দামুড়হুদা লোকমোর্চার এ্যাডভোকেসি ও লবি সভা অনুষ্ঠিত

দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদে লোকমোর্চার উদ্যোগে এ্যাডভোকেসি ও লবি সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১টার দিকে নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়।

ওয়েভ ফাউন্ডেশন এর সামাজিক সুরক্ষা কর্মসুচি প্রকল্প (এসপিপিএস) এর আওতায় নতিপোতা ইউনিয়ন লোকমোর্চার সদস্যগণ, নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী এর সাথে ইউনিয়ন পরিষদ প্রদত্ত বিভিন্ন ভাতা প্রদানের যাচাই-বাছাই কমিটিতে লোকমোর্চার প্রতিনিধি যুক্ত করণ ও ভাতার দাবী নিয়ে এডভোকেসি ও লবি সভা অনুষ্ঠিত হয়।

লোকমোর্চার সভাপতি হাজী রবিউল হাসানের সভাপতিত্বে সভার প্রধান অতিথি ছিলেন নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী। এসময় চেয়ারম্যান লোকমোর্চা প্রতিনিধিদের ভাতা প্রদান যাচাই-বাছাই কমিটিতে যুক্ত করার আশাবাদ ব্যক্ত করেন এবং ওয়ার্ড পর্যায়ে সঠিক তালিকা তৈরি করে ইউপি সদস্যদের কাছে প্রদানের জন্য আহ্বান জানান।

এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের সিনিয়র সমন্বয়কারী আনিসুর রহমান। নতিপোতা ইউনিয়ন লোকমোর্চার সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলী, যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক তানজুল ইসলাম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মামুনুর রশিদ, প্রচার সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান,ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক মুজিবুর রহমান,পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক এরশাদ আলী,ক্রিড়া বিষয়ক সম্পাদক আবু জাফর,দপ্তর সম্পাদক মিজানুর রশিদ নতিপোতা ইউনিয়ন পরিষদের ইউনিয়ন সচিব সুজাল আলী, ইউপি সদস্য, মতিয়ার রহমান,আক্তার শেখ,মিজানুর রহমান,মফিজুর রহমান,শওকত আলী, জাহাঙ্গীর আলম, হালিমা খাতুন,নাছরিন খাতুন উপস্থিত ছিলেন।

অনুষ্ঠানটির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন প্রোগ্রাম অফিসার ফরহাদ হোসেন।




কোটচাঁদপুরে ২০ জন পঙ্গুর মধ্যে চেয়ারম্যানের হুইল চেয়ার বিতরন

২০ জন দুঃস্থ্য,অসহায় ও পঙ্গুদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরন করলেন কোটচাঁদপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মোছাঃ শরিফুননেসা নেসা মিকি।

আজ  বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদ থেকে এ চেয়ার দেয়া হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন,কোটচাঁদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মাসুম বিল্লাহ।

প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে দুঃস্থ্য,অসহায় ও পঙ্গুদের মধ্যে হুইল চেয়ার বিতরন করেন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও চেয়ারম্যান মোছাঃ শরিফুননেসা নেসা মিকি। তিনি বলেন, প্রতি বছরের ন্যায় এ বছরও বার্ষিক উন্নয়ন প্রকল্পের(এডিপি) অর্থায়নে পরিষদের পক্ষ থেকে দুঃস্থ্য,অসহায় ও পঙ্গুদের জন্য বরাদ্ধ ছিল। যা থেকে ২০ জনের মধ্যে হুইল চেয়ার কিনে তা বিতরন করা হয়।

যার মধ্যে রয়েছে, রুমা খাতুন,খুকি বেগম,লবাই মন্ডল, আব্দুর রশিদ, মনোয়ারা বেগম,নাইম ইসলাম, আরাফাত হোসেন, নাফিস হোসেন,শুকুর আলী, নাহার বেগম,মোমেনা খাতুন,সাইদুর রহমান,মতলেব মিয়া। এ ছাড়া সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসে পঙ্গু মানুষ জমি রেজিষ্ট্রি করতে এসে বিপদে পড়েন। এই বিবেচনায় স্থানীয় সাব-রেজিষ্ট্রিকে একটা চেয়ার দেয়া হয়।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান রিয়াজ হোসেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পিংকি খাতুন,উপজেলা প্রকৌশলী মিজানুর রহমান, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা সঞ্চয় কুমার।




মুজিবনগরে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত

মেহেরপুরের মুজিবনগরে দিনব্যাপী উপজেলা পর্যায়ের জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা (ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক, বিষয়ভিত্তিক কুইজ ও কাবিং) ২০২৩ প্রতিযোগিতা ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার সকালে মুজিবনগর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের আয়োজনে, উপজেলা পরিষদ চত্বরে অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীতের তালে তালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস জাতীয় পতাকা এবং উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো:আলাউদ্দীন ক্রীড়া পতাকা উত্তোলন করেন।

পতাকা উত্তোলন শেষে দিনব্যাপী প্রাথমিক শিক্ষা পদক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠানে মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার আলাউদ্দীন,উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা,যোদ্ধাহত বীর মুক্তিযোদ্ধা আহসান আলী খাঁন, উপজেলার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধানগণ ও অন্যান্য শিক্ষক,শিক্ষিকা মন্ডলী।

প্রতিযোগিতায় অনুষ্ঠিতব্য সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতায় নৃত্য, সংগীত, হাতের লেখা, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক অভিনয়সহ বিভিন্ন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

উপজেলার ৩৮ টি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে ৫৪ টি ইভেন্টে ৮০ জন শিক্ষার্থী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন।
প্রতিযোগিতা শেষে বিজয়ী শিক্ষার্থীদের মাঝে কার বিতরণ করা হয়।




মেহেরপুরে ঢাকা পোষ্টের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন

সত্য ও বস্তুনিষ্ঠতা আছে বলেই এতো এতো সংবাদ মাধ্যমের মধ্যে ঢাকা পোষ্ট অল্প বয়সের হলেও মানুষের মাঝে আস্থার গণমাধ্যম হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে বলেই ঢাকা পোষ্ট বিভিন্ন পুরুস্কার অর্জন করেছে। আর এই তথ্য প্রযুক্তি ও প্রতিযোগাীতায় টিকে থাকা সম্ভব হয়েছে যারা সম্পাদকীয়তার দায়িত্বে রয়েছেন তাদের সৃষ্টিশীল চিন্তাভাবনা ও দায়িত্বের জায়গা থেকে অনড় অবস্থান। ঢাকা পোষ্টকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে দক্ষ দায়িত্বশীল ব্যাক্তিরা। ঢাকা পোষ্টের মাধ্যেমে বাংলাদশের প্রথম রাজধানী আমাদের ঐতিহাসিক মেহেরপুরকেও বিশ্বদরবারে তুলে ধরার সুযোগ হয়েছে। এসব কথা বলেছেন মেহেরপুর সরকারি মহিলা ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ মোঃ রফিকুল ইসলাম।

আজ বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারী) বিকেল সাড়ে তিনটার সময় মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে ঢাকা পোষ্টের দ্বিতীয় বর্ষপুর্তীর আলোচনা সভা অনুষ্ঠানে অতিথিরা তাদের বক্তব্যে ঢাকা পোষ্টের নির্ভরযোগ্য সংবাদ ও প্রতিষ্ঠানের আরও সাফল্য কামনা করে এসব কথা বলেন।

ঢাকা পোষ্টের মেহেরপুর প্রতিনিধি আকতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে এবং মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব চান্দুর সঞ্চালনায় অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অবসরপ্রাপ্ত ক্যাপ্টেন আব্দুল মালেক, মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম,সরকারি ডিগ্রী কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমীন ধুমকেতু, দৈনিক মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মোমিন, সাংস্কৃতিক ব্যাক্তিত্ব শামীম জাহাঙ্গীর সেন্টু, গাংনী প্রেসক্লাব সভাপতি তৌহিদ উদ দৌলা রেজা, ও বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা(বাসস)এর প্রতিনিধি দিলরুবা ইয়াসমিন।

আলোচনা সভা শেষে কেক কাটা ও শোভা যাত্রার মাধ্যমে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়। ঢাকা পোষ্টের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী অনুষ্ঠানে মেহেরপুরের বিভিন্ন গণ মাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিক ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিরা অংশ গ্রহন করেন।




মুজিবনগরে ভোরের কাগজের ৩১ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন

মেহেরপুর মুজিবনগরে বাংলাদেশের বহুল প্রচারিত পত্রিকা দৈনিক ভোরের কাগজের ৩১ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিকালে মুজিবনগর উপজেলা অডিটোরিয়ামে আলোচনা সভা ও কেক কাটার মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন করা হয়।

মুজিবনগর উপজেলা প্রতিনিধি হাসান মোস্তাফিজুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন মুজিবনগর উপজেলার নির্বাহী অফিসার অনিমেষ বিশ্বাস।

সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন ভোরের কাগজ পত্রিকার মেহেরপুর জেলা প্রতিনিধি মর্তুজা ফারুক রুপক, মুজিবনগর থানার ওসি মেহেদী রাসেল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি রফিকুল ইসলাম তোতা, সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী খালিদ হোসেন, বাগোয়ান ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, মুজিবনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ওমর ফারুক প্রিন্স, বাগোয়ান ইউনিয়ন ৬ নং ওয়ার্ড সদস্য বাবুল মল্লিক।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মতিউর রহমান মতিন, বাগোয়ান ইউপি ৬ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাইকেল মন্ডল টুইস, বাগোয়ান ইউনিয়ন ১ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জহীর উদ্দীন, যুবলীগ নেতা হাসানুজ্জামান লাল্টু, সাংবাদিক আব্দুস সালাম, সোহাগ মন্ডল, শাকিল রেজা, তুহিন আলী, জাহিদ হোসেন ফিরোজুর রহমান,উজ্বল হোসেন, মওলাদ হোসেন,আব্দুল খালেক সহ মুজিবনগর উপজেলা প্রেসক্লাবের সকল সদস্য।




কুমিল্লার জয়রথ থামিয়ে শিরোপা জিততে উন্মুখ সিলেট

বিপিএলের সবচেয়ে সফল অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজার নেতৃত্বে প্রথমবারের মত টুর্নামেন্টটির শিরোপা জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী সিলেট স্ট্রাইকার্স।

মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের নবম আসরের ফাইনালে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লার ভিক্টোরিয়ান্সের মুখোমুখি হবে প্রথমবার ফাইনালে ওঠা সিলেট স্ট্রাইকার্স। বিপিএলের শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচটি সরাসরি সম্প্রচার করবে নাগরিক টেলিভিশন।

অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেই শুধুমাত্র ঈর্ষনীয় রেকর্ড নেই মাশরাফির। বিপিএলেও অধিনায়ক হিসেবে সেরা সাফল্য আছে তার। বিভিন্ন ফ্র্যাঞ্চাইজির হয়ে এ পর্যন্ত সর্বোচ্চ চারবার বিপিএলে চ্যাম্পিয়ন হয়েছেন মাশরাফি। প্রথম পাঁচ আসরের মধ্যে চারটিতে অধিনায়ক হিসেবে ট্রফি তুলে ধরেছেন ম্যাশ।

২০১২ ও ২০১৩ সালে বিপিএলের প্রথম দুই আসরে ঢাকা গ্ল্যাডিয়েটর্সের হয়ে শিরোপা জেতেন মাশরাফি। এরপর ২০১৫ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের হয়ে সেরার মুকুট মাথায় তোলেন দেশসেরা অধিনায়ক। পরবর্তীতে ২০১৭ সালে রংপুর রাইডার্সের অধিনায়ক হিসেবে চতুর্থবারের মত চ্যাম্পিয়ন হন মাশরাফি।

মাশরাফির পর অধিনায়ক হিসেবে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ দুইবার বিপিএলের শিরোপা জয় করেছেন ইমরুল কায়েস। ২০১৮ ও ২০২২ সালে কুমিল্লার হয়ে দু’বার শিরোপা জিতেছেন ইমরুল।

অধিনায়ক হিসেবে একবার করে বিপিএলের শিরোপা জিতেছেন সাকিব আল হাসান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের আন্দ্রে রাসেল। ২০১৬ সালে ঢাকা ডায়নামাইটসকে শিরোপার স্বাদ দেন সাকিব। একমাত্র বিদেশি অধিনায়ক হিসেবে ২০১৯ সালে রাজশাহী রয়্যালসকে শিরোপা এনে দেন রাসেল।

এখন পর্যন্ত টুর্নামেন্টের ফাইনালে কখনও হারেননি মাশরাফি। এজন্য প্রথমবারের মত ফাইনাল খেলার সুযোগ পাওয়া সিলেট মাশরাফির নেতৃত্বে শিরোপা জয়ের স্বপ্ন দেখছে।
প্লেয়ার ড্রাফটের পর শিরোপা দৌঁড়ের তালিকায় নাম না থাকলেও মাশরাফির নেতৃত্বে যেভাবে ফাইনালে উঠেছে তাতে শিরোপা জেতার ব্যাপারে বেশ আশাবাদী সিলেট।

অভিজ্ঞ ও তারুণ্যের সমন্বয়ে দল গড়েছিলো সিলেট। দলের তরুণ খেলোয়াড়দের বড় কোন টুর্নামেন্টে বলার মত সাফল্য ছিলো না। কিন্তু মাশরাফি ম্যাজিকে ম্যাচ জয়ী খেলোয়াড় হয়ে উঠেছেন তৌহিদ হৃদয়, জাকির হাসান, তানজিম হাসান সাকিবরা। দলকে ফাইনালে তুলতে বড় ভূমিকা রেখেছেন তারা।

তরুণদের এমন সাফল্য নিয়ে মাশরাফি বলেন, ‘আমার কোন জাদুর ছোঁয়া নেই, সব আল্লাহর রহমত। খেলোয়াড়রা তাদের সেরাটা খেলার চেষ্টা করেছে, তাই এমনটা হয়েছে।’

আগে চারবার ফাইনালে উঠে শিরোপা জিতলেও, নবম আসরের ফাইনাল নিয়ে সতর্ক মাশরাফি। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত কোন ফাইনাল হারিনি বলে এর মানে এই নয়, প্রতিটি ফাইনালেই জয়ী হব।

তিনি বলেন, ‘এটি ফাইনাল, আমরা কোন ঝুঁকি নিতে পারি না। মাশরাফি কোন ফাইনাল হারেনি এটি ভেবে আমরা আত্মতুষ্ট হতে পারি না। আমাদের সেরাটা দিতে হবে।’

ফাইনালে মাশরাফির দলের প্রতিপক্ষ কুমিল্লা দুর্দান্ত ফর্মে আছে। প্রথম তিন ম্যাচ হারের পর টানা ১০ ম্যাচে জয় পায় কুমিল্লা। এ সময় সিলেটকে দু’বার হারায় তারা। দ্বিতীয় লেগে ও প্রথম কোয়ালিফাইয়ারে জয় তুলে নিয়ে প্রথম দল হিসেবে ফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে কুমিল্লা।
মাশরাফির মতো কোন ফাইনালে হারেননি কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও। যদিও দু’বার ফাইনাল ম্যাচ খেলেছেন তিনি।

মাশরাফি বলেন, ‘কুমিল্লা এই টুর্নামেন্টের সবচেয়ে ধারাবাহিক দল। কিন্তু এর মানে এই নয় যে, আমরা তাদের বিপক্ষে কোন ম্যাচেই পারবো না। আমরা যদি আমাদের সেরা ক্রিকেট খেলি, এবং গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এগিয়ে থাকতে পারি তাহলে আমরা শিরোপা জিততে পারবো। কিন্তু আবারও বললাম, আমার কাছে কোন জাদুর ছোঁয়া নেই। ছেলেরা এখন পর্যন্ত ভালো খেলেছে এবং আমি চাই আর একটি ম্যাচের জন্য তারা আবারও জ্বলে উঠুক।’

এদিকে, কুমিল্লাও জানে টানা ১০ ম্যাচ জয়ের পরও একটি খারাপ দিন সব কিছু নষ্ট করে দিতে পারে। তারা আশা করছে, টুর্নামেন্টের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে কোন অঘটন না ঘটুক।

কুমিল্লার অধিনায়ক ইমরুল কায়েস বলেন, ‘আমরা আমাদের সেরাটা খেলার চেষ্টা করবো। আমরা এখন পর্যন্ত যেভাবে খেলেছি সেভাবে খেলতে পারলে আশা করি শিরোপা জিততে পারবো।’

আজ শিরোপা জিতলে, বিপিএলের সবচেয়ে সফলতম দলের তকমা পাবে কুমিল্লা। ঢাকা ফ্র্যাঞ্চাইজিকে সরিয়ে সফল ফ্র্যাঞ্চাইজি হবে কুমিল্লা। গ্ল্যাডিয়টর্স এবং ডায়নামাইটস নামে তিনবার শিরোপা জিতেছে ঢাকার ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত

মেহেরপুর জেলা স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুলের ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের নিয়ে অরিয়েন্টেশন সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১১টার সময় মেহেরপুর সিভিল সার্জনের সম্মেলন কক্ষে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সিভিল সার্জন ডাক্তার জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী এর সভাপতিত্বে বক্তব্য দেন মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি তোজাম্মেল আযম, মেহেরপুর প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফজলুল হক মন্টু, চ্যানেল ২৪ এর সাংবাদিক রাশেদুজ্জামান, বাসস প্রতিনিধি দিলরুবা খাতুন, মেহেরপুর প্রতিদিনের সম্পাদক ইয়াদুল মুমিন ।

মেহেরপুর সিভিল সার্জন অফিসের মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মোঃ ইনজামুল হক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।
সিভিল সার্জন ডাক্তার জওয়াহেরুল আনাম সিদ্দিকী বলেন আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি সারাদেশের ন্যায় মেহেরপুর জেলাতেও ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

মেহেরপুর জেলায় ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী ৮৫৪১ জন শিশুকে নীল রঙের ক্যাপসুল এবং ১২ মাস থেকে ৫৯ মাস বয়সী ৬১ হাজার ৯৭৮ জন শিশুকে লাল রঙের ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

তিনি আরো বলেন জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে শিশুদের রাতকানা রোগ এবং ভিটামিনের ঘাটতি পূরণে যথেষ্ট ভূমিকা পালন করে যে কারণে প্রতিবছর দুইবার ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়।

মেহেরপুর জেলার প্রায় ৪০ জন সাংবাদিক ওয়ারেন্টেশন সভায় অংশগ্রহণ করে।




শ্যামপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

মেহেরপুরের শ্যামপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ফ্রি চক্ষু, চর্ম ও দাঁত সেবা ২০২৩ এর আয়োজন করা হয়। বৃহস্পতিবার সকালে মেহেরপুরে শ্যামপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে ক্যাম্পের আয়োজন করা হয়।

অবসরপ্রাপ্ত লেঃ কর্নেল প্রফেসর ড. মোঃ আব্দুল ওহাবের নেতৃত্বে রংধনু বন্ধু পরিষদ ফ্রি চক্ষু, চর্ম ও দাঁত সেবা ক্যাম্প পরিচালনা করেন।

ফ্রি সেবা কেন্দ্রে উপস্থিত ছিলেন প্রফেসর আব্দুল মজিদ, শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মতিউর রহমান, শ্যামপুর মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক।

শ্যামপুরের বাসিন্দা সাবান বলেন, আমি এখানে চোখের ডাক্তার দেখাতে এসেছিলাম আমি এই সেবাতে খুশি না হলেও খুশি। ঝাউবাড়ির শাহিদা বলেন, চোখ দেখানোর জন্য এসেছি ডাক্তার ঔষধ সহ চোখের ড্রপ দিয়েছে অন্তত একটা ড্রপ দেওয়ার দরকার ছিল কারণ টাকা নাই পয়সা নাই বলে এখানে এসেছি টাকা থাকলে এখানে আসতাম না।
আলমপুরের রহিমা খাতুন বলেন, আমি চোখের জন্য এখানে এসেছিলাম ডাক্তার আমাকে চশমা দেয়নি ঔষধ দিয়েছে আমি এই ফ্রি সেবা পেয়ে খুব খুশি।

ফ্রি চক্ষু, চর্ম ও দাঁত সেবা ক্যাম্পের মিডিয়া পার্টনার মেহেরপুর প্রতিদিন।




বিকাশকর্মী থেকে কোটি কোটি টাকার মালিক আনোয়ার,নেপথ্যে অনলাইন জুয়া

বিকাশের ডিস্ট্রিবিউটর সেলস অফিসার (ডিএসও) পদে চাকরিকালীন মাসে বেতন পেতেন সাড়ে ১১ হাজার টাকা। করোনার অতিমারিতে অনলাইন জুয়ার কার্যক্রম শুরু হলে জুয়াড়িদের কাছে বিকাশের এজেন্ট সিম সরবরাহ করতে আবিষ্কার করে তিনি নিজেই অনলাইন জুয়ার হোতা বনে যান। আর এই দুই বছরে সাড়ে ১১ হাজার টাকা বেতনের সেলস প্রতিনিধি এখন কোটি কোটি টাকার মালিক।

আরব্য রজনির রুপকথা আলাদিনের চেরাগকে হার মানানোর গল্প এটি। এবারের গল্পের নায়কের নাম আনোয়ার হুসাইন। বয়স আনুমানিক ৩০ বছর। মেহেরপুরের গাংনী উপজেলার গাড়াডোব গ্রামের কিয়াম উদ্দিনের ছেলে। ইতোমধ্যে গাড়াডোব অনলাইন জুয়ার দ্বিতীয় দূর্গ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে। যে গ্রামে ৩০ থেকে ৪০ জন তরুন অনলাইন জুয়ার এজেন্ট হিসেবে কাজ করছেন।

মুলত ২০২০ সালে করোনার সময় তিনি অনলাইন জুয়ার এজেন্ট মাদার আলীকে সিম সরবরাহ করতে গিয়ে অনলাইন জুয়ায় জড়িয়ে পড়েন। যখন কোনমতে বিকাশের বেতন থেকে সংসার চালাতেন। মাত্র দেড়বছর যেতে না যেতেই কোটি কোটি টাকার মালিক হতে থাকেন তিনি। অনলাইন জুয়ার আয় থেকে শুরু সম্পদ কেনা ও ব্যবসা বাণিজ্য। তবে বদরুদ্দোজা রয়েল প্রথম আটক হওয়ার পর সে পুলিশের কাছে আনোয়ার হোসেনের নাম জড়িয়ে দিলে তারপর থেকে পলাতক জীবন যাপন শুরু করে। মাঝে মধ্যে বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে এলাকায় আসেন। কাজ শেষ করে আবার আত্মগোপনে থাকেন।

আনোয়ার হোসেনের সম্পদ অনুসন্ধান করতে গিয়ে জানা গেছে, আনোয়ার হোসাইন অনলাইন জুয়া থেকে আয় করা টাকা দিয়ে ২০২১ সালের ২১ ডিসেম্বর মেহেরপুর শহরের তাহের ক্লিনিকের সামনে সড়কের (মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়ক) পাশে চার কাঠা জমি কিনেছেন। যার দলিল মূল্য করা হয়েছে ৯৪ লাখ টাকা। যে জমি রেজিষ্টি করত্রে ও মহুরী খরচ লেগেছে আরো ১০ লাখ টাকা। যার দলিল নম্বর ৬৯৮২/২১।

মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের কাটাইখানার সামনে আজিজুল হকের মেয়ে সুমনা হকের কাছে থেকে চলতি ২০২২ সালেল ১৯ জুলাই ৯ শতক জমি কিনেছেন। যার দলিল মূল্য করা হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা। দলিল নম্বর-৪২৭০/২২।

শহরের পিয়াদা পাড়ায় সুমনা হকের ভাই রাসেল হকের কাছে থেকে ২০২২ সালের ২৮ জুন তারিখে সাড়ে ১৪ শতক জমি কিনেছেন। যার দলিল মূল্য করা হয়েছে ৪০ লাখ টাকা। যার দলিল নম্বর-৩৮৪১/২২। রেজিস্ট্রি ও মহুরী খরচ লেগেছে আরো ৬ লাখ টাকা।
২০২১ সালের ২২ জুন তারিখে ফৌজদারি পাড়ার আশরাফুল ইসলাম ও তার ভাইদের সাথে ৬ কাঠা জমি কিনেছেন। যার দলিল মূল্য করা হয়েছে ৬০লাখ টাকা। যার দলিল নম্বর-৩৫৬৬/২১।

গাংনীর গাড়াডোব গ্রামের কাঁচারি বাজারে মরিয়ম হার্ডওয়ার এন্ড ইলেকট্রনিক্স নামে চারটি দোকান নিয়ে ব্যবসা শুরু করেছেন। ধানখোলা ইউনিয়ন পরিষদ থেকে ট্রেড লাইসেন্স গ্রহণ করেছেন চলতি বছরের ১৩ অক্টোবর। চারটি দোকানের জন্য জামানাত দিয়েছেন সাড়ে ১১ লাখ টাকা। মালামাল তুলেছেন প্রায় এক কোটি টাকার। দোকানটি পরিচালনা করেন তার এক ভাইরা।

জানা গেছে, গত বছরের ২৫ আগষ্ট বদরুদ্দোজা ওরফে রয়েলকে আটক করে মেহেরপুরের সাইবার ক্রাইম বিভাগ। রয়েল সাইবার ক্রাইমের কাছে ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে স্বীকারোক্তি দেন। ওই ১৫ জনের মধ্যে আনোয়ার হোসাইনের নামও ছিল। কিন্তু এখনো আনোয়ার হোসাইন অধরা রয়েছে।

আরো জানা গেছে, অনলাইনে জুয়া খেলা পরিচালনার জন্য (ওয়ানএক্সবিট, বেট ৩৬৫ ডটকম, প্লেবেট ৩৬৫ ডটকম, বিডিটি ১০ ডটকম, উইনস ৬৫ ডটকম ও বেটস্কোর২৪ ডটকমসহ ২৩০ টি সাইটের মাধ্যমে এই জুয়া খেলা পরিচালিত হচ্ছে। মেহেরপুর জেলার অনলাইন জুয়ার এই চক্রটির মাধ্যমে প্রতিমাসে ৩৮০ থেকে ৪০০ কোটি টাকা বিদেশে পাচার হচ্ছে। সে হিসেবে বছরে হাজার হাজার কোটি টাকার বেশি অর্থ পাচার হচ্ছে। যেটি অবৈধভাবে হুন্ডির মাধ্যমে যাচ্ছে বিদেশে।

মেহেরপুর জেলা থেকে দুই শতাধিক এজেন্ট অনলাইন জুয়া সাইটের মাধ্যমে রাশিয়াসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার করছেন প্রায় ৪০০ কোটি টাকা। দেদারছে জুয়া খেলে কোটিপতি বনে যাচ্ছেন এসব এজেন্টরা। আর পথে বসছেন হাজার হাজার তরুণসহ জুয়া খেলার জড়িত ব্যক্তিরা। সঠিক নজরদারি না থাকায় অনলাইন প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রতিদিনই কোটি টাকা পাচার হচ্ছে দেশের বাহিরে। এতে রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক ক্ষতির পাশাপাশি বিপথে যাচ্ছেন তরুণ ও যুবকরা।

এ ব্যাপারে অনলাইন জুয়ার এজেন্ট আনোয়ার হোসাইন অভিযোগ স্বীকার করে বলেন, অভাবের তাড়নায় এ জুয়া খেলা শুরু করেছিলাম। একসময় খেলেছি, অনেক টাকা আয়ও করেছি। কিন্তু এখন এ কাজের সাথে জড়িত নয়।
তবে মেহেরপুর প্রতিদিনের অনুসন্ধানে এখনো তার জড়িত থাকার তথ্য রয়েছে।

মেহেরপুরের পুলিশ সুপার রাফিউল আলম, পিপিএম (সেবা), সম্প্রতি বলেছেন, আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। অনলাইন জুয়া নিয়েও পুলিশ কাজ করছে। ইতোমধ্যে অর্ধশত অনলাইন জুয়াড়িকে আটক করা হয়েছে। সংশ্লিষ্টতা পেলে কেউ ছাড় পাবে না।
(আনোয়ার হোসেনের বাকি তথ্য নিয়ে আরেকটি পর্বে বিস্তারিত প্রকাশ করা হবে। )

 




দর্শনা পৌর উপ নির্বাচনে মেয়র পদে নৌকা প্রতীক পেলেন আতিয়ার রহমান হাবু

সকল জল্পনাকল্পনার অবসান ঘটিয়ে দর্শনা পৌর উপ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন নৌকা প্রতীক পেলেন আতিয়ার রহমান হাবু।

গতকাল বুধবার বিকাল ৪ টায় গণ প্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা এমপির সরকারী বাসভবন গণ ভবনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের স্থানীয় সরকার জনপ্রতিনিধি মনোনয়ন বোর্ডের এক সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এসভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা (এমপি)। সভায় সম্মতিক্রমে দর্শনা পৌর উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসাবে মনোনীত করেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আতিয়ার রহমান হাবুকে।

এ দলীয় মনোয়নপত্র দেওয়ার সময় উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য হাজী মোঃ আলী আজগার টগর, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান ও দর্শনা পৌর আ.লীগের সাধারন সম্পাদক আলী মুনছুর বাবু সহ আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক নের্তৃবৃন্দ।

উল্লেখ্য, দর্শনা পৌরসভার মেয়র মতিয়ার রহমান মৃত্যু বরণ করায় মেয়র পদ শূন্য হয়ে পড়ে। এ শূন্য মেয়র পদের জন্য উপ-নির্বাচনের ঘোষণা দেন নির্বাচন অফিস। সে লক্ষে আগামী ১৬ মার্চ দর্শনা পৌর সভার মেয়র পদে উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ উপ-নির্বাচনে মেয়র পদে

গত রবিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয় থেকে মনোনয়নপত্র উত্তোলন করেন দর্শনা ইসলাম পাড়ার প্রয়াত শামসুল ইসলামের ছেলে ও সদ্য প্রয়াত মেয়র মতিয়ার রহমানের সহদর আতিয়ার রহমান হাবু।