অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার বিয়ের সাজের ছবি ফাঁস

টালিউড তারকা অঙ্কুশ হাজরা ও ঐন্দ্রিলা সেনের বিয়ের বিষয়ে নতুন ছবি ফাঁস হয়েছে। এর আগে তাদের বিয়ে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনার ঝড় ওঠে। এর শুরুটা অঙ্কুশই করেছিলেন। নায়িকার ঠোঁটে ঠোঁট বসানো ছবি পোস্ট করে জানিয়েছিলেন, ‘কিছু বিশেষ কারণে বিয়েটা হবে কিনা জানি না…।’ এ নিয়ে আলোচনার মাঝেই নতুন ছবি সোশ্যালে ভাইরাল।

হিন্দুস্তান টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে— ছবিতে বরের সাজে অভিনেতা। হলুদ পাঞ্জাবিতে সেজেছেন তিনি। পাশেই কনের সাজে বসা ঐন্দ্রিলা। পরনে লাল বেনারসি, ওড়না, নাকে নথ, কপালে কলকে ও শরীরজুড়ে মানানসই গহনা।

মঙ্গলবার ইনস্টাগ্রামে এমনই ছবি শেয়ার করেন টালিউড নায়িকা। ছবির ওপর লেখা— ‘বিয়ের আগের রাতে।’

এর আগে সোমবার ইনস্টাগ্রামে পোস্ট করা হয় ছবিটি। সেই পোস্টই নিজের স্টোরিতে শেয়ার করেন নায়িকা। সেই ছবি এখন ঘুরে বেড়াচ্ছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। এ নিয়ে নানা প্রশ্নও উঠেছে।

অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সম্পর্কে রয়েছেন। এই সময়ে তাদের সবচেয়ে বেশি প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে বিয়ে নিয়ে।

এদিকে গত কয়েক দিন ধরে ‘বিয়ে কেন হচ্ছে না’ শিরোনামে কয়েকটি সিরিজ পোস্ট করেন অভিনেতা। সেখানে কখনো বিয়ে না হওয়া, কখনো ঐন্দ্রিলার সঙ্গে ব্রেকআপ, আবার কখনো প্রসেনজিৎ ও আবির চ্যাটার্জির প্রশ্ন নিয়ে ভিডিও পোস্ট করেন।

বিয়ে কেন হচ্ছে না সিরিজের মাঝে বর-কনের সাজে ছবি নতুন প্রশ্নের জন্ম দিয়েছে। সোশ্যালে ওঠা প্রশ্নে অনেকে বলছেন, তা হলে কি অবশেষে বিয়ে করলেন অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলা। আবার কেউ বলছেন, এটি কোনো ওয়েব সিরিজ বা সিনেমার প্রচার।

ধারণা করা হচ্ছে, অঙ্কুশ-ঐন্দ্রিলার পরবর্তী সিনেমা ‘লাভ ম্যারেজের’ প্রোমোশন এসব। তবে এ নিয়ে এখনো এই জুটির মধ্যে কেউ মুখ খোলেননি।

 




শহীদ আলতামতির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি চায় তার সন্তানেরা

১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি আজকের এইদিনে বিএনপি’র একদলীয় ষষ্ট জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভাতুড়িয়া ভোট সেন্টারে আওয়ামী লীগের বাধার মুখে পুলিশের এলোপাথাড়ি গুলিতে শহীদ হন ঝিনাইদহ জেলার হরিণাকুণ্ডু উপজেলার গুড়পাড়া ভাতুড়িয়া গ্রামের আলতামতি।

তিনি একই গ্রামের আব্দুর রহমান বিশ্বাসের মেয়ে এবং আব্দুল খালেকের স্ত্রী। মৃত্যুকালে তিনি রেখে জান ৪বছরের ছেলে রিপন এবং ৪ মাসের শিশু পুত্র শিপনকে।

আলতামতির ভাই মোঃ আশারাফুল ইসলাম সেদিন অনেক চেষ্টা করেও বিএিনপি আর পুলিশের বাধার মুখে কারও বিরুদ্ধে মামলা করতে সাহস পায়নি। এমনকি হুমকী ধমকীর শিকার হয়ে বাড়ি ছাড়তে হয়েছে তাকে। একই বছর ১২জুন সপÍম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসে তারপর পরিবারের পক্ষথেকে দাবি করা হয় আলতামতিকে রাষ্ট্রিয় ভাবে শহীদ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়ে তার অসহায় শিশু সন্তানদের ভোরণ পোষনের ব্যবস্থা করা হোক। অনেক চেষ্টার পর ১৯৯৮ সালে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলতামতির অসহায় শিশু পুত্রদের ভোরণ পোষণের জন্য এক লক্ষ টাকার একটি পরিবার সঞ্চয়পত্রের ব্যবস্থা করে দেন। কিন্তু স্বামী আব্দুল খালেক দ্বিতীয় বিয়ে করার কারণে পারিবারিক অভাব অনটনে সেই টাকা আস্তে আস্তে তুলে পরিবারের পিছনে ব্যয় করতে থাকে। আর রিপন শিপন মা-বাবাহীন বাউন্ডলে জীবন নিয়ে বড় হতে থাকে। শিক্ষাদিক্ষা কিছুটা গ্রহন করলেও কারও কপালে জোটেনি একটি পিয়নের চাকরীও, চাকুরীতে এখন বড় অঙ্কের ঘুষ লাগে তা দেওয়ার সামর্থ তাদের নেই। কোন নেতাও এখন তাদের আর সেভাবে খোজ রাখেন না।

মৃত্যুর প্রথমদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মশিউর রহমান জোয়ার্দ্দার কিছুটা খোজ রাখতেন এখন কিছুটা খোজ রাখেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টু, কিন্তু সেভাবে এখনো কিছুই করা সম্ভব হয়নি।

এ প্রসঙ্গে আলতামতির বড় ছেলে নিঝুম রেজা রিপন বলেন মা হারানোর সাথে সাথে আমরা সব কিছুই হারিয়ে ফেলেছি লেখাপড়া তেমন শিখতে পারেনি কপালে চাকুরীও জোটেনি। কেউ আর এখন খোঁজ খবরও নেই না। এখন আমাদের একটায় দাবি ১৫ ফেব্রুয়ারী খালেদা জিয়ার অবৈধ গণ বিরোধী একদলীয় নির্বাচনের কারণে আমার মাসহ যারা সেদিন শহীদ হয়েছে তাদের সকলকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদেরমত রাষ্ট্রীয় ভাবে শহীদের স্বীকৃতি দেওয়া হোক।




সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ভারতে

এবছর সাফ (সাউথ এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশন) চ্যাম্পিয়নশিপ ভারতেই হচ্ছে। নেপাল যে আবেদন করেছিল সেটি অনুমোদন হয়নি। কারণ সাফের নতুন মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানের চাওয়া আগামী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ ভারতে হোক। সরাসরি বলতে গেলে, দুবাইভিত্তিক স্পোর্টস পার্টনার ইন্টারন্যাশনাল নামের মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানের শর্ত অন্তত ভারতে তাদের প্রথম টুর্নামেন্টটা হতে হবে। এটা নাকি সবাই মেনে নিয়েছে। গতকাল সাফের সভা অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ভার্চুয়াল মিটিংয়ে ভারত, পাকিস্তান, ভুটান, নেপাল, বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, মালদ্বীপের ফুটবল কর্মকর্তারা হাজির ছিলেন।

মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে ২০২৩ থেকে ২০২৯ সাল পর্যন্ত সাফের চারটি আসর আয়োজনে মার্কেটিংয়ের দায়িত্বে থাকবে দুবাই ভিত্তিক স্পোর্টস পার্টনার ইন্টারন্যাশনাল। প্রথম আসর, যেটি ভারতে হবে, আগামী ২০ জুন শুরু হবে। সেই সাফের জন্য ১ মিলিয়ন ডলার খরচ করবে। পরের সাফের খেলাগুলোর জন্য দেড় মিলিয়ন ডলার করে পাবে সাফ।

বাকি তিনটি সাফের খেলা হওয়ার কথা রয়েছে হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে ভিত্তিক পদ্ধতিতে। ভারত এটিতে আপত্তি জানিয়েছে। এই পদ্ধতিতে খেলা হতে হলে সময় বেশি লাগবে। টুর্নামেন্ট লম্বা হয়ে যাবে। সাফের সম্পাদক আনোয়ারুল হক হেলাল জানিয়েছেন, যেহেতু এবছরের পরের সাফ হতে আরো দুই আড়াই বছর সময় লাগবে। তাই অন্যান্য দেশগুলো বিষয়টি নতুন করে ভেবে দেখবে।

তিনি বলেন, ‘হোম অ্যান্ড অ্যাওয়ে পদ্ধতিতে সব দেশ একমত হলে তবে খেলা হবে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় আছে।’ আসছে জুনের সাফ ভারতের কোথায় হবে সেটি চূড়ান্ত হয়নি। তবে ১০ মার্চের মধ্যে ভেন্যু চূড়ান্ত করবে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশন। ভারতের সাফে খেলতে হলে পাকিস্তানকে ভারতে আসতে হবে। দুই দেশের রাজনৈতিক বিষয়টা গতকালকের সাফের সভায় উঠেছিল। আনোয়ারুল হক হেলাল জানিয়েছেন, ভিসা জটিলতা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। পাকিস্তান সাফে খেলতে ভারতে যাবে। ভারত বলেছে তারা ভিসা অ্যারেঞ্জ করবে।’

সূত্র : ইত্তেফাক




চুয়াডাঙ্গায় ইয়াবাসহ সাবেক সেনা সদস্য আটক

চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলিশ মাদক বিরোধী অভিযান চালিয়ে ৮৫ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট সহ বেগমপুরের বসিরকে আটক করেছে।

জানাগেছে গত সোমবার রাত ১১টার দিকে তাকে ইযাবাসহ আটক করে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার দর্শনা থানাধীন বেগমপুর (ফুলতলা) দাখিল মাদ্রাসার সামনে পাকা রাস্তার উপর হতে তাকে আটক করা হয়।

পুলিশ সূত্রে জানাগেছে, চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার আব্দুল্লাহ্ আল-মামুনের সার্বিক দিক নির্দেশনায় জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের অফিসার ইনচার্জ শেখ সফিকুর রহমানের নেতৃত্বে, এস আই শিহাব উদ্দিন, এস আই সাজ্জাদ হোসেন, এ এস আই বিজন কুমার ভট্টাচার্য, এ এস আই রমেন কুমার সরকার, এ এস আই আবেদুর রহমানসহ সঙ্গীয় ফোর্সসহ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মাদক বিরোধী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন দর্শনা থানাধীন বেগমপুর গ্রামের ফুলতলা পাড়ার দাখিল মাদ্রাসার সামনের পাকা রাস্তার উপর। এসময় আটক করা হয় বেগমপুর (ফুলতলা) পাড়ার আলী আকবর আলীর ছেলে

এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যাবসায়ী বশির উদ্দিন (৩৮)কে, তার কাছে থাকা উদ্ধার করা হয় ৮৫ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত বশির উদ্দিনকে দর্শনা থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে। গতকালই তাকে মাদক আইনে মামলাসহ চুয়াডাঙ্গা কোর্ট হাজতে প্রেরন করেছে।




দর্শনায় এক রাউন্ড গুলিসহ বিদেশী পিস্তল উদ্ধার

দর্শনায় গুলি সহ বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করেছে দর্শনা থানা পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে দর্শনা হটাৎপাড়ার একটি বাগানের মধ্য থেকে গুলি সহ একটি বিদেশী পিস্তল উদ্ধার করা হয়।

পুলিশ জানায়, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১ টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে দর্শনা থানার অফিসার ইনচার্জ এএইচএম লুৎফুল কবীরের নেতৃত্বে, থানার ইন্সপেক্টর অপারেশন নীরব হোসেন সঙ্গীয় অফিসার ফোর্স নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন দর্শনা-চুয়াডাঙ্গা সড়কের হটাৎপাড়া নামক স্থানের একটি কালভার্টের নীচে। এসময় সেখান হতে পরিত্যাক্ত অবস্থায় একটি বিদেশী পিস্তল ও এক রাউন্ড তাজা গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদি হয়ে দর্শনা থানায় জিডি মৃলে পরিত্যাক্ত পিস্তল ও গুলিটি থানা হেফাজতে থাকবে।

দর্শনা থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ,এইচ,এম লুৎফুল কবীর জানান, গতকাল মঙ্গলবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) নিরব হোসেন সহ থানার অফিসার ও ফোর্স অভিযান পরিচালনা করেন দর্শনা আনোয়ারপুর হঠ্যাৎপাড়ার নিকটবর্তী

দর্শনা-চুয়াডাঙ্গা প্রধান সড়কের কালভার্টের নীচে। এসময় জৈনকআব্দুল সাত্তারের ছেলে আবুল হোসেনের (৪৫) ভুট্টা ক্ষেতের পূর্বপাশে কালভার্টের নিচে জংলাময় স্থানে মালিক বিহীন পরিত্যাক্ত অবস্থায় ১টি লটো শপিং ব্যাগের মধ্যে হতে ১টি লোহার তৈরি আগ্নেয়াস্ত্র পিস্তল ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া পিস্তলটির বডিতে ইংরেজিতে খোদাই করা লেখা মেইড ইন জাপান এবং অপর পাশে ইংরেজিতে খোদাই করা জাপান নং ১১৪ লেখা সহ ১ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।




কার্পাসডাঙ্গায় নির্ধারিত মূল্যের অতিরিক্ত দামে সার বিক্রির অভিযোগ

চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা উপজেলার নাটুদাহ ইউনিয়নের ছাতিয়ানতলা গ্রামে আনছার ট্রেডার্স ও আক্তার ট্রেডার্স নামের দুই সার বিক্রেতার বিরুদ্ধে সরকার নির্ধারিত মূল্যর তোয়াক্কা না করে আরো বেশী মূল্যে ইউরিয়া ও রাসায়নিক সার বিক্রির অভিযোগ উঠেছে।

জানা গেছে, ছাতিয়ান তলা গ্রামে আনছার ট্রেডার্সের মালিক সার ও কীটনাশক বিক্রেতা মিয়ারুল কোন প্রকারের লাইসেন্স ছাড়াই অবৈধভাবে সরকারী মূল্যর কোন তোয়াক্কা না করে ইউরিয়া ও বিভিন্ন রাসায়নিক সারে কেজি প্রতি ৩ থেকে ৪ টাকা বেশী নিয়ে বিক্রি করছেন। অপরদিকে আক্তার ট্রেডার্সের মালিক আক্তারুলও লাইসেন্স ছাড়া হরহামেশাই ইউরিয়া ও বিভিন্ন রাসায়নিক সার বিক্রি করছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগ আনছার ট্রেডার্সের সত্তাধিকারী মিয়ারুল যেনো খুবই বেপরোয়া। সে কারো কোন কিছু তোয়াক্কা করেনা। ইচ্ছেমত গলা কাটা দামে চাষীদের ঠকিয়ে তাদের সাথে চরম প্রতারনা করে বেশী দামে সার বিক্রি করে মুনাফা লুটছে।

আর রাতারাতি আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বনে গিয়ে দোতলা বাড়ি সহ অঢেল টাকার মালিক বনে গেছে। এ বিষয়ে মিয়ারুলের সাথে কথা বললে তিনি আমতা আমতা করে দাম বেশী নেবার কথা অকপটে স্বীকার করেন।এ বিষয়ে আক্তারুলের সাথে কথা বললে তিনি জানান কেজি প্রতি ১ টাকা বেশী নেন তিনি।গাড়ি ভাড়া পড়ে একটু বেশী তাই ১ টাকা বেশী নিতে হয়।

স্থানীয় চাষীরা জানান সরকার যেখানে চাষীদের বাঁচাতে সারে প্রচুর পরিমান টাকা ভূর্তুকি দিচ্ছে সেখানে মিয়ারুলের ব্যাবসায়ীদের কারনে কৃষকরা চরম লোকসানের মুখে পড়ছে ও চরম ভাবে আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। তারা জানান দ্রুত এর প্রতিকার না মিললে প্রয়োজনে চুয়াডাঙ্গায় বিজ্ঞ জেলা প্রশাসক সহ উদ্ধতন কর্মকর্তাদের দ্বারস্থ হবো তবুও এর একটা বিহিত চাই।অবৈধ এসব মুনাফালোভীদের হাত থেকে কৃষকদের বাঁচাতে মিয়ারুল ও আক্তারুলের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যাবস্থা নিতে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে এলাকাবাসী সহ সচেতন মহল।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মনিরুজ্জামানের সাথে কথা বললে তিনি জানান এ ধরনের অভিযোগ পেলে সরকারী নির্ধারিত মূল্যের চাইতে যে বেশী দাম নেবে তার বিরুদ্ধে আমরা সাথে সাথে ব্যাবস্থা নেবো। এদের কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা।

এ বিষয়ে দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রোকসানা মিতা’র সাথে কথা বললে তিনি জানান এ বিষয়ে তদন্ত করে যদি সত্যতা পাওয়া যায় তবে অবশ্যই আমরা কঠোর আইনগত ব্যাবস্থা নেবো। কোন প্রকার ছাড় দেওয়া হবেনা।




দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন

“দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাব” গঠন হয়েছে। উপজেলার সবধরনের পত্রপত্রিকার নিয়মিত সাংবাদিকদের নিয়ে এই প্রেসক্লাব গঠিত।

গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে দামুড়হুদা উপজেলা পরিষদের বঙ্গবন্ধু মুরালের পাদদেশে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট “দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাব” গঠিত হয়। সভাপতি নির্বাচিত হয় দৈনিক পশ্চিমাঞ্চল পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি আরিফুল ইসলাম মিলন এবং সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয় দৈনিক আমার সংবাদ পত্রিকার দামুড়হুদা প্রতিনিধি হাবিবুর রহমান হাবিব।

এসময় নবনির্বাচিত “দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের” সভাপতি আরিফুল ইসলাম মিলন বলেন, আমাদের এটা “দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাব”। এখানে সবাই সদস্য হতে পারবেন। কোন প্রেসক্লাবের সদস্য থাকলেও এখানে সদস্য হওয়া যাবে। তাতে পূর্বের কোন সংগঠন থেকে অব্যাহতি নেওয়ার প্রয়োজন নেই। এটা “দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাব”। দামুড়হুদায় আমাদের একটা উপজেলা শহর আছে। আমরা অত্যন্ত সৌভাগ্যবান। আমাদের কাছে এই উপজেলা খুবই গুরুত্ব বহন করে। আমাদের পাশেই দর্শনা। অনেক বড় সরকারি স্থাপনা থাকা সত্ত্বেও দর্শনা তে কোন উপজেলা নেই। দুইটি থানা নিয়ে গঠিত এই উপজেলা। আমরা কিছু নিয়মিত কলম সৈনিক প্রেসক্লাব করেছি এই উপজেলার সাংবাদিকদের জন্য।

উপজেলার সকল সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্হাপনার এবং সব ধরনের সংবাদ প্রচারের জন্যই মূলত এই প্রেসক্লাব। সব ধরনের সংবাদ প্রচারের জন্য আমাদের তথ্যদিন। আমাদের এই উপজেলায় বিভিন্ন প্রেসক্লাব আছে। কিন্তু কোন উপজেলা প্রেসক্লাব নেই। তাই আমরা এর নাম দিয়েছি “দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাব”। এখানে সব প্রেস ক্লাবের সদস্যই দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের” সদস্য হতে পারবেন। এই প্রেসক্লাব স্বাধীন। যারা উপজেলায় বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিয়মিত “কলম সৈনিকের” কাজ করছেন, সাংবাদিকতা করছেন, তারা আমাদের এখানে “দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাব” পড়িবারের সদস্য হতে পারেন। সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ের লক্ষ্যেই এই প্রেসক্লাব গঠিত। আমাদের এখানে উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের সাংবাদিকদের নিয়ে এই প্রেসক্লাব গঠন করা হয়েছে। আমাদের এই প্রেসক্লাবের সরকারি রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়াধীন। যাতে সরকারের নিয়মকানুন অনুযায়ী সব কাজ সংঘটিত হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, “দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি বণি ইয়ামিন, সহ-সভাপতি হায়দার আলী,যুগ্ম সম্পাদক শেখ হাতেম, সহ সম্পাদক শিমুল রেজা, সাংগঠনিক সম্পাদক রকিবুল হাসান তোতা, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক রাজু আহাম্মেদ,দপ্তর সম্পাদক রবিউল ইসলাম বাবু, সহদপ্তর সম্পাদক ইমরান হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান, কোষাধ্যক্ষ আসহাবুল আলম, আইন বিষয়ক সম্পাদক আব্দুর রহমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সহ দামুড়হুদা উপজেলা প্রেসক্লাবের সকল সদস্য বৃন্দ।




আলমডাঙ্গায় ৪ বছরের শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা, অভিযুক্ত গ্রেফতার

আলমডাঙ্গায় ৪ বছরের শিশু ধর্ষণের চেষ্টায় মোজাম্মেল মন্ডল (৬৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গতকাল মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৪ টায় উপজেলার কালিদাসপুর ইউনিয়নের আসাননগর গ্রামে এঘটনাটি ঘটে।

অভিযুক্ত মোজাম্মেল মন্ডল (৬৫) আসাননগর গ্রামের মৃত মকেল আলী মন্ডলের ছেলে। এঘটনায় শিশুটির পিতা বাদি হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় এজাহার দায়ের করেছে।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো. সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এজাহার সূত্রে জানায়, মঙ্গলবার বিকেল সাড়ের ৪ টার দিকে শিশুটি বাড়ির পাশে খেলা করছিলো। খেলার সুযোগে সম্পর্কে দাদা তার বাড়ি ফাঁকা থাকায় ওই শিশুকে বাড়িতে ডেকে নিয়ে যায়। শিশুর খোঁজ না মিললে পরিবারের লোকজন খোঁজাখুঁজি করে। এসুযোগে শিশুকে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। পরিবারের লোকজন খুঁজতে গেলে মোজাম্মেলের বাড়িতে ধর্ষণের চেস্টার ঘটনাটি দেখতে পায়। এসময় তাদের চিৎকারে স্থানীয়রা ছুটে আসে। শিশুটির পরিবারের লোকজন আলমডাঙ্গা লিখিত অভিযোগে দিলে থানা পুলিশ মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৯ টায় আটক করে পুলিশ হেফাজতে নেয়।

শিশুরটির মা জানায়, ‘ আমি ও প্রতিবেশীরা বাড়ি বসে গল্প করছিলাম। হঠাৎ মেয়ের খোঁজ পাচ্ছিলাম না’ । মেয়েকে খুঁজতে খুঁজতে মোজাম্মেলের বাড়িতে গেলে সে ধর্ষণের চেষ্টা চালাচ্ছিলো। চিৎকার দিলে স্থানীয়রা ছুঁটে আসে।

আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো.সাইফুল ইসলাম জানায়- খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত মোজাম্মেলকে আটক করেছে পুলিশ। রাতেই এজাহার দায়ের করা হয়েছে। আজ বুধবার অভিযুক্তকে আদালতে পাঠানো হবে বলে জানান ওসি।




চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজে বসন্ত বরণ উপলক্ষে র‌্যালি

এসে গেছে বসন্ত ১৪২৯ বঙ্গাব্দ এই প্রতিপাদ্য চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ বসন্ত বরণ ১৪২৯ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল সাড়ে নয়টার সময় চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের আয়োজনে বসন্ত বরণ উপলক্ষে র‌্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ বাংলা বিভাগীয় প্রধান ড. আব্দুল আজিজ এর সভাপতিত্বে র‌্যালি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রসেসর ড. এ কে এম সাইফুর রশিদ।

এ সময় তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষের কাছে বাসন্তী আমেজ খুবই সমাদৃত। বসন্ত আমাদের জীবন রাঙিয়ে দিয়ে যায়। বসন্তের চমৎকার আবহাওয়া ও প্রকৃতির নব সাজ আমাদেরকে উল্লসিত ও উৎফুল্ল করে। বসন্তের মধ্যদিয়ে আমরা যেনো জীবনকে নতুনভাবে উপলব্ধি করি। আপনারা সবাই জানেন ফুল ফোঁটে বনে তার শিহরণ লাগে আমাদের মনে। বসন্ত এমনই সুন্দর ও সৌন্দর্যম-িত ঋতু।

বসন্ত বরণ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোঃ রেজাউল করিম, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষক পরিষদের সম্পাদক মোঃ শফিকুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক জাহিদুল হাসান, সহযোগী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফ, সহযোগী অধ্যাপক মারুফা ইয়াছমিন, প্রভাষক আসাদ জামান, আজিম হোসেন সহ চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষক ও ছাত্রছাএী বৃন্দ।




খুলনা রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ চুয়াডাঙ্গা সদর থানার মাহাব্বুর রহমান

খুলনা রেঞ্জের ১০ জেলার ৬৪ টি থানার মধ্যে শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হলেছেন চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহব্বুর রহমান কাজল।

মঙ্গলবার বেলা সাড়ে দশটার সময় খুলনা রেঞ্জ ডিআইজি মইনুল হক, বিপিএম(বার) পিপিএম সভাপতিত্বে জানুয়ারি /২৩ মাসের অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় ।

উক্ত সভায় ওয়ারেন্ট তামিল, মাদকদ্রব্য উদ্ধার ,আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, মামলা নিষ্পত্তি সহ চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সার্বিক আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহাব্বুর রহমান কাজল কে খুলনা রেঞ্জের ডিআইজি শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসাবে ঘোষণা করেন।

চুয়াডাঙ্গা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মাহব্বুর রহমান কাজল তার এই পুরস্কার প্রাপ্তিতে সহযোগিতা করার জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর থানার সকল অফিসার ফোর্স সহ জেলার সকল পুলিশ সদস্য, চুয়াডাঙ্গা বাসী ও সকল শুভাকাঙ্খীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন।