প্রিয় মানুষটি প্রিয়তর হোক!

রাজ্যের সব হিসাব কিতাব মাথায় থাকে, সবার প্রতি দায়িত্ববোধ সজাগ থাকে অথচ প্রিয় মানুষের জন্মতিথি স্মরণে থাকে না, পছন্দ-রুচি হাজির করেন না কিংবা ঘুরতে যাওয়ার সময় বের করতে পারেন না- এমন হলে সুখ তবে ঘরে ফিরবে না। বরং অসুখ আপনায় তাড়িয়ে বেড়াবে। সম্পর্ককে সময় না দিলে যে দূরত্ব তৈরি হবে তা ঘুচানোর কাজটা সহজ নয়। তাঁর সাথে সব কথা দু’মিনিটে ফুরিয়ে গেলে দশ গ্লাস দুঃখ পান করতেই হবে। যদি যত্ন না থাকে, শ্রদ্ধা না বাড়ে তবে সম্পর্কে সম্মান জন্মে না। জীবনের নাগপাশে সুখ-প্রশান্তি ঘোরাঘুরি করে বিদায় নিলো অথচ দেখা পেলেন না- সে আক্ষেপ আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে। প্রিয় মানুষকে প্রাধান্য দিলে তবেই সম্পর্ক টেকসই হয়। শখের দেশে হাজির করলে তবেই অভিযোগ কমে। মান-অভিমান ভাঙানোর জেদ থাকলে তবেই মনকে মনের মনে পড়ে।

অনুপস্থিতির সময়টাতে জুড়ে থাকার যে ব্যাপারটা সেটুকুতেই প্রেম। প্রেম দেখানোর চেয়ে বোঝানো জরুরি। যে মানুষটা সবার মাঝে থেকেও সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য প্রত্যাশা করে সেই মানুষটিকে উপেক্ষা করলে- সম্পর্ক পারদ পাতলা হতে শুরু করে। অভিমান না ভাঙানোর মাঝে যে জমাট ব্যথা তা তাকেই ভোগায় যার অভিমান মনের মধ্যে ব্যথার পাহাড় গড়ে। দু’টো কথা শুনে যে আনন্দ পায়, একটু স্পর্শে যার কোলে রাজ্যের সুখ নামে তাকে অধিকার বঞ্চিত করা ঠিক নয়। এই জীবনটা সুখের জন্য সামনে বাড়ে। সেই প্রত্যাশা ও প্রশান্তির পথে যে হাল ধরে সে সুখের অন্যরকম মধূর সংজ্ঞা তৈরি করে। যে সুখী করতে জানে সে সুখী হয়। সুখ তাকে ঘিরে রাখে। সবার জন্য সবকিছুর করার মাঝে তৃপ্তি নিশ্চয়ই আছে তবে যার অধিকার সর্বাগ্রে সে যাতে তালিকার তলানিতে না পড়ে।

মান-অভিমান কিংবা অভাব-অনুযোগ জীবনের বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। তবে এসব ভাঙানোর এবং শখ পূরণ করার যে চেষ্টা এবং প্রতিশ্রুতি রক্ষার জন্য যে দায়িত্ববোধ- এসবই মানুষকে প্রিয় করে তোলে। প্রিয়জন যদি প্রয়োজনের রেখা অতিক্রম করে আপন হয় তবে এক মানুষেই একজীবন পূর্ণ হতে পারে। দু’টো হাত, ভরসার কাঁধ এবং বিশ্বস্ত হৃদয়ের চেয়ে প্রশান্তির আবাস দুনিয়া দু’টো নাই। পাখি এদিক-সেদিক উড়তে পারে, ইচ্ছেমতো ঘুরতে পারে তবে বেলা শেষে যে নীড়ে ফিরতে হবে- সেখানে কেউ অপেক্ষা করুক, সেখানে দু’চামচ শান্তির জন্য রসদ থাকুক- সেই চেষ্টায় সর্বোচ্চ সময় রাখতে হবে। দু’জনে মুখোমুখি বসিবার, চোখে চোখ রাখিবার দুর্নিবার আকাক্সক্ষা একজীবনের সবটুকু সময় যেনো প্রফুল্লচিত্তেই থাকে। হাত ধরা মানুষটি যাতে কোন শ্রোতেই হারাতে না পারে।

দুঃখ যদি হাজির হয় তবে তা মোকাবেলায় যুগপৎ সংগ্রাম যাতে অবিরাম থাকে। যাকে বিশ্বাস করা যায় অনায়াসে তাকে নিয়ে বন্ধুর পথ পাড়ি দিতেও ক্লান্তি নাই। যে রাখে ওয়াদা, যার কাছে জমা থাকে বিশ্বাস- সে প্রকৃত মানুষ হলে কোন বাঁধাই জীবনকে এলোমেলো করে দিতে পারে না। তবে কখনো যদি মানসিকতার দূরত্ব হয়, ভাঙনের ঢেউ খেলে এবং তাতে পাল দেয় লোভ তবে সে সম্পর্কের দেয়াল ইস্পাত-দৃঢ় হলেও টিকবে না। দেহের নাগালে থাকলেও মানুষ মেলে না! এই শরীরে মূল্য এবং প্রয়োজন ক্ষণিকের। অবিরাম থাকতে হয় মনে মন গেঁথে। অথচ অবিশ্বাসের পারদ চড়া হলে, সন্দেহ জীবনের দিকে তেড়ে এলে এবং প্রিয় মানুষকে উপেক্ষা-অবজ্ঞায় ঠেলে দিলে এই জীবনের রঙ-রস শুকিয়ে যাবে। যে সম্পর্কের সুভাষ নষ্ট হয়ে যায় সে সম্পর্কের টানটা মরে যায় আরম্ভিক প্রান্তে।

বাঁচার জন্য কেউ অপরিহার্য নয় তবে সুখে বাঁচার জন্য একজন বিশ্বস্ত মানুষের উপস্থিতি অনিবার্য। দুঃখের দিনে পাশে থাকলে, মন খারাপের দিনগুলোতে ভরসা দিলে, বিশ্বাসের হাত মাথায় রাখলে- সে জীবন উপভোগ্য হয়ে ওঠে। বিচ্ছেদের তীব্র ঢেউয়ের মাঝে একসাথে বাঁচার মাঝে, একাকাশে ওড়ার মাঝে এবং দিন-দুনিয়ায় ঘোরার মাঝে সর্ব সুখ লুকিয়ে থাকে। জমানো কথা যার কাছে অনায়াসে বলা যায়, যার পরশে বুকের ব্যথা হালকা হয় কিংবা যার ঘ্রাণে মন ভালো হয় যায়- সে বিশেষ কেউ। এই মানুষের জন্য একটা জীবন লগ্নি হলে দুঃখের অগ্নি স্পর্শ করতে পারে না। আরেকটু বাড়তি সুখের জন্য চেষ্টায় সচেষ্ট হলে সুখের বর্ষণে হৃদয় প্রশান্তিময় হবে। সব সুখে ভোগের মধ্যে থাকে না। কারো স্বার্থকে প্রাধান্য দিয়ে, কারো ইচ্ছা পূর্ণ করে এবং কারো জীবনে সুখের ধূপগুড়ি ছড়িয়ে দিলে জীবন সুশোভিত আলোকের মঙ্গলে ছেয়ে যায়। প্রিয় মানুষ প্রিয়তর হয়ে উঠুক- সুদিনের প্রত্যাশায়।

লেখক: প্রাবন্ধিক, ইমেইল-raju69alive@gmail.com




দর্শনায় জামায়াতের উদ্যোগে উলামা সমাবেশ অনুষ্ঠিত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চুয়াডাঙ্গার দর্শনা থানা ও দামুড়হুদা উপজেলার শাখার উলামা বিভাগের উদ্যোগে উলামা সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল ১০ টায় দর্শনা অডিটরিয়ামে অনুষ্টিত সভায় দর্শনা থানা উলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা আব্দুস সাত্তারের সভাপতিত্বে ও দামুড়হুদা উপজেলা উলামা বিভাগের সভাপতি হাফেজ মাওলানা আব্দুল খালেকের পরিচালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য চুয়াডাঙ্গা জেলা আমীর ও  বিশিষ্ট আয়কর আইনজীবি মোঃ রুহুল আমিন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে চুয়াডাঙ্গা জেলা আমীর মোঃ রুহুল আমিন বলেন, আজকে আমাদের আলেম সমাজ কওমী ও আলিয়া দু’ভাগে ভাগ হয়ে গেছে। একপক্ষ নিয়েছে রাসুলের সুরত আর আরেক পক্ষ নিয়েছে সীরাত। ফলে আমরা অসম্পূর্ন হয়ে গেলাম। অথচ আমাদের রাসুলের সুরতও দরকার সীরাতও দরকার। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা থেকে ইসলাম বিদায় করা হয়েছে। ফলে আমাদের সন্তানেরা ইসলাম সর্ম্পকে অজ্ঞ থেকে যাচ্ছে। তিনি আলেম সমাজকে সচেতন হবার আহবান জানিয়ে বলেন- নিজের ঘুমিয়ে থাকা চেতনাকে জাগ্রত করে সকলে মিলে এক আল্লাহর পথে চলতে হবে। আমরা আমাদের খুতবার মাধ্যমে ঘুম পাড়ানো ইসলাম আর শেখাবো না বরং সমাজকে জাগ্রত করার ইসলাম শেখাবো। আমরা সকলে একসাথে এগিয়ে গেলে হারিয়ে যাওয়া ইসলাম পুনরুদ্ধার হবে ইনশাআল্লাহ।

সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাওলানা আজিজুর রহমান, জেলা সহকারী সেক্রেটারী ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের, জেলা ওলামা বিভাগের সভাপতি মাওলানা লোকমান হোসেন, সেক্রেটারী মাওলানা হাফিজুর রহমান, মোজলিসুল মোফাচ্ছেরিনের জেলা সভাপতি মাওলানা আবু জার গিফারী, জামায়াতের দামুড়হুদা থানা আমীর মোঃ নায়েব আলী, সেক্রেটারী মাওলানা আব্দুল গফুর ও মাওলানা মাজাহারুল ইসলাম প্রমুখ।




কোন মুখে কেমন চশমা

চশমার ফ্রেম বাছাই করতে বিপাকে পড়েননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। এত এত চশমার ফ্রেমের মধ্যে নিজের জন্য পারফেক্ট ফ্রেম সিলেক্ট করা আমাদের কাছে যেন একটি চ্যালেঞ্জ। তাই ফ্রেম বাছাইয়ে মুখের শেপের সঙ্গে সঙ্গে ব্যক্তিগত স্টাইল এবং স্বাচ্ছন্দ্যকেও বিবেচনা করা উচিত।

লম্বা চেহারা
এ চেহারায় অ্যাভিয়েটর ফ্রেমের চশমা বেশি মানানসই। এতে চেহারায় লম্বাটে ভাব কমে আসবে। কিছুটা চওড়াও লাগবে।

ডায়মন্ডকাট ফেস
ডায়মন্ড আকৃতির চেহারায় চোখের পাশে ও চোয়ালের কাছে সংকীর্ণ হয়। এই চেহারায় গাল হয় চওড়া। এ রকম চেহারায় চোখগুলো তুলে ধরাই চশমা পরার মূল লক্ষ্য। এক্ষেত্রে চশমার ওপরের দিকে নকশা থাকলে দেখতে ভালো লাগবে। ওভাল অথবা ক্যাট আই আকারের চশমাও মানাবে।

স্কয়ার ফেস
চারকোনা চেহারায় কপাল ও চোয়াল চওড়া হয়। প্রস্থে কম এমন ওভাল ও গোল ফ্রেমের চশমা বেছে নেওয়া উচিত এক্ষেত্রে। ভুল করে যদি চারকোনা ফ্রেমের চশমা বেছে নেন, তাহলেই হিতে বিপরীত হয়ে যাবে।

চশমা
হার্ট শেপ বা ট্রায়াঙ্গাল ফেস
অনেকে বলে পান পাতার মত চেহারা। এই চেহারার প্রশস্ত কপাল ও চওড়া চিকবোন থুতনির কাছে গিয়ে চাপা হয়ে যায়। চশমা বাছার ক্ষেত্রে খেয়াল রাখুন, ফ্রেমের নিচের অংশটি যেন চওড়া হয়। কিন্তু চশমাটির রং ও উপকরণ যেন হালকা হয়।

রাউন্ড ফেস
প্রশস্ত কপাল, ভরাট গাল গোলাকার চেহারার জন্য আয়তাকার ফ্রেমের চশমা প্রয়োজন। এতে চেহারায় কিছুটা শুকনো ও লম্বাটে ভাব চলে আসবে।

ওভাল ফেস
এই আকারের চেহারার মানুষদের মুখ হয় ডিম্বাকার । কারণ, এ ধরনের চেহারায় প্রায় সব ফ্রেমের চশমাই মানিয়ে যায়। চওড়া আকারের ফ্রেমের পাশাপাশি বড় সাইজের চশমাও পড়তে পারেন।

ছোট ও বড় ফেসের জন্য
চেহারা যদি ছোট হয় তাহলে সরু এবং ছোট ফ্রেমের রাউন্ডেড চশমা পরবেন।আর বড় আকৃতির চেহারায় মোটা ফ্রেমের ওভার-সাইজের চশমা পরবেন।

সূত্র: ইত্তেফাক




মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে কোটচাঁদপুরে মানববন্ধন

মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলার প্রতিবাদে কোটচাঁদপুরের এড়ান্দাহ গ্রামে মানববন্ধন করেছেন ভুক্তভোগীরা। শুক্রবার বিকেলে এ মানববন্ধন করেন তারা।

জানা যায়, কোটচাঁদপুরের এড়ান্দা গ্রামের আছিয়া খাতুন। তিনি বীর শ্রেষ্ট হামিদুর রহমানের বোন। এর প্রভাব খাটিয়ে এলাকার মানুষকে বিভিন্ন ভাবে মারপিট ও হয়রানি করে আসছে। সম্প্রতি তিনি বাদি হয়ে ওই গ্রামের গণমাধ্যম কর্মী শামীম হোসেন সহ কয়েক জনের নামে আদালতে মামলা করেছেন। এ মামলার প্রতিবাদে গতকাল শুক্রবার বিকেলে কোটচাঁদপুরের এড়ান্দা গ্রামবাসী মানববন্ধন করেন।

মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, গণমাধ্যম কর্মী শামীম হোসেন, মুহিদুল ইসলাম,সাবিনা খাতুন সহ আরো অনেকে। তারা বলেন,বীর শ্রেষ্ট হামিদুর রহমানের বোন আছিয়া খাতুন আর ভাগ্নে বকুল হোসেন। এ দাপটে তারা আমাদের কে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানুষিক ভাবে হয়রানি করে আসছে।

সম্প্রতি তারা আদালতে মিথ্যা মামলা করেছেন আমাদের নামে। যার সঙ্গে আমরা কেউ জড়িত নই। এরপরও এ ধরনে মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদেরকে হয়রানি করছেন।

মানববন্ধন থেকে ভুক্তভোগীরা অবিলম্বে এ ধরনে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন।




আমি যতবার মা হব, সৃজিত ততবার বাবা: স্বস্তিকা

প্রকাশ পেয়েছে পরিচালক সৃজিত মুখোপাধ্যায় নতুন সিনেমা ‘টেক্কা’র টিজার। সেখানে দেখা মিলেছে ওপার বাংলার জনপ্রিয় তারকা দেবের। টিজারে এসিপি অফিসারের চরিত্রে দেখা যায় রুক্মিনীকে।

অন্যদিকে মায়ের চরিত্রে হাজির ছিলেন অভিনেত্রী স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। টিজার প্রকাশের অনুষ্ঠানে সৃজিত মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা যায় স্বস্তিকাকে। সংবাদ সম্মেলনে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এই ছবিতে আরও একবার আমাকে ‘মা’ বানিয়েছে সৃজিত। চিত্রনাট্য নিয়ে আমার কাছে যখন আসে, তখনই স্পষ্ট জানাই এ বছর অনেকগুলো মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছি, আর করব না। কিন্তু সৃজিতের ছবি বলে কথা, আর অসম্ভব সুন্দর গল্প। তাই ছবিটা যদি সৃজিতের সন্তান মনে করি, তাহলে বলব- আমি যতবার মা হব, সৃজিত ততবার বাবা।’

সিনেমায় লড়াকু মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন স্বস্তিকা। সিনামার চরিত্র প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এই ছবিতে আমাকে দেখা যাবে এক লড়াকু মায়ের চরিত্রে। পৃথিবীতে যত রকম মা রয়েছেন প্রত্যেকের নিদর্শন হয়ে উঠছি আমি। এই ছবিতেও বেশ অন্যরকমভাবে সৃজিত আমার চরিত্রটা তৈরি করেছে। আশা করি দর্শকের পছন্দ হবে।’

সূত্র: ইত্তেফাক




বাফুফে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন সালাউদ্দিন

আসন্ন বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) সভাপতি নির্বাচন করবেন না কাজী সালাউদ্দিন। কিছু দিন আগেও নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছিলেন তিনি। তবে পারিবারিক কারণে আসন্ন নির্বাচনে লড়বেন না। বিকাল ৪টায় সংবাদ সম্মেলনে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন বলে জানা গেছে।

টানা ৪ বার বাফুফে সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হন কাজী সালাউদ্দিন। এবারও নির্বাচন করার কথা জানিয়েছিলন সাবেক এই ফুটবলার। সম্প্রতি আল্ট্রাস নামে বাংলাদেশ ফুটবল সমর্থকদের একটি সংগঠন থেকে সালাউদ্দিনের পদত্যাগের দাবি করা হয়।

তবে হুমকির মুখে পদত্যাগ করবেন না জানিয়ে বাফুফে সভাপতি বলেছিলেন, ‘প্রথমত, বাংলাদেশ ফুটবল আল্টার্সের কী ভূমিকা ফুটবলে? আমি ঘোষণা দিয়েছি ২৬ অক্টোবর বাফুফে নির্বাচন হবে। আমি নির্বাচন করতে পারব কিনা তারা বলার কে? তাদের কে অধিকার দিয়েছে আমাকে হুমকি দেওয়ার?’

আসন্ন নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে তিনি আরও বলেছিলেন, ‘আমি পদত্যাগ করছি না। আমি আরও আগামী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। আমি কোন হুমকির মুখে ফুটবল ছাড়ব না।’

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুরে ইউপি চেয়ারম্যান অপসারণ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন

মেহেরপুর সদর উপজেলার ১ নম্বর কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজার অপসারণ প্রসঙ্গে সংবাদ সম্মেলন করেছে মেহেরপুর জেলা বিএনপির একাংশ‌।

আজ শনিবার ( ১৪ সেপ্টেম্বর ) বেলা ১ টার দিকে জেলা বিএনপি’র বড় বাজার অফিসে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিজান মেননের সঞ্চালনায় সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ফয়েজ মোহাম্মদ।

লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, গত ১৮ তারিখে কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সেলিম রেজার অপসারণের দাবীতে ইউনিয়নের সংক্ষুব্ধ জনগন চেয়ারম্যান সেলিমের রুমে তালাবদ্ধ করে।

মেহেরপুরের উপজেলা ও জেলা প্রশাসনকে বিষয়টি অবগত করা হলেও মেহেরপুর জেলা বিএনপির একটি পক্ষ দ্বারা প্রভাবিত হয়ে দীর্ঘদিন সময় ক্ষেপন করেও যথাযথ ব্যবস্থা নেয়নি।

এমতাবস্থায় কুতুবপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি শহিদুল আলম, জেলা বিএনপির মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক রায়হানুল কবির, জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জুলফিকার আলি ভূট্টো, কুতুবপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি শামীম ও সাধারণ সম্পাদক গ্যাস বাবুসহ আওয়ামী লীগের অবৈধ চেয়ারম্যানের রুমের তালা ভেঙ্গে চেয়ারম্যান সেলিমকে তার কর্যক্রম পরিচালনা করার সুযোগ করে দেয় এবং বিএনপি’র আওয়ামী পন্থী দালাল নেতারা মিস্টি বিতরন করে।

তিনি আরো বলেন, আমরা জেলা বিএনপি’র নেতাকর্মী যারা ১/১১ পরবর্তী বিএনপি’র সংস্কারপন্থী দালালদের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে আসছি তারাই এখানে উপস্থিত আছি। গত ১৫ বছর আওয়ামী অত্যাচারে দেশের বিএনপি সহ সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা জীবন বাজি রেখে লড়াই সংগ্রাম চালিয়ে আসছি। গত ৫ই আগষ্ট ছাত্র জনতার আন্দোলনের মাধ্যমে হাসিনার পতন হয়েছে। কিন্তু মেহেরপুর জেলা বিএনপি’র বেশ কিছু দালাল নেতারা আওয়ামী লীগ কে রক্ষার জন্য তৎপর হয়ে উঠেছে। তারই ফলস্বরুপ এই ঘটনা কুতুবপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যানকে স্বপদে বসিয়ে দেয়।

আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি এবং এই ঘটনায় জড়িতদের বিএনপি থেকে বহিস্কার এর জোরদাবী জানাচ্ছি।

এসময় জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ওমর ফারুক, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আনিসুর রহমান লাবলু, যুগ্ম সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম লাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুল হক, জেলা জিয়া মঞ্চের সদস্য সচিব ও জেলা যুবদলের সদস্য মনিরুল ইসলাম মনি, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাহিদ মাহবুব সানিসহ জেলার বিভিন্ন ইউনিটের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।




দামুড়হুদায় মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় চালক নিহত আহত -৩

দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর কাঠালতলা নামক স্থানে মোটরসাইকেলের সাথে পথচারিকে ধাক্কা মেরে মোটরসাইকেল চালক বাদশা নামের একজন নিহত হয়েছে। নিহত বাদশা (২৭) চুয়াডাঙ্গা আলোকদিয়া গ্রামের সাইফুল ইসলামের ছেলে ও আহত আলাউদ্দিন (৩৫) জয়রামপুর হাজীপাড়ার মৃত হাশেমের ছেলে, সোহান(১৮) পিতা আক্তার হোসেন আলোকদিয়া চকপাড়ার ও এখলাছ উদ্দীন (২৩) একই গ্রামের নাসির উদ্দিনের ছেলে। আজ রাত ৯ টার দিকে কাঠালতলা নামক স্থানে এই দুর্ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলোকদিয়া চকপারার সাইফুল ইসলামের ছেলে বাদশা, সোহান ও নাসির ছেলে এখলাছ একটি অ্যাপাচি ফোর ভি মোটরসাইকেল( যার রেজিস্ট্রেশন নম্বর চুয়াডাঙ্গা – ল, ১২- ৮৫৩৯) দর্শনা দিক থেকে আসার পথে জয়রামপুর কাঠালতলা নামক স্থানে পৌঁছালে জয়রামপুর গ্রামের মৃত হাশেম আলীর ছেলে আলাউদ্দিন রাস্তা পার হওয়ার সময় সরাসরি ধাক্কা মারে। এতে চারজন রক্তাক্ত জখম হয়ে মেইন রাস্তায় ছিটকে পড়ে।

পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কতব্যরত চিকিৎসক আলোকদিয়া চকপাড়ার সাইফুল ইসলামের ছেলে বাদশাকে মৃত ঘোষণা করে। অপরদিকে আলাউদ্দিন, সোহান ও এখলাছকে ভর্তি করে। আলাউদ্দিনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে রাজশাহী রেফার্ড করা হয়। দামুড়হুদা মডেল থানার পুলিশ খবর পেয়ে মোটরসাইকেলটি থানা হেফাজতে নেন।

দামুড়হুদা মডেল থানার এসআই বাকী বিল্লাহ সততা নিশ্চিত করে জানান কাঠালতলা নামক স্থানে সড়ক দুর্ঘটনায় একজন নিহত হয়েছে এবং তিনজন আহত হয়েছে নিহতর মোটরসাইকেলটি থানা হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। কেউ কোন অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।




গাংনীতে বিএনপি নেতার দোকানের সামনে বোমা সাদৃশ্য বস্তু ও কাফনের কাপড় রেখে প্রাণনাশের হুমকি

গাংনীর গোপালনগর গ্রামের বিএনপি নেতার দোকানের সামনে থেকে দুইটি বোমা সদৃশ্য বস্তু, কাফনের কাপড়ের টুকরো ও প্রাণনাশের হুমকি সম্বলিত চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে গাংনী উপজেলার গোপালনগর গ্রামের বটতলা মোড় থেকে থানা পুলিশ এগুলো উদ্ধার করে।

জানা গেছে, রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামের মুদি দোকানের সামনে একটি বাজারকরা ব্যাগের মধ্যে দুটি বোমা, কাফনের কাপড়ের টুকরো ও একটি চিরকুট রেখে যায় দূর্বৃত্তরা। হাতে লেখা চিরকুটে বিএনপি নেতা রবিউল ইসলামকে উদ্দেশ্য করে লেখা ‘‘রবিল/মরার জন, তৌরি হয়। বোমা ও কাপন, পাঠালাম।‘‘ নিচে তিনটি দাগের মধ্যে দুই বার ‘লাল’ ‘লাল’ লেখা রয়েছে।

সকালে পাশের চা দোকানী আরশাদ আলী প্রথমে এগুলো দেখতে পান। পরে গাংনী থানা পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে গাংনী থানার এসআই শিমুল হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে এগুলো উদ্ধার করেন।

স্থানীয়রা জানান, আরশাদ আলীর দোকানের পাশেই রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপি সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলামের মুদি দোকান।

এব্যাপারে গাংনীর রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, সম্প্রতি ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান নির্বাচন করা নিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সাথে দ্বন্দের জেরে এগুলো রাখা হতে পারে।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে পলিশ পাঠিয়ে বোমা সাদৃশ্য বস্তু দুটি পানিতে চুবিয়ে নিষ্ক্রিয় করে থানায় নেওয়া হয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।




মেহেরপুরে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি

মেহেরপুর জেলা জামায়াতের উদ্যোগে ২৫০ শয্যা হাসপাতালে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ শুক্রবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকাল ৬ টার সময় মেহেরপুর জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা তাজউদ্দীন খানের নেতৃত্বে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার জমির মোহাম্মদ হাসিব।

এছাড়াও এসময় অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন আর এম ও ডাঃ জাহিদ বিশ্বাস, জেলা নায়েবে আমীর মাওলানা মাহবুব উল আলম, জামায়াতে জেলা সেক্রেটারি মোহাম্মদ ইকবাল হোসাইন, সদর উপজেলা আমীর মাওলানা সোহেল রানা, সেক্রেটারি মাস্টার জাব্বারুল ইসলাম, পৌর আমীর ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক পৌর কমিশনার সোহেল রানা (ডলার), পৌর সেক্রেটারি মোঃ মনিরুজ্জামান প্রমুখ।

এসময় উপজেলা জামায়াতের বিভিন্ন ইউনিট থেকে আশা নেতাকর্মীরা ও ছাত্র শিবিরের দায়িত্বশীলরা এই পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতায় অংশগ্রহণ করেন।