ঝিনাইদহে যথাযোগ্য মর্যাদায় নানা কর্মসূচীর মধ্য দিয়ে জাতীয় শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটিতে ভাষা শহীদদের প্রতি জেলা প্রশাসনের সকল ইউনিট, পুলিশ প্রশাসন, স্বাস্থ্য বিভাগ, প্রকৌশল বিভাগ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক সংগঠন, প্রেসক্লাব, সামাজি ও সাংস্কৃতিক সংগঠনসহ ঝিনাইদহের সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
একুশের প্রথম প্রহরে রাত ১২টা ১ মিনিটে শহরের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে রাষ্ট্রের পক্ষে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসন। সেসময় সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য খালেদা খানম, জেলা প্রশাসক প্রশাসক মনিরা বেগম, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক রথীন্দ্রনাথ রায়সহ জেলা প্রশাসনের অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
পরে পুলিশ বিভাগের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার আশিকুর রহমান, মুক্তিযোদ্ধা সংসদসহ সরকারি, বেসরকারি নানা সংগঠনের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর আগে শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে র্যালি, শোভাযাত্রা সহকারে বিভিন্ন সংগঠনের নেতাকর্মীরা শহীদ মিনারের পাদদেশে হাজির হয়।
মঙ্গলবার সকালে শহরের পুরাতন ডিসি কোর্ট চত্বর থেকে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে প্রভাতফেরীর আয়োজন করা হয়। এতে জেলা প্রশাসন, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা অংশ নেয়। প্রভাতভেরী সেখান থেকে বের হয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
এদিকে সকালে জেলা আওয়ামী লীগের কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা অর্ধ-নমিত এবং কালোপতাকা উত্তোলন করা হয়। পরে সেখান থেকে একটি র্যালী বের করা হয়। র্যালীটি শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে শহীদ মিনারে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে ভাষাশহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই এমপি, সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুসহ দলীয় নেতাকর্মীরা।
তাছাড়া রাতে বিএনপির দু গ্রুপ আলাদা আলাদা করে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধাঞ্জলি অর্পণ করে। এক গগ্রুপের নেতৃত্বে ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি এম এ মজিদ এবং অপর গ্রপের নেতৃত্বে ছিলেন সাবেক এমপি মসিউর রহমানের পুত্র জেলা বিএনপির নেতা ডা. ইব্রাহীম রহমান বাবু। এছাড়া জাসদ, জাতীয় পাটিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও ঝিনাইদহ প্রেসক্লাব, সেনা কল্যাণ সস্থা, সিটিজেন ফোরামসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।