটা, প্রকাশ্যে।”

সূত্র: ইত্তেফাক