গাংনী উপজেলা চেংগাড়া সরকারী প্রথামিক বিদ্যালয় নবম বার্ষিক শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগীতা শুক্রবার সকাল দশটা থেকে “যেমন খুশি তেমন সাজো” ২০২৩ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
দিন ব্যাপি প্লেট র্মাবেল উত্তোলন,ইট পায়ে হাটা,ঘরে বাইরে,চেয়ারে বসা. গুপ্ত ধন,অংক দৌড়, বন্ধ চোখে হাসঁ ধরা,ডিগবাজী, বস্তার উপরে বসে বস্তায় টানাদৌড়,বালিতে ঝুলিয়ে বল নিক্ষেপ,গামলার ভিতরে বেলুন ফোঁটানো,পিঠে হাড়ি ভাঙ্গা,স্বামীর পেটে স্ত্রীর বল নিক্ষেপ,(স্বামী স্ত্রী) দড়ি টানাটানি,হাড়ি ভাঙ্গা,আস্তে আস্তে মটর সাইকেল চালোন,মেরুদন্ড শক্তির পরিক্ষা, তেলাক্ত কলা গাছ,বালিশ লড়াই, সাবানা মাখা প্রতিযোগিতা,অন্ধভাবে পথ চলা, এছাড়ও রয়েছে নতুন আকর্ষনীয় সব ঐতিহ্যবাহী গ্রামীণ খেলাগুলো স্মৃতি ধরে রাখার জন্য চেংগাড়া গ্রামের যুব সমাজ এই আয়োজন করেন।
শীতকালীন ক্রীড়া প্রতিযোগীতা পরিচলানা কমিটির জান মোহাম্মদ মিন্টুর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাংনী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আব্দুর রাজ্জাক,বিশেষ অতিথি ছিলেন ষোলটাকা ইউপির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন(পাশা),সাহারবাটি ইউপি চেয়ারম্যান মশিউর রহমান,গাংনী প্রেসক্লাবের সভাপতি তৌহিদ উদ দৌলা রেজা,গাংনী প্রেক্লাবের জ্যোষ্ঠ সাংবাদিক মজনুর রহমান আকাশ,ষোলটাকার ছয় নং ওর্য়াড মেম্বর আবদø কুদ্দস প্রমুখ।
আয়োজক কমিটির সভাপতি জান মোহাম্মদ মিন্টু বলেন, গ্রামীন খেলা ধুলাকে ধরে রাখার জন্য এই খেলাধুলার আয়োজন। এই খেলা প্রতিবছর আয়োজন করি। কোভিড এর কারনে দুই বছর হয়নি। ১১ বছরে ধরে এই খেলাধুলা চালিয়ে আসেছেন চেংগাড়া গ্রামের লোকজন। দূর দুরন্ত থেকে এখানে খেলা উপভোগ করতে আসেন। বিভিন্ন বয়সের মানুষ তারা উপভোগ করে এবং আনন্দ পাই।
চেংগাড়া গ্রামের ইলাইহি বক্রা (৯৫)বছরে বৃদ্ধা ভাঙ্গা ভাঙ্গা কন্ঠে জানান, গ্রামের খেলাধুলা নাম শোনে খুবই আনন্দ লাগলো আসতে কষ্টে হলে,আসতে পেরে খেলা দেখেতে পেরেছি এটাই অনেক আনন্দ। ,হরেক রকমের খেলাধুলা আমার খুবই পছন্দ বলে জানান।
গাংনী ফতাইপুর গ্রাম থেকে খেলা দেখতে আসা আব্দুল কুদ্দস আলী (৭৯) আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ঘরে বসে খেলাধুলা করে। আমাদের নাতিপুতিরা বাবা এই সব খেলাধুলার নামইে জানে না।
ফিল্টে বসে খেলা দেখার মজা আলাদা বলে জানান ষষ্ট শ্রেণীর শিক্ষার্থী চেংগাড়া গ্রামের খেলা দেখতে আসা মাইশা আক্তার জানান,গ্রামীণ খেলাগুলো দেখতে আমার খুব ভালো লাগে। তাই হাড়াভাঙ্গা গ্রাম থেকে এসছি আহ! বাবা মা‘র শৈশব কাল কতই না স্ন্দুর ছিলো। এটাও অনুভাব করছি আহরে কতো না সুন্দর ছিলো কিশোর আর শিশু কাল তাদের। গ্রাম বাংলার এ এক অপূর্ব নিদর্শন কালের গর্ভে কোথায় হারিয়ে যাচ্ছে এই খেলাধুলা,হারিয়ে যাচ্ছে শিশু দের দুরন্তপনা।
বক্তারা বলেন, আবহমান বাংলার ঐতিহ্যবাহী খেলা গুলোর আজ বিলপ্তির পথে গ্রামীণ খেলাগুলো অস্তিত্ব খুজেঁ পাওয়াই কঠিন। আধুনিক প্রযুক্তির ছোঁয়া গ্রাম বাংলার খেলাধুলা আজ রুপকথার ন্যায়। দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে শতাধিক গ্রামীণ খেলাধুলার প্রচলন ছিলো। কালের বির্বতনে দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে। স্মার্টফোন, ল্যাপটপ,ডেস্কটপে ভিডিও,এসব খেলার কারনে গ্রামীণ খেলা গুলো বিলপ্তির পথে বলে মনে করেন