মেহেরপুরে সুখসাগর পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছেন চাষিরা

আমদানি নির্ভরশীল না থেকে নিজেরাই সুখসাগর পেঁয়াজর বীজ উৎপাদন করে লাভের মুখ দেখছেন মেহেরপুরের কৃষকরা। পেঁয়াজ বীজ বপনের মৌসুমে ভারত থেকে আমদানী নির্ভরশীল থাকতে হতো জেলার পেঁয়াজ চাষিদের।

বীজ সংকটের কারনে অনেকেইে চড়া দামে সুখসাগর জাতের পেঁয়াজ বীজ কিনতেন। প্রয়োজনের তাগিদে আমদানি নির্ভর না থেকে নিজ ক্ষেতেই পেঁয়াজ বীজ উৎপন্ন করছেন কৃষকরা । নিজেদের চাহিদা মেটানোর পরও সরবরাহ করছেন অন্যান্য চাষিদেও কাছে। এতে উৎপাদন ব্যয় অনেকটা কমে যাচ্ছে এবং অধিক মুনাফা আয় করছেন। কৃষি বিভাগ বলছেন কৃষকরা আমদানী নির্ভর না থেকেই নিজেদের উৎপাদিত বীজ দিয়ে যে সুখ সাগর পেঁয়াজ চাষ শুরু করেছেন তা কৃষিতে একটি ইতিবাচক দিক। বীজ উৎপাদনে চাষিদেরকে প্রয়োজনিয় সহায়তাও দেয়া হচ্ছে।

জেলা কৃষি অফিসের তথ্য অনুযায়ী, জেলায় এবছর পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে ২৭ হাজার ৭৭৫ হেক্টর। এতে উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৭৫ হাজার ৬০০ মেট্রিক টন। প্রতি বছরের নভেম্বর মাসে পেঁয়াজ বীজ বপন করা হয়ে থাকে। জানুয়ারী মাসের দিকে পেঁয়াজ বাজারজাত করা হয়। আর বীজ উৎপাদন হয় মার্চ মাসের শেষের দিকে। তবে জেলার পেঁয়াজ চাষিরা বীজ উৎপাদন করে নিজের চাহিদা পুররুনের পাশাপাশি জেলার বাইরের কৃষকদের কাছে বিক্রি করেও মোটা টাকা আয়করছেন বলে জানান, কৃষি অধিদপ্তরের উপ পরিচালক শংকর কুমার মজুমদার। এছাড়াও কৃষি গবেষণাগার থেকে বারি-৪ জাতের পেঁয়াজেরও ভাল ফলন পাচ্ছেন বলে জানান তিনি।

জানাগেছে, মেহেরপুর জেলায় বিগত চার বছর যাবত সুখ সাগর পেঁয়াজের চাষ করছেন চাষিরা। অন্যান্য জাতের পেঁয়াজের তুলনায় একই খরচে দ্বিগুন পেঁয়াজ উৎপাদন করছেন তারা। পেঁয়াজের প্রচলিত জাত তাহেরপুরি,বারিফোর, নাসিকা রেড ও ফিপটি-৫০ জাতের পেঁয়াজ উৎপাদন হতো। পরে ভারত থেকে সুখ সাগর পেঁয়াজ বীজ পাওয়ায় এজাতের পেঁয়াজ আবাদে ঝুঁকে পড়েন চাষিরা। অন্যান্য জাতের পেঁয়াজের তুলনায় সুখ সাগর জাতের পেঁয়াজের ফলন পাচ্ছেন দ্বিগুন।

বপনকালীণ সময়ে বীজ সংকট দেখা দিলে বেশি মুল্য দিয়ে বীজ কিনতে হতো,এবং ভেজাল বীজে ফলন বিপর্যয়ে চাষিদের লোকসান গুনতে হতো। পরে পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে সুখ সাগর জাতের পেঁয়াজের বীজ উৎপাদনের কাজ শুরু করেন মুজিবনগর উপজেলার প্রায় অর্ধশত চাষি। এতে প্রতি বিঘা জমিতে প্রায় ১০০ কেজি বীজ উৎপাদন হয়। নিজেদের চাহিদা পুরুনের পাশাপাশি বীজ বিক্রি করেই লক্ষাধিক টাকা আয় করে অনেকেই সাবলম্বি হচ্ছেন। প্রতি কেজি বীজ বিক্রি হয় ২ হাজার টাকা থেকে শুরু করে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত। শুধু বীজই নয়,ফুল থেকে বীজ সংগ্রহ করার পর গাছ থেকে পেঁয়াজ পাওয়া যায় বিঘা প্রতি ৩৫ থেকে ৪০মন। একই সাথে বীজ ও পেঁয়াজ দুটোই পাচ্ছেন চাষিরা। পেঁয়াজ চাষিদের পাশে দাঁড়িয়েছেন পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন অর্থায়নে পরিচালিত সংস্থা পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি। জেলার মুজিবনগর উপজেলায় ১০ থেকে ১৫টি প্রদর্শনী প্লটের মাধ্যমে প্রায় অর্ধশত কৃষককে আর্থিক সহায়তা ও বীজ উৎপাদনে নানা মুখি পরামর্শ দিচ্ছেন।

মুজিবনগর বিদ্যাধরপুর গ্রামের কৃষক ইদুল ইসলাম জানান, তিনি দীর্ঘদিন যাবৎ পেঁয়াজের আবাদ করেন। সুখ সাগর পেঁয়াজের জাত পাওয়ার পর চার বছর থেকে এজাতের পেঁয়াজ চাষ করছেন। প্রতি বিঘা জমিতে তিনি ৫৫ থেকে ৬০মন পেঁয়াজ পেয়েছেন। বীজ বপনের সময় বীজের সংকট ও মুল্যবৃদ্ধির কারনে চাহিদা অনুযায়ী আবাদ করতে পারতেননা। পরে পলাশপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিরি কৃষি অফিসারের পরামর্শ ও আর্থিক সহায়তা পেয়ে এক বিঘা জমিতে সুখ সাগর পেঁয়াজ আবাদ করেন। সেখান থেকে প্রায় ৮০ কেজি বীজ উৎপন্ন হয় এবং একই গাছ থেকে প্রায় ৪০ মন পেঁয়াজ বিক্রি করেন। পেঁয়াজ ও বীজ বিক্রি করে এক বছরে আয় করেন তিন লক্ষাধিক টাকা। তার পর থেকে তিনি সুখ সাগর জাতের পেঁয়াজের বীজ উৎপাদন করছেন। তার দেখাদেখি অনেকেই বীজ উৎপাদনে উৎসাহিত হয়ে উঠেছেন।

দারিয়াপুর গ্রামের কৃষক শাহাবুদ্দিন জানান, আমাদের মুজিবনগর উপজেলায় শতভাগ চাষিরা সুখ সাগর জাতের পেঁয়াজের আবাদ করেন। ভারত থেকে আমদানি নির্ভর না থেকে এখন নিজেরাই বীজ উৎপাদন করছেন। এতে বীজ কেনার টাকাও লাগছেনা আবার বীজ নিয়ে প্রতারিত হতে হচ্ছেনা তাদের। উপরন্ত একই জমি থেকে বীজ ও পেঁয়াজ দুটোই পাচ্ছেন। আবহাওয়া ভাল থাকলে বিঘা প্রতি জমিতে তিন থেকে চার লাখ টাকা আয় হয় বলেও জানান তিনি।

খানপুর গ্রামের কৃষক ইউনুস আলী জানান, আমাদের উৎপাদিত সুখ সাগর জাতের পেঁয়াজ জেলার চাহিদা পুরুনের পাশাপাশি বাইরের জেলাতে বিক্রি হচ্ছে। পেয়াজ উৎপাদনের পাশাপাশি বীজ উৎপাদনে অনেক বেশি লাভ। কারন একটি পেঁয়াজ গাছের ফুল থেকে বীজ পাচ্ছি এবং শিকড় থেকে পেঁয়াজ পাচ্ছি। আমি প্রতি বছর সুখ সাগর জাতের বীজ কিনতাম বাজার থেকে। এতে অনেক টাকা বেশি খরচ হয়ে যেত। এখন আমি নিজেই বীজ উৎপাদন করে লাভবান হচ্ছি। এতে সার্বিক সহায়তা করছেন মেহেরপুরের পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতি। তাদের নিজস্ব কৃষি অফিসার আমাদের জমিতে এতে পরামর্শ দিয়ে যায়। কয়েক বছর ধরে সুখ সাগর জাতের বীজ উৎপাদন করে অনেক কৃষককেরই ভাগ্য বদলে ভাসছেন সুখের সাগরে।

পিএসকেএস এর কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মোস্তফা রাব্বি জানান, মেহেরপুর জেলার মাটি ও আবহাওয়া সব ফসল ফলানোর জন্য খুবই উপযোগী। বিশেষ করে পেঁয়াজ চাষের জন্য যে আবহাওয়া ও মাটি তা সুখ সাগর পেঁয়াজের ব্যপক ফলন পাওয়া সম্ভব। শুধুমাত্র মুজিবনগর উপজেলাতে রয়েছে শতাধিত পেঁয়াজ চাষি। যারা শুধুমাত্র সুখ সাগর পেঁয়াজের আবাদ করেন। এতে প্রতিবছর এক বিঘা জমির জন্য বীজ খরচ লাগতো প্রায় ১০ হাজার টাকা। পরে আমাদের পরামর্শ অনুযায়ী কৃষকরা এখন বীজ উৎপাদন করে ৩/৪ লাখ টাকা আয় করছেন। সোনার বাংলায় সোনা ফলানো সম্বব বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

পলাশীপাড়া সমাজ কল্যাণ সমিতির নির্বাহী পরিচালক মুহঃ মোশাররফ হোসেন জানান, সমন্বিত কৃষি ইউনিটের কৃষি খাতের আয়তায় পেঁয়াজ বীজ উৎপাদন ও পেঁয়াজ চাষ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে মুজিবনগর উপজেলায় ১৫টি প্রদর্শনি দেয়া হয়েছে। চার বছর যাবৎ প্রদর্শনির মাধ্যমে প্রায় অর্ধশত কৃষককে আর্থিক সহায়তা ও হাতে কলমে প্রশিক্ষণ দিয়ে বীজ উৎপাদনে সাবলম্বি করে তোলা হয়েছে। এখানকার একজন কৃষক তিন মাসের ব্যবধানে শুধুমাত্র বীজ উৎপাদন করে আয় করছেন ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা। আমাদের সাথে পরামর্শ নিয়ে অনেকেইে বীজ উৎপাদনে আগ্রহী হচ্ছেন বলেও জানান তিনি।




দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশ ১২তম: টিআইবি

বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে ‘সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত’ দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম বলে জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)।

জার্মানির বার্লিনভিত্তিক আন্তর্জাতিক দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল (টিআই)-এর প্রতিবেদনে বিশ্বের ১৮০টি দেশের মধ্যে সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১২তম বলে উল্লেখ করা হয়েছে। গত বছরের তুলনায় দুর্নীতি ধারণাসূচকে বাংলাদেশের স্কোর ও অবস্থানে এক ধাপ অবনমন হয়েছে।

মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাজধানীর ধানমন্ডিতে টিআইবি কার্যালয়ে এ প্রতিবেদন তুলে ধরেন প্রতিষ্ঠানটির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

তিনি বলেন, সিপিআই অনুযায়ী বাংলাদেশের অবস্থান হতাশাজনক। এবছর সূচকে নিচের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান ১২ এবং ওপরের দিক থেকে ১৪৭। এবার বাংলাদেশ ১০০ স্কোরের মধ্যে ২৫ অর্জন করেছে। দক্ষিণ এশিয়ার ৮টি দেশের মধ্যে এবারও বাংলাদেশের অবস্থান ও স্কোর যথারীতি বিব্রতকরভাবে আফগানিস্তানের পর দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। এবার আফগানিস্তানের স্কোর ১৬ থেকে বেড়ে ২৪ হয়েছে। অথচ বাংলাদেশের স্কোর ঘুরেফিরে ২৫ থেকে ২৮ এর মধ্যে রয়েছে।

এর আগে, দুর্নীতির ধারণা সূচক (সিপিআই)-২০২১ অনুসারে বাংলাদেশের স্কোর ছিল ২৬। বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় বাংলাদেশের এক ধাপ এগিয়ে ১২তম অবস্থান থেকে ১৩তম অবস্থানে এসেছিল।

সূত্র: ইত্তেফাক




মেহেরপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা

মেহেরপুর সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে এ বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।

প্রথমে জাতীয় পতাকা উত্তোলন, মশাল প্রজ্জ্বলন এবং পরে প্রতিযোগীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লিঙ্কন বিশ্বাস, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুজ্জামান। অন্যদের মধ্যে সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক খোরশেদা আলম, সহকারী প্রধান শিক্ষক আব্দুর রাজ্জাক, বজলুর রহমান,অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক আবুল কালাম আজাদ, সুশীল চক্রবর্তী, সিনিয়র শিক্ষক মোহাম্মদ সিদ্দিকুর রহমান,নাসির উদ্দিন, সহকারী শিক্ষক আব্দুস সালাম,ইমরান হোসেন, সাদ্দাম হুসাইন প্রমুখও উপস্থিত ছিলেন।




হোয়াটসঅ্যাপ, সিগন্যাল, টেলিগ্রাম—কোনটি বেশি নিরাপদ

অনলাইনে যোগাযোগে নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সুরক্ষার বিষয়টি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিরাপদে কথা ও লিখিত বার্তা আদান–প্রদানের ক্ষেত্রে বর্তমানে জনপ্রিয়তার শীর্ষে রয়েছে সিগন্যাল, হোয়াটসঅ্যাপ ও টেলিগ্রাম অ্যাপ। তিনটি অ্যাপেই রয়েছে শক্তিশালী এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন সুবিধা। গোপনীয়তা ও নিরাপত্তার দিক থেকে এই তিন অ্যাপের মধ্যে পার্থক্যও খুব বেশি না। অ্যাপ তিনটির মধ্যে কোনটি সেরা? টুইটারের নতুন মালিক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক সিগনালকেই রেখেছে এক নম্বরে। এবার দেখা যাক তিনটি অ্যাপের কোনটায় নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার জন্য কী আছে কী নেই।

সিগন্যাল

১. ফোন নম্বর ছাড়া ব্যবহারকারীর আর কোনো তথ্য সংরক্ষণ করে না।
২. বিজ্ঞাপনমুক্ত, বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়। অ্যাপটির নির্মাতা অলাভজনক সিগন্যাল ফাউন্ডেশন।
৩. সম্পূর্ণ ওপেন সোর্স, অর্থাৎ এর প্রোগ্রামিং সংকেত বা সোর্সকোড উন্মুক্ত।
৪. এনক্রিপশনে সিগন্যাল প্রোটোকল ব্যবহার করে। অর্থাৎ একক ক্রিপ্টোগ্রাফিক প্রোটোকল ব্যবহার করে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন প্রযুক্তিতে বার্তা আদান-প্রদান করে।

সিগন্যালে যেকোনো ব্যক্তি বা গ্রুপের বার্তা, ছবি, অডিও–ভিডিও এনক্রিপশন করে পাঠানো হয়। ব্যবহারকারীদের কোনো তথ্য সংগ্রহ না করলেও ফোন নম্বর যাচাই করে অ্যাপটি। ফলে অন্য ব্যবহারকারীদেরও ফোন নম্বর জানা যায়। এনক্রিপশন ছাড়াও অ্যাপটিতে আরও বেশ কিছু সুবিধা রয়েছে, যার মধ্যে অ্যাপটির পর্দা লক সুবিধা অন্যতম। ফলে ব্যবহারকারীর অনুমতি ছাড়া অন্য কেউ অ্যাপটি ব্যবহার করতে পারে না। নির্দিষ্ট সময়ে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পাঠানো বার্তা মুছে ফেলার পাশাপাশি ছবিতে থাকা চেহারাও ঝাপসা করার টুল রয়েছে অ্যাপটিতে। আর তাই দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াল স্ট্রিট জার্নালের মতো বিখ্যাত পত্রিকাগুলোও নিজেদের সংবাদকর্মীদের নিরাপদে যোগাযোগের জন্য সিগন্যাল অ্যাপ ব্যবহার করতে পরামর্শ দিয়েছে।

টেলিগ্রাম

১. ব্যবহারকারীর নাম, ফোন নম্বর, ফোনে থাকা নম্বর ও আইডি সংরক্ষণ করে।
২. বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায়।
৩. আংশিক ওপেন সোর্স।
৪. এনক্রিপশনে এমটিপ্রোটো মোবাইল প্রোটোকল ব্যবহার করে।

গোপনীয়তার মাপকাঠিতে মাঝামাঝি অবস্থানে থাকলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের মতো একে অপরের সঙ্গে যোগযোগের সুযোগ বেশি থাকায় টেলিগ্রাম অ্যাপটি খুবই জনপ্রিয়। টেলিগ্রাম অ্যাপে এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশন পদ্ধতিতে বার্তা পাঠানো গেলেও সেটি সেটিংস থেকে চালু করতে হয়। টেলিগ্রামের সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য দিক হচ্ছে এটি হোয়াটসঅ্যাপের মতো ব্যবহারকারীর তথ্য সংরক্ষণ করে না। মন্দ দিকও আছে, গ্রুপ কলে এনক্রিপশন সুবিধা নেই। ফলে গ্রুপে আদান-প্রদান করা তথ্য খুব বেশি নিরাপদ নয়। ব্যবহারকারীদের আইপি (ইন্টারনেট প্রোটোকল) ঠিকানা সংরক্ষণ করায় গোপনীয়তার ক্ষেত্রে সিগন্যালের থেকে পেছনে রয়েছে টেলিগ্রাম। ২০২০ সালের মার্চ মাসে সাইবার হামলা চালিয়ে পড়ে ৪ কোটি ২০ লাখ টেলিগ্রাম ব্যবহারকারীর আইডি ও ফোন নম্বর চুরি করেছিল হ্যাকাররা। ২০১৯ সালেও কারিগরি সমস্যায় পড়েছিল অ্যাপটি।

হোয়াটসঅ্যাপ

১. যন্ত্রের আইডি সংগ্রহ করার পাশাপাশি ব্যবহারকারীরা কোন ধরনের বিজ্ঞাপন দেখেন, সেই তথ্যও সংগ্রহ করে হোয়াটসঅ্যাপ। কেনাকাটার ইতিহাস, আর্থিক লেনদেনের তথ্য, ব্যবহারকারীর অবস্থানসহ ফোন নম্বর, যোগাযোগের ঠিকানা, ফোনে থাকা নম্বরও সংগ্রহ করে হোয়াটসঅ্যাপ।
২. বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায় মেটার মালিকানাধীন অ্যাপটি।
৩. এনক্রিপশন পদ্ধতি ছাড়া কোনো কিছু ওপেন সোর্স নয়।
৪. এনক্রিপশনে সিগন্যাল প্রোটোকল ব্যবহার করে।

নিরাপত্তার ক্ষেত্রে এনক্রিপশন পদ্ধতিতে তথ্য আদান-প্রদান করে থাকে হোয়াটসঅ্যাপ। ফলে নিরাপদে ছবি, ভিডিও এবং ভয়েস মেসেজও পাঠানো যায়। ব্যবহার পদ্ধতি সহজ হওয়ায় হোয়াটসঅ্যাপের ব্যবহারকারীর সংখ্যা অনেক বেশি।
নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হোয়াটসঅ্যাপ সিগন্যালের মতোই এনক্রিপশন পদ্ধতি ব্যবহার করে। দ্য গার্ডিয়ান, দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট এবং দ্য নিউইয়র্ক টাইমস সিগন্যালের পাশাপাশি নিজেদের সংবাদকর্মীদের হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহারেরও পরামর্শ দিয়েছে।
তবে অ্যাপটিতে আদান-প্রদান করা তথ্য যথেষ্ট নিরাপদ কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ, ২০২০ সালে হোয়াটসঅ্যাপের একটি ভিডিও ফাইলের মাধ্যমে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোসের ফোন হ্যাক করেছিল সাইবার অপরাধীরা।
আর তথ্য সংরক্ষণের তালিকাই বলে দেয় অ্যাপটি গোপনীয়তার কতটুকু সুরক্ষা দেয়।
সূত্র: সিনেট




চুয়াডাঙ্গায় লানিং এন্ড আনিং প্রকল্পের প্রশিক্ষনার্থীদের মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ কতৃক বাস্তবায়নাধীন লানিং এন্ড আনিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতায় জব ফোরাম ও প্রশিক্ষনার্থী মাঝে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়েছে।

ব্যাবিলন রিসোর্সেস লিমিটেড এন্ড ইজি টেকনোলজি এর আয়োজনে ও চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতায় জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে মঙ্গলবার সকাল  সাড়ে দশটার সময় চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আরাফাত রহমানের সভাপতিত্বে সার্টিফিকেট বিতরণ করা হয়।

অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন ব্যাবিলন রিসোর্সস লিমেটেড এর সিনিয়র ম্যানেজার কামরুজ্জামান।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, ডিজিটাল বাংলাদেশের আওতায় অনেক শিক্ষিত তরূণ এখন ঘরে বসে বিভিন্ন দেশের কাজ সহজে করছে। আইসিটি বা ফ্রিলান্সিং এর মাধ্যমে সহজে বাইরের দেশের টাকা দেশে আনা সম্ভব। সেই সাথে ফ্রিলান্সিং এর মাধ্যমে দেশের যে অধিক বেকার যুব সমাজ সহজে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে।

এ সময় তিনি আরও বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশের দিকে দিন দিন এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে স্মার্ট বাংলাদেশে রুপান্তরে সবাই কে আইসিটি শিক্ষার উপর ও হাতে কলমে আইসিটি শিক্ষা নিতে হবে। এ সময় তিনি সকল ফ্রিলান্সারদের বৈধতার সাথে আয় করার জন্য আহবান জানান।

চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুরের মোট ৪৮০ জনের হাতে লানিং এন্ড আনিং ডেভেলপমেন্ট প্রকল্পের আওতার প্রশিক্ষনার্থীদের চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আমিনুল ইসলাম খান সাটিফিকেট প্রদান করেন।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) নাজমুল হামিদ রেজা, চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসনের নেজারত ডেপুটি কালেক্টর সাদাত হোসেন সহ ব্যাবিলন রিসোর্সেস লিমিটেড এন্ড ইজি টেকনোলজির কর্মকর্তা বৃন্দ।

প্রশিক্ষণার্থীদের মাঝে বক্তব্য প্রদান করেন তুহিন হোসেন,জেসমিন আক্তার।অনুষ্ঠানটির সার্বিক সঞ্চালনার দায়িত্ব ছিলেন ইশতিয়াক আহমেদ ও আনিতা আক্তার রুম্পা।




গাংনীর বিটিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয় নিয়োগ বাণিজ্য

মেহেরপুরের গাংনীর বি.টি.ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের আলোচিত নিয়োগ বাণিজ্যের ঘটনায় পরিচালনা পর্যদের বর্তমান সভাপতি রেকাত আলীর ভুমিকা এখন প্রশ্নবিদ্ধ। নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে প্রথমে তিনি বিপক্ষে অবস্থান নিলেও এখন সেই নিয়োগ বৈধ করার জন্য তিনি প্রধান শিক্ষকের পক্ষ নিয়েছেন।

জানা গেছে, বিটিডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইনামুল হক ‘গ’ শাখাতে তিন জন শিক্ষকে ব্যাকডেটে নিয়োগ দেয়। সেসময় বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদের সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন সিরাজুল ইসলাম। অবশ্য সিরাজুল ইসলাম বলেছেন তার স্বাক্ষর জালিয়াতি করে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ দিয়েছেন। পরবর্তীতে সভাপতির দায়িত্বে আসেন আওয়ামী লীগ নেতা রেকাত আলী।

জানা গেছে, ২০২২ সালের আগষ্ট মাস পর্যন্ত বিদ্যালয়ে স্ব-শশীরে কিংবা হাজিরা খাতায় এই তিনজন সহকারি শিক্ষকের অস্তিত্ব ছিল না। তিন শিক্ষক শেফালি খাতুন, আল মামুন ও শাহনাজ পারভীন সেপ্টেম্বর/২২ মাসে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে যায়। তখন বাধা হয়ে দাঁড়ান পরিচালনা পর্যদের বর্তমান সভাপতি রেকাত আলী।

প্রধান শিক্ষক অর্থ বাণিজ্যের মাধ্যমে তিন শিক্ষককে অনুমোদনবিহীন শাখায় নিয়োগ দিয়েছে এবং নিয়োগ বাণিজ্য করেছেন মর্মে প্রচার করেন সভাপতি রেকাত আলী। তখন এলাকার মানুষ রেকাত আলীর সাথে দুর্নীতির বিরুদ্ধে স্বোচ্ছার হন। অবস্থা বেগতিক দেখে প্রধান শিক্ষক ওই তিন শিক্ষককে বিদ্যালয়ে প্রবেশ করাতে ব্যর্থ হন। কিন্তু সেপ্টেম্বর মাসের ১০ তারিখের মধ্যে এমপিও শিট দাখিলের বাধ্যবাধকতা থাকায় তিনি ভিন্ন পথ অবলম্বন করেন। তিনি এমপিও শিটে সভাপতির স্বাক্ষর জাল করে দাখিল করেন। বিষয়টি জানতে পেরে সভাপতি রেকাত আলী গত বছরের ১১ অক্টোবর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর জালিয়াতি প্রসঙ্গে আবেদন করেন।

সভাপতি রেকাত আলীর আবেদন বলা হয়, প্রধান শিক্ষক এনামুল হক সভাপতির স্বাক্ষর জালিয়াতি করে শিক্ষক ফরোয়াডিং ও বেতন উত্তোলনসহ নানা কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করেন। তাছাড়া ২০২২ সালের ১০ অক্টোবর রুপালী ব্যাংক শাখায় যে বেতন উত্তোলন করেন সে স্বাক্ষরটিও সভাপতির নয় বলে দাবি করেন সভাপতি রেকাত আলী।

এদিকে অনুমোদনবিহীন শাখায় নিয়োগ বাণিজ্যের বিরুদ্ধে এলাকার মানুষ রাস্তায় নামেন। তারা বিভিন্নভাবে আন্দোলন শুরু করেন। প্রধান শিক্ষক এনামুলের শাস্তি দাবিতে বিভিন্ন দপ্তরে প্রেরণ করতে থাকেন অভিযোগ। এরই মাঝে গত ১৫ নভেম্বর প্রধান শিক্ষক ওই তিন জনের ইনডেং সাময়িক কর্তনের জন্য মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বরাবর একটি আবেদন করেন।

অপরদিকে বিদ্যালয় পরিচালনা পর্যদের সভাপতি রেকাত আলী প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধ অবস্থান থেকে গোপনে গোপনে সরে আসেন। প্রধান শিক্ষকের দুর্নীতি নিয়ে তিনি বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছিলেন সেই তিনি গোপন আতাতের মাধ্যমে প্রধান শিক্ষকের পক্ষ নেন। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে প্রধান শিক্ষক সভাপতিকে ম্যানেজ করেছে বলে এলাকায় গুঞ্জন শুরু হয়েছে।

জানা গেছে, ওই তিন সহাকারী শিক্ষককে বিদ্যালয়ে প্রবেশে প্রধান বাধা দিয়েছিলেন সভাপতি রেকাত আলী। অথচ গোপন আতাতের মাধ্যমে সেই রেকাত আলী আবার তাদেরকে বৈধ করার জন্য মহাপরিচালক বরাবর প্রেরিত পত্রে স্বাক্ষর করেন। গত ৬ আগস্ট/২২ বিদ্যালয়ের প্যাডে প্রধান শিক্ষক ইনামুল হক এবং সভাপতি রেকাত আলীর যৌথ স্বাক্ষরে তিন শিক্ষক যথাক্রমে শেফালি খাতুন, আল মামুন ও শাহনাজ পারভীনকে এমপিও ভুক্তির জন্য ডিজি বরাবর সুপারিশ করেন। এ নিয়ে এলাকার মানুষের মাঝে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।

বিষয়টি জানতে চাইলে অভিযুক্ত সভাপতি রেকাত আলী বলেন, বিষয়টি তদন্ত চলছে তাই এ বিষয়ে তিনি কোন কথা বলবেন না।

তবে তদন্ত কমিটির প্রধান কুষ্টিয়া জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী বলেন, তদন্তে অনেক কিছুই পাওয়া গেছে। দ্রুত তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হবে।




দর্শনা ওয়েভ ট্রেড ট্রেনিং সেন্টার গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রশিক্ষনের শুভ উদ্বোধন

দর্শনা ওয়েভ ট্রেড ট্রেনিং সেন্টারে তিন মাস ব্যাপী গ্রাফিক্স ডিজাইন প্রশিক্ষনের শুভ উদ্বোধন করেছেন ওয়েভ ফাউন্ডেশনের নিবার্হী পরিচালক মহসিন আলী।

সোমবার বেলা ২টার দিকে পিকেএসফ এর সহযোগিতায় এবং ওয়েভ ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এসইআইপি প্রশিক্ষন প্রোগ্রামের উদ্বোধন করা হয়।

দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে প্রশিক্ষনে অংশ গ্রহনকারী ২৫জন প্রশিক্ষণার্থী উদ্যেশ্যে নিবার্হী পরিচালক বলেন, যারা গ্রামে শহরে বিভিন্ন জায়গায় থাকে প্রশিক্ষনের সুযোগ বঞ্চিত। সে রকম কিছু জায়গা থেকে প্রশিক্ষনের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টি হতে পারে। যে কোন কাজ করতে গেলে শুরু করতে গেলে, বুঝতে গেলে প্রশিক্ষনের প্রয়োজনীয় জায়গা। প্রশিক্ষণ শেষ করে কাজ করা সম্ভব নয়। প্রশিক্ষণ নিয়ে ব্যক্তিগত উদ্যোগ থাকতে হবে। যদি চর্চা থাকে তাহলে সে ভাল ফলাফল পাবে এবং এন্টার পেনার হিসাবে নিজেকে গড়ে তুলতে সক্ষম হবে। এ অনুষ্ঠান শেষে চুয়াডাঙ্গা, জীবননগর ও দামুড়হুদা উপজেলার ৪২ জন কিশোর কিশোরীদের সাথে মতবিনিময় করেন। মতবিনিময় এর শুরুতেই কিশোর কিশোরীর নিবার্হী পরিচালকের হাতে ফুলের তোড়া তুলে দিয়ে সম্মান জানান।

এসময় তিনি এসব কিশোর-কিশোরীদের উদ্যোশে বলেন, শুধু চাকুরীর জন্য নয় নিজেদেরকে উদ্যোক্তা হিসাবে গড়ে তুলতে হবে। বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ নিয়ে নিজ উদ্যোগে কাজ করে নিজেদের আয়ের ব্যবস্থা করতে হবে।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন, অর্থ পরিচালক আমিরুল ইসলাম, প্রশিক্ষণ বিভাগের উপ-পরিচালক জহির রায়হান, সহকারী পরিচালক কিতাব আলী, সিনিয়ার সমন্বয়কারী কামরুজ্জামান যুদ্ধ ও এ্যাডভাইজার আব্দুস শুকুর। সমগ্র অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন সিনিয়ার সমন্বয়কারী ও প্রশিক্ষন কার্যক্রমের অধ্যক্ষ আব্দুস সালাম।




আলমডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা নদীতে বালি উত্তোলন ঝুঁকিতে সেতু ও কমিউনিটি ক্লিনিক

আলমডাঙ্গার হাটবোয়ালিয়ায় আবাসন প্রকল্পে উন্নয়নের নামে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে বাণিজ্যিক ভাবে উত্তোলন করা হচ্ছে বালি ।

এসব বালি নামমাত্র আবাসনে দিয়ে বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করবে বলে দাবি করেছে স্থানীয়রা। নদীর ২০ফিট গভীর থেকে ড্রেজিং করায় নদীর পাড় ভাঙার শঙ্কা করছে এলাকাবাসী। সরকারি কমিউনিটি ক্লিনিকের সন্নিকটে এমন বালি উত্তোলনের কর্মযোগ্য চালিয়ে যাচ্ছে প্রভাবশালীরা।

স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, যার ঘর ও জমি নেই এমন দুস্ত পরিবারকে জমিসহ ঘর উপহার দিচ্ছে সরকার। এমন তালিকায় উপজেলার হাটবোয়ালিয়ার মাথাভাঙ্গা নদীর পাড়েই গড়ে তোলা হচ্ছে সারিবদ্ধ ১২ টি পাঁকা স্থাপনা। দ্রুত প্রধানমন্ত্রী দুস্ত পরিবারকে ঘর উপহার দিবে।

ঘর নির্মাণ আলমডাঙ্গা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের মাধ্যমে উপজেলা নির্বাহি অফিসার সরাসরি দেখভাল করছে। এসব ঘরে ২ টি রুম ও একটি ডাইনিং রয়েছে। প্রতিটি ঘরের জন্য ৫ স্ট্রেয়ারিং করে বালির প্রয়োজন হবে। যা ১২ টি ঘরে ৬০ ট্রেয়ারিং বালি প্রয়োজন।

এসুযোগে স্থানীয় মেম্বারসহ কয়েকজন বালি উত্তোলনের মাধ্যমে বাণিজ্যিক সুবিধা নিতে মরিয়া হয়ে পড়েছে। ইতোমধ্যে মাথাভাঙ্গা নদীতে ভেড়ানো হয়েছে বালি উত্তোলনের জন্য ড্রেজিং মেশিন।

বালি মাটি আইনের ধারা ৪-এর (খ) অনুযায়ী, সেতু, কালভার্ট, বাঁধ, সড়ক, মহাসড়ক, রেললাইন ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ সরকারি ও বেসরকারি স্থাপনা অথবা আবাসিক এলাকা থেকে এক কিলোমিটারের মধ্যে বালু উত্তোলন নিষিদ্ধ।

তবে, ২শ’ মিটারের মধ্যে নির্মাণ করা হচ্ছে ব্রিজ। ২০ মিটারের মধ্যে রয়েছে কমিউনিটি ক্লিনিক ও ১শ’ মিটারের মধ্যে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়ি ও গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এছাড়াও বালি উত্তোলনের জায়গা থেকে প্রায় দেড়শ মিটারের মধ্যে সরকারি আবাসনের ১২ টি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ২ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সাহিনুর রহমান জানান, সরকারি ঘরে বালির প্রয়োজন স্বার্থে মাথাভাঙ্গা নদী থেকে ড্রেজিং করে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। তিনি আরো বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনুমতিতে এ ড্রেজিং কাজ চালানো হচ্ছে।

এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রনি আলম নুর জানান, বালি উত্তোলনের জন্য কাউকে অনুমতি দেওয়া হয়নি। তবে, ঘরের জন্য কিছু বালি লাগবে। বিষয়টি দেখবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।




আলমডাঙ্গায় শিশু খাদ্য দোকানিকে জরিমানা,ভেজাল খাদ্য আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস

চুয়াডাঙ্গা জেলা ভোক্তা অধিকার অধিদপ্তরের অভিযানে নকল মোড়ক ভেজাল শিশু খাদ্য বিক্রয়ের অভিযোগে দুই দোকান মালিককে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। অভিযানে প্রায় ৩০ হাজার টাকা মূল্যের ভেজাল শিশু খাদ্য জব্দ করা হয়।

 সোমবার দুপুরে আলমডাঙ্গা শহরের চারতলা মোড় এলাকায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।

চুয়াডাঙ্গা জেলা ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সজল আহমেদ জানান, আলমডাঙ্গা পৌর শহরের তারতলা মোড়ে মেসার্স জহির স্টোর ও মেসার্স মোল্লা স্টোরে নকল মোড়কে ভেজাল শিশু খাদ্য বিক্রয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়।

সোমবার দুপুরে থানাপুলিশের সহযোগীতায় ওই দুই দোকানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়।
এসময় মেসার্স জহির স্টোরের মালিক জহুরুল ইসলামকে ১০ হাজার ও মেসার্স মোল্লা স্টোরের মালিক জামিরুল ইসলামকে পৃথক আইনে ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।

এছাড়াও নকল মোড়কসহ ভেজাল শিশু খাদ্য সামগ্রী জব্দ করা হয়। যা পরবর্তীতে পৌর এলাকার পশু হাটে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়।

এই অভিযানে আলমডাঙ্গা পৌরসভার স্যানিটারি ইন্সপেক্টর মো. মাহফুজুর রানা ও আলমডাঙ্গা থানা পুলিশের একটি টিম উপস্থিত থেকে অভিযানে সহযোগিতা করেন।




দামুড়হুদায় ২৭ জন মোটরসাইকেল চালকে ভ্রাম্যমান আদালতে জরিমানা

দামুড়হুদায় কাগজপত্র বিহিন মোটরসাইকেল চালানোর অপরাধে ২৭ জনকে ১৩ হাজার ৩ শত টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত।

ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন দামুড়হুদা উপজেলার সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস।  সোমবার দিনভর অভিযান চালিয়ে এই জরিমানা করা হয়।

ভ্রাম্যান আদালত সূত্র থেকে জানাযায়, দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা সড়কের মুক্তারপুর সংলগ্ন ঈদগাহ মোড়ে আদালত বসিয়ে মোটর সাইকেল চালানো অবস্থায় হেলমেট ব্যবহার না করার অপরাধে অর্ধশত মোটর সাইকেল আটক করা হয়। এর মধ্যে অ্যাডভোকেট, মাস্টার ও সাংবাদিক এবং রাজনৈতিক কর্মীরাও বাদ পড়েননি। সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৯২(১) ধারা মোতাবেক ২৭ জন চালককে ১৩ হাজার ৩০০ টাকা জরিমানা করে মুচলেকা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়।

এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আদালতের বিচারক দামুড়হুদা উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি সজল কুমার দাস। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানে সহযোগিতা করেন দামুড়হুদা মডেল থানার একটি চৌকস টিম।