আজ বুধবার (২৫ মে) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৩তম জন্মবার্ষিকী। বাংলা সাহিত্যের অবিসংবাদিত কিংবদন্তীর জন্মদিনে কবির প্রতি জানাই গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি।
কবি কাজী নজরুল ইসলাম অন্যায়ের বিরুদ্ধে ছিলেন সোচ্চার, ছিলেন প্রতিবাদী। তার ক্ষুরধার লেখনি অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে বিপ্লবের মন্ত্র উচ্চারিত হয়।
বহুমূখী বিস্ময়কর প্রতিভার অধিকারী মহান কবি ছিলেন, ঔপন্যাসিক, নাট্যকার, সুরকার, সঙ্গীতজ্ঞ, সাংবাদিক ও চলচ্চিত্র নির্মাতা। বাংলা সাহিত্যের পরতে পরতে জড়িয়ে তার সাহিত্যকর্ম। নির্বাক হওয়া পর্যন্ত সাহিত্য-চর্চায় ব্রতী ছিলেন এই মহান কবি।
দেশের স্বাধীনতা ও মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য উপনৈবেশিক শাসক গোষ্ঠীর অন্যায়ের বিরুদ্ধে কলমকে অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করে কারাগারে নির্যাতিত হয়েছেন বারবার। তাই বৃটিশদের সেই জেলখানাতে বসেও বিদ্রোহী হয়ে উঠেছিলেন কবি।
কবি লখিছেলিনে,
“কারার ঐ লৌহকপাট
ভেঙে ফেল কর রে লোপাট
রক্ত-জমাট শিকল পূজার পাষাণ-বেদী
ওরে ও তরুণ ঈশান
বাজা তোর প্রলয় বিষাণ
ধ্বংস নিশান উড়ুক প্রাচীর প্রাচীর ভেদি”
কবি নজরুলের কবিতার মূল বিষয়বস্তু ছিল মানুষের ওপর অত্যাচার, সামাজিক অনাচার ও শোষণের বিরুদ্ধে সোচ্চার প্রতিবাদ।
জাগরণের কবি কাজী নজরুল ইসলাম। উপমহাদেশের স্বাধীনতার প্রথম বলিষ্ঠ কন্ঠস্বর। তার কবিতা ও গান আমাদের মুক্তি সংগ্রামে অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে তার লেখা সেই বিখ্যাত গানটি “চল্ চল্ চল্ গানটি আমাদের জাতীয় রণসঙ্গীত।
আমি বিশ্বাস করি প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ঔপনিবেশিক শৃঙ্খল ছিন্ন করে দেশ থেকে অন্যায় অবিচার ও অত্যাচার নির্মূল করতে তার লেখনীর আবেদন চিরদিন নির্যাতিত মানুষকে প্রেরণা যোগাবে।
পাশাপাশি সঙ্গীতে তার মানবপ্রেম, প্রকৃতিপ্রেম এবং সৃষ্টিকর্তার প্রতি আত্মনিবেদিত ভক্তিমূলক গানের আবেদন চিরকালীন ও চিরস্থায়ী হয়ে থাকবে।