ভারত ও চীনের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। লাদাখ সীমান্তে গলওয়ান উপত্যকায় চীনা সেনাদের সঙ্গে সংঘর্ষের পর সতর্ক অবস্থানে আছে দুই দেশের সেনারা। এমন পরিস্থিতির মধ্যেই ভারত মহাসাগরে একটি চীনের গবেষণাকারী জাহাজকে চিহ্নিত করেছে ভারতীয় নৌবাহিনী।
ভারতীয় নৌবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, মালাক্কা প্রণালী দিয়ে ভারত মহাসাগরের অঞ্চলে ইউয়ান ওয়াং নামে চীনের গবেষণাকারী জাহাজটি গত মাসে ঢুকে পড়েছিল। আর এই জাহাজটিকে ভারতীয় নৌবাহিনী ক্রমাগত নজরে রেখেছিল। তবে শেষ পর্যন্ত দিন কয়েক আগে ফের নিজেদের জলসীমায় ফেরত পাঠানো হয়েছে চীনের গবেষণাকারী জাহাজটিকে।
ভারতীয় নৌবাহিনীর একটি সূত্র জানায়, এই ধরনের চীনা জাহাজগুলো গবেষণার নামে ভারতের জলসীমায় ঢুকে গোপনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সংগ্রহ করে থাকে।
লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় গত ১৫ জুন চীন ও ভারতীয় সেনাদের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় ভারতের ২০ জন সেনা নিহত হয়। এরপরেও লাদাখ সীমান্তে ভারতীয় সেনাদের সঙ্গে চীনের সেনাদের একাধিক বার সংঘর্ষ হয়েছে। সীমান্তে সংঘাত মেটাতে এখন পর্যন্ত একাধিকবার কমান্ডার পর্যায়ের বৈঠক এবং কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে চীন ও ভারত।
এদিকে, ভারত-চীন ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যে সম্প্রতি পিথোরাগড় সীমান্তে চীন সামরিক তৎপরতা বাড়িয়েছে। ভারতীয় নিরাপত্তা এজেন্সি গুলোর মতে, লাদাখ অঞ্চলে চীন এ জাতীয় ক্রিয়াকলাপ অব্যাহত রেখেছে। কিন্তু পিথোরাগড় সীমান্তে তারা এই প্রথম একটি মানবহীন আকাশযানে পর্যবেক্ষণ করেছে।
সম্প্রতি ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্কর লাদাখের পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছেন, এপ্রিল মাস থেকে একে অপরের চোখে চোখ রেখে দাঁড়িয়ে আছে ভারত ও চীনের সেনাবাহিনী। পরিস্থিতি খুবই সিরিয়াস। দুই পক্ষের রাজনৈতিক স্তরে গভীর আলোচনার প্রয়োজনও বোধ করছেন তিনি।
সমর বিশেষজ্ঞদের মতে, দু’দেশের মধ্যে যুদ্ধের ক্ষেত্র প্রস্তুত হচ্ছে ধীরে ধীরে। গত ৪৫ বছরে একাধিক মৌখিক বা লিখিত চুক্তির মাধ্যমে যে স্থিতাবস্থা নিয়ে এসেছে ভারত ও চীন, তা এক মুহূর্তে ভাঙতে পারে।
সূত্র- বিডি প্রতিদিন