মেহেরপুরের গাংনী- কুষ্টিয়ার প্রধান সড়কের ধারে বেশ কয়েকটি সাপ্তাহিক হাট বসে। এতে করে প্রতিনিয়তই ছোট খাট দূর্ঘটনা সংঘঠিত হচ্ছে বলে জানা গেছে। গাংনী থেকে খলিসাকুন্ডি পর্যন্ত ৮টি স্থানে সাপ্তাহিক দুইবার হাট বসে।
এসব হাট গুলোতে বেলা বাড়ার সাথে বিক্রেতা ও ক্রেতার ভিড় বাড়তে থাকে। তাছাড়া দ্রব্যমুল্য বহন করার জন্য অবৈধ যান আলমসাধু নসিমন সহ অটোভ্যান সে স্থানে জমা হতে থাকে। এসব যানবাহন গুলো অনেক সময় ধরে অবস্থান করার কারণে প্রধান সড়ক অবোরধের মতো অবস্থা সৃষ্টি হয়।
এদিকে হাটে সবজি বিক্রেতারাও একেবারে প্রধান সড়কের কোল ঘেঁষে তাদের পসরা সাজিয়ে বসে। সেখানে বিক্রেতাদের রিতিমত পাকা সড়কের উপর দাড়িয়ে তাদের প্রয়োজনীয় মালামাল ক্রয় করতে বাধ্য হতে হয়। তাতে প্রধান সড়কে রিতিমত বিশৃংখলার সৃষ্টি হয়। এ কারণে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কের উপর দিয়ে যানবাহন চলাচলে সময় ক্ষেপন হয়। অনেক সময় দেখা যায় যাত্রীরা ধৈর্য্য হারিয়ে ফেলে। এতে যাত্রিদের সাথে বাস ষ্টাফদের বাকবিতন্ডাও হতে দেখা গেছে অনেক সময়।
গাংনী-কুষ্টিয়া সড়কে গাড়াডোব, বাঁশবাড়িয়া, গাংনী, চেংগাড়া,জোড়পুকুরিয়া,তেরাইল,ছাতিয়ান ও বাওটের সাপ্তাহিক দুটি করে হাট একেবারে পাকা রাস্তার উপরেই বসে থাকে। সপ্তাহের সাত দিনই এই সড়কটি হাট বসার কারণে সড়কে বিশৃংখলা যেমন বাড়ে তেমন সড়ক দূর্ঘটনার ঝুঁকিও বাড়তে থাকে।
সড়কের ধারে হাট যতগুলো রয়েছে তার একটিও ঝুঁকিমুক্ত নয়। হাট বসার কারণে সড়কে পথাচারিদের পাশাপাশি অন্যান্য হালকা যানবাহনের চলাচলে ব্যাপক অসুবিধার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া এই সড়কের উপর দিয়ে অবৈধযান আলগামন নসিমন করিমনেরও দৌরাত্ম ব্যাপক। এসব যানের কোন ফিটনেসতো নাই এর উপর সড়কের উপর হাট বসার কারনে সড়কে লোকজনের ব্যাপক উপস্থিতিতে এ সময় দূর্ঘটনার সম্ভাবনা থেকেই যায়।
সচেতন মহল মনে করেন সড়কের শৃংখলা ফেরানো খুবই জরুরী আর এটা করতে হলে হাট মালিকদের এগিয়ে আসতে হবে সাথে সাথে প্রশাসনকেউ যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিলারা রহমান বলেন সড়কের বিশৃংখলা কতটুকু তা জেনে ব্যবসায়ী পথাচারি সহ সকলে যাতে সুবিধাজনক ভাবে তাদের কাজ করতে পারে সে বিষয়টি দেখে বুঝে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-গাংনী প্রতিনিধি