রাজনীতির শুরু থেকে এ পর্যন্ত জনগণের সাথে মিশে আছি

রাজনীতির শুরু থেকে এ পর্যন্ত জনগণের সাথে মিশে আছি। কৃষক শ্রমিক মানুষের সাথে মিশে আছি। একজন কৃষক পরিবারের ছেলে হিসেবে রাজনীতির শুরু থেকে এ পর্যন্ত কৃষক পরিচয় দিতে গর্ববোধ করেছি।

মেহেরপুর জেলা যেহেতু কৃষি প্রধান জেলা এ জ্বালায় যেহেতু শিল্প কলকারখানা নেই সেহেতু কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারলে মেহেরপুরের উন্নয়ন হবে, মেহেরপুরের মানুষের উন্নয়ন হবে। এই কথা ভেবেই নির্বাচনের পরে সংসদ সদস্য হিসেবে আমার নির্বাচনী এলাকার গাংনীর বিভিন্ন মাঠে কৃষক ছাউনি স্থাপন করেছি।যাতে কৃষকরা ঝড় ঝাপটা ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ থেকে রক্ষা পেতে পারে। যার নাম দিয়েছি “শেখ হাসিনা কৃষক ছাউনি” এই প্রকল্পটি জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করেছি। যেটি দেশব্যাপী সমাদৃত হয়েছে।

গাংনী শহর ফোরলেন রাস্তায় পরিণত হচ্ছে। মেহেরপুর একটি বিশ্ববিদ্যালয় হচ্ছে। গাংনী উপজেলায় একটি মডেল মসজিদ হয়েছে এবং একটি মিনি স্টেডিয়াম নির্মাণ হচ্ছে। বিভিন্ন স্কুল কলেজের অবকাঠামো উন্নয়ন হয়েছে ব্যাপক। যার ফলশ্রুতিতে মানুষ আবারো আমাকে এমপি হিসেবে নির্বাচিত করবে। এমন আশা ব্যক্ত করেন মেহেরপুর -২( গাংনী) আসনের সংসদ সদস্য মোহাম্মদ সাহিদুজ্জামান খোকন। দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনের “নিয়মিত আয়োজন “মুক্ত কথা” আলোচনায় অনুষ্ঠান সঞ্চালকের বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব কথা বলেন তিনি।

দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক মাহাবুব চান্দুর সঞ্চালিত ” মুক্ত কথা” অনুষ্ঠানে যুব সমাজকে নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যুব সমাজ আজ হাতের মুঠোয় পৃথিবী পেয়েছে, প্রযুক্তিগত শিক্ষায় শিক্ষিত হচ্ছে। বর্তমান সরকার শিক্ষিত যুব সমাজকে কাজে লাগানোর জন্য বিভিন্ন প্রশিক্ষণের সুযোগ তৈরি। বিভিন্ন ট্রেডে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিদেশে কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করেছে। যুব সমাজকে মাদক থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য বিভিন্ন খেলাধুলায় পুরস্কার দেওয়ার সুযোগ তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন শিক্ষামূলক বিনোদনের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। খেলাধুলায় মনোযোগী হচ্ছে অনেকেই। তবে দেশীয় খেলাধুলা কিছুটা ভাটা পড়েছে বলেও স্বীকার করেন তিনি।

২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২৩ শুক্রবার সন্ধ্যায় এমপি সাহিদুজ্জামান খোকনের বাসভবনে “মুক্ত কথা”র আলোচনা সভায় অতিথি হিসেবে এমপি সাহিদুজ্জামান খোকনকে আমন্ত্রণ জানাই দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন। এম এ এস ইমন এর প্রকাশনায় এবং ইয়াদুল মোমিন সম্পাদিত দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিন মেহেরপুর জেলার একটি সরকারি মিডিয়া তালিকাভুক্ত পত্রিকা। পত্রিকাটি প্রকাশনা কাল থেকেই এ পর্যন্ত অন্যায়ের বিরুদ্ধে কথা বলে আসছে। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড নিয়মিতভাবে প্রচার করে আসছে। সাদা কে সাদা ও কালোকে কালো বলায় এবং সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড প্রচার করে পত্রিকাটি স্থানীয় প্রশাসন থেকে শুরু করে বিভিন্ন মহলে আস্থার পত্রিকা হিসেবে জনপ্রিয়তা বেড়েছে বলে জানান এমপি সাহিদুজ্জামান খোকন।

সঞ্চালকের রাজনৈতিক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, আমাদের বাংলাদেশ একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ। যে দেশের মানুষ স্বাধীনভাবে চলাফেরা করতে পারে, স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারে। সকল শ্রেণীর পেশার মানুষ রাজনীতি করতে পারে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এদেশের পরাধীন মানুষকে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এবং স্বাধীনতা এনে দিয়েছিলেন। তারই সুযোগ্য কন্যা শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে দেশের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন জনগণের উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। মানুষ আজ নির্বিঘ্নে চলতে পারে নির্বিঘিলে কথা বলতে পারে এবং ব্যবসা-বাণিজ্য করতে পারে কোথাও বোমাবাজি হয় না কোথাও ছিনতাই হয় না। রাজনৈতিক ভেদাভেদ ভুলে গিয়ে দেশের সকল মানুষকে সমান সুযোগ সৃষ্টি করে দিয়েছেন বর্তমান সরকার। ঠিক তেমনি ভাবেও নির্বাচনী ইশতেহার বাস্তবায়ন করেছেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সকল দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণের জন্য বিরোধী বিভিন্ন রাজনৈতিক দলকে সমানভাবে সভা সমাবেশ করার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছে। বিরোধীদলের রাজনৈতিক নেতারা তাদের রাজনৈতিক কর্মকান্ড নির্বিঘ্নে চালিয়ে যাচ্ছেন। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি সহ সকল দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ করবে বলেও জানান তিনি। সরকারের উন্নয়নের পাশাপাশি গাংনী উপজেলায় নির্বাচনী এলাকায় ৮০ ভাগ জনগণকে দেয়া নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করতে পেরেছেন বলেও দাবি করে সংসদ সদস্য মোঃ সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, জনগণ আবারও আমাকেই এমপি হিসেবে দেখতে চাই। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে আবারো সরকার গঠন করতে চাই।

সবশেষে সাহিদুজ্জামান খোকন বলেন, তিনি আবারও নৌকার মনোনয়ন চাইবেন এবং দল তাকে মূল্যায়িত করবেন। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগকে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সরকার গঠনে বিভিন্ন মানুষের দ্বারে দ্বারে যাচ্ছেন এবং সরকারের উন্নয়ন তুলে ধরেছেন। শেখ হাসিনার কথা তুলে ধরছেন। তিনি বিশ্বাস করেন বর্তমান সরকারের উন্নয়ন দেখে আবারও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে সরকার গঠনে জনগণ সর্বাত্মক সহায়তা করবে।




দর্শনায় মুদি দোকানের দেয়াল ভেঙ্গে দুটি দােকানে চুরি

চুয়াডাঙ্গার দর্শনায় দুটি দােকানের দেয়াল ভেঙ্গে ও তালা ভেঙ্গে চুরি সংঘটিত হয়েছে। দর্শনা পৌর এলাকার পুরাতন বাজার রেলগেট মুল সড়কের পাশে ব্যস্ততম স্থান।

গতকাল শুক্রবার ভােরে আনিসুরের মুদি দােকানের ২০ ইঞ্চি দেওয়াল ভেঙ্গে চাের চক্র হানা দেয়। এ সময় দােকানের ক্যাশ বাক্স ভেঙ্গে নগদ ৭০ হাজার টাকা, ৫ লিটারের ১০টি সায়াবিন তেলের বোতল

বিভিন্ন ব্রান্ডের সিগারেট, সাবান, কাটুন ভর্তি এলাচ অন্যান্য মালামাল সহ প্রায় দুইলাখ টাকার মালামাল নিয়ে যায়। এছাড়া রাস্তার বিপরীত পাশের আতিয়ার রহমানের দােকানের তালা ভেঙ্গে বিভিন্ন ব্রান্ডের চাপাতি, সিগারটসহ অন্যান্য মালামাল নিয়ে যায়।

গতকাল শুক্রবার সকালে দর্শনা থানার এসআই রাম চদ্র সহ সঙ্গীয় ফার্স ঘটনাস্হল পরিদর্শন করেন। তিনি দাবী করেন- আমি নিজ রাত ২ টার দিকেও এই সড়কে টহল ছিলাম। ভােরে এঘটনা ঘটত পারে। এ বিষয় দাকানর মালিক আনিসুর রহমান দর্শনা থানায় একটি অভিযােগ দায়ের করেছে।

এ বিষয়ে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এ এইচ এম লুৎফুল কবির ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন দেয়াল ভেঙ্গে চুরি করেছে। তবে আমরা সিসি ক্যামেরা দেখে চোর সনাক্তসহ প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা নেব।




জাগো মেহেরপুর এর উদ্যোগে মেহেরপুর জেলা দিবস পালন

জাগো মেহেরপুর এর উদ্যোগে মেহেরপুর জেলা দিবস পালন করা হয়েছে।
গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর এশিয়া নেট মোড় ইচ্ছে গিফট কর্ণারে কেক কেটে জেলা দিবস পালন করা হয়। জাগো মেহেরপুরের মুখপাত্র শোয়েব রহমানের সভাপতিত্বে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অব) ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেক, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক ব্যাংকার জিল্লুর রহমান, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন।
জাগো মেহেরপুরের সমন্বয়কারী আব্দুল আলিমের সঞ্চালনায় কেক কেটে মেহেরপুর জেলা দিবস পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে জাগো মেহেরপুরের সংগঠক হৃদয়, নাসিম হাসানসহ অন্যানরা উপস্থিত ছিলেন।

বীর মুক্তিযোদ্ধারা জাগো মেহেরপুরের আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়ে বলেন, মেহেপুরের কোন সংগঠনকে আজকের দিনটি পালন করতে দেখিনি, যেটা অনেক কষ্টের। জাগো মেহেরপুর এ অনুষ্ঠানের মধ্যে দিয়ে নতুন করে ইতিহাসে নাম লেখালো। জাগো মেহেরপুরের সকল ভালো কাজের সাথে আমরা থাকবো।
প্রসঙ্গত, ১৯৮৪ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর কে জেলা হিসেবে ঘোষনা করে তৎকালীন সরকার।




সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরতে তৃণমূলে ইমনের বুকলেট বিতরণ অব্যহত

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন মূলক চিত্র তুলে ধরতে মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে তরুণ রাজনীতিবীদ এম এ এস ইমনের বুকলেট বিতরণ অব্যহত রয়েছে।

তারই অংশ হিসেবে শুক্রবার বিকালে মুজিবনগর উপজেলার কেদারগঞ্জ, সোনাাপুর, মাঝপাড়া গ্রামে তরুন রাজনীতিবীদ এম এ এস ইমনের উদ্যোগে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে সরকারের উন্নয়ন চিত্র সম্বলিত বুকলেট বিতরণ করা হয়েছে।

মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে এম এ এস ইমনের অনুসারীরা মুজিবনগরের কেদারগঞ্জ, সোনাাপুর, মাঝপাড়া গ্রামে এ বুকলেট বিতরণ করেন।

বুকলেট বিতরণ ও গণসংযোগকালে জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন ও প্রস্তুতি কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চন্দন, মেহেরপুর জেলা যুবলীগ শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য প্রভাষক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, শিশির অরুপ, আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক হোসেন, সানা, ডন, আবুল হোসেন, ফারুক শেখ, ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহীম ইবু সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করেন।

আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক চিত্রের পাশাপাশি বিএনপির সরকারের উন্নয়নের তুলনা করে এ বুকলেট তৈরি করা হয়েছে। যাতে করে সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চিত্র সম্পর্কে ধারণা পায়। এবং একই সঙ্গে পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসে। এ বুকলেট ভালোভাবে পড়লেই সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে পারবে।

আওয়ামী লীগ নেতা এস এম ফরিদ উদ্দীন বলেন, গত ১৪ বছরে বর্তমান সরকার বাংলাদেশে অনেক বড় বড় উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। সে উন্নয়ন মূলক কাজগুলো বিস্তারিত ভাবে এ বুকলেটে তুলে ধরা হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাড়িয়েছেন এই সরকার।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান চন্দন বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের সাফল্যগুলো প্রতিদিনই আমরা মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রামে সাবেক ছাত্রনেতা এম এ এস ইমনের তৈরি করা এই বুকলেটগুলো বিতরণ করছি। আমরা এই বুকলেচগুলো গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরছি আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বিরোধী শক্তি যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে লক্ষ্যে আমরা প্রতিনিয়ত বুকলেট বিতরণ ও প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

প্রসঙ্গত, ইতোমধ্যে এম এ এস ইমনের উদ্যোগে মেহেরপুর শহর, মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী, দারিয়াপুর, বাগোয়ান, মহাজনপুর ও মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর, বুড়িপোতা, আমদহ, আমঝুপিসহ বিভিন্ন গ্রামে বুকলেট বিতরণ করা হয়েছে।




দামুড়হুদা বিষ্ণুপুর গ্রামে পুকুরের মধ্যে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর লাশ উদ্ধার

দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামে পুকুরের মধ্যে সদ্য ভূমিষ্ট শিশুর লাশ উদ্ধার হয়েছে।

শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১ টার দিকে স্থানীয়রা এই লাশ উদ্ধার করে পুকুর পাড়ের মাটিতে দাফন করে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুপুর গ্রামের দক্ষিণ পাড়ার আবুল হোসেনের ছেলে

সাইফুল ইসলাম আপেল ও একই গ্রামের বদরউদ্দিন এর ছেলে ইসমাইল হোসেনের পুকুরের ভিতরে বাজার করা ব্যাগের মধ্যে অজ্ঞাতনামা শিশুটিকে ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান। পরবর্তীতে সাইফুল ইসলাম স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় পুকুর হইতে শিশুটিকে উদ্ধারপূর্বক পুকুর পাড়ের মাটিতে দাফন করেন।

স্থানীয় লোকজনের মাধ্যমে দামুড়হুদা থানা পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ এবং এসআই শেখর চন্দ্র মল্লিক ঘটনা স্থানে উপস্থিত হয়ে মাটি খুঁড়ে অজ্ঞাতনামা শিশুটি উদ্ধারপূর্বক জব্দ তালিকা প্রস্তুত করিয়া মৃত শিশুটির ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন শিশু বাচ্চাটির লাশ উদ্ধার করে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছে।




মহাজনপুর ইউনিয়নের সকল ওয়ার্ডের ছাত্রলীগের কমিটি গঠন

মুজিবনগরে এক বছরের জন্য মহাজনপুর ইউনিয়নের আওতাধীন ৯ টি ওয়ার্ডে ছাত্রলীগের ওয়ার্ড কমিটি গঠন করা হয়েছে।
আজ শুক্রবার বিকেলে মহাজনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইমাম হোসেন ইমন ও সাধারণ সম্পাদক আরিফুল ইসলাম স্বাক্ষরিত পত্রে এ সকল ওয়ার্ড কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

ঘোষিত কমিটিতে মহাজনপুর ইউনিয়ন এর ১ নম্বর ওয়ার্ডে ছামিন হোসেন( ডি এস )কে সভাপতি ও ইখলাস হোসেনকে সাধারণ সম্পাদক, ২ নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ আকাশকে সভাপতি ও মামুন আলী কে সাধারণ সম্পাদক, ৩ নং ওয়ার্ডে সুইট রানাকে সভাপতি ও আশিক রহমানকে সাধারণ সম্পাদক, ৪ নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ শাহাবুল ইসলাম মুন্নাকে সভাপতি ও ওয়াসিম আকরাম কে সাধারণ সম্পাদক, ৫ নং ওয়ার্ডে মোহাম্মদ মেহেরাব হোসেনকে সভাপতি ও হুসাইন আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক, ৬ নং ওয়ার্ডে মোঃ ইবনে সিনাকে সভাপতি ও রেজাউল হককে সাধারণ সম্পাদক, ৭ নং ওয়ার্ডের রিফাত হোসাইনকে সভাপতি ও আকাশ আলীকে সাধারণ সম্পাদক, ৮ নং ওয়ার্ডের মুস্তাফিজুর রহমান মুন্নাকে সভাপতি ও ইয়াসিন আরাফাতকে সাধারণ সম্পাদক, এবং ৯ নম্বর ওয়ার্ডে পারভেজ হোসেনকে সভাপতি ও শ্রী বিশ্বজিৎ কুমারকে সাধারণ সম্পাদক করে প্রতিটি ওয়ার্ডে মোট দশ সদস্য বিশিষ্ট কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

মহাজনপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি ইমাম হোসেন ইমন বলেন, শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ মেহেরপুর জেলা শাখার হাতকে শক্তিশালী করতে এই সমস্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।




ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ কোটচাঁদপুর শাখার বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ

দ্রব্যমূল্যের উর্দধগতি প্রতিবাদে ও পাঠ্যপুস্তক হতে ধর্ম ও জাতিসত্ত্বা বিরোধী বিতর্কিত বিষয় সমূহ বাতিল ও শিক্ষার সর্বস্তরের ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন কোটচাঁদপুর উপজেলা ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ।  শুক্রবার বিকেলে এ বিক্ষোভ করেন সংগঠনটি।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের কোটচাঁদপুর উপজেলা শাখার সভাপতি মুক্তি ওমর ফারুক বলেন, দ্রব্যমূল্যের উর্দধগতি প্রতিবাদে ও পাঠ্যপুস্তক হতে ধর্ম ও জাতিসত্ত্বা বিরোধী বিতর্কিত বিষয় সমূহ বাতিল ও শিক্ষার সর্বস্তরের ধর্মীয় শিক্ষা বাধ্যতামূলক করার দাবীতে আমাদের আজকের এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করা হয়েছে।

কোটচাঁদপুর বাজার চত্বরের সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি মুক্তি ওমর ফারুক। বক্তব্য রাখেন, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক ফারুক হোসেন, আব্দুল মালেক সহ আরো অনেকে।

এর আগে কোটচাঁদপুর মেইন বাসস্ট্যান্ড থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ টি বের হয়। পরে মিছিলটি পৌর শহরের বিশেষ বিশেষ সড়ক প্রর্দক্ষিন শেষে বাজার চত্বরের সমাবেশে মিলিত হন।




মেহেরপুর আনন্দ উৎসবে মেতে ছিলো কৃতী শিক্ষার্থীরা

মেহেরপুরে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা অনুষ্ঠান আনন্দ উৎসবে মেতে ওঠে কৃতী শিক্ষার্থীরা।

শুক্রবার সকাল ৮টায় পৌর শহরের শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে এ উৎসব শুরু হয়। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অংশ নিতে ৫৫৮ কৃতী শিক্ষার্থী নিবন্ধন করেছেন।

এক শপ্তাহ হলো মেহেরপুরে শীতের আবহাওয়া কমে গেছে। ফাগুনের মৃদ উঞ্চতা বিরাজ করছে সর্বত্র। এরি মধ্যে সকাল ৮টায় শহীদ সামসুজ্জোহা পার্কে আসতে শুরু করে শিক্ষার্থীরা। অনুষ্ঠানস্থলে ঢোকার পরই শিক্ষার্থীরা নিবন্ধন নম্বর অনুযায়ী নির্দিষ্ট বুথের সামনে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে সনদ, ক্রেস্ট ও স্ন্যাকস বক্স সংগ্রহ করে। কৃতী শিক্ষার্থীদের মধ্যে নারী শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিলো সব চেয়ে বেশি।

সকাল আটটার দিকে একসঙ্গে অনুষ্ঠানস্থলে হাজির হয় সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইশা মালিহা, আনিকা, সামিয়া জামান, ঐশি খানম, রৃদিমা জান্নতসহ ১১জন শিক্ষার্থী। এসময় বন্ধুসভার উপদেষ্ঠা নৃত্য পরিচালক সোহাগের পরিচালনা কৃতী শিক্ষার্থীদের নৃত্যর মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয়। পরে মুল মঞ্চে ফাগুনে আগমনী নৃত্য পরিবেশন হয়। সমবেত নৃত্যতে ১৪জন বন্ধু অংশগ্রহন করে।

জিপিএ-৫ পাওয়া এই শিক্ষার্থীরা অনুষ্ঠানস্থলে উপস্থিত হয়েই প্রথম আলোকে বলে, প্রথম আলো থেকে সনদ পাওয়া অনেক অনেক গর্বের। এমন সংবধর্নায় যোগ দিতে পেরে নিজেদের আজ গর্বিত মনে হচ্ছে। শিক্ষার প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রথম আলো যদি এমন ভাবে অনুপ্রেরনা দেয় তবে সমাজ একদিন বদলে যাবে।

সারা দেশের ৬৪টি জেলায় প্রথম আলোর আয়োজনে ও শিক্ষার ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ‘শিখো’র পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে জিপিএ-৫ পাওয়া কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা উৎসব। সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের এ আয়োজনে সহযোগিতা করছে ফ্রেশ, এটিএন বাংলা ও প্রথম আলো বন্ধুসভা।

সকাল সোয়া ১০ টার দিকে জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করা হয়। বন্ধুসভার সদস্য মোহাইমিনুর আবিরের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন প্রথম আলোর মেহেরপুর প্রতিনিধি আবু সাঈদ। উপস্থিত ছিলেন প্রথম আলোর কুষ্টিয়ার নিজস্ব প্রতিবেদক তৌহিদী হাসান, চুয়াডাঙ্গার প্রতিনিধি শাহ আলম সনি প্রমুখ।

এসময় প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি ইফতেখার মাহমুদ বলেন, কৃতী শিক্ষার্থীরা সমাজ ও পরিবারের মুখ উজ্জল করেছে। আজকের অনুষ্ঠানে সকল কিছু তাদের সম্মান জানানোর জন্য করা হয়েছে। আগামী কৃতী শিক্ষার্থীরা উন্নত মানুষ হয়ে দেড় গড়ার অঙ্গিকার নেবে। সমাজের প্রতিটি ক্ষেত্রে কৃতিত্ব রাখবে।

সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যাক্ষ রফিকুল ইসলাম বলেন, কৃতী শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা হচ্ছে তাদেরকে উজ্জিবিত করা। সকল শিক্ষার্থীরা নিজেদের আরো মেধাবি গড়ে তোলবে। সমাজের অন্ধাকারে আলো ছড়িয়ে দেবে। মানুষে মানুষে ভেদাভেদ ভুলে সত্যিকারের মানুুষ হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে হবে।

সরকারি কলেজের অধ্যাক্ষ সফিউল ইসলাম সর্দার বলেন, কৃতীদের সংবর্ধনা আয়োজনে পৃষ্ঠপোশক শিখো ও প্রথম আলোকে অনেক শুভকামনা। শিক্ষার্থীদের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রথম আলোকে এগিয়ে আসতে হবে। যারা জিপিএ ফাইভ পেয়েছে তারা আগামীতেও প্রতিটি ক্ষেত্রে কৃতিত্বের সঙ্গে এগিয়ে যেতে পারে সেজন্য সৎ,ন্যায়পরায়ন হতে হবে। মাদকের বিষয়ে সোচ্চার হতে হবে। একজন মেধাবি শিক্ষার্থী হলেই হবে না। অবশ্যায় তাকে একজন ভালো মানুষ হতে হবে।

সুধিজনদের বক্তব্যর মাঝে মাঝে বন্ধুসভার সদস্যরা গান, নৃত্য নিয়ে আসেন।, বন্ধুসভার সদস্য শাম্মি, বনান্তি, আদিৃতা একক নৃত্য পরিবেশন করে। ব্যন্ড সঙ্গিত পরিবেশন করে বন্ধসভার রোহান, ফাগুন।




দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গায় ৩৭ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ গ্রেফতার- ১

দামুড়হুদা কার্পাসডাঙ্গায় ৩৭পিচ ইয়াবা সহ মিকাইল নামের একজনকে গ্রেফতার করেছে দামুড়হুদা থানা পুলিশ।

শুক্রবার সকাল ৬ টার দিকে উপজেলার বাঘাডাঙ্গা নতুনপাড়া মসজিদের সামনে থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারকৃত হলো উপজেলার দর্শনা থানার দুর্গাপুর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে মিকাইল (৩৯)।

পুলিশ সুত্রে জানাগেছে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ এর দিক নির্দেশনায় কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই ইমরান ও এএসআই মসলেম উদ্দিন সঙ্গীয় ফোর্স সহ উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের বাঘাডাঙ্গা নতুনপাড়া মসজিদের সামনে থেকে ৩৭ পিচ ইয়াবা সহ মিকাইল কে গ্রেফতার করে। আসামীকে দামুড়হুদা মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এবিষয়ে দামুড়হুদা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি ফেরদৌস ওয়াহিদ বলেন ইয়াবা সহ গ্রেফতারকৃতকে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।




মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতী পেলেন মেহেরপুরের শুভ

মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতী পেলেন মেহেরপুরের কৃতি সন্তান আবু মোহাম্মদ সালেহ শুভ। ২০০৩ সালে মেরিন ইঞ্জিনিয়ারিং প্রবেশন অফিসার হিসেবে যোগদান করার পর ধাপে ধাপে তিনি পদোন্নতী লাভ করে সর্বশেষ ক্যাপ্টেন হিসেবে পদোন্নতী পান।

আবু মোহাম্মদ সালেহ শুভ মেহেরপুর শহরের কাসারি পাড়ার বিশিষ্ট রাজনীতিক ইলিয়াস হোসেনের ছেলে। তিনি মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ১৯৯৭ সালে এসএসসি এবং মেহেরপুর সরকারি কলেজ থেকে ১৯৯৯ সালে এইচএসসি পাশ করেন। পরে তিনি চট্ট্রগাম মেরিন একাডেমি থেকৈ ২০০৩ সালে ব্যাচেলর অব মেরিটাইম সাইন্স ডিগ্রি অর্জন করে। ওই বছরে বাংলাদেশী একটি জাহাজে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে তিনি ইটালিয়ান, জাপানি সহ বিভিন্ন দেশের জাহাজে চাকরি করেছেন। এ পর্যন্ত তিনি ২৫টি জাহাজে চাকরি করেছেন। তার মধ্যে কার্গো, ট্যাংকার, বাল্ক, কন্টেনেইনার জাহাজ রয়েছে।  ইতোমধ্যে তিনি ৬০টি দেশে জাহাজ নোঙর করেছেন।

ক্যাপ্টেন আবু সালেহ শুভ বলেন, মেরিন পেশা খুবই ভালো এবং ডিমাণ্ডেবল পেশা। এখানে আছে সংগ্রাম, এখানে আছে ত্যাগ। তার বিনিময়ে দেশের জন্য বৈদেশিক মুদ্রা আয় করার সুযোগ। প্রতিনিয়ত এ সেক্টরে জবের চাহিদা বাড়ছে এবং তরুণরা আগ্রহী হচ্ছে। শুভ আরো বলেন, এ পেশাতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ ঘোরার সুযোগ রয়েছে।  এ পেশাকে বিকশিত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশে সরকার দেশে আরো চারটি মেরিন একাডেমি চালু করেছে।

ক্যাপ্টেন পদে পদোন্নতী লাভ করায় তাকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তার বন্ধুরা। বিশেষ করে মেহেরপুর সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের ১৯৯৭ সালের বন্ধু ডা. কাজল আলী,  ডা. আবুল কাশেম, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, মেহেরপুর সরকারি কলেজে প্রভাষক নাহিদ রেজা, বন্ধু সদরুল আহমেদ নাহিদ, ওয়ালিয়ুর রহমান রাজা, হিমু, সন্দিপ দাস সহ সকল বন্ধুরা।