দর্শনায় কেরুজ ব্যারাকে পুলিশের মাদক বিরোধী অভিযানে তিন শ্রমিকের কারাদন্ড

দর্শনা কেরুজ ষ্ট্যাফ কোয়ার্টারে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন দর্শনা থানা পুলিশ। গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এএইচএম লুৎফুল কবীরের নের্তৃত্বে থানার সেকেন্ড অফিসার এসআই আহম্মেদ আলী বিশ্বাস, এসআই সোহেল ও এ এস আই বশির সহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন কেরুজ ষ্ট্যাফ কোয়ার্টারের একটি কক্ষে।

এ অভিযানে কোয়ার্টারের একটি কক্ষে বসে মদ ও গাঁজা সেবনের অপরাধে ৩ জনকে আটক সহ মাদক সেবনকারীদের নিকট থাকা মাদকদ্রব্য মদ ও গাঁজা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

এরপর ঘটনাস্থলে বসানো হয় ভ্রাম্যমান আদালত। এ আটক ব্যাক্তিদের ভ্রাম্যমান আদালতে ২০১৮ সালের মাদকদ্রব্য আইনে ৩৬/১ ধারায় স্বরনীয় ৫ ধারা মোতাবেক প্রত্যেককে ১৫ দিনের কারাদন্ড ও ১ শত টাকা করে জরিমানা করা হয়।

এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা এবং রায় প্রদান করেন আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) সজল কুমার দাস। দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন দর্শনা আনোয়ারপুরের রুহুল আমিনের ছেলে আশরাফ আলী (৪০), কেরুজ হাসপাতাল পাড়ার সবেদ খাঁর ছেলে সুজন (৩৫) ও কেরুজ পিও কোয়ার্টারের আব্দুর রহমানের ছেলে মাইনউদ্দিন লিটন (৪৫)।

পরে মাদক সেবনকারীদের নিকট হতে উদ্ধার হওয়া মদ ও গাঁজা সহ মাদক সেবনের সরোঞ্জাম ঘটনাস্থলেই আগুণে পুড়িয়ে ধ্বংশ করা হয়। সেই সাথে কারাদন্ডপ্রাপ্ত সকল আসামীকে পাঠানো হয় চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে।




চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পৃথক অভিযানে মাদকসহ আটক-৪

চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পৃথক,পৃথক অভিযান পরিচালনা করে মাদক উদ্ধার সহ ৪ মাদক ব্যাবসায়ীকে আটক করা হয়।  আটককৃত মাদক ব্যাবসায়ীদের ভ্রাম্যমান আদালতে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পরিদর্শক আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, গতকাল বুধবার সকাল হতে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম ভুইয়া ও জেলা বিজ্ঞ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটে ও সহকারি কমিশনার মোঃ সাদাত হোসেন এর নেতৃত্বে পৃথক,পৃথক স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়।

এ অভিযানে দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শামীম ভুইয়ার নের্তৃত্বে চুয়াডাঙ্গা সদর থানাধীন সাতগাড়ি নিজ দলীয় খেজুর বাগানে অভিযান চালিয়ে ২০ লিটার তাড়ি উদ্ধার সহ গ্রেপ্তার করা হয় সাতগাড়ি গ্রামের পুরাতন পাড়ার মৃত ভোলা বিশ্বাসের ছেলে রওশন আলী বিশ্বাসকে (৫৫)।

এসময় ঘটনাস্থলেই ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে তাড়ি সহ আটক ব্যাক্তিকে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ২০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

এরপর দুপুর দেড়টার দিকে একই অভিযানিক দল সাতগাড়ি নিজ দলীয় খেজুর বাগান হতে ৩০ লিটার তাড়ি সহ সাতগাড়ি গ্রামের পুরাতন পাড়ার আকছেদ আলী মন্ডলের ছেলে মো:জিনারুল মন্ডলকে (৪০) আটক করা হয়। আটককৃতর বিরুদ্ধে ঘটনাস্থলে ভ্রাম্যমান আদালত বসিয়ে ৩ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ২০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
এ দুটি ভ্রাম্যান আদালত পরিচালনা ও রায় প্রদান করেন আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ শামীম ভুইয়া। একইদিন বিকাল ৩ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটে ও সহকারি কমিশনার মোঃ সাদাত হোসেন এর নেতৃত্বে জেলার দামুড়হুদা থানাধীন বিভিন্ন এলাকায় অভিযান করে দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গার ভূমিহীন পাড়ার মৃত লিয়াকত আলীর ছেলে আসমান আলীর নিজ বসতঘর হইতে ৪১০ গ্রাম গাঁজা সহ গ্রেপ্তার করা হয় আসমান আলীকে (৪০)। ঘটনা স্থলে আটককৃত আসামীকে ভ্রাম্যমান আদালতে ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড ও ১০০ টাকা অর্থদন্ড প্রদান করে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।

এ ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা ও রায় প্রদান করেন আদালতের বিজ্ঞ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার মোঃ সাদাত হোসেন। সর্বশেষ বিকাল ৫ টার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর বিভাগীয় স্টাফদের সমন্বয়ে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা ইউনিয়নের পীরপুরকুল্লা গ্রামের মাঠপাড়ায়।

এসময় মাঠপাড়ার হারুন-অর-রশিদের ছেলে সজীব মোল্লার বাড়ির বসত ঘরে অভিযান পরিচালনা করে ৩ বোতল আমদানী নিষিদ্ধ ভারতীয় ফেনসিডিল উদ্ধার করেন। এসময় মাদক উদ্ধার সহ আটক করা হয় মাদক ব্যাবসায়ী সজীব মোল্লাকে (২২)।

পরে আটককৃত আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর কর্তৃক দামুড়হুদা থানায় একটি নিয়মিত মামলা দায়ের করা হয়।




গাংনীর নওয়াপাড়া গ্রামে পুর্ব শত্রুতার জেরে দু’পক্ষের মারমারিতে উভয় পক্ষের আহত-১২

গাংনীর নওপাড়া গ্রামে পুর্ব শত্রুতার জের ধরে দু’পক্ষের মারামারিতে উভয় পক্ষের অন্তত ১২জন আহত হয়েছে। গত  রবিবার বিকেল ৫টার দিকে নওয়াপাড়া বাজারে মারামারির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।

এক পক্ষের আহতরা হলো- নওয়াপাড়া নবীনপরের আবু তালেবের ছেলে সুমন(২৮),সলেমানের ছেলে সাহরী(১৭) ,ভিটাপাড়া গ্রামের মৃত ইদ্রিস আলীর ছেলে মহিবুল(৫০),নবীনপুরের মৃত সোনা মল্লিকের ছেলে খোকন(৫০), ও মোজাম্মেলের ছেলে বিশু।

অন্যদিকে খোকনদের পক্ষের হামলায় আহতরা হলো-নওয়াপাড়া গ্রামের মৃত ছহিরুদ্দীনের ছেলে সুমন(২৫), রাজিবুল (৪৫), শহিদুলের ছেলে সায়িম(১৪), একরামুলের ছেলে সাইদ(১৭) আহাম্মদের ছেলে অমিত (১৬) এবং আবুল কাশেমের ছেলে মহিবুল(৩৫)।

আহতদের মধ্যে নবীনপুর গ্রামের আবু জেহেলের ছেলে সুমনের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় কুষ্টিয়া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে। বাকীদের গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।

গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেও জরুরী বিভাগে কর্মরত চিকিৎসক আশিকুর রহমান আহতদের নাম পরিচয় ও চিকিৎসা দেয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

খোকন ও তার লোকজন জানান, গত ২০ ফেব্রুয়ারী রাতে নবীনপুর গ্রামবাসীর আয়োজনে তাফসির মাহফিল চলছিল। এসময় নওপাড়া গ্রামের মৃত ছহিরুদ্দীনের ছেলে সুমনের লোকজন তাফসির শুনতে আসা নারীদের সাথে খারাপ আচরণ করে। তাদের আচরনের বিষয়টি তাফসির মাহফিলের দায়িত্বে থাকা স্বেচ্ছা সেবকরা নিষেধ করলে সুমনের লোকজন স্বেচ্ছা সেবকদের ওপর চড়াও হয় এবং খোকনের ছেলেকে মারধর করে। এ নিয়ে ওইদিন উত্তেজনা সৃষ্টি হলে স্থানীয়রা পরিস্থিতি শান্ত করেন। এ নিয়ে ওই সব ছেলেদের অভিভাবকদের বিষয়টি দেখে তাদের শাসন করা কথা বলা হয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদের ওপর হামলা চালায় সুমনের লোকজন।

অন্যদিকে মৃত ছহিরুদ্দীনের ছেলে সুমন ও তার ভাই গ্রাম পুলিশ খেজমত আলী জানায়, তাফসির মাহফিলের দিন যা ঘটেছে তা ছেলেদের মধ্যেকার বিষয়টি ও খানেই নিষ্পত্তি হয়ে যায়। কিন্তু ওই দিন রাতে খোকন ও তার লোকজন আমাদের বাড়িতে আমাদের ছেলেদের মারার জন্য খুজে বেড়ায় এবং বাড়িতে এসে হুমকি ধামকি দিয়ে যায়। তাতে আমাদের বাড়িতে আসলেও আমরা তাদের সম্মান করে কিছুই বলিনি। বরং আমাদের ছেলেদের অনেক বকাঝকা করেছি। রবিবার বিকেলে শহিদুলের ছেলে সায়িম ভাটপাড়া বাজাওে ছাগল বিক্রি করতে গেলে খোকন ও তার লোকজন সায়িমকে মারধর করে। শুধু তাই নয়,নওপাড়া বাজারে একটি চায়ের দোকানে আমাদের কয়েকজন চা খাওয়ার জন্য দোকানে বসলে খোকন ও তার লোকজন লাঠি শোঠা নিয়ে হামলা করে আহত করেছে।

এবিষয়ে গাংনী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, নওয়াপাড়া গ্রামের মারামারির খবর শূনে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছিল। তবে উভয় পক্ষের মধ্যে এপর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে এবং পুনরাই যেন এমন ঘটনা না ঘটে তার জন্য পুলিশ কাজ করছে।




বাগোয়ানে ৫ প্রকল্পের ১৮ লাখ টাকার কাজে নয়ছয়!

মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার বাগোয়ান ইউনিয়নের ৪০ দিনের অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির (ইজিপিপি) আওতায় মাটির রাস্তা সংস্কারে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।

অভিযোগের তীর উঠেছে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আয়ূব হোসেনের বিরুদ্ধেও। আযুব হোসেন বাগোয়ান ইউনিয়নের তিনবারের নির্বাচিত চেয়ারম্যান এবং মেহেরপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।

জানা গেছে, ইজিপিপির আওতায় বাগুয়ান ইউনিয়নে পাঁচটি প্রকল্পে মোট ১১০ জন দরিদ্র শ্রমিকের জন্য দৈনিক ৪০০ টাকা মজুরি হিসেবে ১৮ লাখ ৬০ হাজার টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে নামকাওয়াস্তে কাজ সমাপ্ত হয়েছে। উপকারভোগী দরিদ্র শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ উঠেছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে। অতি দরিদ্র শ্রমিকের মধ্যে নিজের আপন স্বচ্ছল ভাইয়ের ও এক একনিষ্ঠ ব্যক্তিগত সহকারীর।

৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য রমজান আলীর (প্রকল্পের চেয়ারম্যান) ৩২ জন উপকারভোগীর জন্য তার বরাদ্দকৃত অর্থের পরিমাণ ৫ লাখ ১৪ হাজার টাকা। তার সাথে বনিবনা না হওয়ায় প্রকল্পের চেয়ারম্যান পরিবর্তন করে নাম দিয়েছেন ওই ওয়ার্ডের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মাবিয়া খাতুনের। কিন্তু মাবিয়া খাতুন বলছেন এ বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না। এমনকি প্রকল্পের নামটিও তিনি বলতে পারেন নি । বিল উত্তোলনের বিষয়ে স্বাক্ষর দিয়েছেন কিনা জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, শ্রমিক সর্দার রশিদ কিসে যেন স্বাক্ষর নিয়েছেন। প্রকল্পের কাজ চলাকালীন সময়ে প্রকল্প চেয়ারম্যান পরিবর্তন করা যায় কিনা এবং সেটি কোন আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে কিনা সে বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনিমেষ বিশ্বাসের কাছে জানতে চেয়েছেন রমজান আলী মেম্বার।

ইউনিয়নের ৭ন ওয়ার্ডের সদস্য ওমর ফারুক বলেন, কর্মসূচিটি অতি দরিদ্রদের জন্য হলেও আমি সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের চেয়ারম্যান হওয়া সত্ত্বেও আমার সাথে নাম নেওয়া হয়েছে মাত্র ৬ জন দরিদ্র শ্রমিকের। কিন্তু কাজ হচ্ছে পূর্বের লিস্ট অনুযায়ী। এখানেও কেন জানি রয়েছে শুভংকরের ফাঁকি।
৪ নম্বর ওয়ার্ডের শ্রমিক সর্দার রশিদ আলী জানান, চেয়ারম্যান আইয়ুব আলীর ভাই ও সেতু নামের দুজন শ্রমিক তাদের সাথে কখনোই কাজ করেনি।
ইউনিয়নের ৩ নং ওয়ার্ডের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন স্থানীয় জানান, ৪০ দিনের পরিবর্তে এখানে আনুমানিক ১৮ /২০ দিন কাজ করা হয়েছে এবং কোন রকম নামকাওয়াস্তে রাস্তা সংস্কার করা হয়েছে।

বাগোয়ান ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বলেন, প্রকল্পে যতটুকু মাটি দেওয়ার কথা তার থেকেও বেশি দেওয়া হয়েছে। এসব ছোটখাটো কাজ নিয়ে যারা অভিযোগ করে তারা ভালো নয়। তার ভাই ও স্বজনদের শ্রমিক হিসেবে নেওয়া হয়নি বলে তিনি জানান।

মুজিবনগরের প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) নাহিদা ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোন সদুত্তর দিতে পারেননি। এবং মুজিবনগরে তার অতিরিক্ত দায়িত্ব তাই বিষয়টি সম্পর্কে পরে জানানো হবে বলে জানালেও এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত (গতকাল বুধবার) জানাননি।




যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সহবিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হলেন মেহেরপুরের প্রিন্স ইমরান

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন মেহেরপুরের মুজিবনগর উপজেলার দারিয়াপুরের প্রিন্স ইমরান হোসেন।

গতকাল বুধবার বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের নির্দেশে মহাসচিব মীর্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ২৫১ সদস্য বিশিষ্ট এ কমিটির অনুমোদন দেন।

প্রিন্স ইমরান মেহেরপুর পৌর কলেজে উচ্চ মাধ্যমিক অধ্যায়নরত অবস্থায় ২০০৬ সালে ছাত্র রাজনীতি শুরু করেন। পরে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন ২০১০ সালে। ২০১৫ সালে ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের যুগ্ম সম্পাদকহিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরবর্তি ২০১৯ থেকে যুবদল কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটিতে কাজ শুরু করেন।

নর্দান ইউনিভার্সিটিতে লেখাপড়া শেষ করে  তিনি ব্যবসা করছেন। তিনি বিএনপির আইটি সেলের সদ্স্য হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন।




সরকারের উন্নয়ন চিত্র তুলে ধরতে তৃণমূলে ইমনের বুকলেট বিতরণ অব্যহত

বর্তমান সরকারের উন্নয়ন মূলক চিত্র তুলে ধরতে মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রামে গ্রামে তরুণ রাজনীতিবীদ এম এ এস ইমনের বুকলেট বিতরণ অব্যহত রয়েছে।

তারই অংশ হিসেবে গতকাল বুধবার বিকালে মেহেরপুর সদর উপজেলার শ্যামপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে তরুন রাজনীতিবীদ এম এ এস ইমনের উদ্যোগে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে সরকারের উন্নয়ন চিত্র সম্বলিত বুকলেট বিতরণ করা হয়েছে।

মেহেরপুর পৌর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বেলাল হোসেনের নেতৃত্বে এম এ এস ইমনের অনুসারীরা শ্যামপুর ইউনিয়নের মদনাডাঙ্গা, গোপালপুর, বেলতলাপাড়া, শ্যামপুর, পুরাতন মদনাডাঙ্গা গ্রামে এ বুকলেট বিতরণ করেন।

বুকলেট বিতরণ ও গণসংযোগকালে শিশির অরুপ, মেহেরপুর জেলা যুবলীগ শাখার আহ্বায়ক কমিটির সদস্য প্রভাষক মোঃ সাজ্জাদ হোসেন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সম্মেলন ও প্রস্তুতি কমিটির সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চন্দন, আব্দুর রাজ্জাক, ফারুক হোসেন, সানা, ডন, আবুল হোসেন, ফারুক শেখ, ছাত্রলীগ নেতা ইব্রাহীম ইবু সহ অন্যান্য নেতাকর্মীরা অংশগ্রহন করেন।

আওয়ামী লীগ নেতা বেলাল হোসেন বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক চিত্রের পাশাপাশি বিএনপির সরকারের উন্নয়নের তুলনা করে এ বুকলেট তৈরি করা হয়েছে। যাতে করে সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের উন্নয়ন চিত্র সম্পর্কে ধারণা পায়। এবং একই সঙ্গে পুনরায় আওয়ামী লীগ সরকারকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় নিয়ে আসে। এ বুকলেট ভালোভাবে পড়লেই সাধারণ মানুষ আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থা রাখতে পারবে।

স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মোস্তাফিজুর রহমান চন্দন বলেন, শেখ হাসিনার সরকারের সাফল্যগুলো প্রতিদিনই আমরা মেহেরপুরের বিভিন্ন গ্রামে সাবেক ছাত্রনেতা এম এ এস ইমনের তৈরি করা এই বুকলেটগুলো বিতরণ করছি। আমরা এই বুকলেচগুলো গ্রামের সাধারণ মানুষের কাছে তুলে ধরছি আগামী জাতীয় নির্বাচনে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে আমরা প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। বিরোধী শক্তি যাতে মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে লক্ষ্যে আমরা প্রতিনিয়ত বুকলেট বিতরণ ও প্রচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছি।

আওয়ামী লীগ নেতা এস এম ফরিদ উদ্দীন বলেন, গত ১৪ বছরে বর্তমান সরকার বাংলাদেশে অনেক বড় বড় উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। সে উন্নয়ন মূলক কাজগুলো বিস্তারিত ভাবে এ বুকলেটে তুলে ধরা হয়েছে। শেখ হাসিনা সরকার বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা বাড়িয়েছেন এই সরকার।

প্রসঙ্গত, ইতোমধ্যে এম এ এস ইমনের উদ্যোগে মেহেরপুর শহর, মুজিবনগর উপজেলার মোনাখালী, দারিয়াপুর, বাগোয়ান, মহাজনপুর ও মেহেরপুর সদর উপজেলার কুতুবপুর, বুড়িপোতা, আমদহ, আমঝুপিসহ বিভিন্ন গ্রামে বুকলেট বিতরণ করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারীসহ দু’জন আহত

আলমডাঙ্গার বৈদ্যনাথপুরে পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় এক নারীসহ দুইজন আহত হয়েছে।  বুধবার সন্ধ্যায় মোটর সাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে আসমান আলী নামের এক ব্যক্তি ও পিকআপের ধাক্কায় অজ্ঞাত এক মহিলাকে রাস্তা থেকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে স্থানীয়রা।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার বৈদ্যনাথপুর গ্রামের রবিউল হকের ছেলে আসমান আলী মোটর সাইকেলযোগে যাচ্ছিলেন। বাচ্চুর বিন্কুট ফ্যাক্টরীর সামনে এসে মোটর সাইকেলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে পড়ে গেলে হাত-পা ভেঙ্গে যায়।

এদিকে রাতে হাটবোয়ালিয়া- আলমডাঙ্গা সড়কের বৈদ্যনাথপুর জলকামান মাঠের নিকট অজ্ঞাত এক মহিলাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে স্থানীয়রা। ওই নারী পিকআপের ধাক্কায় মাথা রক্তাক্ত জখম হয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারণা। পরে তাকে অজ্ঞান অবস্থায় উদ্ধার করে হারদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গার বকসিপুর থেকে ট্যাপেন্টা ট্যাবলেটসহ মাদক ব্যবসায়ী

আলমডাঙ্গার বকসিপুর গ্রাম থেকে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেটসহ আমিরুল ইসলাম নামের এক মাদক বিক্রেতাকে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে পুলিশ।

জানা গেছে,আলমডাঙ্গার বকসিপুর গ্রামের মৃত খলিলুর রহমানের ছেলে আমিরুল ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট কেনাবেচা করে বলে পুলিশের কাছে সংবাদ আসে।

সংবাদের ভিত্তিতে থানার অফিসার ইরচার্জ সাইফুল ইসলামের নেতৃত্বে এসআই (নিঃ) মনিরুল ইসলাম, সঙ্গীয় অফিসার এএসআই (নিঃ) মোঃ শামিনুর রহমান ও ফোর্সসহ মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করেন।

অভিযানে আমিরুল ইসলামকে আটক করে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে ৩১ পিচ ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। আটক আসামীর বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।




আলমডাঙ্গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালিত

আলমডাঙ্গার বধ্যভূমি সংলগ্ন সরকারী জমিতে গড়ে উঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ অভিযান চালানো হয়েছে। বুধবার বেলা ১১টার দিকে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহকারী কমিশনার ভূমি এ অভিযান পরিচালনা করেন।

জানা গেছে,আলমডাঙ্গার বধ্যভূমি সংলগ্ন এলাকায় সরকারী জমিতে বেশকিছু অবৈধ স্থাপনা গড়ে ওঠে। এসব স্থাপনা সরিয়ে নিতে ইতিপূর্বে নির্দেশ দেওয়া হয়। নির্দেশ অমান্য করে স্থাপনা না সরিয়ে নিলে গতকাল প্রশাসন উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেন।

পরিচালিত এ অভিযানে ১টি স’ মিল, দুটি দোকান ও ৩ টি কাঁচাঘর উচ্ছেদ করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নূর, সহকারী কমিশনার ভূমি রেজওয়ানা নাহিদ ও থানা পুলিশের একদল ফোর্স।




আলমডাঙ্গায় কম্পিউটারের দোকানে চুরির ঘটনায় মালামাল, ৪ শিক্ষার্থী আটক

আলমডাঙ্গায় টেলিকমের দোকানে চুরির ঘটনায় ৪ এসএসসি পরীক্ষার্থী আটক করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার রাতে পু্লশি উপজেলার হাটবোয়ালিয়া গ্রামে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।

এ সময় ওই শিক্ষার্থীদের বাড়ি থেকে উদ্ধার করেছে কম্পিউটারের মনিটরসহ মোবাইল ও দোকানের অন্যান্য মালামাল। আটক ৪ জন হলো হাটবোয়ালিয়া গ্রামের আজমত। উল্লাহ হুদার ছেলে আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদ (১৬), একই উপজেলার ফুল বগাদি গ্রামের আব্বাস উদ্দিনের ছেলে রেশাদ আলী (১৭) মেহেরপুর জেলার গাংনি উপজেলার শালদাহ গ্রামের ছায়েদুল ইসলামের ছেলে সুফাইফ হাসান সিজান (১৬), ও নগরবোয়ালিয়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে সাইফুল ইসলাম শান্ত (২৬)। আটকৃতদের বিরুদ্ধে চুরির মামলা দায়ের করা হয়েছে।

পুলিশ জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার নগরবোয়ালিয়া গ্রামের সোহরাব হোসেনের ছেলে আনিছুর রহমান আলো হাটবোয়ালিয়া বাজারে ‘মুক্তা কম্পিউটার এন্ড মিউজিক পয়েন্ট’ নামের একটি প্রতিষ্ঠান দিয়ে ব্যবসা করেন। গত ১ জানুয়ারী রাতে ওই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের টিন কেটে চুরির ঘটনা ঘটে। চোরেরা কম্পিউটার মনিটর,মোবাইল সেট, হার্ডডিক্স,মেমোরী কার্ড, হেডফোনসহ দোকান থেকে ২ লাখ টাকার বিভিন্ন মালামাল নিয়ে যায়। চুরির বিষয়টি দোকান মালিক পু্লশিকে জানিয়ে পুনরায় মালামাল কিনে ব্যবসা শুরু করেন। একই ভাবে গত ১০ ফেব্রুয়ারী রাতে দোকানের পেছনে সিঁদ কেটে চোরেরা আইপিএস ব্যাটারী, ছোটবড় হেডফোন ৩শ’ পিচ, গ্লাস পেপার,২ হাজার মোবাইল গ্লাস পেপার,ইউপিএস, ৩ টি টাচ মোবাইল সেট,সিসি ক্যামেরাসহ ১ লাখ ২০ হাজার টাকার মালামাল নিয়ে যায়।

পুনরায় চুরির ঘটনা হাটবোয়ালিয়া ক্যাম্পে জানালে ক্যাম্প পুলিশ চোরদের ধরতে তৎপরতা শুরু করে। ২১ ফেব্রুয়ারী রাতে চুরি হওয়া একটি মোবাইল উপজেলার মোড়ভাঙ্গা গ্রামে নানার বাড়িতে থাকা অবস্থায় সুফাইফ হাসান সেজানের কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সে মোবাইলে দোকানে চুরির ঘটনা স্বীকার করে। তার তথ্যের ভিত্তিতে ওই রাতেই পুলিশ হাটবোয়ালিয়া গ্রাম থেকে আব্দুল্লাহ আল ফুয়াদকে আটক করে। তার বাড়ি থেকে উদ্ধার হয় ৩টি পুরাতন টাচ মোবাইল সেট,৬ টা নষ্ট বাটন ফোন,১টি ইউপিএস,২টি কী-বোর্ড,১টি সিসি ক্যামেরা, ১২টি ব্লুটিথ হেডফোন,৯৩ টি হেডফোন,২টি স্পিকার,২১০টি মোবাইলের ব্যাকপ্যাড,১টি রাউটার,৮টি চার্জার,৭২৩ টি মোবাইলের গ্লাস পেপার,১০ টি চার্জারের মাথাসহ ২ লাখ ১৬ হাজার টাকার মালামাল উদ্ধার করা হয়। পরে ফুয়াদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে নগরবোয়ালিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলাম শান্তকে আটক করে পুলিশ। সেখান থেকে উদ্ধার করা হয় ১৯ ইঞ্চি মনিটর। আটক ৩ জন চুরির ঘটনা স্বীকার করে রেশাদ নামের আরও এক জনের নাম জানায়। রাতেই পুলিশ রেশাদকে আটক করে। আটক ৪ জনই মেরটি স্কুলের ছাত্র এবং এসএসসি পরীক্ষার্থী। চুরির এই ঘটনায় দোকান মালিক বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেছেন।

আলমডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ সাইফুল ইসলাম জানান, চোরাই একটি মোবাইল উদ্ধার ও একজনকে আটকের পর চুরির ঘটনায় জড়িতদের আটক ও তাদের কাছ থেকে চোরাই মালামাল উদ্ধার করা হয়েছে।