কোটচাঁদপুরে বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে মাটি রাখায় বিপাকে ছাত্র ছাত্রী ও অভিভাবক
বিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সহ বাউন্ডারি ঘেষে মাটি রেখেছেন একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন ওই বিদ্যালয়ের কমলমতি ছাত্র/ছাত্রী,অভিভাবক ও পথচারীরা। এ দৃশ্য কোটচাঁদপুর পৌরসভাধীন বাজেবামনদহ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের। যা দেখার কেউ নাই। বলা হয়েছে, কিন্তু কোন কাজ হয়নি,বললেন ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নাজনিন সুলতানা।
কোটচাঁদপুর বাজেবামনদহ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রথম শ্রেণীর এক শিক্ষার্থীর পিতা উজ্জ্বল হোসেন বলেন,এমনিতেই সড়কটি সরু। এরপর বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ঘেষে মাটি রাখায় চরম ভোগান্তিতে আমরা। ওই মাটি দ্রুত অপসারণের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষার্থী সুরাইয়া জামানের পিতা সাংবাদিক আব্দুল্লাহ বাশার বলেন,বিদ্যুৎ অফিসের নতুন ভবনের কাজ শুরুর পর থেকে মাটি গুলো পড়ে আছে বিদ্যালয়ের বাউন্ডারি ঘেষে ও প্রধান ফটকের সামনে। এতে স্কুল পড়ুয়া কমলমতি ছাত্র /ছাত্রীরা নিয়মিত পড়ছেন ভোগান্তিতে।
অন্যদিকে আঞ্চলিক সড়ক হওয়ায় সেটা অনেকটা সরু। এতে করে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দূর্ঘটনা। এ ছাড়া ওই মাটির স্তুপ থেকে ধুলা বালি উড়ায় শারীরিক ভাবে অসুস্থ্য হতে পারেন ছাত্র/ছাত্রী। এটার দ্রুত সমাধান হাওয়া প্রয়োজন বলে মনে করছেন তিনি।
পথচারী আসাদুল ইসলাম বলেন, দুই মাস যাবত খুব সমস্যায় পড়তে হচ্ছে, মাটির কারণে । এমনিতে চিকন রাস্তা একটা ভ্যান ও বাইসাইকেল পাশাপাশি গেলে হেঁটে যাওয়ার জায়গা থেকে না।
এ ছাড়া ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে আসা ও যাওয়ার ওই সড়কে যানজট হয়। এতে করে দীর্ঘ সময় দাঁড়িয়ে থেকে লাইন ধরে বাড়িতে ফিরতে হয় তাদের।
বিদ্যালয়ের নৈশ প্রহরী ইমরান হোসেন বলেন, বিরাট বিপদে আছি সামনে ফেলে রাখা মাটিতে। দিনে তিন/চার বার পানি দিয়ে ভিজাতে হচ্ছে স্কুলের ভিতর। পানি একটু বেশি দিলেই কাঁদা হয়ে যাচ্ছে।
ঠিকানার কাজী মর্তুজা হিরো বলেন,নতুন ভবন করার জন্য মাটি খোড়া হয়েছিল। জায়গা না থাকায় ওখানে রাখা হয়েছে। ভবনের গ্রেড বিম হওয়ার পর মাটি গুলো আবার নিয়ে এসে তা ভরাট করা হবে। যা ৮/১০ দিনের মধ্যে সম্ভব বলে তিনি জানান।
মিস্ত্রিরা বলছে ৩/৪ মাস সময় লাগবে মাটি সরাতে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ওরা বোঝেনা ভাই। আমি যেটা বলছি সেটা শোনেন।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) নাজনিন সুলতানা বলেন, গেল ১৫ দিন হল, আমি এ বিদ্যালয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নিয়েছি। তবে আমার মনে হয়, এর আগের ম্যাডামের অনুমতি ছাড়াই হয়তো,তারা এ মাটি রেখেছেন। এর আগে মাটি অপসারণ করতে বলেছি। কিন্তু তারা সরাননি। আজ আবারও বলবো দেখি কি করেন।
উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা অসিত বরণ পাল বলেন, এর আগে একদিন স্কুলে গিয়ে দেখে ছিলাম মাটি পড়ে আছে। ওই সময় তাদেরকে সরিয়ে নিতে বলা হয়েছিল। তা ওনারা করেননি। আমি আবারও তাদেরকে বলবো।
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খান মাসুম বিল্লাহ বলেন,এটা আমার জানা ছিল না। আমি খোজ নিয়ে তাদেরকে অফিসে ডাকিয়ে মাটি অপসারণের ব্যবস্থা করছি।