মেহেরপুর জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি শিল্পপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টন বলেছেন ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার রক্তক্ষয়ী বিপ্লবের মধ্যে দিয়ে আমরা নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি। গণতন্ত্র ফেরাতে এই বিপ্লবে এদেশের বহু ছাত্র-জনতা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। ছাত্র-জনতার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নে বিএনপি কাজ করছে।
গাংনী উপজেলার রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপি ও এর অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের আয়োজনে অনুষ্ঠিত বিরাট জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আজ শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে গাংনী উপজেলার রাইপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠে এই জনসভা অনুষ্ঠিত হয়।
রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আলফাজ উদ্দিন কালুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত জনসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, গাংনী উপজেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান রেজাউল হক, মেহেরপুর জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলাম নাসির, জেলা বিএনপির ১ নং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বামন্দী ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল আওয়াল, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান গাড্ডু, জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও গাংনী পৌরসভার সাবেক ভারপ্রাপ্ত মেয়র ইনসারুল হক ইন্সু।
জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি আব্দাল হকের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত জনসভায় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, গাংনী পৌর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মকবুল হোসেন মেঘলা, রাইপুর ইউনিয়ন বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক ও সাবেক মেম্বর রবিউল ইসলাম, মেহেরপুর জেলা যুবদলের সাধারণ সম্পাদক কাওছার আলী, গাংনী উপজেলা যুবদলের আহবায়ক মালেক হোসেন চপল বিশ্বাস, সদস্য সচিব জাহিদুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক শহিদুল ইসলাম, গাংনী উপজেলা জাসাসের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সেলিম, গাংনী পৌর জাসাসের সভাপতি সোহরাব হোসেন, গাংনী উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক আশিকুল ইসলাম, গাংনী পৌর যুবদলের আহবায়ক ও সাবেক কাউন্সিলর সাইদুল ইসলাম, সদস্য সচিব ও সাবেক কাউন্সিলর এনামুল হক, গাংনী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহবায়ক জামাল উদ্দিন, রাইপুর ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আরেফিন হোসেন, মেহেরপুর জেলা ছাত্র দলের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান বিপ্লব, গাংনী উপজেলা ছাত্র দলের সদস্য সচিব রিপন হোসেন, পৌর ছাত্র দলের সদস্য সচিব শিশির আহমেদ শাকিল প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জাভেদ মাসুদ মিল্টন আরও বলেন, বিগত ১৭ বছরে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার সারাদেশে গুম, খুন, রাহাজানি, হামলা, মামলা, লুটপাট, দূর্ণীতি করেছে। বিএনপিসহ বিরোধী মতের সকল রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের অত্যাচার নিপীড়ন করে এক দলীয় শাসন ব্যবস্থা কায়েম করেছিলো।
তিনি বলেন, বিএনপি ও অন্যান্য দলকে নিশ্চিহ্ন করতে এমন কোনো অত্যাচার নেই তারা তা করেনি। তারপরেও শহীদ জিয়ার আদর্শের সৈনিকদের এই দেশ থেকে তাঁড়াতে পারেনি। অথচ, তারা এক মাসের লড়াই সংগ্রামেই টিকতে পারেনি। আওয়ামী লীগের মন্ত্রী এমপিরা থেকে শুরু করে সবাই দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেছে।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ একটি সৌহার্দ সম্প্রীতির দেশ। এখানে সব ধর্মের মানুষ এক কাতারে বসবাস করেন। এখানে সংখ্যা লঘু বলে কিছু নেই। পরাজিত আওয়ামী অপশক্তি সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা ধুঁয়া তুলে ফায়দা লুটতে চাই। সেটা এদেশের মানুষ হতে দেবেনা।
১৯৭১ সাল থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগষ্ট পর্যন্ত এদেশের সকল গণতান্ত্রিক আন্দোলনে যে সকল শহিদরা তাদের বুকের তাঁজা রক্ত দিয়েছেন তাদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন এবং পঙ্গুত্ব বরণকারী ও চিকিৎসাধীন সকল ভাই বোনদের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেন তিনি।
উল্লেখ্য, দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার মধ্যেও বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের হাজার নেতাকর্মী ধানের শীষ,ব্যানার ফ্ল্যাকার্ডসহ খন্ড খন্ড মিছিল সহকারে এসে সমাবেশস্থল যোগ দেন।
বিএনপি, যুবদল ও বিভিন্ন অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মী উপস্থিতিতে কানায় কানায় পরিপূর্ণ হয়ে ওঠে রাইপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয় মাঠসহ আশপাশের বিল্ডিং ও রাস্তাঘাট। সমাবেশে এলাকার শতশত নারীরাও উপস্থিত ছিলেন ধানের শীষ আর প্ল্যাকার্ড নিয়ে।