মেহেরপুর জেলা প্রেস ক্লাবের নতুন ৬ সদস্যের অভিষেক

মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের নতুন ৬ জন সদস্যের অভিষেক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রেসক্লাব কার্যালয়ে নতুন সদস্যদের ফুল দিয়ে বরণ ও পরিচয় পর্বের মধ্যে দিয়ে অভিষেক অনুষ্ঠান শুরু হয়।

মেহেরপুর জেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক মাহবুব চান্দুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তরের সাংবাদিক তোজাম্মেল আযম।

জেলা প্রেসক্লাবের মনোনীত হওয়া ৬জন সদস্যরা হলেন—দৈনিক লাখোকণ্ঠের সাংবাদিক রফিকুল আলম বকুল, দৈনিক আজকালের খবরের সাংবাদিক কামরুল ইসলাম, মাইটিভির সাংবাদিক মাসুদ রানা, ডেল্টা টাইমস ও দৈনিক দি টিচারের সাংবাদিক এস এম তারেক, একাত্তর বাংলার সাংবাদিক ওবায়দুর রহমান ও দৈনিক দেশকালের সাংবাদিক সামরুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানে জেলা প্রেসক্লাবের নতুন সদস্যদের উদ্দেশ্য দিকনির্দেশনা মূলক বক্তব্য রাখেন জেলা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক কালের কণ্ঠের সাংবাদিক ইয়াদুল মোমিন, জেলা প্রেসক্লাবের যুগ্ম সম্পাদক ও বাংলা টিভির সাংবাদিক আক্তারুজ্জামান, কোষাধ্যক্ষ ও বাসসের সাংবাদিক দিলরুবা খাতুনসহ অনেকেই। এসময় জেলা প্রেসক্লাবের অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।




কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে মঞ্চস্থ হলো কোলকাতার বিখ্যাত নাটক “লংমার্চ”

কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে ভারতের সাড়া জাগানো নাটক “লংমার্চ” মঞ্চায়িত হয়েছে।

শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে এ নাটক মঞ্চস্থ করা হয়। নাটকটি পরিবেশন করেন কোলকাতার বিখ্যাত নাট্যদল অল্টারনেটিভ লিভিং থিয়েটার। নাটকের দর্শনী কোন মূল্য রাখা না হওয়ায় বিপুল পরিমাণ দর্শক এ নাটকটি উপভোগ করে।

নাটক শেষে সংক্ষিপ্ত আলোচনায় অংশ নেন কোলকাতার বিখ্যাত নাট্যদল অল্টারনেটিভ লিভিং থিয়েটার এর প্রধান ভারতের রাষ্ট্রপতি পুরুস্কার প্রাপ্ত নাট্যজন প্রবীর গুহ, নাগরিক কমিটি কুষ্টিয়ার সভাপতি ডা: এসএম মোস্তানজীদ, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা হাবিবুল হক পুলক, খন্দকার ইকবাল মাহমুদ, কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি আশরাফ উদ্দিন নজু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহীন সরকার, শহীদুল ইসলাম রবি, কালচারাল অফিসার সুজন রহমান প্রমুখ।

নাগরিক কমিটি কুষ্টিয়ার সভাপতি ডা: এসএম মোস্তানজীদ বলেন, আজকে আমার অপারেশন থিয়েটারে থাকার কথা ছিলো। এজন্য এনেস্থিসিয়া, সহকারী সহ সবকিছু প্রস্তুত ছিলো। কিন্তু কোলকাতা থেকে গুনী এসব নাট্যজনদের সম্মিলিত এই লংমার্চ নাটকটি দেখতেই আজকে এই থিয়েটারে চলে আসা। ছোটবেলা থেকেই আমার নাটক এবং সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ভালো লাগে। সেই ভালো লাগা এখনো আছে বলেই কুষ্টিয়ার নাট্যঙ্গান থেকে পিছুটান নেই।

কোলকাতার বিখ্যাত নাট্যদল অল্টারনেটিভ লিভিং থিয়েটার এর কর্ণধার প্রবীর গুহ বলেন, বর্তমান যুব সমাজের প্রতি তিনি বার্তা দিয়ে বলেন, ‘‘সৎ হও৷ নিজের জীবনযাপন সহজ সরল কর৷ নিজেকে চেনো৷ তিনি বলেন, আমি কোনও প্রোডাক্টের কথা বলি না, একটা পদ্ধতির কথা বলি৷ তিন-চারদিন ধরে ওয়ার্কশপে আমি ছেলেমেয়েদের জীবনটাকে একটা পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে নিয়ে যেতে বলব৷’’ তিমি মনে করেন, ‘‘কেউ যদি প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য কাজ করে, তাহলে সম্ভবত হয় না৷ কাজটা করার জন্য করে যাওয়া উচিত, প্রতিষ্ঠা আসার হলে এমনিই আসবে৷’’

কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমির সাধারণ সম্পাদক আমিরুল ইসলাম জানান, “লংমার্চ” নাটকটি কোলকাতা সহ সমস্ত ভারতে বর্তমান সময়ে জনপ্রিয়তার শীর্ষে। নাটকটি কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে মঞ্চায়ন হলো কেবল কুষ্টিয়ার নাটকপ্রিয় ও সাংস্কৃতিক প্রেমি মানুষের জন্য। দর্শকদের অনুপ্রেরণা পেলে আগামীতে আর ভালো ভাগ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

শিল্প কলা একাডেমি মিলনায়তনে নাটক দেখতে আসা দর্শক ডা: মাহিন্দ্র সিং জানান, কুষ্টিয়া জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে দর্শনের বিনিময়ে নাটকটি দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। এমন অনুষ্ঠান কখনো আমি মিস করি না।




কোটচাঁদপুরে পুলিশের বাধায় বিএনপির ইউনিয়ন পদযাত্রা পন্ড

বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত ইউনিয়ন পদ যাত্রা কর্মসুচী পালন করেছেন কোটচাঁদপুর বিএনপি।

শনিবার বিকেল ৩ টার সময় এ কমর্সুচী পালন করেন দলটি। পদযাত্রায় পুলিশ বাধা দিয়েছেন এমন অভিযোগ নেতা-কর্মীদের।

সংশ্লিষ্ট সুত্রে জানা যায়,বিএনপির কেন্দ্রীয় ঘোষিত কর্মসুচীর অংশ হিসেবে কোটচাঁদপুরেও বিএনপি ইউনিয়ন পদযাত্রা কর্মসুচীর আয়োজন করেন। এরমধ্যে কোটচাঁদপুরের সাবদারপুর ইউনিয়নের পদযাত্রায় নেতৃত্ব দেন পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র এস কে এম সালাহউদ্দীন বুলবুল সিডল,দোড়া ইউনিয়নে নেতৃত্ব দেন জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর ফারুক হোসেন খোকন,কুশনায় ছিলেন বিএনপির তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আমিরুজ্জামান খান শিমুল,বলুহরে ছিলেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি আবুবক্কর বিশ্বাস ও এলাঙ্গীর পদযাত্রায় ছিলেন,উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক।

এ কর্মসুচী সফল করতে প্রতিটি ইউনিয়নে নির্ধারিত স্থানে দলীয় নেতা-কর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। এরপর বিকেল ৩ টার সময় শুরু হয় ইউনিয়ন পদযাত্রা। এ সময় পুলিশের বাধায় পন্ড হয় পদযাত্রা। পরে নেতা-কর্মীরা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে কর্মসুচী শেষ করেন।

বিষয়টি নিয়ে কোটচাঁদপুর পৌর বিএনপির সভাপতি ও সাবেক মেয়র এস কে এম সালাহউদ্দীন বুলবুল সিডল বলেন,নেতা-কর্মীরা পদযাত্রা কর্মসুচী পালনের জন্য জড়ো হয়। এরপর পদযাত্রা শুরু হয়। নেতা-কর্মীরা কিছু দুর যাবার পর পুলিশের বাধার মুখে পড়েন। পরে ওখানেই সমাবেশ করে কর্মসুচী শেষ করা হয়।

একই কথা বলেন, জেলা বিএনপির যুগ্ন সম্পাদক ও সাবেক কাউন্সিলর ফারুক হোসেন খোকন। তিনি বলেন,আওয়ামীলীগরা দলীয় মিছিল নিয়ে ইউনিয়নে শান্তি সমাবেশ যোগ দিলে সমস্যা নাই। আমরা নেতা-কর্মীদের নিয়ে শান্তি পূর্ণ পদযাত্রা কর্মসুচী পালন করছিলাম। সেখানে পুলিশ বাধা দিয়েছেন। পন্ড করেছেন পদযাত্রা কর্মসুচী।

তবে এলাঙ্গী ইউনিয়নে পদযাত্রা সফল হয়েছে বলে দাবি করেছেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, আমরা ইউনিয়নে লিফলেট বিতরন করেছি। এরপর পদযাত্রা কর্মসুচীও পালন করেছি। এ ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসুচী সফল হয়েছে। পদযাত্রা শেষে ফাজিলপুর বাজারে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে সভার সমাপ্তি ঘোষনা করা হয়।




বিএনপি- জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের শান্তি সমাবেশ

বিএনপি- জামায়াতের নৈরাজ্যের প্রতিবাদে চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার ডিঙ্গেদহ বাজারে শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন যুবলীগের আয়োজনে শনিবার বিকাল সাড়ে চারটার সময় শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের সভাপতি আবুল কালাম আজাদের সভাপতিত্বে শান্তি সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহবায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার।

এ সময় তিনি বলেন, ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পর সারা বিশ্ব বিপদগ্রস্ত। জ্বালানি তেলের মূল্য বেড়েছে। সারা পৃথিবীর মানুষ এটা বুঝে কিন্তু বিএনপি জামায়াত তা বুঝে না। তারা এই ইস্যুটিকে সামনে এনে বর্তমান সরকারের পতন চায়। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার পতন চেয়ে তারা তত্ত্বাবধায়ক সরকার চায়। ২০১৪-১৫ সালেও এইরকম দাবি তুলে তারা দেশে হরতাল অবরোধ ডাকে। সে সময় বিএনপি-জামায়াত দেশের মানুষকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যা করেছে।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি-জামায়াত দেশের শত্রু। তারা স্বাধীনতার শত্রু। একাত্তরে তারা এদেশের স্বাধীনতা চায়নি। জিয়াউর রহমান সেই পরাজিত শক্তিকে, স্বাধীনতার শত্রু জামায়াতকে রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। ২০১৪ সালের মতো যদি আবার বিএনপি জামায়াত নৈরাজ্য চালানোর চেষ্টা করে তাহলে চুয়াডাঙ্গায় জেলা যুবলীগের তা শক্ত হাতে প্রতিহত করবে।

শান্তি সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের যুগ্ম আহবায়ক জিল্লুর রহমান, চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগের সদস্য সাজেদুল ইসলাম লাভলু, আজাদ আলী, হাফিজুর রহমান হাপু, আবু বক্কর সিদ্দিক আরিফ, আলমগীর হোসেন খোকা সহ চুয়াডাঙ্গা জেলা যুবলীগ নেতা মাসুদুর রহমান, দরূদ হাসান, হাসানুল ইসলাম পলেন, জুয়েল জোঃ, রামিম হাসান সৈকত, শেখ রাসেল, খালিদ মন্ডল, দিপুবিশ্বাস, লোকমান, রনি, জামাল, জাকির, নোমান, জনি, লিফটন, বাচ্চু, মোমিন, জিসান, সোহাগ, চুয়াডাঙ্গা পৌর যুবলীগের ৭ নং ওয়ার্ড সভাপতি- আসাদ, সম্পাদক- বিল্পব হোসেন, ৩নং ওয়ার্ড সভাপতি- রানা,সম্পাদক- খানজাহান, শংকরচন্দ্র ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক সেলিম রেজা,সাংগঠনিক সম্পাদক মাহাফুজুর রহমান সহ ইউনিয়ন আওয়ামী যুবলীগের নেতাকর্মী।




বিশ্বকে বদলে দেবে চ্যাটজিপিটি: বিল গেটস

প্রশ্ন করার সঙ্গে সঙ্গে মানুষের মতো উত্তর দিতে পারে চ্যাটজিপিটি। যা গুগলও করতে পারে না। এটি হলো কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসম্পন্ন কন্টেট ক্রিয়েটর। যার পুরো নাম- ‘জেনারেটিভ প্রি-ট্রেইনড ট্রান্সফরমার’। ২০২২ সালের নভেম্বরে বিশ্বের প্রথম সারির মার্কিন গবেষণা ল্যাবরেটরি ওপেন এআই এই চ্যাটবট বাজারে আনে।

এবার চ্যাটজিপিটি সম্পর্কে মুখ খুললেন মাইক্রোসফটের সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। তিনি বলেছেন, বিশ্বকে বদলে দেবে চ্যাটজিপিটি। জার্মান সংবাদমাধ্যম হ্যান্ডেলসব্লাটকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন তিনি।

কনটেন্ট রাইটিং এবং প্রোগ্রামিং থেকে শুরু করে প্রোডাক্ট ডিজাইন, ডেটা এ্যানালাইসিসসহ প্রায় প্রতিটি ডিজিটাল ক্ষেত্রেই প্রভাব ফেলেছে চ্যাটজিপিটি।

এই চ্যাটবট যেকোনো বিষয়ে লিখতে, উত্তর দিতে, কথোপকথন চালাতে, জটিল বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দিতে, সাবলীল অনুবাদ করতে পারে। যেকোনো ভুল ধরিয়ে দিতে পারে এটি।

এর সম্পর্কে বিল গেটস আরও বলেন, আগের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাগুলো সব বিষয়ে লিখতে ও পড়তে পারতো। কিন্তু বিষয়বস্তু বুঝতো না। কিন্তু চ্যাটজিপিটির মতো নতুন প্রোগ্রামগুলো চালানো বা চিঠি লিখতে সাহায্য করবে। এতে অনেক অফিসের কাজ আরও সুনিপুণ হবে। শ্রম ও সময় বাঁচবে। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, এর মাধ্যমে মানুষের চাকরীর বাজার সঙ্কুচিত হয়ে যাবে।

ইতিমধ্যেই চ্যাটজিপিটির প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) নির্ভর চ্যাটবট ‘বার্ড’ আনার ঘোষণা দিয়েছে গুগল। এদিকে চ্যাটজিপিটি সমৃদ্ধ হয়ে আসছে বিংয়ের নতুন সংস্করণ।

ইউএস ফার্ম ওপেনএআই দ্বারা তৈরি এবং মাইক্রোসফ্ট কর্পোরেশন দ্বারা সমর্থিত চ্যাটজিপিটি ইতিহাসে দ্রুততম বর্ধনশীল গ্রাহক অ্যাপ হিসেবে রেট করা হয়েছে।

সূত্র:খবর রয়টার্স




দামুড়হুদায় উপজেলা আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত

দেশবিরোধী’ বিএনপি-জামায়াতের ‘সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যের’ প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে দামুড়হুদায় উপজেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে শান্তি মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বিকাল ৪ টার দিকে স্থানীয় ডাক বাংলো চত্ত্বর থেকে এক বিশাল শান্তি মিছিল বের হয়। মিছিলটি দামুড়হুদা বাসস্ট্যান্ড হয়ে ব্রীজ মোড় ঘুরে চৌরাস্তার মোড়ে শেষ হয়। মিছিল শেষে চৌরাস্তার মোড়ে শান্তি সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মাহফুজুর রহমান মনজু।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ ক্যান্টনমেন্টে বসে গঠন করা কোন দল নয়। আওয়ামী লীগ মাটি-মানুষের দল, এর শেকড় অনেক গভীরে। আওয়ামী লীগকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেবে এটা বিএনপির আকাশ কুসুম কল্পনা। আওয়ামী লীগ দেশে যে উন্নয়ন করেছে সারা বিশ্ব আজ তার প্রশাংসা করছে। অথচ তাদের চোখে পড়েনা। তিনি হেনরি কিসিঞ্জারের উদ্ধৃতি টেনে বলেন, ওনি এখনো বেঁচে আছেন। ওনি আফসোস করে বলেছেন, কেন যে আমি বাংলাদেশকে তলাবিহীন ঝুড়ি বলেছিলাম।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি দূর্ণীতিতে পাঁচ বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে। সুতরাং তাদের মুখে দূর্ণীতির কথা মানায় না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়ন কর্মকান্ড কেউ যাতে বাঁধাগ্রস্থ্য করতে না পারে সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহবান জানান তিনি।

দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল কবীর ইউসুফের সঞ্চালনায় সমাবেশে আরও বক্তব্য রাখেন দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হাজি সহিদুল ইসলাম, সাবেক যুগ্মসম্পাদক আজিজুল হক, দামুড়হুদা সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি উপজেলা ভাইস শহিদুল ইসলাম, দামুড়হুদা সদর ইউপি চেয়ারম্যান ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি হযরত আলী, নতিপোতা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোমিনুল হক, উপজেলা আওয়ামী লীগের অন্যতম নেতা সেলিম উদ্দিন বগা, উপজেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ন আহবায়ক এস এম মহসীন ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাজু আহমেদ রিংকু।

সমাবেশে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক খলিলুর রহমান ভূট্টু, দর্শনা পৌর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রুস্তম আলী, প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল বারী, দামুড়হুদা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক ত্রাণ বিষয়ক সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান ইয়ামিন আলী, কুড়ুলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান কামাল হোসেন, নাটুদহ ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হামিদুল্লাহ বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম, সাংগঠনিক সম্পাদক আ: সালাম, দামুড়হুদা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্মসম্পাদক নূর আলম লাভলু, মোমিনুল ইসলাম মনির, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল হাশেম মেম্বার, দফতর সম্পাদক বখতিয়ার হোসেন বকুল, আওয়ামী লীগ নেতা মোখলেছুর রহমান, আলফাজ মল্লিক, জসিম উদ্দিন, ইউসুফ আলী খান ইছা মেম্বার, নুরুল মেম্বার, সুলতান, টোকন, আবু ফয়সাল, আসাদুল হক, উপজেলা যুবলীগের দফতর সম্পাদক রকিবুল হাসান, সদর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি আব্দুল হালিম ভূট্টু, নতিপোতা ইউনিয়ন কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মামুনার রশিদ, যুবলীগ নেতা হযরত আলী, হায়দার আলী, জাহাঙ্গীর আলম, শেখ হাফিজুর শামসের, নাহিদ হোসেন, শাহিন, ফজু, হেকমত, স্বপন, উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আরিফুল ইসলাম মল্লিক, সাবেক সভাপতি নিশান তরফদার, জামিরুল ইসলাম, কলেজ ছাত্রলীগের আহবায়ক শাহীন মোল্লা, যুগ্মআহবায়ক এমএ করিম, ছাত্রলীগ নেতা রাসেল, আব্দুর রহমান জসিম, আরজু আহমেদ রাকিবসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।




আলমডাঙ্গার খাদিমপুরে বিএনপির পদযাত্রায় যুবলীগের হামলা,আহত ৪

আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়ন বিএনপির পদযাত্রায় হামলার অভিযোগ উঠেছে যুবলীগের বিরুদ্ধে। এসময় বিএনপির চার নেতাকর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠে এরমধ্যে তিনজন উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে আলমডাঙ্গার খাদিমপুরে এঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বর্তমান সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে শনিবার দেশের সকল ইউনিয়নে পদযাত্রা কর্মসূচি ঘোষণা করে বিএনপি। কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে আলমডাঙ্গা উপজেলার খাদিমপুর ইউনিয়ন বিএনপি পদযাত্রা শুরু করলে যুবলীগের নেতাকর্মীরা পদযাত্রায় হামলা করেন। এতে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের চারজন আহত হন।

আহতরা হলেন, আলমডাঙ্গা উপজেলা বিএনপির সহ সাংগঠিক সম্পাদক মহাসিন আলী, উপজেলা যুবদলের সদস্য মতিউর রহমান, খাদিমপুর ইউনিয়ন যুবদলের সাধারণ সম্পাদক হুসাইন আহমেদ, বাড়াদি ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক আবিদ হাসান স্বজল।

চুয়াডাঙ্গা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব শরিফুজ্জামান শরীফ জানান ,খাদিমপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোজাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার লোটাসের নেতৃত্বে বিএনপির পদযাত্রায় হামলা করে আমাদের চার নেতাকর্মীকে মারধর করেছে। যুবলীগের নেতাকর্মীরা বাঁশের লাঠি নিয়ে মোটরসাইকেলে শোডাউন করেছে। আমরা শান্তিপূর্ণভাবে পদযাত্রা করলেও আমাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়।

চেয়ারম্যান মোজাহিদুর রহমান জোয়ার্দ্দার লোটাস বলেন, বিএনপি নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা করছিল। আমরা প্রতিহত করেছি। যুবলীগের নেতাকর্মীরা লাঠি হাতে মোটরসাইকেল শোডাউনের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, যে কোন হামলা হওয়ার আশংকায় আমরা প্রস্তুতিমূলক অবস্থান করছিলাম। আইনশৃংখলা যেন নষ্ট না হয় এ জন্য আমরা দলীয়ভাবে ছিলাম। তারা কয়েকস্থানে ঝামেলা করার জন্য অবস্থান নিয়েছিল, আমরা প্রতিহত করেছি।

আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের পরিদর্শক (তদন্ত) আব্দুল আলীম বলেন, এমন কোন সংবাদ আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।




মুজিবনগরে উপজেলায় বিএনপির পদযাত্রা

মুজিবনগরে বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যে সহ কৃষি উপকরণের লাগামহীন মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, কর্তৃত্ববাদী সরকারের পদত্যাগ , বেগম খালেদা জিয়াসহ গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের মুক্তি, অবৈধ সংসদ বাতিল, নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবিতে বিএনপি এর পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শনিবার বিকেলে মুজিবনগর উপজেলা বিএনপি এর আয়োজনে, জেলা বিএনপি’র সভাপতি (সাবেক) এমপি মাসুদ অরুনের নেতৃত্বে মোনাখালী খেলার মাঠ থেকে বাজার পর্যন্ত এবং বাজার থেকে দারিয়াপুর বাজার পর্যন্ত মোনাখালি ও দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপির পদযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

পদযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন মুজিবনগর উপজেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, উপজেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক বদরউদ্দিন বিশ্বাস সহ মোনাখালী ও দারিয়াপুর ইউনিয়ন বিএনপি, যুবদল স্বেচ্ছাসেবক দল কৃষক দল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীবৃন্দ।




শাকিব একজন বড় মনের মানুষ: অপু বিশ্বাস

টালিউডের কিং খান খ্যাত শাকিব খানের সঙ্গে ফের সম্পর্ক জোড়া লাগছে অপু বিশ্বাসের। সম্প্রতি কলকাতার একটি গণমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। এর পর থেকে এটা নিয়ে কানাঘুষা চলছে।

সত্যিই কি শাকিব-অপু এক হচ্চেন? জবাবে অপু বলেন, ‘সেটা এখন বলব না, সময় বলে দেবে। আগে কী করছে না করছে, সেটা আমি জানি না, শাকিবের এখন অনেক পরিবর্তন লক্ষ্য করেছি। সন্তান, পরিবার-পরিজনের প্রতি দারুণ আবেগ কাজ করে তার। শাকিব একজন ভালো মনের মানুষ।’

সন্তান আব্রাম খান জয়ের কারণে শাকিবের বাড়িতে যাতায়াত বেড়েছে অপুর। ধারণা করা হচ্ছে, এ কারণেই শাকিবের সঙ্গে সম্পর্ক শীতল হচ্ছে তার। অপুর ভাষ্য, ‘আমার তো মা-বাবা নেই। শ্বশুর-শাশুড়িই এখন আমার মা-বাবা। তো বাবা-মায়ের বাসায় যাব না কেন? প্রায়ই যাওয়া হয় সেখানে। তারা আমাকে একেবারেই মেয়ের আদরে দেখেন। আমাকে খুব ভালোবাসেন তারা। আমার মা মারা যাওয়ার পর কাছের মানুষদের সঙ্গে মিলেমিশে থাকার বিষয়টি আমি নিজ থেকে বেশি অনুভব করেছি। এতে তাদের সঙ্গে সম্পর্কটা আরও গাঢ় হয়েছে আমার।’

তিনি আরও জানান, বিভিন্ন বিষয়ে শাকিবের সঙ্গে এখনো নিয়মিত কথা হয় তার।

অপু বলেন, ‘আমরা দুজন মিলেই জয়কে স্কুল থেকে আনা-নেওয়া করি। কখনও আমি রেখে আসি, শাকিব নিয়ে আসে। শাকিব রেখে আসে, আমি নিয়ে আসি। তা ছাড়া শাকিব আমার ব্যক্তিগত ব্যাপার বা মিডিয়াতে কাজের ব্যাপারেও মাঝেমধ্যে পরামর্শ দেয়।’

শাকিব-অপুর বিয়ে হয়েছিল ২০০৮ সালের ১৮ এপ্রিল। শাকিব খানের উত্তরার বাসায় দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে মালা বদল করেছিলেন তারা। যদিও বিয়ের খবরটি গোপন রেখেছিলেন এ জুটি। শুধু বিয়েই না সন্তান জন্মের খবরও গোপন রেখেছিলেন শাকিব-অপু।

২০১৭ সালের ১০ এপ্রিল সন্তানসহ একটি বেসরকারি টেলিভিশনে লাইভে আসেন অপু বিশ্বাস। জানান, ২০১৬ সালের ২৭ সেপ্টেম্বর কলকাতার একটি ক্লিনিকে তাদের সন্তানের জন্ম হয়। নাম রাখা হয় আব্রাম খান জয়। ক্যারিয়ারের কথা চিন্তা করেই বিয়ে ও সন্তানের বিষয়টি গোপন রাখেন শাকিব-অপু।

সূত্র: যুগান্তর




বাংলাদেশকে স্বর্ণ এনে দিলেন ইমরানুর

কাজাখস্তানে অনুষ্ঠিত এশিয়ান ইনডোর অ্যাথলেটিকস চ্যাম্পিয়নশিপে ৬০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ জিতেছেন বাংলাদেশের ইমরানুর রহমান। শনিবার (১১ ফেব্রুয়ারি) ৬০ মিটার স্প্রিন্টে স্বর্ণ জিততে ৬.৫৯ সেকেন্ড সময় নেন ইমরানুর।

এটাই ইমরানুরের সেরা টাইমিং। এর আগে তার ব্যক্তিগত সেরা টাইমিং ৬.৬৪ সেকেন্ড। গত বছর বেলগ্রেডে বিশ্ব ইনডোর অ্যাথলেটিকসে এই টাইমিং করেন ইমরানুর। সেমিফাইনালে ৬.৬১ সেকেন্ড সময় নিয়ে দ্বিতীয় স্থান অর্জন করে ফাইনালে উঠেছিলেন ইমরানুর।

ফাইনালে নিজের রেকর্ড ভেঙ্গে স্বর্ণ জিতলেন ইমরানুর।

সূত্র: ইত্তেফাক